প্রবাসের দান কি করে ভূলি – মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম

প্রবাসের গল্প বলতে হাড় ভাংগা খাটুনির বিবরণ। যেই বিবরণের সাথে আমার অভিজ্ঞতা প্রবাস জীবনে ঘটেনি বলে পাঠকদের কাছে উপভোগ্য কোন লিখা উপহার দেয়া মুশকিল।
প্রবাস মানে আপনজনের বিরহ ব্যাথ্যা-যা আমার জীবনের ১৯৮২ সালে স্বদেশে থাকা অবস্থাই শুরু। বিধায় এই বিষয়ে আমার কলম পাঠক উপযোগী করে লিখতে অক্ষম।
প্রবাস মানে প্রচুর পরিমাণে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশকে স্বনির্ভর করার ক্ষেত্রে গর্বিত পদক্ষেপ। কিন্তু সেই গর্বের গল্প শুনানোর পূঁজি আমার কাছে খুবই শুণ্য এজন্য যে প্রচুর পরিমাণের রেমিটেন্স পাঠানো আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠেনি।
প্রবাস মানে বড় ছেলের ত্যাগের শ্রম আর ঘাম ঝরা ইতিহাস-যা আমার ক্ষেত্রে ঘটেনি। কারণ আমি প্রবাসে এসে বড় ভাইয়ের হোটেলে ভর্তি হওয়া এক সুবিধাভোগী প্রবাসী।
প্রবাস মানে নিজের চিরচেনা জনপদ, প্রতিদিন বিকালে ডাকবাংলোর আড্ডা আর হাতে হাত রেখে কাঠালচাঁপার গন্ধ নেয়া-যে জিনিসটা প্রবাস জীবনে খুব হয়ে উঠেনি। প্রবাস মানে রাজপথ কাঁপানো মিছিল-এই বিষয়টা প্রবাসে কখনো হয়ে উঠেনা। প্রবাস মানে অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে জেল-জুলুম-হুলিয়া বা হামলা-মামলাকে নিত্যদিনের সাথী করে নেয়া-যা প্রবাসে কখনোই হয়ে উঠেনি। প্রবাস মানে সত্য ও সুন্দরের পথে অবিরাম পথ চলায় ছন্দপতন-যা আমার জীবনে কখনো হয়নি। বিধায় প্রবাসের গল্প লিখতে গিয়ে এই বিষয়ে কিছু স্মৃতি চারণ করি।
১৯৯৯ সালের ১৯শে মার্চ। কাতার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করলাম একটি নতুন পরিচয় নিয়ে-পরিচয় আমি একজন বাংলাদেশী প্রবাসী। কাতারের মাতার কাদিম এলাকায় বড় ভাইয়ের সাথে আবাস। বাসায় পৌছতে পৌছতে ভাইয়ের অনেক বন্ধদের সাথে পরিচয়-যারা সকলেই অভ্যর্থনা জানালেন অনেক দিনের পরিচিত একজন হিসাবে। তাদের সাথে পরিচয় থেকেই জানতে পারলাম তারা আমার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানেন। বাসায় পৌছার আগেই এমন এক জায়গায় পৌছলাম, যেখানে তরে তরে সাজানো রয়েছে আমার নিত্য দিনের সাথী বই গুলো-কুরআন, তাফসির, হাদীস এবং ইসলামী সাহিত্যের সমাহার।
১৯৯৯ সালের ১৯শে মার্চ থেকে আমি এক নির্ভেজাল প্রবাসী। প্রবাস জীবনের শুরুতে ঐতিহাসিক শিরিশতলা, ডাকবাংলো, কাঠালচাঁপার গন্ধ, সুরভী বই ঘর, নুরু, পুশি, আয়শা, শফি কত কিছুই না যন্ত্রনা দিতো। জীবনের দীর্ঘতম চিঠি গুলো লিখা হয়েছে এই প্রবাস জীবনেই। এক সময় সব ফিকে হয়ে গেছে। ২০১৭ সালের এই ক্ষণে প্রবাসের জীবনের গল্প লিখতে গিয়ে ভাবছি, প্রবাস আমাকে তো কত কিছুই দিলো। তার মাঝে উল্লেখ যোগ্য ১০টি বিষয় উল্লেখ করছিঃ
১. জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের সাথে একান্তে সময় কাঠানোর সুযোগঃশহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, শহীদ মীর কাশেম আলী, আল্লামা দিলাওয়ার হোসাঈন সাঈদী,  মরহুম আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ, মরহুম অধ্যাপক নাজির আহমদ, শ্রদ্ধেয় এটিএম আযহারুল ইসলাম, শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, শ্রদ্ধেয় আবু তাহের মুহাম্মদ মাসুম, শ্রদ্ধেয় ব্যরিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ আবু তাহের, শ্রদ্ধেয় জনাব আনম আব্দুজ জাহের, জনাব হামীদ হোসাঈন আযাদ, জনাব মুজিবুর রহমান মনজু সহ অনেক অনেক ব্যক্তিত্ব-যাদেরকে একান্ত কাছে থেকে দেখার সুযোগ হলো।
২. জ্ঞানের জগতে প্রবেশঃ প্রবাসে আসার আগে কুরআনের তাফসির বলতে তাফহীমুল কুরআনের পাশাপাশি জালালাইন, কাশশাফ আর বায়দ্বউয়ী ছাড়া আর কিছু পড়ার বা দেখার সুযোগ হয়নি। আর নিজেকে মনে হতো অনেক কিছু জানা একজন। কিন্তু প্রবাসে এসে মনে হলো জ্ঞানের জগতে এক শিশু। চলার বা বলার প্রয়োজনে সকলের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে বাধ্য হলাম পড়তে। জানার জন্য পড়া নয়, বরং জানার পাশাপাশি জানানোর উদ্দেশ্যে পড়া। আর তাই আমার নাম জানা এবং না জানা অনেক তাফসির গ্রন্থ পড়তে আমাকে বাধ্য হতে হলো। আর এ পড়ার মধ্য দিয়ে আমার কাছে এখন মনে হয়-আমি জ্ঞানের জগতে একজন শিশু মাত্র।
৩. আরবী ভাষায় প্রশিক্ষণ গ্রহণঃ দেশে থাকা অবস্থায় ১৮ বছরের ছাত্র জীবন শেষ করে যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করি, তখন মনে হয়েছিল আসলে ছাত্রজীবনের পড়ালেখাটা ভাল ভাবে করা হয়ে উঠেনি। এর পর কাতারে এসে মনে হলো আসলে ১৮ বছরের ছাত্রজীবনে কিছুই শিখিনি। কারণ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করলেও আমি আরবী বুঝিনা বা আরবীতে কিছু নিজের পক্ষ থেকে লিখতে পারিনা। ইংরেজী বরং তার চেয়ে বেশী বুঝি । কিন্তু তাও একদম না জানার মতোই। ৫ বছর কাতারে থাকার পর একটি সরকারী চাকুরী নিলাম। চাকুরীতে প্রবেশ করে দেখলাম আমি আরবী কিছুই শিখিনি। তাই বাধ্য হলাম কাতার সরকার পরিচালিত ল্যাংগুয়েজ ইন্সটিটিউটে ভর্তি হতে। ৬ মাসের এ্যারাবিক ডিপ্লোমা ডিগ্রি নিলাম ঐ ইন্সটিটিউট হতে। যা আমাকে আমার চাকুরী জীবনে এবং সাংগঠনিক জীবনে যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৪. ভালবাসার সাথে বসবাসঃ দেশে থাকতে যেমন একদল মানুষের সাথে আড্ডা ছিল, প্রবাসে এসে আড্ডার সেই সাথীরা না থাকলেও একই দৃষ্টিভংগী সম্পন্ন একদল বন্ধু জুটে গেলো। যাদের সাথে আত্মার পরিচয় থাকার কারণে বন্ধু হতে সময় গেলো খুবই কম। আর সেই বন্ধুদের পরিবেশে থাকার কারণে বাধ্য হয়ে ভাল থাকতে হলো। বন্ধুদের ভালবাসা এমন করে আমাকে ভাসিয়ে দিলো যে, আমি এখনো সেই ভালবাসায় ভাসছি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেই ভালবাসাটাকে নাম দিয়েছি “সত্য ও সুন্দরের পথে অরিরাম পথ চলা”।
৫. গ্লোবাল ভিলেজে ভ্রমণঃ একটি পরিবেশে থাকার কারণে কম্পিউটার, ইন্টারনেট, অনলাইন, ফেইসবুক ইত্যাদি সম্পর্কে অবগত হতে সময় লেগেছে কম। তার কারণে অনলাইনের পুরো ফায়দাটা আমি ভোগ করেছি। যার কারণে দুনিয়ার অনেক বন্ধুদের সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে। অনেক বন্ধুরা আমার লেখার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ভালবেসেছেন। অনলাইনে সত্য ও সুন্দরের প্রচারের ক্ষেত্রে সাধ্যমতো সকল চেষ্টা রেখেছি।
৬. রোজাগারঃ প্রবাস জীবনে কষ্ট বলতে কি বস্তু, তা বুঝার সুযোগ আমার হয়নি। প্রবাস জীবনে আমি কোনদিন কোন দোকান থেকে বাকীতে খরচ নেয়ার প্রয়োজন যেমন হয়নি, প্রবাস জীবনে আমি ২শ বা ৫শ রিয়ালের সমস্যায় কখনো পড়িনি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার এই বান্দার যখন যা প্রয়োজন তখন তা দিয়েছেন। এখন যা দিচ্ছেন, তা অনেকের চেয়ে ভাল। কিন্তু আল্লাহ আংগুল ফুলিয়ে কলাগাছ যেমন বানাননি, তেমনি অঢেল সম্পত্তির মালিক আমাকে বানাননি। যাকে বউ করে গ্রহণ করেছি, তার অংক অনুযায়ী আমি কিছু করতে পারিনি। আর আমার অংক অনুযায়ী আমি যা প্রয়োজন তার সব করেছি। প্রবাস জীবনের শুরুতে প্রায় ৯মাস বেকার থাকলেও অর্থ কষ্টে ভূগিনি। প্রবাস জীবনের প্রথম ৫টি বছর এমন একটি জায়গায় ডিউটি করেছি, যেখানে বিদ্যুৎ ছিলনা, এসি ছিলনা। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম যাকে বলা হয়। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি ঐ সময়টা আমার প্রবাস জীবনের শ্রেষ্ট সময়।
৭. সময়ের সদব্যবহারঃ প্রবাসের জীবনে এসে জীবনটাকে একটা নিয়মের অধীনে এবং জবাবদিহীতার গন্ডিতে কাঠানোর সুযোগ হয়। প্রবাসে এসে দেখি আমারই পাশের রুমে অনেক ভাই অবসর সময়টাকে অহেতুক আড্ডায় ব্যয় করেন। বিশেষ করে বিকাল থেকে রাত অবধি তাস খেলাতে ব্যস্ত থাকেন। আমার এক অতি আদরের জন জিনিসটাকে মুনাজাত বলে থাকেন (তাস খেলার সময় দুই হাতে তাস এমন ভাবে ধরে রাখেন, মনে হয় যেন মুনাজাত করছেন)। আরেকটা বিরাট অংশ ব্যস্ত থাকেন ফিলিম দেখার অপকর্মে। আমার সূভাগ্য যে, প্রবাস জীবনের শুরুর দিন থেকে আমি এমন একটা পরিবেশে বড় হয়েছি যে, আমাকে কোন খারাপ কাজ করার মতো সুযোগ পাওয়া মুশকিল ছিল, জামায়াত ছাড়া একা একা নামায পড়াটা খুবই কঠিন ছিল। ফলে একটা সম্মাণ জনক পরিবেশে থাকতে থাকতে এক সময় সকলের মাঝে নিজেকে মুরব্বী হিসাবে আবিস্কার করি। এই আবিস্কারের কাহিনীর পিছনে ব্যস্ততা নামক জিনিসটা আগলে রাখে আমাকে সব সময়। বিধায় বেকার সময় ব্যয় করার মতো সময় আমার কাছে খুব কমই থাকে। শত ব্যস্ততার মাঝে ডিউটি, ব্যবসা, পরিবার, সামাজিকতা এবং আত্মার আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ সব মিলিয়ে সময়টাকে মেপে মেপে ব্যবহার করতে হয়েছে বা হচ্ছে। বিধায় বাধ্য হয়ে সময়টাকে একটি সুনিঁপুন পরিকল্পনার অধীনে ব্যয় করতে হয়েছে। আর সেই কারণে কাজকে সমন্নয় করতে হয়েছে। এই সময়টাকে সমন্বয় করতে করতে এখন আমার একটি বিশ্বাস হয়েছে যে, আমাদের কাছে প্রচুর সময় আছে। আমরা ইচ্ছা করলে অনেক কাজ করতে পারি এবং পৃথিবীতে এমন কোন কাজ নাই, যা করার জন্য সময়ের অভাব বলতে হবে। কিন্তু আপনাকে আমাকে সমন্বয়ে অভ্যস্ত হতে হবে। আমি আমার জীবনে “আমাদের সীমাহীন ব্যস্ততা ও সাংগঠনিক কাজের সমন্বয়” বিষয়ে আলোচনায় বিষয়টির প্রতি বিস্তারিত ‍দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
৮. স্বজন হারানোর বেদনাঃ প্রবাস জীবনে দূঃখ বলতে খুব নেই। পাওয়ার পাল্লাটাই ভারী। তবে প্রবাসের কিছু বেদনা আছে, যা প্রায় প্রতিটি প্রবাসীর ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। আর তা হলো স্বজন হারানোর বেদনা। কাতারে অবস্থানরত অবস্থায়ই মাথার ‍উপরের দূ’টি ছাতা আমারে পরিবারের ভ্রাতৃত্বের মাঝে ঐক্যের সেতু আমাদের আব্বা এবং আম্মাকে হারাতে হয়েছে।  তারা অসুস্থ অবস্থায় ভিন্ন সময়ে একই হাসপাতালে ইনতিকাল করেন। কিন্তু তখন আমরা কেউ তখন কাছে ছিলাম না। দূ’জনারই মৃত্যুর সময়ে আমি এবং আমরা কেউ কাছে থাকার সুযোগ হয়নি। অবশ্য তাদের ইনতিকালের খবর শুনে তাদের জানাযায় অংশ নিয়েছি এবং আমার আব্বা আম্মার ওসিয়াত অনুযায়ী তাদের জানাযার নামাজে ইমামতি করেছি।
৯. আল্লাহর ঘরের সাক্ষাতে বারবারঃ প্রবাস জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা হচ্ছে বারবার আল্লাহর ঘরের সাক্ষাতের সুযোগ। কাতার থেকে অত্যন্ত কম খরচে মক্কা মদীনা যাবার সুযোগ থাকায় আল্লাহর এই বান্দাটি বারবার এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পেরেছি। হজ্জ উপলক্ষে ২বার আর উমরাহ-এর জন্য ৬বার আল্লাহর ঘরের সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ হলো। সুযোগ হলো রাসূলের রাওজার পাশে গিয়ে আস্সালাতু আস্সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহ বলার। সাথে মক্কা মদীনার ঐতিহাসিক স্থান গুলো ভিজিট করার বিষয়টাতো রয়েছেই। এ ধরণের সুযোগেই অত্যন্ত সুহৃদ ব্লগার জনাব শাহাদাত নবীনগরীর সাথেও সাক্ষাৎ মিলে মদীনার মসজিদে নব্বীতে দুই দুইবার। তার সীমাহীন আন্তরিকতা ও আথিতেয়তা আমাগে মুগন্ধ করেছে। উমরাহর একটি সফরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী বাংলাভাষী ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের সাথে সাক্ষাতের দূর্লভ সুযোগও হয়-যা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। একবার নিজস্ব প্রাইভেট কার নিয়ে উমরাতে যাওয়ার সুযোগ হওয়াতে তায়েফের রক্তমাখা ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত স্থানটিও দেখার সুযোগ হয়। সুযোগ হয় ঐতিহাসিক হুদায়বিয়া ও বদরের প্রান্তর দেখার।
১০. টেনশনমুক্ত জীবনঃ প্রবাসে আসার ফলে প্রাপ্ত একটি পরিবেশ আমার বিশ্বাসকে পরিবর্তন করে দেয়। রিযক, সুখ-দূঃখ, ব্যাথ্যা-বেদনা, পাওয়া বা না পাওয়া, বিপদ-আপদ ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে এসেছে দৃষ্টিভংগীর বিরাট পরিবর্তন। যার কারণে প্রচূয্যের পাহাড় গড়ার স্বপ্নটা থেকে নিজে পুরোই মুক্ত রাখতে পেরেছি। দিন আনতে পান্থা ফুরাবে-এমন অবস্থা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই। তবে অধিক প্রচূর্য যেন মালিকের গোলামী হতে আমাকে গাফেল করে না দেয়-সেজন্য রবের সাহায্য চাই।
তাছাড়াও প্রবাস আমাকে আরো অনেক কিছুই দিয়েছে। প্রবাসী থাকতে থাকতে প্রবাসের জীবনের সাথে যেমন মানিয়ে উঠেছি, দেশের জীবনের সাথে একদম বেমানান হয়ে উঠেছি। প্রবাস এখন আমার স্থায়ী আবাস, আর আবাসটা হয়ে গেছে ক্ষনিকের। বিদেশ আমার সকল কিছু হয়ে উঠিছে, দেশ হয়ে উঠেছে যেন অতিথির।

Post a Comment

1 Comments

Unknown said…
জাযাকাল্লাহ্!ধন্যবাদ আপনার দীর্ঘ প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করার জন্য।