ইসলাম ও মুসলিমঃ
﴿إِذْ قَالَ لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ ۖ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ
الْعَالَمِينَ﴾﴿وَوَصَّىٰ بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَا بَنِيَّ
إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَىٰ لَكُمُ الدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم
مُّسْلِمُونَ﴾
“স্মরণ কর, যখন তাকে
তার পালনকর্তা বললেনঃ অনুগত হও। সে
বললঃ আমি বিশ্বপালকের অনুগত হলাম। এরই
ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ
ধর্মকে (ইসলামকে) মনোনীত করেছেন। কাজেই
তোমরা মুসলিম না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না।” - আল বাকারাহঃ ১৩১-১৩২
﴿وَقَالُوا كُونُوا هُودًا أَوْ نَصَارَىٰ تَهْتَدُوا ۗ قُلْ بَلْ
مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا ۖ وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ﴾
“তারা বলে, তোমরা ইহুদী
অথবা খ্রীষ্টান হয়ে যাও, তবেই সুপথ পাবে। আপনি বলুন, কখনই নয়;
বরং আমরা ইব্রাহীমের ধর্মে আছি যাতে বক্রতা নেই। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।” - আল বাকারাহঃ ১৩৫
﴿إِنَّ الدِّينَ عِندَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ ۗ وَمَا اخْتَلَفَ
الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ إِلَّا مِن بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا
بَيْنَهُمْ ۗ وَمَن يَكْفُرْ بِآيَاتِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ
الْحِسَابِ﴾
“নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন
একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব
দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর
নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে
আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত।” - আলে ইমরানঃ ১৯
﴿قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَىٰ كَلِمَةٍ سَوَاءٍ
بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ أَلَّا نَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ وَلَا نُشْرِكَ بِهِ
شَيْئًا وَلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا أَرْبَابًا مِّن دُونِ اللَّهِ ۚ فَإِن
تَوَلَّوْا فَقُولُوا اشْهَدُوا بِأَنَّا مُسْلِمُونَ﴾
“বলুনঃ ‘হে আহলে-কিতাবগণ! একটি বিষয়ের দিকে
আস-যা আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে সমান-যে, আমরা আল্লাহ
ছাড়া অন্য কারও ইবাদত করব না, তাঁর সাথে কোন শরীক সাব্যস্ত
করব না এবং একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া কাউকে পালনকর্তা বানাব না। তারপর যদি তারা স্বীকার না করে, তাহলে বলে দাও যে, ‘সাক্ষী থাক আমরা তো অনুগত।” - আলে ইমরানঃ ৬৪
﴿وَمَن يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَن يُقْبَلَ مِنْهُ
وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ﴾
“যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে,
কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে (হবে) ক্ষতিগ্রস্ত।” - আলে ইমরানঃ ৮৫
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ
وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ﴾
“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ
ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং
অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।” - আলে ইমরানঃ ১০২
﴿الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ
نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا ۚ فَمَنِ اضْطُرَّ فِي مَخْمَصَةٍ
غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّإِثْمٍ ۙ فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ﴾
“আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে
পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে
দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” - আল মায়িদাহঃ ৩
﴿قُلْ إِنَّنِي هَدَانِي رَبِّي إِلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
دِينًا قِيَمًا مِّلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا ۚ وَمَا كَانَ مِنَ
الْمُشْرِكِينَ﴾
“আপনি বলে দিনঃ আমার প্রতিপালক আমাকে সরল পথ
প্রদর্শন করেছেন একাগ্রচিত্ত ইব্রাহীমের বিশুদ্ধ ধর্ম (ইসলাম)। সে অংশীবাদীদের (মুশরিকদের) অন্তর্ভূক্ত ছিল না।” - আল আনআমঃ ১৬১
﴿وَجَاهِدُوا
فِي اللَّهِ حَقَّ جِهَادِهِ ۚ هُوَ اجْتَبَاكُمْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي
الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ ۚ مِّلَّةَ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ ۚ هُوَ سَمَّاكُمُ
الْمُسْلِمِينَ مِن قَبْلُ وَفِي هَٰذَا لِيَكُونَ الرَّسُولُ شَهِيدًا عَلَيْكُمْ
وَتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ ۚ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا
الزَّكَاةَ وَاعْتَصِمُوا بِاللَّهِ هُوَ مَوْلَاكُمْ ۖ فَنِعْمَ الْمَوْلَىٰ
وَنِعْمَ النَّصِيرُ﴾
“তোমরা আল্লাহর জন্যে জ্বীহাদ কর যেভাবে
জ্বীহাদ করা উচিত। তিনি
তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলিম রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির
জন্যে। সুতরাং তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব
তিনি কত উত্তম মালিক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী।” - আল হাজ্জঃ ৭৮
﴿وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَنُكَفِّرَنَّ
عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَحْسَنَ الَّذِي كَانُوا
يَعْمَلُونَ﴾
“আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে,
আমি অবশ্যই তাদের মন্দ কাজ গুলো মিটিয়ে দেব এবং তাদেরকে কর্মের
উৎকৃষ্টতর প্রতিদান দেব।” - আল আনকাবুতঃ ৭
﴿فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا ۚ فِطْرَتَ اللَّهِ الَّتِي
فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا ۚ لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ الدِّينُ
الْقَيِّمُ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ﴾
“তুমি একনিষ্ঠ ভাবে নিজেকে (ইসলাম) ধর্মের
উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। এটাই
আল্লাহর প্রকৃতি, যার উপর তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই সরল ধর্ম। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ
জানে না।” - আর রূমঃ ৩০
﴿إِنَّ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَالْمُؤْمِنِينَ
وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْقَانِتِينَ وَالْقَانِتَاتِ وَالصَّادِقِينَ
وَالصَّادِقَاتِ وَالصَّابِرِينَ وَالصَّابِرَاتِ وَالْخَاشِعِينَ وَالْخَاشِعَاتِ
وَالْمُتَصَدِّقِينَ وَالْمُتَصَدِّقَاتِ وَالصَّائِمِينَ وَالصَّائِمَاتِ
وَالْحَافِظِينَ فُرُوجَهُمْ وَالْحَافِظَاتِ وَالذَّاكِرِينَ اللَّهَ كَثِيرًا
وَالذَّاكِرَاتِ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُم مَّغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا﴾
“নিশ্চয় মুসলিম পুরুষ, মুসলিম নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার
নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী,
সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল
পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী
পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ
হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত
রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার।” - আল আহযাবঃ ৩৫
﴿أَفَمَن شَرَحَ اللَّهُ صَدْرَهُ لِلْإِسْلَامِ فَهُوَ عَلَىٰ
نُورٍ مِّن رَّبِّهِ ۚ فَوَيْلٌ لِّلْقَاسِيَةِ قُلُوبُهُم مِّن ذِكْرِ اللَّهِ ۚ
أُولَٰئِكَ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ﴾
“আল্লাহ যার বক্ষ ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে
দিয়েছেন, অতঃপর সে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত আলোর মাঝে
রয়েছে। যাদের অন্তর আল্লাহ স্মরণের ব্যাপারে কঠোর, তাদের জন্যে দূর্ভোগ। তারা
সুস্পষ্ঠ গোমরাহীতে রয়েছে।” - আয যুমারঃ ২২
﴿فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَالنُّورِ الَّذِي أَنزَلْنَا ۚ
وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ﴾
“অতএব তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূল এবং অবতীর্ন
নূরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তোমরা
যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত।” - আত তাগাবুনঃ ৮
﴿ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ﴾﴿لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ﴾﴿وَلَا
أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ﴾
“(হে নবী!) বলুন, হে
কাফেরকূল, আমি ইবাদত করিনা, তোমরা যার
ইবাদত কর। এবং তোমরাও ইবাদতকারী নও, যার ইবাদত আমি করি।” - আল কাফিরুনঃ ১-৩
0 Comments