প্রশ্নোত্তরঃ ইসলামী আন্দোলন সবরের পথ
1. প্রাণান্তরক সংগ্রামের পথে মুমিনদেরকে যেসব অপ্রতিরোধ্য বিজয় চিহ্ন আঁকা হাতিয়ার হাতে রাখতে হবে। সেগুলোর অন্যতম হাতিয়ার কোনটি?
উত্তরঃ সবর।
2. সবর এমন একটি মৌলিক মানবীয় গুণ, যা মানুষকে ৩টি বিষয় দান করে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. শ্রেষ্ঠত্ব। ২. মর্যাদা। ৩. মহানত্ব।
3. এমন একটি গুণ, যা না থাকলে ঈমানের পথে কয়েক কদমও এগুনো সম্ভব নয়। তা কি?
উত্তরঃ সবর।
4. কুরআনের সূরা আনফালের ৬৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ সাবিরুন বা সবর অবলম্বনকারী বলে আখ্যায়িত করেছেন। ওরা কারা?
উত্তরঃ আল্লাহর পথের মুজাহিদ।
5. সূরা আনফালের ৬৫ নম্বর আয়াতে ২টি জিনিসকে একাকার করে দেয়া হয়েছে। তা কি কি?
উত্তরঃ সবর ও জিহাদ।
6. নবী মুহাম্মদ সা.কে কুরআনে বলা কতবার বলা হয়েছে ”সবর অবলম্বন করো”?
উত্তরঃ ১৯ বার।
7. কুরআন অধ্যয়ন করলে সবরের মধ্যে মুমিনের কি কি নিহিত বলে বুঝা যায়?
উত্তরঃ কল্যাণ, কামিয়াবী ও উচ্চ মর্যাাদা।
8. “সবর কল্যাণের একটি খনি” উক্তিটি কার?
উত্তরঃ হযরত হাসান বসরী র.
9. কুরআনের সূরা আল কলম-এ এক জায়গায় বলা হয়েছে “আর মাছওয়ালার মতো হয়ো না”। সেখানে মাছ ওয়ালা বলতে কাকে বুঝানো হয়েছে। ঐ মাছওয়ালা কি হয়েছিলেন, যা হতে বারণ করা হয়েছে?
উত্তরঃ মাছওয়ালা বলতে হযরত ইউনুছ আ. কে বুঝানো হয়েছে। যিনি অধ্যর্য হয়েছিলেন।
10. কোন কোন আল্লাহ ওয়ালা লোক পকেটে একটি চামড়ার টুকরা রাখতেন এবং মাঝে মাঝে তা বের করে পড়ে নিতেন। ঐ চামড়ার টুকরায় কি লিখা থাকতো?
উত্তরঃ “তোমার রবের চ‚ড়ান্ত ফায়সালা আসা পর্যন্ত সবর করো। তুমিতো আমাদেরই দৃষ্টিপথে রয়েছো।”
11. সবরে জামিল শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ উত্তম সবর।
12. মাওলানা মওদূদীর তাফসীরে সবর শব্দটির শাব্দিক অর্থ কি কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ বাধা দেয়া, বিরত রাখা, বেঁধে রাখা।
13. মাওলানা মওদূদী রাহি. সবর শব্দের ব্যাখ্যা করতে সবরের কি কি অর্থ করেছেন?
উত্তরঃ মজবুত ইচ্ছা, অবিচল সংকল্প ও প্রবৃত্তির কামনা বাসনাকে এমনভাবে শৃংখলিত করা, যার ফলে কোন ব্যক্তি প্রবৃত্তির তাড়না ও বাইরের সমস্যাবলীর মোকাবেলায় নিজে মন ও বিবেকের পছন্দনীয় পথে অবিরত এগিয়ে যায়।
14. মিনহাজুল কাসেদীন বইয়ের আলোকে সবরের মৌলিক শ্রেণী বিভাগ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ২টি। ১. দৈহিক সবর। ২. মানসিক সবর।
15. সবর সম্পর্কে হযরত আব্দুর রাহমান ইবনে আউফ রা. এর একটি প্রসিদ্ধ উক্তি রয়েছে। তা কি?
উত্তরঃ “আমাদেরকে দুঃসময় অর্থাৎ বিপদ মুসীবত, অত্যাচার নির্যাতন, জ্বালা যন্ত্রণা ও দুঃখ দারিদ্র দ্বারা পরীক্ষা করা হয়, তখন আমরা সবর করতে পেরেছি। পুনরায় আমাদেরকে সুসময় অর্থাৎ বিজয়, সাফল্য, প্রাচ‚র্য এবং পূর্বেও মতো সবর করতে পারিনি।
16. দৈহিক সবর বলতে কি কি বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ শারীরিক কষ্ট সহ্য করা, দৈহিক অত্যাচার নির্যাতন বরদাশত এবং কষ্টকর দৈহিক আমল ও ইবাদতসমূহ পালন করা।
17. মানসিক সবর বলতে কি কি বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ জৈবিক ও মানসিক দাবী দাওয়া, ইচ্ছা আকাংখা, কামনা-বাসনা, লোভ-লালসা, আকর্ষণ ও উত্তেজনার মোকাবেলায় নিজেকে স্থিতিশীল ও নিয়ন্ত্রিত রাখা।
18. ইউসুফ আ. কে হারিয়ে হযরত ইয়াকুব আ. ধৈর্য্য ধারণ করেন। কুরআনে এই ধৈর্য্যটাকে কি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে?
উত্তরঃ সবরে জামিল।
19. হাদীসের আলোকে সবরের ৩টি সময় উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ ১. বিপদকালীন সবর। ২. আল্লাহর হুকুম পালনে সবর। ৩. আল্লাহর নাফরমানী থেকে আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে সবর।
20.হাদীসের আলোকে প্রকৃত শক্তিশালী ব্যক্তি কে?
উত্তরঃ যে রাগের সময় আত্মসংযম করতে পারে।
21. هلْ أنتِ إِلَّا إِصبَعٌ دَميتِ و في سبيلِ اللهِ ما لقيتُ এর অর্থ কি? এটি কার উক্তি?
উত্তরঃ “রক্তরঞ্জিত আঙ্গুল তুমি শান্তধীর, খোদার পথে লড়েছিলে তুমি রণবীর”। উক্তিটি রাসূল সা. এর।
22. রাসূলের দাওয়াত থেকে সশস্ত্র যুদ্ধ পর্যন্ত সূদীর্ঘ চেষ্টা আর সংগ্রামের কাজটাকে কুরআনে কি বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর এর সহজ সুন্দর বাংলা কি কি?
উত্তরঃ কুরআনে বলা হয়েছে “আল জিহাদু ফি সাবিলিল্লাহ” আর এর বাংলা হলো- আল্লাহর পথে জিহাদ বা ইসলামী আন্দোলন।
23.কুরআনের ভাষায় সে ব্যক্তির চাইতে উত্তম কতা আর কার হতে পারে। কে সেই ব্যক্তি?
উত্তরঃ যে আল্লাহর দিকে ডাকলো, নেক আমল করলো আর বললোঃ আমি মুসলমান।
24. মানুষকে প্রাণের বন্ধু বানাবার প্রেসক্রিপশন কি?
উত্তরঃ সবর অবলম্বণ করা।
25.সবর সম্পর্কে সাইয়েদ কুতুবের বিখ্যাত উক্তিটি কি?
উত্তরঃ “ইসলামী আন্দোলন রক্ত রঞ্জিত পথ। কেবল পাহাড়ের মতো সবর আর অটলতাই এ আন্দোলনের কর্মীদেরকে এ পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সবরের মাধ্যমে রক্তরঞ্জিত পথ পাড়ি জমাবার মধ্যেই রয়েছে মুমিনদের সার্বিক কল্যাণ আর সাফল্য।”
26. উত্তম সবরের প্রথম কাজ কি?
উত্তরঃ বিপদ আপদ দুঃখ মুসীবতে বলা-إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
27.হযরত আম্মার রা. ও তাঁর মাতা পিতাকে যখন মক্কার জালেমরা চরম দৈহিক নির্যাতন চালায়, তখন নবী সা. তা দেখে কি উচ্চারণ করেন? বাংলা বা আরবীতে বলুন।
উত্তরঃ صَبْراً آلَ ياسر، فإنَّ مَوْعِدَكُم الجَنَّة “ইয়াসারের লোকজন, তোমরা ধৈর্য্য ধারণ করো। তোমাদের জান্নাতের ওয়াদা পাকাপোক্ত হয়ে গেছে।”
28.কুরআনে বলা হয়েছে, “ভাল আর মন্দ সমান নয়। তোমরা মন্দকে দূর করো সেই ভাল দ্বারা যা অতীব উত্তম। তাহলে দেখতে পাবে, তোমাদের সাথে যাদের শত্রæতা ছিল তারা তোমাদের উত্তম বন্ধু হয়ে গেছে।” এই গুণ কেবল কাদের ভাগ্যে জুটে?
উত্তরঃ যারা সবর অবলম্বণ করে।
29. আদর্শ সবরের পরিচয় কি?
উত্তরঃ প্রথম চোটেই সবর অবলম্বন করা।
30. “সবর ইসলামী আন্দোলনের চাবিকাঠি” এটা কার উক্তি?
উত্তরঃ সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী রাহি.
31. ইসলামি আন্দোলন এর বিজয়ের জন্য যে সমস্ত হাতিয়ার প্রয়োজন। তার মধ্য অন্যতম হাতিয়ারটি কি?
উত্তরঃ সবর।
32.সবর কোন ধরনের গুন, সবরের অধিকারী ব্যক্তি ও সবর থেকে বঞ্চিত ব্যক্তির অবস্হা কি রকম হয়?
উত্তরঃ মৌলিক মানবীয় গুণ,সবর তার অধিকারী ব্যক্তিকে সৌভাগ্যের স্বর্ন শিখরে পৌঁছে দেয় আর বঞ্চিত ব্যক্তি হন লাঞ্চিত অপমানিত,অধঃপতিত।
33. কোরআন পাকে আল্লাহ তাআলা তার পথের মুজাহিদদের কি বলে সম্বোধন করেছেন?
উত্তরঃ সাবিরুন।
34.যদি তোমাদের মধ্যে বিশ জন সাবির থাকে, তবে তারা দুই শতের উপর জয়ী হবে। এটা কোন সুরার কত নম্বর আয়াত?
উত্তরঃ সুরা আনফাল ৬৫ নম্বর আয়াত।
35. সাবির অর্থ কি?
উত্তরঃ দৃঢ়তা, অটলতা।
36.আল্লাহ রাসুল সা. কে সবরের কথা বলতে গিয়ে কার মত না-হওয়ার জন্য বলেছেন?
উত্তরঃ ইউনুস আ. - (মাছওয়ালা)
37. এখন আর নবী নেই, নবী আসবেওনা তাই নবী যে মিশন নিয়ে এসেছিলেন এ দায়িত্ব কার উপর ন্যস্ত হয়েছে?
উত্তরঃ তার উম্মত এর উপর।
38. কুরআন মজিদে আল্লাহ রাসুল সা. কে কতবার সবর করার কথা বলেছেন এবং সবর ও সবর অবলম্বনকারীদের কথা কতবার উল্লেখ করেছেন?
উত্তরঃ ১৯ বার, শতাধিক বার উল্লেখ করেছেন।
39.সবরের ব্যাপারে হাসান বসরী র. ১টি উক্তি আছে উক্তি টি কি?
উত্তরঃ সবর কল্যানের ১টি খনি।
40.অতীতের আল্লাওয়ালা লোকদের পকেটে ১টি চামড়ার টুকরো থাকতো তাতে ১টি কথা লিখা থাকত যা তাহারা মাঝেমধ্যে বের করে পড়ে নিতেন। লেখাটি কি?
উত্তরঃ وَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ فَإِنَّكَ بِأَعْيُنِنَا তোমার রবের চুড়ান্ত ফায়সালা আসা পর্যন্ত সবর কর। তুমিতো আমাদেরই দৃষ্টি পথে রয়েছে। (সুরা তূর ৪৮)
41. মুমিনের যাবতীয় কল্যান ও সফলতার চাবিকাঠি কি?
উত্তরঃ সবর।
42. اصْبِرُوا وَصَابِرُوا আল্লাহর এ বাণীর অর্থ কি?
উত্তরঃ তোমরা তোমাদের নফসকে আল্লাহর ইবাদতের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করো, আর দমন কর তোমাদের খাহেশাতকে।
43. صَبْرٌ جَمِيلٌ সবরে জামিল (উত্তম সবর) মানে কি?
উত্তরঃ মানে এমন এক সবর যাতে কোন অভিযোগ নেই, চীৎকার নেই, কাকুতি মিনতি নেই, আহাজারি কান্নাকাটি নেই, নেই কোন হাহুতাশ।
44. فَاصْبِرْ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ অর্থ কি?
উত্তরঃ সবর অবলম্বন করো। অবশ্যি আল্লাহর ওয়াদা সত্য।
45.মানুষের জীবনে এমন কিছু দুঃখ কষ্ট, বিপদ মসিবত আসে যা তার ক্ষমতা ও ইখতিয়ারের বাহিরে,যার আসার ব্যপারে তার কোন হাত নেই। তা কি কি হতে পারে?
উত্তরঃ যেমন আপনজনের মৃত্যু, দৃষ্টি শক্তি ও শ্রবনশক্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া, অর্থসম্পদ ধ্বংস হয়ে যাওয়া, স্হায়ী ভাবে অসুস্থ হয়ে যাওয়া, আকস্মিক কোনো দুর্ঘটনা।
46. ইমাম ইবনে কুদামার মতে সর্বোচ্চ সবর কি?
উত্তরঃ হক কথা বলা হকের দিকে আহবান করা এবং হোক পথে চলার কারণে মানুষ কথা ও কাজ দ্বারা যে কষ্ট দেয় তার মোকাবিলায় সবর অবলম্বন করা।
47.শত্রুদের মধ্যে যতো শ্রেনী ও স্বার্থগত মত পার্থক্যই থাকুক না কেন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যায়। এটা কখন?
উত্তরঃ ইসলাম ও ইসলামি আন্দোলন কে নিশ্চিহ্ন করার জন্য।
48.কোন জিনিস মানুষকে সীমা লংঘন ও বিদ্রোহের দিকে ঠেলে দিতে পারে?
উত্তরঃ সুখকর জিনিস।
49. একজন ক্ষুধার্ত ব্যক্তির সামনে খাবার না থাকলে তার জন্য সবর করাটা সহজ কিন্তু কোন সময় কখন সবর করা চাট্টিখানি কথা নয়?
উত্তরঃ যখন কোন সুস্বাদু খাবার বস্তু সুগন্ধি ছড়াতে থাকে তখন সবর করাটা চাট্রিখানি কথা নয়।
50. নবীগন যখন কওমের নিকট আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত দিতে আরম্ভ করলে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হন?
উত্তরঃ কওমের সর্দার নেতারা কোমর বেঁধে বিরোধিতায় নেমেছেন। মৌখিক বিদ্রুপ, তিরস্কার, অস্বীকৃতি, মিথ্যা দোষারোপ থেকে আরম্ভ করে জ্বালা যন্ত্রণা, অত্যাচার নির্যাতনের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে।
51. ইব্রাহীম খলিলআ. ইসমাইল আ. কে আল্লাহর নির্দেশ জানানোর পর ইসমাইল আঃ কি বলেছিলেন?
উত্তরঃ আপনাকে যা হুকুম করা হয়েছে,আপনি তা কার্যকর করুন। ইন শা আল্লাহ আপনি আমাকে সবর অবলম্বনকারী পাবেন।
52.ফেরাউন দুই বার তার জাতির পুরুষ সন্তানদের হত্যা করেছিল একবার মুসা আ. এর জন্মের আগে ২য় টি কখন?
উত্তরঃ যখন মুসা আ. দ্বীনের দাওয়াতি কাজ আরম্ভ করেন,লোকেরা তার দাওয়াত প্রভাবিত হতে লাগলো তখন আবার পুরুষদের কে হত্যা করল।।
53. আল্লাহর এক বান্দহ লোকমান তিনি এমন কি উপদেশ দিয়েছিলেন তা আল্লাহ তাআলা কোরআন পাকে ঠাই দিয়েছেন?
উত্তরঃ পুত্র আমার নামায কায়েম করো,সৎকাজের আদেশ দাও, অসৎকাজে নিষেধ কর। এর ফলে যত বিপদই ঘটুক না কেন সবর করবে। নিঃসন্দেহে এগুলো বড়ই সাহস ও দৃঢ় সংকল্পের কাজ।সুরা লোকমান ১৭
54.নবীগন যখন সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে সবরের সাথে মানুষ কে সত্যের দাওয়াত দিয়ে যান তখন কারা তার আহবানে সাড়া দেয় এবং কিসের জন্য?
উত্তরঃ একদল মানুষ জানমালের ঝুকি নিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তাদের আহবানে সাড়া দেয়।
55. নবী তার সাথীরা তথা আল্লাহ ওয়ালা লোকগুলো যখনই কোন বিপদ মসিবতে পড়েছে তখন তারা হতাশ হয়ে পড়েনি,দুর্বলতা প্রদর্শন করেনি আর বাতিলের সামনে মাথা ও নত করেনি বরং তাদের মুখ দিয়ে যে কথাগুলো বের হয়েছিল তা কোরআনে কোড করা হয়েছে কথাগুলো কি?
উত্তরঃ ওগো আমাদের রব,আমাদের ভূলত্রুটি ও অক্ষমতাকে ক্ষমা কর, আমাদের কাজকর্মে তোমার নির্ধারিত সীমা যতটুকু লংঘিত হয়েছে, তা তুমি মাফ করে দাও,আমাদের কদমকে মজবুত করে দাও আর কাফেরদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য কর।
56.মুমিনের গোটা জীবনই কিসের জীবন?
উত্তরঃ সবরের জীবন।
57. সবরের কারনে যখন মুমিনদেরকে আল্লাহ জান্নাত দান করবেন তখন ফেরেশতারা তাদেরকে কি বলে সম্বোধন করবেন?
উত্তরঃ তারা বলবে তোমাদের প্রতি সালাম,পৃথিবীতে তোমরা যেভাবে সবর অবলম্বন করেছিলে, তার বিনিময়েই তোমরা এর অধিকারী হয়েছ।কতইনা উত্তম পরকালের এই ঘর।
58. সবর অবলম্বনকারীদের জন্য আল্লাহ কোন ধরনের পোশাক এর ব্যবস্হা করবেন?
উত্তরঃ রেশমী পোষাক।
59.আল্লামা মওদুদী রাহি. মতে মুমিনের কখন থেকে সবরের পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়?
উত্তরঃ ঈমানের পথে পদক্ষেপ গ্রহনের সাথে সাথে।
60.হাদীসের ভাষায় কে প্রকৃত শক্তিশালী ব্যক্তি?
উত্তরঃ যে রাগের সময় আত্নসংযম করতে পারে।
61. সবর অবলম্বন করতে চায়রে কে শক্তি দান করেন?
উত্তরঃ আল্লাহ।
62. আল্লাহ কিসের ছেয়ে উত্তম ও ব্যাপকতর জিনিস মানুষকে দান করেনি?
উত্তরঃ সবর ।
63.প্রকৃত সবর কোনটি?
উত্তরঃ অন্তরে পয়লা চোট লাগার সাথে সাথে যে সবর কারা হয়।
64. প্রকৃত শক্তিশালী ব্যাক্তি কে?
উত্তরঃ যে রাগের সময় আত্মসংযম করতে পারে।
65.শত্রুদের সাথে যুদ্ধ বেঁধে গেলে কি করতে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ সবর (দৃঢ়তা) অবলম্বন করতে
66. সবরের সময় কি কি?
উত্তরঃ ১. বিপদকালীন সবর ২. আল্লাহর হুকুম পালনে সবর ৩. আল্লাহর নাফরমানী থেকে আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে সবর
67.যে মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদে অবতীর্ণ হয় না, জিহাদের ময়দানে অটল অবিচল থাকে না এবং জিহাদের পথে যেসব বিপদ মুসীবত ও দুঃখ দুর্দশা তার উপর আবর্তিত হয়, সেগুলোর মোবাবেলায় ধৈর্য ধারণ করতে পানে না। তার ব্যাপারে হুকুম কি?
উত্তরঃ সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা।
68.আল্লাহ আমাদের কেন পরীক্ষা করবে?
উত্তরঃ সত্যিকারের মুজাহিদ এবং দৃঢ়তা ও সবর অবলম্বনকারী যাচাই করার জন্য।
69. মহান আল্লাহ আমাদের কিসের মাধ্যমে পরীক্ষা করবে?
উত্তরঃ ভয়, আনাহার এবং জানমালের ক্ষতি ও উৎপাদন হ্রাসের মাধ্যমে।
70. বিপত উপস্থিত হলে কি বলবে?
উত্তরঃ ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন
71. ইসলামী আন্দোলনের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ কি?
উত্তরঃ দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ।
72.সবরের গুণ কি কি?
উত্তরঃ বিরাট মনোবল, বলিষ্ঠ আত্মা, অসীম সাহসিকতা, উচ্চাশা, দৃঢ়সংকল্প, সহ্যশক্তি ও বড় আত্মসংযমের অধিকারী হওয়া।
73. পবিত্র কোরআনে কার কথা উত্তম বলা হয়েছে?
উত্তরঃ যে আল্লাহর দিকে ডাকে, নেক আমল করে এবং বলে আমি মুসলমান।
74.পবিত্র কোনআনে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিতে কিভাবে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ হিকমাত ও উত্তম নসীহতের সাহায্যে।
75. ইসলামী আন্দোলনের নেতা হিসাবে কে বেশি সবর অবলম্ভন করেছেন?
উত্তরঃ হযরত মুহাম্মদ সা. ।
76.তাড়াহুড়া না করার অপর নাম কি?
উত্তরঃ সবর
77. নবী সা. কে কতক্ষণ পর্যন্ত সবর করতে বলেছেন?
উত্তরঃ আল্লাহর ফায়সালা আসা পর্যন্ত।
78. যারা হযরত মুহাম্মদ সা. এর সাথে নিকৃষ্ট আচরণ করত, তিনি তাদের সাথে কিভাবে আচরন করতেন?
উত্তরঃ উৎকৃষ্ট আচরণ করতেন।
79. “ইসলামী আন্দোলন রক্তরঞ্জিত পথ।কেবর পাহাড়ের মতো সবর আর অটলতাই এ আন্দোলনের কর্মীদেরকে এ পতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পাবে” এটি কার বাণী?
উত্তরঃ সাইয়েদ কুতুব শহীদ।
80. কুরআনে বর্ণিত গর্ত খননকারীদের কাহিনী কাদের চিন্তা ভাবরনার উদ্রেক করে?
উত্তরঃ সকল ইমানদার ব্যাক্তিদের।
81. সূরায়ে বুরুজ কাদের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ যারা দুনিয়াতে দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করে।
82.কাহিনী বর্ণনার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা ।মিানদারদের চলার পথে যেসব বাধা বিপত্তি আসতে পারে তা উল্লেখ করেছেন এবং সম্ভাব্য সকল প্রকার বিপদ আপদ ও দুঃখ কষ্টকে বরণ করে নেয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। এখানে কাদের কাহিনীর কাথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ একদল ঈমানদারের কাহিনী।
83. আল্লাহর মানদন্ডে কিসের ওজন ভারী?
উত্তরঃ একমাত্র ঈমানের ওজন ভারী।
84.কাদের রূহ ভয় ভীতি দুঃখ কষ্ট এবং পার্থিব জীবনের আরাম আয়েশ ও ভোগ বিলাসের উপর পরিপূর্ণ রূপে বিজয়ী হয়?
উত্তরঃ ঈমানদারের রূহ।
85. এ মাহান সত্যকে যদি জীবন রক্ষার খাতিরে বর্জন করে দেয়া হতো, তাহলে মানব জাতি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এখানে কিসের কাথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ঈমানের কাথা।
86.ইসলামী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কার হাতে?
উত্তরঃ স্বয়ং আল্লাহর হাতে।
87. ঈমানদারদের কৃতকর্মের পুরস্কারের প্রথম কিস্তি কোথায় হাসিল করবে?
উত্তরঃ দুনিয়াতে।
88. ঈমানদারদের কৃতকর্মের পুরস্কারের প্রথম কিস্তি কি?
উত্তরঃ অন্তরের প্রশান্তি, চিন্তা ও উপলব্ধির উচ্চমান, উৎকৃষ্ট ধ্যান ধারণা।পার্থিব লোভ লালসা, ভয় ভীতি ও দুঃখ কষ্টের অনুভূতি থেকে মুক্তি লাভ।
89.ঈমানদারদের কৃতকর্মের পুরস্কারের দ্বীতিয় কিস্তি কি?
উত্তরঃ ফিরিস্তা মহলে তাদের সম্মান বৃদ্ধি ও তাদের সম্পর্কে আলোচনা।
90.হযরত আম্মার রা. ও তাঁর মাতা পিতাকে যখন মক্কার জালিমরা চরম দৈহিক নির্যাতনের শিকারে পরিনত করেছিল, তাখন নবী সা. তাদের অবস্থা দেখে কি বলেছিল?
উত্তরঃ صَبْراً آلَ ياسر، فإنَّ مَوْعِدَكُم الجَنَّة
91. উত্তম সবরের প্রথম কাজ কি?
উত্তরঃ বিপদ আপদ, দুঃখ মুসীবতের অবস্থা সৃষ্টি হলে বলাঃ إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ
92. আদর্শ সবর কি?
উত্তরঃ পয়লা আঘাতেই সবর অবলম্বন করা।
93.সবর কিসের চাবিকাঠি?
উত্তরঃ যে কোন মহৎ উদ্দেশ্যের।
94. কোন ব্যাক্তি তার পার্থিব কিংবা পারলৌকিক মহৎ উদ্দেশ্যে সপলতা লাভ করতে হলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ সবর অবলম্বন করতে হবে।
অন্যান্য সূরা ও বইয়ের উপর প্রশ্নোত্তর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
0 Comments