কুরআনে আমাদের নবী মুহাম্মদ সা. এর নাম তথা 'মুহাম্মদ' শব্দটি এসেছে মাত্র ৪ বার। কুরআন নাযিল হয়েছে নবী মুহাম্মদ সা. এর উপর। কুরআনে যা বলা হয়েছে, নবী মুহাম্মদ সা. এর জীবনে তা করা হয়েছে। কুরআনের প্রেকটিক্যাল ভার্সন হচ্ছেন নবী মুহাম্মদ সা.- তথা কুরআন হচ্ছে থিওরী আর প্রেকটিক্যাল হলেন মুহাম্মাদুর রাসূল সা. স্বয়ং।
অনেক নবী রাসূলের নাম কুরআনে এসেছে। কুরআনে মোট ২৫জন নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তার মাঝে হযরত মুসা আ. এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে কমপক্ষে ১৩৬ বার
(তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া)। আর যার উপর কুরআন নাযিল হয়েছে, তার নাম তথা 'মুহাম্মদ' শব্দটি কুরআনে এসেছে মাত্র ৪ বার। কোন কোন স্কলার বলে থাকেন যে, তাযিম তথা সম্মানের জন্য 'মুহাম্মদ' শব্দ ব্যবহার না করে অন্য শব্দ দিয়ে নবীকে সম্বোধন করা হয়েছে। যেমন: হে বস্র আচছাদনকারী, হে নবী ইত্যাদি।
কাহিনী যা-ই হোক, আমরা এ পর্যায়ে যেনে নেবো কুরআনে মাত্র ৪ বার 'মুহাম্মদ' উল্লেখ করা আয়াত গুলো এবং তার বাংলা তরজমা।
মুহাম্মাদ একজন রসূল
বৈ তো আর কিছুই নয়। তার আগে আরো অনেক রসূলও চলে গেছে। যদি সে মারা যায় বা নিহত হয়, তাহলে
তোমরা কি পেছনের দিকে ফিরে যাবে?১০৩ মনে রেখো, যে পেছনের দিকে ফিরে যাবে সে
আল্লাহর কোন ক্ষতি করবে না, তবে যারা আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হয়ে থাকবে তাদেরকে
তিনি পুরস্কৃত করবেন। (সূরা আলে ইমরান: ১৪৪)
مَّا
كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ
النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
(হে লোকেরা!) মুহাম্মাদ তোমাদের পুরুষদের মধ্য থেকে
কারোর পিতা নয় কিন্তু সে আল্লাহর রসূল এবং শেষ নবী আর আল্লাহ সব জিনিসের জ্ঞান
রাখেন। (সূরা আল আহযাব: ৪০)
وَالَّذِينَ
آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَآمَنُوا بِمَا نُزِّلَ عَلَى مُحَمَّدٍ وَهُوَ
الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ كَفَّرَ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَأَصْلَحَ بَالَهُمْ
আর যারা ঈমান এনেছে
নেক কাজ করেছে এবং মুহাম্মদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তা মেনে নিয়েছে- বস্তুত তা তো তাদের রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত
অকাট্য সত্য কথা- আল্লাহ তাদের খারাপ কাজগুলো তাদের থেকে দূর করে দিয়েছেন এবং তাদের অবস্থা শুধরে দিয়েছেন। (সূরা মুহাম্মদ: ০২)
مُّحَمَّدٌ
رَّسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاء عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاء بَيْنَهُمْ
تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلا مِّنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا سِيمَاهُمْ
فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذَلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَمَثَلُهُمْ
فِي الإِنجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَى عَلَى
سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ
آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُم مَّغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا
মুহাম্মাদ আল্লাহর
রসূল। আর যারা তাঁর সাথে আছে তারা কাফেরদের বিরুদ্ধে আপোষহীন এবং নিজেরা
পরস্পর দয়া পরবশ। তোমরা যখনই দেখবে তখন তাদেরকে রুকূ ও সিজদা এবং
আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি কামনায় তৎপর পাবে। তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন বর্তমান
যা দিয়ে তাদেরকে আলাদা চিনে নেয়া যায়। তাদের এ পরিচয় তাওরাতে দেয়া হয়েছে। আর ইনযীলে তাদের উপমা পেশ করা হয়েছে এই বলে যে, একটি শস্যক্ষেত যা প্রথমে অঙ্কুরোদগম ঘটালো। পরে তাকে
শক্তি যোগালো তারপর তা শক্ত ও মজবুত হয়ে স্বীয় কাণ্ডে ভর করে দাঁড়ালো। যা কৃষককে
খুশী করে কিন্তু কাফের তার পরিপুষ্টি লাভ দেখে মনোকষ্ট পায়। এ শ্রেণীর লোক যারা
ঈমান আনয়ন করছে এবং সৎকাজ করেছে আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও বড় পুরস্কারের
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। (সূরা আল ফাতহ: ২৯)
(উপরোক্ত আয়াত গুলোর
তরজমা তাফহীমুল কুরআনের অনলাইন সংস্করণ থেকে সংকলন করা হয়েছে)
আমাদের শিক্ষণীয়:
কুরআনে হাকীমের
উপরোক্ত ৪টি আয়াত, যে আয়াত সমূহে 'মুহাম্মদ' শব্দ রয়েছে, সেই সব আয়াতে আমাদের
জন্য কি কি ম্যাসেজ রয়েছে তা এ পর্যায়ে আলোচিত হলো:
১. আল্লাহ একত্ববাদ:
এই আয়াতে মুহাম্মদ
এর পরিচয় দেয়া হচ্ছে যে, তিনি অন্যান্য রাসূলদের মতো একজন রাসূল। রাসূল মানে হলো
যিনি রিসালাহ নিয়ে আসেন। ইংরেজীতে যাকে বলা হয়ে থাকে ম্যাসেঞ্জার। এই ম্যাসেঞ্জার
দুই ধরণের হয়ে থাকে। প্রথমত: তিনি যার ম্যাসেজ নিয়ে আসেন, তার বক্তব্য সরাসরি ম্যাসেজ
প্রেরণকারীর ভাষায় প্রাপকের কাছে পৌছে দেন। আর দ্বিতীয়ত: তিনি ম্যাসেজের
বিষয়বস্তুকে ম্যাসেজের স্পিরিট ও লক্ষ্য অনুযায়ী নিজের ভাষায় প্রাপককে বুঝিয়ে দেন।
কিন্তু ম্যাসেঞ্জার কখনো ম্যাসেজ প্রদানকারীর সমমানের বা সহকর্মী হোন না।
ম্যাসেঞ্জার নিজের পক্ষ থেকে কোন কিছু এড করেন না। এই আয়াতে মুহাম্মদের পরিচয় দেয়া
হয়েছে যে, তিনি অন্যান্য ম্যাসেঞ্জার বা রাসূলদের মতো একজন ম্যাসেঞ্জার। মানে তিনি
আল্লাহর অংশীদার, আল্লাহর রাজত্বের শেয়ার হোল্ডার বা আল্লাহর সমমানের কেউ নন। অন্যান্য
ম্যাসেঞ্জারের মতোই তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে প্রেরিত। অন্যান্যরা যেমন তার বান্দা
বা সারভেন্ট ছিলেন, মুহাম্মদ সা.ও তেমনি একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত সারভেন্ট মাত্র।
মুহাম্মদ সা. আল্লাহর ম্যাসেঞ্জার হিসাবে আল্লাহর সরাসরি বক্তব্য প্রাপকের কাছে
পৌছেছেন, যার লিখিত রূপ হচ্ছে আল কুরআন। অপর দিকে তিনি ম্যাসেজের বিষয়বস্তুকে
নিজের ভাষায় প্রাপককে বুঝিয়ে দিয়েছেন, যা রয়েছে হাদীসের কিতাব সমূহে।
২. রাসূল চিরঞ্জীব নন:
আল্লাহ চিরঞ্জীব,
তাঁর কোন জন্ম বা মৃত্যু নেই। আর বাকী সকলেই মরণশীল। এমনকি যে মুহাম্মদ সা.কে এতো
আকাশচুম্বি মর্যাদা দেয়া হয়েছে, তিনিও মরণশীল। তার পূর্ববর্তী ম্যাসেঞ্জারদের মতো
তিনিও তার নির্ধারিত সময় শেষ করে একদিন চলে যাবেন, মরে যাবেন। তিনি চিরঞ্জীব নন।
৩. আদর্শের প্রবর্তক রাসূল নন:
মুহাম্মদ সা. যে
আদর্শ নিয়ে এসেছেন, তার প্রবর্তক তিনি মুহাম্মদ নন। বরং তার প্রবর্তক হলেন স্বয়ং
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। বিধায় তার বর্তমান থাকা বা না থাকার উপর আদর্শের
আনুগত্য নির্ভশীল নয়। যে ম্যাসেজ নিয়ে তিনি এসেছেন, সেই ম্যাসেজের প্রতি আনুগত্য ও
সে অনুযায়ী চলা হচ্ছে রাসূলের অনুসরণ। আর তা রাসূলের উপস্থিতি অথবা অনুপস্থিতি
সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য। রাসূল যদি মারা যান অথবা শহীদ হয়ে যান, তাতে করে আদর্শের অনুসরণে
কোন ধরণের পরিবর্তন হবে না। বরং তার দেখিয়ে দেয়া তরিকা অনুযায়ী অনাদিকাল পর্যন্ত
আদর্শের অনুসরণ চলবে।
৪. ইসলামের অনুসরণ আল্লাহর লাভের জন্য নয়:
ইসলাম নামক যে
আদর্শের অনুসরণের মাঝে আল্লাহর কোন লাভ নেই। বরং অনসুরণ করা বা না করার উপর লাভ
ক্ষতি নির্ভর করে যিনি অনুসরণ করলে বা করলেন না, তার উপর। যারা আল্লাহর নিয়মের
অনুসরণ করবে, তারা শোকর গোজার হিসাবে বিবেচিত হবে এবং সে জন্য তারা পুরস্কৃত হবে।
কিন্তু কেউ যদি আল্লাহর নিয়মের অনুসরণ না করে, তাহলে সে আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে
পারবে না। বরং সে নিজে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
৫. মুহাম্মদ সা. কোন পুরুষের পিতা নন:
মুহাম্মদ সা. কোন
মানুষের পিতা নন। বিধায় থাকে যদি কেউ মুখ ডেকে পিতা বলে সম্বোধন করেন, তাহলেও
শরীয়াত প্রবর্তিত পিতা পুত্রের আইন তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। বিধায় মুখে ডাকা
পিতা পুত্রের ভিত্তিতে কেউ সম্মতির উত্তরাধিরী যেমন হবে না, একই ভাবে শরীয়াতের সকল
আহকাম তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যেমন: রাসূলের স্ত্রী কন্যার সাথে পর্দা পালন
করতে হবে-ইত্যাদি।
৬. মুহাম্মদ সা. হলেন শেষ নবী:
মুহাম্মদ সা. এর
মাধ্যমে নাবুয়াতের ধারাবাহিকতায় সমাপনী সীল মোহর প্রদান করা হয়েছে। বিধায় তার পর
আর কোন নবী আসবেন না, তার পর কেউ নবী হতে পারবে না। যদি কেউ নিজেকে নবী হিসাবে
দাবী করে, তাহলে সেই দাবী সর্বেয় মিথ্যা বলে গন্য হবে। তিনিই শেষ নবী, তিনিই শেষ
ম্যাসেঞ্জার, তার মাধ্যমে দুনিয়াতে আল্লাহ সুবহনাহু ওয়াতায়ালার প্রেরিত সকল
ম্যাসেজের পরিসমাপ্তি হয়েছে। তার পরে আর কোন ম্যাসেঞ্জার দাবী করে আল্লাহর প্রেরিত
ম্যাসেজ সমূহের বক্তব্যে কোন ধরণের পরিবর্তন করতে পারবে না।
৭. ইসলাম সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়:
ইসলাম তদানিন্তন
সমাজে প্রচলিত প্রথা মুখে ডাকা বাবা পুত্রের সম্পর্কের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে।
শুধু তাই নয়, বরং মুখে বাপ ডাকা পালনক পুত্র হযরত যায়েদ রা. এর তালাকপ্রাপ্তা
স্ত্রীকে রাসূল সা. বিয়ে করে চলমান সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে
প্রমান করেছেন যে, চলমান সামাজিক প্রথা সমূহের উপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা
প্রদত্ত আইনই হলো সর্বোচ্চ আইন-যার কোন ব্যত্যয় চলবে না।
৮. আল্লাহর সিদ্ধান্তই শেষ কথা:
আল্লাহ সব জিনিসের
জ্ঞান রাখেন-এই বক্তব্যের মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা সকল ধরণের যুক্তি
তর্ক আর বাস্তবতাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে জানাচ্ছেন যে, মানুষ যত ধরণের যত যুক্তি প্রদান
করুক, যত ধরণের উন্নতি আর অগ্রগতির চিন্তা করুক, যত ধরণের সম্ভাব্যতাকে বিবেচনায়
নেক, তার সকল কিছুই আল্লাহর নলেজে রয়েছে। আর সেই সব বিষয়কে বিবেচনায় নিয়েই আল্লাহ
মানুষের জন্য যে, নিয়ম তার ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে প্রেরণ করেছেন, সেই নিয়মই
চূড়ান্ত নিয়ম। এই নিয়ম পৃথিবীর কোন যুক্তি, বাস্তবতা খন্ডন করতে পারবে না বা রহিত
করতেও পারবে না।
৯. নৈতিকতা সম্পন্ন ঈমানদার হওয়ার উপায়:
ঈমানদার যারা, তারা
ঈমান আনলেই পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল মানুষে রূপান্তরিত হয়ে যাবেন, এমন কোন কথা নয়। বরং
ঈমানদারের দায়িত্ব হলো ঈমান আনার পর ঈমান অনুযায়ী আল্লাহর ম্যাসেঞ্জারের বাতলে
দেয়া নিয়মে নিজেকে উন্নত নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হিসাবে গড়ে তুলা। এই প্রচেষ্টা
যারা চালান, তাদের মধ্যে যে সব সকল ধরণের খারাপ কাজ গুলো দূর করার জন্য আল্লাহ
পক্ষ থেকে প্রেকসিপশন হলো:
ক. যথাযথা ঈমান আনা।
খ. ঈমান অনুযায়ী নেক
কাজ করতে থাকা।
গ. মুহাম্মদ সা. এর
প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে, তা প্রকৃত পক্ষে মানুষের মালিকের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত
অকাট্য সত্য-এই ধরণের বিশ্বাসের সাথে তা মেনে নেয়া।
এই তিনটি কাজ করলে
আল্লাহ ঈমানদারের মাঝে থাকা খারাপ কাজ গুলো দূর করে দিয়ে তাদের অবস্থাকে শুধরে
সুন্দর করে দেবেন।
১০. মুহাম্মদ সা. এর সাথীদের গুনাবলী:
যারা মুহাম্মদ সা.
এর সাথী ছিলেন এবং অনাদিকাল পর্যন্ত যারা মুহাম্মদ সা. এর আদর্শের সাথী হবেন,
তাদের কোয়ালিটি কি হবে?
ক. তারা হবে
কাফেরদের ব্যাপারে আপোষহীন।
খ. তারা হবে পরস্পরে
একজন আরেকজনের প্রতি রহমদিল-দয়া পরবশ।
গ. তারা হবে রুকু
সেজদাকারী।
ঘ. তারা হবে আল্লাহ
রহমত আর রেজামন্দির ভিখারী।
ঙ. তারা হবে দ্বীনের
অনুসরণে এমন যে, তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন এসে যাবে।
চ. তারা হবে নিয়মিত
কর্মী-যাদের মানোন্নয়ন ঘটবে প্রতিনিয়ত।
ছ. তারা হবে এমন যে,
তাদের কাজে কর্মে কাফেরা সব সময় তাদের উন্নতি দেখে মনে কষ্ট পাবে।
জ. তারা হবে এমন যে,
তাদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়ার সাথে সাথে সন্তুষ্টির
পুরস্কার প্রদান করবেন।
আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়াতায়ালা আমাদের সকলকে কুরআনী নির্দেশনার আলোকে মুহাম্মদ সা. এর অনুসরণের তাওফীক
দান করুন। আমীন।
আমার লিখা অন্যান্য ১৩৫টি আর্টিক্যাল গুলো পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
0 Comments