অপরাধঃ
ইংরেজীতে যাকে বলে Crime, Delict, Offense,
Sin, Fault, Guilt, Misdemeanor
আরবীতে অপরাধের সমার্থক শব্দ- جريمة -জারিমাহ, جناية -জানায়াহ إجرام -ইজরাম, حماقة -হিমাক্বাহ
অপরাধ কি? কোন কাজ করতে গেলে বিবেক যাতে বাধা প্রদান করে তাই অপরাধ।
অপরাধের সংগাঃ যে সকল কর্ম আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সে সকল কর্ম সম্পাদন করার নাম অপরাধ।
আল কুরআনে جرم শব্দ এসেছে-৬৫ বার।
কুরআনের নির্দেশঃ অপরাধ করোনা-لا جرم শব্দটি কুরআনে এসেছে ৫বার।
﴿لَا
جَرَمَ أَنَّهُمْ فِي الْآخِرَةِ هُمُ الْأَخْسَرُونَ﴾
অর্থাৎঃ অনিবার্যভাবে আখেরাতে তারাই হবে সবচেয়ে ক্ষত্রিগ্রস্ত।(সূরা হুদ-২২)
﴿لَا جَرَمَ أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْتَكْبِرِينَ﴾
অর্থাৎঃ নিসন্দেহে আল্লাহ তাদের সমস্ত কার্যকলাপ জানেন, যা তারা গোপন করে এবং যা প্রকাশ করে৷ তিনি তাদেরকে মোটেই পছন্দ করেন না
যারা আত্মগরিমায় ডুবে থাকে।(সূরা আন নাহল-২৩)
وَيَجْعَلُونَ لِلَّهِ مَا يَكْرَهُونَ وَتَصِفُ
أَلْسِنَتُهُمُ الْكَذِبَ
أَنَّ لَهُمُ الْحُسْنَىٰ ۖ لَا جَرَمَ أَنَّ لَهُمُ النَّارَ وَأَنَّهُم
مُّفْرَطُونَ﴾
অর্থাৎঃ আজ এরা দুটি জিনিস আল্লাহর জন্য স্থির করছে যা এরা
নিজেদের জন্য অপছন্দ করে। আর এদের কণ্ঠ মিথ্যা উচ্চারণ করে যে, এদের জন্য শুধু মংগলই মংগল। এদের জন্য তো শুধু একটি জিনিসই আছে এবং তা
হচ্ছে দোযখের আগুন৷ নিশ্চয়ই এদেরকে সবার আগে তার মধ্যে পৌঁছানো হবে। (সূরা আন নাহল-৬২)
﴿لَا جَرَمَ أَنَّهُمْ فِي الْآخِرَةِ هُمُ الْخَاسِرُونَ﴾
অর্থাৎঃ নিসন্দেহে আখেরাতে এরাই ক্ষতিগ্রস্ত। (সূরা আন নাহল-১০৯)
﴿لَا جَرَمَ أَنَّمَا تَدْعُونَنِي
إِلَيْهِ لَيْسَ لَهُ دَعْوَةٌ فِي الدُّنْيَا وَلَا فِي الْآخِرَةِ وَأَنَّ مَرَدَّنَا إِلَى اللَّهِ وَأَنَّ الْمُسْرِفِينَ هُمْ أَصْحَابُ النَّارِ﴾
অর্থাৎঃ না, সত্য হচ্ছে এই যে, তোমরা যেসব জিনিসের দিকে আমাকে ডাকছো, তাতে না আছে
দুনিয়াতে কোন আবেদন না আছে আখেরাতে কোন আহ্বান৷ আমাদেরকে আল্লাহর দিকেই
ফিরে যেতে হবে। আর সীমালংঘনকারী আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে। এর ব্যতিক্রম হতে পারে না। (সূরা গাফির-৪৩)
ইসলাম-শান্তি, সন্ধি, আনুগত্যের বিধান।
ইসলাম-এমন এক জীবন ব্যবস্থার নাম, যা মানুষের জীবনের সুখ ও শান্তির বন্দবস্ত করে।
অপরাধ-যা এই শান্তির পথে বাঁধা হয়ে দাড়ায়। তাই ইসলাম অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়। যেমনঃ
হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ইত্যাদি বিষয় বলা হয়েছেঃ খুনের বদলে খুনঃ
﴿وَلَكُمْ فِي
الْقِصَاصِ
حَيَاةٌ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ
لَعَلَّكُمْ
تَتَّقُونَ﴾
অর্থাৎঃ হে বুদ্ধি–বিবেক
সম্পন্ন লোকেরা! তোমাদের জন্য কিসাসের মধ্যে জীবন রয়েছে। আশা করা যায়, তোমরা এই আইনের বিরুদ্ধাচরণ করার ব্যাপারে সতর্ক হবে। (সূরা বাকারা-১৭৯)
চুরি সংক্রান্ত ব্যাপারে কুরআনের বিধানঃ
﴿وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوا أَيْدِيَهُمَا جَزَاءً بِمَا كَسَبَا نَكَالًا مِّنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ﴾
অর্থাৎঃ চোর-পুরুষ বা নারী যেই হোক না কেন, উভয়ের হাত কেটে দাও। এটা তাদের কর্মফল
এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আল্লাহর শক্তি সবার ওপর
বিজয়ী এবং তিনি জ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ।
(সূরা আল মায়িদাঃ ৩৮)
অশ্লীলতা সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছেঃ
﴿الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ ۖ وَلَا تَأْخُذْكُم بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللَّهِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ۖ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَائِفَةٌ مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ﴾
অর্থাৎঃ ব্যভিচারিনী ও ব্যভিচারী উভয়ের প্রত্যেককে এক শত
বেত্রাঘাত করো। আর আল্লাহর
দীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি কোন মমত্ববোধ ও করুণা যেন তোমাদের মধ্যে না জাগে যদি
তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান আনো। আর তাদেরকে শাস্তি দেবার সময় মু’মিনদের
একটি দল যেন উপস্থিত থাকে। (সূরা আন-নূরঃ ২)
ইসলাম অপরাধের রাস্তা বন্ধ করতে চায়ঃ
অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে যাতে মানুষ বিরত থাকে, এজন্য প্রতিষেধক হিসাবে নামায ফরজ করা হয়েছে, বলা হয়েছেঃ
﴿اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ ۖ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَىٰ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنكَرِ ۗ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ﴾
অর্থাৎঃ (হে নবী!) তোমার প্রতি অহির মাধ্যমে যে কিতাব পাঠানো
হয়েছে তা তেলাওয়াত করো এবং নামায কায়েম করো, নিশ্চিতভাবেই
নামায অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর
স্মরণ এর চাইতেও বড় জিনিস৷ আল্লাহ জানেন তোমরা যা কিছু
করো। (সূরা আল আনকাবুতঃ ৪৫)
ইভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ ইত্যাদি অপরাধ যাতে সংঘটিত না হয়, সে জন্য পর্দার বিধান ফরজ করা হয়েছে।
নারীদেরকে বাহিরে বের হতে পর্দা করতে বলা হয়েছেঃ
﴿وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَىٰ ۖ وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ ۚ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا﴾
অর্থাৎঃ নিজেদের গৃহ মধ্যে অবস্থান করো এবং পূর্বের জাহেলী যুগের মতো সাজসজ্জা দেখিয়ে বেড়িও না। নামায কায়েম করো, যাকাত দাও এবং আল্লাহ ও তাঁর
রসূলের আনুগত্য করো। আল্লাহ তো চান, তোমাদের নবী পরিবার থেকে
ময়লা দূর করতে এবং তোমাদের পুরোপুরি পাক-পবিত্র করে দিতে। (সূরা
আল আহযাবঃ ৩৩)
পুরুষ নারী উভয়কে চক্ষু অবনমিত রাখতে নসিহত করা হয়েছেঃ
﴿قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ﴾﴿وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ﴾
অর্থাৎঃ নবী! মু’মিন পুরুষদের বলে দাও
তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের
হেফাজত করে। এটি তাদের জন্য বেশী পবিত্র পদ্ধতি। যা কিছু তারা করে আল্লাহ তা জানেন। আর হে নবী! মু’মিন
মহিলাদের বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানগুলোর হেফাজত করে আর তাদের সাজসজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তা ছাড়া। আর তারা
যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে। তারা
যেন তাদের সাজসজ্জা প্রকাশ না করে, তবে নিম্নোক্তদের সামনে
ছাড়া স্বামী,বাপ,স্বামীর বাপ, নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের
ছেলে, বোনের ছেলে, নিজের
মেলামেশার মেয়েদের , নিজের মালিকানাধীনদের, অধীনস্থ পুরুষদের যাদের অন্য কোন রকম উদ্দেশ্য নেই এবং এমন শিশুদের সামনে ছাড়া যারা মেয়েদের গোপন বিষয় সম্পর্কে এখনো অজ্ঞ। তারা যেন নিজেদের যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে তা লোকদের সামনে প্রকাশ
করে দেবার উদ্দেশ্য সজোরে পদক্ষেপ না করে৷ হে মু’মিনগণ! তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর কাছে তাওবা করো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে। (সূরা আন-নূরঃ ৩০,৩১)
অভাবের কারণে যাতে মানুষ চুরি না করে, এজন্য অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার লক্ষ্যে যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে আর যাকাতের অর্থ ব্যয়ের প্রথম খাত হিসাবে অভাবীদের নির্দেশ করা হয়েছেঃ
﴿إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاءِ وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ ۖ فَرِيضَةً مِّنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ﴾
অর্থাৎঃ এ সাদকাগুলো তো আসলে ফকীর মিসকীনদের জন্য। আর যারা সাদকা
সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত এবং যাদের জন্য মন জয় করা
প্রয়োজন তাদের জন্য। তাছাড়া দাস মুক্ত করার, ঋণগ্রস্ততের
সাহায্য করার, আল্লাহর পথে এবং
মুসাফিরদের উপকারে ব্যয় করার জন্য। এটা আল্লাহর পক্ষে থেকে একটি বিধান এবং আল্লাহর
সবকিছু জানেন, তিনি বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ। (সূরা আত-তাওবাঃ
৬০)
যিনার মতো জঘন্য অপরাধ তথা নারী ধর্ষন, নারী নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে অসহায় নারীদের ঘরে কেউ যাতে যেতে না পারে এ জন্য কারো ঘরে প্রবেশের পূর্বে অনুমতি গ্রহণ করাকে ফরয করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, যদি অনুমতি না মিলে-তাহলে যেন ফিরে আসে। এর মাধ্যমে নিকট জন বা দূরের জন যাদের সাথে যিনার আশংকা রয়েছে, তাদের সাথে মেলা মেশা এবং সস্তা আড্ডার পথ বন্ধ করা হয়েছেঃ
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّىٰ تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَىٰ أَهْلِهَا ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ﴾﴿فَإِن لَّمْ تَجِدُوا فِيهَا أَحَدًا فَلَا تَدْخُلُوهَا حَتَّىٰ يُؤْذَنَ لَكُمْ ۖ وَإِن قِيلَ لَكُمُ ارْجِعُوا فَارْجِعُوا ۖ هُوَ أَزْكَىٰ لَكُمْ ۚ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ﴾
অর্থাৎঃ হে ঈমানদাগণ! নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না যতক্ষণ না
গৃহবাসীদের সম্মতি লাভ করো এবং
তাদেরকে সালাম করো। এটিই তোমাদের জন্য ভালো পদ্ধতি, আশা করা যায় তোমরা এদিকে নজর রাখবে। তারপর যদি সেখানে কাউকে না পাও,
তাহলে তাতে প্রবেশ করো না
যতক্ষণ না তোমাদের অনুমতি না দেয়া হয়। আর
যদি তোমাদের বলা হয়, ফিরে
যাও তাহলে ফিরে যাবে, এটিই
তোমাদের জন্য বেশী শালীন ও পরিচ্ছন্ন পদ্ধতি এবং
যা কিছু তোমরা করো আল্লাহ তা খুব ভালোভাবেই জানেন। (সূরা আন-নূরঃ
২৭, ২৮)
মোদ্দাকথাঃ ইসলাম অপরাধ দমনে শাস্তির আগে অপরাধের পথ যাতে বন্ধ হয়, সেজন্য নানান
নসিহত মূলক নানান আয়োজন রেখেছে। এতো কিছুর পরও যখন কেউ অপরাধের সাথে জড়িত হয়, তখন তাকে
কঠোর হস্তে দমন করতে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির বিধান প্রয়োগ করতে নির্দেশ প্রদান করছে-যাতে
করে এই ধরণের অপরাধ করতে কেউ সাহসী না হয় এবং অপরাধের পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।
0 Comments