ধৈর্য্য – মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম


ধৈর্য্য একটি মৌলিক মানবীয় গুণ। যে গুণ মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেদান করে মর্যাদা ও মহানত্ব।

ধৈর্য্য সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যদি বিশজন ধৈর্য্যশীল থাকেতবে তারা দুই শতের উপর বিজয়ী হবে।

ধৈর্য্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ কুরআনে তাঁর প্রিয় রাসূলকে মাত্র ১৯বার। আর ধৈর্য্য শব্দটা কুরআনে এসেছে শতাধিকবার।

ধৈর্য্য তাহলে কি?
ধৈর্য্য মানে-বাঁধা দেয়াপ্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা।
ধৈর্য্য মানে-বেড়ি পরানোবেঁধে রাখাশৃংখলাবদ্ধ করা।
ধৈর্য্য মানে-সবরসহ্যকষ্ট সহিঞ্ষুতাবরদাশত করা।
ধৈর্য্য মানে-দূর্বল মত ও সংকল্পহীনতা বা মেজাজের ভারসাম্যহীনতা রোগে আক্রান্ত না হওয়া।
ধৈর্য্য  মানে-কোন কাজে তাড়াহুড়া না করা।
ধৈর্য্য মানে-আত্মসংবরণনিবৃত্তকরণআত্মসংযম।
ধৈর্য্য মানে-কোমল ব্যবহার।
ধৈর্য্য মানে-অন্যকে অগ্রাধিকার দেয়া।
ধৈর্য্য মানে-প্রশান্তচিত্ততাস্থিরস্থায়ী ও দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকা।
ধৈর্য্য মানে-নিয়মিত ও অনিয়মিত একরূপ থাকাঅপরিবর্তনীয় থাকা।
ধৈর্য্য মানে-অটল ও অবিচল থাকা।
ধৈর্য্য মানে-অধ্যবসায়দৃঢ়ভাবে প্রচেষ্টা চালানো।
ধৈর্য্য মানে-সহনদীর্ঘস্থায়িত্ব ও টেকসই হওয়া।
ধৈর্য্য মানে-ক্রুধান্বিত না হওয়া।
ধৈর্য্য মানে-শাস্তি না দিয়ে সহ্য করা।
ধৈর্য্য  মানে-প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও প্রতিশোধ গ্রহণ না করা।
ধৈর্য্য মানে-বীরত্বের সাথে বরদাশত করা।
ধৈর্য্য মানে-প্রতিরোধ করাবাধ্য করাদমন করা।
ধৈর্য্য মানে-কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।
ধৈর্য্য মানে-অপেক্ষা করা।
ধৈর্য্য মানে-তড়িৎ ফলাফলের জন্য অস্তির না হওয়া।
ধৈর্য্য মানে-আল্লাহর নির্দেশিত সীমার মধ্যে অবস্থান করা।
ধৈর্য্য মানে-আল্লাহর নিষিদ্ধ সকল কাজ করার সুযোগ সুবিধা থাকা সত্তে¡ও তা থেকে বিরত থাকা।
ধৈর্য্য মানে-দুনিয়া পূজারীদের সকল আরাম আয়েশ স্বচক্ষে দেখার পরও তার প্রতি লোভ না করা।
ধৈর্য্য মানে-ক্ষুধার যন্ত্রনায়অভাবের তাড়নায় অবৈধ সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা।
ধৈর্য্য মানে-প্রবৃত্তির কামনা বাসনাকে শৃংখলাবদ্ধ করে মন ও বিবেকের পছন্দনীয় পথে অবিরত এগিয়ে যাওয়া।

উপমহাদেশের একজন মনিষী আরব বিশ্ব যার নাম উচ্চারণের আগে উস্তাদ শব্দটি যোগ করে-তিনি ধৈর্য্য সম্পর্র্কে বলেছেনঃ 
ধৈর্য্য মানে বাঁধা দেয়াবিরত রাখা ও বেঁধে রাখা। মজবুত ইচ্ছাঅবিচল সংকল্প ও প্রবৃত্তির কামনা বাসনাকে এমনভাবে শৃংখলাবদ্ধ করাযার ফলে কোন ব্যক্তি প্রবৃত্তির তাড়না ও বাইরের সমস্যাবলীর মোকাবেলায় নিজে মন ও বিবেকের পছন্দনীয় পথে অবিরত এগিয়ে যেতে পারে।

ধৈর্য্যশীল এই লোকদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেনঃ 
আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের ভালবাসেন। আবার বলেছেনঃ আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।

যুগে যুগে যারা বিজয়ী হয়েছেনতাদের প্রধান হাতিয়ার ছিল ধৈর্য্য।

বর্বর জাতিকে শ্রেষ্ট জাতি আর অন্ধকার যুগকে শ্রেষ্ট যুগে রূপান্তর করতে নবী সা. ধৈর্য্যের সাথে ২৩টি বছর কাজ করেছেন।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে সকল কাজে সব সময়ে সর্বাবস্তায় ধৈর্য ধারণের তাওফীক দান করুন। আমীন।।

Post a Comment

0 Comments