বিজয় দিবস মানে যদি হয়,
কেবল আনন্দ ফূর্তি। তাহলে আমি সেই ফূর্তিতে নাই। কারণ
আমার নবী পিয়ারা নবী সা. আমার জন্য আনন্দ ফূর্তির জন্য দূ’টি বিশেষ
দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
বিজয় দিবস মানে যদি হয়,
বড় বড় বুলি আওড়ানো। তাহলে আমি সেই কাজে নেই। কারণ
কথার চেয়ে কাজকে আমি বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
বিজয় দিবস মানে যদি হয়,
হিন্দুদের কাছে যা ইবাদত-সেই গান বাজনা দিয়ে তথাকথিত
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তাহলে আমি সে অনুষ্ঠানে নেই। কারণ আমি বিধর্মীদের অনুসরণে
নেই। আমার নিজস্ব একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম আছে।
বিজয় দিবস মানে যদি হয়,
বেলেল্লাপনা আর অশ্লীলতা-যুবক যুবতী এক কাতারে শামীল
হয়ে হাসি, গান, নাচ আর
বেহায়াপনা। তাহলে আমি সেই সমাবেশে নেই। কারণ আমি রুচিশীল, সুস্থ
সংস্কৃতির ধারক। আমার মা বা বোন অন্য কারো হাত ধরে বা কারো সম্মুখে নাচানাচি করুক
তা পছন্দ করিনা। বিধায় অন্যের মা বোনকেও আমার মা বোনের মতোই মনে করি।
বিজয় দিবস মানে যদি হয়,
আমার মালিক আল্লাহর প্রশংসা-যিনি আমাকে বিজয় দিয়েছেন।
আমার শত শহীদের আত্মার মাগফিরাত-যাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা।
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার শপথ-যা আমাকে আবার পরাধীন হতে রক্ষা করবে। দেশকে
সুখী সমৃদ্ধ করণের পরিকল্পনা-যার মাধ্যমে আমি স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ গ্রহণ করতে
পারবো। সেই বিজয় দিবস পালনে আমি হবো অগ্রগামী সৈনিক। আমি হবো সত্য ও সুন্দরের পথে
আমার মরহুম পিতার মতো একজন সাহসী যোদ্ধা। আমার মায়ের মতো একজন নিবেদিতা-যার ৯টি
মাস অতিক্রান্ত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের খেদমত করে।
আসুন,
বিজয় দিবস পালন করি সত্য ও সুন্দরের সাথে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার চেতনায়, অপসংস্কৃতি ও বিজাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে নিজস্ব সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের সাথে।
বিজয় দিবস পালন করি সত্য ও সুন্দরের সাথে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার চেতনায়, অপসংস্কৃতি ও বিজাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে নিজস্ব সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের সাথে।
২০১৭, ১০ ডিসেম্বর
0 Comments