প্রশ্নোত্তর -তাফহীমুল কুরআন - সূরা আত তাওবা - মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম

প্রশ্নোত্তরঃ সূরা আত তাওবাঃ ভূমিকা

1.   দুই নামে পরিচিত সূরার একটি নাম আত তাওবাহ অন্য নামটি কি?

উত্তরঃ আল বারাআতু। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১

2.  সূরা আত তাওবার নামতাওবানামকরণের কারণ কি?

উত্তরঃ সূরার এক জায়গায় কতিপয় ঈমানদারের গোনাহ মাফ করার কথা বলা হয়েছে । তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১

3.  সূরা আত তাওবার আরেক নাম কি? কেন এই নামে অভিহিত করা হয়েছে?

উত্তরঃ আরেক নামঃ আল বারাআতু বা বারায়াত। সূরার শুরুতে মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে এই নামে অভিহিত করা হয়েছে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১

4.  সূরা আত তাওবায় বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম লেখা হয় না এ প্রসংগে ইমাম রাযী যে বক্তব্য প্রদান করেছেন, তা কি?

উত্তরঃ নবী সা. নিজেই এর শুরুতে বিসমিল্লাহ লেখাননি, কাজেই সাহাবায়ে কেরামও লেখেননি এবং পরবর্তী লোকেরাও এ রীতির অনুসরণ অব্যাহত রেখেছেন। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১

5.  নবী সা. থেকে হুবহু ও সামান্যতম পরিবর্তন-পরিবর্ধন ছাড়াই গ্রহণ করা হয়েছিল এবং যেভাবে তিনি দিয়েছিলেন ঠিক সেভাবেই তাকে সংরক্ষণ করার জন্য যে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে, তার একটি প্রমাণ কি?

উত্তরঃ সূরা তাওবার শুরুতে বিসমিল্লাহ না থাকা। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১

6.  সূরা আত তাওবা কয়টি ভাষণের সমষ্টি?

উত্তরঃ তিনটি। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১

7.  নবী সা. সে বছর হযরত আবু বকরকে রা. আমীরুল হজ্জ নিযুক্ত করে মক্কায় রওয়ানা করে দিয়েছিলেন। এটি কত হিজরীতে?

উত্তরঃ ৯ম হিজরীতে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১

8.  হযরত আবু বকরকে রা. আমীরুল হজ্জ নিযুক্ত করে মক্কায় রওয়ানা হওয়ার পর হযরত আলী রা.কে তার পিছে পিছে প্রেরণ করা হয়। তা কত হিজরীতে?

উত্তরঃ ৯ম হিজরীতে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১

9.  হযরত আবু বকরকে রা. আমীরুল হজ্জ নিযুক্ত করে মক্কায় রওয়ানা হওয়ার পর কুরআনের কিছু আয়াত নাযিল হয়। তখন একজন সাহাবীকে সেই আয়াত গুলো জানিয়ে দেয়ার জন্য তার পিছে পিছে প্রেরণ করা হয়। তিনি কে ছিলেন?

উত্তরঃ হযরত আলী রা. তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১

10.    হযরত আবু বকরকে রা. আমীরুল হজ্জ নিযুক্ত করে মক্কায় রওয়ানা হওয়ার পর হযরত আলী রা.কে তার পিছে পিছে প্রেরণ করা হয়। কেন প্রেরণ করা হয়?

উত্তরঃ যাতে তিনি হজ্জের সময় সারা আরবের প্রতিনিধিত্বশীল সমাবেশে নাযিল হওয়া কিছু আয়াত শুনান। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১

11.     ৯ম হিজরী রজব মাস বা তার কিছু আগে। এই সময় রাসূল সা. একটি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এটি কোন যুদ্ধ?

উত্তরঃ তাবুক যুদ্ধ। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১

12.    তাবুক যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার পর নাযিল হয় সূরা তাওবার কোন অংশ?

উত্তরঃ ১০ম রুকু থেকে শুরু হয়ে সূরার শেষ পর্যন্ত। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ২

13.    সাচ্চা ঈমানদার লোকেরা নিজেদের ঈমানের ব্যাপারে নিষ্ঠাবান ছিলেন ঠিকই কিন্তু আল্লাহর পথে জিহাদে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিলেন তিরস্কার করার সাথে সাথে তাদের ক্ষমার কথাও ঘোষনা করা হয়েছে। কোন সূরার কোন অংশে?

উত্তরঃ সূরা আত তাওবার ১০ রুকু থেকে শেষ পর্যন্ত অংশে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ২

14.    সুরা তাওবার বিষয়বস্তুর সাথে যে ঘটনা পরম্পরার সম্পর্ক রয়েছে, তার সূত্রপাত ঘটেছে কোথা থেকে?

উত্তরঃ হোদাইবিয়ার সন্ধি থেকে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ২

15.    হোদাইবিয়া পর্যন্ত অবিশ্রান্ত প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের ফলে আরবের প্রায় কত ভাগ এলাকায় ইসলাম একটি সুসংঘটিত ও সংঘবদ্ধ সমাজের ধর্ম, একটি পূর্ণাঙ্গ সভ্যতা ও সংস্কৃতি এবং একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গিয়েছিল? এতে কত বছর সময় লেগেছে?

উত্তরঃ তিন ভাগের এক ভাগ এলাকায়। ছ’বছরের চেষ্টায়। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ২

16.    কখন ধর্ম বা দীন আরো বেশী নিরাপদ ও নির্ঝঞ্চাট পরিবেশে চারদিকে প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ পেয়ে যায়?

উত্তরঃ হোদায়বিয়ার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পর। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ২

17.    কুরাইশদের অতি উৎসাহী লোকেরা নিজেদের পরাজয় আসন্ন দেখে আর সংযত থাকতে পারেনি। তখন তারা কি করেছিল?

উত্তরঃ তারা হোদায়বিয়ার সন্ধি ভঙ্গ করে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

18.    আরবে ইসলামের প্রচার, প্রসারের জন্য এবং ইসলামী শক্তি সুসংহত করার জন্য ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয় কখন?

উত্তরঃ হোদায়বিয়ার সন্ধির পর। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

19.    রাসূল সা. কখন এবং কোন সময়ে আকম্মিকভাবে মক্কা আক্রমণ করে তা দখল করে নেন?

উত্তরঃ ৮ হিজরীর রমযান মাসে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

20.   প্রাচীন জাহেলী শক্তি কোন জায়গায় তাদের শেষ মরণকামড় দিতে চেষ্টা করে?

উত্তরঃ হোনায়েনের ময়দানে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

21.    প্রাচীন জাহেলী শক্তির মধ্যে হোনায়েনের ময়দানে কোন কোন জাহেলিয়াতপন্থী গোত্র তাদের পূর্ণ শক্তির সমাবেশ ঘটায়?

উত্তরঃ হাওয়াযিন, সাকীফ, নদর, জুসাম, এবং অন্যান্য কতিপয় জাহেলিয়াতপন্থী গোত্র। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

22.    হোনায়েন যুদ্ধে পরাজয়ের সাথে সাথেই আরবের ভাগ্যের চূড়ান্ত ফায়সালা কি হয়ে যায়?

উত্তরঃ আরবকে এখন দারুল ইসলাম হিসেবেই টিকে থাকতে হবে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

23.   কোন ঘটনার পর পুরো এক বছর যেতে না যেতেই আরবের বেশীর ভাগ এলাকার লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করে?

উত্তরঃ হোনায়েনের যুদ্ধের ঘটনা। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

24.    রোম সাম্রাজ্যের সীমান্তে নবী সা. কতজনের বিরাট বাহিনী নিয়ে যান?

উত্তরঃ ৩০ হাজারের। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

25.   সারা আরবে রাসূল সা. ও তার দ্বীনের অপ্রতিরোধ্য প্রতাপ ও অজেয় ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে?

উত্তরঃ রোমীয়রা যেভাবে তাঁর মুখোমুখি হবার ঝুকি না নিয়ে পিঠটান দিয়ে নিজেদের দুর্বলতার প্রকাশ ঘটায়-তার প্রেক্ষিতে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

26.    কোথা থেকে ফিরে আসার পর রাসূল সা. এর কাছে একের পর এক প্রতিনিধি দল আরবের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে থাকে?

উত্তরঃ তাবুক থেকে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

27.   আরবের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাসূল সা. এর কাছে একের পর এক প্রতিনিধি দল এসে কি করেছিল?

উত্তরঃ ইসলাম গ্রহণ করে, রাসূল সা. এর বশ্যতা ও আনুগত্য স্বীকার করে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

28.   আরবের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রাসূল সা. এর কাছে একের পর এক প্রতিনিধি দল এসে ইসলাম গ্রহণ করে, রাসূল সা. এর বশ্যতা ও আনুগত্য স্বীকার করে। সে অবস্থাটিকে কুরআনে কিভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, তা আরবীতে লিখুন বা তার অনুবাদ লিখুন।

উত্তরঃ إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ، وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا. - "যখন আল্লাহর সাহায্য এসে গেলো ও বিজয় লাভ হলো এবং তুমি দেখলে লোকেরা দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করছে।" তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

29.    কখন রোম সাম্রাজ্যের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গিয়েছিল?

উত্তরঃ মক্কা বিজয়ের আগেই। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৩

30.   বেশীর ভাগ ছিল খৃষ্টান এবং রোম সাম্রাজ্যের প্রভাবাধীন এলাকা যেখানে ১৫জন মুসলামকে হত্যা করা হয়। জায়গাটির নাম কি?

উত্তরঃ র“যাতুত তালাহ” (অথবা যাতু-আতলাহ)। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৪

31.    যাতুত তালাহ নামক স্থানে মুসলমানদের উপর আক্রমন করা হলে সেখান থেকে কেবলমাত্র প্রতিনিধি দলের নেতা প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে আসতে পেরেছিলেন। সেই প্রতিনিধি দলের নেতার নাম কি?

উত্তরঃ হযরত কাব ইবনে উমাইর গিফারী রা. তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৪

32.   রাসূল সা. বুসরার গভর্ণরের নিকট দাওয়াত নামা পাঠিয়েছিলেনবুসরার সেই সময়ের গভর্ণরের নাম কি ছিল? কাতে দূত হিসাবে প্রেরণ করা হয়?

উত্তরঃ গভর্ণরঃ শুরাহবিল ইবনে আমর। দূতঃ হারেস ইবনে উমাইর রা. তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৪

33.   বুসরার গভর্ণর শুরাহবিল কোন ধর্মের অনুসারী ছিল? সে কার হুকুমের অনুগত ছিল?

উত্তরঃ খৃষ্টান ধর্মের অনুসারী এবং রোমের কাইসারের হুকুমের অনুগত। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৪

34.   রাসূল সা. সিরিয়া সীমান্তে কখন সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন? সেনা বাহিনীতে কতজন মুজাহিদ ছিলেন?

উত্তরঃ ৮ম হিজরীর জমাদিউল উলা মাসে, তিন হাজার মুজাহিদ। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৪

35.   সিরিয়া সীমান্তে তিন হাজার মুজাহিদের বাহিনী প্রেরণের উদ্দেশ্য কি ছিল?

উত্তরঃ ভবিষ্যতে এ এলাকাটি যাতে মুসলমানদের জন্য নিরাপদ হয়ে যায় এবং এখানকার লোকেরা মুসলমানদেরকে দুর্বল মনে করে তাদের ওপর জুলুম ও বাড়াবাড়ি করার সাহস না করে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৪

36.   সিরিয়া সীমান্তের দিকে অগ্রসরমান মুজাহিদ বাহিনী কোথায় শুরাহবিলের বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়? শুরাহবিলের বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ মুতা নামক স্থানে। শুরাহবিলের সৈন্য ছিল এক লাখ। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৪

37.   মুতার অভিযানে একজন মুসলামানের মোকাবেলায় কাফেরদের সৈন্য সংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ তেত্রিশ জন। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৪

38.   রোম সাম্রাজ্যের আরবীয় সৈন্য দলের সেনাপতি যিনি ইসলাম গ্রহণ করেন, তার নাম কি?

উত্তরঃ ফারওয়া ইবনে আমর আলজুযামী। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৪

39.   ফারওয়ান ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে গ্রেফতার করে কাইসারের দরবারে আনা হলে তাকে দু’টি জিনিসের যে কোন একটি নির্বাচনের ইখতিয়ার দেয়া হয়। ইখতিয়ার দুইটি কি কি? ফারওয়ান কোনটি গ্রহণ করেন?

উত্তরঃ ১. ইসলাম ত্যাগ করো। তাহলে তোমাকে শুধু মুক্তিই দেয়া হবে না বরং আগের পদমর্যাদাও বহাল করে দেয়া হবে। ২. মুসলমান থোকো। কিন্তু এর ফলে তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। তিনি ধীর স্থিরভাবে চিন্তা করে ইসালামকে নির্বাচিত করেন এবং সত্যের পথে প্রাণ বিসর্জন দেন। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৪

40.   মদীনার মুনাফিকরা কার মধ্যস্থতায় গাসসানের খ্রীস্টান বাদশাহ এবং স্বয়ং কাইসারের সাথে গোপন যোগসাজশে লিপ্ত হয়েছিল?

উত্তরঃ আবু আমের রাহেব। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৬

41.    নিজেদের দুস্কর্মের ওপর দীনদারীর প্রলেপ লাগাবার জন্য মদীনার সংলগ্ন এলাকায় মুনাফিকরা কি নির্মাণ করেছিল?

উত্তরঃ মসজিদে দ্বিরার। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৬

42.    মসজিদে দ্বিরার কি?

উত্তরঃ ইসলামী মিল্লাতকে ক্ষতিগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে তৈরী মসজিদ। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৬

43.   সমস্ত যুদ্ধে নবী সা. এর নিয়ম কি ছিল?

উত্তরঃ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি কাউকে বলতেন না কোনদিকে যাবেন এবং কার সাথে মোকাবিলা করতে হবেবরং তিনি মদীনা থেকে বের হবার পরও অভীষ্ট মনযিলের দিকে যাবার সোজা পথ না ধরে তিনি অন্য বাঁকা পথ ধরতেন। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৬

44.    সমস্ত যুদ্ধে নবী সা. এর গোপনীয়তা অবলম্বনের যে নিয়ম ছিল, তা একটি অভিযানে গোপন না রেখে রাসূল সা. পরিস্কার কি বলে দিলেন?

উত্তরঃ রোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে এবং সিরিয়ার দিকে যেতে হবে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৬

45.   রোম ও ইসলামের সংঘাতের ফলাফল কি দাঁড়ায় সে দিকেই তারা অধীর আগ্রহে দৃষ্টি নিবন্ধ করে রেখেছিল। কারণ এটি ছিল তাদের শেষ আশার আলো। কাদের আশার আলো ছিল?

উত্তরঃ প্রাচীন জাহেলিয়াতের প্রেমিকদের। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৬

46.    মুনাফিকেরা শেষ প্রচেষ্টা হিসাবে  কি বানিয়ে অপেক্ষা করছিল সিরিয়ার যুদ্ধে ইসলামের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটা মাত্রই তারা দেশের ভেতরে গোমরাহী ও অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দেবে।

উত্তরঃ মসজিদের দ্বিরার। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৬

47.   তাবুকের অভিযানকে ব্যর্থ করার জন্য সম্ভাব্য সব রকমের কৌশল অবলম্বর করে কারা?

উত্তরঃ মুনাফিকেরা। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৬

48.   কারা অনুভব করতে পেরেছিলেন, যে আন্দোলনের জন্য বিগত ২২বছর ধরে তারা প্রাণপাত করে এসেছেন বর্তমানে তার ভাগ্যের চূড়ান্ত ফায়সালা হবার সময় এসে পড়েছে?

উত্তরঃ নিষ্ঠাবান মুসলমানরা। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৭

49.    তাবুকের অভিযানের জন্য যুদ্ধের সাজ সরঞ্জাম যোগাড় করার ব্যাপারে প্রত্যেকেই নিজের সামর্থের চেয়ে অনেক বেশী পরিমাণে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু যারা সওয়অরী পেতেন না, তারা কি করেছিলেন?

উত্তরঃ কাঁদতে থাকতেন। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৭

50.   তাবুকের অভিযানের পর্যালোচনা করতে গিয়ে মাওলানা মওদূদী বলেছেনঃ “এমনকি এ সময় কোন ব্যক্তি পেছনে থেকে যাওয়ার অর্থ এ দাঁড়ায় যে,”----- প্রশ্ন হচ্ছেঃ পেছনে থেকে যাওয়ার অর্থ কি দাড়ায়?

উত্তরঃ ইসলামের তার সম্পর্কের দাবী সত্য কিনা সেটাই সন্দেহজনক হয়ে পড়তো। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৭

51.    তাবুকের পথে যাওয়ার সময় সফরের মধ্যে যেসব ব্যক্তি পেছনে থেকে যেতো সহাবায়ে কেরাম নবী সা. এর নিকট তাদের খবর পৌছিয়ে দিতেন। এর জবাবে তিনি সংগে সংগেই স্বতস্ফূর্তভাবে কি বলে ফেলতে? বাংলা বা আরবীতে বলুন।

উত্তরঃ دَعُوهُ، فإِنْ يَكُ فِيهِ خَيْرٌ فَسَيُلْحِقُهُ اللهُ بِكُمْ، وَإِنْ يَكُ غَيْرَ ذَلِكَ فَقَدْ أَرَاحَكُمُ اللهُ مِنْهُযেতে দাও, যদি তার মধ্যে ভালো কিছু থেকে থাকে,তাহলে আল্লাহ তাকে আবার তোমাদের সাথে মিলিয়ে দেবেন। আর যদি অন্য কোন ব্যাপার হয়ে থাকে,তাহলে শোকর করো যে,আল্লাহ তার ভণ্ডামীপূর্ণ সাহচর্য থেকে তোমাদের বাঁচিয়েছেন”। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৭

52.   তাবুকের অভিযানের জন্য ৯ হিজরীর রজব মাসে সিরিয়ার পথে নবী সা. রওয়ানা দেন কতজন মুজাহিদ নিয়ে?

উত্তরঃ ৩০ হাজার। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৭

53.   তাবুকের অভিযানে সাওয়ার সংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ দশ হাজার। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৭

54.   তাবুকের অভিযানে মুসলিম বাহিনী যথাস্থানে পৌছে কি জানতে পারে?

উত্তরঃ কাইসার ও তার অধিনস্থ সম্মুখ যুদ্ধ অবতীর্ণ হবার পরিবর্তে নিজেদের সেনা বাহিনী সীমান্ত থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এখন এ সীমান্তে আর কোন দুশমন নেই। কাজেই এখানে যুদ্ধেরও প্রয়োজন নেই। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৭

55.   সীরাত রচয়িতারা এ ঘটনাটিকে সাধারণত এমনভাবে লিখে গেছেন যাতে মনে হবে যেন সিরিয়া সীমান্তে রোমীয় সৈন্যদের সমাবেশ সম্পর্কে যে খবর রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে পৌছে তা আদতে ভুলই ছিল। অথচ আসল ঘটনা কি ছিল?

উত্তরঃ আসল ঘটনা এই যে, কাইসার সৈন্য সমাবেশ ঠিকই শুরু করেছিল। কিন্তু তার প্রস্তুতি শেষ হবার আগেই যখন রাসূলুল্লাহ সা. মোকাবিলা করার জন্য পৌছে যান তখন সে সীমান্ত থেকে সৈন্য সরিয়ে নেয়া ছাড়া আর কোন পথ দেখেনি। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৮

56.   রাসূল সা. তাবুকে কত দিন অবস্থান করেন?

উত্তরঃ ২০ দিন। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৮

57.   দুমাতুল জানদালের খৃষ্টান শাসক ও আইলার খৃষ্টান শাসক এর নাম কি?

উত্তরঃ উকাইদির ইবনে আবদুল মালিক কিনদী ইউহান্না ইবনে রুবাহ। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৮

58.   কোন অভিযানের মাধ্যমে ইসলামী সাম্রাজ্যের সীনামা রোম সামাজ্যের সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃতি হয়ে যায়?

উত্তরঃ তাবুকের অভিযান। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৮

59.   রোম সম্রাটরা যেসব আরব গোত্রকে এ পর্যন্ত আরবদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে আসছিল কোন অভিযানের ফলে বেশীর ভাগই রোমানদের মোকাবিলায় মুসলমানদের সহযোগী হয়ে গেল।

উত্তরঃ তাবুকের অভিযান। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৮

60.   “তাবুকের অভিযানে বিনা যুদ্ধে বিজয় লাভের ঘটনা তাদের কোমর ভেংগে দেয়” কাদের কোমর ভেংগে দেয়?

উত্তরঃ এতদিন পর্যন্ত যারা প্রকাশ্যে মুশরিকদের দলভুক্ত থেকে অথবা মুসলমানদের দলে যোগদান করে পরদার অন্তরালে মুনাফিক হিসেবে অবস্থান করে প্রাচীন জাহেলিয়াতের পুনর্বহালের আশায় দিন গুণছিল। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৮

61.    কোন ঘটনার পর একটি নামমাত্র সংখ্যালঘু গোষ্ঠী তাদের শিরক ও জাহেলী কার্যক্রমে অবিচল থাকে । কিন্তু তারা এত বেশী হীনবল হয়ে পড়ে যে, ইসলামের যে সংস্কারমূলক বিপ্লবের জন্য আল্লাহ তাঁর নবীকে পাঠিয়েছিলেন তার পূর্ণতা সাধনের পথে তারা সামান্যতমও বাধা সৃষ্টি করতে সমর্থ ছিল না?

উত্তরঃ তাবুকের অভিযান। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৮

62.    আরবদেশকে পূর্নাঙ্গ দারুল ইসলামে পরিণত করার জন্য যে ৩টি নীতি অবলম্বন করা হয়, তা কি কি?

উত্তরঃ ক) আরব থেকে শিরককে চূড়ান্তভাবে নির্মূল করতে মুশরিকদের সাথে সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করা খ) কাবা ঘরের পরিচালনা ও অভিভাবকত্বের দায়িত্বেও তাওহীদদের হাতেই ন্যস্ত থাকা চাই। গ) আরবের সাংস্কৃতিক জীবনে জাহেলী রসম-রেওয়াজের যেসব চিহ্ন এখনো অক্ষুন্ন ছিল সেগুলো নিশ্চিহ্ন করা। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৯

63.   আরবের ইসলাম প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম পূর্ণতায় পৌছে যাবার পর সামনে যে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়টি ছিল সেটি কি?

উত্তরঃ আরবের বাইরে আল্লাহর সত্য দীনের প্রভাব-বলয় বিস্তৃত করা। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৯

64.    আরবের ইসলাম প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম পূর্ণতায় পৌছে যাবার পর সামনে যে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়টি ছিল সেটি ছিল আরবের বাইরে আল্লাহর সত্য দীনের প্রভাব-বলয় বিস্তৃত করা। কিন্তু এ পথে বড় প্রতিবন্ধক কি ছিল?

উত্তরঃ রোম ও ইরানের রাজনৈতিক শক্তি। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ৯

65.   অন্যান্য অমুসলিম রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থাগুলোর সাথেও এমনি ধরনের সংঘাত ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হওয়া ছিল স্বাভাবিকতাই মুসলমানদের কি নির্দেশ দেয়া হয়?

উত্তরঃ আরবের বাইরে যারা সত্য দীনের অনুসারী নয়, তারা ইসলামী কর্তৃত্বের প্রতি বশ্যত ও আনুগত্যের স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত শক্তি প্রয়োগ করে তাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম শাসন কর্তৃত্ব খতম করে দাও। তারা চাইলে ইমান আনতে পারে, চাইলে নাও আনতে পারে। তারা নিজেরা চাইলে পথভ্রষ্ট হয়ে থাকতে পারবে। কিন্তু সে জন্য শর্ত হচ্ছে, তাদের জিযিয়া আদায় করে ইসলামী শাসন কর্তৃত্বের অধীন থাকতে হবে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১০

66.    সাময়িক বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে কাদের ব্যাপারে এ পর্যন্ত উপেক্ষাও এড়িয়ে যাবার নীতি অবলম্বন করা হচ্ছিল?

উত্তরঃ মুনাফিকদের ব্যাপারে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১০

67.   সত্য অস্বীকারকারীদের সাথে যেমন কঠোন ব্যবহার করা হয়, তেমনি কঠোর ব্যবহার করা হবে গোপন সত্য অস্বীকারকারী মোনাফেকদের সাথে। এই নীতি অনুযায়ী তাবুক যুদ্ধের প্রস্তুতির পূর্বে এবং তাবুক থেকে ফিরে আসার পর নবী সা. দুইটি কাজ করেন। তা কি কি?

উত্তরঃ তাবুক যুদ্ধের প্রস্তিুতির পূর্বেঃ সুওয়াইলিমের গৃহে আগুন লাগানতাবুক থেকে ফিরে আসার পর সর্বপ্রথম মসজিদে দ্বিরার ভেংগে ফেলার ও জ্বালীয়ে দেবার হুকুম দেন। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১০

68.   ইসলামী সংগঠনের জন্য কোন চাইতে বড় কোন আভ্যন্তরীণ বিপদ থাকতে পারে না।

উত্তরঃ ঈমানের দুর্বলতা। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১০

69.    তাবুক যুদ্ধের পর কাদেরকে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় তাদের তিরস্কার ও নিন্দা করা হয়?

উত্তরঃ যারা অলসতা ও দুর্বলতার পরিচয় দিয়েছিল। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১০

70.   মুনাফেকসূলভ আচরণ এবং সাচ্চা ঈমানদার না হওয়ার সুষ্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা হয় কাদের কোন আচরণকে?

উত্তরঃ যারা পিছনে রয়ে গিয়েছিল তাদের ন্যায়সংগত ওযর ছাড়াই পিছনে থেকে যাওয়াটাকে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১০

71.    মুমিনদের ঈমানদের দাবী যাচাই আসল মানদণ্ড কি?

উত্তরঃ আল্লাহর কালেমাকে বুলন্দ করার সংগ্রাম এবং কুফর ও ইসলামের সংঘাত। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১০

72.   কার ঈমান নির্ভরযোগ্য হবে না?

উত্তরঃ যে ব্যক্তি ইসলামের জন্য ধন-প্রাণ সময় ও শ্রম ব্যয় করতে ইতস্তত করবে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১০

73.   অন্য কোন ধর্মীয় কাজের মাধ্যমে কোন ক্ষেত্রের কোন অভাব পূরণ করা যাবে না?

উত্তরঃ যে ব্যক্তি ইসলামের জন্য ধন-প্রাণ সময় ও শ্রম ব্যয় করতে ইতস্তত করবে। তাফহীম-৫ম খন্ডঃ ভূমিকা-পৃষ্ঠাঃ ১০

উপরোক্ত ৭৩টি প্রশ্নোত্তর পিডিএফ আঁকারে পেতে এখানে ক্লিক করুন

প্রশ্নোত্তরঃ সূরা আত তাওবাঃ ৩০-৪২

এই অংশের প্রশ্নোত্তর প্রত্রটি তৈরী করেছেনঃ ইঞ্জিনিয়ার বেলাল হোসেন

1.         ইহুদীরা কাকে তাদের ধর্মের পূর্ণ প্রতিষ্ঠাকারী মনে করত।

উত্তরঃ উযাইরকে।

2.        ইহুদিরা কাকে আল্লাহর পুত্র মনে করত?

উত্তরঃ উযাইরকে।

3.        এজরা কে?

উত্তরঃ ইহুদি সমাজে ওযায়ের এজরা নামে পরিচিত ছিল।

4.        ইহুদিরা তাদের আলিম ওলামাদের কি হিসেবে মানতো?

উত্তরঃ রব হিসাবে মানতো।

5.        ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের তৌহিদের দাবি কি এবং তাদের নিজেদের  স্বীকারোক্তি দ্বারা কি প্রমাণিত হয়?

উত্তরঃ ইহুদিরা বলে উযায়ের আল্লাহর পুত্র এবং খ্রিস্টানরা বলে মাসীহ আল্লাহর পুত্র তাদেরস্বীকারোক্তি দ্বারা স্পষ্ট শিরিক প্রমাণিত হয়। আর শিরিক হলো সবচেয়ে বড় জুলুম।

6.        আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধে কোন আলেমের আনুগত্য করা যাবে কি?

উত্তরঃ কোন আলেম বা দরবেশের কথা যদি আল্লাহ এবং রাসূলের আনুগত্যের বিরোধী হয় তাহলে তার আনুগত্য করা যাবে না।

7.        কারো আদেশ- নিষেধ আল্লাহ ও রাসূলের আদেশ-নিষেধের বিরোধী কিনা তা যাচাই করার মত জ্ঞান অর্জন করা কি?

উত্তরঃ কারো আদেশ বা নিষেধ আল্লাহ ও রাসূলের আদেশ-নিষেদের বিরোধী কিনা তাহা বুঝার মত জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ।

8.        যারা আল্লাহর দিনকে চিরতরে ধ্বংস করে দিতে চায় তাযে সম্ভব নয় তার কারণ কি হতে পারে?

উত্তরঃ কারণ আল্লাহ স্বয়ং তার দিনের আলোকে উদ্ভাসিত করতে চান। আর আল্লাহ যা চান তাই বাস্তবায়িত হবে।

9.        আল্লাহ তাঁর রাসূলকে কি উদ্দেশ্যে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন?

উত্তরঃ আল্লাহ তাঁর রাসূলকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তার দীনকে দুনিয়ার বুকে সকল দীন ও মতাদর্শের উপরে বিজয়ী করার জন্য।

10.    ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের আলেম ও সংসার বিরাগী দরবেশরা  কি কি অপকর্মে লিপ্ত এবং তাদের অনুসারীদের  পরিণতি কি।

উত্তরঃ তারা নিজেরা শির্ক করে এবং অন্যায় ভাবে জনগণের সম্পদ আত্মসাৎ করে। তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট তাদেরকে যারা অনুসরণ করে তারাও পথভ্রষ্ট।

11.      যাকাত আদায় এবং দিনি আন্দোলনের কাজে ব্যবহার করা জায়েজ কিনা?

উত্তরঃ হ্যাঁ জায়েজ।

12.     যাকাত আদায় না করে ধন-সম্পদ জমা করে রাখা কি বৈধ?

উত্তরঃ না বৈধ নয়।

13.    জাকাত না দিয়ে সম্পদ জমা করা আর অবৈধভাবে উপার্জন করা সম্পদের মধ্যে  কি পার্থক্য?

উত্তরঃ না কোন পার্থক্য নেই

14.    দুনিয়ার হিসেবে মাসের সংখ্যা ১২ টি আল্লাহর হিসাবে কয়টি?

উত্তরঃ আল্লার হিসাবেও ১২ টি।

15.    যারা সোনারূপা ধন-সম্পদ জমা করে রাখে খরচ করে না তাদেরকে কিসের সুসংবাদ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

উত্তরঃ যন্ত্রণাদায়ক আজাবের।

16.    কোন জিনিসকে জাহান্নামের আগুন দিয়ে গরম করা হবে?

উত্তরঃ অবৈধভাব উপার্জনকৃত জমা করা সম্পদকে।

17.    কাদের কপালে বা পিঠে গরম দাগ দেওয়া হবে?

উত্তরঃ অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করে জমা কারীদেরকে।

18.    আরবি মাস গণনা কবে থেকে শুরু হয়েছে?

উত্তরঃ আসমান ও জমিন সৃষ্টি লগ্ন থেকে।

19.    আল্লাহর পক্ষ থেকে কয়টি মাস কে নিষিদ্ধ মাস করা হয়েছে?

উত্তরঃ চারটি।

20.   উল্লেখিত চারটি হারাম মাসে কি কাজ করা নিষিদ্ধ ছিল?

উত্তরঃ যুদ্ধবিগ্রহ এবং অশান্তি বিশৃঙ্খলা করা নিষিদ্ধ ছিল।

21.     ইসলামের হুকুম আহকাম গুলো সৌর মাস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নাকি চন্দ্র মাস দ্বারা।

উত্তরঃ চন্দ্র মাস দ্বারা।


Post a Comment

0 Comments