একঃ ইক্বামাতে দ্বীনঃ
১. আল্লাহ তাঁর নবীদের মাধ্যমে এ দুনিয়ায় ইসলাম পাঠিয়েছেন এজন্য যে, নবীরা দুনিয়ায় যে সব নিয়ম-কানুন চলছে তা বন্ধ করে আল্লাহর দেয়া নিয়ম-কানুন তথা ইসলামী নিয়ম-কানুন সর্বত্র চালু করবেন। এই কাজের নাম ইক্বামাতে দ্বীন। এই কাজ করা সকল মুসলমানের দায়িত্ব।
২. নবীর সাহাবীরা নবীর সাথে ঐ কাজ করেছেন। যারা ঐ কাজ করেছেন, তাদেরকে বলা হয় মুসলিম। যারা ঐ কাজ করতে অস্বীকার করেছেন তাদেরকে বলা হয় কাফির। আর যারা ইসলামকে মুখে মেনে নিয়ে নবীর সাথে নামায রোযা করেছেন, কিন্তু ইসলামী নিয়ম-কানুন দুনিয়ার সর্বত্র চালু করার জন্য কাজ করেননি তথা ইক্বামাতে দ্বীনের কাজ করেননি, তাদেরকে বলা হয় মুনাফিক।
৩. মুসলিম হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য এবং সমাজের সকল অন্যায় অনাচার দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামের নিয়ম-কানুন সমাজে চালু করার চেষ্টা করার মাধ্যমে নিজেকে মুসলমান হিসাবে প্রমাণ করতে হয়।
৪. তাই শরিয়াতের দৃষ্টিত্বে ইক্বামতে দ্বীন বা দ্বীন
কায়েম জন্য কাজ করা ফরযই শুধু নয়, বরং সব ফরযের বড় ফরয। ফরয না মানলে গুনাহ হয়।
আর ফরয অস্বীকার করলে কাফির হতে হয়। আর কাফেরদের জন্য আল্লাহ তৈরী করেছেন
জাহান্নাম।
৫. ইসলামে কি কি আছে, তা বলা হয়েছে কুরআন এবং
হাদীসে। কুরআনের কিছু অংশ মানা আর কিছু অংশ না মানা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ।
কুরআনকে পরিপূর্ণ ভাবে মানার জন্য দ্বীন কায়েমের আন্দোলন করতে হয়।
৬. দ্বীন কায়েমের আন্দোলন না করলে ইসলাম ঠিক
থাকবেনা, পরবর্তী
প্রজন্ম পর্যন্ত ইসলাম সঠিক রূপে পৌছবেনা। বিধায় ইসলামকে পরবর্তী প্রজন্মের নিকট
না পৌছানো এবং ইসলামের চলার পথ বন্ধ করার অপরাধে আল্লাহর নিকট অপরাধী হতে হবে।
দুইঃ সংঘবদ্ধ জীবনঃ
১. ইসলামের সঠিক আক্বীদা বিশ্বাসের ভিত্তিতে দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির উদ্দেশ্যে আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দেয়া নিয়ম তথা ইসলামের নিয়ম-কানুন চালু করার জন্য কিছু সংখ্যক লোক একটি নির্দিষ্ট নেতৃত্বের অধীনে কাজ করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে থাকাকে বলে জামায়াতবদ্ধ জিন্দেগী। সহজ ভাষায় আমরা বলি ইসলামী সংগঠন।
২. জামায়াতে শামীল হওয়া আল্লাহর নির্দেশ-কুরআনের নির্দেশ। ইসলামী সংগঠনে না থাকলে ফরয লংঘন করা হয়, আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করা হয়।
৩. ইসলামী সংগঠনে শামীল হওয়া নবী সা. এর নির্দেশ এবং সুন্নাতে রাসূল। ইসলামী সংগঠনে না থাকলে রাসূল সা.কে পূর্ণ অনুসরণ করা হয়না।
৪. জামায়াতবদ্ধ না থাকলে আসহাবে রাসূলের অনুসরণ করা হয়না। সাহাবায়ে কিরাম রা. গন ইসলামী জামায়াতে শামীল ছিলেন এবং জামায়াতবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
৫. জামায়াতের উপর আল্লাহর রহমত থাকে। জামায়াত বিহীন মরণ জাহেলিয়াতের মৃত্যু সমতুল্য।
৬. জামায়াত থেকে দূরে থাকলে শয়তানের সহজ আক্রমণে পড়তে হয়।
0 Comments