জামায়াতে ইসলামী কেন নির্মূল করা যায়না, তার গোপন রহস্য – মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম


মুহাম্মদ নজরুল ইসলামঃঃ
 তিনি ছিলেন পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর সাইয়েদ মুনাওয়্যার হোসাইন রাব্বে কারীমের ডাকে সারা দিয়ে আজ চলে গেলেন এক ক’দিন আগে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)  

সাইয়েদ মুনাওয়্যার হোসাইন দিল্লীতে জন্ম গ্রহণ করেন পরবর্তীতে তিনি পাকিস্তান চেলে যান জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আল্লামাহ্ মওদূদী (রাহি.) এর সাথে জামায়াতের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন অতঃপর জামায়াতের আমীর আল্লামাহ্ মওদূদীমাওলানা মিয়া তোফায়েল আহমাদ এবং কাযী হোছাইন আহমাদের পর ২০০৯ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের ৪র্থ আমীন নির্বাচিত হন

জামায়াতের আমীর থাকাকালীন তার নিজের কন্যার বিয়েটি অত্যন্ত সাদা সিদা শারীয়াতের বাতলানো মতে ও পথে হয়েছে এখানে কোনো ধুমধামের ব্যবস্থা ছিলো না হাজার হাজার মানুষকে খাওয়ানোরও কোনো আয়োজন ছিলো না তারপরও কিন্তু শুভাকাঙ্খিরা যারা এসেছেন বা যারা আসেন নি তারা আমীরের মেয়ের বিয়েতে খুব মূল্যবান উপহার সামগ্রী দিয়েছেন উপহারগুলোও তিনি খুব সানন্দে গ্রহণ করেছেন তবে গ্রহণের পর পরই তত্ক্ষণাত সেগুলোকে জামায়াতের বায়তুল মালে জমা করে দিয়েছেন  

কাহিনী এখানেই শেষ নয়বিবাহের পরে যখন বাপ-বেটির প্রথম সাক্ষাৎ হলোতখন কন্যা খুশীতে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললোবাবা! দেখদেখ,  আমি বিয়েতে একটি মূল্যবান হার পেয়েছি মেয়ের মুখে এটি শুনে এবং হারটি দেখে তিনি নিজ মেয়েকে বললেনমা আমি জামায়াতের আমীর হওয়ার কারণে তুমি এই হার পেয়েছ তা না হলে এত দামী হার তোমাকে কে উপহার দেবেতোমাকে কে চেনেকেনই বা এত দামী হার সাধারণ একটি মেয়ের বিয়েতে কেউ উপহার দেবে?   অতএব এই হারের উপর না তোমার অধিকার আছে আর আমার  কোনো অধিকার আছে তাই এই হারটি এখনই আমাকে দিয়ে দাও আমি এটিকে এখনই তার আসল জায়গায় পৌঁছে দিয়ে আসি

২০২০, জুন ২৭

লেখাটি সংকলিত এবং সম্পাদিত

 


Post a Comment

0 Comments