সালাম বিষয়ে কুরআনের নির্দেশঃ
১. কারো ঘরে প্রবেশ করার আগেই সালাম দিতে হবে।
﴿يَٰٓأَيُّهَا
ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَدْخُلُواْ بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّىٰ
تَسْتَأْنِسُواْ وَتُسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَهْلِهَا ﴾
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা
নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও তাদেরকে সালাম না
দিয়ে প্রবেশ করো না।” (সূরা নূর ২৭ আয়াত)
২. কারো ঘরে প্রবেশ করার সাথে সাথে সালাম দিতে হবে।
﴿
فَإِذَا دَخَلۡتُم بُيُوتٗا فَسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۡ تَحِيَّةٗ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِ مُبَٰرَكَةٗ طَيِّبَةٗۚ ﴾
“যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ
করবে, তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এ হবে আল্লাহর নিকট হতে
কল্যাণময় ও পবিত্র অভিবাদন।” (সূরা নূর ৬১ আয়াত)
৩. কেউ সালাম দিলে, তার চেয়ে উত্তম করে জবাব দিতে হবে।
﴿
وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٖ فَحَيُّواْ بِأَحۡسَنَ مِنۡهَآ أَوۡ رُدُّوهَآۗ ﴾
“যখন তোমাদেরকে অভিবাদন
করা হয় (সালাম দেওয়া হয়), তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন
কর অথবা ওরই অনুরূপ কর।” (সূরা নিসা ৮৬ আয়াত)
৪. সালাম হচ্ছে আমাদের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার-পৈত্রিক উত্তরাধিকার।
﴿
هَلۡ أَتَىٰكَ حَدِيثُ ضَيۡفِ إِبۡرَٰهِيمَ ٱلۡمُكۡرَمِينَ . إِذۡ دَخَلُواْ
عَلَيۡهِ فَقَالُواْ سَلَٰمٗاۖ قَالَ سَلَٰمٞ ﴾
“তোমার নিকট ইব্রাহীমের
সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে কি? যখন তারা তার
নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, ‘সালাম।’ উত্তরে সে বলল, ‘সালাম।’” (সূরা যারিয়াত ২৪-২৫ আয়াত)
হাদীসে রাসূলে সালাম সম্পর্কিত
কথাঃ
সালাম আমাদের জন্মসূত্রে প্রাপ্ত শিক্ষাঃ
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ
رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: لَمَّا خَلَقَ اللهُ
آدَمَ عليه السلام، قَالَ: اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولئِكَ ـ نَفَرٍ مِنَ
المَلاَئِكَةِ جُلُوسٌ ـ فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ ؛ فَإنَّهَا تَحِيَّتُكَ
وَتَحِيَّةُ ذُرِّيتِكَ . فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، فَقَالُوا: السَّلاَمُ
عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ، فَزَادُوهُ: وَرَحْمَةُ اللهِ .
আবূ হুরাইরা রা. হতে
বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন, ‘‘আল্লাহ যখন আদম আ.কে সৃষ্টি করলেন। তখন তাঁকে বললেন, ‘তুমি যাও এবং ঐ যে ফেরেশতাদের একটি দল বসে আছে, তাদের উপর সালাম পেশ কর। আর ওরা তোমার সালামের কী জবাব দিচ্ছে তা মন দিয়ে
শুনো। কেননা, ওটাই হবে তোমার ও তোমার সন্তান-সন্ততির সালাম
বিনিময়ের রীতি।’ সুতরাং তিনি (তাঁদের কাছে গিয়ে) বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম’। তাঁরা উত্তরে বললেন, ‘আসসালামু
আলাইকা ওয়ারাহমাতুল্লাহ’। অতএব তাঁরা ‘ওয়ারাহমাতুল্লাহ’ শব্দটা বেশী বললেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম)
সালাম হচ্ছে সর্বোত্তম ইসলামের নমূনাঃ
وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ
عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، أنَّ رَجُلاً سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صلى
الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: أَيُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ ؟ قَالَ: « تُطْعِمُ
الطَّعَامَ، وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ ».
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর
ইবনুল ‘আস রা. হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ
সা.কে জিজ্ঞাসা করল, ‘সর্বোত্তম ইসলামী কাজ কী?’ তিনি বললেন, “(ক্ষুধার্তকে) অন্নদান করবে এবং
পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে সকলকে (ব্যাপকভাবে) সালাম পেশ করবে।’’ (বুখারী-মুসলিম)
সালাম হচ্ছে আমাদের নবীর নির্দেশঃ
وَعَنْ أَبي عُمَارَةَ
البَرَاءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: أَمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صلى
الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ: بِعِيَادَةِ المَرِيضِ، وَاتِّبَاعِ
الجَنَائِزِ، وَتَشْمِيتِ العَاطِسِ، وَنَصْرِ الضَّعِيفِ، وَعَوْنِ المَظْلُومِ،
وَإفْشَاءِ السَّلاَمِ، وَإبْرَارِ المُقسِمِ .
আবূ উমারা বারা ইবনে আযেব
রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সা. আমাদেরকে সাতটি (কর্ম করতে) আদেশ করেছেনঃ (১) রোগী দেখতে
যাওয়া, (২) জানাযার অনুসরণ করা, (৩)
হাঁচির জবাব দেওয়া, (৪) দুর্বলকে সাহায্য করা, (৫) নির্যাতিত ব্যক্তির সহায়তা করা, (৬) সালাম প্রচার
করা, এবং (৭) শপথকারীর শপথ পুরা করা।’ (বুখারী-মুসলিম)
রাসূল সা. মদীনায় গিয়ে প্রথম যে নির্দেশ দিলেন, তা হচ্ছে সালামঃ
وَعَنْ أَبي يُوسُفَ
عَبدِ اللهِ بنِ سَلاَمٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله
عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: « يَا أيُّهَا النَّاسُ، أَفْشُوا
السَّلاَمَ، وَأطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصِلُوا الأرْحَامَ، وَصَلُّوا والنَّاسُ
نِيَامٌ، تَدْخُلُوا الجَنَّةَ بِسَلاَم ».
আবূ ইউসুফ আব্দুল্লাহ
ইবনে সালাম রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.কে বলতে শুনেছি, ‘‘হে লোক
সকল! তোমরা সালাম প্রচার কর, (ক্ষুধার্তকে) অন্নদান কর, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ এবং লোকে যখন (রাতে) ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা নামায পড়। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ
করবে।’’ (তিরমিযী)
সালাম রাসূল সা. এর সাধারণ নির্দেশঃ
عَن أَبِي هُرَيرَةَ
رضي الله عنه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: "إذا لقي
أحدكم أخاه، فليسلم عليه، فإن حالت بينهما شجرة، أو جدار، أو حجر، ثم لقيه، فليسلم
عليه"
হযরত আবু হুরায়ারা রা.
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘‘যখন কেউ তার মুসলিম ভাইয়ের সাথে দেখা করবে, তখন
সে যেন তাকে সালাম দেয়। অতঃপর যদি তাদের দু’জনের মাঝে গাছ বা দেওয়াল অথবা পাথর
আড়াল হয়, তারপর আবার সাক্ষাৎ হয়, তাহলে সে যেন আবার সালাম দেয়। (আবু দাউদ)
সালাম আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার জন্যঃ
وَعَنْ أَبي أُمَامَةَ
رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم:
إِنَّ أوْلَى النَّاسِ بِاللهِ مَنْ بَدَأَهُمْ بالسَّلاَمِ
আবূ উমামাহ রা. হতে
বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘‘আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী মানুষ সেই, যে
প্রথমে সালাম করে।’’ (আবূ দাঊদ)
সালাম হচ্ছে পারস্পরিক ভালবাসা তৈরীর মাধ্যমঃ
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ
رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم:
« لاَ تَدْخُلُوا الجَنَّةَ حَتَّى تُؤمِنُوا، وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتَّى
تَحَابُّوا، أوَلاَ أدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ ؟
أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ ».
আবূ হুরাইরা রা. হতে
বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘‘তোমরা ঈমানদার না
হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ না তোমাদের পারস্পরিক
ভালোবাসা গড়ে উঠবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা প্রকৃত
ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলে দেব না, যা করলে তোমরা একে অপরকে ভালবাসতে লাগবে? (তা হচ্ছে)
তোমরা আপোসের মধ্যে সালাম প্রচার কর।’’ (মুসলিম)
সালাম বিষয়ে সাহাবায়ে কিরামের আমলঃ
وَعَنْ الطُّفَيْلِ بنِ
أُبَيِّ بنِ كَعبٍ: أنَّه كَانَ يَأتِي عَبدَ اللهِ بنَ عُمَرَ، فَيَغدُو مَعَهُ
إِلَى السُّوقِ، قَالَ: فَإِذَا غَدَوْنَا إِلَى السُّوقِ، لَمْ يَمُرَّ عَبدُ
الله عَلَى سَقَّاطٍ وَلاَ صَاحِبِ بَيْعَةٍ، وَلاَ مِسْكِينٍ، وَلاَ أحَدٍ إِلاَّ
سَلَّمَ عَلَيْهِ، قَالَ الطُّفَيْلُ: فَجِئْتُ عَبدَ اللهِ بنَ عُمَرَ يَوْماً،
فَاسْتَتْبَعَنِي إِلَى السُّوقِ، فَقُلْتُ لَهُ: مَا تَصْنَعُ بِالسُّوقِ،
وَأنْتَ لا تَقِفُ عَلَى البَيْعِ، وَلاَ تَسْأَلُ عَنِ السِّلَعِ، وَلاَ تَسُومُ
بِهَا، وَلاَ تَجْلِسُ في مَجَالِسِ السُّوقِ ؟ وَأقُولُ: اجْلِسْ بِنَا هاهُنَا
نَتَحَدَّث، فَقَالَ: يَا أَبَا بَطْنٍ ـ وَكَانَ الطفَيْلُ ذَا بَطْنٍ ـ إنَّمَا
نَغْدُو مِنْ أجْلِ السَّلاَمِ، فنُسَلِّمُ عَلَى مَنْ لَقِيْنَاهُ .
তুফাইল ইবনে উবাই ইবনে
কা‘ব হতে বর্ণিত, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা.-এর
কাছে আসতেন এবং সকালে তাঁর সঙ্গে বাজার যেতেন। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা সকালে বাজারে যেতাম, তখন তিনি
প্রত্যেক খুচরা বিক্রেতা, স্থায়ী ব্যবসায়ী, মিসকীন, তথা অন্য কোন ব্যক্তির নিকট দিয়ে
অতিক্রম করার সময় তাকে সালাম দিতেন।’ তুফাইল বলেন, সুতরাং আমি একদিন (অভ্যাসমত) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা.-এর নিকট গেলাম।
তিনি আমাকে তাঁর সঙ্গে বাজারে যেতে বললেন। আমি বললাম, ‘আপনি
বাজার গিয়ে কী করবেন? আপনি তো বেচা-কেনার জন্য কোথাও
থামেন না, কোন পণ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন না, তার দর-দাম জানতে চান না এবং বাজারের কোন মজলিসে বসেনও না। আমি বলছি, এখানে আমাদের সাথে বসে যান, এখানেই কথাবার্তা
বলি।’ (তুফাইলের ভুঁড়ি মোটা ছিল, সেই জন্য) তিনি বললেন, ‘ওহে ভুঁড়িমোটা! আমরা
সকাল বেলায় বাজারে একমাত্র সালাম পেশ করার উদ্দেশ্যে যাই; যার সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয়, আমরা তাকে সালাম
দই।’ (মুঅত্ত্বা মালেক)
সালাম বিষয়ে ফেরেশতাদের আমলঃ
وَعَنْ عَائِشَةَ
رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى
الله عليه وسلم: « هَذَا جِبريلُ يَقْرَأُ عَلَيْكِ السَّلاَمَ» قَالَتْ: قُلْتُ:
وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ .
আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, তিনি
বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সা. আমাকে বললেন, ‘‘এই জিব্রীল (জিব্রাইল/জিবরাঈল) আ. তোমাকে সালাম পেশ করছেন।’’ তিনি বলেন, আমিও উত্তরে বললাম, ‘অআলাইহিস সালামু ওয়ারহমাতুল্লহি অবারাকাতুহ।’ (বুখারী
ও মুসলিম)
সালাম কিভাবে দেবেন?
عَن عِمْرَانَ بنِ
الحُصَينِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله
عليه وسلم، فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، فَرَدَّ عَلَيْهِ ثُمَّ جَلَسَ،
فَقَالَ النبيُّ صلى الله عليه وسلم: عَشْرٌ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ، فَقَالَ:
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ، فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ، فَقَالَ:
عِشْرُونَ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ، فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ الله
وَبَركَاتُهُ، فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ، فَقَالَ: ثَلاثُونَ
ইমরান ইবনে হুসাইন রা.
হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একটি লোক নবী সা. এর নিকট এসে এভাবে সালাম করল ‘আসসালামু
আলাইকুম’ আর নবী সা. তার জবাব দিলেন। অতঃপর লোকটি বসে
গেলে। তিনি বললেন, ‘‘ওর জন্য দশটি নেকী।’’ তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি এসে ‘আসসালামু আলাইকুম
ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম পেশ করল। নবী সা. তার
সালামের উত্তর দিলেন এবং লোকটি বসলে তিনি বললেন, ‘‘ওর
জন্য বিশটি নেকী।’’ তারপর আর একজন এসে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ’ বলে সালাম দিল। তিনি তার জবাব দিলেন। অতঃপর সে বসলে তিনি বললেন, ‘‘ওর জন্য ত্রিশটি নেকী।’’ (আবূ দাউদ, তিরমিযী)
وَعَنْ أَبي جُرَيٍّ
الهُجَيْمِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: أتيتُ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم،
فَقُلتُ: عَلَيْكَ السَّلامُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم! قَالَ: لاَ
تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلامُ ؛ فَإِنَّ عَلَيْكَ السَّلاَمُ تَحِيَّةُ المَوتَى .
আবূ জুরাই হুজাইমী রা.
হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সা. এর নিকট হাযির হয়ে বললাম, ‘আলাইকাস সালাম’ ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন, ‘‘আলাইকাস সালাম’ বলো না। কেননা, ‘আলাইকাস সালাম’ হচ্ছে মৃত ব্যক্তিদেরকে জানানো
অভিবাদন বাক্য।’’ (আবু দাঊদ, তিরমিযী)
সালাম কে কাকে দেবে?
عَن أَبِي هُرَيرَةَ
رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ:
يُسَلِّمُ الرَّاكِبُ عَلَى المَاشِي، وَالمَاشِي عَلَى القَاعِدِ، وَالقَليلُ
عَلَى الكَثِيرِ . متفقٌ عَلَيْهِ، وَفِي رِوَايَةٍ لِلبُخَارِي: وَالصَّغِيرُ
عَلَى الكَبِيرِ
আবূ হুরাইরা রা. থেকে
বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘‘আরোহী পায়ে হাঁটা ব্যক্তিকে, পায়ে হাঁটা
ব্যক্তি বসে থাকা ব্যক্তিকে এবং অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোককে সালাম দেবে।’’ (বুখারী-মুসলিম)
বুখারীর অন্য এক বর্ণনায়
আছে, ‘‘ছোট বড়কে সালাম দেবে।’’
0 Comments