জাহান্নাম ও
জাহান্নামীঃ
﴿وَمَا أَدْرَاكَ مَا سَقَرُ﴾﴿لَا تُبْقِي وَلَا تَذَرُ﴾﴿لَوَّاحَةٌ
لِّلْبَشَرِ﴾﴿عَلَيْهَا تِسْعَةَ عَشَرَ﴾
“আর তুমি কি জানো, জাহান্নাম
কি? তা শান্তিতে থাকতে দেয় না আবার ছেড়েও দেয় না। চামড়া ঝলসে দেয়। উনিশজন
ফেরেশতা তার প্রহরী হবে।” - আল মুদ্দাসসিরঃ
২৭-৩০
﴿إِذَا أُلْقُوا فِيهَا سَمِعُوا لَهَا شَهِيقًا وَهِيَ تَفُورُ﴾﴿تَكَادُ
تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ ۖ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ
خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ﴾
“তারা [জাহান্নামীরা] যখন সেখানে নিক্ষিপ্ত
হবে, তখন তার ক্ষিপ্রতার তর্জন-গর্জন শুনতে পাবে এবং তা
উত্থাল-পাতাল করতে থাকবে, ক্রোধ আক্রোশে এমন অবস্থা ধারণ
করবে, মনে হবে তা গোস্বায় ফেটে পড়বে।” - আল মুলকঃ ৭-৮
﴿ثُمَّ لَا يَمُوتُ فِيهَا وَلَا يَحْيَىٰ﴾
“তারা [জাহান্নামে] মরবেও না আবার জীবিতও
থাকবে না।” - আল আ’লাঃ ১৩
﴿إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا﴾﴿لِّلطَّاغِينَ مَآبًا﴾﴿لَّابِثِينَ
فِيهَا أَحْقَابًا﴾
“নিশ্চয় জাহান্নাম একটি ঘাঁটি। আল্লাহদ্রোহীদের জন্য আশ্রয়স্থল। সেখানে তারা যুগ যুগ ধরে অবস্থান করবে।” - আন নাবাঃ ২১-২৩
﴿أَفَمَنِ اتَّبَعَ رِضْوَانَ اللَّهِ كَمَن بَاءَ بِسَخَطٍ مِّنَ
اللَّهِ وَمَأْوَاهُ جَهَنَّمُ ۚ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ﴾
“যে লোক আল্লাহর ইচ্ছার অনুগত, সে কি ঐ লোকের সমান হতে পারে, যে আল্লাহর রোষ অর্জন
করেছে? বস্তুতঃ তার ঠিকানা হল দোযখ। আর তা কতইনা নিকৃষ্ট অবস্থান!” - আলে
ইমরানঃ ১৬২
﴿وَمَن يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ
يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُّهِينٌ﴾
“যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার
সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার
জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।” - আন নিসাঃ ১৪
﴿وَمَن يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ
الْهُدَىٰ وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّىٰ
وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ ۖ وَسَاءَتْ مَصِيرًا﴾
“যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পরও এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের
বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাবো যে দিক সে অবলম্বন
করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান।” - আন নিসাঃ ১১৫
﴿وَإِذَا قِيلَ لَهُ اتَّقِ اللَّهَ أَخَذَتْهُ الْعِزَّةُ
بِالْإِثْمِ ۚ فَحَسْبُهُ جَهَنَّمُ ۚ وَلَبِئْسَ الْمِهَادُ﴾
“আর যখন তাকে বলা হয় যে, আল্লাহকে ভয় কর, তখন তার পাপ তাকে অহঙ্কারে
উদ্বুদ্ধ করে। সুতরাং তার জন্যে দোযখই
যথেষ্ট। আর নিঃসন্দেহে তা হলো নিকৃষ্টতর ঠিকানা।” - আল বাকারাহঃ ২০৬
﴿قُلْنَا اهْبِطُوا مِنْهَا جَمِيعًا ۖ فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم
مِّنِّي هُدًى فَمَن تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ
يَحْزَنُونَ﴾﴿وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ
النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ﴾
“….অতঃপর যদি তোমাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে
কোন হেদায়েত পৌঁছে, তবে যে ব্যক্তি আমার সে হেদায়েত
অনুসারে চলবে, তার উপর না কোন ভয় আসবে, না (কোন কারণে) তারা চিন্তাগ্রস্ত ও সন্তপ্ত হবে। আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা
প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী;
অন্তকাল সেখানে থাকবে।” - আল বাকারাহঃ ৩৮, ৩৯
﴿إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ
وَلَن تَجِدَ لَهُمْ نَصِيرًا﴾
“নিঃসন্দেহে মুনাফিকরা রয়েছে দোযখের
সর্বনিম্ন স্তরে। আর তোমরা তাদের জন্য কোন
সাহায্যকারী কখনও পাবে না।” - আন নিসাঃ ১৪৫
﴿تَرَىٰ كَثِيرًا مِّنْهُمْ يَتَوَلَّوْنَ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ
لَبِئْسَ مَا قَدَّمَتْ لَهُمْ أَنفُسُهُمْ أَن سَخِطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَفِي
الْعَذَابِ هُمْ خَالِدُونَ﴾
“আপনি তাদের অনেককে দেখবেন, কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করে। তারা
নিজেদের জন্য যা পাঠিয়েছে তা অবশ্যই মন্দ। তা এই
যে, তাদের প্রতি আল্লাহ ক্রোধান্বিত হয়েছেন এবং তারা চিরকাল
আযাবে থাকবে।” - আল মায়িদাহঃ ৮০
﴿إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَمَاتُوا وَهُمْ كُفَّارٌ أُولَٰئِكَ
عَلَيْهِمْ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ﴾﴿خَالِدِينَ
فِيهَا ۖ لَا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَلَا هُمْ يُنظَرُونَ﴾
“নিশ্চয় যারা কুফরী করে এবং কাফের অবস্থায়ই
মৃত্যুবরণ করে, সে সমস্ত লোকের প্রতি আল্লাহর ফেরেশতাগনের
এবং সমগ্র মানুষের লা’নত।এরা
চিরকাল এ লা’নতের মাঝেই থাকবে। তাদের
উপর থেকে আযাব কখনও হালকা করা হবে না বরং এরা বিরাম ও পাবে না।” - আল বাকারাহঃ ১৬১, ১৬২
﴿قُل لِّلَّذِينَ كَفَرُوا سَتُغْلَبُونَ وَتُحْشَرُونَ إِلَىٰ
جَهَنَّمَ ۚ وَبِئْسَ الْمِهَادُ﴾
“কাফেরদিগকে বলে দিন, খুব
শিগগীরই তোমরা পরাভূত হয়ে দোযখের দিকে হাঁকিয়ে নীত হবে, সেটা
কতই না নিকৃষ্টতম অবস্থান।” - আলে
ইমরানঃ ১২
﴿إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَن تُغْنِيَ عَنْهُمْ أَمْوَالُهُمْ
وَلَا أَوْلَادُهُم مِّنَ اللَّهِ شَيْئًا ۖ وَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۚ
هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ﴾
“নিশ্চয় যারা কাফের হয়, তাদের ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর সামনে কখনও কোন কাজে আসবে না। আর তারাই হলো দোযখের আগুনের অধিবাসী। তারা সে আগুনে চিরকাল থাকবে।” - আলে ইমরানঃ ১১৬
﴿الْمُنَافِقُونَ وَالْمُنَافِقَاتُ بَعْضُهُم مِّن بَعْضٍ ۚ
يَأْمُرُونَ بِالْمُنكَرِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمَعْرُوفِ وَيَقْبِضُونَ
أَيْدِيَهُمْ ۚ نَسُوا اللَّهَ فَنَسِيَهُمْ ۗ إِنَّ الْمُنَافِقِينَ هُمُ
الْفَاسِقُونَ﴾
“আল্লাহ্ ওয়াদা করেছেন, মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারীদের এবং কাফেরদের জন্যে দোযখের আগুনের,
সেখানে পড়ে থাকবে সর্বদা। সেটাই তাদের জন্যে যথেষ্ট। আর
আল্লাহ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন এবং তাদের জন্যে রয়েছে স্থায়ী আযাব।” - আত তাওবাহঃ ৬৭
﴿إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا
كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُم بَدَّلْنَاهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا
الْعَذَابَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا﴾
“এতে সন্দেহ নেই যে, আমার
নিদর্শন সমুহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি
তাদেরকে আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের
চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পালটে দেব
অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী।” - আন নিসাঃ ৫৬
﴿يُرِيدُونَ أَن يَخْرُجُوا مِنَ النَّارِ وَمَا هُم بِخَارِجِينَ
مِنْهَا ۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ مُّقِيمٌ﴾
“তারা দোযখের আগুন থেকে বের হয়ে আসতে চাইবে
কিন্তু তা থেকে বের হতে পারবে না। তারা
চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করবে।” - আল মায়িদাহঃ ৩৭
﴿يُبَصَّرُونَهُمْ ۚ يَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ يَفْتَدِي مِنْ
عَذَابِ يَوْمِئِذٍ بِبَنِيهِ﴾﴿وَصَاحِبَتِهِ وَأَخِيهِ﴾﴿وَفَصِيلَتِهِ الَّتِي
تُؤْوِيهِ﴾﴿وَمَن فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ يُنجِيهِ﴾
“সেদিন অপরাধীরা চাইবে তার সন্তান, স্ত্রী, ভাই এবং সাহায্যকারী নিকটবর্তী পরিবার এমনকি
দুনিয়ার সব মানুষকে বিনিময় দিয়ে হলেও নিজেকে আজাব থেকে বাঁচিয়ে দিতে।” - আল মা‘আরিজঃ ১১-১৪
﴿فَإِذَا نُفِخَ فِي الصُّورِ فَلَا أَنسَابَ بَيْنَهُمْ
يَوْمَئِذٍ وَلَا يَتَسَاءَلُونَ﴾
“তখন তাদের মধ্যে আর কোন আত্মীয়তা থাকবে না,
এমনকি পরস্পর দেখা হলেও (কেউ কাউকে) জিজ্ঞেস করবে না।” -আল মু’মিনুনঃ ১০১
0 Comments