পাকিস্তান জামায়াতের আমীরের পদত্যাগ পাকিস্তানের নির্বাচন ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

মুহাম্মদ নজরুল ইসলামঃঃ পাকিস্তানের বিগত সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর নির্মম ভরাডুবিতে নিজের দায় স্বীকার করে জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের আমীর জনাব সিরাজুল হক আমীরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার এই পদত্যাগসাম্প্রতিক পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আমাদের কতিপয় নিজস্ব বিশ্লেষণঃ

পাকিস্তানের বিগত নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশ নিয়েছে কি নেয়নিসে বিষয়টিও খুব বেশী আলোচিত হয়নি। ইমরান খানের পতনের পর সারা পাকিস্তান যেখানে ইমরানময়সেখানে জামায়াতে ইসলামীর একটিভিটিজ সোস্যাল মিডিয়াতে খুব একটা চোঁখে পড়েনি। সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবসা যারা করেনতারা তাদের ভিউ বিজনেসের কারণে জামায়াতে ইসলামীর কোন খবর সামনে নিয়ে আসার গরজ অনুভব করেননি। এটা নিঃসন্দেহে সত্য যেপাকিস্তানের স্বজ্জনশিক্ষিতনৈতিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ জামায়াতে ইসলামীর সাথে জাড়িত। কিন্তু ক্যারেশমেটিক লিডারশীপ তৈরীতে জামায়াতে ইসলামী চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে নেওয়াজ-শাহবাজ এর মুসলিমলীগ ও ভূট্টো-বিলাওয়ালের পাকিস্তান পিপলস পার্টির বিকল্প হিসাবে দীর্ঘদিনের পুরাতন সংগঠন জামায়াতে ইসলামী বিকল্প হিসাবে দাড়াতে পারেনি। মানুষের পালস বুঝে রাজনীতি করার পলিটিক্সটা ইমরান খান বুঝতে পেরেছেন বলে বিকল্প হিসাবে ইমরান খানকে মানুষ মুসলিমলীগ ও পিপিপির বিকল্প হিসাবে গ্রহণে করেছে। সারা দুনিয়ায় জামায়াতে ইসলামীকে এটা রি-থিং করতে হবে যেমাওলানা মওদূদী রাহি. ইসলাম প্রতিষ্ঠার যে তরিকার বলে গিয়েছেনতা একটি পদ্ধতিকিন্তু একমাত্র পদ্ধতি নয়। বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আরো আরো বিকল্প পদ্ধতির ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে। যদি মাওলানা মওদূদীর পদ্ধতিকেই একমাত্র অলংঘনীয় পদ্ধতি হিসাবে গ্রহণ করা হয়তাহলে সেটা তার প্রদত্ত হেদায়াতের পরিপন্থী হবে। কেননাতিনি নবী সা. ছাড়া সকলের কার্যক্রমকে পর্যালোচনার অধীনে রেখেছেন। মাওলানা মওদূদীর পদ্ধতিকে একমাত্র পদ্ধতি মনে করা রেসালাতের মধ্যে শিরক করার নামান্তর হবে। সারা দুনিয়ার সকল ইসলামিক স্কলার হযরত উমর ইবনে আব্দুল আজীজ রাহি.কে ইসলামের পঞ্চম খলিফা হিসাবে স্বীকৃতি দেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে যেতিনি ক্ষমতাসীন হয়েছেন রাজতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়যে প্রক্রিয়াকে মাওলানা মওদূদী রাহি. সঠিক মনে করেন না। হযরত উমর বিন আব্দুল আজীজ রাহি. ছিলেন একজন ক্যারেশমিটেক লিডার। বিধায়চলামান বেঠিক প্রক্রিয়ার মাঝে পদ্মফুল হিসাবে তিনি ফুটতে পেরেছিলেন এবং ফুটার কারণে তার সুগন্ধি সারা বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছিল।

পাকিস্তানের নির্বাচনে দুইটি বিষয় বিশ্ব মিডিয়াতে চোঁখে পড়ার মতো। তার একটি হলোঃ নির্বাচনে পরাজয়ের দায় স্বীকার করে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব সিরাজুল হকের পদত্যাগ এবং দ্বিতীয়টি হলোঃ করাচী বিধান সভার একটি আসনে জামায়াতে ইসলামীকে বিজয়ী ঘোষনার পর সেই আসনের জামায়াত প্রার্থী কর্তৃক নির্বাচনকে অস্বচ্ছ ও পক্ষপাত মূলক উল্লেখ করে সেই বিজয় গ্রহণ না করা। উল্লেখ্য যেসামরিক মদদপুষ্ট নির্বাচন কমিশন ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করার লক্ষ্যে ভোট সংখ্যা পরিবর্তন করে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করে এবং সেই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হাফেজ নাঈমুর রহমান সেই বিজয় মেনে না নিয়ে বলেনইমরান খানের প্রার্থীকে পরাজিত করার উদ্দেশ্যে নির্বাচনে কারচুপি করে তাকে বিজয়ী দেখানো হয়েছে এবং তিনি তার আসন ছেড়ে দেয়ার ঘোষনা দিয়ে বলেনঃ যদি কেউ আমাদেরকে অবৈধ উপায়ে জয়ী করতে চায়তাহলে আমরা তা মেনে নেবো না। জনগনের মতামতকে সম্মাণ করা উচিত। বিজয়ীকে জিততে দিনপরাজিতকে হারতে দিন। কেউ যেন অতিরিক্ত কিছু না পায়।

এই দুইটি বিষয়ের কারণে বিশ্বব্যাপী জামায়াতে ইসলামী সমাদৃত হয়েছে। বিশ্বের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে কয়েকদিন আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল জামায়াতের এই সিদ্ধান্ত। এমনকি বাংলাদেশের ইউটিউবার ও টকশোর আসনও সরগরম ছিল বিষয়গুলো নিয়ে। কিন্তু যাদের আলোচনা ছিল মূল্যবান ও বিবেচনার বস্তুসেই পাকিস্তানের জনগনের কোন মাথাব্যাথ্যা নেই জামায়াতে ইসলামীর এই সব বৈপ্লবিক সিদ্ধান্তে। কারণ তাদের মাথা তখন ইমরানময়। ইমরান খান যে যাদু তাদের করেছেনসেই যাদুর মোহে জামায়াতে ইসলামীর কোন স্থান নেই। ইমরান খান যেখানে দূর্নীতিমুক্ত পাকিস্তান গঠন করতে চানসেখানে পাকিস্তানের স্বজ্জনশিক্ষিতনৈতিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ সম্পন্ন পুরাতন রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে বিবেচনায় নেয়ার মতো প্রয়োজন পাকিস্তানের জনগন বিবেচনায় নেয়নি। কারণ জামায়াতে ইসলামীতে দেশ পরিচালনার প্রয়োজনীয় এমপিমন্ত্রী ও অফিসার থাকলেও একজন ইমরান খান বা ক্যারেশমেটিক লিডার নেই।

বিগত সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের দায় স্বীকার করে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীরের পদত্যাগ করা একধরণের আইওয়াশই মনে হয়েছে। কারণ জামায়াতে ইসলামীতে এই নিয়ম বা কালচার নেই। জামায়াতে ইসলামীতে কোন সিদ্ধান্ত আমীর একা গ্রহণ করেন না। বরং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট ফোরাম। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যেমন রয়েছে নির্বাহী কমিটিকর্মপরিষদ ও মজলিসে শুরা। এখন প্রশ্ন হচ্ছেজনাব সিরাজুল ইসলাম একা দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করবেন কেনপাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর কি এতো ক্ষমতা সম্পন্ন যে তিনি একাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহণ ও নির্বাচনী তৎপরতা পরিচালনা তার একক সিদ্ধান্তে সম্পন্ন হয়েছেবরং নির্বাচনে অংশ গ্রহণ ও নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি তো পুরো মজলিসে শুরা বা সুনির্দেষ্ট ফোরাম করেছে। তাহলে তার পদত্যাগের সাথে সাথে তার সেই ফোরাম বা শুরা কেন একযোগে পদত্যাগ করলো নাযদি তারাও পদত্যাগ করতোতাহলে নতুন নির্বাচন হতো। সেখানে হয়তো জনাব সিরাজুল হক সহ পরামর্শ সভার অনেকেই বাদ পড়তেন। কিন্তু সেই সুযোগ ব্যবহার করা হয়নি। বিধায়সিরাজুল হক সাহেবের পদত্যাগ ও পরবর্তীতে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা এক ধরণের সস্তা রাজনৈতিক আইওয়াশ বলে আমি মনে করি।

. বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর তৎপরতা এখন যা দৃশ্যমান হয়তা আওয়ামীলীগের নিস্কৃয়তা বা করুণার ফসল। যখনই আওয়ামলীগ একটু ছাড় দেয়তখন জামায়াতের তৎপরতা রাজপথে ও মিলনায়তন সমূহে পরিলক্ষিত হয়। আওয়ামীলীগ একটু বিগড়ে গেলেই জামায়াতে ইসলামীর তৎপরতা পর্দার আড়ালে চলে যায়।

আওয়ামলীগ জামায়াতে ইসলামীকে নির্মূলের জন্য এমন কোন পদ্ধতি নাইতা তারা প্রয়োগ করেনি। তারপরও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে অবস্থান করছে আপন মহিমায়। আমি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে পারিজনশক্তির দিক দিয়ে জামায়াতে ইসলামী আওয়ামী শাসনকালে ব্যাপক ভাবে বেড়েছেযা স্বাভাবিক অবস্থায় বড়তো না এবং বর্তমানের ময়দানের জনশক্তির সকলেই প্রায় আওয়ামী আমলের রিক্রটমেন্ট। জামায়াত নেতাদের মধ্যে যারা আছেনতারা হতে পারেন আওয়ামীলীগ আমলের পূর্ববর্তী সময়ের রিক্রটমেন্টকিন্তু কর্মসূচী বাস্তবায়নে যারা পূর্ববর্তী সময়ে ময়দানে থাকতেনতাদের অধিকাংশই বয়সের ভারেপারিবারিক ব্যস্ততায়অসুস্থতা জনিত কারণে এবং এক ধরণের হতাশা ও বর্তমান দায়িত্বশীলদের সাথে প্রয়োজনীয় বনিবনা না থাকায় ময়দানে অনুপস্থিত।

পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর মতো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতেও রয়েছে এক বিশাল স্বজ্জনশিক্ষিতনৈতিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ। যারা নেতৃত্বের কোন একটি আসনে সমাসীন হলে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাদের দায়িত্ব আনজাম দিতে সক্ষম। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে পারিকেবলমাত্র ধর্মমন্ত্রনালয়টা যদি জামায়াতে ইসলামীকে দিয়ে স্বাধীন করে দেয়া হয় যেতাদের দলের লোক দিয়ে তারা এই মন্ত্রনালয় চালাবেতাহলে জামায়াতে ইসলামী মন্ত্রনালয় ও তার অধীনে চলমান অধিদফতর গুলো অত্যন্ত সুন্দর ভাবে চালাবে। কিন্তু যদি তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রতিটি মসজিদের একজন ইমাম ও একজন মুয়াজ্জিন নিয়োগ দিতেতাহলে জামায়াতে ইসলামী সেখানে ব্যর্থ হবে।

ইসলামী রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতে ইসলামীর প্রস্তুতিটা এখনো তিমিরে রয়েছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেনতারা সমাবেশ আর মহাসমাবেশে বিশাল উপস্থিতি দেখে মনে করেন যেবাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লব বেশী দূরে নয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপির সাথে জোট করে যখন জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার হয়তখন অনেকে মনে করতেন যেজামায়াতে ইসলামী মক্কী যুগ পেরিয়ে মাদানী যুগে প্রবেশ করেছে। কিন্তু মাদানী যুগের পর আবার যে মক্কী যুগ আসেতা ইতিহাসে কোথাও পাওয়া যায় না। অথচ আমরা দেখেছি নিকট অতীতে জামায়াতে ইসলামী যে অবস্থানে ছিল এবং এখন যে অবস্থানে আছেতাতে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানকে মক্কীযুগের দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায় বলা ছাড়া কোন উপায় নেই। আর সে কারণে বলতে হয়আমরা যারা মাদানী যুগের অংক করেছিলামতাদের অংক ভূল ছিল। ওটা আসলে মাদানী যুগ ছিল না। আমরা স্বপ্নের মাঝে মাদানী যুগ আবিস্কার করেছিলাম।

জামায়াতে ইসলামীর এই উত্থান আর পতনের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর কোন দায়বদ্ধতা আছে বলে আমি মনে করিনা। আমি মনে করি এই দায়বদ্ধতা বাংলাদেশের জনগনের। বাংলাদেশের মানুষ বিকল্প হিসাবে জামায়াতে ইসলামীকে গ্রহণ করছে না। বরং সব সময় দূর্নীতিস্বজনপ্রীতিস্বৈরাচারীতার অভিযোগে অভিযুক্ত করে আওয়ামীলীগের বিকল্প হিসাবে বিএনপিকে এবং বিএনপির বিকল্প হিসাবে আওয়ামীলীগকে মানুষ গ্রহণ করে। তৃতীয় কোন ইমরান খানকে গ্রহণ করেনা। এর কারণ হলো ইমরান খানের মতো কেরেশমেটিক লিটারশীপ বাংলাদেশে আসতেছে না।

বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবেযদি এই চলমান প্রক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামী চলতে থাকে। প্রতিটি নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না করার পর বলা হবেঃ মুমিনের পরাজয় নেইআমরা জয়ী হলেও সফলকামপরাজিত হলেও সফলকাম। বলা হবেঃ আমাদের মূল লক্ষ্য ক্ষমতা নয়আমাদের লক্ষ্য জান্নাত। হযরত সালমান ফারসী রা. এর ভূমিকা পালন করতে গিয়ে যদি কোন রুকন ভিন্নমত পেশ করেনতাহলে তার রুকন পদ নিয়ে টানাটানি শুরু হবে শৃংখলা ভংগের অভিযোগে। ভবিষ্যতে হয়তো পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী থেকে আইডিয়া নিয়ে ডা. শফিকুর রহমান পদত্যাগও করতে পারেন।

জামায়াতে ইসলামীর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলেঃ

১. স্বপ্নবাজ কিছু মানুষকে ছেড়ে দিতে হবে স্বাধীন করেতারা জামায়াতের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবেকিন্তু জামায়াতে ইসলামীর সাইন বোর্ডের নিচে বা অধীনে কাজ করবে না। তাদের মধ্য হতে তৈরী হবে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদমাঈন উদ্দিনফখরুদ্দীনআব্দুল ফাত্তাহ সিসওমর বশিরদের মতো শাসক। কিন্তু ওরা নিজেদের ক্যারেশমায় ক্ষমতায় আসলেও শাসন করবে জামায়াতে ইসলামীর পদ্ধতিতে-যে ভাবে জামায়াতে ইসলামী দেশ শাসন করতে চায়।

স্বপ্নবাজ মানুষরা যদি কিছু করতে পারেতাহলে তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে জামায়াতে ইসলামীকে জামায়াতের প্লাটফরমের বাহিরে বেশ কিছু জনশক্তি গড়ে তুলতে হবেযারা জামায়াতের হয়ে কাজ করবেন কিন্তু জামায়াতের নামে কাজ করবে না।

বৈশ্বিক পরিবর্তনের ফলে সত্যিকার ইসলামী সমাজের বর্তমান রূপরেখা কি হবেতার জন্য স্বাধীন ইসলামিক থিংক ইউনিট হতে হবে। ইসলামিক স্কলারস তৈরীর জন্য উলামায়ে কিরামদের নেতৃত্বে স্বাধীন ইসলামিক ইন্সটিটিউট গড়ে তুলতে হবে। যেখান থেকে স্বপ্নবাজদের জন্য প্রয়োজনীয় রশদ ও জনশক্তি সাপ্লাই দেয়া হবে।

জামায়াতে ইসলামীকে মাওলানা মওদূদীর আদলেই থাকতে হবে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর কাজকে স্বপ্নবাজদের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি স্বপ্নবাজরা সফল হয়তাহলে হযরত উমর বিন আব্দুল আজীজ রাহি. এর মতো তারা নেতৃত্ব দেবে আর মাওলানা মওদূদীর আদলের জামায়াতে ইসলামী তাদেরকে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও যোগান দেবে।


Post a Comment

0 Comments