প্রশ্নোত্তর – তাফহীমুল কুরআন – সূরা আন নাহল

 

১. সূরা নাহাল এর আয়াত ও রুকু সংখ্যা কত?

উত্তরঃ আয়াত-১২৮ এবং ও রুকু-১৬

২. কত নম্বর আয়াত থেকে সুরা নাহাল এর নামকরণ করা হয়েছে?

উত্তরঃ ৬৮ নম্বর আয়াত।

৩. সূরা নাহাল মক্কী না মাদানী সূরা?

উত্তরঃ ক্কী সূরা।

৪. সূরা নাহাল কখন নাযিল হয়েছে?

উত্তরঃ ক্কী জীবনের শেষের দিকে নাযিল হয়েছে?

৫. এসে গেছে আল্লাহর পক্ষ থেকে ফয়সালা। এই ফায়সালা কিসের ফায়সালা?

উত্তরঃ ক্কা থেকে মদীনায় হিজরতের ফায়সালা।

৬. আল্লাহর কার মাধ্যমে এবং কার নিকট ওহীকে নাযিল করেন?

উত্তরঃ ফেরেশতাদে মাধ্যমে বান্দার নিকট।

৭. আল্লাহ কিসের থেকে অনেক উর্ধ্বে?

উত্তরঃ শিরক থেকে।

৮. মানুষকে কি দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে?

উত্তরঃ ছোট্ট এক ফোটা নুতফা থেকে।

৯. মানুষের উপকারের জন্য আল্লাহ কি কি প্রাণী সৃষ্টি করেছেন?

উত্তরঃ ঘোড়া, গাধা ও খচ্চর।

১০. মুত্তাকীদর মৃত্যুর পর ফেরেশতারা তাদের রূহগুলি কি করেন?

উত্তরঃ সালাম দেন জান্নাতী হওয়ার আগাম মুবারকবাদ জানান।

১১. সূরা মুমিনের ৪৫-৪৬ নং আয়াতে ফেরাউনের আযাব সম্পর্কে আল্লাহ কি বলেন?

উত্তরঃ কঠি আযাব তাকে ঘিরে রেখেছে, সকাল সাঝে তাকে আগুনের সামনে আনা হয়, যখন কিয়ামাত  এসে যাবে, তখন কঠিনতম আযাবে ঠেলে দেয়া হবে।

১২. মুত্তাকীদে যখন জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমার রবের পক্ষ থেকে কি নাযিল হয়েছে।  উত্তরে তারা কি বলবে?

উত্তরঃ সর্বোত্তম জিনিস নাযিল হয়েছে।

১৩. জান্নাতের মধ্যে কি প্রবাহিত হবে?

উত্তরঃ দী।

১৪. মুত্তাকীদের পবিত্র অবস্থায় যখন মৃত্যু যায় তখন ফেরেশতারা কি বলে?

উত্তরঃ তোমাদে প্রতি শান্তি নিজেদে কর্মকান্ডের জন্য জান্নাতে প্রবেশ করো।

১৫. প্রত্যেক নবী আগমনের পর তার জাতি কয় ভাগে বিভক্ত হয়েছে? তা কি কি?

উত্তরঃ ২ভাগে।  ১।  যারা নবীর কথা মেনে নিয়েছে।  ২। যারা গোমরাহীতে রয়ে গেছে।

১৬. আল্লাহ যখন কোন কিছু সৃষ্টি করার সংকল্প করেন, তখন কি বলে থাকেন?

উত্তরঃ কুন।

১৭. যারা জুলুমের কারণে হিজরত করেছে, আল্লাহ তাদেরকে কি পুরুষ্কারের ওয়াদা করেছেন?

উত্তরঃ দুনিয়াতে ভাল আবাস দিবেন।  আর আখেরাতে বড় পুরস্কার দিবেন।

১৮. তারা যদি জানতো তাদের জন্য চমৎকার পরিণাম অপেক্ষা করছে, কাদের জন্য?

উত্তরঃ জলুমদে জন্য।  কারণ তারা সবর করেছে, নিজের রবের উপর ভরসা করে কাজ করছে।

১৯. আরবের মুশরিকরা কার জন্য কণ্যা সন্তান নির্ধারণ করে?

উত্তরঃ আল্লাহর জন্য।

২০. যখন এদেরকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তাদের কি অবস্থা হয়?

উত্তরঃ তাদের চেহারা কালো হয়ে যায়।  ভিতরে ভিতরে চিন্তায় মগ্ন যায় এবং লোকদের থেকে লুকিয়ে চলতে থাকে।

২১. আল্লাহর ফরমান কি?

উত্তরঃ আল্লাহর ফরমান হল দুই ইলাহ গ্রহণ করনা।

২২. কারা খারাপ গুণের অধিকারী হওয়ার যোগ্য?

উত্তরঃ যারা আখেরাত বিশ্বাস করেনা।

২৩. তার পর যখন সে সময়টি এসে যায়, তখন তা থেকে এক মূহুর্তও কি করা হবেনা?

উত্তরঃ আগ পিছ করা হবে না।

২৪. তোমরা যে নিয়ামতই লাভ করেছো, তাতো আল্লাহরই পক্ষ থেকে, তারপর যখন তোমরা কোন কঠিন সময়ের মুখোমুখী হও তখন তোমরা নিজেরাই নিজেদের ফরিয়াদ নিয়ে তারই দিকে দৌড়াতে থাকো, এখন প্রশ্ন হল-তার দিকে বলে কার দিকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ আল্লাহর দিকে।

২৫. কিন্তু যখন আল্লাহ সেই সময়কে হটিয়ে দেন, তখন সহসাই তোমাদের একটি দল নিজেদের রবের সাথে অন্যকে শরীক করতে থাকে। প্রশ্ন হল-কেন শরিক করতে থাকে?

উত্তরঃ যাতে আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করা যায়।

২৬. মুত্তাকীদেরকে বেহেশতের মধ্যে অনেক সুবিধার মধ্যে বিশেষ একটি সুবিধা দিয়ে থাকবেন, সেটি কি?

উত্তরঃ সেখানে তাদের কামনা অনুযায়ী যা চাইবে, সবকিছুই থাকবে।

২৭. পবিত্রাবস্থায় ফেরেশতারা মুত্তাকীদের যখন মৃত্যু ঘটান, তখন কি বলে থাকেন?

উত্তরঃ তোমাদের প্রতি শান্তি, যাও নিজেদের কর্মকান্ডের বদৌলতে জান্নাতে প্রবেশ কর।

২৮. মুশরিকরা কিসের অপেক্ষা করছে?

উত্তরঃ মউতের ফেরেশতা অথবা আল্লাহর আযাবের প্রত্যক্ষ করার।

২৯. মুশরিকরা হঠকারীতা মূলক অভিযোগ করে কি বলতো?

উত্তরঃ আল্লাহ চাইলে তাঁর ছাড়া আর কারো ইবাদত আমরাও করতামনা। আমাদের বাপ-দাদারাও করতোনা।

৩০. আল্লাহ পাক কি কারণে এ কথাটি বললেন যে, তাহলে কি রাসূলদের উপর সুস্পষ্ট বানী পৌঁছিয়ে দেয়া ছাড়া আর কোন দায়িত্ব আছে?

উত্তরঃ যখন মক্কার মুশরিকরা রাসূল সা. এর বিভিন্ন ধরনের উপদেশ ও সতর্কবানী শুনানোর পর ও হঠকারীতা মূলক জবাব দিচ্ছিল।

৩১. আদল অর্থ কি?

উত্তরঃ ভারসাম্য ও সমন্নয় প্রতিষ্ঠা।

৩২. আদল যদি হয় সমাজের বুনিয়াদ, তাহলে সৌন্দর্য ও পূর্ণতা কিসে?

উত্তরঃ সৌন্দর্য্য ও পূর্ণতা হচ্ছে ইহসান।



Post a Comment

0 Comments