প্রশ্নোত্তর: তাফহীমুল
কুরআন - সূরা আল ফাতহ
১. সূরা আল ফাতহ-এর নাম বিষয়বস্তু অনুসারে গ্রহণ করার কারণ কি?
উত্তরঃ কারণ, এতে হুদায়বিয়ার সন্ধির আকারে প্রদত্ত বিজয় বিষয়ে আলোচিত হয়েছে।
২. আল্লাহ নবী সা. ও মুসলমানদেরকে এক মহান বিজয় দান করেন। কিসের আকারে সেই বিজয় দান করা হয়েছিল
উত্তরঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির আকারে।
৩. সূরা আল ফাতহ কখন নাযিল হয়?
উত্তরঃ ৬ষ্ট হিজরীর যুলকাদা মাসে।
৪. ৬ষ্ঠ হিজরীর যুলকাদ মাসে মক্কার কাফেরদের সাথে সন্ধিচূক্তি সম্পাদনের প রনবী সা. যখন মদীনার দিকে ফিরে যাচ্ছিলেন, সে সময় নাযিল হয় এমন একটি সূরা। সেই সূরার নাম কি?
উত্তরঃ সূরা আল ফাতহ।
৫. এমন একটি সূরা যার নাযিল হওয়ার ব্যাপারে সমস্ত রেওয়ায়েত একমত। কোন সে সূরা?
উত্তরঃ সূরা আল ফাতহ।
৬. সূরা আল ফাতহের পটভূমিতে রাসূল সা. এর একটি স্বপ্নের বিবরণ পেশ করা হয়েছে। বিবরণ অনুযয়ী নবী সা. স্বপ্নে কি দেখলেন?
উত্তরঃ নবী সা. স্বপ্নে দেখলেন যে, তিনি তাঁর সাহাবীদের সাথে মক্কা নগরীতে গিয়ে উমরা আদায় করছেন।
৭. নবীর স্বপ্ন নিছক স্বপ্ন এবং কল্পনা নয়। তাহলে কি?
উত্তরঃ এক প্রকার ওহী।
৮. আল্লাহ তার রাসূলকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন-বিষয়টা সূরা ফাতহের কততম আয়াতে উল্লেখিত হয়েছে?
উত্তরঃ ২৭তম।
৯. আল্লাহ কর্তৃক নবী সা. কে স্বপ্ন দেখানো এটা নিছক স্বপ্ন ছিল না। তাহলে কি ছিল?
উত্তরঃ আল্লাহর ইংগিত।
১০. কাফের কুরাইশরা কত বছর পর্যন্ত মুসলমানদেরকে হারাম এলাকায় যেতে দেয়নি।
উত্তরঃ ৬ বছর।
১১. হজ্জ ও উমরা করার জন্য কাফেররা কত বছর যাবত মুসলমানদেরকে সুযোগ দেয়নি।
উত্তরঃ ৬ বছর।
১২. কাফের কুরাইশরা কত বছর যাবত মুসলমানদের জন্য বাইতুল্লাহর পথ বন্ধ করে রেখেছিল?
উত্তরঃ ৬ বছর।
১৩. উমরার জন্য ইহরাম বেঁধে যুদ্ধের সাজ সরঞ্জাম সাথে নিয়ে বের হওয়ার অর্থ যুদ্ধ ডেকে আনা। তাহলে নিরস্ত্র হয়ে যাওয়ার অর্থ কি?
উত্তরঃ নিজের ও সংগীদের জীবনকে বিপন্ন করা।
১৪. এমন একটি কাজ যা নবীর পদমর্যাদার প্রমাণ, তা কি?
উত্তরঃ রব যে নির্দেশ দান করেন তা বিনা দ্বিধায় বাস্তবায়িত করা।
১৫. নবী সা. স্বপ্নের কথা সাহাবীদের বলে সফরের প্রস্তুতি শুরু করলেন। আশপাশে গোত্রের মাঝে এ সম্পর্কে কি ঘোষনা করলেন?
উত্তরঃ উমরা আদায়ের জন্য যাচ্ছেন। বিধায় যারা যেতে ইচ্ছুক তারা যেন দলে যোগ দেয়।
১৬. নবী সা. উমরা আদায়ের জন্য যাচ্ছেন, এই ঘোষনার বাহ্যিক কার্যকরণ সমূহের উপর যাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ, তারা কি মনে করলো?
উত্তরঃ মনে করলো, ওরা (মুসলমানরা) মৃত্যুর মুখে ঝাঁপ দিতে যাচ্ছে।
১৭. রাসূল সা. এর উমরা সফরের প্রস্তুতি দেখে একদল মানুষ মনে করলো যে, মুসলমানরা মৃত্যুর মুখে ঝাঁপ দিতে যাচ্ছে। কিন্তু আরেকদল মানুষ পরিনাম সম্পর্কে কোন পরোয়া করছিলোনা। তারা কারা?
উত্তরঃ যারা সত্যিই আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান পোষণ করতো।
১৮. নবী সা. এর সাথে উমরার সফরে যেতে প্রস্তুত ছিলেন, তাদের প্রস্তুতির পক্ষে কোন যুক্তিটাই যথেষ্ট ছিল?
উত্তরঃ তারা মনে করেছিল, এটা আল্লাহর ইংগিত এবং রাসূলের নির্দেশ পালন।
১৯. রাসূল সা. এর উমরা সফরে সবাই কোন স্থানে গিয়ে ইহরাম বেঁধে ছিলেন? স্থানটি মক্কা থেকে কত মাইল দূরে অবস্থিত। স্থানটির বর্তমান নাম কি?
উত্তরঃ যুল-হুলাইফা। যা মক্কা থেকে ৬মাইল দূরে। বর্তমান নাম-বিরে আলী।
২০. উমরা সফরের রাসূল সা. এর কাফেলা ইহরাম বাঁধার পর একটি ধ্বনি তুলে বাইতুল্লাহ অভিমুখে যাত্রা করে। কি সেই ধ্বনি?
উত্তরঃ লাব্বায়কা, লাব্বায়কা।
২১. রাসূল সা. এর উমরা পালনের বিপদ জনক সফরে কতজন সাহাবী ছিলেন?
উত্তরঃ ১৪শ।
২২. রাসূল সা. উমরা পালনের যে সফর করেন, তা কত হিজরীর কোন মাসে যাত্রা শুরু করে?
উত্তরঃ ৬ষ্ঠ হিজরীর যুলকাদ মাসের প্রারম্ভে।
২৩. রাসূল সা. এর উমরা সফরে কতটি উট সাথে নিলেন?
উত্তরঃ ৭০টি।
২৪. দুইটি অঞ্চল, যার মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কেও অবস্থা সম্পর্কে তদানিন্তন সময়ে আরবের প্রতিটি শিশুও অবহিত ছিল। অঞ্চল দুইটির নাম কি?
উত্তরঃ মক্কা ও মদীনা।
২৫. কুরাইশরা বিভিন্ন আরব গোত্রের সম্মিলিত শক্তি নিয়ে মদীনার উপর চড়াও হয়। যার কারণে একটি বিখ্যাত যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। কোন সে যুদ্ধ? কত হিজরীতে তা সংঘটিত হয়?
উত্তরঃ আহযাব যুদ্ধ। ৫ম হিজরীতে।
২৬. আহযাব যুদ্ধের কত বছর পর রাসূল সা. উমরা করার জন্য ১৪শ সাহাবী নিয়ে মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হন?
উত্তরঃ এক বছর পর।
২৭. নবী সা. যে উমরার উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন এবং যুদ্ধের জন্য বের হননি, তার ৪টি প্রমাণ উপস্থাপন করুন।
উত্তরঃ ১. পবিত্র মাসে। ২. ইহরাম বেঁধে। ৩. কুরবানীর উট নিয়ে। ৪. নিরস্ত্র অবস্থায়।
২৮. মুক্কার কাফেররা নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য কি সিদ্ধান্ত নিল?
উত্তরঃ যে কোন মূলে রাসূল সা. এর কাফেলাকে শহরে প্রবেশ করতে না দেয়া।
২৯. উসফান নামক স্থান কোথায় অবস্থিত। মক্কা থেকে এর দূরত্ব কত?
উত্তরঃ মদীনা থেকে মক্কাগামী পথে। উটের পিঠে চড়ে মক্কা থেকে দুই দিনের দুরত্ব।
৩০. “শেষ পর্যন্ত অনেক চিন্থা-ভাবনা ও বিচার-বিবেচনার পর তাদের জাহেলী আবেগ ও মানসিকতাই তাদের উপর বিস্তার করলো।” প্রশ্ন হলো, কাদের জাহেলী আবেগ ও মানসিকা। আর এর প্রেক্ষিতে তারা কি করলো?
উত্তরঃ মক্কার কাফেরদের আবেগ ও মানসিকতা। ফলে তারা সিদ্ধান্ত নিল যে, যে কোন মূলে রাসূল সা. এর কাফেলাকে শহরে প্রবেশ করতে দেবেনা।
৩১. রাসূল সা. তার উমরা সফরে একজন ব্যক্তিকে গুপ্তচর হিসাবে নিয়োগ দেন। সে কোন গোত্রের লোক এবং তার দায়িত্ব কি ছিল?
উত্তরঃ বনী কা’ব গোত্রের লোক। তার দায়িত্ব ছিল যথা সময়ে রাসূল সা. কে কুরাইশদের সংকল্প ও গতিবিধি সম্পর্কে অবহিত করা।
৩২. যি-তুয়া নামক স্থানটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ মক্কার বাহিরে উসফানগামী পথের উপর অবস্থিত।
৩৩. কুরাউল গমীম স্থানটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ উসফান থেকে মক্কা অভিমুখে আট মাইল দূরে।
৩৪. রাসূল কর্তৃক নিযুক্ত গুপ্তচর কোন স্থানে পৌছলে রাসূলকে কুরাইশ বাহিনীর গতিবিধি সম্পর্কে খবর প্রদান করে
উত্তরঃ উসফান নামক স্থানে।
৩৫. রাসূল নিযুক্ত গুপ্তচর রাসূল সা.কে কি খবর প্রদান করে?
উত্তরঃ রাসূলের পথ রোধ করার জন্য কুরাইশরা প্রস্তুতিসহ যি-তুয়ায় পৌছেছে এবং দুইশত অশ্বারোহী খালেদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বে কুরাউল গমীম অভিমুখে অগ্রগামী বাহিনী হিসাবে পাঠিয়ে দিয়েছে।
৩৬. রাসূল সা. ভীষণ কষ্ট স্বীকার করে অত্যন্ত দূর্গম পথ ধরে হারাম শরীফের একেবারে প্রান্তসীমায় একটি স্থানে পৌছেন। স্থানটির নাম কি?
উত্তরঃ হুদায়বিয়া।
৩৭. গুপ্তচরের সংবাদ পেয়ে রাসূল সা. কি করলেন?
উত্তরঃ রাস্তা পরিবর্তণ করে ভীষণ কষ্ট স্বীকার করে অত্যন্ত দূর্গম একটি পথ ধরে হুদায়বিয়া নামক স্থানে পৌছেন।
৩৮. রাসূল সা. হুদায়বিয়া নামক স্থানে পৌছলে একটি গোত্রের নেতা কতিপয় লোক নিয়ে রাসূল সা. এর নিকট আসলো। কোন গোত্রের নেতা, তার নাম কি?
উত্তরঃ খুয’আ গোত্রের নেতা বুদায়েল ইবনে ওয়ারকা।
৩৯. খুয’আ গোত্রের নেতা বুদায়েল ইবনে ওয়ারকা রাসূল সা.কে কি জিজ্ঞাসা করলো?
উত্তরঃ আপনি কি উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন?
৪০. খুয’আ গোত্রের নেতার জিজ্ঞাসার জবাবে রাসূল সা. কি বললেন?
উত্তরঃ “আমরা কারো বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসিনি। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু বায়তুল্লাহর যিয়ারাত ও তাওয়াফ।”
৪১. কোন গোত্রের লোকজন নবী সা. এর আগমনের উদ্দেশ্যটা কুরাইশদের জানালো। তারা কুরাইশদের কি পরামর্শ দিয়েছিল?
উত্তরঃ খুয’আ গোত্রের লোকেরা। তারা পরামর্শ দিয়েছিল যে, তারা যেন হারামের এসব যিয়ারতকারীদের পথরোধ না করে।
৪২. নবী সা.কে ফিরে যেতে রাজী করানোর জন্য কুরাইশরা কোন গোত্রের নেতাকে পাঠালো, তার নাম কি?
উত্তরঃ আহাবিশ গোত্রের নেতা হুলাইস ইবনে আলকামা।
৪৩. অন্য কাউকে না পাঠিয়ে রাসূল সা. এর নিকট কুরাইশরা আহাবিশ গোত্রের নেতাকে পাঠানোর উদ্দেশ্য কি ছিল
উত্তরঃ তাদের উদ্দেশ্য ছিল, মুহাম্মদ সা. তার কথা না মানলে সে অসন্তুষ্ট হয়ে ফিরে আসবে এবং এবাবে আহাবিশদের শক্তি তাদের পক্ষে থাকবে।
৪৪. আহাবিশদের নেতা রাসূল সা. এর সাথে সাক্ষাত করতে এসে কতিপয় বিষয় অবলোকন করে কথা না বলেই চলে গেল। সে কি দেখলো?
উত্তরঃ সে দেখলো-১. গোটা কাফেলা ইহরাম বাঁধা। ২. গলায কিলাদা লটকানো কুরবানীর উট।
৪৫. গোটা কাফেলার ইহরাম বাঁধা এবং গলায় কিলাদা লটকানো কুরবানীর উট দেখে আহাবিশদের নেতা কি ভাবলো
উত্তরঃ সে ভাবলো যে, মানুষ গুলো লড়াই করার জন্য নয়, বরং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করার জন্য এসেছে।
৪৬. আহাবিশদের নেতা কুরাইশদের নিকট ফিরে গিয়ে তাদের কি বললো?
উত্তরঃ সে বললো, তারা বায়তুল্লাহর মর্যাদা স্বীকৃতি দিয়ে তা যিয়ারাত করতে এসেছে। তোমরা যদি তাদের বাঁধা দাও, তাহলে আহাবিশরা কখনো তোমাদের সহযোগিতা করবেনা। তোমরা নিষিদ্ধ বিষয়কে পদদলিত করবে আর আমরা সাহায্য-সহযোগিতা করবো এজন্য আমরা তোমাদের সাথে মিত্রতাবন্ধনে আবদ্ধ হইনি।
৪৭. হুদায়বিয়া নামক স্থানটির বর্তমান নাম কি? ইহা কোথায় এবং মক্কা থেকে কতদূরে অবস্থিত?
উত্তরঃ হুদায়বিয়ার বর্তমান নাম শুমাইসি। জেদ্দা থেকে মক্কাগামী সড়কের যে স্থানে হারামের সীমা শুরু সেখানে অবস্থিত। মক্কা থেকে এর দূরত্ব ১৩মাইল।
৪৮. মাসউদ সাকাফী কার পক্ষ থেকে রাসূল সা. এর কাছে আসলো? সে কি করলো?
উত্তরঃ কুরাইশদের পক্ষ থেকে। সে নিজের পক্ষ থেকে রাসূল সা.কে ভাল-মন্দ সব দিক বুঝিয়ে তাঁকে মক্কায় প্রবেশ করার সংকল্প থেকে বিরত রাখতে চাইলো।
৪৯. নবী সা. খুযআ গোত্রের নেতাকে যে জওয়াব দিয়েছিলেন, তাকেও সে একই জওয়াব দিলেন। কাকে সে একই জওয়াব দিলেন?
উত্তরঃ মাসউদ সাকাফীকে।
৫০. নবী সা. খুযআ গোত্রের নেতাকে যে জওয়াব দিয়েছিলেন, তাকেও সে একই জওয়াব দিলেন। কি জওয়াব দিলেন?
উত্তরঃ আমরা লড়াই করার উদ্দেশ্যে আসিনি, বায়তুল্লাহের মর্যাদা প্রদর্শণকারী হিসেবে একটি ধর্মীয় কর্তব্য পালন করার জন্য এসেছি।
৫১. উরওয়া ফিরে গিয়ে কুরাইশদের কি বললো?
উত্তরঃ বললঃ “আমি কাযসার, কিসরা এবং নাজ্জাসীর দরবারে গিয়েছি। কিন্তু আল্লাহর শপথ, আমি মুহাম্মদের সংগী-সাথীদেরকে মুহাম্মদের প্রতি যেমন নিবেদিত প্রাণ দেখেছি, তেমন দৃশ্য বড় বড় বাদশাহর দরবারেও দেখিনি। এদের অবস্থা এই যে, মুহাম্মদ সা. অযু করলে তারা এক বিন্দু পানিও মাটিতে পড়তে দেয়না, সবাই তো নিজেদের শরীর ও কাপড় মেখে নেয়। এখন চিন্থা করে দেখ, তোমরা কার মোকাবেলা করতে যাচ্ছো?”
৫২. কাফেরদের ৪০/৫০ জনের একটি দল রাতের বেলা মুসলমানদের তাবুতে পাথর নিক্ষেপ ও তীর বর্ষণ করলে তাদের ব্যাপারে কি করা হয়?
উত্তরঃ সবাইকে বন্দি করা হয় এবং রাসূল সবাইকে ছেড়ে দেন।
৫৩. মক্কার লোকেরা সাধারণত কোন স্থান থেকে ইহরাম বাঁধে।
উত্তরঃ তানঈম।
৫৪. “আমি কাযসার, কিসরা এবং নাজ্জাসীর দরবারে গিয়েছি। কিন্তু আল্লাহর শপথ, আমি মুহাম্মদের সংগী-সাথীদেরকে মুহাম্মদের প্রতি যেমন নিবেদিত প্রাণ দেখেছি, তেমন দৃশ্য বড় বড় বাদশাহর দরবারেও দেখিনি। এদের অবস্থা এই যে, মুহাম্মদ সা. অযু করলে তারা এক বিন্দু পানিও মাটিতে পড়তে দেয়না, সবাই তো নিজেদের শরীর ও কাপড় মেখে নেয়। এখন চিন্থা করে দেখ, তোমরা কার মোকাবেলা করতে যাচ্ছো?” এ উক্তিটি কার? সে কখন এ উক্তি করলো?
উত্তরঃ এ উক্তি উরওয়ার। সে কুরাইশদের কাছে ফিরে গিয়ে এই উক্তি করলো।
৫৫. হুদায়বিয়ায় অবস্থান কালে দূতের আসা যাওয়া ও আলাপ-আলোচনা চলাকালীন সময়ে গোপনে নবী সা. এর সেনা শিবিরে আকস্মিক হামলা চালিয়ে সাহাবীদের উত্তেজিত করা এবং যুদ্ধের অজুহাত হিসাবে কাজে লাগানো যায় তাদের দ্বারা এমন কোন কাজ করানো জন্য কুরাইশরা বারবার চেষ্টা চালাতে থাকে। কিন্তু কোন বস্তু গুলো তাদের সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়?
উত্তরঃ ১. সাহাবায়ে কিরামদের ধৈর্য্য ও সংযম। ২, নবী সা. এর বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টি।
৫৬. তানঈম জিনিসটা কি?
উত্তরঃ মক্কার হারাম সীমার বাইরে অবস্থিত একটি স্থানের নাম।
৫৭. সর্বমোট ৮০জন ব্যক্তির একটি দল মুসলমানদের উপর হামলা করে আকস্মিক ভাবে। তারা কোন দিক থেকে এসেছিল এবং পরে তাদের কি অবস্থা হয়েছিল?
উত্তরঃ তানঈমের দিক থেকে। তাদের সকলকে বন্দি করা হয় এবং নবী সা. তাদেরকে মুক্ত করে দেন।
৫৮. নবী সা. হুদায়বিয়াতে অবস্থানকালে একজন সাহাবীকে নিজের পক্ষ থেকে দূত হিসাবে মক্কায় পাঠান। তিনি কে?উত্তরঃ
হযরত উসমান রা.।
৫৯. রাসূল সা. হযরত উসমানকে দূত হিসাবে পাঠিয়ে তার মাধ্যমে কুরাইশদের কি কি জানিয়ে দিলেন?
উত্তরঃ ১. আমরা যুদ্ধের উদ্দেশ্যে নয়, বরং বায়তুল্লাহ যিয়ারাতের উদ্দেশ্যে কুরবানীর পশু সংগে নিয়ে এসেছে। ২. বায়তুল্লাহর তাওয়াফ আর কুরবানী করে আমরা ফিরে যাবো।
৬০. রাসূল সা. এর দূত হযরত উসমানের সাথে কুরাইশরা কি ধরণের আচরণ করলো?
উত্তরঃ তারা তাকে বন্দী বা আটক করলো।
৬১. উসমান রা.কে মক্কায় আটকের প্রেক্ষিতে মুসলিমদের মাঝে কি খবর ছড়িয়ে পড়লো?
উত্তরঃ হযরত উসমানকে হত্যা করা হয়েছে।
৬২. রাসুলের দূতকে হত্যা করার ঘটনা ঘটায় মুসলমানদের কাছে একটি পথ ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না, তা কি
উত্তরঃ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়া।
৬৩. হযরত উসমানকে হত্যার খবর শোনার পর রাসূল সা. সকল সাহাবীদের নিকট থেকে বাইয়াত গ্রহণ করলেন। ইসলামের ইতিহাসে এই বাইয়াত কি নামে খ্যাত।
উত্তরঃ বাইয়াতে রিদওয়ান।
৬৪. বাইয়াতে রিদওয়ানে মুসলমানদের সংখ্যা কতছিল?
উত্তরঃ ১৪শত।
৬৫. সন্ধির আলোচনা করার জন্য সুহাইল ইবনে আমরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নবী সা. এর শিবিরে এলো। কোন সন্ধির?
উত্তরঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির।
৬৬. হুদায়বিয়ার সন্ধির আলোচনার জন্য একটি কুরাইশ প্রতিনিধি দল রাসূল সা. এর কাছে আসে। সেই দলের নেতা কে ছিল?
উত্তরঃ সাহাইল ইবনে আমর।
৬৭. হুদায়বিয়ার সন্ধির প্রথম শর্ত কি ছিল? সুরা আল ফাতহ-এ ব্যাখ্যার আলোকে উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ উভয় পক্ষের মধ্যে ১০বছর যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। এক পক্ষ গোপনে বা প্রকাশ্যে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে কোন তৎপরতা চালাতে পারবেনা।
৬৮. হুদায়বিয়ার সন্ধির একটি শর্ত ছিল এমন যে, কুরাইশদের কেউ তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া যদি পালিয়ে মুহাম্মদ সা. এর কাছে চলে যায়, তাহলে তিনি তাকে ফেরত দেবেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যদি মুহাম্মদ সা. এর সংগী-সাথীদের কেউ কুরাইশদের কাছে চলে আসে, তাহলে কি হবে?
উত্তরঃ তাকে ফেরত পাঠাবেনা।
৬৯. যে কোন আরব গোত্র যে কোন পক্ষের মিত্র হয়ে এই চূক্তির অন্তর্ভূক্ত হতে চাইলে সে অধিকার থাকবে-এটি কোন সন্ধির চূক্তি?
উত্তরঃ হোদায়বিয়ার সন্ধির।
৭০. হুদায়বিয়ার সন্ধি যে বছর হয়, সে বছরে নবী সা. এবং তার সংগী-সাথীরা কতবার উমরা করেছিলেন?
উত্তরঃ একবারও না।
৭১. হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্ত অনুযায়ী পরের বছর মুসলমানরা উমরার জন্য মক্কায় আসলে কতদিন অবস্থান করতে পারবেন?
উত্তরঃ ৩দিন।
৭২. হুদায়বিয়ার সন্ধি অনুযায়ী মুসলমানরা ৩দিনের জন্য উমরা করতে আসলে মক্কাবাসীরা ৩দিনের জন্য কি করবে, কেন করবে?
উত্তরঃ শহর খালি করে দেবে, যাতে কোন প্রকার সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
৭৩. হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্ত সমূহ যখন নির্ধারিত হচ্ছিল, তখন মুসলমানদের পুরো বাহিনী অত্যন্ত বিচলিত বোধ করেছিল। কিন্তু কেন?
উত্তরঃ কারণ যে মহত উদ্দেশ্য সামনে রেখে নবী সা. এসব শর্ত মেনে নিচ্ছিলেন, তা কেউই বুঝে উঠতে পারছিলো না।
৭৪. হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় রাসূল সা. যেসব শর্ত মেনে নিচ্ছিলেন, তা কেউ বুঝে উঠতে পারছিলোনা কেন?
উত্তরঃ এ সন্ধির ফলে যে বিরাট কল্যাণ অর্জিত হতে যাচ্ছিল তা দেখতে পাওয়ার মতো দুরদৃষ্টি কারো ছিলো না।
৭৫. হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্তসমূহে বিচলিত হয়ে হযরত আবু বকরের কাছে গিয়ে ৪টি প্রশ্ন করেন, তা কি কি?
উত্তরঃ ১. তিনি কি আল্লাহর রাসূল নন? ২. আমরা কি মুসলমান নই? ৩. এসব লোক কি মুশরিক নয়? ৪. এসব সত্ত্বেও আমরা আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে এ অবমাননা মেনে নেব কেন?
৭৬. “তিনি আল্লাহর রাসূল আল্লাহ তাঁকে ধ্বংস করবেন না” উক্তিটি কার? কাকে উদ্দেশ্য করে এই উক্তি করেন
উত্তরঃ উক্তিটি হযরত আবু বকর রা. এর আর তা করা হয় হযরত উমর রা.কে উদ্দেশ্য করে।
৭৭. মুসলমানরা হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্তাবলী দেখে বিচলিত হচ্ছিল কেন?
উত্তরঃ এজন্য যে, তার নিচ হয়ে এ অবমাননাকর শর্তাবলী গ্রহণ করবে কেন?
৭৮. “ইসলাম গ্রহণের পরে কখনো আমার মনে কোন সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি হয়নি। কিন্ত এ যাত্রায় আমিও তা থেকে রক্ষা পাইনি।” এ উক্তিটি কার? এ যাত্রা বলতে তিনি কোন সময় বা বিষয়কে বুঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ উক্তিটি হযরত উমর রা. এর। তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্তাবলীর ব্যাপারে বিচলিত হওয়াকে বুঝাতে গিয়ে বলেন।
৭৯. হযরত উমর রা. হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্তাবলীর ব্যাপারে বিচলিত হয়ে রাসূল সা. এর সাথে যে কথাবার্তা বলেছিলেন তার জন্য দীর্ঘদিন পর্যন্ত লজ্জিত ও অনুতপ্ত ছিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে এ জন্য তিনি অধিক পরিমাণে দুইটি আমল করতেন, তা কি কি? এই আমল গুলো কেন করতেন?
উত্তরঃ ১. দান-খয়রাত। ২. নফল নামায। আমল গুলো এজন্য করতেন যাতে আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন।
৮০. হুদায়বিয়ার সন্ধির দূটি শর্ত লোকজনের কাছে বেশী অসহনীয় ও দূর্বিসহ মনে হচ্ছিলো। তা কি কি.
উত্তরঃ ১. মক্কা থেকে পালিয়ে আসা লোকদেরকে মদীনাবাসী ফিরিয়ে দেবে, কিন্তু মদীনা থেকে পালিয়ে আসা লোকদের মক্কাবাসী ফেরত দেবে না। ২. উমরা আদায় না করে এবছর ফিরে যাওয়া।
৮১. মক্কা থেকে পালিয়ে আসা লোকদের মদীনা বাসী ফিরিয়ে দেবে, কিন্তু মদীনা হতে পালিয়ে আসা লোকদেরকে মক্কাবাসী ফিরত দেবেনা-হুদায়বিয়ার সন্ধির এই শর্তটির লোকদের দৃষ্টিতে ছিল অসম। এর জবাবে রাসূল সা. কি বললেন?
উত্তরঃ “যে আমাদের এখান থেকে পালিয়ে তাদের কাছে চলে যাবে সে আমাদের কোন কাজে লাগবে?” আল্লাহ যেন তাকে আমাদের থেকে দূরে রাখেন। তবে যে তাদের ওখান থেকে পারিযৈ আমাদের কাছে চলে আসবে তাকে যদি আমরা ফিরিয়েও দেই তাহলে তার মুক্তিলাভের অন্য কোন উপায় আল্লাহ সৃষ্টি করে দেবেন।”
৮২. মুসলামনরা উমরা না করে মদীনায় ফিরে যাওয়ার বিষয়টি অসম ও ব্যর্থতা বলে মনে করা হলে তার জবাবে নবী সা. কি বললেন?
উত্তরঃ “চূক্তির শর্ত অনুসারে এ বছর যদি না-ও হয়, তাহলে আগামী বছর ইনশাআল্লাহ তাওয়াফ হবে।”
৮৩. হুদায়বিয়ার সন্ধি চূক্তি লিপিবদ্ধ করণের সময়ের একটি ঘটনা, যা জ্বলন্ত আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে। তা কি.
উত্তরঃ সুহাইল ইবনে আমরের পুত্র আবু জানদাল নবী সা. এর শিবিরে হাজির হওয়া।
৮৪. হুদায়বিয়ার সন্ধি চূক্তি লিখার সময় একজন কাফের পুত্র ইসলাম কবুল করে নবী সা. এর শিবিরে আশ্রয় নেন। তিনি কে? তার পিতা কে?
উত্তরঃ তিনি আবু জানদাল আর তার পিতা সুহাইল ইবনে আমর।
৮৫. কাফেরদের বন্দীশালা থেকে পালিয়ে আবু জানদাল যখন নবী সা. এর শিবিরে আসেন তখন তার অবস্থা কি রকম ছিল?
উত্তরঃ তার পা ছিল শিকল পরানো আর দেহে ছিল নির্যাতনের চিহ্ন।
৮৬. চুক্তি পত্র লেখা শেষ না হলেও চুক্তির শর্তাবলী সম্পর্কে আপনার ও আমাদের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। অতএব এ ছেলেকে আমার হাতে অর্পণ করুন। এটি কার উক্তি এবং কার সম্পর্কে করা হয়েছে?
উত্তরঃ এ উক্তি সুহাইল ইবনে আমরের। তার পুত্র আবু জানদাল সম্পর্কে এ উক্তি করা হয়েছে।
৮৭. চুক্তি পত্র লেখা শেষ না হলেও চুক্তির শর্তাবলী সম্পর্কে আপনার ও আমাদের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। অতএব এ ছেলেকে আমার হাতে অর্পণ করুন। সুহাইল ইবনে আমরের এই বক্তব্য শুনে রাসূল সা. কি করলেন?
উত্তরঃ তার যুক্তি মেনে নিলেন এবং আবু জানদালকে জালেমদের হাতে তুলে দিলেন।
৮৮. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পাদন করে নবী সা. সাহাবায়ে কিরামদের ৩বার আদেশ করলেন। কিন্তু কেউ তা পালন করা জন্য একটুও নড়লেন না। কি সে আদেশ?
উত্তরঃ এখানেই কুরবানী করে মাথা মুড়ে ফেলো এবং ইহরাম শেষ করো।
৮৯. নবী সা. সাহাবায়ে কিরামদের আদেশ দিয়েছেন অথচ তারা তা পালনের জন্য তৎপর হচ্ছেন না এমন ঘটনা রাসূল সা. এর নবুয়াতী জিন্দেগীতে মাত্র ১টি। তা কখন বা কোথায়? আর আদেশটি কি ছিল?
উত্তরঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির সময়। আদেশ ছিল-কুরবানী করে মাথা মুড়ে ফেলা এবং ইহরাম শেষ করা।
৯০. দাজনান নামক স্থান কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ মক্কা থেকে প্রায় ২৫ মাইল দূরে।
৯১. হুদায়বিয়ার সন্ধি সম্পাদনের পর রাসূল সা. যখন সাহাবায়ে কিরামদেরকে কুরবানী করা ও ইহরাম শেষ করার নির্দেশ দিলেন, তখন তার সেই আদেশ পালন না করায় নবী সা. দূঃখ পেয়েছিলেন। তার মনের কষ্টের কথা কার কাছে প্রকাশ করলেন?
উত্তরঃ উম্মে সালামার নিকট।
৯২. হুদায়বিয়াতে রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী সাহাবীরা কুরবানী না করা বা ইহরাম শেষ না করার প্রেক্ষিতে রাসূল সা. কি পন্থা অবলম্বন করলেন, কে তাকে এভাবে করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ নবী সা. কুরবানী করলেন এবং ইহরাম শেষ করলেন। এরূপ করতে তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন হযরত উম্মে সালামা।
৯৩. সাহাবায়ে কিরাম রাসূল সা. এর নির্দেশ অনুযায়ী কুরবানী না করা ও ইহরাম শেষ না করার প্রেক্ষিতে হযরত উম্মে সালামা রাসূল সা. কে কি পরামর্শ দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ আপনি চুপচার গিয়ে নিজের উট কুরবানী করুন এবং ক্ষৌরকার ডেকে মাথা মুড়ে ফেলুন।
৯৪. দাজনান বা কুরাউল গামীম নামক স্থান, যেখানে কুরআনের একটি সূরা নাযিল হয়, তার নাম কি?
উত্তরঃ সূরা আল ফাতহ।
৯৫. এমন এক সূরা যা মুসলমানদের জানিয়ে দেয় যে, হুদায়বিয়ার সন্ধি প্রকৃত পক্ষে বিরাট বিজয়-সূরাটির নাম কি?উত্তরঃ
সূরা আল ফাতহ।
৯৬. “আজ আমার উপর এমন জিনিস নাযিল হয়েছে যা আমার জন্য দুনিয়া ও দুনিয়ার সবকিছুর চেয়েও বেশী মূল্যবান” এই কথা বলে রাসূল সা. একটি সূরা তেলাওয়াত করলেন। এটি কোন সূরা? কাকে ডেকে বিশেষ ভাবে এই সূরা শুনানো হয়?
উত্তরঃ সূরা আল ফাতহ। হযরত উমর কে ডেকে।
৯৭. হুদায়বিয়ার সন্ধিতে সবচেয়ে বেশী মনকষ্ট পেয়েছিলেন কোন সাহাবী?
উত্তরঃ হযরত উমর রা.
৯৮. হুদায়বিয়ার সন্ধির মাধ্যমে যে সব অর্জন সমূহ পাওয়া যায় তা প্রধানতঃ ৫টি। প্রথমটি কি?
উত্তরঃ আরবে প্রথম বারের মতো ইসলামী রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মেনে নেয়া।
৯৯. সমাজচ্যূত শব্দটাকে ইংরেজীতে কি বলে?
উত্তরঃ Out Law
১০০. হুদায়বিয়ার সন্ধির পূর্ব পর্যন্ত আরবদের দৃষ্টিতে মুহাম্মদ সা. ও তাঁর সংগী-সাথীদের মর্যাদা কি ছিল?
উত্তরঃ কুরাইশ ও আরব গোত্রসমূহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী একটি গোষ্ঠী।
১০১. হুদায়বিয়ার সন্ধির পূর্ব পর্যন্ত কারা ইসলামকে ধর্মহীনতা বলে আখ্যায়িত করে আসছিল?
উত্তরঃ কুরাইশরা।
১০২. মুসলমানদের জন্য বায়তুল্লাহর যিয়ারাতের অধিকার মেনে নেয়া মানে কি মেনে নেয়া?
উত্তরঃ ইসলাম কোন ধর্মহীনতা নয়। বরং আরবে স্বীকৃত ধর্মসমূহের একটি।
১০৩. দশ বছরের জন্য যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হওয়ার ফলে মুসলমানগন নিরাপত্তা ও শান্তি লাভ করলেন এবং আরবের আনাচে কানাচে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত ইসলামের প্রচার চালালেন। এটা কোন চূক্তির সুফল?
উত্তরঃ হুদায়বিয়ার।
১০৪. হুদায়বিয়ার সন্ধির মাধ্যমে যে সব অর্জন সমূহ পাওয়া যায় তা প্রধানতঃ ৫টি। তৃতীয়টি কি?
উত্তরঃ দশ বছরের জন্য যুদ্ধ বিরতির ফলে মুসলমানদের নিরাপত্তা ও শান্তি লাভ এবং গোটা আরবে ইসলামের প্রচার।
১০৫. মক্কা অভিযান হুদায়বিয়ার সন্ধির কত বছর পর সংঘটিত হয়? এই অভিযানে রাসূল সা. এর সাথে যে সৈন্যবাহিনী ছিল তার সংখ্যা কত ছিল?
উত্তরঃ ২ বছর পর। সৈন্য সংখ্যা ছিলঃ ১০ হাজার।
১০৬. এমন একটি কর্ম সুফল যা ১৯ বছরে হয়নি, অথচ মাত্র ২ বছরে হয়েছে। তা কি? তা কিসের সুফল?
উত্তরঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির পূর্বের ১৯ বছরে যতজন মুসলমান হয়নি হুদায়বিয়ার সন্ধির পরের ২বছরে তার চেয়ে বেশী মুসলমান হয়েছে। আর তা হুদায়বিয়ার সন্ধির সুফল।
১০৭. হুদায়বিয়ার সন্ধি যে অভিযানে সম্পাদিত হয়, সে অভিযানে রাসূল সা. এর সাথে কত জন লোক ছিলেন?
উত্তরঃ ১৪শত।
১০৮. হুদায়বিয়ার সন্ধির মাধ্যমে কুরাইশদের সাথে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে রাসূল সা. একটি সুযোগ লাভ করেন, যাকে মহান নিয়ামত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সে সুযোগটি কি ছিল। আর নিয়ামতের কথা কুরআনের কোন আয়াতে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ সুযোগ হলো ইসলামী সরকারকে সুদৃঢ় করার এবং ইসলামী আইন-কানুন চালু করে মুসলিম সমাজকে একটি পূণাঙ্গ সভ্যতা ও সংস্কৃতি হিসেবে দাঁড় করানো। আর তা উল্লেখ করা হয়েছে কুরআনে সুরা মায়েদার ৩নম্বর আয়াতে।
১০৯. ইহুদীদের সবচেয়ে বড় দূর্গের নাম কি? এ দূর্গটি কখন বিজিত হয়?
উত্তরঃ দূর্গের নাম খায়বার। আর তা হুদায়বিয়ার সন্ধির মাত্র ৩মাস পর বিজিত হয়।
১১০. হুদায়বিয়ার সন্ধিচূক্তির একটি বিষয়, যা মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে বেশী অপছন্দনীয় ছিল এবং কুরাইশরা তাদের বড় বিজয় মনে করেছিল। তা কি?
উত্তরঃ মক্কা থেকে পালিয়ে মদীনায় আশ্রয় গ্রহণকারীদের ফিরিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু মদীনা থেকে পালিয়ে মক্কায় গমনকারীদের ফিরিয়ে দেয়া হবেনা।
১১১. ২জন মুসলমান, যারা পালিয়ে মক্কা থেকে মদীনায় চলে আসেন। কিন্তু হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্তের কারণে রাসূল সা. তাদেরকে মদীনায় রাখেননি। তারা কারা?
উত্তরঃ আবু বাসীর ও আবু জানদাল।
১১২. আবু বাসীর মক্কা যাওয়ার পথে বন্দীত্ব থেকে মুক্ত হয়ে কোথায় আশ্রয় গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ লোহিত সাগরের যে পথ ধরে কুরাইশদের বানিজ্য বহর যাতায়াত করতো, সে পথের একটি স্থানে।
১১৩. যে সব মুসলমান কুরাইশদের বন্দীত্ব থেকে নিজেদের মুক্ত করার সুযোগ করতে পারতো তারা কার আশ্রয়ে চলে যেত। তাদের সংখ্যা কত ছিল?
উত্তরঃ তারা আবু বাসিরের আশ্রয়ে চলে যেতো। তাদের সংখ্যা ছিল-৭০জন।
১১৪. হুদায়বিয়ার সন্ধির এমন একটি শর্ত, যা আপনা আপনি রহিত হয়ে যায়। তা কি?
উত্তরঃ মক্কা থেকে পালিয়ে মদীনায় আশ্রয় গ্রহণকারীদের ফিরিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু মদীনা থেকে পালিয়ে মক্কায় গমনকারীদের ফিরিয়ে দেয়া হবেনা।
১১৫. হযরত উমর রা. জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল, এটা কি বিজয়? উত্তরে নবী সা. কি বললেন?
উত্তরঃ হ্যাঁ।
১১৬. إي والذي نفس محمد بيده، إنه لفتح এই উক্তিটি কার? এর অর্থ কি?
উত্তরঃ এই উক্তি নবী মাহাম্মদ সা. এর। এর অর্থ-সেই মহান সত্তার শপথ, যার হাতে মুহাম্মদ সা. এর প্রাণ। এটা অবশ্যই বিজয়।
১১৭. হযরত উমর রা. নয়, অন্য একজন সাহাবী রাসূল সা. এর কাছে হুদায়বিয়ার সন্ধির বিষয়ে প্রশ্ন করলেন যে, এটা কি বিজয়? রাসূল সা. কি বললেন?
উত্তরঃ সেই মহান সত্তার শপথ, যার হাতে মুহাম্মদ সা. এর প্রাণ। এটা অবশ্যই বিজয়।
১১৮. “যাতে আল্লাহ তোমার আগের ও পরের সব ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ করে দেন”- এখানে আগের ত্রুটি বলতে কোন ত্রুটি বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ বিগত ১৯ বছরের চেষ্টা সাধনার মাঝে যে সব ত্রুটি।
১১৯. সূরা আল ফাতহ-এর ২য় আয়াতে বলা হয়েছে-“যাতে তোমার আগের ও পরের সব ত্রুটি-বিচ্যুতি মাফ করে দেন”-এখানে রাসূলকে উদ্দেশ্য করে তার ত্রুটির কথা বলা হয়েছে না অন্য কিছু?
উত্তরঃ এখানে যে দল চেষ্টা-সাধনা চালাচ্ছে তার ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য সেই দলের নেতা হিসাবে রাসূল সা.কে উদ্দেশ্য করা হয়েছে, রাসূলের ব্যক্তিগত ক্রুটির জন্য নয়।
১২০. সাহাবায়ে কিরামরা যখন রাসূল সা.কে ইবাদতের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক রকমের কষ্ট করতে দেখতেন, তখন তাকে কি বলতেন?
উত্তরঃ বলতেন-আপনার পূর্বাপর সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি তো ক্ষা করা হয়েছে। তারপরও আপনি এত কষ্ট করেন কেন?
১২১. আপনার পূর্বাপর সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি তো ক্ষা করা হয়েছে। তারপরও আপনি এত কষ্ট করেন কেন? সাহাবায়ে কিরামের এই ধরনের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে রাসূল সা. কি উত্তর দিতেন?
উত্তরঃ “আমি কি কৃতজ্ঞ বান্দাও হবো না?”
১২২. “আমি কি কৃতজ্ঞ বান্দাও হবো না?” এটি একটি জবাব। এটি কোন প্রশ্নের জবাব? প্রশ্নকারী কে বা কারা?
উত্তরঃ “আপনার পূর্বাপর সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি তো ক্ষা করা হয়েছে। তারপরও আপনি এত কষ্ট করেন কেন?” এই প্রশ্নের জবাব। প্রশ্নকারী সাহাবায়ে কিরাম।
১২৩. রাসূল সা.কে সোজা পথ দেখানো অর্থ কি?
উত্তরঃ বিজয় ও সাফল্যের পথ দেখানো।
১২৪. কুফুর ও পাপাচারের আধিপত্য যা আল্লাহর দাসত্বের পথে বাধা এবং আল্লাহর বিধানকে সমুন্নত করার প্রচেষ্টায় প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় তা ঈমানদারদের জন্য বড় বিপদ। কুরআনে এই বিপদকে কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ফিতনা।
১২৫. মুসলামনরা যেহেতু রাসূল সা. এর মাধ্যমে আল্লাহর এ নিয়ামত লাভ করেছিলো, তাই আল্লাহ নবী সা.কে সম্বোধন করে কি বলেছেন?
উত্তরঃ আমি তোমার জন্য আমার নিয়ামতকে পরিপূর্ণতা দান করতে চাচ্ছিলাম আর সে জন্যই তোমাকে এই বিজয় দান করেছি।
১২৬. মুসলমানরা স্বস্থানে সব রকম ভয়-ভীতি, বাধা-বিপত্তি এবং বাইরের সব রকম হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থেকে পুরোপুরি ইসলামী সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ইসলামী আইন-কানুন অনুসারে জীবন যাপনের স্বাধীনতা ভোগ করবে এবং পৃথিবীতে আল্লাহর বিধানকে উঁচু করে তুলে ধরার শক্তি লাভ করবে-এই অবস্থাটাকে কুরআনে কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ নিয়ামতের পূর্ণতা দান।
১২৭. আল্লাহ হুদায়বিয়াতে সন্ধিচুক্তি করিয়ে নবী সা.কে ইসলামের বিরুদ্ধে বাধাদানকারী শক্তিসমূহকে পরাভূত করা পথ সহজ করে দিয়েছেন এবং সে জন্য কৌশল শিখিয়ে দিয়েছেন। কুরআনের ভাষায় তা কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ وَيَنصُرَكَ اللَّهُ نَصْرًا عَزِيزًا
১২৮. نَصْرًا عَزِيزًا অর্থ অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে সাহায্য করা-এর আরেকটি অনুবাদ কি?
উত্তরঃ অভূতপূর্ব বা বিরল সাহায্য দান করা।
১২৯. عَزِيزًا অর্থ পরাক্রমশালী। আর কি কি অর্থ হতে পারে?
উত্তরঃ নজিরবিহীন, অতুলনীয় এবং বিরল।
১৩০. عَزِيزًا অর্থ যদি পরাক্রমশালী হয়, তাহলে نَصْرًا عَزِيزًا তাৎপর্য কি হবে?
উত্তরঃ এ সন্ধির মাধ্যমে আল্লাহ নবীকে যে সাহায্য করেছেন তার কারণে তার শত্রুরা অক্ষম হয়ে পড়বে।
১৩১. স্থিরতা, প্রশান্তি ও দৃঢ় চিত্ততাকে বুঝাতে আরবী ভাষায় কোন শব্দটি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ سَكينة
১৩২. عَزِيزًا অর্থ যদি অতলনয়ি বা বিরল হয়, তাহলে نَصْرًا عَزِيزًا তাৎপর্য কি হবে?
উত্তরঃ মানুষ বাহ্যত যে জিনিসটিকে শুধু একটি সন্ধিচূক্তি হিসেবে দেখছিল-তাও আর অবদমিত হয়ে মেনে নেয়া সন্ধি-তা ই একটি চূড়ান্ত বিজয়ে রূপান্তরিত হবে। কাউকে সাহায্য করার এমন অদ্ভূত পন্থা খুব কমই গ্রহণ করা হয়েছে।
১৩৩. অত্যাচারিতের মূর্ত ছবি হয়ে মুসলমানদের জনসমাবেশের সামনে এসে দাড়িয়েছিলেন এমন এক ব্যক্তি। তিনি কে?
উত্তরঃ আবু জানদাল।
১৩৪. গন্ধিচুক্তির যেসব শর্ত অত্যন্ত অপছন্দনীয় ছিল রাসূল সা. যখন তা মেনে নিয়ে চুক্তি সম্পাদন করতে যাচ্ছিলেন, তখন যদি সাহাবীগন নবী সা. এর নির্দেশ অমান্য করে বসতেন, তাহলে পরিণাম কি হতো?
উত্তরঃ হুদায়বিয়ার বিরাট বিজয় বিরাট পরাজয়ে রূপান্তরিত হতো।
১৩৫. রাসূলের নেতৃত্ব ও পথপ্রদর্শন সম্পর্কে, ইসলামের সভ্যতা সম্পর্কে এবং নিজেদের আদর্শিক কর্মতৎপরতার ন্যায় ও সত্য হওয়া সম্পর্কে মুসলমানদের মনে যে পূর্ণ আস্থা ও প্রশান্তি ছিল, তা কি?
উত্তরঃ তা আল্লাহ মেহেরবানী।
১৩৬. হুদায়বিয়ার সন্ধির অভিযান চলাকালে একের পর এক যত পরীক্ষা এসেছে তার প্রত্যেকটিতে মুসলমানরা কোন কোন নীতির উপর দৃঢ়পদ থেকেছে?
উত্তরঃ নিষ্ঠা, তাকওয়া ও আনুগত্যের নীতির উপর।
১৩৭. ঈমান কোন স্থির, জড় ও অপরিবর্তনীয় অবস্থার নাম নয়। তাহলে ঈমান কি?
উত্তরঃ ঈমানের হ্রাস বৃদ্ধি ও উঠানামা আছে।
১৩৮. ঈমানের হ্রাস বৃদ্ধি ও উঠানামা আছে। সূরা ফাতহের একটি আয়াত তার প্রমাণ। আয়াতটি অথবা তার অর্থ উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ ﴿هُوَ الَّذِي أَنزَلَ السَّكِينَةَ فِي قُلُوبِ الْمُؤْمِنِينَ لِيَزْدَادُوا إِيمَانًا مَّعَ إِيمَانِهِمْ ۗ وَلِلَّهِ جُنُودُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا﴾ “ তিনিই তো সে সত্তা যিনি মুমিনদের মনে প্রশান্তি নাযিল করেছেন, যাতে তারা নিজেদের ঈমান আরো বাড়িয়ে নেয়। আসমান ও যমীনের সমস্ত বাহিনী আল্লাহর কর্তৃত্বাধীন। তিনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।”
১৩৯. আল্লাহ ঈমানদারদের উপর দায়িত্ব অর্পন করেন, যাতে তারা কাফেরদের বিরুদ্ধে চেষ্টা-সাধনা ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত হয়ে আল্লাহর দ্বীনকে সমুন্নত করে। এই কাজের মাধ্যমে কি উপকার হয়?
উত্তরঃ তাদের মর্যাদা উন্নত এবং আখেরাতের সাফল্যের দ্বার উম্মুক্ত হয়।
১৪০. যেসব মুনাফিক নারী ও পুরষ এবং মুশরিক নারী ও পুরুষ আল্লাহ সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষন করে। আল্লাহ তাদের কি করবেন?
উত্তরঃ শাস্তি দেবেন।
১৪১. আসমান ও যমীনের সকল বাহিনী কার কর্তৃত্বাধীন?
উত্তরঃ আল্লাহর।
১৪২. সূরা আল ফাতহ এর ৮নং আয়াতে রাসূল সা. এর ৩টি গুণ বর্ণনা করা হয়েছে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. সাক্ষ্যদানকারী। ২. সুসংবাদদানকারী। ৩. সতর্ককারী।
১৪৩. শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলবী (شاهد) শব্দের কি অনুবাদ করেছেন?
উত্তরঃ (اظهار حق كننده) বা সত্য প্রকাশকারী।
১৪৪. শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলবী ছাড়া অন্যান্য অনুবাদকগন (شاهد) শব্দের কি অনুবাদ করছেন?
উত্তরঃ সাক্ষ্যদানকারী।
১৪৫. রাসূল সা. কে সাক্ষ্যদানকারী, সুসংবাদদানকারী এবং সতর্ককারী কেন করা হয়েছে?
উত্তরঃ যাতে মানুষ আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান আনে, তাঁকে সাহায্য করে, তাঁর প্রতি সম্মাণ ও মর্যাদ দেখায় এবং সকাল ও সন্ধায় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করে।
১৪৬. সকাল সন্ধায় পবিত্রতা বর্ণনা করার অর্থ কি?
উত্তরঃ সর্বক্ষণ পবিত্রতা বর্ণা করা।
১৪৭. যে প্রতিজ্ঞা ভংগ করবে, তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের পরিণাম কার উপরে বর্তাবে?
উত্তরঃ তার নিজের উপরে।
১৪৮. লোকেরা যে হাতে বাইয়াত করেছিলো, তা ব্যক্তি রাসূলের হাত ছিল না। তাহলে কি ছিল?
উত্তরঃ আল্লাহর প্রতিনিধির হাত।
১৪৯. যে আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি পালন করবে, আল্লাহ তাকে কি দান করবেন, কখন দান করবেন?
উত্তরঃ বড় পুরস্কার দান করবেন এবং অচিরেই দান করবেন।
১৫০. যারা নবীর হাতে বাইয়াত করছিলো, তারা প্রকৃত পক্ষে কার কাছে বাইয়াত করছিলো? তাদের হাতের উপর কার হাত ছিল?
উত্তরঃ আল্লাহর কাছে। তাদের হাতের উপর আল্লাহর হাত ছিল।
১৫১. যারা নবীর হাতে বাইয়াত করছিলো, তারা প্রকৃত পক্ষে কার কাছে বাইয়াত করছিলো? এই বাইয়াত বলতে কোন বাইয়াতের কথা বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ হযরত উসমান রা. এর শহীদ হয়ে যাওয়ার খবর শুনে রাসূল সা. সাহাবায়ে কিরাম থেকে যে বাইয়াত গ্রহণ করেন।
১৫২. পবিত্র মক্কা নগরীতে হযরত উসমান রা. এর শহীদ হয়ে যাওয়ার খবর শুনে রাসূল সা. সাহাবায়ে কিরাম থেকে যে বাইয়াত গ্রহণ করেন। তা কি ছিল?
উত্তরঃ বাইয়াত নেয়া হয়েছিল যে, আমরা যুদ্ধের ময়দান থেকে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবো না।
১৫৩. এমন এক বাইয়াত, যেখানে রাসূল নিজের একটি হাতকে অপর একজনের পক্ষ থেকে রেখে বাইয়াত নেন। কার পক্ষ থেকে রাসূল নিজের হাত রাখেন?
উত্তরঃ হযরত উসমানের।
১৫৪. হযরত উসমান রা. এর পক্ষ থেকে নবী সা. নিজের হাত রেখে বাইয়াত করার অনিবার্য অর্থ কি?
উত্তরঃ নবী সা. এর এই মর্মে আস্থা ছিল যে, তিনি যদি উপস্থিত থাকতেন, তাহলে অবশ্যই বাইয়াত করতেন।
0 Comments