১. হাদিস কাকে বলে?
উত্তরঃ রসুল (সাঃ) এর কথা, কাজ ও সমর্থনকে হাদিস বলে।
২. রসুল হিসেবে মুহাম্মদ (সাঃ) যেসব কথা বলেছেন, যে সব কাজ করেছেন ও সাহাবীদের যে সব
কাজ দেখে সমর্থন দিয়েছেন তাকে কি বলে?
উত্তরঃ হাদিস।
৩. হাদিসের পরিচয় দিতে গিয়ে বুখারী শরীফের ভূমিকায় কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ হাদিস এমন ইলমকে
বলা হয় যার মাধ্যমে নবী (সাঃ)এর কথা, কাজ ও তাঁর অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।
৪. মেশকাত শরীফের ভূমিকায় হাদিসের কি সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে?
উত্তরঃ মুহাদ্দিসীনদের
পরিভাষায় ইলমে হাদিস এমন এক ইলমকে বলা হয় যার দ্বারা নবী (সাঃ) এর কথা, কাজ ও অনুমোদনকে জানা যায়।
৫. অনুমোদন বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ এমন কোন কথা ও কাজ, যা কোন সাহাবী কর্তৃক নবী (সাঃ) এর
সামনে বলা বা করা হয়েছে-অথচ নবী (সাঃ) তাঁর প্রতিবাদ করেননি।
৬. অভিধানিক অর্থে হাদিস মানে কি এবং তা কোন শব্দের বিপরীত?
উত্তরঃ অভিধানিক অর্থে
হাদিস মানে নতুন। এটা কাদিম বা মুরতানের বিপরীত।
৭. জাগরণ ও নিদ্রাবস্থা হুজুরের (সাঃ) গতিবিধি কি?
উত্তরঃ হাদিসের
অন্তর্ভুক্ত।
৮. শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবীর মশহুর গ্রন্থের নাম কি?
উত্তরঃ হুজ্জাতুল্লাহিল
বালিগা।
৯. কোন ধরনের হাদিস আমাদের অনুসরণ বাধ্যতামুলক নয়?
উত্তরঃ যে হাদিসে নবুয়ত ও
রেসালত সম্পর্কীয় দায়িত্বের বিষয়াদি বর্ণনা হয়নি বা যার উৎস অভিজ্ঞতা, দেশপ্রথা ও অভ্যাস বা কোনটি সাক্ষ্য
প্রমান থেকে।
১০. নবীদের ইজতিহাদের মর্যাদা কি?
উত্তরঃ অহীর সমতুল্য।
১১. শাহ্ ওয়ালিউল্লাহর
মতে হুজুর (সাঃ) যেসব হাদিস বর্ণিত হয়েছে তা কয় প্রকার?
উত্তরঃ ২ প্রকার। ক)
নবুয়ত ও রেসালত দায়িত্ব সম্পর্কীয় বিষয় যার উৎস অহী ও ইজতিহাদ। খ) নবুয়ত ও রেসালত
দায়িত্ব সম্পর্কীয় বিষয় ছাড়া যার উৎস
অভিজ্ঞতা, দেশ
প্রথা, অভ্যাস বা কোনটি সাক্ষ্য
প্রমান থেকে।
১২. হাদিস অধ্যয়নের উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ রসুলের আহকাম ও
দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে আল্লাহ্র তাৎপর্য অনুধাবন করে উভয় জাহানের কল্যাণ
লাভ করা।
১৩. উমদাতুলকারী গ্রন্থে আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী হাদিস অধ্যয়নের
উদ্দেশ্য সম্পর্কে কি লিখেছেন?
উত্তরঃ উভয় জাহানের
কল্যাণ লাভই হচ্ছে হাদিস অধ্যয়নের সার্থকতা।
১৪. সুন্নত শব্দের আভিধানিক অর্থ কি?
উত্তরঃ চলার পথ, কর্র্মের নীতি ও পদ্ধতি।
১৫. হাদিসের পরিভাষায় সুন্নত কাকে বলে?
উত্তরঃ সেই পথ ও মত, যেই পথ ও মত অবলম্বন করে নবী (সাঃ)
চলতেন।
১৬. ইমাম রাগেবের মতে সুন্নত কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পথ ও নিয়ম
পদ্ধতিকে নবী (সাঃ) বাছাই করে নিতেন তাকে সুন্নত বলে।
১৭. আল্লামা ইব্রাহীমের মতে সুন্নত কাকে বলে?
উত্তরঃ নবী (সাঃ) বর্ণিত
ও প্রমানিত বিষয়াদীকেই সুন্নত বলে।
১৮. নবী (সাঃ) কোন বিষয়ে স্বীয় মতামত ও নির্দেশ দিয়েছেন?
উত্তরঃ যে সব বিষয়ে
কুরআনে সুস্পষ্ট হুকুম নেই।
১৯. রসুল (সাঃ) ও সাহাবীদের অনুসৃত নীতি ও কর্মপদ্ধতিকে কি বলে?
উত্তরঃ সুন্নত।
২০. “আমাকে
যেমন কুরআন দেয়া হয়েছে তেমনি কুরআনের অনুরূপ আরো একটি বস্তু দেয়া হয়েছে”-অন্য বস্তুুটি কি?
উত্তরঃ অহীয়ে গায়ের
মাতলু।
২১. হাদিসের উৎস কি কি?
উত্তরঃ অহী ও রসুল (সাঃ)
এর ইজতিহাদ।
২২. অহী কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ২ প্রকারঃ- ক)
অহীয়ে মাতলু, খ)
অহীয়ে গায়ের মাতলু।
২৩. অহীয়ে মাতলু কাকে বলে?
উত্তরঃ যা নবী (সাঃ) কে
তেলাওয়াত করে শোনানো হতো এবং যার শব্দ ও বাক্য সব আল্লাহ্র।
২৪. অহীয়ে গায়ের মাতলু কি?
উত্তরঃ যে অহীর ভাব আল্লাহ্র
ভাষা নবী (সাঃ) এর।
২৫. নামাজে কোন ধরনের অহীর তেলাওয়াত চলে?
উত্তরঃ অহীয়ে মাতলুর।
২৬. কুরআন কোন ধরনের অহী?
উত্তরঃ অহীয়ে মাতলু।
২৭. যাবতীয় কাজের ফলাফল কিসের উপর নির্ভরশীল?
উত্তরঃ নিয়তের উপর।
২৮. কোন ধরনের হিজরত পূর্ণ ছওয়াব প্রাপ্ত হবেন?
উত্তরঃ যে একমাত্র
আল্লাহ্র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তাঁর নির্দেশাবলী পালনে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে হিজরত করে।
২৯. দেশ ভ্রমণের মনোভাব নিয়ে হজ্জে এলে ছওয়াব পাবে কি না?
উত্তরঃ না।
৩০. হাদিস অনুসারে আল্লাহ্ মানুষের সৌন্দর্য ও সম্পদের দিকে লক্ষ্য
করেন না, তাহলে
কি লক্ষ্য করেন?
উত্তরঃ মানুষের অন্তর ও
কাজের দিকে।
৩১. আল্লাহ্র কাছে মানুষের সৌন্দর্য ও সম্পদের গুরুত্ব নেই, তাহলে কি জিনিষ গুরুত্ব?
উত্তরঃ মানুষের অন্তর ও
কাজ।
৩২. ইবাদত কবুলের শর্ত কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ২টি। ১)ঈমান
২)বিশুদ্ধ নিয়ত।
৩৩. আল্লাাহ্ বেইমানের ইবাদত কবুল করবেন না, তেমনিভাবে আর কার ইবাদত কবুল করবেন না?
উত্তরঃ ত্রুটিপূর্ণ
নিয়তের অধিকারীর ইবাদত।
৩৪. জিবরাঈল (আঃ) যখন কেয়ামতের নিদর্শন সম্পর্কে নবী (সাঃ) কে
প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি
কি জবাব দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ দাসীরা তাদের
প্রভুকে জন্ম দিবে, রাখালরা
দালান-কোঠার মালিক হবে।
৩৫. হাদিসে জিবরাঈলে দ্বীনের কয় বিষয় সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে এবং কি
কি?
উত্তরঃ ৩টি। ১)ইসলাম
২)ঈমান ৩)ইহসান।
৩৬. ইসলাম শব্দের আভিধানিক অর্থ কি?
উঃ আত্মসমর্পণ করা, আনুগত্য করা, নিজেকে সপে দেয়া।
৩৭. ইসলাম অর্থ শরিয়তের পরিভাষায় কি?
উত্তরঃ আল্লাহ্ ও তাঁর
রসুলের আনুগত্য করা এবং আল্লাহ্র দ্বীনের কাছে নিজেকে পুরোপুরি সপে দেয়া।
৩৮. নবী (সাঃ) ইসলামের ব্যাখ্যায় যে ৫টি বিষয় উল্লেখ করেছেন তা
ইসলামের কি?
উত্তরঃ মৌলিক আমল বা
বুনিয়াদ।
৩৯. ঈমান শব্দের অভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ কি?
উত্তরঃ আভিধানিক অর্থ হল
নিগুঢ় বিশ্বাস, দৃঢ়
প্রত্যয়, গভীর
আস্থা। পারিভাষিক অর্থ- আল্লাহ্ তাঁর রসুলের মাধ্যমে মানব জাতির নিকট যে দ্বীন
পাঠিয়েছেন, তা মনে
প্রাণে মেনে নেয়া ও গভীর আস্থা স্থাপন করা।
৪০. আল্লাহ্র সৃষ্টিকুলের একটি জীব যাদেরকে নূর দিয়ে সৃষ্টি করা
হয়েছে, যারা নারী ও নয় পুরুষও নয়, তারা কারা?
উত্তরঃ ফেরেশতারা।
৪১. আল্লহ্র বিধান জীবনের সব ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে-তা যে স্বীকার
করে না- সে কি?
উত্তরঃ ঈমানদার নয়।
৪২. আল্লাহ্র প্রতি ঈমান
অর্থ কি?
উত্তরঃ তাঁকে একমাত্র
সৃষ্টিকর্তা, বিধানদাতা, রিজিকদাতা, পালনকর্তা, ও বিশ্বের মালিক বলে স্বীকার করে নেয়া
এবং এ ব্যাপারে কাউকে শরীক না করা।
৪৩. কয়টি বিষয়ের উপর ঈমান না আনলে প্রাথমিকভাবে ঈমানদার রূপে গণ্য
করা হয় না এবং কি কি?
উত্তরঃ ৬টি। আল্লাহ্, ফিরিশতা, কিতাব, পয়গাম্বর, পরকালের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন ও
তাকদিরের ভাল মন্দের উপর বিশ্বাস।
৪৪. ফেরেশতাদের কি কাজ?
উত্তরঃ আল্লাহ্র সৃষ্টি
পরিচালনার যাবতীয় কাজে এদের নিয়োগ করে রেখেছেন।
৪৫. আসমানি কিতাবের মধ্যে ৪ খানা প্রসিদ্ধ কিতাবের নাম লিখুন।
উত্তরঃ তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল ও কুরআন।
৪৬. কুরআন পরবর্তী যুগে কুরআনকে অনুসরণ ব্যতিত পরকালের মুক্তি
সম্ভব নয় কেন?
উত্তরঃ কুরআনের ভেতর
পূর্ববর্তী কিতাব সমূহের যাবতীয় সত্য ও কিয়ামত পর্যন্ত মানব জাতির হেদায়তের যাবতীয়
বিষয়গুলো সন্নিবেশিত করা হয়েছে তাই।
৪৭. রসুল শব্দের শাব্দিক অর্থ কি?
উত্তরঃ প্রেরিত।
৪৮. শরিয়তের পরিভাষায় রসুল কাদেরকে বলে?
উত্তরঃ যাদেরকে আল্লাহ্
যুগে যুগে বিভিন্ন অংশে মানব জাতির হেদায়াতের জন্য ওহী ও কিতাব দিয়ে পাঠিয়েছেন।
৪৯. রাসুলের প্রতি ঈমানের অর্থ কি?
উত্তরঃ তাঁরা সকলেই ছিল
মাসুম, আপন আপন যুগের সবচেয়ে
জ্ঞানী-গুনী ব্যক্তি। যে হেদায়াত নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা তা ছিল নির্ভুল ও আল্লাহ্র
তরফ থেকে প্রাপ্ত।
৫০. পূর্ববর্তী নবী ও মুহাম্মদ (সাঃ) এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ অন্যান্য নবীরা
কোন গোত্রের বা যুগের বা এলাকার জন্য প্রেরিত, আর মুহাম্মদ (সাঃ) প্রেরিত হয়ে ছিলেন
সমস্ত বিশ্বের ও সমগ্র মানুষের জন্য।
৫১. মৃত্যুর ভেতর দিয়ে জীবনের সমাপ্তি ঘটেনা, বরং জীবনের আরেকটি স্তরে প্রবেশ করে-
তার নাম কি?
উত্তরঃ পরকাল।
৫২. পার্থিব জীবনের যাবতীয় কাজের হিসাবান্তে মানুষকে তার ফলাফল
কোথায় প্রদান করা হবে?
উত্তরঃ পরকালে।
৫৩. স্বেচ্ছাচারী ও দায়িত্বহীন ব্যক্তি কে?
উত্তরঃ যে পরকাল বিশ্বাস
করে না।
৫৪. হাদিসে জিবরাঈলে হুজুর (সাঃ) যে কেয়ামতের আলামত উল্লেখ
করেছিলেন তা কি কি?
উত্তরঃ যখন দেখা যাবে ক)
দাসীরা তার প্রভুকে জন্ম দিয়েছে, খ) পাদুকা ও বস্ত্রহীন রাখালেরা দালান-কোঠার ভেতর অহংকারে
লিপ্ত।
৫৫. তাকদিরের ইসলামী পরিভাষা কি?
উত্তরঃ কাযা ও কদর।
৫৬. কাযা ও কদরকে সংক্ষেপে কি বলে?
উত্তরঃ তাকদির।
৫৭. তাকদির কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন ঘটনা ঘটার
পূর্বে সম্ভাব্য ঘটনা সম্পর্কে অনুমান করে স্থির করা।
৫৮. আল্লাহ্ ভবিষ্যতে যা ঘটবে তা তাঁর অনাদি ইলমের ভিত্তিতে
বিধিবদ্ধ করে রেখেছেন এর অর্থ কি?
উত্তরঃ মানুষ তা করবে
বলেই তিনি বিধিবদ্ধ করে রেখেছেন।
৫৯. কেউ আল্লাহ্র দ্বীনকে কবুল করে এ পথে চলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তখন তাঁর এ প্রথম মনযিলের নাম হল
মুসলিম। ২য় ও ৩য় মনযিলের নাম কি?
উত্তরঃ মুমিন ও মুহসিন।
৬০. একজন মুসলিম কখন মুমিন হয়?
উত্তরঃ বাহ্যিক ইসলামী
ঘোষণা ও আমল যখন অন্তরে অনুমোদন লাভ করে তখন সে মুমিন।
৬১. মুমিন কখন মুহসিনে পরিণত হয়?
উত্তরঃ ঈমানের
ক্রমবর্ধমান অনুপ্রবেশ তাঁর অন্তরকে যখন আল্লাহ্, রসুল ও দ্বীনের জন্য আসক্ত করে তোলে
তখন সে মুহসিন।
৬২. খাঁটি বান্দারা কি লাভ করার জন্য অবিরাম পেরেশানিতে থাকেন?
উত্তরঃ ইহসানের দরজা লাভ
করার জন্য।
৬৩. হাদিস মতে কোন ব্যাক্তি তার পিতা, সন্তান ও যাবতীয় লোকজন থেকে কাকে বেশী
ভালো না বাসলে ঈমানদার হতে পারবেনা?
উত্তরঃ রসুল (সাঃ) কে।
৬৪. মোহাব্বত কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ২প্রকার। ক)
স্বেচ্ছাকৃত ভালোবাসা। খ) প্রকৃতিগত ভালোবাসা।
৬৫. হযরত আবু উমামা (রাঃ) এর বর্ণনামতে নবী (সাঃ) কোন ব্যাক্তিকে
পূর্ণ ঈমানদার বলেছেন?
উত্তরঃ যে ব্যাক্তির
ভালোবাসা ও শত্রæতা, দান করা বা না করা নিছক আল্লাহ্র সন্তুষ্টি বিধানের জন্য হয়ে
থাকে।
৬৬. কে প্রকৃত ঈমানের সাধ লাভ করেছে?
উত্তরঃ যে পূর্ণ
আন্তরিকতার সাথে আল্লাহ্কে রব, ইসলামকে দ্বীন ও রসুল(দঃ) কে নবী হিসেবে কবুল করেছে।
৬৭. হযরত আনাস(রাঃ) বলেনঃ “নবী (সাঃ) আমাদেরকে এমন নসীহত খুব কমই করেছেন, যার ভেতরে তিনি একথা বলেননি” প্রশ্ন
হল কি কথা তিনি বলতেন?
উত্তরঃ খেয়ানত কারী
ব্যাক্তির ঈমান নেই আর ওয়াদা ভঙ্গকারীর দ্বীন নেই।
৬৮. হযরত আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত এক হাদিসে দ্বীন ও ঈমানের পরিপন্থী
২টি অপরাধমূলক কাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ দুটো কি কি?
উত্তরঃ আমানতের খেয়ানত ও
ওয়াদা ভঙ্গ।
৬৯. যে নিজের জন্য যা পছন্দ করে তা তার মুমিন ভাইয়ের জন্য পছন্দ না
করলে সে কি হতে পারবেনা?
উত্তরঃ মুমিন।
৭০. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) এর হাদিসের বর্ণনামতে মুসলমান কে?
উত্তরঃ যার হস্ত ও জিহŸা হতে
অপর মুসলমান নিরাপদ থাকে।
৭১. মুহাজির কে?
উত্তরঃ যে আল্লাহ্র
নিষিদ্ধ বস্তু হতে হিযরত বা প্রত্যাবর্তন করে।
৭২. ৫টি জিনিষের উপর ইসলামের ভিত্তি। ঐ জিনিসগুলো কি কি?
উত্তরঃ কালেমা, নামায, রোজা, হজ্জ ও জাকাত।
৭৩. ইসলামকে একটি ঘরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু এর খুঁটিগুলো
কার কার সাথে তুলনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ কালেমা, নামায, রোজা, হজ্জ ও জাকাত।
৭৪. ছগীরা গুনাহ কিভাবে কবিরা গুনাহে পরিণত হয়?
উত্তরঃ যদি কেউ বিনা
দ্বিধায় হামেশা ছগীরা গুনাহ করতে থাকে, তাহলে এই সগীরা গুনাহ কবিরা গুনাহে
পরিণত হবে।
৭৫. মৃত্যুর লক্ষণ অনুভব করে যদি কেউ মৃত্যুর মুহূর্তে তওবা করে
এদের মধ্যে কার তওবা কবুল হবেনা, কেন?
উত্তরঃ যে সারাজীবন পাপের
কাজে লিপ্ত থাকে।
৭৬. প্রকৃতপক্ষে কার তওবা আল্লাহ্ কবুল করে থাকেন?
উত্তরঃ যে অজ্ঞাতে পাপ
করে আর দেরী না করে তওবা করে।
৭৭. কোন কোন অপরাধ কবিরা গুনাহ?
উত্তরঃ আল্লাহ্র সাথে
কাউকে শরীক করা, পিতামাতার
অবাধ্য হওয়া, কাউকে
হত্যা করা ও মিথ্যা শপথ করা।
৭৮. গুনাহ কাকে বলে?
উত্তরঃ আল্লাহ্ ও তাঁর
রসুলের অপছন্দনীয় কাজকে গুনাহ বলে।
৭৯. কবিরা গুনাহের কোন অপরাধ ব্যতিত অন্যান্য কাজের গুনাহ করলে
মুমিন কাফের হয় না।
উত্তরঃ শিরক গুনাহ।
৮০. গুনাহ কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ২ প্রকারঃ- সগীরা
ও কবিরা।
৮১. গুনাহ ফারসী শব্দ কিন্তু এর আরবী কি?
উত্তরঃ মাসিয়াত।
৮২. কবিরা ও সগীরা গুনাহ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সমস্ত অপরাধ
সম্পর্কে কোরআন হাদিসে শাস্তির বিধান আছে তাহলো কবিরা গুনাহ্ আর গুনাহ সম্পর্কে
কোরআন হাদিসে শাস্তির বিধান নেই তাহলো সগীরা গুনাহ।
৮৩. কবিরা গুনাহের কোন গুনাহ ব্যতিত যদি ঈমানদার ব্যক্তি খালেছ
ভাবে তওবা করে আল্লাহ্ তার গুনাহ মাফ করে দেবেন?
উত্তরঃ মানুষের ঋণ।
৮৪. তওবা শব্দটি আরবী- এর অভিধানিক অর্থ কি?
উত্তরঃ ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা।
৮৫. শরিয়তের পরিভাষায় তওবা কাকে বলে?
উত্তরঃ অনুতপ্ত মনে
শারীয়াত বিরুধী কাজ হতে ফিরে আসা ও ভবিষ্যতে অনুরূপ কাজে লিপ্ত না হওয়ার সংকল্প
গ্রহণ করতঃ আল্লাহ্র দিকে রুজু হওয়া।
৮৬. কোন ধরনের তওবা প্রকৃত তওবা নয়?
উত্তরঃ মুখে হাজার বার
তওবা উচ্চারণ করে আর গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকে-এধরণের মৌখিক তওবা প্রকৃত তওবা নয়।
৮৭. নবী রসুল ছাড়া কোন মুসলিমদের পক্ষে কোন ধরনের গুনাহ হতে বেঁচে
থাকা অসম্ভব?
উত্তরঃ সগীরা গুনাহ হতে।
৮৮. আল্লাহ্র দরবারে তওবা কবুলের কয়টি শর্ত ও কি কি?
উত্তরঃ ৩ টি। ক) ঐ পাপের
জন্য অনুতপ্ত হওয়া, খ) ঐ
পাপ ছেড়ে দিয়ে আর না করা, গ)
আল্লাহ্র সাথে ওয়াদা করা যাতে তিনি জিন্দেগীতে ঐ পাপ কাজ করবেনা।
৮৯. তওবা কবুলের ৩টি শর্ত। এছাড়া আরেকটি শর্ত আছে তা কি?
উত্তরঃ কেউ অন্যের হক
নষ্ট করেছে তা সে আদায় করে দেবে অথবা মাফ করিয়ে নিবে।
৯০. ওসুল (সাঃ) সাতটি ধ্বংসাত্মক পাপ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। যে
কোন ৪টি বলুন।
উত্তরঃ ১.শিরক। ২. যাদু।
৩. শারীয়াত অনুমতি ছাড়া কাউকে হত্যা করা। ৪.সুদ খাওয়া।
৯১. পিতামাতার অবাধ্য কতক্ষণ হওয়া যায়না?
উত্তরঃ পিতামাতা যদি
নিজের পরিবার পরিজন ও ধন সম্পদ থেকে তাড়িয়েও দেয়, তার পরেও তাদের অবাধ্য হওয়া যাবে না।
৯২. যে স্বেচ্ছায় ফরয নামাজ ত্যাগ করে তার ব্যাপারে আল্লাহ্ ও
রাসুলের কি দায়িত্ব থাকে?
উত্তরঃ কোন দায়িত্ব
থাকেনা।
৯৩. শরাব অশ্লীল কাজের কি?
উত্তরঃ অশ্লীল কাজের মূল।
৯৪. পাপ কাজের কারণে আল্লাহ্ কি নাজিল করেন?
উত্তরঃ গজব নাজিল করেন।
৯৫. বিদায়াত কি?
উত্তরঃ দ্বীনের ভেতর এমন
নতুন জিনিস সংযোজন করা, যা
কোরআন হাদিসে নেই।
৯৬. সুন্নাতে রাসুল বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ নবীরা জীবনভর
আল্লাহ্ প্রেরিত দ্বীন মোতাবেক আমল করে দ্বীনের একটি বাস্তব রূপ রেখে যান। তাকেই
বলে সুন্নাতে রসুল।
৯৭. ঈসা(আঃ) এর উম্মতের ভেতর একদল খোদাভীরু লোক দুনিয়ায় যাবতীয়
কাজকর্ম ছেড়ে হুজুরা, জঙ্গল, পর্বত ও গুহাতে আশ্রয় নিয়ে রাত দিন
আল্লাহ্র ধ্যানে মশগুল ছিল। তাদের বিষয় উল্লেখ করে কুরআনের কোন সূরার কোন আয়াতে
উম্মতে মুহাম্মদীকে সাবধান করেছেন?
উত্তরঃ আল-হাদিদ-২৮
৯৮. নবী (সাঃ) ইচ্ছাকৃতভাবে কতক বিষয় সম্পর্কে কিছু বলেননি। হাদিসে
এ বিষয়ে কি করতে নিষেধ করেছেন?
উত্তরঃ তর্ক করতে নিষেধ
করেছেন।
৯৯. শরিয়তের যাবতীয় বিষয় সমূহ কয় ধরনের?
উত্তরঃ ৩ ধরনের।
১০০. শরীয়তে এক ধরনের
বিষয় আছে যা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে। তা কি?
উত্তরঃ যে বিষয় সঠিক হওয়া
একেবারে সুস্পষ্ট।
১০১. শরীয়তে এক ধরনের কিছু বিষয় আছে যা পরিহার করতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন হল কোন ধরনের বিষয়?
উত্তরঃ যে বিষয় ভ্রান্ত
হওয়া একেবারে সন্দেহাতীত।
১০২. শরীয়তের কিছু বিষয় আছে যা আল্লাহ্র উপর সোপর্দ করতে বলা হয়েছে।
প্রশ্ন হল কোন ধরনের বিষয়?
উত্তরঃ এমন বিষয় যা
সন্দেহপূর্ণ।
১০৩. কোরআনে কয় প্রকার বিধান নাযিল হয়েছে, কি কি?
উত্তরঃ ৫ প্রকারঃ-
১.হালাল। ২.হারাম। ৩. মোহকাম। ৪.মোতাশাবেহ। ৫.আমছাল।
১০৪. মোহকাম আয়াত কাকে বলে?
উত্তরঃ যার বিবরণ সমূহ, শব্দ ও অর্থসমূহ সাধারণ ভাবে বোধগম্য।
১০৫. মোতাশাবেহ আয়াত কোন গুলী?
উত্তরঃ যার অর্থ ও
ব্যাখ্যা দুর্বোধ্য ও অস্পষ্ট।
১০৬. আমছাল আয়াত কোনগুলি?
উত্তরঃ যে সব আয়াতে
বিভিন্ন দৃষ্টান্ত পেশ করে নানা জাতিকে উপদেশ দেয়া হয়েছে।
১০৭. এমন এক ইবাদত আছে যা যথাযথভাবে করলে অন্যান্য অপরাধসমূহ মাফ করে
দেবেন। কি সেই ইবাদত?
উত্তরঃ ৫ ওয়াক্ত নামাজ।
১০৮. ইবাদত কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ২ প্রকারঃ- ক)
ইবাদতে বদনী খ) ইবাদতে মালী।
১০৯. ইবাদতে বদনী কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ইবাদত মানুষ
তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারা আদায় করে।
১১০. ইবাদতে মালী কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ইবাদত মানুষ
তার সম্পদ ব্যয় করে আদায় করে।
১১১. ইবাদতে বদনীর
সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত কোনটি?
উত্তরঃ নামাজ।
১১২. ইবাদতে মালীর ভেতর সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত কোনটি?
উত্তরঃ যাকাত।
১১৩. কোরআনে কোন ২টি ইবাদতের কথা বহুবার একসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সালাত এবং যাকাত।
১১৪. দুনিয়াতে যত নবীর আগমন ঘটেছে তাঁদের উম্মত সহ সকলের উপর কোন্
ইবাদতটি কোন না কোন রূপে ফরজ ছিল?
উত্তরঃ নামাজ।
১১৫. ৫ ওয়াক্ত নামাজ নবী (সাঃ) কে তালিম কে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ জিব্রাইল(আঃ)।
১১৬. জিব্রাইল(আঃ) নবী(দঃ)কে কয় ওয়াক্ত নামাজ নিজে ঈমাম হয়ে আদায়
করে তালিম দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ দশ ওয়াক্ত।
১১৭. নামাজের জন্য কিভাবে পবিত্র হওয়া, ওযু করা, রুকু, সিজদা ইত্যাদি কে আমাদেরকে তালিম
দিয়েছেন?
উত্তরঃ নবী (সাঃ)।
১১৮. যে ব্যাক্তি নামাজের সঠিকভাবে হেফাজত করবেনা কেয়ামতের দিন
তারা কার সাথে উঠবে?
উত্তরঃ কারুন, ফেরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালেদের ন্যায়
কাফেরদের সাথে উঠবে।
১১৯. কেয়ামতের দিন অন্ধকারে মুমিনের জন্য কোন আমলটি আলো দান করবে?
উত্তরঃ নামাজ।
১২০. কওমা ও জলসা কি?
উত্তরঃ কওমা হল রুকু থেকে
সোজা হয়ে ধীর স্থির ভাবে সিজদায় যাওয়ার পূর্বে দাঁড়ানো। আর জালসা মানে প্রথম সিজদা
থেকে সোজা হয়ে ধীর স্থিরভাবে দ্বিতীয় সিজদাতে যাবার পূর্বে বসা।
১২১. কেয়ামতের দিন কোন আমলটি নেককার হওয়া সম্পর্কে সাক্ষ্য দিবে?
উত্তরঃ নামাজ।
১২২. কেয়ামতের দিন কোন আমলটি জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্ত করিয়ে
দিবে?
উত্তরঃ নামাজ।
১২৩. আল্লাহ্র ছায়া ব্যাতিত হাশরের মাঠে আর কোন ছায়া থাকবেনা, সেদিন কয় ধরনের লোককে আল্লাহ্ তাঁর
ছায়ায় আশ্রয় দান করবেন? যে কোন
৩টি বলুন।
উত্তরঃ ৭ ধরনের। ক)
সুবিচারক বাদশা, খ) ঐ
যুবক যে আল্লাহ্র ইবাদতে অতিবাহিত করেছে, গ) ঐ নামাজী যার মন সর্বদা মসজিদে
আবদ্ধ থাকে এমনকি মসজিদ থেকে ফিরে আসার পর পুনরায় মসজিদে প্রত্যাবর্তনের জন্য
ব্যাকুল থাকে।
১২৪. নামাজ কায়েম করা কার দায়িত্ব?
উত্তরঃ ইসলামী রাষ্ট্রের।
১২৫. মানুষের নেক আমলের মধ্যে কোন নেক আমলটি আল্লাহ্র কাছে সবচেয়ে
প্রিয়?
উত্তরঃ ওয়াক্ত মোতাবেক
নামাজ আদায় করা।
১২৬. সন্তানদের কত বছর বয়স হতে নামাজের আদেশ করতে হবে?
উত্তরঃ ৭ বছর।
১২৭. সন্তান কত বছর বয়স পর্যন্ত নামাজ না পড়লে শাস্তি দিতে হবে?
উত্তরঃ ১০ বছর।
১২৮. কত বছর বয়সে সন্তানদের বিছানা পৃথক করে দিতে হবে?
উত্তরঃ ১০ বৎসর।
১২৯. কেয়ামতের দিন বান্দাকে সর্বপ্রথম কোন আমলের হিসাব দিতে হবে?
উত্তরঃ নামাজ।
১৩০. জামাতের সাথে নামাজ পড়া ও একাকি পড়ার মধ্যে কতগুণ পার্থক্য?
উত্তরঃ সাতাশ গুণ।
১৩১. কোন নামাজ পূর্ণ নামাজ?
উত্তরঃ জামাতে নামাজ।
১৩২. যদি ফরজ নামাজে ত্রæটি
থাকে কেয়ামতের দিন হিসাব নিতে আল্লাহ্ সেই নামাজ কিভাবে পূর্ণ করতে ফেরেশতাদেরকে
বলবেন?
উত্তরঃ নফল নামাজ থাকলে তা
দিয়ে পূরণ করবেন।
১৩৩. জিব্রাইল (আঃ) নবী (সাঃ)কে যে ২দিন নামাজের তালিম দিয়েছিলেন, ঐ সব নামাজে কে ইমামতি করেছিলেন?
উত্তরঃ জিব্রাইল(আঃ)।
১৩৪. যদি কোন গ্রাম বা প্রান্তরে ৩ ব্যক্তি থাকে আর তারা জামাতে
নামাজ আদায় না করে, তাহলে
শয়তান তাঁদের উপর কি করবে?
উত্তরঃ প্রভাব বিস্তার
করবে
১৩৫. জামাতবিহীন মুসলমান কার শিকারে পরিণত হয়?
উত্তরঃ শয়তানের।
১৩৬. যদি গৃহে শিশু ও নারীরা না থাকতো তাহলে নবী (সাঃ) যুবকদেরকে
পাঠিয়ে দিতেন তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু কেন-কোন অপরাধের কারণে?
উত্তরঃ জামাতে না আসার
কারণে।
১৩৭. কয়টি কারণে জামাত তরক করা যায় এবং কি কি?
উত্তরঃ ৩ কারণে। ক) পথে
শত্রæ বা
হিংস্র জানোয়ারের ভয়। খ) রোগাক্রান্ত
হওয়া। গ) দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া।
১৩৮. যে রাতে অতিরিক্ত শীত ও বর্ষা হতো, মুয়াজ্জিনকে ডেকে নবী (সাঃ) নামাজ
সম্পর্কে কি নির্দেশ দিতেন?
উত্তরঃ প্রত্যেককে স্বীয়
জায়গায় নামাজ আদায় করে নেয়ার জন্য।
১৩৯. মহিলারা নামাজ কোন জায়গায় পড়া উত্তম।
উত্তরঃ ঘরে।
১৪০. রিয়া মানুষের ইবাদতকে কি করে দেয়?
উত্তরঃ বরবাদ করে দেয়।
১৪১. নফল বা সুন্নত নামাজ কোথায় পড়া উত্তম?
উত্তরঃ ঘরে।
১৪২. নবী (সাঃ) নফল নামাজ
গোপনে ঘরে পড়ার জন্য কেন বলেছেন?
উত্তরঃ কারণ জনসমক্ষে নফল
নামাজ পড়ার কারণে ব্যক্তির মধ্যে রিয়ার ভাব জাগ্রত হতে পারে।
১৪৩. নবী (সাঃ) মসজিদে আদায়ের বেলায় কিছু নামাজ (নফল, সুন্নত) ঘরের জন্য রেখে দিতে বলেছেন, কেন?
উত্তরঃ এই নামাজের কারণে
ঘরে কল্যাণ দান করবেন।
১৪৪. নবী (সাঃ) বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি ঘরে নামাজ পড়া আমার এ মসজিদের
নামাজ আদায় করা হতে উত্তম। তবে কোন নামাজ ব্যতিত?
উত্তরঃ ফরজ নামাজ ব্যতিত।
১৪৫. নবী (সাঃ) এর তাহাজ্জুদ নামাজ উনার জন্য ফরজ না নফল ছিল?
উত্তরঃ ফরজ।
১৪৬. আল্লাহ্ দুনিয়ার নিকটতম আসমানে এসে বলতে থাকেন, ওগো কে আছ, আমাকে ডাকবে; আমি তার ডাকে সাড়া দেব। প্রশ্ন হল
তিনি কোন সময় এসে বলতে থাকেন?
উত্তরঃ যখন রাতের এক
তৃতীয়াংশ বাকী থাকে।
১৪৭. নবী (সাঃ) এর মতে ২ সময়ের দোয়া অধিক শ্রবণযোগ্য। কোন কোন সময়?
উত্তরঃ রাতের শেষার্ধের
দোয়া এবং ফরজ নামাজের পর।
১৪৮. হাদিসে বক্তব্য অনুযায়ী বেহেশতে এমন সব বালাখানা আছে যার ভিতর
থেকে বাহির আর বাহির থেকে ভেতর সব পরিষ্কার দেখা যায়। ঐ বালাখানা তার জন্য তৈরী
করেছেন যে লোকদের সাথে কথা বার্তায় নম্রতা দেখিয়েছেন, যে ক্ষুধার্তকে খাবার দিয়েছেন, যিনি রোজা রেখেছেন, অন্য আরেকটি লোক-সে লোকটি কে?
উত্তরঃ ঐ লোকটি যে রাতের
এমন অংশে নামাজ পড়ে যখন লোকজন ঘুমিয়ে থাকে।
১৪৯. জুমুয়ার নামাজ কোন সময় ফরজ হয়?
উত্তরঃ হিযরতের
পূর্বক্ষণে।
১৫০. কোন দিন আদম (আঃ)কে বেহেশতে প্রবেশ করানো হয় এবং বেহেশত থেকে
বের করে দেন ও কোন দিন কেয়ামত হবে?
উত্তরঃ জুমার দিন।
১৫১. হুজুর (সাঃ) সর্বপ্রথম জুমার নামাজ কোথায় আদায় করেন?
উত্তরঃ হিযরতের সময় পথে
বনী সালেম গোত্রের বস্তিতে।
১৫২. জাহেলী যুগে জুমুয়াার দিনকে কি বলত?
উত্তরঃ ইয়াওমূল আরুবা।
১৫৩. যে ব্যক্তি জুমুয়ার নামাজে সকলের পিছে হাজির হবে তার পরিণাম
কি?
উত্তরঃ জান্নাতে প্রবেশেও
সকলের পেছনে থাকবে।
১৫৪. কোন ব্যাক্তি পরপর ৩ জুমুয়ায় অনুপস্থিত থাকলে আরøাহ্
তাকে কি করেন?
উত্তরঃ তার দিলে মোহর
লাগিয়ে দেন।
১৫৫. সর্বোত্তম দিন কোন দিন?
উত্তরঃ জুমার দিন।
১৫৬. কোন দিনে আল্লাহ হজরত আদম (আঃ) কে বানিয়ে ছিলেন?
উত্তরঃ জুমার দিনে।
১৫৭. আল্লাহ্ বছরে ২টি উত্তম দিন দিয়েছেন, তা কি কি?
উত্তরঃ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল
আযহা।
১৫৮. ঈদুল ফিতরে ধনী ব্যক্তির ঈদের নামাজের আগে কি করতে হয়?
উত্তরঃ গরীবদেরকে ফিতরা
দান করতে হয়।
১৫৯. কোরবানীর গোস্ত গরীবদেরকে কত অংশ বিতরণ করতে হয়?
উত্তরঃ এক তৃতীয়াংশ।
১৬০. আল্লাহ্ ঈদের সিলেবাস কিভাবে তৈরী করেছেন?
উত্তরঃ যাতে মুসলমানদের
অন্তরে ধর্মীয়বোধ ও মানবতাবোধ জাগ্রত হয়।
১৬১. নবী (সাঃ) কোন ঈদের আগে কিছু খেতেন আর কোন ঈদের আগে কিছু
খেতেন না?
উত্তরঃ ঈদুল ফেতরের আগে
খেতেন আর ঈদুল আযহার নামাজের আগে কিছু খেতেন না।
১৬২. ঈদুল ফেতরের আগে নবী (দঃ) খোরমা বেজোড় খেতেন কেন?
উত্তরঃ আল্লাহ্ বেজোড় ও
তিনি বেজোড়কে ভালবাসেন।
১৬৩. কোন এক দিনের এমন এক
সময় আছে, যখন
মুসলিম বান্দাহ আল্লাহ্র কাছে কল্যাণ কামনা করলে তাকে অবশ্যই দান করা হয়। দিনটি
কোন দিন?
উত্তরঃ জুমার দিন।
১৬৪. নামাজের আগে কোরবানী করলে কোরবানী না হয়ে কি উদ্দেশ্যে জবেহ
করা হল ধরে নিতে হবে?
উত্তরঃ নামাজের পূর্বে
কোরবানী করলে কোরবানী হবে না। এটা তার গোশত খাবার উদ্দেশ্যে জবেহ করা হয়েছে ধরে
নিতে হবে।
১৬৫. জাকাতের হার কত?
উত্তরঃ শতকরা আড়াই টাকা।
১৬৬. গৃহপালিত পশুর জাকাত কয় অংশ?
উত্তরঃ বিশটিতে একটি।
১৬৭. যদি কেউ যাকাত না দেয়, কেয়ামতের দিন ঐ মাল কিসে পরিণত হবে?
উত্তরঃ বিষধর সাপে।
১৬৮. সঠিকভাবে জাকাত আদায়কারীর মর্যাদা কার সমতুল্য?
উত্তরঃ জেহাদরত ব্যক্তির
সমতুল্য।
১৬৯. ফিতরা প্রকৃতপক্ষে কিসের জাকাত?
উত্তরঃ রোজার জাকাত।
১৭০. ফিতরা কখন দিতে হয়?
উত্তরঃ ঈদগাহে রওয়ানা
হবার পূর্বে।
১৭১. ফিতরার পরিমাণ কত?
উত্তরঃ ঐ এলাকার প্রধান
খাদ্য অর্থাৎ আটা কিংবা চাউল জনপ্রতি এক সের বার ছটাক।
১৭২. সদকায়ে ফিতরা কি উদ্দেশ্যে নির্ধারণ করেছেন?
উত্তরঃ বাজে কথা ও
অশ্লীলতা হতে রোজাকে পবিত্র করার ও মিসকিনদেরকে অন্নদানের উদ্দেশ্যে।
১৭৩. প্রতিটি নেক কাজের
প্রতিদান আল্লাহ্ ১০ গুণ হতে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করে দেন। কিন্তু রোজার
ব্যাপারে আল্লাহ্ কতটুকু দিবেন?
উত্তরঃ রোজাদারকে আল্লাহ্
নিজহাতে প্রতিদান দিবেন।
১৭৪. রোজাদারের আনন্দের সময় কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ২ টিঃ- ১) ইফতারের
সময়। ২)জান্নাতে আল্লাহ্র সাথে সাক্ষাতের সময়।
১৭৫. রোজাদারের মুখের ঘ্রান আল্লাহ্র কাছে কিসের চেয়ে উত্তম?
উত্তরঃ মেসকের চেয়েও
উত্তম।
১৭৬. শয়তান থেকে বাঁচার জন্য রোজা কি?
উত্তরঃ ঢাল স্বরূপ।
১৭৭. যদি কেউ ঝগড়া করে, গালি দেয়- তার জবাবে রোজাদারের কি
করণীয়?
উত্তরঃ বলতে হবে আমি
রোজাদার।
১৭৮. রোজা কখন ফরজ করা হয়েছে?
উত্তরঃ হিজরী ২য় সনে।
১৭৯. কেয়ামতের দিন ২টি নেকির কাজ আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবে কি কি?
উত্তরঃ রোজা এবং কোরআন।
১৮০. কেয়ামতের দিন রোজাদারের জন্য আল্লাহ্র কাছে কে কে সুপারিশ
করার জন্য অনুমতি চাইবে?
উত্তরঃ রোজা ও কোরআন।
১৮১. কোন গেইট দিয়ে রোজাদার জান্নাতে প্রবেশ করবে?
উত্তরঃ রাইয়ান।
0 Comments