প্রশ্নঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির পরে আর খায়বার বিজয়ের পূর্বে ঈমান গ্রহণ করেন, আল্লাহর রাসূলের এমন একজন প্রসিদ্ধ সাহাবী কে? সূরা জুমুয়ার তাফসীরের আলোকে জবাব দিন।
উত্তরঃ হযরত আবু হুরায়রা রা.
প্রশ্নঃ আল্লাহর রাসূলের প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রা. কখন ইসলাম কবুল করেন?
উত্তরঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির পরে এবং খায়বার বিজয়ের পূর্বে।
প্রশ্নঃ আল্লাহর রাসূল সা. কর্তক বিজয় লাভ করা ইহুদীদের সর্বশেষ দূর্গ কোনটি ছিল?
উত্তরঃ খায়বার।
প্রশ্নঃ রাসূল সা. এর হিজরতের কতদিন পরে জুমুয়ার নামায কায়েম হয়?
উত্তরঃ হিজরতের ৫ম দিনে।
প্রশ্নঃ একদা জুমুয়ার দিনে নবী সা. খুতবা দেয়ার সময় একটি বানিজ্য কাফেলা আসলে তাদের ঢোল-বাদের আওয়াজে সবাই মসজিদে নব্বী থেকে বেরিয়ে পড়লেন। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন লোক বের হলেন না। ওদের সংখ্যা কত ছিল?
উত্তরঃ ১২ জন।
প্রশ্নঃ জুময়ার দিনে যখন আযান দেয়া হয়, তখন ঈমানদারের কাজ কি?
উত্তরঃ সব কাজ বন্ধ রেখে আল্লাহ যিকিরের দিকে ধাবিত হওয়া।
প্রশ্নঃ রাসূল সা. এর ব্যক্তি সত্তা, গুণাবলী ও কার্যকলাপে রিসালাতের স্পষ্ট নিদর্শন দেখা সত্তে¡ও কেন তাঁকে অস্বীকার করেছিল?
উত্তরঃ নিজ জাতি ও বংশের বাহিরে আর কারো রিসালাত মেনে নেয়া তাদের কাছে অপছন্দনীয় ব্যাপার ছিল।
প্রশ্নঃ “আমাদের কাছে যা কিছু এসেছে আমরা কেবল তাই মানব” এই উক্তি কারা করতো?
উত্তরঃ আরবের ঐসব ইহুদীরা যারা রাসূল সা. এর রেসালাত অস্বীকার করেছিল।
প্রশ্নঃ কোন অইসরাঈলী নবীর মাধ্যমে আল্লাহর পক্ষ থেকেও কোন শিক্ষা এসে থাকলে তা মেনে নিতে কারা প্রস্তুত ছিলনা?
উত্তরঃ ইহুদীরা।
প্রশ্নঃ ফেভারিটিজম (ঋধাড়ঁৎরঃরংস) অর্থ কি?
উত্তরঃ পক্ষপাতিত্বমূলক।
প্রশ্নঃ العزيز الحكيم এখানে আজীজ মানে মহাপরাক্রমশালী আর হাকীম মানে জ্ঞান ময়। পরাক্রমশালী বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ পরাক্রমশালী মানে তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করে কেউ জয়লাভ করতে পারেনা।
প্রশ্নঃ العزيز الحكيم এখানে আজীজ মানে মহাপরাক্রমশালী আর হাকীম মানে জ্ঞান ময়। জ্ঞানময় বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ জ্ঞানময় বলতে বুঝানো হয়েছে যে, আল্লাহ যা কিছু করেন, বুদ্ধি, বিবেক ও প্রজ্ঞার দাবীও হুবহু তাই।
প্রশ্নঃ “গোয়েম” একটি ইব্রিয় শব্দ। এর কুরআনিক সমার্থক শব্দ কি?
উত্তরঃ উম্মি।
প্রশ্নঃ ইংরেজী বাইবেলে এবহঃরষবং শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে কাদের বুঝাতে?
উত্তরঃ অ-ইহুদী বা অ-ইসরাঈলীদের বুঝানোর জন্য।
প্রশ্নঃ “তিনিই মহান সত্তা যিনি উম্মীদের মধ্যে তাদেরই একজনকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন যে তাদেরকে (১) তাঁর আয়াত শুনায়, তাদের (২) জীবনকে সজ্জিত ও সুন্দর করে এবং তাদেরকে (৩) কিতাব ও (৪) হিকমাত শিক্ষা দেয়।” আয়াতের অনুবাদে উল্লেখিত ৪টি বৈশিষ্টের কথা কুরআনের কয়টি স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে? এবং তা কি কি?
উত্তরঃ ৪টি। ১. সূরা বাকারাঃ ১২৯, ২. সূরা বাকারাঃ ১৫১ , ৩. সূরা আলে ইমরানঃ ১৬৪, সূরা জুমুয়াঃ ২।
প্রশ্নঃ “যাদেরকে তাওরাতের বাহক বানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা তা বহন করেনি।” এই আয়াতাংশে ২টি অর্থ। একটি সাধারণ অর্থ অপরটি বিশেষ অর্থ। সাধারণ অর্থটি কি?
উত্তরঃ যাদের উপর তাওরাতের জ্ঞান অজর্ন, তদনুযাযি আমল এবং তাওরাতে অনুসারে দুনিয়াকে পথপ্রদর্শনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তারা তাদেও দায়িত্ব বুঝেনি এবং তার হকও আদায় করেনি।
প্রশ্নঃ “যাদেরকে তাওরাতের বাহক বানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা তা বহন করেনি।” এই আয়াতাংশে ২টি অর্থ। একটি সাধারণ অর্থ অপরটি বিশেষ অর্থ। বিশেষ অর্থটি কি?
উত্তরঃ তাওরাতের ধারক বাহক গোষ্ঠী হওয়ার কারণে যাদের কাজ ছিল সবার আগে অগ্রসর হয়ে রাসূলকে সাহাড্য করা। কিন্ত তারা তারঁ শত্রæতা ও বিরোধীতা করেছে। তারা তাওরাতের শিক্ষার দাবী পুরণ করেনি।
প্রশ্নঃ সূরা জুমুয়াতে এক জায়গায় উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে যে, “তাদের উপমা সেই সব গাধা, যা বই পুস্তক বহন করে”। প্রশ্ন হলোঃ উদাহরণ যাদের নিয়ে দেয়া হলো, তারা কোন কিতাবের ধারক ছিল?
উত্তরঃ তাওরাত।
প্রশ্নঃ কুরআনের আয়াতাংশ قُلۡ يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ هَادُوۡۤا -এর দুই ধরনের অর্থ আছে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. হে ইহুদী হয়ে যাওয়া লোকগন। ২. যারা ইহুদীবাদ গ্রহণ করেছো।
প্রশ্নঃ বনী ইসরাঈল বলা হয় হযরত ইয়াকুব আ. এর বংশধরদের। তাহলে ইয়াহুদীরা কার বংশধর বা কার অনুসারী?
উত্তরঃ ইয়াকুব আ. এর ৪র্থ পুত্র ইয়াহুদার বংশধর বা অনুসারী।
প্রশ্নঃ ঈযড়ংবহ চবড়ঢ়ষব অর্থ কি? কারা নিজেদেরকে ঈযড়ংবহ চবড়ঢ়ষব মনে করে।
উত্তরঃ ঈযড়ংবহ চবড়ঢ়ষব অর্থ “বাছাই করা সৃষ্টি”। ইহুদীরা নিজেদেরকে ঈযড়ংবহ চবড়ঢ়ষব মনে করে।
প্রশ্নঃ “আর তোমাদের এ ধারণার ক্ষেত্রে তোমরা যদি সত্যবাদী হয়ে থাকো, তাহলে মৃত্যু চেয়ে নাও।” কুরআনের এই কথা কাদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে? মুসলমানদের, না কাফেরদের, না মুশরিকদের, না ইহুদীদের?
উত্তরঃ ইহুদীদের।
প্রশ্নঃ اِنَّ الۡمَوۡتَ الَّذِىۡ تَفِرُّوۡنَ مِنۡهُ فَاِنَّهٗ مُلٰقِيۡكُمۡ এই আয়াতাংশের বাংলা অর্থ কি?
উত্তরঃ “যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাচ্ছে, তা তোমাদের কাছে আসবেই”।
প্রশ্নঃ يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِىَ لِلصَّلٰوةِ مِنۡ يَّوۡمِ الۡجُمُعَةِ فَاسۡعَوۡا اِلٰى ذِكۡرِ اللّٰهِ وَذَرُوۡا الۡبَيۡعَ এ আয়াতের বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করার মতো ৩টি বিষয় আছে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. নামাযের জন্য ঘোষনা দেয়া। ২. এমন নামাযের জন্য ঘোষনা দেয়া যা কেবলমাত্র জুমুয়ার দিনেই পড়তে হয়। ৩. নামাযের ঘোষনা আর জুমুয়ার দিনের বিশেষ নামায দূ’টিই আগে থেকে চালু ছিল।
প্রশ্নঃ يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِىَ لِلصَّلٰوةِ مِنۡ يَّوۡمِ الۡجُمُعَةِ فَاسۡعَوۡا اِلٰى ذِكۡرِ اللّٰهِ وَذَرُوۡا الۡبَيۡعَ এ আয়াতের বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করার মতো ৩টি বিষয় আছে। ঐ ৩টি বিষয় বিষয় গভীর ভাবে চিন্থা করলে মৌলিক ও বাস্তাবতা অকাট্যভাবে একটি কথাকে প্রমাণ করে। তা কি?
উত্তরঃ আল্লাহ তায়ালা রাসূল সা. কে এমন কিছু নির্দেশও দিতেন, যা কুরআনের মধ্যে নেই। এবং সেই সব নির্দেশও কুরআনের নির্দেশাবলীর মতো অবশ্য পালনীয়।
প্রশ্নঃ নামাযের জন্য আযান দিতে হবে এটা কি কুরআনের নির্দেশ? আযান বিষয়ে কুরআনে কয়টি স্থানে আলোচনা এসেছে এবং তা কোথায়?
উত্তরঃ না কুরআনের আযান দেয়ার নির্দেশ নাই। আযান বিষয়ে কুরআনে ২টি স্থানে আলোচিত হয়েছে। আর তা হলোঃ সূরা জুমুয়া এবং সূরা মায়িদা।
প্রশ্নঃ জুমুয়ার দিনকে জাহেলী যুগে কি বলা হতো?
উত্তরঃ ইয়াওমে আরুবা।
প্রশ্নঃ ইহুদী জাতি শনিবারকে ইবাদতের দিন হিসাবে নির্দিষ্ট করেছিল। কিন্তু শনিবার করার কি কারণ ছিল?
উত্তরঃ কারণ ঐ দিনেই বনী ইসারাঈল জাতিকে ফেরাউনের গোলামী থেকে মুক্তি দেন।
প্রশ্নঃ খৃষ্টানরা রবিবারকে সাপ্তাহিক ইবাদতের দিন হিসাবে গ্রহণ করার কারণ কি?
উত্তরঃ কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল যে, ঈসা আ. ক্রুশবিদ্ধ হয়ে প্রাণ উৎসর্গ করার পর ঐ দিনেই কবর থেকে বেরিয়ে আসমানের দিকে গিয়ে ছিলেন।
প্রশ্নঃ কত খৃষ্টাব্দে কে রবিবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষনা করেন?
উত্তরঃ ৩২১ খৃষ্টাব্দে রোমান স¤্রাজ্য।
প্রশ্নঃ শনিবার বা রবিবারকে বাদ দিয়ে ইসলাম কেন জুমুয়ার দিনকে সামষ্টিক ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করেছে?
উত্তরঃ এই দূ’টি জাতি থেকে নিজ জাতিকে আলাদা করার জন্য।
প্রশ্নঃ নির্ভরযোগ্য বর্ণনামতে হিজরতের কিছু কাল পূর্বে জুমুয়ার নামায ফরয হওয়ার বিধান নাযিল হয়। কিন্তু হিজরতের পূর্বে রাসূল সা. তার উপর আমল করেননি। কিন্তু কেন?
উত্তরঃ কারণ তখন মক্কাতে সামষ্টিক কোন ইবাদত করার সম্ভব ছিল না।
প্রশ্নঃ জুমুয়ার নামায কে কোথায় এবং কতজন নিয়ে প্রথম আরম্ভ করেন?
উত্তরঃ হযরত মুসআব বিন উমাইর রা. মদীনাতে ১২জন সাহাবী নিয়ে।
প্রশ্নঃ রাসূল সা. কোন জায়গা থেকে ফেরার পথে প্রথম জুমুয়ার নামায পড়েন?
উত্তরঃ কুবা থেকে।
প্রশ্নঃ রাসূল সা. কুবা থেকে ফেরার পথে যে স্থানে এসে জুমুয়ার সময় হয় এবং প্রথম জুমুয়ার নামায আদায় করেন, সেই স্থানের নাম কি?
উত্তরঃ বনি সালেম ইবনে আওফের এলাকায়।
প্রশ্নঃ “জুমুয়ার দিন সূর্য যখন মাথার উপর থেকে পশ্চিম দিকে হেলে পড়বে তখন দুই রাকাআত নামাযের সাহায্যে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন কর।” এ উক্তিটি কার এবং কাকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে?
উত্তরঃ উক্তিটি রাসূল সা. এর। তিনি হযরত মুসআব বিন উমাইর রা. কে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে তা বর্ণনা করেন।
প্রশ্নঃ صلوة المسافر ركعتان، وصلوة الفجر ركعتان، وصلوة الجمعة ركعتان، تمام غير قصر على لسان نبيكم صلى الله عليه وسلم وإنما قصرت الجمعة لأجل الخطبة. উপরোক্ত উক্তিটি কার? এর বাংলা তরজমা কি?
উত্তরঃ উক্তিটি হযরত উমর রা. এর। আর অনুবাদ হলোঃ ‘তোমাদের নবী সা. এর মুখ নিসৃতবানী অনুসারে মুসাফিরের নামায দুই রাকাআত, ফজরের নামায দুই রাকাআত এবং জুমুয়ার নামায দুই রাকাআত। এটা কসর নয়, বরং পূর্ণ নামায। আর খোতবা থাকার কারণে জুমুয়ার নামায সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে”।
প্রশ্নঃ রাসূল সা. এর সময়ে জুমুয়ার নামাযের জন্য দুইবার আযান দেয়ার প্রচলন ছিলনা। তাহলে দুইবার আযান দেয়ার রীতি কখন থেকে চালু হয়?
উত্তরঃ হযরত উসমান রা. এর সময় থেকে।
প্রশ্নঃ রাসূল সা. এর সময়ে জুমুয়ার নামাযের জন্য দুইবার আযান দেয়ার প্রচলন ছিলনা। তাহলে বর্তমান প্রচলিত দুইবার আযানের মাঝে কোন আযানটি রাসূলের যুগে ছিল?
উত্তরঃ ইমাম মিম্বরে উঠে বসার পর যে আযান দেয়া হয়/দ্বিতীয় আযান।
প্রশ্নঃ রাসূল সা. এর সময়ে জুমুয়ার নামাযের জন্য দুইবার আযান দেয়ার প্রচলন ছিলনা। তাহলে দুই আযানের প্রচলন কেন হলো?
উত্তরঃ জনবসতি বৃদ্ধির কারণে।
প্রশ্নঃ সূরা জুমুয়াতে বলা হয়েছেঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ এখানে যিকির শব্দটির অর্থ কি?
উত্তরঃ খুতবা।
প্রশ্নঃ জুমুয়ার নামাযের পর রাসূল সা. প্রথম যে কাজটি করতেন, তা কি ছিল?
উত্তরঃ খুতবা।
প্রশ্নঃ “জুমুয়ার ফেরেশতাগন নামাযের জন্য আগমনকারী ব্যক্তির নাম তাদের আগমনের পরম্পরা অনুসারে লিখতে থাকেন। অতপর ইমাম যখন খোতবার জন্য দাঁড়ান, তখন তারা নাম লেখা বন্ধ করে দেন এবং যিকর শুনতে মনোনিবেশ করেন” এই বক্তব্য একটি হাদীসের অনুবাদ। হাদীসটি কে বর্ণনা করেছেন?
উত্তরঃ হযরত আবু হুরায়রা রা.
প্রশ্নঃ জুমুয়ার দিনে কাজের পরম্পরায় প্রথম আল্লাহ যিকির। দ্বিতীয়টি কি?
উত্তরঃ নামায।
প্রশ্নঃ “আল্লাহর যিকিরের দিকে ধাবিত হও” অর্থ দৌড়িয়ে আসা নয়। তাহলে কি অর্থ?
উত্তরঃ তাড়াতাড়ি সেখানে পৌছার চেষ্টা করো।
প্রশ্নঃ কোন একটি ফরয কেবলমাত্র কখন রহিত হয়?
উত্তরঃ যখন ঐ ফরযের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কোন ফরয তার স্থান পুরণ করে।
প্রশ্নঃ কেনা-বেচা করা হালাল কাজ। কিন্তু কখন তা হারা হয়ে যায়?
উত্তরঃ যখন জুমুয়ার নামাযের জন্য আযান দেয়া হয়।
প্রশ্নঃ জুমুয়ার দিনে যোহরের ফরয নামায রহিত হওয়ার কারণ কি?
উত্তরঃ কারণ তার পরিবর্তে জুমুয়ার নামায প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ বে-পরোয়া মানসিকতার কারণে পরপর তিনটি জুমুয়ার নামায পরিত্যাগ করলে কি হয়?
উত্তরঃ এমন ব্যক্তির দিলের উপর আল্লাহ মোহর মেরে দেন/ দিলকে মুনাফিকের দিল বানিয়ে দেন।
প্রশ্নঃ তুরস্কের মুস্তাফা কামাল তার চেতনাহীনতার মাত্রা অধিক হওয়ার কারণে কি কাজটি করেছিলেন?
উত্তরঃ জুমুয়ার দিনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে রবিবার দিনকে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করেন।
প্রশ্নঃ وَاذۡكُرُوۡا اللّٰهَ كَثِيۡرًا আয়াতাংশের অর্থ হলোঃ এবং অধিক মাত্রায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো। একথা দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ কাজ-কর্ম ও ব্যবসা-বানিজ্যে বস্ত হয়েও আল্লাহকে ভূলে যেওনা।
প্রশ্নঃ “মিসরে জামে” কি?
উত্তরঃ মিসরে জামে বলা হয় এমন শহরকে, যেখানে বাজার আছে, নিরাপত্তা ও শৃংখলা প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা আছে এবং তার জনবসতিও এত যে, যাদের উপর জুমুয়ার নামায ফরয তারা সবাই যদি ঐ শহরের সর্বাপেক্ষা বড় মসজিদে সমবেত হয়, তাহলে সেখানে স্থান সংকুলান হবেনা।
প্রশ্নঃ শহরের বাইরে বসবাসকারীদের জন্য কখন জুমুয়ার নামায পড়া ফরয?
উত্তরঃ যখন আযানের শব্দ তারা শুনতে পাবে/শহর থেকে সর্বোচ্চ ৬মাইল দূরে যারা অবস্থিত।
প্রশ্নঃ জুমুয়ার নামায সহীহ হবে না-এমন স্থানের বিবরণ দিন।
উত্তরঃ যেখানে সকলের অংশ গ্রহণের সাধারণ অনুমতি নাই। যেমন কোন বন্ধ জায়গা, যেখানে সবাই যাওয়ার অনুমতি নাই।
প্রশ্নঃ ইমাম আবু হানিফা রাহ. এর বর্ণনামতে জুমুয়ার নামায সহীহ হওয়ার জন্য কমপক্ষে কতজন লোক থাকা জরুরী?
উত্তরঃ ৩জন।
প্রশ্নঃ ইমাম শাফেয়ী রাহ. এর বর্ণনামতে জুমুয়ার নামায সহীহ হওয়ার জন্য কমপক্ষে কতজন লোক থাকা জরুরী?
উত্তরঃ ৪০ জন।
প্রশ্নঃ মালেকী মাযহাব অনুযায়ী জুমুয়ার নামায সহীহ হওয়ার জন্য কমপক্ষে কতজন লোক থাকা জরুরী?
উত্তরঃ ১২ জন।
প্রশ্নঃ ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ রাহ. এর মতে জানাযার নামায সহীহ হওয়ার জন্য ইমাম সহ কত লোক লোক থাকতে হবে?
উত্তরঃ ইমাম সহ ২জন।
প্রশ্নঃ যে সব কারণে জুমুয়ার নামায পড়া থেকে অব্যাহতি পাওয়া যায়, তা কি কি?
উত্তরঃ ১. সফরে থাকা। ২. এমন রুগ্ন হওয়া যে, নিজে হেঁটে মসজিদে পৌছতে অক্ষম। ৩. দূ’টি পা অক্ষম। ৪. অন্ধ। ৫. অত্যাচারীর পক্ষ থেকে জীবন, মান-ইজ্জতহানি বা আর্থিক ক্ষতির আশংকা। ৬. প্রচন্ড বৃষ্টি বা কাদা পানি থাকা। ৭. বন্দী থাকা।
প্রশ্নঃ কোন ধরণের মানুষের জন্য জুমুয়ার দিনে যোহরের নামায জামায়াতে পড়া মকরুহ?
উত্তরঃ কায়েদী বা অক্ষম মানুষ এবং এমন মানুষ যারা জুমুয়ার নামায পায়নি।
প্রশ্নঃ জুমুয়ার খোতবা সম্পর্কে তাফহীমূল কুরআনে যে ০৫টি পয়েন্ট বলা হয়েছে, তা কি কি?
উত্তরঃ ১. খোতবা জুমুয়ার নামায সহীহ হওয়ার একটি শর্ত। ২. খোতবা হতে হবে ২টি। ৩. খোতবা নামাযের আগে হতে হবে। ৪. ইমাম মিম্বরে উঠা থেকে নিয়ে খোতবা শেষ না হয়ো পর্যন্ত সকল ধরণের কথাবার্তা নিষিদ্ধ। ৫. খোতবা চলাকালীন সময়ে নামা না পড়া উচিত।
প্রশ্নঃ রাসূল সা. মসজিদে নব্বীতে খোতবা দিচ্ছেন। এমন সময় সিরিয়া থেকে একটি বানিজ্য কাফেলা আসলো। তাদের বাদ্যের আওয়াজে সকল মানুষ রাসূল সা.কে খোতবারত অবস্থায় রেখে ঐ কাফেরার দিকে চলে গেল। প্রশ্ন হচ্ছে মোট কতজন লোক কখন মসজিদ থেকে বের হলেন না? এবং বানিজ্য কাফেলার উদ্দেশ্যে লোকজন যে স্থানে গেল-সেই স্থানের নাম কি?
উত্তরঃ ১২জন লোক বের হলেন না। আর স্থানের নাম “বাকী”।
প্রশ্নঃ “তোমরা সবাই যদি চলে যেতে এবং একজনও অবশিষ্ট না থাকতো। তাহলে এ উপত্যকা আগুনের প্রবাহে প্লাবিত হয়ে যেতো।”- এই উক্তিটি রাসূল সা. এর। প্রশ্ন হলোঃ কাদেরকে উদ্দেশ্য করে রাসূল সা. এই উক্তিটি করেছিলেন?
উত্তরঃ রাসূল সা. মদীনার মসজিদে খোতবা দেওয়া অবস্থায় সকল মুসল্লি সিরিয়ান বানিজ্য কাফেলাকে দেখতে চলে যাওয়ার প্রেক্ষিত যে মাত্র ১২জন সাহাবী তখন যাননি, তাদের উদ্দেশ্য করে রাসূল সা. এই উক্তি করেন।
প্রশ্নঃ কোন পরিস্থিতির কারণে ১২জন ছাড়া সকল সাহাবীগন রাসূলের খোতবা না শুনে বানিজ্য কাফেলার দিকে গিয়ে ছিলেন?
উত্তরঃ কাফেরদের কর্তৃক মদীনা অবরোধের প্রেক্ষিতে মদীনায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপতে দূষ্প্রাপ্য হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে।
প্রশ্নঃ হযরত সালমান ফারসী রা. এর বর্ণনা মতে জুমুয়ার দিনের আমল গুলো করলে এক জুমুয়া থেকে পরবর্তী জুমুয়া পর্যন্ত কৃত সকল অপরাধ মাফ হয়ে যায়?
উত্তরঃ ১. গোসল করা। ২. নিজেকে পাক পবিত্র ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা। ৩. মাথায় তেল দেয়া। ৪. খোশবু ব্যবহার করা। ৫. দুইজন মানুষকে সরিয়ে দিয়ে তাদের মাঝে না বসা। ৬. সামর্থ অনুযায়ী নফল নামায পড়া। ৭. খোতবার সময় চুপ থাকা।
প্রশ্নঃ হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. এর বর্ণনামতে জুমুয়ার দিনের মুসলমানের কর্তব্যগুলো কি কি?
উত্তরঃ ১. গোসল করা। ২. দাঁত পরিষ্কার করা। ৩. উত্তম পোষাক পরিধান করা। ৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা।
প্রশ্নঃ ইমাম যখন খোতবা দেন, তখন যে ব্যক্তি কথা বলে তাকে কোন ধরণের গাধার সাথে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ এমন গাধা, যার পিঠে বই পুস্তকের বোঝা চাপানো আছে।
প্রশ্নঃ ক্রমিক নম্বর উল্লেখ পূর্বক যে কান ৩টি বাক্যের বাংলা অনুবাদ করুন-১. احسن الخالقيــن ২. خيــــر الغافــريــــن ৩. خير الحاكميــن ৪. خير الراحميــــن ৫. خير الناصريـــــن
উত্তরঃ ১. احسن الخالقيــن (সর্বোত্তম সৃষ্টিকর্তা)। ২. خيــــر الغافــريــــن (সর্বোত্তম ক্ষমাকারী)। ৩. خير الحاكميــن (সর্বোত্তম বিচারক)। ৪. خير الراحميــــن (সর্বোত্তম দয়ালু)। ৫. خير الناصريـــــن (সর্বোত্তম সাহায্যকারী)
0 Comments