প্রশ্নোত্তর - তাফহীমুল কুরআন - সূরা আল আহকাফ

০১. সূরা আল আহক্বাফ কুরআনের কত নম্বর সূরা?

উত্তরঃ ৪৬ নম্বর সূরা।

০২. সূরা আল আহক্বাফ-এর নামকরণ করা হয়েছে কত নম্বর আয়াত থেকে?

উত্তরঃ ২১নং আয়াত থেকে।

০৩. সূরা আল আহক্বাফের আয়াত ও রূকু সংখ্যা কত?

উত্তরঃ আয়াত-৩৫, রূকু-

০৪. সূরা আল আহক্বাফ কখন নাযিল হয়?

উত্তরঃ নবুয়াতের ১০ম বছরের শেষ দিক বা ১১শ বছরের প্রথম দিক।

০৫. হিজরতের কত বছর পূর্বে নবী সা. তায়েফ গমন করেন?

উত্তরঃ ৩বছর।

০৬. রাসূল সা. এর নবুয়াতী জিন্দেগীর কোন বছরটি অত্যন্ত কঠিন ছিল?

উত্তরঃ ১০ম বছর।

০৭. ইসলাম বিরোধীরা কত বছর মুসলমানদের বয়কট করে রাখে?

উত্তরঃ ৩ বছর।

০৮. শিয়াবে আবি তালিব বলতে কি বুঝায় এবং সেখানে কারা বাস করতো?

উত্তরঃ মক্কার একটি মহল্লার নাম, বনি হাশিম গোত্রের লোকজন বাস করতো।

০৯. নবী সা. যখন তায়েফ গমন করেন, তখন মক্কা থেকে তায়েফ পর্যন্ত কিভাবে গমন করেন?

উত্তরঃ পায়ে হেটে।

১০. যখন মক্কার কাফিরদের কুরআনের আয়াত শুনানো হতো, তখন তারা কি উপলব্দি করতো?

উত্তরঃ এ বাণীর মর্যাদা মানুষের কথার চাইতে অনেক গুণ বেশী।

১১. মক্কার কাফিরদের ঈমানের অন্তরায় কি ছিল?

উত্তরঃ তাদের গর্ব অহংকার এবং ভিত্তিহীন আত্মম্ভরিতা।

১২. আল্লাহ তায়ালা বলেন, এদেরকে তাদের ভাইয়ের কাহিনী কিছুটা শুনাও ভাই বলতে কাকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ হযরত হুদ আ. কে।

১৩. জিনরা যখন নবী সা. এর থেকে কুরআন পাঠ শুনছিলো, তখন তারা পরস্পরকে কি বলছিল?

উত্তরঃ চুপ করো।

১৪. নাখলা উপত্যকায় নবী সা. কোন কোন নামায পড়েছিলেন?

উত্তরঃ এশা, ফজর কিংবা তাহাজ্জুদ।

১৫. রাসূল সা. মক্কার কোন স্থানে জিনদের একটি মোকাদ্দামাহর ফায়সালা করেছিলেন?

উত্তরঃ হাজুন নামক স্থানে।

১৬. একটি ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনা থেকে সূরা আহক্বাফ-এর নাযিল হওয়ার সময়-কাল নিরূপিত হয়। ঐ ঘটনাটি সূরা আহকাফের কোন কোন আয়াতে বর্ণিত হয়েছে?

উত্তরঃ ২৯ থেকে ৩২ আয়াতে।

১৭. রাসূল সা. কাছে এসে জিনদের ইসলাম গ্রহণ করে ফিরে যাওয়ার ঘটনা কুরআনে কোন সূরায় বর্ণিত হয়েছে?

উত্তরঃ সূরা আহক্বাফে।

১৮. রাসূল সা. এর কাছে এসে জিনদের ইসলাম গ্রহণের ঘটনা কোন সময়ে কোন স্থানে সংঘটিত হয়?

উত্তরঃ তায়েফ থেকে ফিরার পথে নাখলা নামক স্থানে।

১৯. হিজরতে কত বছর আগে রাসূল সা. রাসূল সা. তায়েফ গমন করেন?

উত্তরঃ ৩ বছর আগে।

২০. কুরআনের এমন একটি সূরা নাবুয়াতের ১০ বছরের শেষ দিকে অথবা ১১শ বছরের প্রথম দিকে তায়েফ থেকে ফিরার পর নাযিল হয়। সূরাটির নাম কি?

উত্তরঃ সূরা আল আহক্বাফ।

২১. রাসূল সা. ও তার খান্দানের লোক এবং মুসলমানরা একটি মহল্লায় অবরূদ্ধ ছিলেন দীর্ঘ সময়। ঐ মহল্লাকে কি নামে আখ্যায়িত করা হতো? সেখানে তারা কতদিন ছিলেন?

উত্তরঃ শে'বে আবি তালিব মহল্লা। ৩বছর সময়।

২২. "এরা যে জিনিস কিনতে চাইবে তার মূল্য এত অধিক চাইবে যেন এরা খরিদ করতে না পারে আমি ঐ জিনিস তোমাদের নিকট থেকে কিনে নেব এবং তোমাদের লোকসান হতে দেব না "-এই উক্তিটি কার? কাদেরকে উদ্দেশ্য করে এ উক্তি করা হতো।

উত্তরঃ এই উক্তি আবু লাহাবের। শে'বে আবি তালিব গুহায় অবরুদ্ধ কেউ বাজারে বা কোন বানিজ্য কাফেলার দিকে গেলে বনিকদের উদ্দেশ্য করে সে এ উক্তি করতো।

২৩. "তাদেরকে এমন সব কঠিন সময় পাড়ি দিতে হয়েছিলো যখন কোন কোন সময় ঘাস এবং গাছের পাত খাওয়ার মত পরিস্থিতি এসে যেতো "- এ অবস্থা কাদের হয়েছিল?

উত্তরঃ শে'বে আবি তালিবে অবরুদ্ধ মানুষের।

২৪. আরবী ভাষায় শিয়াব শব্দের ২টি অর্থ কি কি? শে'বে আবি তালিব কোন পাহাড়ের উপত্যকায় অবস্থিত ছিল?

উত্তরঃ শিয়াব শব্দের দুইটি অর্থ। ১. উপত্যকা। ২. পাহাড়ের মধ্যবর্তী ক্ষুদ্র বাসযোগ্য ভূমি। শে'বে আবি তালিব 'আবু কুরাইস' পাহাড়ে উপত্যকায় অবস্থিত।

২৫. মক্কার একটি উপত্যকা, নবী এর জন্মস্থান হিসাবে পরিচিত স্থানের নিকটেই যার অবস্থানঐতিহাসিক ভাবে প্রসিদ্ধ সেই উপত্যকার প্রাচীন নাম কি? বর্তমানে সেই উপত্যকা কি কি নামে পরিচিত?

উত্তরঃ ঐতিহাসিক সেই উপত্যকার নাম 'শে'বে আবি তালিব' আর বর্তমানে এর নাম শে'বে আলী বা শে'বে বনী হাশেম বলা হয়।

২৬. "আমুল হুযন" শব্দের অর্থ কি? কোন ঘটনা সমুহের বছরটিকে রাসূল সা. আমুল হুযন বলে উল্লেখ করতেন?

উত্তরঃ আমুল হুযন অর্থ দুঃখ বেদনার বছর। যে বছরে রাসূল সা. এর চাচা আবি তালিব এবং স্ত্রী খাদিজা ইনতেকাল করেন।

২৭. কোন কোন বর্ণনা মতে তায়েফ গমনের সময় রাসূল সা. এর একজন সাথী ছিলেন। সেই সাথীর নাম কি?

উত্তরঃ যায়েদ ইবনে হারেস।

২৮. আপনার কওম আপনাকে যে জবাব দিয়েছে আল্লাহ তা শুনেছেন এই তো আল্লাহ পাহাড়ের ব্যবস্থাপক ফেরেশতাকে পাঠিয়েছেন আপনি যা ইচ্ছা তাকে নির্দেশ দিতে পারেন এই উক্তিটি কে কখন কাকে উদ্দেশ্য করে করেছিলেন?

উত্তরঃ এই উক্তি হযরত জিবরাঈল আ. রাসূল সা.কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, যখন তিনি তায়েফ থেকে নির্যাতিত হয়ে কারনুল মানাযিল নামক স্থানে পৌছেন।

২৯. তায়েফের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ রাসূল সা. এর দাওয়াত কবুল না করে তাকে শহর ছেড়ে যাওয়ার হুকুম করে কোন শংকার কারণে?

উত্তরঃ তারা শংকিত হয়ে পড়েছিলো যে রাসূল সা. এর প্রচার তাদের যুবক শ্রেণীকে বিগড়ে না দেয়

৩০. রাসূল সা. তায়েফ ত্যাগ করার সময় কোন গোত্রের নেতারা তাদের বখাটে ও পান্ডাদের নবী সা. এর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছিল?

উত্তরঃ সাকীফ গো্ত্রের।

৩১. রাসূল সা. তায়েফে নির্যাতিত হয়ে ভগ্ন হৃদয় আর দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে ফিরে যাওয়ার পথে একটি স্থানের নিকটবর্তী হলে মাথার উপর মেঘের ছায়ার মতো অনুভব করলেন। সেই স্থানের নাম কি? সেখানে তিনি কাকে দেখতে পেলেন?

উত্তরঃ কারনুল মানাযিল নামক স্থানে। সেখানে তিনি হযরত জিবরাঈল আ.কে দেখতে পেলেন।

৩২. "আপনি যদি আদেশ দেন তাহলে দুই দিকের পাহাড় এই সব লোকদের ওপর চাপিয়ে দেই এ উক্তিটি কার? কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল?

উত্তরঃ এই উক্তিটি পাহাড়ের ব্যবস্থাপক ফেরেশতার। তিনি রাসূল সা.কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন।

৩৩. পাহাড়ের ব্যবস্থাপক ফেরেশতা নবী সা.কে উদ্দেশ্য করে "আপনি যদি আদেশ দেন তাহলে দুই দিকের পাহাড় এই সব লোকদের ওপর চাপিয়ে দেই এ উক্তিটি বলার পর নবী সা. কি জবাব দিয়েছিলেন?

উত্তরঃ নবী সা. জবাব দিয়েছিলেন, "না, আমি আশা করি আল্লাহ তাদের বংশ এমন সব লোক সৃষ্টি করবেন যারা এক ও লা-শরীক আল্লাহর দাসত্ব করবে

৩৪. তায়েফ থেকে ফেরার পথে কারনুল মানাযিল নামক স্থান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর নবী সা. আরেকটি স্থানে কয়েকদিন অবস্থান করেন। সে স্থানের নাম কি?

উত্তরঃ নাখালা

৩৫. প্রকৃত সত্য হলো বিশ্ব জাহানের এই ব্যবস্থাপনা একটি উদ্দেশ্যপূর্ণ জ্ঞানগর্ভ ব্যবস্থা যেখানে ভাল ও মন্দ এবং জালেম ও মজলুমের ফায়সালা অবশ্যই ইনসাফ মোতাবেক হতে হবে৷ তাহলে এটা কি নয়?

উত্তরঃ উদ্দেশ্যহীন কোন খেলার বস্তু নয়।

৩৬. উপাস্য হওয়ার অধিকারে আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার করার দুটি ভিত্তি হতে পারে৷ তার একটি হলো, সে ব্যক্তি নিজে কোন মাধ্যমের সাহায্য জেনে নিয়েছে যে, যমীন ও আসমান সৃষ্টি ব্যাপারে সত্যিই তার কোন অংশ আছেদ্বিতীয়টি কি?

উত্তরঃ আল্লাহর নিজেই বলে দিয়েছেন যে, খোদায়ীর কাজে অমুক ব্যক্তি আমার অংশীদার৷

৩৭. হে নবী, এদের বলে দাও, “তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের ডেকে থাকো কখনো কি তাদের ব্যাপারে ভেবে দেখেছো? আমাকে একটু দেখাও তো পৃথিবীতে তারা কি সৃষ্টি করেছে কিংবা আসমানসমূহের সৃষ্টি ও ব্যবস্থাপনায় তাদের কি অংশ আছে৷ যদি তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে ইতিপূর্বে প্রেরিত কোন কিতাব কিংবা জ্ঞানের কোন অবশিষ্টাংশ (এসব আকীদা-বিশ্বাসের সমর্থনে) তোমাদের কাছে থাকলে নিয়ে এসো" এখানে আয়াতের অবশিষ্টাংশ বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ প্রাচীনকালের নবী-রসূল ও নেক লোকদের শিক্ষার এমন কোন অংশ

৩৮. ائْتُونِي بِكِتَابٍ مِّن قَبْلِ هَٰذَا  ইতিপূর্বে প্রেরিত কোন কিতাব নিয়ে এসো" আয়াতে ইতিপূর্বে প্রেরিত কিতাব বলতে কি বুঝানো হয়েছে

উত্তরঃ আয়াতে ইতি পূর্বে প্রেরিত কোন কিতাব অর্থ এমন কোন কিতাব যা আল্লাহর পক্ষ থেকে কুরআন নাযিলের পূর্বে প্রেরিত হয়েছে৷

৩৯. "সেই ব্যক্তির চেয়ে বেশী পথভ্রষ্ট কে যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন সব সত্তাকে ডাকে যারা কিয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিতে সক্ষম নয়৷" মানে কি?

উত্তরঃ মানে-যেহেতু তাদের আদৌ কোন শক্তি ও কর্তৃত্ব নেই তাই তার আবেদনে কোন প্রকার ইতিবাচক বা নেতিবাচক বাস্তব তৎপরতা চালাতে সক্ষম নয়৷

৪০. "সেই ব্যক্তির চেয়ে বেশী পথভ্রষ্ট কে যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন সব সত্তাকে ডাকে যারা কিয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিতে সক্ষম নয়৷ এমনকি আহবানকারী যে তাকে আহবান করছে সে বিষয়েও সে অজ্ঞ৷" এখানে কিয়ামত পর্যন্ত জবাব না দিতে পারার অর্থ কি?

উত্তরঃ কিয়ামত পর্যন্ত জবাব না দিতে পারার অর্থ হচ্ছে, যত দিন পর্যন্ত এই পৃথিবী আছে ততদিন পর্যন্ত ব্যাপারটা ওখানেই স্থির থাকবে৷ অর্থাৎ সেই সব উপাস্যদের পক্ষ থেকে তাদের আবেদনের কোন জবাব পাওয়া যাবে না৷ কিন্তু যখন কিয়ামত হবে তখন ব্যাপারটা আরো অগ্রসর হয়ে এই দাঁড়াবে যে, সেই সব উপাস্যরা উল্টা এসব উপাসনাকারীদের দুশমন হয়ে যাবে৷

৪১. "সেই ব্যক্তির চেয়ে বেশী পথভ্রষ্ট কে যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন সব সত্তাকে ডাকে যারা কিয়ামত পর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিতে সক্ষম নয়৷ এমনকি আহবানকারী যে তাকে আহবান করছে সে বিষয়েও সে অজ্ঞ৷" এখানে আহবান বিষয়ে সে অজ্ঞ কেন?

উত্তরঃ এসব আহবানকারীদের আহবান আদৌ তাদের কাছে পৌঁছে না৷ না তারা নিজের কানে তা শোনে, না অন্য কোন সূত্রে তাদের কাছে এ খবর পৌঁছে যে পৃথিবীতে কেউ তাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছে৷

৪২. সারা পৃথিবী মুশরিকরা আল্লাহ ছাড়া যেসব সত্তার কাছে প্রার্থনা করছে তারা তিনভাগে বিভক্ততা কি কি?

উত্তরঃ এক, প্রাণহীন ও জ্ঞান-বুদ্ধিহীন সৃষ্টি৷ দুই, অতীতের বুযুর্গ মানুষেরা৷ তিন, সেই সব পথভ্রষ্ট মানুষ যারা নিজেরাও নষ্ট ছিল এবং অন্যদেরও নষ্ট করে দুনিয়া থেকে বিদায় হয়েছিলো৷

৪৩. অতীতের বুযুর্গ মানুষেরা, যাদের কাছে প্রার্থনা করা হয়। তাদের কাছে ঐ প্রার্থনা পৌছেনা দুইটি কারণে, তা কি কি?

উত্তরঃ .তারা আল্লাহর কাছে এমন একটি জগতে আছে, যেখানে মানুষের আওয়াজ সরাসরি তাদের কাছে পৌঁছে না৷ ২. সারা জীবন যেসব মানুষকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা শিখেয়েছেন তারাই এখন উল্টা তাদের কাছে প্রার্থনা করছে আল্লাহর এবং তাঁর ফেরেশতারা তাদের কাছে এ খবর পৌঁছিয়ে দেন না৷ কারণ, তাদের কাছে এই খবরের চেয়ে বেশী কষ্টদায়ক জিনিস আর কিছুই হতে পারে না৷ আল্লাহ তাঁর সেই নেক বান্দাদের কষ্ট দেয়া কখনো পছন্দ করেন না৷

৪৪. আল্লাহ তার সৎ আর অসৎ বান্দাদের নিকট দুনিয়ার মানুষের কি কি পৌছিয়ে দেন?

উত্তরঃ সৎ বান্দাদের কাছে দুনিয়ার মানুষের সালাম আর রহমত কামনা আর আসৎ বান্দাদের নিকট মানুষের অভিসাপ ক্রোধ ও তিরস্কার পৌছিয়ে দেন।

৪৫. "যখন সমস্ত মানুষকে সমবেত করা হবে তখন তারা নিজেদের আহবানকারীর দুশমন হয়ে যাবে এবং ইবাদতকারীদের অস্বীকার করবে" তখন তারা কি বলবে?

উত্তরঃ তারা বলবে, "না আমরা কোন সময় তোমাদের একথা বলেছি যে, আমাদের ইবাদত করতে হবে, না আমাদের জানা আছে যে, এ লোকেরা আমাদের 'ইবাদত' করতো৷ এই গোমরাহীর জন্য তারা নিজেরাই দায়ী৷ তাই তার পরিণাম তাদেরকেই ভোগ করতে হবে৷ এ গুনাহে আমাদের কোন অংশ নেই৷"

৪৬. সেই সব পথভ্রষ্ট মানুষ যারা নিজেরাও নষ্ট ছিল এবং অন্যদেরও নষ্ট করে দুনিয়া থেকে বিদায় হয়েছিলো, তাদের কাছে প্রার্থনা করা হলে তা তাদের কাছে না পৌছার কারণ কি কি?

উত্তরঃ . তারা আল্লাহর কাছে অপরাধী হিসেবে বিচারের অপেক্ষায় বন্দী৷ সেখানে দুনিয়ার কোন আবেদন- নিবেদন পৌঁছে না৷ ২. আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতারাও তাদের এ খবর দেন না যে, পৃথিবীতে তোমাদের মিশন খুব সফলতা লাভ করেছে এবং তোমাদের মৃত্যুর পর মানুষ তোমাদেরকে উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করেছে৷ কারণ এ খবর তাদের জন্য খুশীর কারণ হবে৷ অথচ আল্লাহ জালেমদের কখনো খুশী করতে চান না।

৪৭. "এ রকম একটি বাণী সম্পর্কে তো বনী ইসরাঈলদের একজন সাক্ষী সাক্ষ্যও দিয়েছে৷ সে ঈমান এনেছে৷" মুফাস্সিরদের একটি বড় দল এই সাক্ষী বলতে একজন সাহাবীর কথা বলেছেন, তিনি কে? ইসলাম গ্রহণের পূর্বে তার একটি বড় পরিচয় ছিল তা কি?

উত্তরঃ তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম। তিনি মদীনায় একজন বড় ইহুদী আলেম ছিলেন।

বিয়ের কত মাসের কম সময়ের মধ্যে সুস্থ ও পূর্ণাংগ সন্তান প্রসব করলে একজন মহিলা ব্যিভচারিনী সাবস্থ্য হবে এবং ঐ ৪৮. সন্তান স্বামীর বংশ পরিচয়ে পরিচিত হবে না?

উত্তরঃ ৬মাস

৪৯. ইসলামী শরীয়ার বিধান মতে একজন মহিলার গর্ভ ধারণের স্বল্পতম মেয়াদ কত?

উত্তরঃ ৬মাস।

৫০. বিয়ের কতমাস পর সন্তান জন্ম নিলে সে সন্তান স্বামীর বংশ পরিচয়ে পরিচিত হবে?

উত্তরঃ ৬মাস।

৫১. "তারা কি বলতে চায় যে রসূল নিজেই এসব রচনা করেছেন তাদের বলে দাওঃ আমি নিজেই যদি তা রচনা করে থাকি তাহলে কোন কিছু আমাকে আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা করতে পারবে না৷ যেসব কথা তোমরা তৈরী করছো আল্লাহর তা ভাল করেই জানেন৷ আমার ও তোমাদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য তিনিই যথেষ্ট তিনি অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু৷" এখানে ক্ষমাশীল আর দয়ালু এর দুইটি অর্থ কি কি?

উত্তরঃ .এটা আল্লাহর দয়া ও ক্ষমা৷ যারা আল্লাহর বাণীকে মিথ্যা বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করতে কুণ্ঠিত নয়, এই দয়া ও ক্ষমার কারণেই তারা পুথিবীর বুকে বেঁচে আছে৷ ২. এখনো যদি এই হঠকারিতা থেকে বিরত হও তাহলে আল্লাহর রহমতের তোমাদের জন্য খোলা আছে এবং অদ্যাবধি তোমরা যা কিছু করেছো তা মাফ হতে পারে৷

৫২. একজন মহিলাকে ব্যবিচারের অভিযোগে দোষী সাবস্ত করে হযরত উসমান রা. রায় প্রদানের পর হযরত আলী ঐ মহিলার পক্ষ অবলম্বণ করে কুরআনের ৩টি আয়াত উপস্থাপন করেন। তার কুরআনের কোন কোন সূরার কত কত নম্বর আয়াত?

উত্তরঃ . সূরা লোকমান ১৪, . সূরা বাকারা ২৩৩ এবং গ. সূরা আহক্বাফ ১৫

৫৩. "আমি মানুষ এই মর্মে নির্দেশনা দিয়েছি যে, তারা যেন পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করে৷" কুরআনের এই বক্তব্য আর হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী মায়ের অধিকার ৩গুণ বেশী। তার ৩টি কারণ, তা কি কি?

উত্তরঃ (১) কষ্ট করে মা তাকে গর্ভে ধারণ করেছে৷ (২) কষ্ট করেই তাকে প্রসব করেছে এবং (৩) গর্ভধারণ ও দুধ পান করাতে ৩০ মাস লেগেছে

৫৪. সন্তানকে দুধপান করানো সর্বাধিক মেয়াদ কত?

উত্তরঃ ২ বছর

৫৫. কত বছর বয়স পর্যন্ত কোন শিশু কোন মহিলার দুধপান করলে ঐ মহিলা দুধ মা বলে সাবস্ত হবে।

উত্তরঃ ২ বছর।

৫৬. ইমাম আবু হানিফার মতে কত বছর পর্যন্ত একজন শিশু দুধপান করলে সংশ্লিষ্ট মহিলা দুধমাতা বলে গন্য হবে?

উত্তরঃ আড়াই বছর।

৫৭. মেডিকেল গবেষণা অনুযায়ী একটি পরিপুষ্ট ও পরিবৃদ্ধ শিশু ভূমিষ্ট হোওয়ার উপযোগী হতে কত সপ্তাহ মাতৃগর্ভে অবস্থান প্রয়োজন?

উত্তরঃ ২৮ সপ্তাহ।

৫৮. আর যে ব্যক্তি তার পিতা মাতাকে বললোঃ আহ! তোমরা বিরক্তির একশেষ করে দিলে৷ তোমরা কি আমাকে এ ভয় দেখাচ্ছো যে, মৃত্যুর পর আমি আবার কবর থেকে উত্তোলিত হবো? আমার পূর্বে তো আরো বহু মানুষ চলে গেছে৷ (তাদের কেউ তো জীবিত হয়ে ফিরে আসেনি)৷তাদের মা-বাপ আল্লাহর দোহাই দিয়ে কি বলে?

উত্তরঃ তাদের মা-বাপ আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলে : আরে হতভাগা, বিশ্বাস কর৷ আল্লাহর ওয়াদা সত্য৷

৫৯. "উভয় দলের প্রত্যেক মানুষের মর্যাদা হবে তাদের কর্ম অনুযায়ী৷ যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেন৷ " কুরআনের এ আয়াতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ না ভাল লোকদের ত্যাগ ও কুরবানী নষ্ট হবে, না মন্দ লোকদেরকে তাদের প্রকৃত অপরাধের অধিক শাস্তি দেয়া হবে৷

৬০. আহক্বাফ শব্দের আভিধানিক অর্থ কি?

উত্তরঃ বালুর এমন সব লম্বা লম্বা টিলা যা উচ্চতায় পাহাড়ের সমান নয়৷

৬১. "এদেরকে তাদের ভাই (হূদ) - এর কাহিনী কিছুটা শুনাও যখন সে আহক্বাফে তার কওমকে সতর্ক করেছিলো৷" হুদ আ. তার কাওমকে সতর্ক করে কি বলেছিলেন?

উত্তরঃ আল্লাহ ছাড়া আর কারো বন্দেগী করো না৷

৬২. "আমি তাদেরকে এমন কিছু দিয়েছিলাম যা তোমাদের কি কি দেয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ অর্থ, সম্পদ , শক্তি, ক্ষমতা কোন বিষয়েই তোমাদের ও তাদের মধ্যে কোন তুলনা হয় না৷  তোমাদের ক্ষমতার ব্যপ্তি  মক্কা শহরের বাইরে কোথাও নেই৷ কিন্তু তারা পৃথিবীর একটি বড় অংশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছিলো৷

৬৩. আদ কওমের আবাস কতটুকু বিস্তৃত ছিল।

উত্তরঃ ওমান থেকে ইয়ামান পর্যন্ত।

৬৪. "আমি তাদেরকে কান, চোখ, হৃদয়-মন সব কিছু দিয়েছিলাম৷ কিন্তু না সে কান তাদের কোন কাজে লেগেছে, না চোখ, না হৃদয়-মন৷ কারণ, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করতো৷" ওরা কারা ছিল?

উত্তরঃ আদ জাতি।

৬৫. "(আর সেই ঘটনাও উল্লেখযোগ্য) যখন আমি জিনদের একটি দলকে তোমার কাছে নিয়ে এসেছিলাম, যাতে তারা কুরআন শোনে৷" জিনদের কুরআন শোনার এঘটনা কোন স্থানে সংঘটিত হয়?

উত্তরঃ নাখলা নামক স্থানে

৬৬. "তারা গিয়ে বললোঃ হে আমাদের কওমের লোকজন! আমরা এমন কিতাব শুনেছি যা মূসার পরে নাযিল করা হয়েছে৷ যা ইতিপূর্বেকার সমস্ত কিতাবকে সমর্থন করে, ন্যায় ও সঠিক পথপ্রদর্শন করে৷" যারা বললো, তারা কারা?

উত্তরঃ জিনেরা।

৬৭. নির্ভর যোগ্য হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী হিজরতের পূর্বে প্রায় কতটি জিন প্রতিনিধিদল রাসূল সা. এর সাথে সাক্ষাৎ করেছিল?

উত্তরঃ প্রায় ৬টি।

৬৮. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. এর বর্ণনা মতে একদা রাতে রাসূল সা. মক্কাতে অনুপস্থিত ছিলেন এবং হেরা পর্বতের দিক থেকে প্রত্যুষে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি কোথায় এবং কেন গিয়েছিলেন?

উত্তরঃ জিনদের একটি দলকে কুরআন শুনাতে।

৬৯. জিনদের সাথে সাক্ষাতের সময়ে একদা একজন সাহাবী নবী সা.এর সংগী হয়েছিলেন, তিনি কে?

উত্তরঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.

৭০. পাহাড়ের মধ্যবর্তী ক্ষুদ্র বাসযোগ্য ভূমিকে আরবী ভাষায় কি বলা হয়?

উত্তরঃ شعب  (শেব) বলা হয়।

৭১. নবী করীম (সাঃ) তায়েফ থেকে মক্কার দিকে ফেরার পথে যে স্থানে মেঘের ছায়ার মত অনুভব করেছিলেন সেই স্থানের নাম কি?

উত্তরঃ “কারনুল মানযিল”

৭২. নবী করীম (সাঃ) কোন গোত্রকে দাওয়াত দেয়ার লক্ষ্যে তায়েফ গমন করেছিলেন?

উত্তরঃ সাকীফ গোত্রকে।

৭৩. সূরা আল আহক্কাফ এর ১নং আয়াতাংশের ব্যাখ্যা দেখার জন্য তাফসীর কারক তিনটি সূরার ১নং টিকা সমূহ দেখার জন্য বলেছেন, সেই সুরাগুলোর নাম বলুন।

উত্তরঃ . সূরা যুমার ২. সূরা আল জাসিয়া ৩. সূরা আস্ সিজদা

৭৪. ইসলাম আমাদেরকে মাতা-পিতার ব্যাপারে পিতার চেয়ে মাতার খেদমত কতগুণ বেশী করার কথা বলেছে?

উত্তরঃ তিন গুন বেশী।

৭৫. কত সালে ব্যাভেরিয়ান জনৈক সৈনিক আহক্কাফ অঞ্চলের দক্ষিণ প্রান্ত সীমায় পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিলেন?

উত্তরঃ ১৮৪৩ খৃষ্টাব্দে।

৭৬. মাতা-পিতার সাথে কি ধরনের ব্যবহার করার জন্য আল্লাহ্‌ সুবহানাহুতায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন?

উত্তরঃ সদ্ব্যবহার।

৭৭. মাতা তার সন্তানকে গর্ভে ধারন ও দুধপান করাতে কত মাস লেগেছে?

উত্তরঃ ত্রিশ মাস।

৭৮. যে তিনটি কারনে পিতার চেয়ে মায়ের হক্ক সন্তানের প্রতি তিনগুন বেশী সেই তিনটির মধ্যে প্রথম কারণটি হচ্ছেঃ- (এক) কষ্ট করে গর্ভে ধারন (দুই) কষ্ট করে প্রসব করা তিন নং টী কি?

উত্তরঃ ৩০ মাস গর্ভেধারন ও দুধ পান করানো।

৭৯. সন্তান গর্ভে ধারন সহ দুধ পান করানোর সর্বমোট সময় সীমা কত মাস বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ত্রিশ মাস।

৮০. নবী করীম (সাঃ) এর তিলাওয়াত শুনে জিনদের একটি দল যে স্থানে থেমে গিয়েছিল সেই স্থানের নাম কি?

উত্তরঃ আয্ যাইমা অথবা আস্ সাহলুল কবীর



Post a Comment

0 Comments