০০১. রাহে
আমল হাদীস গ্রন্থটি কে অনুবাদ
করেছেন?
উত্তরঃ এ.বি.এ. আব্দুল
খালেক মজুমদার।
০০২. জনাব
এ.বি.এম. আব্দুল
খালেক মজুমদার-এর
প্রথম অনুবাদ গ্রন্থের নাম কি?
উত্তরঃ রাহে
আমল।
০০৩. রাহে
আমল গ্রন্থের অনুবাদ
বইয়ের রয়্যালটির অর্থ
গ্রহণ না করে
তার পরিবার বর্গকে
কি অসিয়ত করেন?
উত্তরঃ রয়্যালটির
টাকা ফী-সাবীলিল্লাহর কাজে
ব্যয় করার জন্য।
০০৪. যার
দ্বারা নবী কারীম
সা. এর কথা,
কাজ ও তাঁর
অবস্থা জানা যায়
এমন জ্ঞানকে সংক্ষেপে কি বলা
হয়?
উত্তরঃ হাদীস।
০০৫. হাদীস
সংগ্রহ বিন্যাস ও
পুস্তকাকারে সংকলনন তৈরী
করার গোটা সময়াকে
কয়টি যুগে বিভক্ত
করা যায়?
উত্তরঃ ৪টি।
০০৬. কয়টি
নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে রাসূল
সা. এর হাদীস
আমাদের নিকট পৌছেছে
এবং তা কি
কি?
উত্তরঃ ৩টি। যথাঃ ১. গোটা মুসলিম উম্মাতের
আমল। ২. লিখিত আকারে। ৩.
স্মৃতিতে ধরে রাখার মাধ্যমে।
০০৭. হাদীসের সংগ্রহ বিন্যাস ও পুস্তকাকারে সংকলন তৈরী
করার সময়ের প্রথম
যুগ কোন সময়টাকে বুঝায়?
উত্তরঃ নবী
সা.
এর যুগ থেকে ১ম হিজরী
শতকের শেষ।
০০৮. হাদীসের সংগ্রহ বিন্যাস ও পুস্তকাকারে সংকলন তৈরী
করার সময়ের দ্বিতীয় যুগ কোন
সময়টাকে বুঝায়?
উত্তরঃ দ্বিতীয়
হিজরী শতকের শেষ পর্যন্ত।
০০৯. হাদীসের সংগ্রহ বিন্যাস ও পুস্তকাকারে সংকলন তৈরী
করার সময়ের তৃতীয়
যুগ কোন সময়টাকে বুঝায়?
উত্তরঃ দ্বিতীয়
হিজরী শতকের শেষের দিক
থেকে চতূর্থ হিজরী শতকের
শেষ পর্যন্ত।
০১০. হাদীসের সংগ্রহ বিন্যাস ও পুস্তকাকারে সংকলন তৈরী
করার সময়ের চতূর্থ
যুগ কোন সময়টাকে বুঝায়?
উত্তরঃ হিজরী
৫ম শতক থেকে বর্তমান
কাল পর্যন্ত।
০১১. হযরত
আবু হুরায়রা রা. এর
বর্ণিত হাদীস সংখ্যা
কত? তার ছাত্র
সংখ্যা কতজন পর্যন্ত পৌছেছে?
উত্তরঃ হাদীস
সংখ্যাঃ ৫৩৭৪টি; ছাত্র সংখ্যাঃ
৮০০
০১২. হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস
রা. এর বর্ণিত
হাদীস সংখ্যা কতটি?
উত্তরঃ ২৬৬০টি।
০১৩. হযরত
আয়েশা সিদ্দিকা রা. কত
বছর বয়সে ইনতিকাল করেন? তাঁর বর্ণিত
হাদীস সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ইনতিকালঃ
৬৭ বছর বয়সে; বর্ণিত হাদীস
সংখ্যাঃ ২২১০টি।
০১৪. হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর
রা. ও হযরত
আনাস বিন মালিক
রা. এর প্রত্যেকের বর্ণিত হাদীস
সংখ্যা কত?
উত্তরঃ হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ
১৬৩০ এবং হযরত আনাস
বিন মালিক রাঃ ১২৮৬।
০১৫. হযরত
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ সর্বোচ্চ হাদীস
বর্ণনাকারী সাহাবীদের মধ্যে
কততম?
উত্তরঃ ৫ম।
০১৬. এক শতের অধিক এবং পাঁচ শতের কম হাদীস বর্ণনা করেছেন এমন ৪জন সাহাবীর নাম
উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ ১. হযরত
আবু বাকর সিদ্দীক। ২. হযরত উসমান। ৩. হযরত উম্মু সালাম। ৪. আবু
মুসা আশআরী। ৫. হযরত আবু যার আল-গিফারী। ৬. হযরত
আবু আইউব আনসারী। ৭. হযরত উবাই ইবনে কা’ব। ৮. হযরত
মুআয ইবনে জাবাল।
০১৭. এমন একজন হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবী, যিনি হযরত আয়েশা রা. এর
বোনপুত্র ছিলেন। তার নাম কি?
উত্তরঃ উরওয়অ ইবনুয যুবায়ের রা.
০১৮. তিনি ছিলেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. এর মুক্ত দাস। অপর দিকে তিনি ছিলেন ইমাম মালেক রাহ. এর শিক্ষক। তিনি কে?
উত্তরঃ নাফে রা.
০১৯. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. কর্তৃক ১ হাজার হাদীসের সংকলনটির নাম কি?
উত্তরঃ সহীফায়ে সাদিকা।
০২০. সহীফায়ে সহীহা নামক হাদীস সংকলনটির সংকলক কে? তিনি কার ছাত্র ছিলেন?
উত্তরঃ হুম্মাম ইবনে মুনাব্বেহ। তিনি হযরত আবু
হুরায়রা রা. এর ছাত্র ছিলেন।
০২১. সাহাবায়ে কিরামের যুগে হাদীসের এই সংকলনটি প্রস্তুত করা হয়েছিল। যার একটি কপি
উমর বিন আব্দুল আজীজ রাহ. এর পিতা
আব্দুল আজীজ বিন মারওয়ানের নিকট ছিল। সংকলনটির নাম কি? আর এর সংকলক কে ছিলেন?
উত্তরঃ সংকলনের নামঃ মুসনাদে আবু হুরায়রা রা. আর সংকলকঃ হযরত আবু হুরায়রা রা.
০২২. যাকাত, মদীনার হেরেম, বিদায় হজ্জের ভাষণ এবং ইসলামী সংবিধানের ধারা সমূহ বিবৃত
হয়েছিল এমন একটি হাদীস সংকলনের নাম কি?
উত্তরঃ সহীফায়ে হযরত আলী।
০২৩. রাসূল সা. এর এমন
একটি ভাষণ, যা হযরত আবু শাহ ইয়ামানীর রা. এর আবেদনক্রমে রাসূল সা. লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কোন সে ভাষণ?
উত্তরঃ মক্কা বিজয়কালে রাসূল সা. প্রদত্ত ভাষণ।
০২৪. এমন একজন সাহাবী, যাকে
ইয়ামনের গভর্ণর নিয়োগ করে পাঠানোর সময় রাসূল সা. একটি লিখিত নির্দেশনামা দিয়ে ছিলেন। কোন সে সাহাবী?
উত্তরঃ আমর ইবনে হাযম রা.
০২৫. ইমাম যুহরীর আসল নাম কি?
উত্তরঃ মুহাম্মদ ইবনে শিহাব।
০২৬. ইমাম মালিক রাহ. এর শিক্ষকদের
সংখ্যা কত ছিল?
উত্তরঃ ৯শ।
০২৭. একটি হাদীস সংকলন। যাতে
১৭০০টি রিওয়াতে আছে। যা ১৩০ হিজরী থেকে ১৪১ হিজরীর মধ্যে সংকলিত হয় এবং যা সে সময়ে
রচিত হাদীস সংকলন গুলোর মাঝে বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে।
উত্তরঃ মুয়াত্তা।
০২৮. যে যুগে নবী পাকের (স) হাদীস
সমূহকে সাহাবাগণের আসার ও তাবিঈদের বাণী থেকে পৃথক করে সংকলন করা হয়-সেটি হাদীসের
কততম যুগ।
উত্তরঃ তৃতীয় যুগ।
০২৯. হাদীস বর্ণনাকারী রাবীদের পরিচয়, জন্ম মৃত্যু,
শিক্ষক
ও ছাতদের বিবরণ, জ্ঞানার্জনের জন্য ব্যাপক
ভ্রমণ এবং নির্ভরযোগ্য (সিকাহ) বা অনির্ভরযোগ্য হওয়া সম্পর্কে হাদীস শাস্ত্রের
বিশেষজ্ঞদের সিদ্ধান্ত সন্নিবেশিত হয়েছে যে শাস্ত্রে-তার নাম কি?
উত্তরঃ আসমাইর রিজাল বা রিজাল শাস্ত্র।
০৩০. রিজাল শাস্ত্রের মাধ্যমে কতজন রাবীর জীবন ইতিহাস
সংরক্ষিত হয়েছে?
উত্তরঃ পাঁচ লাখ।
০৩১. তাহযীবুল কামাল, তাহযীবুত
তাহযীব এবং তাযকিরাতুল হুফ্ফাজ-এই গ্রন্থ গুলো কোন শাস্রের?
উত্তরঃ রিজাল শাস্ত্রের।
০৩২. হাফেয ইবন হাজার আসকালানী রচিত রিজাল
শাস্ত্রের নাম কি?
উত্তরঃ তাহযীবুত তাহযীব।
০৩৩. যে শাস্ত্রের সাহায্যে হাদীসের বিশুদ্ধতা ও
দূর্বলতা যাচাইয়ের নিয়ম কানুন জানা যায়, সেই শাস্ত্রকে কি
বলে?
উত্তরঃ মুসতালাহুল হাদীস বা উসূলে হাদীস।
০৩৪. হাদীসে ব্যবহৃত কঠিন ও দ্ব্যর্থবোধক শব্দ
সমূহের আভিধানিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে যে শাস্ত্রে-তার নাম কি?
এই বিষয়ে দুইটি প্রসিদ্ধ গ্রন্থের নাম কি?
উত্তরঃ আরীবুল হাদীস। গ্রন্থ দূ’টিঃ ১. আল ফাইক। ২.
নিহায়া।
০৩৫. প্রসিদ্ধ তাফসীর, ফিকহ, তাসাওউফ
ও আকাইদ এর গ্রন্থসমূহে যেসব হাদীসের উল্লেখ করা হয়েছে ইলমের যে শাখার মাধ্যমে তার
উৎস সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়, সেই শাখাকে কি বলে?
উত্তরঃ তাখরীজিল আহাদীস।
০৩৬. ইলমুত তাওফীক যাইনাল আহাদীস-এর কাজ কি?
উত্তরঃ যেসব হাদীসের বক্তব্যের মধ্যে বাহ্যত পারস্পরিক বৈপরীত্য
লক্ষ্য করা যায়, জ্ঞানের এই শাখায় তার সঠিক
ব্যাখ্যা দান করা হয়েছে।
০৩৭. হাদীসের যেসব রাবীর নাম, ডাকনাম, উপাধি, পিতা দাদার অথবা শিক্ষকদের নাম পরস্পর
সংমিশ্রিত হয়ে গেছে তাদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে কোন ধরণের গ্রন্থে?
উত্তরঃ ইলমুল মুখতালিফ ওয়াল মুতালিফ।
০৩৮. কোন হাদীস কোন গ্রন্থে আছে এবং কে কে তার রাবী তা জানা
যায় যে গ্রন্থের মাধ্যমে, তাকে কি বলে?
উত্তরঃ আতরাফিল হাদীস।
০৩৯. হুকুতম আহকাম সম্বলিত হাদীস সমূহের
ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করা হয়েছে যে গ্রন্থে, তার নাম কি?
উত্তরঃ ফিকুল হাদীস।
০৪০. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল সংকলিত হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
উত্তরঃ মুসনাদে আহমাদ।
০৪১. এমন একটি হাদীস গ্রন্থ, যা ৫ খন্ডে বিভক্ত, যাতে বিষয়
ভিত্তিক বিন্যাস না করে প্রত্যেক সাহাবীর সকল হাদীস একত্রে সন্নিবেশ করা হয়েছে। যে
হাদীস গ্রন্থটি পরবর্তীতে শহীদ হাসানুল বান্না-এর পিতা আহমদ আব্দুর রহমান বিষয়সূচী
অনুযায়ী বিন্যাস করার কাজ শুরু করেন।
উত্তরঃ মুসনাদে আহমদ।
০৪২. সহীহ আল বুখারী হাদীস গ্রন্থের পুরো নাম কি?
এই গ্রন্থে মারফু হাদীসের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ আল জামিউস সহীহুল মুসানাদুল মুখতাসার মিন উমুরি রাসুলিল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়া আলাইহি। মারফু হাদীস সংখ্যাঃ ৬২৩০
০৪৩. ইমাম বুখারী ও ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল
ছিলেন যার শিক্ষক। ইমাম তিরমিযী, আবু হাতিম রাবী ও আবু বাকর
ইবনে খুযাইমা ছিলেন তার ছাত্র। তিনি ৯১৯০টি হাদীস তার হাদীস সংকলনে অন্তর্ভূক্ত
করেছেন। কে তিনি? তার পূরো নাম লিখুন।
উত্তরঃ ইমাম মুসলিম। তার পুরো নামঃ ইমাম মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ আবুল
হুইসাইন আল কুশাইরী।
০৪৪. ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে মাযা
কাযবীনী সংকলিত হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
উত্তরঃ সূনানে ইবনে মাজা।
০৪৫. সিহাহ সিত্তার ৬টি হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
কোন কোন বিশেষজ্ঞ আলেম ইবনে মাজাহ গ্রন্থের পরিবর্তে কোন গ্রন্থকে
সিহাহ সিত্তার মধ্যে গন্য করেন?
উত্তরঃ ১.
সহীহ আল বুখারী। ২. সহীহ মুসলিম। ৩. সুনানে আবি দাউদ। ৪. জামে আত তিরমিযী। ৫. সূনানে নাসাঈ। ৬. সুনানে ইবনে মাজা। ইবনে মাজা
গ্রন্থের পরিবর্তে মুয়াত্তাকে সিহা সিত্তার মধ্যে গণ্য করা হয়।
০৪৬. কোন হাদীস গ্রন্থ গুলোকে একত্রে জামি বলা
হয় এবং কোন কোন হাদীস গ্রন্থ গুলোকে সুনান বলা হয়?
উত্তরঃ জামিঃ বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি।
সুনানঃ আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজা।
০৪৭. মিশকাতুল মাসাবীহ হাদীস গ্রন্থের সংকলক কে?
এ গ্রন্থের বৈশিষ্ট কি?
উত্তরঃ ওয়ালী উদ্দিন খতীব তাবরীযী। আকীদা–বিশ্বাস ইবাদাত, পারস্পরিক
লেনদেন ও আচার ব্যবহার, চরিত্র, নৈতিকতা, শিষ্টাচার
এবং আখিরাত সম্পর্কিত রিওয়ায়াত সমূহ এই গ্রন্থে একত্র করা হয়েছে।
০৪৮. ইমাম আবু যাকারিয়া ইবনে শারাফুদ্দনি নববী সংকলিত হাদীস
গ্রন্থের নাম কি?
উত্তরঃ রিয়াদুস সালেহীন।
০৪৯. মুনতাকাল আখবার হাদীস গ্রন্থের সংকলক কে?
উত্তরঃ মাজদুদ্দীন আবুল বারাকাত আবদুস সালাম ইবনে তাইমিয়া।
০৫০. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী সংকলিত হাদীস গ্রন্থের নাম
কি?
উত্তরঃ বুলুগুল মারাম।
০৫১. শাহ ওয়ালী উল্লাহ রাহ. এর আগে হিমালয়ান উপমহাদেশে
ইলমে হাদীসের চর্চা শুরু করেন কে?
উত্তরঃ শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দিললবী।
০৫২. হাদীস কাকে বলে?
উত্তরঃ রাসুলুল্লাহ (সা) এর নবুয়াতী জীবনের সকল কথা, কাজ
এবং অনুমোদনকে হাদীস বলে।
০০৫৩. মুহাদ্দিস কে?
উত্তরঃ যিনি হাদীস চর্চা করেন এবং বহু সংখ্যক হাদীসের সনদও মতন
সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন তাঁকে মুহাদ্দিস বলে।
০৫৪. মারফু হাদীস কি?
উত্তরঃ যে হাদীসের বর্ণনা পরম্পরা রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে হাদীস
গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত সুরক্ষিত আছে এবং মাঝখান থেকে কোন বর্ণনাকারীর নাম বাদ
পড়েনি, তাকে মারফু হাদীস বলে।
০৫৫. মাকতু হাদীস কি?
উত্তরঃ যে হাদীসের বর্ণনা সূত্র শুধু কোন তাবিঈ পর্যন্ত পৌঁছেছে
তাকে হাদীসে মাকতু বলে।
০৫৬. মুত্তাসিল হাদীস কোনটি?
উত্তরঃ যে হাদীসের সনদের ধারাবাহিকতা উপর থেকে নীচ পর্যন্ত
পূর্ণরূপে রক্ষিত আছে, কোন স্তরেই রাবীর নাম বাদ
পড়েনি।
০৫৭. মুরসাল হাদীস কি?
উত্তরঃ সনদের মধ্যে তাবিঈর পর বর্ণনাকারীর নাম বাদ পড়লে তাকে
মুরসাল হাদীস বলে।
০৫৮. মুসনাদ হাদীস কোনটি?
উত্তরঃ যে মারফু হাদীসের সনদ সম্পূর্ণরূপে মুত্তাসিলঃ তাকে মুসনাদ
হাদীস বলে।
০৫৯. কোন হাদীসকে মুনকার হাদীস বলে?
উত্তরঃ যে হাদীসের বর্ণনাকারী দুর্বল এবং তার বর্ণিত হাদীস যদি অপর
দুর্বল বর্ণনাকারীর বর্ণিত হাদীসের পরিপন্থী হয়, তবে
তাকে মুনকার হাদীস বলে।
০৬০. মতন কাকে বলে?
উত্তরঃ হাদীসের মুল শব্দাবলীকে মতন বলে।
০৬১. মুতাওয়অতির হাদীস কোনটি?
উত্তরঃ যে সব হাদসের সনদে বর্ণনাকারীর সংখ্যা এত অধিক যে, তাদের
সকলের একযোগে কোন মিথ্যার উপর ঐকমত্য হওয়া অসম্ভব। আর এই সংখ্যাধিক্য যদি
সর্বস্তরে থাকে তবে তাকে মুতাওয়াতির হাদীস বলে।
০৬২. মাশহুর হাদীস কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব হাদীসের বর্ণনাকারী তিন বা তিনের অধিক হবে কিন্তু
মুতাওয়াতিরের পর্যায় পর্যন্ত পৌছবে না,
এমন
হাদীসকে মাশহুর হাদীস বলে।
০৬৩. মারফু হাদীস কোনটি?
উত্তরঃ কোন দুর্বল বর্ণনাকারীর বর্ণিত হাদীস অপর কোন দুর্বল
বর্ণনাকারীর বর্ণিত হাদীসের বিরোধী হলে অপেক্ষাকৃত কম দুর্বল বর্ণনাকারীর হাদীসকে
মারুফ হাদীস বলে।
০৬৪. কোন হাদীসকে সহীহ হাদীস বলা হয়?
উত্তরঃ যে মুত্তাসিল হাদীসের সনদে উদ্ধৃত প্রত্যেক বর্ণনাকারীই
নির্ভরযোগ্য, বিশ্বস্ত, প্রখর
স্মরণশক্তি সম্পন্ন এবং হাদীসখানি সকল প্রকার ত্রুটি বিচ্যুতি থেকে মুক্ত, তাকে
সহীহ হাদীস বলে।
০৬৫. হাসান হাদীস কোনটি?
উত্তরঃ যে হাদীসের বর্ণনাকারীর স্মরণশক্তি কিছুটা দুর্বল বলে
প্রমাণিত, তাকে হাসান হাদীস বলে।
০৬৬. যায়ীফ হাদীসের সংগা কি?
উত্তরঃ যে হাদীসের বর্ণনাকারী কোন হাসান বর্ণনাকারীর গুণসম্পন্ন নন
তাকে যায়ীফ হাদীস বলে।
০৬৭. মুত্তাফাকুন আলাইহি বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ যে হাদীস ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র) একই রাবী থেকে স্ব স্ব
গ্রন্থে সংকলন করেছেন তাকে মুত্তাফাকুন আলাইহি বলে।
০৬৮. হাদীস শাস্রের পরিভাষায় আদালত কি?
উত্তরঃ বর্ণনাকারী মুসলিম,
প্রাপ্তবয়স্ক
জ্ঞানী হওয়া এবং ফিসকের উপায় উপকরণ থেকে মুক্ত এবং মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে
দূরে থাকাকে আদালত বলে।
০৬৮. ছিকাহ কি কি জিনিস?
উত্তরঃ যে বর্ণনাকারীর মধ্যে আদালত ও যাবত পূর্ণভাবে বিদ্যমান, তাকে
ছিকাহ বা সাবিত বলে।
০৬৯. শায়খাইন কারা?
উত্তরঃ মুহাদ্দিসদের পরিভাষায় ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র) কে শায়খাইন
বলে।
০৭০. রিজাল কাকে বলে?
উত্তরঃ হাদীসের বর্ণনাকারীর সমষ্টিকে রিজাল বলে।
০৭১. হাদীসে কুদসী কি?
উত্তরঃ যে হাদীসের মূল ভাব মহান আল্লাহর এবং ভাষা মহানবী (সা) এর
নিজস্ব, তাকে হাদীসে হাদীসে কুদসী
বলে।
০৭২. “নিয়ত বা উদ্দেশ্যের উপরই সব কাজ
নির্ভরশীল। মানুষ যা নিয়ত করে, তাই পায়।” এই হাদীসের বর্ণনাকারী কে?
উত্তরঃ হযরত ওমর বিন খাত্তাব রা.
০৭৩. কোন কাজ দেখতে যতই পুণ্যের কাজ মনে হোক, আখিরাত তার প্রতিদান কেবল
কখন পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ যখন তা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হবে।
০৭৪. আল্লাহ তোমাদের আকৃতি, চেহারা ও ধনসম্পদ দেখবেন না।
তাহলে কি দেখবেন?
উত্তরঃ মন ও আমল।
০৭৫. “তুমি আমার নেয়ামতগুলো পেয়ে কি কাজ করছ?” এই প্রশ্ন যখন কিয়ামতের
দিনে কোন শহীদকে করা হবে। তখন জবাবে সে কি বলবে?
উত্তরঃ সে বলবেঃ আমি তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যুদ্ধ করে প্রাণ
দিয়েছি।
০৭৬. কিয়ামতের দিনে ইসলামের বিশিষ্ট পণ্ডিত তথা আলেম, শিক্ষক ও কোরআন অধ্যয়নকারীকে
আল্লাহ তাঁর দেয়া নেয়ামতগুলো স্মরণ করিয়ে জিজ্ঞেস করবেন এতসব নেয়ামত পেয়ে তুমি কি
কাজ করেছ? উত্তরে কি বলবে?
উত্তরঃ বলবে, হে আল্লাহ, আমি
তোমার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই তোমার দ্বীন শিখেছি। তোমারই সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তা
অন্যকেও শিখিয়েছি এবং তোমারই জন্য কোরআন পড়েছি।
০৭৭. সেখানে শুধু সেই কাজই সওয়াবের যোগ্য বিবেচিত হবে, যা কেবল মাত্র আল্লাহর
সন্তুষ্টির জন্য করা হয়েছে। কোন খানে?
উত্তরঃ আখিরাতে।
০৭৮. আমাদেরকে লোক দেখানো ও খ্যাতি অর্জনের সর্বনাশা
মানসিকতা থেকে সতর্ক ও হুশিয়ার থাকতে হবে। নচেৎ কি হবে?
উত্তরঃ আমাদের অজান্তেই আমাদের যাবতীয় চেষ্টা সাধনা ও শ্রম বরবাদ
হয়ে যাবে।
০৭৯. ঈমান কি বলুন। জিব্রাঈল আ. এর এই প্রশ্নের জবাবে রাসূল
সা. কি বললেন?
উত্তরঃ তুমি আল্লাহ তায়ালাকে ও আখিরাতকে সত্য জানবে ও সত্য বলে
বিশ্বাস করবে, আর এটাও বিশ্বাস করবে যে, পৃথিবীতে
যা কিছুই ঘটবে, আল্লাহর পক্ষ থেকেই ঘটে, চাই
তা ভালো হোক বা মন্দ হোক। এটাই ঈমান।
০৮০. “তুমি আল্লাহ তায়ালাকে ও আখিরাতকে সত্য জানবে ও সত্য
বলে বিশ্বাস করবে,
আর এটাও বিশ্বাস করবে যে, পৃথিবীতে যা কিছুই
ঘটবে, আল্লাহর পক্ষ থেকেই ঘটে, চাই তা
ভালো হোক বা মন্দ হোক। এটাই ঈমান।” এই বাক্যাংশ একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ। হাদীসটি
কি নামে খ্যাত?
উত্তরঃ হাদীসে জিবরাইল নামে খ্যাত।
০৮১. ঈমানের আসল অর্থ
কি?
উত্তরঃ কারো উপর বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করা এবং সে কারণে তার
কথাকে সত্য বলে মান্য করা।
০৮২. তিনি অনাদি ও অনন্ত কাল ধরে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন। তিনি একাই
সমগ্র বিশ্বজগতকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি একাই সমগ্র বিশ্ব জগতের একক ও সর্বময়
পরিচালক ও শাসক বলে বিশ্বাস করা-এই ধরণের ঈমান আনাকে কি বলে?
উত্তরঃ আল্লাহর প্রতি ঈমান।
০৮৩. তাদের অস্তিত্ব আছে,
তারা অত্যন্ত পবিত্র ও নিষ্পাপ, তারা আল্লাহর হুকুম অমান্য করেন না সদা
সর্বদা আল্লাহর এবাদত করেন, অনুগত গোলামের মত মনিবের প্রতিটি হুকুম বাস্তবায়নের
জন্র তার দরবারে অনবরত হাত বেধে দাঁড়িয়ে থাকেন-তারা কারা?
উত্তরঃ ফেরেশতা।
০৮৪. তারা সবাই সত্যবাদী। তারা আল্লাহর বার্তাকে অবিকলভাবে
ও কোন রমক হেরফের এবং কমবেশী না করেই মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছেন-তারা কারা?
উত্তরঃ রাসূল গন।
০৮৫. এমন একটি দিনের আগমন অবধারিত। যেদিন সকল মানুষের
জীবনের কৃতকর্মের বিচার হবে। যার কাজ ভালো ও সন্তোষজনক হবে, সে পুরস্কৃত হবে। আর যার কাজ
অসন্তোষজনক হবে, সে পাবে কঠিন শাস্তি। শাস্তিও হবে সীমাহীন,
পুরস্কারও হবে অনন্তকাল ব্যাপী-এমন ধরণের ঈমান আনার মানে কিসের
প্রতি ঈমান?
উত্তরঃ আখিরাতের উপর ঈমান।
০৮৬. ভালো মন্দ এবং সুপথগামিতা ও বিপথগামিতার ব্যাপারে
আল্লাহর একটা অকাট্য বিধান রয়েছে, যা তিনি আগে থেকেই বানিয়ে রেখেছেন-এই ধরণের
বিশ্বাসকে কি বলে?
উত্তরঃ তাকদীরের উপর ঈমান।
০৮৭. “কোন এক সফরে আমি রাসূল (সা) এর পেছনে উটের ওপর বসা
ছিলাম। আমার ও তাঁর মাঝে ঘোড়ার জিনের (কাঠের তৈরী আসন) পেছনের অংশটি ছাড়া আর কোন
ব্যবধান ছিলনা” কে রাসূল সা. এর পেছনে উটের উপর বসা ছিলেন?
উত্তরঃ হযরত মুয়ায বিন জাবাল।
০৮৮. বান্দাদের ওপর আল্লাহর হক কি? রাসূল সা. এর বর্ণনা আলোকে বলুন?
উত্তরঃ বান্দাদের ওপর আল্লাহর হক এই যে, তারা
কেবল তাঁরই হুকুম পালন করবে এবং হুকুম পালনে অন্য কাউকে শরীক করবে না।
০৮৯. আল্লাহর ওপর বান্দার হক কি? বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত
হাদীসের আলোকে বলুন?
উত্তরঃ আল্লাহর ওপর তাঁর অনুগত বান্দাদের হক এই যে, তিনি
যেন তাদেরকে আযাব না দেন।
০৯০. হযরত মুয়ায বিন জাবাল রা. বর্ণিত হাদিসের বর্ণনায় জানা
যায় যে, একই উঠে তিনি ও রাসূল সা. বসা ছিলেন। তারা দূ’জন এতো কাছাকাছি থাকার পরও
কেন রাসূল সা. তিন বার তাকে সম্বোধন করে ডাকলেন?
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (সা) বলতে চাইছিলেন তা এত গুরুত্বপূর্ণ ছিল
তাই।
০৯১. একমাত্র আল্লাহর ওপর ঈমান আনয়নের অর্থ কি? আবু কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি
দলকে বলা রাসূল সা. এর বক্তব্যের আলোকে জবাব দিন।
উত্তরঃ এর অর্থ হলো,
এই
মর্মে সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ
নেই এবং মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসূল,
আর
নামায যথাযথভাবে আদায় করা, যাকাত দেয়া ও রমযানের রোযা
রাখা।
০৯২. রাসূল সা. যখনই কোন ভাষণ দিতেন, তখন কোন কথাটি অবশ্যই
বলতেন?
উত্তরঃ যার ভেতরে আমানতদারী নেই, তার
ভেতরে ঈমান নেই, আর যে ব্যক্তি ওয়াদা রক্ষা
করাকে গুরুত্ব দেয় না, তার কাছে দ্বীনদারী নেই।
০৯৩. যে ব্যক্তি আল্লাহর হক ও বান্দার হক আদায় করে না, সে কিসের অধিকারী নয়?
উত্তরঃ পরিপক্ব ঈমানের।
০৯৪. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে ওয়াদা করে অথচ সেই ওয়াদা পূরণ
করে না,
সে কি থেকে বঞ্চিত?
উত্তরঃ দীনদারীর ন্যায় মহামূল্যবান সম্পদ ও নেয়ামত থেকে বঞ্চিত।
০৯৫. তিন ধরণের হক সবচেয়ে বড় হক বা অধিকার। তা
কি কি?
উত্তরঃ ১.
আল্লাহর হক। ২. আল্লাহর রাসূলের হক। ৩. আল্লাহর কিতাবের হক।
০৯৬. সবর ও সামাহাতের আর এক নাম কি?
উত্তরঃ ঈমান।
০৯৭. নিজের উপার্জিত সম্পদ থেকে যত বেশী পরিমাণে সম্ভব
আল্লাহর অসহায় ও পরমুখাপেক্ষী বান্দাদের ওপর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে
ব্যয় করা এবং ব্যয় করে তৃপ্তি ও আনন্দ অনুভব করাকে আরবীতে কি বলে?
উত্তরঃ সামাহাত।
০৯৮. বিনম্র আচরণ, মহানুভবতা ও উদারতা অর্থে
আরবী কোন শব্দটি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ সামাহাত।
০৯৯. আল্লাহর জন্যই বন্ধুত্ব করে, আল্লাহর জন্যই শত্রুতা পোষণ
করে, আল্লাহর জন্যই দান করে এবং আল্লাহর জন্যই দান থেকে বিরত
থাকে-এমন ব্যক্তি কি দান করে?
উত্তরঃ নিজের ঈমানকে পূর্ণতা দান করে।
১০০. একমাত্র আল্লাহর দ্বীনের খাতিরে ও দ্বীনের মাপকাঠি
দিয়ে মেপেই কাউকে ভালোবাসে বা ঘৃণা করে। তার ভালোবাসা ও শত্রুতা, অনুরাগ ও বিরাগ, নিজের কোন ব্যক্তিগত ও পার্থিব স্বার্থ উদ্ধারের জন্য হয় না, বরং কেবলমাত্র আল্লাহ ও তার দ্বীনের জন্য হয়ে থাকে। এরকম অবস্থায় কেউ যখন
পৌঁছে যায়, তখন কি বুঝতে হবে?
উত্তরঃ বুঝবে তার ঈমান পূর্ণতা লাভ করেছে।
১০১. ঈমানের স্বাদ লাভ করে কে খুশী ও পরিতৃপ্ত হয়?
উত্তরঃ যে আল্লাহকে নিজের একমাত্র প্রভু হিসাবে, ইসলামকে
নিজের একমাত্র জীবন বিধান হিসাবে ও মুহাম্মাদ (সা) কে নিজের রাসূল হিসাবে মেনে
নিয়ে খুশী ও পরিতৃপ্ত হয়।
১০২. শ্রেষ্ঠ বাণী ও শ্রেষ্ঠ আদর্শ কি?
উত্তরঃ আল্লাহর কিতাবই শ্রেষ্ঠ বাণী এবং মুহাম্মদ (সা) এর আদর্শই
শ্রেষ্ঠ আদর্শ।
১০৩. রাসূল সা. আনাস রা.কে একটি নসিহত প্রদান করার পর
বলেছেনঃ এটাই আমার সুন্নাত বা নীতি। সুন্নাত বা নীতির সংক্রান্ত সেই নসিহত কি?
উত্তরঃ তুমি যদি এভাবে জীবন যাপন করতে পার যে, তোমার
মনে কারো বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও অশুভ কামনা নেই,
তাহলে
তাই কর।
১০৪. যে ব্যক্তি আমার নীতিকে ভালোবাসে, নিঃসন্দেহে সে আমাকে
ভালোবাসে। আর যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসে, সে আমার সাথে
জান্নাতে থাকবে। নীতিটা কি?
উত্তরঃ তুমি যদি এভাবে জীবন যাপন করতে পার যে, তোমার
মনে কারো বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও অশুভ কামনা নেই,
তাহলে
তাই কর।
১০৫.
ইহুদী
ও খৃষ্টানরা যে গোমরাহীতে লিপ্ত হয়েছে, তোমারাও সেই গোমারাহীতে লিপ্ত হতে চাও নাকি?
তারা কি গোমরাহীতে লিপ্ত?
উত্তরঃ ইহুদী খৃষ্টানরা তাদের কাছে অবতীর্ণ ধর্মগ্রন্থ তাওরাত ও
ইঞ্জিলকে বিকৃত করে ফেলেছিল।
১০৬.
রাসূলুল্লাহ
(সা) বললেনঃ ইহুদী ও খৃষ্টানরা যে গোমরাহীতে লিপ্ত হয়েছে, তোমারাও সেই গোমারাহীতে
লিপ্ত হতে চাও নাকি? রাসূল সা. এই কথা
কাকে উদ্দেশ্য করে কি জন্য বলেছিলেন?
উত্তরঃ হযরত উমর রা.কে উদ্দেশ্য করে। যখন তিনি
ইহুদীদের কিছু ভাললাগা কথা লিখে রাখার অনুমতি চাইলেন।
১০৭. তিনি যদি আজ বেঁচে থাকতেন, তবে তিনিও আমার এই বিধান অনুসরণ না করে পারতেন না। এখানে কার কথা বলা
হয়েছে?
উত্তরঃ হযরত মূসা আ.
এর কথা।
১০৮. কোন ব্যক্তি কতক্ষণ অবধি কাংখিত মানে
উত্তীর্ণ মুমিন হতে পারবে না?
উত্তরঃ যতক্ষণ না তার ইচ্ছা ও মনে ঝোঁক
আনীত বিধান তথা কুরআনের অনুসারী না হয়।
১০৯. রাসূল সা. এর বক্তব্য
ততক্ষণ মুমনি হওয়া যাবেনা, যতক্ষণ না তিনি প্রিয় না হবেন
আমাদের কাছে তিন শ্রেণীর প্রিয় বস্তুর চেয়ে-তা কি কি?
উত্তরঃ ১. বাবা।
২. সন্তান। ৩. অন্য
সকল মানুষ।
১১০. সাহাবায়ে কিরাম কিসের দ্বারা অনুপ্রাণিত
হয়ে রাসূল সা. এর অজুর পানি হাতে নিয়ে নিজেদের মুখমন্ডলে
মাখাতে লাগলেন?
উত্তরঃ আল্লাহ ও তার রাসূলের ভালবাসায়।
১১১. যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসূলকে ভালবাসে অথবা
আল্লাহ ও রাসূলের ভালবাসা পেয়ে আনন্দ ও তৃপ্তি লাভ করতে চায়, তার কি করা উচিত?
উত্তরঃ যখন কথা বলবে সত্য বলবে,
যখন
তার কাছে আমানত রাখা হবে, তখন আমানত হিসাবে রক্ষিত
জিনিস অক্ষতভাবে মালিককে ফিরিয়ে দেবে এবং প্রতিবেশীদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে।
১১২. যে ব্যক্তি রাসূল সা.কে
ভালবাসে, তার কাছে কোন বস্তু স্রোতের পানির চেয়েও দ্রুতবেগে
আসে?
উত্তরঃ অভাব ও ক্ষুধা।
১১৩. সবচেয়ে দুঃসহ আঘাত কোন আঘাত?
উত্তরঃ অর্থনৈতিক আঘাত।
১১৪. হযরত ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা অনুযায়ী কে দুনিয়াতেও গোমরাহ হবেনা, আখেরাতেও
বঞ্চনার শিকার হবে না?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের অনুসরণ
করবে।
১১৫. যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাবের অনুসরণ করবে,
তার দুইটি ফায়দা। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. সে
দুনিয়াতে গোমরাহ হবেনা। ২. সে আখেরাতে বঞ্চনার
শিকার হবে না।
১১৬. পবিত্র কুরআনে পাঁচটি জিনিস আছে। তা কি কি?
উত্তরঃ হালাল, হারাম, মুহকা, মুতাশাবিহ
ও উদাহরণ।
১১৭. আল্লাহ তায়ালা কিছু কাজ ফরজ করেছেন,
কিছু কাজ হারাম করেছেন, কিছু সীমা নির্ধারণ
করেছেন, কিছু জিনিস সম্পর্কে ইচ্ছাকৃত ভাবি নিরবতা অবলম্বন
করেছেন। এই জিনিস গুলো সম্পর্কে রাসূল সা. এর নসিহত কি?
উত্তরঃ ফরযঃ নষ্ট করো না। হারামঃ লঙ্ঘন
করো না। সীমাঃ অতিক্রম করো না। ইচ্ছাকৃতভাবে নিরবতাঃ সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করো
না।
১১৮. পূর্ব নির্ধারিত ব্যবস্থার নাম কি?
উত্তরঃ তাকদীর বা অদৃষ্ট।
১১৯. সমগ্র মানব জাতিও যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে যদি কারো কোন উপকার
করতে চায়,
তবে কতটুকু উপকার করতে পারবে?
উত্তরঃ যতটুকু আল্লাহ তোমার ভাগ্য লিপিতে লিখে
রেখেছেন।
১২০. যে ব্যক্তি কেয়ামতকে চাক্ষুষ ঘটনার আকারে দেখতে
অভিলাষী,
তাকে কোন তিনটি সূরা পড়তে হবে?
উত্তরঃ সূরা তাকভীর, ইনফিতার
ও ইনশিকাক।
১২১. পৃথিবী কেয়ামতের দিন কি সাক্ষ্য দিবে?
উত্তরঃ অমুক নারী বা পুরুষ অমুক দিন অমুক সময়ে তার
পিঠের ওপর অমুক ভালো বা মন্দ কাজ করেছে।
১২২. “তোমাদের মধ্য থেকে প্রত্যেক ব্যক্তির সংগে আল্লাহ
সরাসরি কথা বলবেন” এখানে সরাসরি কথা বলবেন মানে কি?
উত্তরঃ হিসাব নেবেন।
১২৩. কিয়ামতের দিন যে লোক বলবেঃ হে আমার প্রতিপালক, আমি তোমার ওপর, তোমার কিতাবের ওপর এবং তোমার রসূলগণের ওপর ঈমান এনেছিলাম। আমি নামায
পড়তাম, রোযা রাখতাম এবং তোমার পথে সম্পদ ব্যয় করতাম-এমন
লোকের বিরুদ্ধে সাক্ষী কে কে হবে?
উত্তরঃ তার উরু, গোশত ও হাড্ডিগুলো।
১২৪. সহজ হিসাব নেয়ার অর্থ কি? হযরত আয়েশা রা. এর এমন প্রশ্নের জবাবে রাসূল সা. কি বলেছেন?
উত্তরঃ সহজ হিসাব এই যে,
আল্লাহ
তার বান্দার আমলনামার ওপর নযর বুলাবেন এবং তার মন্দ কাজগুলোকে ক্ষমা করবেন।
১২৫. এমন সব নেয়ামত, যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কান শোনেনি এবং কোন মানুষের হৃদয় কল্পনাও করতে পারেনি। এই নিয়ামত
কাদের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে?
উত্তরঃ সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও পুণ্যবান
বান্দাদের জন্য।
১২৬. জান্নাতে একটা ছড়ি রাখবার মত জায়গাও সমগ্র পৃথিবী ও
পৃথিবীর যাবতীয় সহায় সম্পদের চেয়ে উত্তম। এখানে ছড়ি বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ অতিক্ষুদ্র জায়গা বুঝানো হয়েছে।
১২৭. জান্নাত ও জাহান্নামকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে কোন
কোন বস্তু?
উত্তরঃ জান্নাতকে অনাকাংখিত দুঃখ কষ্ট আর জাহান্নামকে প্রবৃত্তির
লালসা।
১২৮. কোন ভয়ংকর জিনিস দেখার পর মানুষের চোখে ঘুম থাকে
না।অনুরূপ যখন মানুষ কোন ভালো জিনিসের অভিলাষী হয়, তখন তা অর্জন না করা পর্যন্ত
সে ঘুমায় না। কিন্তু কোন কোন এমন জিনিস যা ভয়ংকর বা অভিলাষী-এরপরও মানুষ
ঘুমায়?
উত্তরঃ জাহান্নাম ও জান্নাত।
১২৯. কোন ধরণের লোক, যাদেরকে রাসূল সা. তাদেরকে নিজে উম্মত
বলে চিনবেন। কিন্তু তবুও তাদেরকে হাউজে কাউসারের কাছে আসতে দেয়া হবে না?
উত্তরঃ যারা রাসূল সা. এর ইনতিকালের পর ইসলঅমে নতুন জিনিস বা
বিদায়াত ঢুকিয়েছে।
১৩০. কিয়ামতের দিন রাসূল সা. এর শাফায়াত বা সুপারিশ লাভের
সৌভাগ্য সর্বাধিখ অর্জন করবে কোন ব্যক্তি?
উত্তরঃ যে অন্তরের পরিপূর্ণ নিষ্ঠা ও একাগ্রতা সহকারে বলবেঃ আল্লাহ
ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই।
১৩১. যে ব্যক্তি তাওহীদকে গ্রহণ করেনি, ইসলামকে কবুল করেনি এবং
শেরকের নোংরামিতে পড়েই রয়েছে। সে কি লাভ করবে না?
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহর (সা) শাফায়াত লাভ করবে না।
১৩২. যে ব্যক্তি সঠিকভাবে নিজের নামাযের তত্ত্বাবধান করবে,
তার জন্য নামায কি কাজে আসবে?
উত্তরঃ তার জন্য কেয়ামতের দিন নামায আলো ও দলীল প্রমাণে পরিণত হবে
এবং মুক্তির কারণ হবে।
১৩৩. মোহাফাযাত শব্দের অর্থ কি কি?
উত্তরঃ তদারকী, তত্ত্বাবধান, লক্ষ্য
রাখা ও দেখাশুনা করা।
১৩৪. বসে বসে সূর্যর গতিবিধি দেখতে থাকে। অবশেষে যখন সূর্য
হলুদ বর্ণ ধারণ করে এবং মোশরেকদের সূর্য পূজার সময় সমাগত হয়। তখন সে ধড়মড় করে ওঠে
এবং পড়িমরি করে চার রাকায়াতের বারটা ঠোকর মারে-এই ধরণের নামায কাদের নামায?
উত্তরঃ মোনাফেকের নামায।
১৩৫. মোনাফেক যথাসময়ে নামায পড়েনা। রুকু সিজদা যথাযথভাবে
করে না এবং তার মন আল্লাহর প্রতি নিবিষ্ট থাকে না। পক্ষান্তরে মুমিনের নামায
কিভাবে হয়?
উত্তরঃ মুমিন সময়মত নামায পড়ে,
রুকু
সিজদা ঠিকমত করে এবং তার মন আল্লাহর প্রতি নিবিষ্ট থাকে।
১৩৬. সাধারণভাবে সব নামাযই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দুই ওয়াক্ত
নামাযের গুরুত্ব একটু বেশী। কোন দুই ওয়াক্ত?
উত্তরঃ ফজর ও আসর।
১৩৭. ফেরেশতারা কোন কোন সময়ে তাদের দায়িত্বের পালা বদল
করেন?
উত্তরঃ ফজর ও আসর নামাযে।
১৩৮. “তোমাদের যাবতীয় কাজের মধ্যে আমার কাছে
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে নামায” এই কথাটি কে কাকে
লিখেছিলেন?
উত্তরঃ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব রা. সকল
প্রাদেশিক গভর্নরদেরকে।
১৩৯. কোন ব্যক্তি গোটা দ্বীনের রক্ষণাবেক্ষণ
করতে পারবে?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি নিজের নামাযের রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
১৪০. যেদিন আল্লাহর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবেনা, সেদিন আল্লাহ তায়ালা সাত
ধরনের মানুষকে নিজের ছায়ায় নীচে স্থান দেবেন। তা কি কি?
উত্তরঃ (১) ন্যায় বিচারক নেতা ও শাসক (২) যে যুবকের যৌবনকাল
আল্লাহর এবাদত ও হুকুম পালনে অতিবাহিত হয় (৩) যে ব্যক্তির মন মসজিদের সাথে ঝুলন্ত
থাকে। একবার মসজিদ থেকে বের হলে আবার মসজিদে প্রবেশ করার সময়ের অপেক্ষায় থাকে। (৪)
যে দুই ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ ও আল্লাহর দ্বীনের ভিত্তিতে বন্ধুত্ব করে, এই
প্রেরণা নিয়েই একত্রিত হয় এবং এই প্রেরণা নিয়েই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। (৫) যে
ব্যক্তি নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং অশ্রু বিসর্জন করে। (৬) যে ব্যক্তিকে কোন
সম্ভ্রান্ত পরিবারের পরমা সুন্দরী মহিলা ব্যভিচারের আহবান জানায় এবং সে শুধু
আল্লাহর ভয়ে সেই আহবানকে প্রত্যাখ্যান করে। (৭) যে ব্যক্তি এত গোপনে দান করে যে, তার
বাম হাতও জানেনা ডান হাত কি দান করছে।
১৪১. তিন ধরণের ইবাদত শিরক। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. লোক দেখারেনার উদ্দেশ্যে নামায। ২. লোক দেখানোর
উদ্দেশ্যে রোযা। ৩. লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে দান।
১৪২. একাকী নামাযের চেয়ে জামায়াতে নামাযের কতগুণ বেশী
মর্যাদা?
উত্তরঃ সাতাইশ গুণ।
১৪৩. ফায শব্দের অর্থ কি কি?
উত্তরঃ একাকী, বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থানকারী।
১৪৪. রাসূলুল্লাহ (সা) এই মানসিক রোগের চিকিৎসার্থে কি আদেশ
দিয়েছেন?
উত্তরঃ তোমরা জামায়াতের সাথে নামায পড়, নিজের
ঘরে বা মসজিদে একা একা নামায পড়েনা।
১৪৫. কোন গ্রাম বা জনপদের অধিবাসীদের উপর শয়তান বিজয়ী হয়?
উত্তরঃ যে জনপদে বা গ্রামে তিনজন মুসলমান বাস করে অথচ তারা
জামায়াতের সাথে নামায পড়ে না।
১৪৬. যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আযান শুনলো এবং তার এমন কোন
ওজর নেই,
যা তাকে তৎক্ষণাৎ আযানের ডাকে সাড়া দিতে বাধা দেয়, সে ব্যক্তি যদি একাকী নামায পড়ে তবে সে নামায কুবল হবে না। এখানে ওজর বলতে
কোন কোন বিষয়কে বুঝাবে?
উত্তরঃ ভয় অথবা রোগ।
১৪৭. সুন্নাতুল হুদা অর্থ কি?
উত্তরঃ বিধিবদ্ধ সুন্নাত।
১৪৮. সুন্নাতুল হুদা বা বিধিবদ্ধ সুন্নাত কাকে
বলে?
উত্তরঃ সুন্নাতুল হুদা বা বিধিবদ্ধ সুন্নাত বলা হয় আইনগত মর্যাদার
অধিকারী সুন্নাতকে। যা করার জন্য উম্মাতকে আদেশ দেয়া হয়েছে।
১৪৯. যে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন অনুগত ও ফরমাবরদার বান্দা
হিসাবে আল্লাহর সাথে মিলিত হতে চায়, তার জন্য করণীয় কি?
উত্তরঃ সে যেন এই পাঁচ ওয়াক্ত নামায সেই মসজিদে গিয়ে জামায়াতের
সাথে আদায় করে, যেখান থেকে আযান দেয়া হয়।
১৫০. হে আল্লাহ, ইমামদেরকে সৎ বানাও এবং মুয়াজ্জিনদেরকে
ক্ষমা কর-রাসূল সা. ইমাম আর মুয়াজ্জিনের পদবী উল্লেখ করে এই দোয়া করেছেন। তাহলে
রাসূল সা.এর বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম ও মুয়াজ্জিনের পদবীটা কি?
উত্তরঃ ইমাম জিম্মাদার আর মুয়াজ্জিন আমানতদার।
১৫১. ইমামকে জিম্মাদার বলার তাৎপর্য কি?
উত্তরঃ ইমাম জনগণের নামাযের জন্য দায়ী। সে যদি সৎ ও ন্যায়পরায়ণ না
হয়, তাহলে সবার নামায নষ্ট করে দেবে।
১৫২. মুয়াজ্জিনের আমানতদার হবার তাৎপর্য কি?
উত্তরঃ লোকেরা তাদের নামাযের বিষয়টা তার হাতে সমর্পণ করেছে। তার
দায়িত্ব সময় মত আযান দেয়া, যাতে লোকেরা আযান শুনে
নামাযের প্রস্তুতি নিতে পারে এবং ধীরে সুস্থে জামায়াতে শরীক হতে পারে। সময় মত আযান
দেয়া না হলে আশংকা থাকে যে, বহু লোক জামায়াত থেকে হয়
বঞ্চিতই হয়ে যাবে, নতুবা দুই এক রাকায়াত ছুটে
যাবে।
১৫৩. যখন কেউ ইমামতি করবে, তখন সে যেন হালকা নামায পড়াবে। কিন্তু কেন?
উত্তরঃ কারণ ইমামের পেছনে দুর্বল, রোগী
ও বৃদ্ধ নামাযী থাকতে পারে।
১৫৪. “তোমাদের মধ্যে কিছু ইমাম এমন আছে যারা আল্লাহর
বান্দাদেরকে আল্লাহর এবাদতের প্রতি বিরক্ত ও তা থেকে দূরে সরিয়ে দেয়” কি কারণে
আল্লাহর বান্দারা আল্লাহর ইবাদতের প্রতি বিরক্ত হয়?
উত্তরঃ ইমামরা নামায লম্বা করার কারণে।
১৫৫. তিন ধরণের মানুষ ইমামের পিছনে থাকতে পারে। তাই ইমামদের
জন্য নামায সংক্ষিত করতে রাসূল সা. নির্দেশ দিয়েছেন। এই তিন ধরণের মানুষ কারা?
উত্তরঃ ১. বৃদ্ধ। ২. বালক। ৩. কর্মস্থলে যাওয়ার তাড়া আছে এমন লোক।
১৫৬. নামায সংক্ষিপ্ত করার জন্য হযরত মুয়ায রা.কে রাসূল সা.
নামাযে কোন কোন সূরা পড়ার নির্দেশ দিলেন?
উত্তরঃ ওয়াশ শামছি ওয়া দুহাহা,
ওয়াল
লাইলি ইযা ইয়াগশা এবং ছাব্বি হিসমা রব্বিকাল আলা।
১৫৭. উম্মাতের উপর ফেতরা ধার্য করার উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ রোযা রাখা অবস্থায় যেসব বেহুদা ও অশালীন কার্যকলাপ
রোজাদারের দ্বারা সংঘটিত হয়, তার কাফফারা হয়ে যায় এবং
দরিদ্রের খানাপিনার ব্যবস্থাও হয়ে যায়।
১৫৮. যে সব জমিতে সেচ প্রদানের প্রয়োজন হয়না, সেই জমিতে
উৎপন্ন ফসলের যাকাতের পরিমাণ কি?
উত্তরঃ দশভাগের এক ভাগ।
১৫৯. যে সব ভূমিতে সেচ দিতে হয়, সে সব জমিতে উৎপন্ন ফসলের
যাকাতের পরিমাণ কি?
উত্তরঃ বিশ ভাগের এক ভাগ।
১৬০. ধৈর্য সহিঞ্চুতার প্রতিদান কি?
উত্তরঃ বেহেশত।
১৬১. সমাজের দরিদ্র ও অভাব অনটনে জর্জরিত লোকদের প্রতি
সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস কোনটি?
উত্তরঃ মাহে রামাদ্বান।
১৬২. সহানুভূতির মাস এর মর্মার্থ কি?
উত্তরঃ যে সব রোযাদারকে আল্লাহ তায়ালা সচ্ছল বানিয়েছেন, তাদের
উচিত স্থানীয় দরিদ্র ও অভাবী লোকদেরকে আল্লাহর দেয়া নেয়ামতের অংশীদার করা এবং
তাদের জন্য সাহরী ও ইফতারের ব্যবস্থা করা।
১৬৩. মুয়াসাত শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ আর্থিক সহানুভূতি প্রকাশ করা।
১৬৪. কিভাবে রোযা রাখলে অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ
করে দেয়া হবে?
উত্তরঃ ঈমানদার সুলভ মানসিকতা সহকারে এবং পরকালের পুরস্কার লাভের
আশা আকাংখা নিয়ে।
১৬৫. রোযা রাখা অবস্থায় যদি কেউ রোযাদারকে গালি গালাজ করে
বিংবা তার সাথে মারামারি করতে উদ্যত হলে রোযাদারের কি চিন্তা ও স্মরণ করা উচিত?
উত্তরঃ আমি তো রোজাদার।
১৬৬. রোযা বান্দার পক্ষে সুপারিশ করতে গিয়ে কি বলবে?
উত্তরঃ হে আমার মনিব,
এই
ব্যক্তিকে আমি দিনের বেলায় খাওয়া দাওয়া ও অন্যান্য লালসা চরিতার্থ করা থেকে বিরত
রেখেছি এবং সে বিরত থেকেছে।
১৬৭. কুরআন বান্দার পক্ষে সুপারিশ করতে গিয়ে কি বলবে?
উত্তরঃ আমি এই ব্যক্তিকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি এবং সে মজার
ঘুম ছেড়ে নামাযে কোরআন পড়েছে।
১৬৮. কার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি রোযা রাখা সত্ত্বেও মিথ্যা বলা ও মিথ্যা অনুযায়ী
আমল করা ত্যাগ করেনি, তার পানাহার ত্যাগে
আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।
১৬৯. রোযা ফরয করা দ্বারা আল্লাহর উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ মানুষকে সৎ বানানো।
১৭০. মানুষ নিজের পরিবার পরিজন, ধন সম্পদ ও পাড়া প্রতিবেশীর
ব্যাপারে যে ভুলত্রুটি করে, কিসের মাধ্যমে তার কাফফারা হয়ে
যায়?
উত্তরঃ নামা, রোযা ও যাকাতের মাধ্যমে।
১৭১. রোযার লক্ষণ পরিদৃষ্ট না হওয়ার জন্য কি করা
উচিত?
উত্তরঃ তেল লাগানো উচিত।
১৭২. কোন কাজ মুসলমানরা যতদিন করবে, ততদিন মুসলমানরা ভাল থাকবে?
উত্তরঃ তাড়াতাড়ি ইফতার।
১৭৩. ইহুদীরা কখন ইফতার করে?
উত্তরঃ অন্ধকারে চারিদিক আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ার পর।
১৭৪. হযরত সালমান রা. কিছু নসিহত করলেন হযরত আবু
দারদা রা.কে-যা পরে রাসূল সা. এর কাছে বললে রাসূল সা. বললেনঃ সালমান সঠিক কথাই
বলেছেন। সালমানের নসিহত কি ছিল?
উত্তরঃ জান তোমার কাছে তোমার প্রতিপালকেরও প্রাপ্য আছে, আবার তোমার নিজেরও প্রাপ্য
আছে এবং তোমার স্ত্রীরও প্রাপ্য আছে। অতএব সকলের প্রাপ্য পরিশোধ কর।
১৭৫. হযরত সালমান ও আবু দারদা রা. পরস্পরে কি
সম্পর্ক ছিল?
উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (সা) সালমান ও আবু দারদা (রা) এর মধ্যে
ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৭৬. রাসূল সা. কয়দিন এবং কোন দিন গুলোতে
ইতিকাফ করতেন?
উত্তরঃ রামাদ্বানের শেষ দশ দিন।
১৭৭. আল্লাহর পথে জিহাদের পর সর্বোত্তম ইবাদত
কোনটি?
উত্তরঃ হজ্জ।
১৭৮. তিনটি কারণে আল্লাহর রাসূল সা. দ্রুত হজ্জ সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. সে রোগাক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। ২. তার উট হারিয়ে যেতে
পারে। ৩. এমন কোন কাজের প্রয়োজন পড়তে পারে যা হজ্জ করতে যাওয়াকে অসম্ভব করে তুলবে।
১৭৯. জিযিয়া কি?
উত্তরঃ অমুসলিম নাগরিকদের জান মালের নিরাপত্তা বাবদ আদায়যোগ্য করকে
জিযিয়া বলা হয়।
১৮০. যারা হজ্জ করার সামর্থ তাকা সত্ত্বেও হজ্জ
করেনি, তাদের ব্যাপারে হযরত উমর রা. কি করতে চেয়েছিলেন?
উত্তরঃ জিযিয়া আরোপ করতে চেয়েছিলেন।
১৮১. সবচেয়ে উত্তম জীবিকা কোনটি?
উত্তরঃ নিজের হাতে উপার্জিত জীবিকা।
১৮২. এমন একটি নির্দেশ, যা আল্লাহ তায়ালা
রাসূলদেরকে দিয়েছেন এবং মুমিনদেরকেও অবিকল সেই নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশটি কি?
উত্তরঃ তোমরা পবিত্র জীবিকা ভোগ কর ও সৎকাজ কর।
১৮৩. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বর্ণিত
হাদীস অনুসারে হারাম সম্পদ উপার্জনের ৩টি পরিণতি কি কি?
উত্তরঃ ১. সেই সম্পদ ছদকা করলে, সে ছদকা গ্রহণ করা হবে না। ২.
নিজের ও পরিবারের জন্য ব্যয় করলৈ বরকত থাকবে না। ৩. হারাম সম্পদ রেখে মারা গেলে তা
জাহান্নামের সফরে পাথেয় হবে।
১৮৪. একজন চিত্রশিল্পীকে ইবনে আব্বাস রা. বলেন,
আমি তোমাকে শুধু সেই কথাই বলছি, যা রাসূল সা. এর কাছ থেকে শুনেছি। কি সেই কথা?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি কোন ছবি নির্মাণ করবে, সে যতক্ষণ তাতে প্রাণ সঞ্চার
না করবে ততক্ষণ আল্লাহ তায়ালা তাকে শাস্তি দেবেন। অথচ সে কখনো প্রাণ সঞ্চার করতে
পারবে না।
১৮৫. তুমি যদি চিত্র শিল্পের কাজ করতেই চাও তবে
গাছ ও যাবতীয় নিষ্প্রাণ বস্তুর ছবি নির্মাণ কর। এটি কার উক্তি?
উত্তরঃ ইবনে আব্বাস রা. এর উক্তি।
১৮৬. কোন উপার্জন সর্বাধিক পবিত্র?
উত্তরঃ মানুষের নিজ হাতের কাজ এবং যে ব্যবসায় মিথ্যাচার বেঈমানী
থেকে মুক্ত।
১৮৭. কোন ব্যক্তির প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত
বর্ষণের জন্য রাসূল সা. দোয়া করেছেন?
উত্তরঃ যে ক্রয়ে বিক্রয়ে ও নিজের দেয়া ঋণ আদায়ে নমনীয় ও উদার আচরণ
করে।
১৮৮. কিয়ামতের দিন নবীগন, সিদ্দীকগন
ও শহীদগনের সাথে থাকবে কে?
উত্তরঃ সত্যবাদিতা, সততার সাথে লেনদেনকারী আমানতদার ব্যবসায়ী।
১৮৯. ব্যবসায় দৃশ্যত একটা দুনিয়াদার সুলভ কাজ।
কিন্তু কখন তা ইবাদতে পরিণত হয়?
উত্তরঃ যখন ব্যবসা সততা ও সত্যবাদিতার সাথে করা হয়।
১৯০. সিদ্দিক কাকে বলে?
উত্তরঃ সিদ্দিক সেই মুমিনকে বলা হয় যার জীবন সততা ও সত্যবাদিতার
মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয় এবং যে আল্লাহ তায়ালা ও রাসূলুল্লাহ (সা) এর সাথে কৃত ওয়াদা
ও অঙ্গীকার সমগ্র জীবন ব্যাপী পালন করে এবং যার জীবনে কথা ও কাজে অমিল ও বৈসাদৃশ্য
পরিলক্ষিত হয় না।
১৯১. সকল ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন পাপী ও বদকার
হিসাবে উত্থিত হবে। তিন গুণের অধিকারী ব্যবসায়ী ছাড়া। গুণ তিনটি কি কি?
উত্তরঃ ১. তাকওয়া। ২. সততা। ৩. সত্যবাদীতা।
১৯২. পণ্য বিক্রয়ে বেশী কসম খাওয়াতে ব্যবসায়ে উন্নতি হয়
বটে। কিন্তু কি নষ্ট হয়ে যায়?
উত্তরঃ বরকত।
১৯৩. তিন ব্যক্তির সাথে আল্লাহ কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না।
তারা কারা?
উত্তরঃ ১. যে ব্যক্তি অহংকার ও দাম্ভিকতা বশত টাখনুর নীচে কাপড়
পরিধান করে।
২. যে ব্যক্তি কারো উপকার করে
খোটা দেয়। ৩. যে ব্যক্তি মিথ্যে কসম খেয়ে নিজের বাণিজ্যিক পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি
করে।
১৯৪. যে ব্যক্তি অহংকার ও দাম্ভিকতা বশত টাখনুর নীচে কাপড়
পরিধান করে,
যে ব্যক্তি কারো উপকার করে খোটা দেয় এবং যে ব্যক্তি মিথ্যে কসম খেয়ে
নিজের বাণিজ্যিক পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি করে। তাদের সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কি আচরণ করবেন?
উত্তরঃ আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং
তাদেরকে পাক পবিত্র করে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন না। উপরন্তু তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক
শাস্তি দেবেন।
১৯৫. কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা কথা না বলা বা না তাকানোর
অর্থ কি?
উত্তরঃ আল্লাহ তার ওপর রুষ্ট ও অসন্তুষ্ট হবেন এবং তার সাথে স্নেহ
ও মমতার সাথে আচরণ করবেন না।
১৯৬. পরিধেয় পোশাককে টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে রাখার বিরুদ্ধে
উচ্চারিত হুমকি কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
উত্তরঃ যে অহংকার দাম্ভিকতার বশে এটা করে।
১৯৭. সামাসিরা মানে কি?
উত্তরঃ দালাল বা ফড়িয়া।
১৯৮. ইহতিকার শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ মুজদদারী।
১৯৯. জনগণের প্রয়োজনীয় জিনিস আটকে রাখা, বাজারে না আনা, কবে অনেক দাম বাড়বে তার অপেক্ষা করা, দাম বেড়ে যাওয়া
মাত্রই পণ্য বাজারজাত করা এবং প্রচুর পরিমাণে মুনাফা অর্জন করা। এই কাজটাকে কি
বলে?
উত্তরঃ মজুদদারী।
২০০. যে ব্যক্তি মজুদদারীতে লিপ্ত, সে কি?
উত্তরঃ অভিশপ্ত।
২০১. রাসূল সা. এর বক্তব্য অনুযায়ী যে ব্যক্তি সমাজকে
ধোঁকা দেয়, সে কি নয়?
উত্তরঃ সে আমাদের দলভূক্ত নয়।
২০২. আল্লাহ তায়ালা কেয়ামতের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করলে যার
আনন্দ লাগে,
তাকে কি করতে হবে?
উত্তরঃ সে যেন দরিদ্র ঋণগ্রস্ত ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে
দেয় অথবা তার ওপর থেকে ঋণের বোঝা একেবারেই নামিয়ে দেয় তথা মাফ করে দেয়।
২০৩. যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে শহীদ হয়েছে তার সকল গুনাহ মাফ
হবে। কিন্তু কি মাফ হবে না?
উত্তরঃ ঋণ।
২০৪. ধনী ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির ঋণ পরিশোধের তালবাহানা করা কি?
উত্তরঃ যুলুম।
২০৫. যে ব্যক্তি ঋণ পরিশোধে সক্ষম সত্ত্বেও তালবাহানা ও
গড়িমসি করে,
তার শাস্তি কি?
উত্তরঃ তার অপমানিত হওয়া ও শাস্তি পাওয়া বৈধ হয়ে যায়।
২০৬. কেয়ামতের দিন সাতটা পৃথিবী কার ঘাড়ে ঝুলিয়ে দেয়া হবে?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি কারো এক বিঘত পরিমাণ ভূমিও অত্যাচার ও বল
প্রয়োগের মাধ্যমে দখল ও আত্নসাত করবে।
২০৭. যে ব্যক্তি তোমার সাথে খেয়ানত ও বিশ্বাস ঘাতকতা করবে, তার সাথে তোমার আচরণ কি হবে?
উত্তরঃ তুমি তার সাথে খেয়ানত ও বিশ্বাস ঘাতকতা করবে না।
২০৮. যে মুসলমান কৃষি কাজ করে, গাছের চারা লাগায় এবং তা
থেকে ফলমুল ও চারা পাখী, মানুষ বা অন্য কোন প্রাণী খেয়ে ফেলে,
তার পরিণতি কি?
উত্তরঃ তা তার জন্য সদকায় পরিণত হবে।
২০৯. শ্রমিকের মজুরী কখন দিতে হবে?
উত্তরঃ তার ঘাম শুকানোর আগে।
২১০. আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে
বাদী হবেন। তারা কারা?
উত্তরঃ ১. যে ব্যক্তি আল্লাহ নাম নিয়ে কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হয় এবং
তারপর তা ভঙ্গ করে। ২. যে ব্যক্তি কোন সম্ভ্রান্ত ও স্বাধীন ব্যক্তিকে (অপহরণ করে)
বিক্রি করে দেয় এবং তার পণ্যের অর্থ আত্নসাত করে। ৩. যে ব্যক্তি কোন শ্রমিককে
নিয়োগ করলো,
তার কাছ থেকে পুরো কাজ আদায় করলো, অতঃপর কাজ
আদায় করার পর তাকে মজুরী দিল না।
২১১. একাধারে ষাট বছর ইবাদত করার পরও জাহান্নাম অবধারিত কার
জন্য?
উত্তরঃ যদি মৃত্যুর সময়ে এমন ওসিয়ত করে যাতে উত্তরাধিকারীদের ক্ষতি
হয়।
২১২. আল্লাহ তায়ালা কাকে জান্নাতের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত
করবেন?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি তার উত্তরাধিকারীকে প্রাপ্য অংশ থেকে বঞ্চিত
করবে।
২১৩. মৃত ব্যক্তি মৃত্যুর আগে নিজের সম্পত্তির কতটুক অসিয়ত
করতে পারে?
উত্তরঃ এক তৃতীয়াংশ।
২১৪. সূদ সংক্রান্ত বিষয়ে আল্লাহর রাসূল সা. কাকে কাকে
অভিসম্পাত করেছেন?
উত্তরঃ যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, যে দুই ব্যক্তি সুদের সাক্ষী হয়
এবং যে ব্যক্তি সূদ সংক্রান্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ করে।
২১৫. ঘুষখোর ও ঘুষদাতার উভয়ের জন্য কি পরিণতি?
উত্তরঃ আল্লাহর অভিশাপ।
২১৬. রাসূল সা. বলেছেন, হালাল সুস্পষ্ট এবং হারাম সুস্পষ্ট।
দুয়ের মাঝখানে কিছু জিনিস রয়েছে। জিনিসটা কি?
উত্তরঃ সন্দেহ জনক।
২১৭. কোন ব্যক্তি কেবল কখন মুত্তাকী বা আল্লাহভীরু গণ্য হতে
পারে?
উত্তরঃ যখন গুনাহে লিপ্ত হওয়ার ভয়ে, যাতে গুনাহ নেই তাও বর্জন
করে।
২১৮. রাসূল সা. নির্দেশ দিয়েছেন, যাদের বিয়ের দায়দায়িত্ব
বহন করার সামর্থ আছে, তার বিয়ে করার উচিত। আর যার বিয়ের সামর্থ নাই, তাকে কি করতে
হবে?
উত্তরঃ মাঝে মাঝে রোযা রাখা উচিত।
২১৯. চারটি জিনিসের ভিত্তিকে কোন মেয়েকে বিয়ে করা হয়। তা কি
কি?
উত্তরঃ ১. মেয়ের ধনসম্পদের প্রাচুর্য। ২. তার বংশীয় সম্ভ্রান্ততা ও মর্যাদা। ৩. তার সৌন্দর্য। ৪. তার দ্বীনদারী।
২২০. একটা কালো বাদীও যদি দ্বীনদার হয়, তাহলে সে আল্লাহর চোখে কি?
উত্তরঃ আল্লাহর চোঁখে সুন্দরী সম্ভ্রান্ত অধার্মিক নারীর চেয়ে
উত্তম।
২২১. উম্মুল মুমিনিন উম্মে হাবীবার মোহার ছাড়া রাসূল সা. এর
বিয়ে সমূহে সর্বোচ্চ মোহর কত ছিল?
উত্তরঃ ১২ উকিয়া।
২২২. কোন জিনিস দুনিয়ায় সম্মান ও আভিজাত্যের উপকরণ হতো এবং
আল্লাহর দৃষ্টিতে কোন মুত্তাকী সুলভ কাজ নয়?
উত্তরঃ অত্যধিক পরিমাণে মোহর ধার্য্য করা।
২২৩. এক উকিয়া কতটুকু রূপার সমান?
উত্তরঃ সাড়ে ১০ তোলা রূপা।
২২৪. উম্মুল মুমিনীন উম্মে হাবীবার মোহরানা কে নির্ধারণ
করেন এবং কে পরিশাধ করেন?
উত্তরঃ বাদশাহ নাজ্জাশী।
২২৫. সর্বোত্তম মোহর কোনটি?
উত্তরঃ যে মোহর সবচেয়ে মামুলী তথা সবচেয়ে কম।
২২৬. কোন ধরণের ওয়ালীমা আল্লাহ ও রাসূলের নাফরমানী?
উত্তরঃ যে ওয়ালীমাতে কেবল ধনীদের দাওয়াত দেয়া হয়, যে ওয়ালীমাতে
গরীবদের উপক্ষা করা হয় এবং যে ব্যক্তি ওয়ালীমার দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করা হয়।
২২৭. ওয়ালীমার শরয়ী অবস্থান কি?
উত্তরঃ সুন্নাত।
২২৮. ফাসেক কোন ব্যক্তি?
উত্তরঃ যে আল্লাহ ও রাসূলের হুকুম ধৃষ্টতা ও ঔদ্ধত্যের সাথে
অগ্রাহ্য করে এবং হালাল ও হারাম মানে না।
২২৯. আল্লাহর রাসূল সা. কার দাওয়াত কবুল করতে নিষেধ করেছেন?
উত্তরঃ ফাসেক তথা আল্লাহর অবাধ্য লোকদের।
২৩০. তার মা কষ্টের ওপর কষ্ট সহ্য করে নয় মাস পর্যন্ত তাকে
নিজের পেটে বয়ে বেড়িয়েছেন। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা এই বর্ণনা প্রদানের আগে
মানুষকে কি আদেশ দিয়েছেন?
উত্তরঃ মা বাবার সাথে সদ্ব্যবহার করার আদেশ দিয়েছেন।
২৩১. সেই ব্যক্তি ধিকৃত, সেই ব্যক্তি ধিকৃত, সেই ব্যক্তি ধিকৃত-কে ধিকৃত?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি তার মা বাবাকে বা তাদের একজনকে বৃদ্ধাবস্থায় পেল, তারপরও (তাদের খেদমত করে)
জান্নাতে যেতে পারলো না।
২৩২. আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর চারটি কাজ হারাম করেছেন এবং
চারটি কাজকে গর্হিত কাজ গণ্য করেছেন। তা কি কি?
উত্তরঃ হারাম করেছেনঃ ১. মায়ের অবাধ্য হওয়া, ২. মেয়েদেরকে
জ্যান্ত কবর দেয়া, ৩. লোভ-লালসা ও ৪. কৃপণতা। আর গর্হিত কাজ গণ্য করেছেনঃ ১.
নিষ্প্রয়োজন কথা বলা, ২. বেশী প্রশ্ন
করা, ৩. সাহায্য চাওয়া এবং ৪. সম্পদ অপচয় করা।
২৩৩. মা বাবার ইনতিকালের পর তাদের প্রাপ্ত হক অনুযায়ী করণীয়
৫টি কাজ কি কি?
উত্তরঃ ১.
তাদের জন্য দোয়া করা। ২. তাদের জন্য ক্ষমা চাওয়া। ৩. তাদের শরীয়াত
সম্মত ওসিয়ত পুরণ করা। ৪. তাদের আত্নীয়তার বন্ধন বজায় রাখা। ৫. মা বাপের
বন্ধুবান্ধবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।
২৩৪. রাসূল সা. এর দুধ মায়ের জন্য রাসূল সা. নিজের চাদর বিছিয়ে
দিয়েছিলেন কোন স্থানে। তখন রাসূল সা. কি করছিলেন?
উত্তরঃ জিয়াররানা নামক স্থানে। তখন তিনি গোশত বন্টন করছিলেন।
২৩৫. কোন আত্নীয় সম্প্রীতি-পূর্ণ আচরণ করলে তার বদলায়
সম্প্রীতি-পূর্ণ আচরণকারী প্রকৃত আত্নীয় সমাদর-কারী নয়। তাহলে প্রকৃত সমাদর কি?
উত্তরঃ প্রকৃত সমাদর হলো, অন্য আত্মীয়স্বজন যখন আত্নীয়সুলভ আচরণ করবে
না, তখন তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা ও তাদের হক দেয়া।
২৩৬. স্বামীর নিকট স্ত্রীর হক বা অধিকার ৫টি কি কি?
উত্তরঃ ১. তার হক এই যে, তুমি যখন আহার করবে, তখন
তাকেও আহার করাবে। ২.
তুমি যখন পোশাক পরিধান করবে, তখন তাকেও পোশাক
দেবে।
৩. তার মুখে কখনো প্রহার করবে
না।
৪. তাকে কখনো বদদোয়া করবে না বা
অভিশাপ দেবে না। ৫. তার সাথে কখনো সাময়িক সম্পর্কচ্ছেদ করলে তাকে বাড়ীতে রেখেই
করবে।
২৩৭. স্বামীর নিকট স্ত্রীর হক “তুমি যখন আহার করবে, তখন
তাকেও আহার করাবে” মানে কি?
উত্তরঃ যে মানের খাদ্য তুমি আহার করবে, সেই মানের খাদ্য তাকেও আহার
করাবে।
২৩৮. স্বামীর নিকট স্ত্রীর হক “তুমি যখন পোশাক পরিধান করবে, তখন তাকেও পোশাক দেবে” মানে
কি?
উত্তরঃ যে মানের পোশাক তুমি পরবে, সেই মানের পোশাক তাকেও
পরাবে।
২৩৯. যে সব লোক তাদের স্ত্রীদের মারপিট করে, তারা কি নয়?
উত্তরঃ সর্বোত্তম মানুষ নয়।
২৪০. কোন ব্যক্তি যখন নিজ পরিবারে পেছনে অর্থ ব্যয় করে, তখন তা সদকায় পরিণত হয় কখন?
উত্তরঃ যখন পরকালে সওয়াব পাওয়া যাবে এই নিয়তে খরচ করা হবে।
২৪১. কারা কিয়ামতের দিন তাদের অর্ধেক দেহ ফেলে রেখে আসবে?
উত্তরঃ যাদের দুইজন স্ত্রী রয়েছে এবং তাদের সাথে সুবিচার করবেনা।
২৪২. একজন নারী কোন কাজগুলো করলে জান্নাতের যে দরজা দিয়ে
ইচ্ছা করবে,
সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে?
উত্তরঃ ১.
পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়বে। ২. রমযানের রোযা রাখবে। ৩. লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে। ৪. স্বামীর
আনুগত্য করবে।
২৪৩. সর্বোত্তম স্ত্রী কে? এ প্রশ্নের জবাবে রাসূল সা.
কি বলেছেন?
উত্তরঃ যে স্ত্রীর দিকে তাকালেই স্বামী খুশী হয়, স্বামী নির্দেশ দিলেই তা
পালন করে এবং নিজের ও নিজের সহায় সম্পদের ক্ষেত্রে এমন কোন কর্মপন্থা অবলম্বন করে
না, যা স্বামী অপছন্দ করে।
২৪৪. একজন মহিলা সাহাবী রাসূল সা. এর কাছে অভিযোগ করলেন যে,
তিনি নামায পড়লে তার স্বামী মারপিট করে, রোযা রাখতে রোযা ভাংতে বলে এবং সূর্য না
উঠা পর্যন্ত ফজরের নামায পড়েননা। ঐ মহিলা সাহাবীর স্বামীর নাম কি?
উত্তরঃ সাফওয়ান ইবনুল মায়াত্তাল।
২৪৫. সর্বোত্তম সম্পদ কি কি?
উত্তরঃ ১. আল্লাহকে স্মরণকারী জিহ্বা। ২. আল্লাহর শোকরকারী মন। ৩.
নেককার স্ত্রী যে স্বামীকে ইসলামের পথে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
২৪৬. নিম্নোক্ত ব্যক্তিরা কে কাদের তত্তাবধায়ক? শাসক,
স্বামী, স্ত্রী, চাকর।
উত্তরঃ শাসক: তার শাসিতদের। স্বামী: তার পরিবারপরিজনের। স্ত্রী:
তার স্বামীর বাড়ী ও সন্তানদের। চাকর: তার মনিবের সম্পদের।
২৪৭. সন্তানের জন্য পিতার সবচেয়ে ভাল উপহার কি?
উত্তরঃ উত্তম শিক্ষা দান।
২৪৮. সন্তান ৭ এবং ১০ বছর বয়সে পৌছলে রাসূল সা. এর নির্দেশ
কি কি?
উত্তরঃ ১. সাত বছর বয়সে নামায পড়ার আদেশ দাও। ২., দশ বছর বয়সে
নামাযের জন্য প্রহার কর। ৩. তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।
২৪৯. যখন মানুষ মারা যায়, তখন তার আমল বন্ধ হয়ে যায়।
কেবল তিন রকমের আমল রয়েছে, যার সওয়াব মৃত্যুর পরও অব্যাহত
থাকে। তা কি কি?
উত্তরঃ (১)সদকায়ে। (২)জ্ঞান বা বিদ্যা, যা দ্বারা জনগণ উপকৃত হতে
থাকবে, (৩) সৎ সন্তান, যে তার জন্য
দোয়া করতে থাকবে।
২৫০. সদকায়ে জারিয়া দ্বারা কোন ধরণের সদকাকে বুঝানো হয়েছে? উদাহরণ সহ উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ সেই সদকাকে বুঝানো হয়, যা দীর্ঘকাল চালু থাকে। যেমন, খাল বা কুয়া খনন করে দেয়া, প্রবাসীদের বাসস্থান
বানিয়ে দেয়া। পথের পারে গাছ লাগিয়ে দেয়া, কোন ধর্মীয় শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ইসলামী পুস্তকাদি দান করা ইত্যাদি। যতদিন মৃত জনসাধারণ এসব কাজ দ্বারা
উপকৃত হতে থাকবে, ততদিন ব্যক্তি এর সওয়াব পেতে থাকবে।
অনুরূপভাবে, সে যদি কাউকে বিদ্যাশিক্ষা দিয়ে যায়, অথবা ধর্মীয় পুস্তকাদি লিখে রেখে যায়, তবে তার
সওয়াবও সে পেতে থাকবে।
২৫১. ক্ষমার অযোগ্য কোন গুনাহ করে থাকলে স্বতন্ত্র কথা।
নাহয় আল্লাহ কোন ব্যক্তির জন্য জান্নাত অবধারিত করে দেবেন?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি কোন এতিমকে আশ্রয় দেবে এবং নিজের খানাপিনায় শরীক
করবে।
২৫২. আর যে ব্যক্তি তিনটে মেয়ে অথবা তিনটে বোনের লালপালন ও
অভিভাবকত্ব করবে, তার পুরস্কার কি?
উত্তরঃ তার জন্য আল্লাহ বেহেশত অবধারিত করে দেবেন।
২৫৩. মেয়ে সন্তান জন্মের পর যে ব্যক্তি ৩টি কাজ করবে,
আল্লাহ তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন। কাজ ৩টি কিকি?
উত্তরঃ ১. সে জাহেলী প্রথা অনুসারে তাকে জীবিত মাটিতে পুতে ফেলে না। ২. তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা করে না। ৩. তার ওপর ছেলে সন্তানকে অগ্রাধিকার দেয় না।
২৫৪. কোন মহিলা কিয়ামতের দিন রাসূল সা. এর নৈকট্য লাভ করবে?
উত্তরঃ কোন মহিলা বিধবা হয়ে যাওয়ার পর যদি লোকেরা তাকে বিয়ে করতে
আগ্রহী থাকে। কিন্তু তার এতিম শিশুদের লালনপালনের খাতিয়ে যদি সে পুনরায় বিয়ে না
করে এবং সতীত্ব ও সম্ভ্রম রক্ষণ করে জীবন যাপন করে।
২৫৫. রাসূল সা. এর ভাষায় সর্বোত্তম বাড়ী কোনটি আর নিকৃষ্ট
বাড়ী কোনটি?
উত্তরঃ সর্বোত্তম বাড়ীঃ যে বাড়ীতে এতিমের প্রতি সদ্ব্যবহার করা হয়।
আর নিকৃষ্ট বাড়ীঃ যে বাড়ীতে এতিমদের প্রতি খারাপ ব্যবহার করা হয়।
২৫৬. নিষ্ঠুরতা ও কঠোরতা থেকে মুক্তির উপায় কি?
উত্তরঃ এতিমদের মাথায় স্নেহের হাত বুলানো এবং মিসকিন বা দরিদ্রদের
খানা খাওয়ানো।
২৫৭. ইসলামের অভ্যুদয়ের পূর্বে দুটি শ্রেণী আরবে সবচেয়ে
বেশী নিপীড়িত ও মজলুম ছিল। তারা কারা?
উত্তরঃ এতিম ও নারী।
২৫৮. পালিত এতিমকে কি কি কারণে প্রহার করার অনুমতি রয়েছে?
উত্তরঃ যে যে কারণে নিজ সন্তানদের প্রহার করা যায়।
২৫৯. অতিথেয়তার মেয়াদ কয়দিন?
উত্তরঃ তিনদিন।
২৬০. গৃতকর্তা ও অতিথির প্রতি কি নির্দেশ?
উত্তরঃ গৃহকর্তা যেন অতিথির সমাদর করে। আর অতিথি যেন কারো বাড়ীতে
গেলে সেখানে দীর্ঘ দিন পড়ে থেকে গৃহকর্তার বিরক্তি ও অস্বস্থির কারণ না হয়।
২৬১. আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়, আল্লাহর কসম, সে মুমিন নয়, আল্লাহর
কসম, সে মুমিন নয়। কে মুমিন নয়?
উত্তরঃ যার প্রতিবেশী তার কষ্টদায়ক আচরণ থেকে নিরাপদ থাকে না।
২৬২. যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, অথচ তার প্রতিবেশী তার পাশেই
অনাহারে থাকে। সে কি নয়?
উত্তরঃ সে মুমিন নয়।
২৬৩. দুইজন প্রতিবেশী থাকলে কার কাছে উপহার পাঠাতে হবে?
উত্তরঃ যার দরজা নিকটে।
২৬৪. প্রতিবেশীর এলাকা কতটুকু বিস্তৃত?
উত্তরঃ নিজ বাড়ী থেকে চল্লিশ বাড়ী পর্যন্ত।
২৬৫. যে ব্যক্তি এটা পছন্দ করে যে, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল তাকে
ভালবাসুক, তার তিনটি কাজ করা উচিত। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. সে যেন সব সময় সত্য কথা বলে। ২. তার কাছে কোন জিনিস আমানত
রাখা হলে তা তার মালিকের নিকট অক্ষতভাবে ফেরত দেয়। ৩. নিজের প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যবহার করে।
২৬৬. কেয়ামতের দিন সর্ব প্রথম যে দুই ব্যক্তির মামলা
আল্লাহর আদালতে বিচারার্থে পেশ করা হবে, তাদের পরিচয় কি?
উত্তরঃ তারা হবে দুজন প্রতিবেশী।
২৬৭. যে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় এবং এক গ্রাস, দু গ্রাস বা একটা খেজুর বা
দুটো খেজুর নিয়েই বিদায় হয়ে যায়। সে প্রকৃত দরিদ্র নয়। তাহলে প্রকৃত দরিদ্র কে?
উত্তরঃ যার কাছে নিজের প্রয়োজন পূরণের উপযুক্ত দ্রব্য সামগ্রী বা
অর্থ থাকে না এমনকি সাধারণ মানুষ তার দরিদ্র বুঝতেও পারে না, যে তাকে সদকা দেবে এবং সে
মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে হাত পেতে ভিক্ষাও করেনা।
২৬৮. ভৃত্যের অধিকার কি কি?
উত্তরঃ ১. তাকে খাবার ও পোশাক দিতে হবে। ২. তার সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ দিতে
হবে।
২৬৯. মামলুক শব্দ দ্বারা কি বুঝানো হয়?
উত্তরঃ দাসদাসী।
২৭০. “আমি আমার চাকরকে একটা কাজের জন্য বাইরে পাঠিয়েছি।
দুটো কাজেরই দায়িত্ব তার ঘাড়ে চাপানো আমি পছন্দ করিনা।” এটি কার উক্তি?
উত্তরঃ হযরত সালমান ফারসী রা.
২৭১.
সে
যেন নিজে যা খায়,
তাকেও তাই খাওয়ায়, নিজে যা পরিধান করে তাকেও
তাই পরিধান করায় এবং যে কাজ তার ক্ষমতার বাইরে সে কাজ তাকে করতে বাধ্য না করে-এই নসিহতটি কাদের জন্য?
উত্তরঃ দাসদাসীদের জন্য।
২৭২. কার উপর ক্ষমতার অপপ্রয়োগকারী বেহেশতে যেতে
পারবেনা?
উত্তরঃ দাসদাসী ও ভৃত্যদের উপর ক্ষমতা অপপ্রয়োগকারী।
২৭৩.
একমাত্র
আল্লাহর পথে শাহাদাত বরণ করা ছাড়া আর কোন কাজ দ্বারা কেউ কোন ব্যক্তির উপর
শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারে না?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি মানুষের সেবা ও উপকারে অগ্রণী হয়।
২৭৪.
যে
ব্যক্তি কোন দলের সাথে সফর করে, তার কর্তব্য কি?
উত্তরঃ সে যেন ঐ দলের সেবা করে, তাদের প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রাখে এবং
সম্ভাব্য সকল উপায়ে তাদের সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করে।
২৭৫.
শয়তানের
বাড়ী দ্বারা রাসূল (সা) কোন বাড়ীকে বুঝিয়েছেন?
উত্তরঃ সেই সব বাড়ীকে বুঝিয়েছেন, যা লোকেরা নিছক ধন সম্পদের
বড়াই প্রদর্শনের জন্য নির্মাণ করে থাকে। সেগুলোতে নিজেও বাস করে না অন্য কোন
বাড়িঘর বিহীন লোককেও বাস করতে দেয় না।
২৭৬.
রোগীকে
দেখতে যাওয়ার অর্থ শুধু তার কাছে চলে যাওয়া ও কেমন আছে জিজ্ঞেস করা নয়। তাহলে
যথার্থ সেবা কি?
উত্তরঃ তার ওষুধ পথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহের ব্যবস্থা করাই হলো তার
যথার্থ সেবা,
পরিচর্যা তদারকী।
২৭৭.
রাসূলুল্লাহ
(সা) তিনটি কাজ করতে বলেছেন। ১. তোমরা রোগীর খোঁজ খবর নাও। ২. ক্ষুধার্তকে খানা খাওয়াও। তৃতীয়টি কি?
উত্তরঃ ৩. বন্দীর মুক্তির ব্যবস্থা কর।
0 Comments