লিখনির প্রেক্ষাপটঃ
গীবত বিষয়ে
বাংলা ভাষায় অনেক বই লিখা হয়েছে। গীবত নিয়ে আমার মতো আধা শিক্ষিত মানুষ-এর এটা
হচ্ছে গীবত সম্পর্কিত একটি শর্টনোট। আমার একজন অতি শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তির সাথে বেশ রাত
করে গাড়ীতে করে ফিরছিলাম। ফেরার পথে কোন এক সুযোগে কোন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে আমি তাকে
কিছু ইনফরমেশন শেয়ার করলাম। তিনি হ্যাঁ বা না কোন মন্তব্য করলেন না। এতে আমি আশ্চর্য
হলাম না এজন্য যে, তাকে আমি ২৫ বছর থেকে চিনি। ফলে এটাকে তার স্বভাবসূলভ মনে করলাম। ৬দিন পর তিনি
আমাকে একটি ভয়েস ম্যাসেজ পাঠালেন, যার সারকথা হলোঃ আপনার একশত এর উপরে আর্টিক্যাল
আছে। আমি অবশ্য এর কোনটাই পড়িনি। তবে এর মাঝে যদি গীবত সম্পর্কে কোন আর্টিক্যাল না
থেকে থাকে, তাহলে গীবত সম্পর্কে একটু লিখবেন।
সাথে সাথে আমার
কাছে মনে হলোঃ আমি কি কারো সম্পর্কে কোন গীবত করে নিলাম। আর তিনি ইশারায় আমাকে সে বিষয়ে
নির্দেশ করলেন? এর ২দিন পর তিনি একটি দীর্ঘ টেক্সট ম্যাসেজ পাঠালেন, যা নিম্নরূপঃ
আছ্ছালামূআলাইকূম
প্রিয় ভাইসব
আমার একটি বিশেষ কারণে মনে হল গীবত সম্পর্কে লিখা খুবই জরুরী । যে বিষয়ে আমাদের
অধিকাংশ মানুষ অবচেতন, প্রথম আমরা দেখি গীবত কি, গিবত হল কোন
লোকের দূষ বা ক্রটি সম্পর্কে তার অনুপস্থিতিতে অন্য কারও সাথে কথা বলা যা বলার প্রয়োজন
ছিল না যা জানলে সে দুঃখিত হবে কষ্টপাবে। কাজটি সরাসরি আল্লাহ তায়ালার নিষেধ ولا يغتب بعضكم بعضا -সুরা হুজুরাত, "তোমরা একে অন্যের গিবত করনা" আল্লাহ
তায়ালা আরও বলেন ويل لكل همزة لمزة
"ধংস এমন প্রত্যেক বক্তির যে সামনে তিরস্কার করে আর পিছনে দূষচর্চা করে।"
প্রিয় নবী সঃ এই বিষয়ে বলেছেন إياكم والغيبة "তোমরা অবশ্যই গীবত পরিহার
কর"। কারণ বলেছেন "গীবতকারীর দোআ কবুল হয়না, নেকআমল কবুল
হয় না, আমলনামতে পাপ জমা হয়।" গীবতের কাজ মুখের ভাষায়
চোখের ইশারায় অংগভংগিতে করা হয়ে থাকে। প্রিয় নবী সঃ কে জিজ্ঞাসা করা হল যদি ঐ দুষ
তার মাঝে থাকে তিনি সঃ বললেন দূষটা তার মাঝে
থাকলেই হল গীবত আর না থাকলে তাত আরও জঘন্য "মিথ্যা অপবাদ" ।
প্রিয় ভাইসব বিষয়টির গুরুত্ব অপরিসীম অনেক বিস্তারিত আলোচনার দরকার কিন্তু এখানে
বেশি কথা বলার সুযোগ নাই তবে শেষ কথা হল আমরা যখন দুইজন কথা বলব তখন তৃতীয় ব্যক্তির
বিষয়ে কোন কথা বলব না যদি তার ভাল গুণ হয় সেটা বলব, যদি কোন খারাপ
কিছুহয় গোপন করব (বিশেষ প্রয়োজন না হলে) আমি যদি তার দূষ গোপন করি কেয়ামতে আল্লাহ
আমার দূষ গোপন রাখবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে গীবত থেকে রক্ষা করুন। আমিন
তার এই ম্যাসেজটির
সম্বোধন থেকে মনে হয় যে, তিনি ম্যাসেজটি অনেকের কাছে তিনি প্রেরণ করেছেন। কিন্তু পরক্ষণে মনে হল তিনি পরিকল্পিত
ভাবে “ভাইসব” শব্দটি ব্যবহার করেছেন। কিন্তু কেবলমাত্র আমাকেই ম্যাসেজটি প্রেরণ করেছেন।
যার কারণে আমি আমার আত্ম সমালোচনা শুরু করে দেখলাম যে, বেশ রাত করে তার সাথে গাড়ীতে
করে ফিরাটাই ছিল তার সাথে নিকট অতীতে একমাত্র সাক্ষাত। তাই সাক্ষাতের বিষয়টি বিশদ ভাবে
পর্যালোচনা করে দেখলাম, সেই সময়ে একজন ব্যক্তি সম্পর্কে তাকে আমি কিছু বলেছি।
সেই আত্মসমালোচনা
কে কেন্দ্র করে গীবত সম্পর্কে অনলাইনে থাকা বিভিন্ন আর্টিক্যাল, বিভিন্ন ফেমাস স্কলারদের প্রশ্নোত্তর
এবং গীবত সম্পর্কে বাংলায় লেখা বই গুলোতে সময় দিলাম। উপরোক্ত তথ্যসূত্র গুলোতে আমি
লক্ষ করলাম যে, গীবত সম্পর্কে যা লিখা হয়েছে তার অধিকাংশই চর্বিত চর্বন। সব মিলিয়ে গীবত সম্পর্কে
একটি নির্যাস তৈরী হয়ে গেল। আর তারই প্রসবন ‘গীবত নিয়ে আত্মসমালোচনা’।
গীবত কি?
গীবত মানে কোন
ব্যক্তির মধ্যে বিদ্যমান কোন দোষ-ত্রুটি তার অসাক্ষাতে আলোচনা করা।
গীবত একটি ভয়াবহ
পাপ। সমাজে যেসব পাপের প্রচলন সবচেয়ে বেশী তন্মধ্যে গীবত অন্যতম একটি পাপ। এই পাপটি
নীরব ঘাতকের মতো। মানুষের অগোচরে এই পাপ তার নেক আমলের ভান্ডার শেষ করে দেয় এবং তাকে
জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করে ছাড়ে।
গীবত চুরি-ডাকাতি, সূদ-ঘুষ, যিনা-ব্যভিচার ও মরা মানুষের
পঁচা গোশত খাওয়ার চেয়েও মারাত্মক ও নিকৃষ্ট।
গীবত (الغِيْبَةُ) আরবী শব্দ। যার আভিধানিক অর্থ হলঃ পরনিন্দা করা, দোষচর্চা করা, কুৎসা রটনা, পেছনে সমালোচনা করা, দোষারোপ করা, কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষগুলো অন্যের সামনে তুলে ধরা।
কুরআনে হাকীমে গীবত
সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ
وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ
أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ
আর তোমাদের কেউ কারোর গীবত করবে না। তোমাদের কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে? নিশ্চয় তোমরা তা ঘৃণা করবে। (সূরা আল হুজুরাতঃ ১২)
হাদীসে গীবতের সংগা
প্রদান করা হয়েছে এভাবেঃ
وعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ: أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟ قَالُوا:
اللَّهُ ورَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ، قِيلَ:
أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ: إِنْ كَانَ فِيهِ مَا
تَقُولُ فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وإِنْ لَمْ يَكُنْ فيه فَقَدْ بَهَتَّهُ
হযরত আবু হুরায়রা
রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বললেনঃ তোমরা কি জান গীবত কি? লোকেরা বললঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা. ভাল
জানেন। তখন তিনি বললেনঃ তোমার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার কথা এমনভাবে বলা, যা সে জানতে পারলে অপছন্দ
করত। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলোঃ যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে ঐ দোষ থেকে থাকে তাহলেও কি তা গীবত
পর্যায়ভূক্ত হবে? তিনি জবাব দিলেনঃ যদি তার মধ্যে ঐ দোষ থেকে থাকে এবং তুমি তা বর্ণনা করে থাক, তাহলে তুমি গীবত করলে। আর
যদি তার মধ্যে ঐ দোষ না থেকে থাকে তাহলে তুমি গীবত থেকে আরো এক ধাপ অগ্রসর হয়ে তার
উপর মিথ্যা দোষারোপ করলে। (মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলমানের জান-মাল, ইজ্জত-আবরু অন্য মুসলমানের জন্য হারাম।
সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী
রাহি. গীবত সম্পর্কে আলোচনা করেছেন
তার ইসলামী আন্দোলন সাফল্যের শর্তাবলী বইতে। সেখানে তিনি বলেছেনঃ
১. কোন ব্যক্তিকে লাঞ্ছিত ও
হয়ে প্রতিপন্ন করা এবং লাঞ্ছনা দেখে মনে আনন্দ অনুভব করা বা তা থেকে নিজে লাভবান হবার
জন্যে তার অসাক্ষাতে তার দূর্নাম করার নাম গীবত।
২. যদি কারো দূর্নাম করার নিয়ত
শামিল না থাকে এবং কোন মজলুম যদি অভিযোগ করে, তখন কুরআন তার অনুমতি প্রদান করে।
لَّا يُحِبُّ اللَّهُ الْجَهْرَ بِالسُّوءِ
مِنَ الْقَوْلِ إِلَّا مَن ظُلِمَ
আল্লাহ অসৎ
কাজ সম্পর্কে কথা বলা পছন্দ করেন না, তবে যদি কারোর উপর জুলুম হয়ে থাকে। (সূরা আন নিসাঃ ১৪৮)
৩. মেয়ে বিয়ে দেয়া বা ব্যবসা
করার ক্ষেত্রে কারো সাথে পরামর্শ করা হলে, তাহলে কল্যাণ কামনার নিয়তে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির
সত্যিকার দোষ বর্ণনা করা শুধু বৈধ নয় অপরিহার্য। হাদীসে রয়েছেঃ হযরত ফাতেমা বিনতে কায়েসের
নিকট দুই ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে বিষয়টি নিয়ে তিন রাসূল সা. এর সাথে পরামর্শ
করেন। রাসূল সা. ফাতেমাকে হুশিয়ার করে দেন যে, তাদের মাঝে একজন অভাবী এবং অন্যজন স্ত্রীকে
প্রহার করতে অভ্যস্ত।
৪. অনির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী
থেকে হাদীসকে হেফাজত রাখার জন্য বর্ণনাকারীর দোষসমূহ বর্ণনা করা উলামায়ে কিরাম সর্বসম্মত
ভাবে বৈধ বলে ঘোষনা করেছেন।
৫. যারা মানুষের উপর প্রকাশ্যে
জুলুম করে, অনৈতিক ও ফাসেকী কাজের প্রসার ঘটায় এবং প্রকাশ্যে অসৎ কাজ করে বেড়ায়, তাদের গীবত করা বৈধ।
৬. গীবত করা হারাম এবং গীবত শোনাও গোনাহ। শ্রুতার দায়িত্ব হল গীবতকারীকে বাঁধা দেয়া। তা সম্ভব না হলে যারা গীবত করা হচ্ছে তাকে বাঁচানো। আর তা না হলে গীবতের মাহফিল তথা যে মাহফিলে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া হচ্ছে, সেখান থেকে উঠে যাওয়া।
খুররম জাহ মুরাদ রাহি. তার ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বইয়ে গীবতকে একটি ফেতনা হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
গীবতের কতিপয় পরিভাষাঃ
হাসান বাসরী
রাহি. বলেন, গীবতের তিনটি ধরণ আছে। যার প্রত্যেকটি আল্লাহর কিতাব কুরআনে হাকীমে উল্লেখ করা
হয়েছেঃ
১. গীবত-পরনিন্দাঃ গীবত হচ্ছে তোমার ভাইয়ের ব্যাপারে এমন কিছু দোষ-ত্রুটির কথা বলা, যা বাস্তবেই তার মাঝে বিদ্যমান
আছে।
২. ইফক-মিথ্যা রটনাঃ তোমার কাছে কারো দোষ-ত্রুটির ব্যাপারে যে সংবাদ পৌছেছে, সেটা বলে বেড়ানো বা যাচাই
না করে অন্যকে বলে দেয়া।
৩. বুহতান-অপবাদঃ রাসূলের উক্তি তোমার ভাইয়ের ব্যাপারে এমন কিছু বলা, যা তার মাঝে নেই।
গীবতের আরো
কিছু পরিভাষা আছে। যা পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। যেমনঃ
৪. নামীমাহ-চোগলখুরীঃ পরস্পরের মাঝে ফাসাদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একজনের কথা অরেকজনকে বলা। এটাকে নামীমাহ
বা চোগলখুরী বলা হয়।
ইবনু হাজার
রাহি. বলেন, অনেকে ইখতিলাফ করেন যে, গীবত ও নামীমাহ কি একই জিনিস নাকি ভিন্ন কিছু? এ ব্যাপারে সঠিক কথা হল উক্ত দুই পরিভাষার
মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
নামীমাহ হল ফাসাদ সৃষ্টি
করার মানসিকতা নিয়ে একজনের অপছন্দনীয় কথা অন্যকে বলে দেওয়া, সেটা জেনে হোক বা না জেনে
হোক। গীবত হল কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা, যা সে অপছন্দ করে। এখানে
সূক্ষ্ম পার্থক্য হলঃ নামীমাহ-তে দ্বন্দ্ব বা অশান্তি সৃষ্টি করার হীন উদ্দেশ্য
থাকে। কিন্তু গীবতে সেই উদ্দেশ্য নাও থাকতে পারে।
নামীমাহ ধরনগত
দিক থেকে গীবতের মতো হলেও ভয়াবহতার দিক দিয়ে এটা গীবতের চেয়েও মারাত্মক ও সমাজবিধ্বংসী
কর্মকান্ড। কেননা চোগলখুরীর মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলা, মারামারি, হানাহানি, হিংসা-বিদ্বেষ ও অশান্তির
দাবানল জ্বলে ওঠে।
৫. হুমাযাহ ও লুমাযাহঃ পবিত্র কুরআনের সূরা হুমাযাহ-তে এই দু’টি পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
হুমাযাহ শব্দের
অর্থ হলঃ সম্মুখে নিন্দাকারী। আর লুমাযাহ শব্দের
অর্থ হলঃ পিছনে নিন্দাকারী।
আবুল আলিয়াহ, হাসান বাছরী, রবী বিন আনাস, মুজাহিদ, আত্বা প্রমুখ বিদ্বান বলেনঃ
الْهُمَزَةُ: الَّذِي يَغْتَابُ وَيَطْعَنُ
فِي وَجْهِ الرَّجُلِ، وَاللُّمَزَةُ: الَّذِي يَغْتَابُهُ مِنْ خَلْفِهِ إِذَا
غَابَ
হুমাযাহ হলঃ
সেই ব্যক্তি, যে মানুষের মুখের উপর নিন্দা করে এবং দোষারোপ করে। আর লুমাযাহ হলঃ সেই ব্যক্তি
যে পিছনে তার অনুপস্থিতিতে নিন্দা করে।
৬. শাত্মঃ শাত্ম-এর অর্থ হলঃ তিরস্কার
করা, ভৎর্সনা করা, গালি দেওয়া, ব্যঙ্গ করা, কটূক্তি করা। অর্থাৎ সত্য কথার বিপরীতে কারো দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা, সেটা নিয়ে ঠাট্টা করা বা কটূক্তি
করাকে শাত্ম বলা হয়।
সাধারণ মানুষকে নিয়ে কটূক্তি করলে সেটা মহাপাপ। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সা. কে নিয়ে যদি কেউ কটূক্তি করে, তাহলে তাকে হত্যা করা অপরিহার্য। এ ব্যাপারে পৃথিবীর সকল মাযহাবের সকল আলেম একমত। রাসূলকে নিয়ে ব্যঙ্গকারীকে শাতিমুর রাসূল বলা হয়।
গীবতের মাধ্যম সমূহঃ
১. জিহবার মাধ্যমে
গীবত।
২. অন্তরের
মাধ্যমে গীবত।
৩. ইশারা-ইঙ্গিতের
মাধ্যমে গীবত।
৪. লেখার মাধ্যমে গীবত।
গীবতের প্রকারভেদঃ
১. হারাম গীবত।
২. ওয়াজিব গীবত।
৩. মুবাহ বা জায়েয।
গীবতের ধরণঃ
১. সৃষ্টিগত
শারীরিক গঠন বা অবয়বের গীবত।
২. চারিত্রিক
আচার-আচরণের গীবত।
৩. বংশের গীবত।
৪. পোষাক-পরিচ্ছেদের
গীবত।
৫. পরোক্ষ গীবত।
আসুন আত্মসমালোচনা
করি। গীবতের উপরোক্ত আলোচনা মনযোগ দিয়ে দেখলে আমরা এই কথায় একমত হতে বাধ্য যে, আমরা প্রতি নিয়ত ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে, সহীহ নিয়তে-বদ নিয়তে আমরা
কোন না কোন ভাবে গীবতে জড়িয়ে যাচ্ছি। তাই বিষয়টির প্রতি আমাদের নজর দেয়া দরকার। প্রতিদিনের
আত্ম সমালোচনায় আমি গত ২৪ ঘন্টায় কি কি গীবত করলাম, তার একটা খতিয়ান পর্যালোচনা করা দরকার।
সেই খতিয়ানের আলোকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাথে আমাদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ বাড়ানোর সাথে
সাথে কষ্টদায়ক কাফফারা তথা নফল রোযা ও সাদাকার কাফ্ফারার মাধ্যমে মাধ্যমে নিয়মিত ইসতিগফার
করা দরকার।
আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তায়ালা আমাদেরকে গীবত বিহীন নৈতিক জীবন দান করুন। আমীন।।
অন্যান্য আর্টিক্যাল সমূহ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
0 Comments