০১. সূরা আয
যুখরুফের সমসাময়িক সূরা গুলো কি কি?
উত্তরঃ
আল মুমিন, হা-মীম-আস সাজদাহ ও আশ শুরা।
০২. মক্কার
কাফেররা দিন-রাত তাদের বৈঠক সমূহে কি বিষয়য়ে পরামর্শ করতেছিল?
উত্তরঃ
কেমন করে নবী সা.কে হত্যা করা যায়।
০৩. সূরা যুখরুফে
অত্যন্ত জোরালো ভাবে কিসের সমালোচনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ
কুরাইশ ও আরববাসীর জাহেলী আক্বীদা-বিশ্বাস ও কুসংস্কারগুলোর
সমালোচনা করা হয়েছে।
০৪. মক্কার
কাফেররা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কি মনে করতো?
উত্তরঃ
কন্যা সন্তান।
০৫. ফেরেশতাদেরকে
কাফিররা কি বলে মনে করতো?
উত্তরঃ
দেবী।
০৬. “তিনিতো
বলেছিলেন-আমার রবও আল্লাহ তোমাদের রবও আল্লাহ। তোমরা তাঁহারই ইবাদত করো।” এখানে
তিনি বলতে কে?
উত্তরঃ
মারিয়াম পুত্র হযরত ঈসা আ.
০৭. আসমানের
বাদশাহ যদি এই জমিনের বাদশাহর নিকট কোন দূত পাঠাতেন, তাহলে তাকে সোনার কংকন পরাইয়া ফেরেশতাদের একটি বাহিনীর
পাহারাদারীতে পাঠাইতেন।” –এ উক্তি কার এবং কাহাকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছিল?
উত্তরঃ
এ উক্তি ফেরাউনের। সে হযরত মুসা আ.কে লক্ষ্য করে বলেছিল।
০৮. শাফায়াত কে
কার জন্য করতে পারবে?
উত্তরঃ
যে নিজে ন্যায় ও সত্যপন্থী কেবল সে শাফায়াত করতে পারবে এবং
যারা দুনিয়ায় ন্যায় ও সত্যের পথ অবলম্বন করে চলেছে, কেবল তাদেরই জন্য শাফায়াত
করতে পারবে।
০৯. উম্মুল কিতাব
অর্থ কি?
উত্তরঃ
আসল কিতাব।
১০. كتاب مكنون অর্থ কি?
উত্তরঃ
গোপন সুরক্ষিত কিতাব।
১১. সফরে যাওয়ার
সময় কি স্মরণ করা উচিত?
উত্তরঃ
সামনে একটি বড় সফর রয়েছে এবং তাহাই শেষ সফর।
১২. “আমরা ইহাকে
আরবী ভাষার কিতাব বানাইয়াছি, যেন তোমরা ইহা
বুঝিতে পারো”-কে কাকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন?
উত্তরঃ
আল্লাহ মক্কার কাফেরদেরকে উদ্দেশ্য করে।
১৩. কুরআনের
বিভিন্ন জায়গায় জমীনকে বিছানা বলা হয়েছে। কিন্তু সুরা যুখরুফে জমীনকে কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ
আশ্রয়।
১৪. “এই লোকেরা
তার বান্দাদের মধ্য হতে কতককে তাঁর অংশ মনে করে লয়েছে” এখানে অংশ মনে করা অর্থ কি?
উত্তরঃ
আল্লাহর কোন বান্দাহকে তাঁর সন্তান মনে করা।
১৫. নবী করীম সা.
দু‘হাতে দু‘টি জিনিস নিয়ে বললেনঃ এ দু‘টি জিনিস পোষাকে ব্যবহার করা আমার উম্মতের
পুরুষদের জন্য হারাম”-জিনিস দু‘টি কি কি?
উত্তরঃ
রেশম ও স্বর্ণ।
১৬. রেশম ও
স্বর্ণ কার জন্য ব্যবহার হালাল আর কার জন্য হারাম?
উত্তরঃ
মহিলাদের জন্য হালাল আর পুরুষদের জন্য হারাম।
১৭. “উসামা যদি কন্যা
হতো, তা হলে আমরা তাকে অলংকার
পরাতাম, উসামা মেয়ে হলে আমরা তাকে
ভাল ভাল কাপড় পরাতাম।”–এ উক্তি কার?
উত্তরঃ
হযরত মুহাম্মদ সা. এর।
১৮. “অলংকার পরায়
দোষ নাই, যদি উহার যাকাত আদায় করা
হয়”-কে বলেছেন?
উত্তরঃ
হযরত আয়েশা রা.
১৯. “হেদায়াতের
পথ হতে যখনি পদস্খলন ঘটে, তখনি এ কালেমা-এই
বানী তাদেরকে হেদায়াত দানের জন্য বর্তমান থাকে” -কোন কালেমা?
উত্তরঃ
সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ ছাড়া মাবুদ বা উপাস্য হওয়ার যোগ্য কেহ
নাই।
২০. আরব দেশে
কুরাইশ বংশের প্রাধান্য ও সরদারী চলতো কি কারণ?
উত্তরঃ
কারণ তারা ছিল হযরত ইব্রাহীম আ. ও ইসমাঈল আ. এর বংশধর এবং
তাদের নির্মিত কা’বা ঘরের খাদেম ও হেফাজতকারী।
২১. “এই কুরআন
দুইটি বড় শহরের বড় লোকদের মধ্য হতে কারো উপর নাযিল হলো না কেন?” শহর দু’টি কি কি?
উত্তরঃ
মক্কা ও তায়েফ।
২২. খোদায়ী
ব্যবস্থায় একটি স্থায়ী নিয়মের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে-নিয়মটি কি?
উত্তরঃ
এখানে একজনকে সবকিছুই দেয়া হয় নাই। আর সব কিছু সকলকেও দেওয়া
হয় নাই।
২৩. রব-এর রহমত
বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ
নবুয়াত।
২৪. রহমতের যিকির
এর কি কি অর্থ হতে পারে?
উত্তরঃ
তাঁর স্মরণ, তাঁর নিকট হতে আসা নসিহত, এই
কুরআন।
২৫. “তোমার
বর্তমান থাকা না থাকায় প্রকৃত ব্যাপারে কোন পার্থক্য সুচিত হবেনা” -একথাটি কে কাকে
বলেছেন?
উত্তরঃ
আল্লাহ বলেছেন মুহাম্মদ সা. কে।
২৬. আল্লাহর
“কুদরতের নমুনা” বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ
হযরত ঈসা আ. কে পিতা ছাড়াই পয়দা করা এবং তাকে মুজিজা দান করা।
২৭. “কোন বিষয়ে
তোমাদের পরস্পরের মাঝে মতবিরোধ দেখা দিলে এটাকে আল্লাহ ও রাসূলের নিকট পেশ করো” -
ইহার অর্থ কি?
উত্তরঃ
আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত থেকে এর ফায়সালা জানতে
চেষ্টা করা।
২৮. “আমরা মুসাকে
আমাদের নিদর্শনাদি সহ ফিরাউন ও তাহার রাজবর্গের নিকট পাঠাইলাম” –এখানে নিদর্শণ
বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ
লাটি ও উজ্জল হাত।
২৯. তারা চিৎকার
করে বলবেঃ “হে মালিক! তোমাদের রব আমাদেরকে একেবারে ধ্বংস করে দিক, তবেই ভাল” এখানে হে মালিক বলে কাকে বুঝানো
হয়েছে?
উত্তরঃ
জাহান্নামের ব্যবস্থাপক।
৩০. “তুমি যদি
ঘটনাটিকে নিজের চোখে দিবালোকের মতো দেখে থাকো, তবে তুমি সাক্ষ্য দাও,
অন্যথায়
ইহা ত্যাগ করো”-কে বলেছেন?
উত্তরঃ
নবী মুহাম্মদ সা.
৩১. হযরত ঈসা আ.
যে সুস্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিলেন,
সে
নিদর্শনকে কি বলে তার জাতির সামনে তুলে ধরেছেন?
উত্তরঃ
হিকমাত।
৩২. “আমরা চাইলে
তোমাদের থেকে ফিরিশতা পয়দা করতে পারি” এই কথাটির অন্য তরজমা কি হতে পারে?
উত্তরঃ
“তোমাদের মধ্য হতে কাউকে কাউকে ফেরেশতা বানিয়ে দেব।”
৩৩. “তিনি একাই
আসমানেরও ইলাহ, জমিনে ও ইলাহ এবং
তিনিই বিচক্ষণ ও মহাজ্ঞানী” – তিনি কে?
উত্তরঃ
আল্লাহ।
৩৪. আল্লাহর দরবারে
ঈমানদার ব্যক্তি কে হবে?
উত্তরঃ
যে ব্যক্তি স্বীয় জ্ঞান-বুদ্ধিতে যতদূর সম্ভব জেনে বুঝেই
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর সাক্ষ্য দেবে।
৩৫. জীব জন্তুর
উপর বসার সময় আল্লাহ্র ইহসানরে কথা স্মরণ করে কি পড়তে বললনে?
উত্তরঃ سُبْحانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ،
وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ
৩৬. রেশমী কাপড়
এবং স্বর্ণের অলংকার পরিধান আমার উম্মতরে পুরুষদের জন্য হারাম। হাদিসটি বর্ণনাকারী কে?
উত্তরঃ
আবু মুসা আসআরী।
৩৭. উমর (রা.)
আবু মুসা আশআরীকে কি লিখিয়ে পাঠিয়েছেন?
উত্তরঃ
মুসলিম মহিলাদেরকে তাদের অলংকারাদির যাকাত দেবার নির্দেশ দাও।
৩৮. কোন আশঙ্কার
কারণে আল্লাহ্ কাফেরদের ঘরের ছাদ, সিড়ি,
দরজা সমূহ, সবই স্বর্ণ
রৌপ্যের বানিয়ে দেননি?
উত্তরঃ
সমস্ত মানুষ একই পথের অনুসারী হয়ে যাবার আশঙ্কার।
0 Comments