প্রশ্নোত্তর – তাফহীমুল কুরআন – সূরা আন নিসা

1.       সূরা নিসা কখন নাযিল হয়?

উত্তরঃ তৃতীয় হিজরীর শেষের দিক থেকে শুরু করে ৪র্থ হিজরীর শেষের দিক পর্যন্ত অখবা ৫ম হিজরীর প্রথম দিকের সময় কালের মধ্যে।

2.      উত্তরাধিকার বন্টন ও এতিমদের অধিকার সম্বলিত বিধানসমূহ কোন যুদ্ধের পর নাযিল হয়?

উত্তরঃ ওহোদ যুদ্ধের পর।

3.      ওহোদ যুদ্ধে কতজন মুসলিম শাহাদাত বরণ করেন?

উত্তরঃ ৭০ জন

4.      যাতুর রিকার যুদ্ধ কত হিজরীতে সংঘটিত হয়?

উত্তরঃ ৪র্থ হিজরী

5.      বনী নযীরকে মদীনা থেকে কখন বহিষ্কার করা হয়?

উত্তরঃ ৪র্থ হিজরীর রবীউল আউয়াল মাসে।

6.      কোন যুদ্ধের সময় তায়াম্মুমের অনুমতি দেয়া হয়? কি কারণে তায়াম্মুমের অনুমতি দেয়া হয়?

উত্তরঃ বনীল মুসতালিকের যুদ্ধের সময় পানি না পাওয়ার কারণে।।

7.      ইসলামের সামাজিক কাঠামো নির্মাণ এবং বাস্তবে এ সমাজ ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথম অবস্থায় যে সমস্থ নির্দেশ ও বিধান কোন সূরাই বর্ণিত আছে?

উত্তরঃ সূরা বাকারা।

8.      এতিমদের অধিকার ও মীরাস বন্টনের নিয়ম-কনুন কোন সূরাতে বর্ণনা করা হয়েছে?

উত্তরঃ সূরা নিসা।

9.      মুসলমানদের মধ্যে দলীয় সংগঠন-শৃংখলা প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত বিধান কোন বর্ণনা করা হয়েছে?

উত্তরঃ সূরা নিসা।

10.   সালাতুল খওফ পড়ার পদ্ধতি কোন সূরাই বর্ণনা করা হয়েছে?

উত্তরঃ সূরা নিসা।

11.   পরিবার গঠন ও পারিবারিক ব্যস্থাপনাকে উন্নত এবং সুগঠিত করার পদ্ধতি কোন সূরাই বর্ণনা করা হয়েছে?

উত্তরঃ সূরা নিসা।

12.   সমস্ত মানুষকে কয়টি প্রাণ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে?

উত্তরঃ একটি প্রাণ।

13.   এতিম মেয়েদের সাথে ইনসাব করতে না পারলে কি করবে?

উত্তরঃ এতিম মেয়েদের বিয়ে করবে।

14.   ‘‘যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীকে সম্পূর্ণ মোহরানা বা তার অংশবিশেষ মাফ করে দেয় এবং আবার তা দাবী করে, তাহলে তা আদায় করার জন্য স্বামীকে বাধ্য করা হবে এটি কার ফয়সালা?

উত্তরঃ হযরত উমর (রঃ) ও কাযী শুরাইহর ফায়সালা।

15.   এতিমদের ধন-সম্পদ তাদের হাতে সোপর্দ করার জন্য কয়টি শর্ত ও কি কি?

উত্তরঃ দুইটি ১. সাবালকত্ব ২. যোগ্যতা।

16.   যারা এতিমদের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে তাদের ব্যাপারে কুরআনের হুকুম কি?

উত্তরঃ জাহান্নামের জ্বলন্ত আগুনে ফেলে দেয়া হবে।

17.   যদি সন্তানাদি থাকে  তাহলে  স্বামীর  সম্পত্তিতে  স্ত্রী  কত অংশ  পাবে? 

উত্তরঃ আটভাগের  এক ভাগ।

18.   সন্তানাদি  যদি  না থাকে  তাহলে  স্বামীর সম্পত্তিতে  স্ত্রী  কত অংশ পাবে? 

উত্তরঃ চার ভাগের  এক ভাগ

19.      রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি বলেছেন মানুষ তার সারাজীবন  জান্নাত বাসীর  মত কাজ করতে থাকে,কিন্তু  মরার সময় অসিয়তের  ক্ষেত্রে  অন্যের  ক্ষতি করার  ব্যবস্হা করে নিজের  জীবনের  আমল নামাকে  কিসের অধিকারী করে দেয়?

উত্তরঃ জাহান্নামের অধিকারী করে দেয়?

20.  যে ব্যক্তি আল্লাহ  ও তারঁ রাসুলের  আনুগত্য  করে  আল্লাহ  তাকে কিসে  প্রবেশ করাবেন ?

উত্তরঃ বাগীচায় প্রবেশ  করাবেন

21.   আল্লাহ  রচিত  মীরাস আইন পরিবর্তন  করা কিসের শামিল?

উত্তরঃ আল্লাহর  বিরুদ্ধে  সুস্পষ্ট বিদ্রোহের  শামিল।

22.  তওবার অর্থ কি?

উত্তরঃ ফিরে  আসা।

23.  কোন কাজটি  জায়েজ  হলেও   দুনিয়ার সমস্ত কাজের  মধ্যে এটি আল্লাহর  কাছে  সবচেয়ে অপন্দনীয়?

উত্তরঃ তালাক।

24.  বংশ ও রক্ত সম্পর্কের  দিক দিয়ে  যা হারাম, দুধ সম্পর্কের দিক দিয়ে তা কি?

উত্তরঃ হারাম

25.  যে দাম্পত্য জীবনের স্বাদ তোমরা তাদের মাধ্যমে গ্রহণ করো, তার বদলে তাদের মোহরানা কি হিসেবে আদায় করো?

উত্তরঃ ফরয।

26.     সমাজ জীবনে মানুষের মধ্যে মর্যাদার যে পার্থক্য দেখা যায়, তা নিছক আপেক্ষিক। নয়তো আসলে সব মুসলমান সমান। তাহলে তাদের মধ্যে পার্থক্য করার মতো বিষয়টি কি?

উত্তরঃ ঈমান।

27.  আল্লাহ তোমাদের ওপর থেকে বিধি-নিষেধ হালকা করতে চান। কারণ মানুষকে কি করে সৃষ্টি করা হয়েছে?

উত্তরঃ  দূর্বল।

28.  হে ঈমানদারগন! তোমরা পরস্পরের ধন সম্পদ অন্যায় ভাবে খেয়ে ফেলো না। লেনদেন হতে হবে কিসের ভিত্তিতে?

উত্তরঃ পরস্পর রেজামন্দির ভিত্তিতে।

29.  তিনটি কারণে কোন কাজ বড় গোনাহে পরিণত হয়। সে তিনটি কাজ কি কি?

উত্তরঃ  ১. কারো অধিকার হরণ করা। ২. আল্লাহকে ভয় না করা এবং আল্লাহর মোকাবিলায় আত্মম্ভরিতা করা। ৩. যে সমস্ত সম্পর্কের সুস্থতা ও বিলষ্ঠতার উপর মানব জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা নির্ভর করে, সে গুলো বিকৃত ও ছিন্ন করা।

30.  আর যা কিছু আল্লাহ তোমাদের কাউকে অন্যদের মোকাবিলায় বেশী দিয়েছেন, তার কি করো না?

উত্তরঃ  আকাংখা।

31.   পুরুষ নারীর কর্তা। এ জন্য যে, আল্লাহ তাদের একজনকে অন্য জনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে, পুরুষ আর কি করে?

উত্তরঃ  নিজের ধন সম্পদ ব্যয় করে।

32.  তোমরা সেই জাহান্নামের ভয় কর, তাহা কাদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে?

উত্তরঃ অবিশ্বাসীদের জন্য।

33.  যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগতা স্বীকার করে, তাদের উপর কি করা হবে?

উত্তরঃ তাদের উপর রহম করা হবে।

34.  কিসের দিকে ধাবিত হতে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ স্বীয় রবের ক্ষমা ও জান্নাতের দিকে ধাবিত হতে বলা হয়েছে।

35.  জান্নাতের প্রশস্ততা কি সদৃশ?

উত্তরঃ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সদৃশ।

36.  সে জান্নাত কাদের জন্য ণির্মিত হয়েছে?

উত্তরঃ ধর্মভীরুদের জন্য(আর্থাৎ মুত্তাকীনদের জন্য)।

37.  স্বচ্ছল অবস্থায়- দুরাবস্থায় আল্লাহর পথে খরচ করে, রাগ দমনকারী, লোকদেরকে ক্ষমাশীল এই গুলা কাদের গুণ?

উত্তরঃ মোহসীনদের।

38.  আল্লাহ মোহসীনদেরকে কি করেন?

উত্তরঃ আল্লাহ মোহসীনদেরকে খুব ভালবাসেন।

39.  কারো দ্বারা যদি

কোন অশ্লীল কাজ সংঘটিত হয়,কিংবা কোন গুনাহ করে নিজের উপর যুলুম করে বসে,এমন্তাবস্থায় আল্লাহর কথা স্বরণ হলে কি করা উচিত?

উত্তরঃ কৃত  কর্মের জন্য আল্লাহর কাছে বেশী ২ ইসতেগফার ও তওবা করা উচিত।

40.  আল্লাহ ছাড়া গুনাহ মাফ করতে পারে এমন কেহ আছে কি?

উত্তরঃ না।

41.   কি নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না?

উত্তরঃ নিজেদের অন্যায় কাজ নিয়ে।

42.  তোমাদের পূর্বেও বহুযুগ অতীত হয়েছে,যারা আল্লাহর বিধান অমান্যকারীদের পরিণতি সমপর্কে কি করতে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ পৃথিবীতে ঘুরে- ফিরে অমান্য কারীদের পরিণতি দেখে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

43.  মুওাকীদের জন্য এই কিতাব কি?

উত্তরঃ মুত্তাকী লোকদের জন্য সুস্পষ্ট বাণী, পথ নির্দেশিকা ও উপদেশ।

44.  মন ভাংগা হয়ো না, চিন্তা করো না, কি হলে তোমরা বিজয়ী হবে?

উত্তরঃ যদি তোমরা প্রকৃত ঈমানদার হও।

45.  এখন যদি তোমাদের উপর কোন আঘাত এসে থাকে, তবে ইতিপূর্বে তোমাদের বিরুদ্ধবাদী দলের উপরও অনুরুপ আঘাতই এসেছে, এর দ্বারা কি বুঝিয়েছেন?

উত্তরঃ এর দ্বারা বুঝিয়েছেন বদর যুদ্ধে কাফেররা আঘাত খেয়ে ও সাহস হারায়নি, তোমরা উহুদের যুদ্ধে আঘাতের ফলে কেন সাহস হারাবে?

46.  আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কি দেখতে চেয়েছেন?

উত্তরঃ প্রকৃত ঈমানদার ও বাস্তব সত্যে সাক্ষী।

47.  আল্লাহ সাচ্চা মুমিনদেরকে আলাদা করে দিয়ে, কাফেরদেরকে  কি করতে চেয়েছিলেন?

উত্তরঃ কাফেরদের মস্তক চুর্ণ করতে চেয়েছিলেন।

48.  যারা মনে করে এমনিতে জান্নাতে প্রবেশ করবে,তাদের ব্যাপারে আল্লাহ কি দেখতে বা জানতে চান?

উত্তরঃ কে আল্লাহর পথে লড়াই করতে প্রস্তত এবং তারই জন্যে ধৈর্যশীল।

49.  কোন প্রাণীই আল্লাহর লিখিত নির্দিষ্ট নির্দেশ ছাড়া কি করতে পারবে না?

উত্তরঃ মরতে পারবে না।

50.  পূর্বে অনেক নবী এসেছিল, তাদের সাথে মিলে বহু আল্লাহ ওয়ালা লোক লড়াই করতে গিয়ে বিপদে পড়ে, তারা কি হন নাই?

উত্তরঃ তারা হতাশা ও দুর্বলতা দেখান নি, এমনকি বাতিলের সামনে মাথা নত করেনি।

51.   তাদের কি দোয়া ছিল?

উত্তরঃ হে আমাদের রব!আমাদের ভুলক্রটিও অক্ষমতাকে ক্ষমা কর,আমাদের কাজ কর্মে তোমার যে সীমা  লংঘন হয়েছে তা মাফ কর,আমাদের পা মজবুত করে দাও এবং কাফেরদের মোকাবিলায় আমাদের সাহায্য কর।

52.  আল্লাহর পথে লড়াই করা কাদের কাজ নয়?

উত্তরঃ আল্লাহর পথে লড়াই করা দুনিয়ার লাভ ও দুনিয়ার স্বার্থ পূজারীদের কাজ নয়।

53.  যে ব্যক্তি কল্যাণ ও সৎ কাজের সুপারিশ করবে সে তা থেকে কি পাবে?

উত্তরঃ সে তা থেকে অংশ পাবে

54.  যখনই কেউ মর্যদা সহকারে তোমাকে সালাম করে তখন তুমি কি কববে?

উত্তরঃ তখন তাকে তার চাইতে ভাল পদ্ধতিতে জবাব দেওয়া, অথবা কমপক্ষকে তেমনি ভাবে জবাব দেওয়া।

55.  সিদ্দীক বলতে কেমন ব্যক্তিকে বুঝায়?

উত্তরঃ সিদ্দীক বলতে পরম সত্যনিষ্ঠ ও সত্যবাদীকে বুঝায়

56.  শহীদ শব্দের আসল অর্থ কী?

উত্তরঃ সাক্ষী

57.  কাদের ব্যাপারে মুমিনদের মধ্যে দ্বিমত পাওয়া যাচ্ছে?

উত্তরঃ মুনাফেকদের ব্যাপারে

58.  তাদের মধ্য তেকে কাউকেও নিজেদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করোনা-তারা কারা? এ অবস্থায় থেকে গেলে তাদের ব্যাপারে আল্লাহর সিদ্ধান্ত কি?

উত্তরঃ রাসূল সা. হিজরতের নির্দেশ দেয়ার পারও যারা হিজরতে করেনি, এরা হচ্ছে তারা এদের ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে যেখানে পাও ধরো এবং হত্যা করো

59.  ভূলবশতঃ কোন মুমিন অন্য কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার কাফ্ফারা কি?

উত্তরঃ যেহেতু নিহত ব্যক্তি একজন মুমিন তাই একজন মুমিন গোলাম মুক্ত করাই তার কাফফারা

60.  জেনে বুঝে কোন মুমিন অন্য কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি কি?

উত্তরঃ তার শাস্তি জাহান্নাম যেখানে সে চিরকাল থাকবে

61.   ইসলামের প্রারম্ভিক যুগে আস্সালাম আলাইকুম শব্দটি কি বুঝাতো?

উত্তরঃ মুসলমানদের ঐতিহ্য ও পরিচিতির বাহক ছিল

62.  কাফফারা শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ গোপনকারী বস্তু

63.  ইমাম আবু হানিফার মতে কতটুকু দূরত্বে সফর করলে কসর করা যায়?

উত্তরঃ ৫৪ মাইল

64.  সালাতুল খাওফ কখন পড়তে হয়?

উত্তরঃ যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যে নামায পড়া হয়, তাকে সালাতুল খওফ বলে

65.  মহান আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহ সা কে কাদের পক্ষ থেকে বিতর্ক কারী হতে নিষেধ করেছেন?

উত্তরঃ খেয়ানত ও বিশ্বাস ভঙ্গ কারীদের পক্ষ থেকে।

66.  যুদ্ধে জয় পরাজয় কিসের উপর নির্ভর করে?

উত্তরঃ আল্লাহর ফয়সালার উপর।

67.  যারা নিজেদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর দ্বীন কে মুছে ফেলতে চায় আল্লাহ তাদেরকে কি করবেন?

উত্তরঃ আল্লাহ তাদেরকে লাঞ্চিত করবেন।

68.  "এ দলটি সে সময় ইসলামী দাওয়াত ও ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথে বাধা ও প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছিল" এখানে কোন দলকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ কাফের দলকে।

69.  সূরা নিসা ১৬ নং রুকুর আলোকে, কোন সমস্ত মুসলমানদেরকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে?

উত্তরঃ যারা নিছক অন্ধ গোত্র ও পরিবার প্রীতির কারণে অপরাধীদের প্রতি সমর্থন জানায়।

70.  যে ব্যক্তি অন্যের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে সে আসলে সবার আগে কার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে?

উত্তরঃ নিজের সাথে।

71.   "আমি তোমার বান্দাদের একটা অংশ নিয়েই ছাড়বো" কে কাকে উদ্দেশ্য করে বলছিল?

উত্তরঃ শয়তান আল্লাহ কে উদ্দেশ্য করে।

72.  সূরা নিসায় আরবদের বহুতর কু সংস্কারের মধ্যে একটি উল্লেখ করা হয়েছে, সেটা কি?

উত্তরঃ পশুর কান চিরে দেবতার নামে উৎসর্গ করা।

73.  শয়তানের সকল কারবার কিসের উপর ভিত্তি করে চলে?

উত্তরঃ মৌখিক ওয়াদা ও আশা ভরসা দেবার ভিত্তিতে।

74.  মন দ্রুত কিসের দিকে ঝুঁকে পড়ে?

উত্তরঃ সংকীর্ণতার দিকে।  

75.  ويستفتونك فى النساء আয়াতে কাকে সম্বোধন করা হয়েছে?

উত্তরঃ রাসুল সা কে।

76.  মানুষ আল্লাহর অবাধ্য হয়ে বিদ্রোহমূলক কোন আচরণ করে আল্লাহর পাকড়াও থেকে কোথাও পালিয়ে যেতে পারে না।  এর কারণ কি?

উত্তরঃ কারণ আল্লাহর অসীম ক্ষমতা ও কুদরত চারদিক থেকে তাকে বেষ্টন করে রেখেছে।

77.  যারা জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের অনুপরিমাণ ও কি হরণ করা হবে না?

উত্তরঃ অধিকার।

78.  আল্লাহর মোকাবেলায় কে নিজের জন্য কোন সমর্থক ও সাহায্য কারী পাবে না?

উত্তরঃ যে অসৎ কাজ করবে।

79.  শয়তানের শাগরিদরা দুনিয়ায় কি সাধন করতে চায়?

উত্তরঃ তারা বিশ্ব জাহানের স্রষ্টার নির্ধারিত বিধিবিধান কে ভুল মনে করে এবং তার মধ্যে সংস্কার সাধন করতে চায়।

80.  মানুষ কিভাবে শয়তানের ইবাদত করে?

উত্তরঃ নিজের প্রবৃত্তি, ইচ্ছা আশা-আকাংখা ও চিন্তা ভাবনার লাগাম শয়তানের হাতে তুলে দিয়ে যেদিকে সে চালায় সে দিকে চলে এমনভাবে চলে যেন সে শয়তানের বান্দাহ এবং শয়তান তার প্রভু।

81.   লোকদের অধিকাংশ গোপন শলা পরামর্শে কি থাকে না?

উত্তরঃ কল্যাণ থাকে না।

82.  যাফর গোত্রের 'তামাহ' নামক ব্যক্তি কি চুরি করে এবং চোরাই মাল টি কোথায় রাখে?

উত্তরঃ এক আনসারির বর্ম চুরি করে এবং অনুসন্ধানের সময় এক ইহুদীর কাছে রাখে।

83.  যে ব্যক্তি পাপ কাজ করবে এই পাপ কাজ তার জন্য কি হবে?

উত্তরঃ তার নিজের জন্য ক্ষতিকর হবে।

84.  জাহেলী যুগে এক ব্যক্তি অসংখ্য বিয়ে করতে পারত। সূরা নিসার প্রাথমিক আয়াত গুলোর মাধ্যমে স্ত্রীদের সংখ্যা কয়জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে?

উত্তরঃ  ৪ জন।

85.  একাধিক স্ত্রী রাখার জন্য কি শর্তারোপ করা হয়েছে?

উত্তরঃ 'দল ।

86.  উম্মতে মুহাম্মদী ও পূর্ববর্তী সকল উম্মতদের সর্বদা কি নির্দেশ দেয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ তোমাদের যাবতীয় কাজে আল্লাহ কে ভয় করবে।

87.  আল্লাহ এতিমদের সাথে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কি নির্দেশ দিয়েছেন?

উত্তরঃ ইনসাফের নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকো।

88.  আল্লাহ কাকে ইনসাফের পতাকাবাহী ও আল্লাহর সাক্ষী হওয়ার জন্য বলেছেন?

উত্তরঃ ঈমানদারদের।

89.  সবচাইতে বেশী কল্যানকামী কে?

উত্তরঃ আল্লাহ।

90.  আল্লাহ ঈমানদার কে কিসের প্রতি আনার জন্য বলেছেন?

উত্তরঃ আল্লাহর প্রতি,রাসুলের প্রতি,আল্লাহ তার রাসুলের ওপর যে কিতাব নাযিল করেছেন তার প্রতি এবং পূর্বে যে কিতাব নাযিল করেছেন তার প্রতি।

91.   কে পথভ্রষ্ট হয়ে বহুদুরে চলে গেল?

উত্তরঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তার ফেরেশতাবর্গ তার কিতাব সমুহ তার রাসুলগন ও পরকালের প্রতি কুফরী করল।

92.  আল্লাহ কখনো তাদেরকে মাফ করবেন না এবং সত্য সঠিক পথ দেখাবেন না। তারা কারা?

উত্তরঃ যে সব লোক ঈমান এনেছে আবার কুফুরী করেছে, আবার ঈমান এনেছে আবার কুফরি করেছে তারপর নিজেদের কুফরির মধ্যে  এগিয়ে যেতে থেকেছে।

93.  তারা যখন নামাজের জন্য উঠে, আড়মোড়া ভাংতে ভাংতে শৈথল্য সহকারে নিছক লোক দেখানোর জন্য উঠে এবং আল্লাহকে খুব কমই স্মরন করে। এরা কারা?

উত্তরঃ মুনাফিকরা।

94.  আল্লাহ কাকে কার সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন?

উত্তরঃ মুমিনদেরকে কাফেরের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেছেন।

95.  কে হারানো নিয়ামত খুঁজেপেতে পারেনা?

উত্তরঃ যে নিজেই তার ভাগ্যের সঠিক পথ হারিয়ে বসে এবং আল্লাহ যাকে সঠিক পথ থেকে বন্ঝিত করেন।

96.  আল্লাহ কি পছন্দ করেন না?

উত্তরঃ মানুষ খারাপ কথা বলে বেড়াক।

97.  আল্লাহ কার জন্য বড়ই ক্ষমা গুনের অধিকারী?

উত্তরঃ যারা প্রকাশ্যে ও গোপনে সৎকাজ করে যায় কমপক্ষে অসৎকাজ থেকে বিরত থাকে।

98.  যারা আল্লাহ ও তার রাসুলদের মেনে নেয় এবং তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করে না আল্লাহ তাদের কে কি করবেন?

উত্তরঃ আল্লাহ অবশ্যই তার পুরুস্কার দান করবেন

99.  কারা সীমালংঘনের কারনে অকস্মাৎ তাদের উপর বিদ্যুৎ আপতিত হয়েছিল?

উত্তরঃ মূসা(আঃ) এর উম্মত আহলি কিতাবরা।

100.  ব্যাপারটিকে তাদের জন্য সন্দিগ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে ব্যাপারটি বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ ঈসা (আঃ) এর মৃত্যু।

101.  হঠাৎ শিশুটির বোল ফুটলো এবং সে সুস্পষ্ট ও বলিষ্ট কন্ঠে বলে উঠল(اني عبدالله اتني الكتاب وجعلني نبيا) আমি আল্লাহর বান্দা আল্লাহ আমাকে কিতাব দিয়েছেন ও নবী বানিয়েছেন। এখানে শিশু বলতে কাকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ ঈসা (আঃ) কে।

102.  কাজেই তোমরা আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি ঈমান আনো এবং তিন বলো না।(ولاتقولوا ثلثة)এখানে তিন বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ আল্লাহ তাআলা, ঈসা (আঃ) ও রুহুল আমীন(জিবরাইল আঃ)এই তিন ইলাহ কে বুঝানো হয়েছে।

103.  আল্লাহ কাদেরকে নিজের রহমত করুনা ও অনুগ্রহের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে নিবেন এবং নিজের দিকে আসার সোজা পথ দেখিয়ে দিবেন?

উত্তরঃ যারা আল্লাহর কথা মেনে নিবে এবং তার আশ্রয় খুজবে।

104.  দুই বোন যদি মৃতের ওয়ারিশ হয় তাহলে তারা পরিত্যক্ত সম্পত্তির কত অংশ পাবে?

উত্তরঃ দুই তৃতীয়াংশের হকদার হবে।

105.  ভয়ের নামায কত হিজরীতে কোথায় শুরু হয়?

উত্তরঃ যাতুর রিকা যুদ্ধে, ৪র্থ হিজরীতে।

106.  তাইয়ামুমের অনুমতি দেয়া হয় কোন যুদ্ধে এবং কত হিজরীতে?

উত্তরঃ বনীল মুসতালিক যুদ্ধে, ৫ম হিজরীতে।

107.  এতিমদের সম্পদের ব্যাপারে শরীয়াতের বিধান কি?

উত্তরঃ . শিশু ও নাবালেগ থাকা কালীন তাদের স্বার্থে সম্পদ ব্যয়।  . প্রাপ্ত বয়স্কা হবার পর সম্পদ তাদের নিকট ফিরিয়ে দেয়।

108.  ولاتتبدلوا الخبيث بالطيب বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ . হালালের পরিবর্তে হারাম উপার্জন করনা।  . এতিমদের ভাল সম্পদের সাথে নিজের খারাপ সম্পদ পরিবর্তন করোনা।

109.  সূরা নিসায় ২, , এবং ৪ বিবাহ করার কথা বলা হয়কে, কাদেরকে, কোন পরিস্থিতিতে বিয়ে করবে?

উত্তরঃ এতিমের অভিভাবক, সাধারণ মাহিলাদের মধ্য হতে পছন্দ মত, যদি বেইনসাফির ভয় করে।

110.  গাইলান কে? তাকে নবী সা. কি নির্দেশ দিয়ে ছিলেন?

উত্তরঃ ইসলাম গ্রহণকারী তায়েফের প্রধান-যার ৯জন স্ত্রী ছিল। নবী সা. ৫জন  স্ত্রীকে তালাক দেবার জন্য তাকে নির্দেশ দেন।

111.   চারের অধিক স্ত্রী ছিল এমন ২জন ইসলাম গ্রহণকারীর নাম কি কি? এবং      স্ত্রী সংখ্যা কত?

উত্তরঃ . তায়েফ প্রধান গাইলান-৯জন এবং  . নওফল ইবনে মুয়াবিয়া-৫জন

112.  ذلك أدنى ألا تعدلوا - বেইনসাফী থেকে রক্ষা পাওয়ার এটি অধিকতর সহজ পদ্ধতি। সহজ পদ্ধতিটি কি?

উত্তরঃ পছন্দ সই মহিলা থেকে চারটা পর্যন্ত বিয়ে  অথবা অধীনস্থ দাসীদের বিয়ে।

113.  যুদ্ধ বন্দি স্বামী স্ত্রীর ব্যাপারে শরীয়াতের বিধান কি?

উত্তরঃ হানাফী-বিয়ে ভাঙবেনা, মালেক ও শাফেয়ী-বিয়ে ভেঙে যাবে।

114.  মোহরানাকে কুরআনের ভাষায় কি বলা হয়েছে? মোহরানা ব্যাপারে হযরত উমর রা. এর বক্তব্য কি?

উত্তরঃ সাদাকা (صدقة)  আর মোহরানা সম্পর্কে উমর রা. এর অভিমত হল-যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীর মোরানা মাফ করে দেয়ার পর আবার দাবী করে, তাহলে স্বামী তা পরিশোধে বাধ্য থাকবে।

115.  এতিমদের ধন-সম্পদ কখন তার হাতে সপোর্দ করা হবে?

উত্তরঃ দু’টি শর্ত পাওয়া গেলে।  ১. সাবালকত্ব।  ২. যোগ্যতা-সম্পদ সঠিক ব্যাবহারের।

116.  এতিমের অভিাবক এতিমের সম্পদ হেফাজতের জন্য কি কোন বিনিময় নিতে পারবে? পারলে তা কি নিয়েমে?

উত্তরঃ অভিাভাবক ফকীর হলে ইনসাফের ভিত্তিতে নিতে পারবে।  আর তা হল-একজন নিপেক্ষ ও সুবিবেচক ব্যক্তি যে পরিমাণ গ্রহণ করাকে ন্যায্য মনে করবেন এবং তা গোপনে নয় বরং প্রকাশ্যে নিতে হবে এবং হিসাব রাখতে হবে।

117.  মিরাসের ব্যাপারে আইনগত নির্দেশ কয়টি ও কি কি?

উত্তরঃ মোট ৫টি।  ১. মিরাসে মেয়েদের অধিকার।  ২. মিরাস কম হলেও বন্টিত হবে।  ৩. স্থাবর অস্থাবর সব সম্পত্তি বন্টনের আওতায়।  ৪. মিরাসে অধিকার আসে মৃত্যুর পর।  ৫. নিকটাত্মীয়ের উপস্থিতি দুরের আত্মীয় মীরাস লাভ করবেনা।

118.  মৃত স্ত্রীর সম্পদে স্বামীর অংশ কি রূপ?

উত্তরঃ স্ত্রী নিঃসন্তান হলে সম্পদের অর্ধেক আর সন্তান থাকলে চার ভাগের একভাগ।

119.  মৃত স্বামীর সম্পদে স্ত্রী বা স্ত্রীদের অংশ কি রূপ?

উত্তরঃ নিঃসন্তান স্বামীর ক্ষেত্রে চার ভাগের একভাগ।

120.  ল্লাহ নির্ধারিত সীমা রক্ষাকারী ও লংঘনকারীর শাস্তি কি কি?

উত্তরঃ জান্নাত এবং আগুন।

121.  ল্লাহর নিকট তাওবা করার অধিকার কাদের?

উত্তরঃ অজ্ঞতা বশতঃ যারা খারাপ কাজ করে এবং দ্রুত তাওবা করা।

122.  তাওবা কাদের জন্য নয়?

উত্তরঃ যারা লাগাতার খারাপ কাজ করতে থাকে এবং মৃত্যুর সময় তওবা করে এবং যারা মৃত্যুর সময় পর্যন্ত কাফের থাকে।

123.  ল্লাহ কতক্ষণ পর্যন্ত তাওবা কবুল করেন-হাদীসের আলোকে জবাব দাও।

উত্তরঃ إن اللهيقبل توبةَ العبدِ مالم يَغَرْغَرْ  আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দার তাওবা কবুল করতে থাকেন, যতক্ষণ মৃর্ত্যুর  আলামাত দেখা না দেয়।

124.  জোর পূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হওয়া বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ স্বামীর মৃত্যুর পর বিধবাকে মীরাসী সম্পত্তি মনে করে তার অভিভাক ও ওয়ারিস হয়ে বসা।  অন্যত্র বিয়ের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করা।

125.  তালাক সম্পর্কে ২টি হাদীস বলুন।

উত্তরঃ . أبغض الحلال إلى الله الطلاق -আল্লাহর নিকট সবচে অপছন্দনীয় হালাল হচ্ছে তালাক এবং  . تزوجوا ولا تطلقوا فإن  الله لايحب الذواقين والذواقات  -বিয়ে কর এবং তালাক দিওনা।  কারণ আল্লাহ এমন সব নারী পুরুষকে ভালবাসেন না, যারা ভ্রমরের মত ফুলে ফুলে মধু আহরণ করে বেড়ায়।

126.  কেন ধরনের যিনাকারীর শাস্তি মৃত্যুদন্ড?

উত্তরঃ মুহরিম আত্মীয়ের মধ্যে যিনাকারী।

127.  দুধ সম্পর্ক বিষয়ে হাদীসের বক্তব্য কি? কত বছর পর্যন্ত দুধ পান করলে দুধ সম্পর্ক বলে বলে গন্য হয়?

উত্তরঃ يَحْرُمُ من الرضاع ما يحرم من النسب  . বংশ ও রক্ত সম্পর্কের দিক দিয়ে যা হারাম দুধ সম্পর্কের দিক দিয়েও তা হারাম।   . আড়াই বছর।

128.  পরস্পর আত্মীয়া দুই মহিলাকে এক সাথে বিয়ে করার ব্যাপারে মূলনীতি কি?

উত্তরঃ এমন ধরনের ২ মেয়েকে এক সাথে বিয়ে করা হারাম, যাদের যে কোন একজন পুরুষ হলে অন্য জনের সাথে বিয়ে করা হারাম হত।

129.  একজন সৈনিক কখন একজন যুদ্ধ বন্ধি মহিলার মালিক হতে পারেপ্রকৃত মালিক কে?

উত্তরঃ যুদ্ধ বন্দি মহিলার প্রকৃত মালিক সরকার।  সরকার সৈন্যদের মধ্যে বন্টন করে দেবার পর সৈনিক মালিক হতে পারে।

130.  বিবাহের মোহরানাকে কুরআনে ক’টি ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে এবং কি কি?

উত্তরঃ ২টি ভাষায়।  . সাদাকা।  . আজর।

131.  ولا تقتلوا أنفسكم বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ . অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা মানে নিজেকে ধ্বংস করা।  . পরস্পকে হত্যা না করা।  . আত্মহত্যা না করা।

132.  জুলুম, ফিসক এবং ফুজুরের মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তরঃ জুলুমঃ অধিকার হরণ। যেমন-শিরক।  ফিসকঃ যার অপর পরিভাষা-মাসিয়াত।  আল্লাহর আদেশ নিষেধের পরওয়া না করা।  ফুজুরঃ যে সমস্ত সম্পর্কের সুস্থতা ও বলিষ্টতার উপর মানব জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা নির্ভর করে, তা ছিন্ন ও বিকৃত করা।

133.  “কাওয়াম” শব্দের অর্থ কি? কুরআনে কাদেরকে কাওয়াম বলা হয়েছে?

উত্তরঃ কাওয়াম মানে দায়িত্বশীল-কর্তা-যিনি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ব্যবস্থাপনার যাবতীয় বিষয় সঠিক ভাবে হেফাজত , তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করতে পারেন। কুরআনে পুরুষদের কাওয়াম বলা হয়েছে।

134.  হাদীসে সর্বোত্তম স্ত্রীর কয়টি গুণ বলা হয়েছে এবং তা কি কি?

উত্তরঃ ৩টি।  ১. দেখলে স্বামীর মন ভরে যায়।  ২. স্বামীর অনুগত।  ৩. স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্বামীর ধন-সম্পদ ও নিজের হেফাজত কারী।

135.  অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার জন্য কয়টি কাজ ও কি কি?

উত্তরঃ ৩টি কাজ।  ১. বুঝানো।  ২. আলাদা শয়ন।  ৩. মারধর।

136.  স্ত্রীদের প্রহারের ক্ষেত্রে নবী সা. এর নির্দেশ কি?

উত্তরঃ ১. মুখে বা চেহারায় মেরোনা।  ২. নির্দয় ভাবে মেরোনা।  ৩. শরীরে দাগ পড়ে এমন জিনিস দিয়ে মেরো না।

137.  স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া মিমাংসা সালিশ কখন বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত দিতে পারে?

উত্তরঃ ১. যখন স্বামী-স্ত্রী এ এখতিয়ার দিয়ে সালিশ নিযুক্ত করে।  ২. আদালত যখন সালিশদের ক্ষমতা দেয়।

138.  কাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন না-সূরা নিসার বর্ণনার আলোকে জবাব দাও।

উত্তরঃ ১. অহংকারী।  ২. কৃপন।  ৩. মানুষকে কৃপনাতার দিকে উৎসাহ দানকারী।  ৪. আল্লাহ প্রদত্ত অনুগ্রহকে গোনকারী।  ৫. লোক দেখানো ব্যয় কারী।

139.  মদ সম্পর্কে কুরআনের পর্যায়ক্রমিক নির্দেশ কয়টি। কুরআনের কোন কোন স্থানে তা বর্ণিত হয়েছে?

উত্তরঃ মোট ৩টি। ১ম নির্দেশঃ মদ খারাপ জিনিস, আল্লাহ এটি পছন্দ কবেন না। (বাকারা-২১৯), ২য় নির্দেশঃ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের কাছে যেওনা। (নিসা-৪৩১), ৩য় নির্দেশঃ মদ হারাম। (মায়েদা-৯০-৯১)।

140.  নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামায না পড়ার নির্দেশ কোন সূরায়, কখন নাযিল হয়?

উত্তরঃ সূরা নিসায়, ৪র্থ হিজরীর প্রথম দিকে।

141.  জিবত কি? জিবত সম্পর্কে হাদীসে কি বলা হয়েছে?

উত্তরঃ জিবত কুসংস্কার।  যেমনঃ যাদু, টোনা, টোটকা, ভাগ্য গননতা, জ্যোতিষ ইত্যাদি।  হাদীসে বলা হয়েছে-النيماقة الطرق ولطير من الجبت  পশুর ধনী, মাটির উপর পশুর পদচিন্ন হাত ভাগ্য গননা কাল্পনিক সৌভাগ্য দূর্ভাগ্য গননা জিবতের অন্তর্ভক্ত।

142.  দুনিয়ার নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব কিভাবে অর্জিত হয়?

উত্তরঃ আল্লাহর কিতাবের জ্ঞান লাভ এবং সে জ্ঞান অনুযায়ী কাজ করার মাধ্যমে।

 


 

 

 

Post a Comment

0 Comments