কুরআনের ভাষায় মালিকের প্রতি আবেদন – মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম


﴿أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ﴾﴿بِسْمِ اللهِ الْرَّحْمَنِ الْرَّحِيمِ﴾﴿الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ﴾﴿الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ﴾﴿مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ﴾﴿إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ﴾﴿اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ﴾﴿صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ﴾﴿غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ﴾

প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্যযিনি নিখল বিশ্বজাহানের রবযিনি পরম দয়ালু ও করুণাময়প্রতিদান দিবসের মালিক,আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করি এবং একমাত্র তোমারই কাছে সাহায্য চাই তুমি আমাদের সোজা পথ দেখাওতাদের পথ যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছযাদের ওপর গযব পড়েনি এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়নি (ফাতিহাঃ ১-৭)

﴿رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ﴾﴿رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ﴾

হে আমাদের রব! আমাদের এই খিদমত কবুল করে নাও তুমি সবকিছু শ্রবণকারী ও সবকিছু জ্ঞাত  হে আমাদের রব!আমাদের দুজনকে তোমার মুসলিম (নির্দেশের অনুগত) বানিয়ে দাও আমাদের বংশ থেকে এমন একটি জাতির সৃষ্টি করো যে হবে তোমার মুসলিম তোমার ইবাদাতের পদ্ধতি আমাদের বলে দাও এবং আমাদের ভুলচুক মাফ করে দাও তুমি বড়ই ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহকারী (বাকারাঃ ১২৭-১২৮)

﴿فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ ۚ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ﴾

কাজেই নিশ্চিন্ত হয়ে যাওতাদের মোকাবিলায় তোমাদের সহায়তার জন্য আল্লাহ-ই যথেষ্ট তিনি সবকিছু শুনেন ও জানেন (বাকারাঃ ১৩৭)

﴿الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُوا إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ﴾

এবং যখনই কোন বিপদ আসে বলেঃ আমরা আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর দিকে আমাদের ফিরে যেতে হবে। (বাকারাঃ ১৫৬)

﴿رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ﴾

হে আমাদের রব! আমাদের দুনিয়ায় কল্যাণ দাও এবং আখেরাতেও কল্যাণ দাও এবং আগুনের আযাব থেকে আমাদের বাঁচাও (বাকারাঃ ২০১)

﴿رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ﴾

হে আমাদের রব! আমাদের সবর দান করোআমাদের অবিচলিত রাখ এবং এই কাফের দলের ওপর আমাদের বিজয় দান করো। (বাকারাঃ ২৫০)

﴿رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ﴾

আল্লাহ কারোর ওপর তার সামর্থের অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা চাপান না  প্রত্যেক ব্যক্তি যে নেকী উপার্জন করেছে তার ফল তার নিজেরই জন্য এবং যে গোনাহ সে অর্জন করেছেতার প্রতিফলও তারই বর্তাবে (হে ঈমানদারগণতোমরা এভাবে দোয়া চাওঃ) হে আমাদের রব! ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা যেসব গোনাহ করে বসিতুমি সেগুলো পাকড়াও করো না হে প্রভু! আমাদের ওপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিয়ো নাযা তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলে হে আমাদের প্রতিপালক! যে বোঝা বহন করার সামর্থ আমাদের নেই , তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না আমাদের প্রতি কোমল হওআমাদের অপরাধ ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি করুণা করো তুমি আমাদের অভিভাবক কাফেরদের মোকাবিলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো (বাকারাঃ ২৮৬)

﴿رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ﴾

হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছিআমাদের গোনাহখাতা মাফ করে দাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের বাচাঁও (আলে ইমরানঃ ১৬)

﴿قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَن تَشَاءُ وَتَنزِعُ الْمُلْكَ مِمَّن تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَن تَشَاءُ ۖ بِيَدِكَ الْخَيْرُ ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ﴾

বলোঃ হে আল্লাহ ! বিশ্ব –জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্জিত ও হেয় করো কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত নিসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী (আলে ইমরানঃ ২৬)

﴿رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ﴾

হে আমার রব! তোমরা বিশেষ ক্ষমতা বলে আমাকে সৎ সন্তান দান করো তুমিই প্রার্থনা শ্রবণকারী’’ যখন তিনি মেহরাবে দাঁড়িয়ে নামায পড়ছিলেন (আলে ইমরানঃ ৩৮)

﴿رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ﴾

হে আমাদের মালিক! তুমি যে ফরমান নাযিল করেছআমরা তা মেনে নিয়েছি এবং রসূলের আনুগত্য কবুল করে নিয়েছি সাক্ষ্যদানকারীদের মধ্যে আমাদের নাম লিখে নিয়ো’’ (আলে ইমরানঃ ৫৩)

﴿رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ﴾

হে আমাদের রব ! আমাদের ভুল –ক্রুটিগুলো ক্ষমা করে দাও আমাদের কাজের ব্যাপারে যেখানে তোমরা সীমালংঘিত হয়েছেতা তুমি মাফ করে দাও আমাদের পা মজবুত করে দাও এবং কাফেরদের মোকাবিলায় আমাদের সাহায্য করো (আলে ইমরানঃ ১৪৭)

﴿حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ﴾

আমাদের জন্য আল্লাহ যথেষ্ট এবং তিনি সবচেয়ে ভালো কার্য উদ্ধারকারী। (আলে ইমরানঃ ১৭৩)

﴿رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ﴾﴿رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ﴾﴿رَّبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ﴾﴿رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدتَّنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ﴾

যে সমস্ত বুদ্ধিমান লোক উঠতেবসতে ও শয়নে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আকাশ ও পৃথিবীর গঠনাকৃতি নিয়ে চিন্তা- ভাবনা করেতাদের জন্য রয়েছে বহুতর নিদর্শন  (তারা আপনা আপনি ওঠেঃ) হে আমাদের প্রভু! এসব তুমি অনর্থক ও উদ্দেশ্যবিহীনভাবে সৃষ্টি করোনি বাজে ও নিরর্থক কাজ করা থেকে তুমি পাক-পবিত্র ও মুক্ত কাজেই হে প্রভু! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করো  তুমি যাকে জাহান্নামে ফেলে দিয়েছোতাকে আসলে বড়ই লাঞ্ছনা ও অপমানের মধ্যে ঠেলে দিয়েছো এবং এহেন জালেমদের কোন সাহায্যকারী হবে না হে আমাদের মালিক! আমরা একজন আহবানকারীর আহবান শুনেছিলাম তিনি ঈমানের দিকে আহবান করছিলেন তিনি বলছিলেনতোমরা নিজেদের রবকে মেনে নাও আমরা তার আহবান গ্রহণ করেছি  কাজেইহে আমাদের প্রভু! আমরা যেসব গোনাহ করছি তা মাফ করে দাও আমাদের মধ্যে যেসব অসৎবৃত্তি আছে সেগুলো আমাদের থেকে দূর করে দাও এবং নেক লোকদের সাথে আমাদের শেষ পরিণতি দান করো হে আমাদের রব! তোমরা রসূলদের মাধ্যেমে তুমি যেসব ওয়াদা করেছো আমাদের সাথেসেগুলো পূর্ণ করো এবং কিয়ামতের দিন আমাদের লাঞ্ছনার গর্তে ফেলে দিয়ো না নিসন্দেহে তুমি ওয়াদা খেলাপকারী নও (আলে ইমরানঃ ১৯১-১৯৪)

﴿رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا﴾

হে আমাদের রব ! এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাওযার অধিবাসীরা জালেম এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের কোন বন্ধু , অভিভাবক ও সাহায্যকারী তৈরী করে দাও (আন-নিসাঃ ৭৫)

﴿رَبَّنَا آمَنَّا فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ﴾

হে আমাদের রব ! আমরা ঈমান এনেছিসাক্ষদাতাদের মধ্যে আমাদের নাম লিখে নাও। (আল-মায়িদাহঃ ৮৩)

﴿إِن تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ ۖ وَإِن تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ﴾

এখন যদি আপনি তাদেরকে শাস্তি দেন তাহলে তারা তো আপনার বান্দা আর যদি মাফ করে দেন তাহলে আপনি পরাক্রমশালী ও জ্ঞানময় (আল-মায়িদাহঃ ১১৮)

﴿إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا ۖ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ﴾

আমি তো একনিষ্ঠভাবে নিজের মুখ সেই সত্তার দিকে ফিরিয়ে নিয়েছি যিনি যমীন ও আসমান সৃষ্টি করেছেন এবং আমি কখনো মুশরিকদের অন্তরভুক্ত নই (আল-আনআমঃ ৭৯)

﴿قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ﴾﴿لَا شَرِيكَ لَهُ ۖ وَبِذَٰلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ﴾

বলোআমার নামাযআমার ইবাদাতের সমস্ত অনুষ্ঠানআমার জীবন ও মৃত্যু সবকিছু আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্যযার কোন শরীক নেই এরি নির্দেশ আমাকে দেয়া হয়েছে এবং সবার আগে আমিই আনুগত্যের শির নতকারী (আল-আনআমঃ ১৬২-১৬৩)

﴿رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ﴾

হে আমাদের রব! আমরা নিজেদের ওপর জুলুম করেছি এখন যদি তুমি আমাদের ক্ষমা না করোএবং আমাদের প্রতি রহম না করোতাহলে নিসন্দেহে আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো (আল-আরাফঃ ২৩)

﴿الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَانَا لِهَٰذَا وَمَا كُنَّا لِنَهْتَدِيَ لَوْلَا أَنْ هَدَانَا اللَّهُ ۖ لَقَدْ جَاءَتْ رُسُلُ رَبِّنَا بِالْحَقِّ ﴾

প্রশংসা সব আল্লাহরই জন্যযিনি আমাদের এ পথ দেখিয়েছেন আমরা নিজেরা পথের সন্ধান পেতাম না যদি না আল্লাহ আমাদের পথ দেখাতেন্ আমাদের রবের পাঠানো রসূলগণ যথার্থ সত্য নিয়েই এসেছিলেন (আল-আরাফঃ ৪৩)

﴿رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ﴾

হে আমাদের রব! এ জালেমের সাথে আমাদের শামিল করো না (আল-আরাফঃ ৪৭)

﴿رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ﴾

হে আমাদের রব! আমাদের সবর দান করোএবং তোমার আনুগত্য থাকা অবস্থায় আমাদের দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নাও (আল-আরাফঃ ১২৬)

﴿رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِأَخِي وَأَدْخِلْنَا فِي رَحْمَتِكَ ۖ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ﴾

হে আমার রব! আমাকে ও আমার ভাইকে ক্ষমা করো এবং তোমার অনুগ্রহের মধ্যে আমাদের দাখিল করে নাওতুমি সবচাইতে বেশী অনুগ্রহকারী (আল-আরাফঃ ১৫১)

﴿حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ﴾

আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট তিনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই আমি তার ওপরই ভরসা করেছি এবং তিনি মহা আরশের অধিপতি (আত-তাওবাঃ ১২৯)

﴿رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُن مِّنَ الْخَاسِرِينَ﴾

হে আমার রব! যে জিনিসের ব্যাপারে আমার জ্ঞান নেই তা তোমার কাছে চাইবো- এ থেকে আমি তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি যদি তুমি আমাকে মাফ না করো এবং আমার প্রতি রহমত না করো তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যাবো (হুদঃ ৪৭)

﴿إِنِّي تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ رَبِّي وَرَبِّكُم ۚ مَّا مِن دَابَّةٍ إِلَّا هُوَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا ۚ إِنَّ رَبِّي عَلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ﴾

আমার ভরসা আল্লাহর ওপরযিনি আমার রব এবং তোমাদেরও রব তিনিই প্রতিটি প্রানীর ভাগ্যনিয়ন্তা নিসন্দেহে আমার রব সরল পথে আছেন (হুদঃ ৫৬)

﴿وَمَا تَوْفِيقِي إِلَّا بِاللَّهِ ۚ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ أُنِيبُ﴾

যাকিছু আমি করতে চাই তা সবই আল্লাহর তাওফীকের ওপর নির্ভর কর তাঁরি ওপর আমি ভরসা করেছি এবং সব ব্যাপারে তাঁরই দিকে রুজু করি (হুদঃ ৮৮)

﴿فَاللَّهُ خَيْرٌ حَافِظًا ۖ وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ﴾

অবশ্য আল্লাহ সবচেয়ে ভালো হেফাজতকারী এবং তিনি সবচেয়ে বেশী করুণাশীল (ইউসুফঃ ৬৪)

﴿قَالَ إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ وَأَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ﴾

আমি আমার পেরেশানি এবং আমার দুঃখের ফরিয়াদ আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে করছি না আর আল্লাহর ব্যাপারে আমি যতটুকু জানি তোমরা ততটুকু জানো না (ইউসুফঃ ৮৬)

﴿فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ﴾

হে আমার রব! তুমি আমাকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দান করেছো এবং আমাকে কথার গভীরে প্রবেশ করা শিখিয়েছো হে আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা! দুনিয়ায় ও আখেরাতে তুমিই আমার অভিভাবক ইসলামের ওপর আমাকে মৃত্যু দান করো এবং পরিণামে আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তরভূক্ত করো(ইউসুফঃ ১০১)

﴿رَبِّ اجْعَلْ هَٰذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَن نَّعْبُدَ الْأَصْنَامَ﴾

হে আমার রব! এ শহরকে নিরাপত্তার শহরে পরিণত করো এবং আমার ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তিপূজা থেকে বাঁচাও (ইব্রাহীমঃ ৩৫)

﴿رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِن شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ﴾

হে পরওয়ারদিগার! তুমি জানো যা কিছু আমরা লুকাই এবং যা কিছু প্রকাশ করি - আর  যথার্থই আল্লাহর কাছে কিছুই গোপন নেইনা পৃথিবীতে না আকাশে। (ইব্রাহীমঃ ৩৮)

﴿رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ﴾

হে আমার রব আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী করো এবং আমার বংশধরদের থেকেও (এমন লোকদের উঠাও যারা এ কাজ করবে) পরওয়ারদিগার! আমার দোয়া কবুল করো। (ইব্রাহীমঃ ৪০)

﴿رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ﴾

হে পরওয়াদিগার! যেদিন হিসেব কায়েম হবে সেদিন আমাকেআমার পিতামাতাকে এবং সমস্ত মুমিনদেরকে মাফ করে দিয়ো (ইব্রাহীমঃ ৪১)

﴿رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا﴾

হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া করোযেমন তারা দয়ামায়ামমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন (বনী ইসরাঈলঃ ২৪)

﴿رَّبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَل لِّي مِن لَّدُنكَ سُلْطَانًا نَّصِيرًا﴾

হে আমার পরওয়ারদিগার ! আমাকে যেখানেই তুমি নিয়ে যাও সত্যতার সাথে নিয়ে যাও এবং যেখান থেকেই বের করো সত্যতার সাথে বের করো এবং তোমার পক্ষ থেকে একটি কর্তৃত্বশীল পরাক্রান্ত শক্তিকে আমার সাহায্যকারী বানিয়ে দাও (বনী ইসরাঈলঃ ৮০)

﴿الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُن لَّهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ وَلَمْ يَكُن لَّهُ وَلِيٌّ مِّنَ الذُّلِّ ۖ وَكَبِّرْهُ تَكْبِيرًا﴾

সেই আল্লাহর প্রশংসাযিনি কোনো পুত্রও গ্রহণ করেননি তাঁর বাদশাহীতে কেউ শরীকও হয়নি এবং তিনি এমন অক্ষমও নন যেকেউ তাঁর সাহায্যকারী ও নির্ভর হবে আর তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করোচূড়ান্ত পর্যায়ের শ্রেষ্ঠত্ব (বনী ইসরাঈলঃ ১১১)

﴿رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا﴾

হে আমাদের রব ! তোমার বিশেষ রহমতের ধারায় আমাদের প্লাবিত করো এবং আমাদের ব্যাপার ঠিকঠাক করে দাও(কাহফঃ ১০) 

﴿فَهَبْ لِي مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا﴾

তুমি নিজের বিশেষ অনুগ্রহ বলে আমাকে একজন উত্তরাধিকারী দান করো। (মারইয়ামঃ ৫) 

﴿رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي﴾﴿وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي﴾﴿وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي﴾﴿يَفْقَهُوا قَوْلِي﴾﴿وَاجْعَل لِّي وَزِيرًا مِّنْ أَهْلِي﴾

হে আমার রব!  আমার বুক প্রশস্ত করে দাও আমার কাজ আমার জন্য সহজ করে দাও। এবং আমার জিভের জড়তা দূর করে দাওযাতে লোকেরা আমার কথা বুঝতে পারে  আর আমার জন্য নিজের পরিবার থেকে সাহায্যকারী হিসেবে নিযুক্ত করে দাও। (ত্বা-হাঃ ২৫-২৯) 

﴿رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا﴾

হে আমার পরওয়ারদিগার! আমাকে আরো জ্ঞান দাও (ত্বা-হাঃ ১১৪) 

﴿أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ﴾

আমি রোগগ্রস্ত হয়ে গেছি এবং তুমি করুণাকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ করুণাকারী(আম্বিয়াঃ ৮৩)

﴿لَّا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ﴾

তুমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেইপবিত্র তোমার সত্তাঅবশ্যই আমি অপরাধ করেছি (আম্বিয়াঃ ৮৭) 

﴿رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ﴾

হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একাকী ছেড়ে দিয়ো না এবং সবচেয়ে ভালো উত্তরাধিকারী তো তুমিই (আম্বিয়াঃ ৮৯) 

﴿رَبِّ احْكُم بِالْحَقِّ ۗ وَرَبُّنَا الرَّحْمَٰنُ الْمُسْتَعَانُ عَلَىٰ مَا تَصِفُونَ﴾

হে আমার রব! তুমি ন্যায়ের সাথে ফায়সালা করে দাও আর হে লোকেরা ! তোমরা যেসব কথা তৈরি করছো তার মুকাবিলায় আমাদের দয়াময় রবই আমাদের সাহায্যকারী সহায়ক (আম্বিয়াঃ ১১২) 

﴿رَبِّ فَلَا تَجْعَلْنِي فِي الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ﴾

তাহলে হে পরওয়ারদিগার ! আমাকে এ জালেমদের অন্তরভুক্ত করো না (আল-মু’মিনুনঃ ৯৪) 

﴿وَقُل رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ﴾﴿وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ﴾

আর দোয়া করো, ‘‘হে আমার রব! আমি শয়তানদের উস্কানি থেকে তোমার আশ্রয় চাই  এমনকি হে ! পরওয়ারদিগারসে আমার কাছে আসুক এ থেকেও তো আমি তোমার আশ্রয় চাই (আল-মু’মিনুনঃ ৯৭-৯৮) 

﴿رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ﴾

হে আমাদের রব !আমরা ঈমান এনেছি,আমাদের মাফ করে দাওআমাদের প্রতি করুনা করোতুমি সকল করুণাশীলের চাইতে বড় করুণাশীল। (আল-মু’মিনুনঃ ১০৯) 

﴿رَّبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ﴾

হে আমার রব! ক্ষমা করো ও করুণা করো এবং তুমি সকল করুণাশীলের চাইতে বড় করুণাশীল’’ (আল-মু’মিনুনঃ ১১৮) 

﴿رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا﴾﴿إِنَّهَا سَاءَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا﴾

হে আমাদের রব ! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের বাঁচাওতার আযাব তো সর্বনাশা আশ্রয়স্থল ও আবাস হি্সেবে তা বড়ই নিকৃষ্ট জায়গা (আল-ফুরক্বানঃ ৬৫-৬৬) 

﴿رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا﴾

হে আমাদের রব ! আমাদের নিজেদের স্ত্রীদের ও নিজেদের সন্তানদেরকে নয়ন শীতলকারী বানাও এবং আমাদের করে দাও মুত্তাকীদের ইমাম (আল-ফুরক্বানঃ ৭৪) 

﴿الَّذِي خَلَقَنِي فَهُوَ يَهْدِينِ﴾﴿وَالَّذِي هُوَ يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِ﴾﴿وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ﴾﴿وَالَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحْيِينِ﴾﴿وَالَّذِي أَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ﴾﴿رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ﴾﴿وَاجْعَل لِّي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ﴾﴿وَاجْعَلْنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ﴾

যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেনতারপর তিনিই আমাকে পথ দেখিয়েছেন  তিনি আমাকে খাওয়ান ও পান করান  এবং রোগাক্রান্ত হলে তিনিই আমাকে রোগমুক্ত করেন তিনি আমাকে মৃত্যু দান করবেন এবং পুনর্বার আমাকে জীবন দান করবেন  তাঁর কাছে আমি আশা করিপ্রতিদান দিবসে তিনি আমার অপরাধ ক্ষমা করবেন" (এরপর ইবরাহীম দোয়া করলোঃ) "হে আমার রব! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের সাথে শামিল কর আর পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে আমার সত্যিকার খ্যাতি ছড়িয়ে দিও এবং আমাকে নেয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত করো (আশ-শুয়ারাঃ ৭৮-৮৫) 

 ﴿الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي فَضَّلَنَا عَلَىٰ كَثِيرٍ مِّنْ عِبَادِهِ الْمُؤْمِنِينَ﴾

সেই আল্লাহর শোকর যিনি তাঁর বহু মুমিন বান্দার ওপর আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন (আন-নামলঃ ১৫) 

﴿رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ﴾

 হে আমার রব! আমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখোআমি যেন তোমার এ অনুগ্রহের শোকর আদায় করতে থাকি যা তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি করেছো এবং এমন সৎকাজ করি যা তুমি পছন্দ করো এবং নিজ অনুগ্রহে আমাকে তোমার সৎকর্মশীল বান্দাদের দলভুক্ত করো (আন-নামলঃ ১৯) 

﴿الْحَمْدُ لِلَّهِ وَسَلَامٌ عَلَىٰ عِبَادِهِ الَّذِينَ اصْطَفَىٰ ۗ آللَّهُ خَيْرٌ أَمَّا يُشْرِكُونَ﴾

প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং সালাম তার এমন সব বান্দাদের প্রতি যাদেরকে তিনি নির্বাচিত করেছেন (তাদেরকে জিজ্ঞাস কর) আল্লাহ ভাল অথবা সেই সব মাবুদরা ভাল যাদেরকে তারা তার শরিক করেছে? (আন-নামলঃ ৫৯)

﴿رَبِّ نَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ﴾

হে আমার রব! আমাকে জালেমদের হাত থেকে বাঁচাও" (আল-ক্বাসাসঃ ২১)  

﴿فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ﴾﴿وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ﴾﴿يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَيُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ وَكَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ﴾

কাজেই   আল্লাহর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করো    যখন তোমাদের সন্ধ্যা হয় এবং যখন তোমাদের সকাল হয়  আকাশসমূহে ও পৃথিবীতে তাঁর জন্যই প্রশংসা এবং (তাঁর মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করো) তৃতীয় প্রহরে এবং যখন তোমাদের কাছে এসে যায় যোহরের সময় তিনি জীবিত থেকে মৃত্যুকে বের করেন এবং মৃত থেকে জীবিত কে বের করে আনেন এবং ভূমিকে তাঁর মৃত্যুর পর জীবন দান করেন    অনুরূপভাবে তোমাদেরও (মৃত অবস্থা থেকে ) বের করে নিয়ে যাওয়া হবে (আর-রূমঃ ১৭-১৯)  

﴿رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ﴾

হে পরওয়ারদিগার! আমাকে একটি সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দাও(আস-সাফ্ফাতঃ ১০০)  

﴿سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ﴾﴿وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِينَ﴾﴿وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ﴾

তারা যেসব কথা তৈরি করছে তা থেকে পাক-পবিত্র তোমার রবতিনি মর্যাদার অধিকারী  আর সালাম প্রেরিতদের প্রতি এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রব্বুল আলামীনেরই জন্য (আস-সাফ্ফাতঃ ১৮০-১৮২)  

﴿قُلِ اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِي مَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ﴾

বলোহে আল্লাহআসমান ও যমীনের সৃষ্টিকর্তাদৃশ্য ও অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞানের অধিকারীতোমার বান্দারা যেসব বিষয়ে মতানৈক্য পোষণ করে আসছে তুমিই সে বিষয়ে ফায়সালা করবে (আয-যুমারঃ ৪৬) 

﴿غَافِرِ الذَّنبِ وَقَابِلِ التَّوْبِ شَدِيدِ الْعِقَابِ ذِي الطَّوْلِ ۖ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ إِلَيْهِ الْمَصِيرُ﴾

গোনাহ মাফকারীতাওবা কবুলকারীকঠোর শাস্তিদাতা এবং অত্যন্ত দয়ালু তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই সবাইকে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে  (গাফিরঃ ৩)  

﴿وَأُفَوِّضُ أَمْرِي إِلَى اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ﴾

আমি আমার ব্যাপারটা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিচ্ছি তিনি তাঁর বান্দাদের রক্ষক (গাফিরঃ ৪৪)  

﴿سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ﴾

পবিত্র সেই সত্তা যিনি আমাদের জন্য এসব জিনিসকে অনুগত করে দিয়েছেন তা না হলে এদের আয়ত্বে আনার শক্তি আমাদের ছিল না (আয-যুখরূফঃ ১৩)  

﴿سُبْحَانَ رَبِّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ﴾

আসমান ও যমীনের শাসনকর্তা আরশের অধিপতি এমন সমস্ত বিষয় থেকে পবিত্র যা এরা তার প্রতি আরোপ করে থাকে (আয-যুখরূফঃ ৮২)  

﴿رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِي فِي ذُرِّيَّتِي ۖ إِنِّي تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّي مِنَ الْمُسْلِمِينَ﴾

হে আমার রবতুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে যেসব নিয়ামত দান করেছো আমাকে তার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও আর এমন সৎ কাজ করার তাওফীক দাও যা তুমি পছন্দ করো  আমার সন্তানদেরকে সৎ বানিয়ে আমাকে সুখ দাও আমি তোমার কাছে তাওবা করছি আমি নির্দেশের অনুগত (মুসলিম) বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত (আল-আহক্বাফঃ ১৫)  

﴿رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ﴾

হে আমাদের রবআমাদেরকে এবং আমাদের সেই সব ভাইকে মাফ করে দাও যারা আমাদের আগে ঈমান এনেছে আর আমাদের মনে ঈমানদারদের জন্য কোন হিংসা-বিদ্বেষ রেখো না হে আমাদের রবতুমি অত্যন্ত মেহেরবান ও দয়ালু (আল-হাশরঃ ১০)

﴿رَّبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ﴾﴿رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ﴾

হে আমাদের রবতোমার ওপরেই আমরা ভরসা করেছিতোমার প্রতিই আমরা রুজু করেছি আর তোমার কাছেই আমাদের ফিরে আসতে হবে  হে আমাদের রবআমাদেরকে কাফেরদের জন্য ফিতনা বানিয়ে দিও না  হে আমাদের রবআমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দাও নিসন্দেহে তুমিই পরাক্রমশালী এবং জ্ঞানী। (আল-মুমতাহিনাহঃ ৪-৫)

﴿رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ﴾

হে আমাদের রবআমাদের জন্য আমাদের ‘নূর’ পূর্ণাঙ্গ করে দাও ও আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও তুমি সব কিছু করতে সক্ষম। (আত-তাহরীমঃ ৮)

﴿رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ﴾

হে আমার রবআমার জন্য তোমার কাছে জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে দাও আমাকে ফেরাউন ও তার কাজকর্ম থেকে রক্ষা করো  এবং জালেম কওমের হাত থেকে বাঁচাও (আত-তাহরীমঃ ১১)

﴿رَّبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا﴾

হে আমার রবআমাকেআমার পিতা-মাতাকে,যারা মু"মিন হিসেবে আমার ঘরে প্রবেশ করেছে তাদেরকে এবং সব মু"মিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করে দাও জালেমদের জন্য ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করো না (নূহঃ ২৮)

Post a Comment

0 Comments