প্রশ্নোত্তর – তাফহীমুল কুরআন – সূরা আন নূর

১. কোন যুদ্ধের পর সূরা আন-নূর নাযিল হয়?

উত্তরঃ বনিল মুস্তালিক যুদ্ধের পর।

২. কোন ঐতিহাসিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সূরা আন-নূর অবতীর্ণ হয়?

উত্তরঃ ইফকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

৩. পর্দার বিধান কুরআনে ২টি সূরাতে আলোচিত হয়েছে। একটি সূরা আন-নূর অন্যটি কি?

উত্তরঃ সূরা আহযাব।

৪. ইফকের ঘটনা বিশ্বাস করছিলেন একজন মহিলা সাহাবী ও যার নাম ছিল হোসনা অথবা হাসনা। তিনি রাসূল সা.এর কোন স্ত্রীর বোন ছিলেন?

উত্তরঃ জয়নব বিনতে জাহাস।

৫. কোন যুদ্ধের পর ইসলামের উত্থান শুরু হয়েছিল?

উত্তরঃ বদর যুদ্ধ।

৬. পরিখা বা খন্দক যুদ্ধে কাফেরদের সৈন্য সংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ দশ হাজার।

৭. মুহাম্মদ সা.এর পালক পুত্রের নাম কি ছিল?

উত্তরঃ যায়েদ বিন হারেছা।

৮. মুনাফেকদের সরদার (নেতা) কে ছিল?

উত্তরঃ আল্লাহ বিন উবাই।

৯. কোন যুদ্ধে অধিক সংখ্যক মুনাফিক অংশ গ্রহণ করছিল?

উত্তরঃ বনিল মুস্তালিক যুদ্ধে।

১০. বনিল মুস্তালিক যুদ্ধে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পর কোন সাহাবী রাসূল সা. কে পরামর্শ দিলেন তাকে হত্যা করার জন্য?

উত্তরঃ হযরত উমর রা.

১১. বনিল মুস্তালিক যুদ্ধে রাসূল সা. এর কোন স্ত্রী তার সংগী ছিলেন?

উত্তরঃ মা আয়েশা রা.

১২. ইফকের ঘটনার সঙ্গে যেই সাহাবীর নাম জড়িয়ে মা আয়েশা রা. এর উপর অপবাদ দেয়া হয়, তার নাম কি?

উত্তরঃ ছাফওয়ান বিন মুয়াত্তাল।

১৩. মুনাফিকদের সঙ্গে যেই তিনজন সাহাবী মা আয়েশা এর অপবাদের বিশ্বাস করেছিলেন, তাদের মধ্য থেকে ২জনের নাম বলুন।

উত্তরঃ ১. হাসান বিন ছাবিত রা. ২. মিসতাহ রা. ৩. হাসনা রা.

১৪. নবী সা.এর স্ত্রীগন তোমাদের তথা মুমিনদের মা-এটা কোন সূরায় বলা হয়েছে?

উত্তরঃ সূরা আহযাব।

১৫. শরীয়াতে ব্যভিচারী পুরুষ ও নারীর কি শাস্তির বিধান রেখেছে?

উত্তরঃ একশত কোড়া বা বেত্রাঘাত।

১৬. যে ব্যক্তি কোন ব্যক্তির উপর ব্যভিচারের অভিযোগ করল, কিন্তু প্রমাণ বা সাক্ষী পেশ করতে পারল না, তার শাস্তি কুরআনে কি নির্ধারণ করা হয়েছে?

উত্তরঃ ৮০ কোড়া বা বেত্রাঘাত।

১৭. কত নম্ব আয়াত থেকে সূরা আন-নূর এর নাম গৃহীত হয়?

উত্তরঃ ৩৫ নম্বর আয়াত থেকে।

১৮. বনীল মুস্তালিক যুদ্ধ কত হিজরীতে সংগঠিত হয়?

উত্তরঃ ৬ষ্ট হিজরীতে।

১৯. হযরত সা’দ বিন্ মুয়ায রা. কোন যুদ্ধের সময় ইন্তিকাল করেন?

উত্তরঃ বনী কুরাইযা যুদ্ধে।

২০. আহযাব যুদ্ধের আরেক নাম কি?

উত্তরঃ খন্দক যুদ্ধ।

২১. একজন মহিলা বোনের সতিন হওয়ার কারণে আয়েশা রা. এর বিরুদ্ধে অপবাদে অংশ গ্রহণ করেছিলেন? ঐ মহিলা ও তাঁর বোনের নাম বলুন।

উত্তরঃ মহিলার নাম হাসনা বিনতে জাহশ এবং বোনের নাম হযরত যয়নব রা. বিনতে জাহশ।

২২. খন্দক যুদ্ধে কাফেরদের সেনা সংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ দশ হাজার।

২৩. কোন যুদ্ধের পর নবী সা. বলেছিলেন যে, ‘‘এ বছরের পর কুরাইশরা আর তোমাদের উপর হামলা করবেনা বরং তোমরা তাদের ওপর হামলা করবে”।

উত্তরঃ খন্দক যুদ্ধের পর।

২৪. শক্তি-সামর্থ ও সংখ্যায় কাফেরদের তুলনায় কম হওয়ার পরেও যে জিনিসটি মুসলমানদেরকে বিজয় এনে দিয়েছে সিটি কি?

উত্তরঃ তাদের চারিত্রিক ও নৈতিক শ্রেষ্টত্ব।

২৫. নিকৃষ্ট স্বভাবের লোকদের চোঁখে যখন অন্যের গুনাবলী ও নিজেদের দূর্বলতাগুলি ধরা পড়ে, তখন তারা প্রতিপক্ষেও গুনাবলী আয়ত্ব করার চেষ্টা না করে কি কি করে?

উত্তরঃ ১. যে ভাবে হোক নিজেদের দূর্বলতা তাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেবার চেষ্টা করে। ২. কমপক্ষে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো যে তাদের মধ্যে এই এই দোষ-ত্রুটিও আছে।

২৬. খন্দক যুদ্ধের হেরে যাওয়ার পর কাফের মুশরিক ও ইহুদীরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে একটি নতুন কৌশল অবলম্বন করে সে কৌশলটি কি?

উত্তরঃ মুসলমানদের চরিত্র ও নৈতিকতার উপর অপবাদ দেওয়া।

২৭. নবী সা. এর পালক পুত্রের নাম কি?

উত্তরঃ হযরত যায়েদ রা. হারেসা।

২৮. হযরত যয়নব রা. যাকে নবী সা. আল্লাহর নির্দেশে বিয়ে করেন, তিনি আত্মীয়তার দিক থেকে নবী সা. এর কি হতেন?

উত্তরঃ ফুফুর মেয়ে।

২৯. বনীল মুস্তালিক যুদ্ধের আরেক নাম কি?

উত্তরঃ মরাইসীর যুদ্ধ।

৩০. কোন যুদ্ধে মুনাফিকরা সবচেয়ে বেশী অংশগ্রহণ করেছিল?

উত্তরঃ বনীল মুস্তালিক বা মুরাইসীর যুদ্ধে।

৩১. “মদীনায় ফিরে যাওয়ার পর আমাদের মধ্যে যারা মর্যাদা সম্পন্ন তারা দীন-হীন-লাঞ্ছিতদেরকে বাইরে বের করে দেবে”- উক্তিটি কার?

উত্তরঃ মুনাফিক সরদার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইর।

৩২. কি কারণে বনীল মুসতালিক যুদ্ধ থেকে ফিরার পথে হযরত আয়েশা রা. পিছে পড়ে ছিলেন?

উত্তরঃ তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে ছিলেন এবং আসার সময় তাঁর গলার হারটি ছিঁড়ে পড়ে যায়। এই কারণে পিছে পড়ে ছিলেন।

৩৩. হযরত সা’দ বিন মুয়ায কোন গোত্রের প্রধান ছিলেন?

উত্তরঃ মদীনার বিখ্যাত আউস গোত্রের প্রধান ছিলেন।

৩৪. হযরত সা’দ বিন উবাদা কোন গোত্রের প্রধান ছিলেন?

উত্তরঃ খাযরাজ গোত্রের প্রধান ছিলেন।

৩৫. সুরা আল আহযাব মাক্কী না মাদানী সূরা?

উত্তরঃ মাদানী সূরা।

৩৬. মাহরাম ও গায়ের মাহরাম কি?

উত্তরঃ যাদের সাথে বিবাহ হারাম তারা মাহরাম। যাদের সাথে বিবাহ জায়েয, তারা গায়ের মাহরাম।

৩৭. মুসলমানদের জন্য কারা চিরতরে নিজের মায়ের মত হারাম?

উত্তরঃ নবী সা. এর স্ত্রীগণ।

৩৮. কোন ব্যক্তি যদি যিনার অপবাদ দেয় এবং প্রমানস্বরূপ সাক্ষী পেশ করতে না পারে, তাহলে তার প্রথম শাস্তি কি?

উত্তরঃ ৮০ঘা বেত্রাঘাত করা হবে।

৩৯. কেউ কারো ঘরে প্রবেশ করার নিয়ম কি?

উত্তরঃ অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করা।

৪০. কারা বিনা অনুমতিতে কোন খাদ্যবস্তু খেলে তা চুরি বা আত্মসাতরে মধ্যে গন্য হবেনা?

উত্তরঃ অন্ধ, খঞ্জ, পংগু ও রুগ্ন।

৪১. ইফক শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ মূল কথাকে উল্টাইয়া দেয়া।

৪২. হযরত আয়েশা রা. এর মায়ের নাম কি?

উত্তরঃ উম্মে রোমান।

৪৩. বিন-ইয়ামীনের উপর চুরির অভিযোগের কথা শুনে হযরত ইয়াকুব আ. কি বলেছিলেন?

উত্তরঃ فصبر جميل

৪৪. সূরা আন-নূর এর ১১নং আয়াত থেকে ২১ নং আয়াত পর্যন্ত যে মহিলার বিশেষ পেক্ষাপট নাযিল হয়, সেই মহিলার নাম কি?

উত্তরঃ হযরত আয়েশা রা.

৪৫. যেনার অভিযোগ উত্তাপনকারী ব্যক্তির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে তার শাস্তি কি?

উত্তরঃ অভিযোগকারীর পিঠে ৮০ কোড়া মারা।

৪৬. হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী ইফক এর এই গুজব ছড়ানোর কাজে যে কয়জন জড়িত ছিলেন। তাদের সংখ্যা কত? এবং তাদের মধ্যে থেকে যে কোন দুই জনের নাম বলুন।

উত্তরঃ ১. আল্লাহ ইবনে উবাই। ২. যায়েদ ইবনে বেকায়া। ৩. মিসতা ইবনে উছাছা। ৪. হাসান ইবনে সাবিত। ৫. হামনা বিনতে জাহাস।

৪৭. সূরা আন-নূরের ১১ নং আয়াতাংশে যার সম্পর্কে বলা হয়েছে “আর যে লোক এই দায়িত্বের বড় অংশ নিজের মাথায় টেনে নিয়েছে, তার জন্য তো অতি বড় আযাব রয়েছে” কে সেই ব্যক্তি নাম বলুন।

উত্তরঃ আল্লাহ ইবনে উবাই।

৪৮. ইফক এর ঘটনা নিয়ে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে যখন কানা-ঘোষা চলছিল। তাদের  উদ্দেশ্যে আল্লাহ পাক যে নসিহত করেছিলেন, তা কি এবং কত নং আয়াতে উল্লেখ রয়েছে?

উত্তরঃ নসিহত-“ভবিষ্যতে যেন তোমরা এইরূপ কাজ আর কখনও না কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাকো। আয়াত-১৭

৪৯. যে সাহাবী হযরত আয়েশা রা. কে উটের উপর সওয়ার করে নিয়ে এসেছিলেন,সেই সাহাবীর নাম বলুন।

উত্তরঃ হযরত ছাফওয়ান রা.

৫০. يايها لذين امنوا لاتتبعوا خطوات الشيطان ------ والله سميع عليم (২১) ولا يأتل اولوا الفضل ----- والله غفور رحيم (২২)   উপরোক্তহ আয়াত দুটি কার শানে নাযিল হয়?

উত্তরঃ হযরত আয়েশা রা. এর শানে।

৫১. يايها لذين امنوا لاتتبعوا خطوات الشيطان ------ والله سميع عليم (২১) ولا يأتل اولوا الفضل ----- والله غفور رحيم (২২)   উপরোক্তহ আয়াত দুটি নাযিল হওয়ার পর কে কসম খেয়েছিল এবং কেন?

উত্তরঃ হযরত আবু বকর রা. । কারণ তারই আত্মীয় মিসতাহ ইবনে উসামা হযরত আয়েশার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াতে অংশ নিয়েছিল। তাই হযরত আবু বকর রা. কসম খেয়ে বলেছিলেন, তাকে সাহায্য করা বন্ধ করে দিব।

৫২. غافلات শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ সরল মনা ও ভদ্র মহিলারা, যারা ছল-চাতুরী জানেনা। যাদের মন নির্মল।

৫৩. নিস্কলুস-সতী মহিলাদের বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়া কতটি গুনাহের অন্তরভূক্ত?

উত্তরঃ সাতটি সর্বনাশা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত।

৫৪. একজন নিরপরাধ সতী নারীর বিরুদ্ধে অপবাদ  দেওয়া কত বছরের সৎকাজ নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট? এবং হাদিসটি কোন হাদীস গ্রন্থে কার বর্ণনায় এসেছে?

উত্তরঃ ১. একশত বছরের। ২. তাবারানী। ৩. হযরত হুযাইফা রা.

৫৫. حييتم صباحا   /  حييتم مساء   অর্থ কি?

উত্তরঃ সুপ্রভাত, শুভ সন্ধ্যা।

৫৬. মুসলিম সমাজে সকল ব্যবহারিক বিষয়ের মূলনীতি কি হওয়া উচিত?

উত্তরঃ পারস্পরিক সুধারনা।

৫৭. নিজের মা ও বোনদের কাছে যাওয়ার সময় অনুমতির প্রয়োজন আছে কি?

উত্তরঃ আছে।

৫৮. বরং নিজের স্ত্রীর কাছে যাওয়ার সময় ও অন্ততপক্ষে গলায় খাকারী দিয়ে যাওয়া উচিত। এই উক্তিটি কার?

উত্তরঃ ইবনে মাসউদ রা.।

৫৯. আল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. এর স্ত্রীর নাম কি?

উত্তরঃ যয়নব।

৬০. কখন কারো ঘরে প্রবেশের অনুমতি প্রয়োজন নেই?

উত্তরঃ যখন হঠাৎ কারো ঘরে বিপদ দেখা দেয়।

৬১. নবী সা. তার বাঁদীকে বলে­, এ ব্যক্তি অনুমতি চাওয়ার নিয়ম জানে না। একটু উঠে গিয়ে তাকে বলে এসো। এখানে বলে এসো বলতে কি বলে আসতে বুঝানো হয়েছে? এবং রাসূল সা. এর বাদীর নাম কি ছিল?

উত্তরঃ ১. বলতে হবে السلام عليكم اادخل অর্থাৎ আমি কি ভিতরে  আসতে পারি? ২. বাদীর নাম ছিল রাওযাহ।

৬২. নবী সা. অনুমতি নেবার জন্য কতবার ডাক দেবার সীমা নির্দেশ করেছেন?

উত্তরঃ বড়জোর ৩বার।

৬৩. কারো বাড়ীতে ঢোকার অনুমতির জন্য তিনবার ডাকতে হবে ঠিকই । কিন্তু এটার পদ্ধতি কি?

উত্তরঃ একটু থেমে থেমে ডাকতে হবে।

৬৪. বিনা অনুমতিতে কারো খালি ঘরে প্রবেশ করা যায়েজ কি?

উত্তরঃ না।

৬৫. غض অর্থ কি?

উত্তরঃ কোন জিনিস কম করা, হ্রাস করা ও নিচু করা।

৬৬. ইবলিসের বিষাক্ত তীর গুলোর মধ্য থেকে আল্লাহ পাক সূরা নূরে যেটির কথা উল্লেখ করেছেন, সেটির নাম কি?

উত্তরঃ দৃষ্টিশক্তি।

৬৭. বনী মুস্তালিক যুদ্ধের থেকে ফিরার পথে যখন আয়েশা রা. পিছনে পড়লেন, তখন কে তাকে মদীনায় নিয়ে আসে? এবং পথিমধ্যে যখন ঐ ব্যক্তি হযরত আয়েশা রা.কে দেখলেন, তখন কি বললেন?

উত্তরঃ ১. সাফওয়ান ইবনে মু’আত্তাল। ২. বললেন-إنا لله وإنا إليه راجعون

৬৮. আমি পুত্র তো হারিয়েছি ঠিকই, কিন্তু লজ্জাতো হারায়নি। এই উক্তি কার?

উত্তরঃ উম্মে খাল্লাদ।

৬৯. কোন কোন অবস্থায় গায়রে মুহাররাম মেয়েদের দেখা যায়েয?

উত্তরঃ ১. বিয়ে করার পূর্বে কোন মেয়েকে দেখে নেওয়া। ২. অপরাধ অনুসন্ধান প্রসঙ্গে কোন সন্দেহ জনক মহিলাতে দেখা। ৩. আদালতে সাক্ষ্যদেবার সময় কাযীর কোন মহিলা সাক্ষীকে দেখে নেয়া। ৪. চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের রুগিনীকে দেখা

৭০. নিজের স্ত্রী বা মুহাররাম নারীদের ছাড়া অন্যদের প্রতি কতবার নজর পড়া ক্ষমাযোগ্য?

উত্তরঃ একবার।

৭১. সূরা আন নুর-এ বিভিন্ন যিনার কথা বলা হয়েছে। যে কোন ২টির নাম বলুন।

উত্তরঃ ১. চোখের যিনা। ২. হাতের যিনা।

৭২. মাশ’আরে হারাম থেকে ফেরার পথে মহানবী সা. কার মুখের উপর হাত রাখলেন এবং তাকে অন্যদিকে ফিরিয়ে দিলেন?

উত্তরঃ মহানবী সা. এর চাচাত ভাই ফযল ইবনে আব্বাস রা.কে।

৭৩. জংগল থেকে ফিরে এসে যখন দেখলাম কাফেলা চলে গেছে, তখন আমি বসে পড়লাম এবং ঘুম আমার দু’চোখের পাতায় এমন ভাবে জেঁকে বসলো যে, আমি ওখানেই ঘুমিয়ে পড়লাম”-কে জংগল থেকে  ফিরে এসেছিলেন এবং ঘুমিয়ে ছিলেন?

উত্তরঃ হযরত আয়েশা রা.

৭৪. আল কুরআনে চোঁখকে কুদৃষ্টি থেকে বাঁচাবার এবং মানুষের সততা ও সতিত্ব রক্ষার একটি উৎকৃষ্ট উপায় বলে দেওয়া হয়েছে। সেটি কি?

উত্তরঃ বিয়ে।

৭৫. প্রাচীন যুগে কত প্রকার গোলামের সন্ধান পাওয়া যায়? যে কোন একটি উল্লেখ করুন।

উত্তরঃ ৩ প্রকার। ১. যুদ্ধবন্ধি। ২. স্বাধীন ব্যক্তিকে ধরে গোলাম বানানো হতো এবং তারপর তাকে বিক্রির করা হতো৷ ৩. যারা বংশানুক্রমিকভাবে গোলাম হয়ে আসছিল, তাদের বাপ-দাদাকে কবে গোলাম বানানো হয়েছিল

৭৬. মা হযরত আয়েশা রা. এর আযাদকৃত গোলামের সংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ ৬৭ জন।

৭৭. রাসূল সা. এর চাচা হযরত আব্বাস রা. নিজের জীবনে কতজন গোলাম আযাদ করেন?

উত্তরঃ ৭০ জন।

৭৮. সূরা আন-নূর  এর তাফসীরের বর্ণনা মতে এক সাহাবী ৩০ হাজার গোলাম আযাদ করেন। ঐ সাহাবীর নাম কি ছিল?

উত্তরঃ হযরত আব্দুর রাহমান ইবনে আউফ রা.

৭৯. একজন মুনাফিক প্রধানের মদীনায় একটি বেশ্যালয় ছিল এবং সেখানে ৬জন সুন্দরী বাঁদী ছিল। ঐ মুনাফিকের নাম কি?

উত্তরঃ আল্লাহ ইবনে উবাই।

৮০. আল্লাহর আলো লাভকারী বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ সাচ্চা ও সৎ মুমিনদের ।

৮১. যারা কুফরী করে,তাদের কর্মের উপমা কেমন?

উত্তরঃ পানিহীন মরু প্রান্তরে মরিচিকার মতো।

৮২. মুরারক শব্দের অর্থ কি? সূরা আন-নূর এর আলোকে বলুন।

উত্তরঃ বহুল উপকারী, বহুমুখী কল্যানের ধারক।

৮৩. আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবী শব্দ সাধারণ ভাবে কুরআন মজীদে কি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তরঃ বিশ্বজাহান।

৮৪. সুন্দরী যুবতী বাঁদীদের আলাদা ঘরে বসিয়ে রাখতো এবং তাদের  দরজায় ঝান্ডা গেড়ে দিতো। এঘর গুলো কি নামে পরিচিত ছিল?

উত্তরঃ মাওয়াখীর।

৮৫. যার বিয়ে করার ক্ষমতা নেই, তার কি করা উচিত?

উত্তরঃ রোযা রাখা উচিত।

৮৬. কাদের সামনে সতর হেফাজতের প্রয়োজন হয়না?

উত্তরঃ নিজের স্ত্রী ও ক্রীতদাসীদের সামনে।

৮৭. উম্মে হানী কার মেয়ে ছিলেন এবং তিনি মহানবী সা.এর সামনে কোন কোন অংশের পরদা করেন নি?

উত্তরঃ তিনি ছিলেন আবু তালিবের মেয়ে। মুখ  ও চেহারার পর্দা।

৮৮. নবী করীম সা. কি লাগিয়ে দাসীদের মসজিদে আসতে নিষেধ করেছেন?

উত্তরঃ খুশবু।

৮৯. মসজিদ থেকে কাদের জন্য ঘর ভাল?

উত্তরঃ মহিলাদের জন্য।

৯০. কোন জিনিসটি মানুষের কুদৃষ্টি, মানুষের সততা ও সতীত্ব রক্ষার উপায়?

উত্তরঃ বিয়ে।

৯১. কোন ধরনের ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহর দায়িত্ব? যে কোন এক ধরণের নাম বলুন।

উত্তরঃ ৩ ধরনের । ১. যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বের হয়। ২. ৩.

৯২. মুমিন তো আসেল তারাই, যারা অন্তর থেকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মানে এবং যখন কোন সামষ্টিক কাজে রাসূলের সাথে থাকে, তখন তাঁর অনুমতি ছাড়া চলে যায় না। এটা কোন সূরায় বলা হয়েছে?

উত্তরঃ সূরা আন নূর।

৯৩. কুরআনের একটি দৃষ্টান্ত, “যেমন-এক গভীর সমুদ্রের বুকে অন্ধকার; উপরে এক ঢেউ ছাইয়া রহিয়াছে, উহার উপর আর একটি ঢেউ, উহার উপর রহিয়াছে মেঘমালা; অন্ধকারের উপর অন্ধকার সমাচ্ছন্ন। মানুষ নিজের হাত বাহির করিলেও তাহা সে দেখিতে পায় না।” এ উদাহরণ দ্বারা কাদের বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ যারা কুফুর করিয়াছে, তাহাদের আমলের দৃষ্টান্ত দিতে।

৯৪.   ومن لم يجعل الله له نورا فما له من نور অর্থ কি?

উত্তরঃ “বস্তুত আল্লাহ যাহাকে নুর দেন নাই, তাহার জন্য আর কোন নূরই নাই।”

৯৫. কোন কারণ পাওয়া গেলে একজন নিরক্ষর গ্রাম্য ব্যক্তিও সত্যিকার জ্ঞানবান হতে পারে?

উত্তরঃ যদি সে প্রকৃত সত্যকে চিনতে পারে।

৯৬. আল্লাহ সারা জাহানের নূর। কিন্তু সেই নূর অনুভব করার তাওফীক পায় কারা?

উত্তরঃ কেবলমাত্র ঈমানদার নেককার লোকেরা।

৯৭. আল্লাহ সারা জাহানের নুর। কিন্তু সেই নুর যারা অনুভব করার তাওফীক পায়, তারা ছাড়া বাকী সবাই এই নুরের পূর্ণতা ও ব্যাপকতা সত্ত্বেও কি করে?

উত্তরঃ অন্ধদের মত অন্ধকারে হাতড়াইয়া মরে।

৯৮. আল্লাহর তাসবিহ করছে সে সব কিছু, যা আকাশ ও যমীনে অবস্থিত আছে, আর সেই পক্ষীকূলও. . . . . . . .।- এখানে যে পক্ষীকুলের কথা বলা হয়েছে, তাদের বৈশিষ্ট কি?        

উত্তরঃ যারা পক্ষ বিস্তার করে উড়ে বেড়ায়।

৯৯. “প্রত্যেকেই নিজের সালাত ও তসবীহ করার নিয়ম জানে।” এখানে প্রত্যেকে বলতে কাদের কাদের দিকে ইংগিত করা হয়েছে?

উত্তরঃ আকাশ আর যমীনের মধ্যে যা কিছু আছে এবং পক্ষীকুল।

১০০. আল্লাহ আকাশ থেকে শীলা বর্ষণ করেন কিসের সাহায্যে?

উত্তরঃ উচ্চ পাহাড় গুলির সাহায্যে।

১০১. আল্লাহ কর্তৃক রাত ও দিনের আবর্তন ঘটান। এতে বিশেষ শিক্ষা রয়েছে কাদের জন্য?

উত্তরঃ চক্ষুষ্মানদের জন্য।

১০২. আল্লাহ সব জীবকে এক প্রকারের পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন। এদের রয়েছে তিন প্রকারের বৈশিষ্ট। প্রথম প্রকার হলো- উহার কোন কোনটি বুকের উপর হামাগুড়ি দিয়ে চলে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রকার কি কি?

উত্তরঃ ২. কোন কোনটি দুই পায়ের উপর ভর করে চলে। ৩. কোন কোনটি চার পায়ের উপর ভর করে চলে।

১০৩. একদল লোক বলেঃ ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি, আর আমরা আনুগত্য মেনে নিয়েছি।’ কুরআন বলে এরূপ লোক কক্ষণই মুমিন নয়, এরা কারা?

উত্তরঃ যারা পরে আনুগত্য হতে মুখে ফিরিয়ে নেয়।

১০৪. রাসূল সা.এর ফায়সালা এবং রাসূল সা.এর হুকুম প্রকৃত পক্ষে কার ফায়সালা ও হুকুম।

উত্তরঃ আল্লাহর।

১০৫. হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তিকে মুসলমানদের আদালত কর্তাদের মধ্যে কোন কর্তার দিকে আহবান করা হয় এবং সে যদি সে ডাকে হাজির না হয়, তাহলে তার ৪টি হুকুম কি কি?

উত্তরঃ ১. সে যালেম। ২. তার কোন অধিকার থাকেনা। ৩. সে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। ৪. তাকে বাতিলপন্থী মনে করে তার বিরুদ্ধে একতরফা ফায়সালা করে দেওয়া।

১০৬. আল্লাহর শরীয়াত মুতাবিক যাবতীয় ব্যাপারের ফায়সালা করা এবং করানো কিসের দাবী?

উত্তরঃ ঈমানের অনিবার্য দাবী।

১০৭. যে ব্যক্তি আল্লাহর শরীয়াতে তার মর্জি ও খায়েশের বিপরীত যাহা, তাহা প্রত্যাখ্যান করে এবং উহার বিপরীত দুনিয়ার অন্যান্য আইন-বিধানগুলিকে অগ্রাধিকার দান করবে। সে কি মুমিন? তার পরিচয় কি?

উত্তরঃ সে মুমিন নয়, মুনাফিক।

১০৮. بل أولئك هم الظلمون “আসল কথা এই যে, তারা নিজেরাই তো যালোম।” এখানে যাদের যালেম বলা হলো তাদের অবস্থা কি?

উত্তরঃ তারা সন্দেহে পড়ে গিয়েছে। অথবা আল্লাহ ও রাসূল তাদের প্রতি যুলুম করবেন বলে তাদের ভয় হচ্ছে।

১০৯. ঈমানদার লোকদেরকে যখন আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ডাকা হয়  এ উদ্দেশ্যে যে, রাসূল তাদের কোন মামলা মোকাদ্দামা ফয়সালা করে দেবেন, তখন ঈমানদাররা কি বলে আরবী ভাষায় বলুন এবং তার অর্থ বলুন?    

উত্তরঃ তারা বলে-سمعنا وأطعنا আমরা শুনলাম ও মানলাম।

১১০. সমগ্র বিশ্বজাহানের আলো কি?

উত্তরঃ আল্লাহ রাববুল আলামীন।

১১১. কারা আল্লাহর আলো লাভের সৌভাগ্য অর্জন করবে?

উত্তরঃ সৎ মুমিনরা।

১১২. যে ব্যক্তিকে মুসলমানদের আদালতের বিচারপতিদের মধ্য থেকে কোন বিচারপতির কাছে ডাকা হয় এবং সে হাজির হয় না সে কি?

উত্তরঃ জালেম।

১১৩. আল্লাহ ও রাসূলের সা.আনুগত্য ছাড়া ঈমানের দাবী কি?

উত্তরঃ অর্থহীন।

১১৪. যারা সাচ্চা ঈমানদার চরিত্র ও কর্মের দিক দিয়ে সৎ আল্লাহর পছন্দনীয় দ্বীনের আনুগত্যকারী এবং সব  ধরনের শিরক হতে মুক্ত, তাদেরকে আল্লাহ কি দান করবেন?

উত্তরঃ খেলাফত।

১১৫. যারা এখনো বুদ্ধির সীমানায় পৌছেনি, তাদেরকে ঘরে প্রবেশ করার জন্য কয়টি সময় নিষেধ করা হয়েছে এবং কি কি?

উত্তরঃ তিনটি। ১. ফজরের সময়। ২. দুপুরে। ৩. এশার পর।

১১৬. আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়েছে কল্যাণের দোয়া, বড়ই বরকতপূর্ণ ও পবিত্র। এটা কোন দোয়া?

উত্তরঃ লোকদের সালাম দেয়া।

১১৭. নিজের ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য প্রত্যেক গৃহে ও প্রত্যেক যায়গায় যেতে পারা কোন ব্যক্তির জন্য জায়েজ?

উত্তরঃ অক্ষম ব্যক্তির জন্য্

১১৮. যদি মুসলমানরা রাসূল সা. এর বিরুদ্ধাচরণ করে, তাহলে তাদের উপর কি করা হবে?

উত্তরঃ জালেম ও স্বেরাচারী শাসক চাপিয়ে দেয়া হবে।

১১৯. কোন সামগ্রিক উদ্দেশ্যে যুদ্ধ বা শান্তি যে কোন সময় মুসলমানদের যখন একত্র করা হয়, তখন আমীরের অনুমতি ছাড়া তাদের ফিরে যাওয়া কি?

উত্তরঃ জায়েজ নয়।

১২০. খিলাফত ও খিলাফত লাভের একটি অর্থ হচ্ছে “ আল্লাহর দেয়া ক্ষমতার অধিকারী হওয়া” এ অর্থে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ দুনিয়ার সমস্ত মানব সন্তানকে।

১২১. মু’মিনদেরকে যখন আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ডাকা হয়, যাতে রাসূল তাদের মোকদ্দমার ফায়সালা করেন, তখন তারা কি বলেন-কুরআনের ভাষায় উত্তর দিন?

উত্তরঃ سَمِعْنَا وَاَطَعْنَا

১২২. “প্রতিনিধিত্ব”  ও “স্থলাভিষিক্ত” কুরআনে বর্ণিত কোন শব্দের শাব্দিক অর্থ?

উত্তরঃ খিলাফত।

১২৩. “তাদের অবিশ্যি তিনটি সময়ে অনুমতি নিয়ে তোমাদের কাছে আসা উচিত”- এখানে তিনটি সময় দ্বারা কোন কোন সময়কে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ ১. ফজরের নামাযের আগে। ২. দুপুরে যখন তোমরা পোষাক ছেড়ে রেখে দাও। ৩. এশার নামাযের পর।

১২৪. খিলাফত ও খিলাফত লাভের একটি অর্থ হচ্ছে “আল্লাহর সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব মেনে নিয়ে তাঁর শরীয়াতী বিধানের আওতায় খিলাফতের ক্ষমতা ব্যবহার করা” এ অর্থে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ সৎকর্মশীল মু’মিনগনকে।



Post a Comment

0 Comments