প্রশ্নোত্তরঃ ইসলামী সংগঠন – এ কে এম নাজির আহমদ
1. সংগঠন শব্দের সাধারণ অর্থ কি?
উত্তরঃ সংঘবদ্ধকরণ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৫)
2. সংগঠন শব্দের বিশেষ অর্থ কি?
উত্তরঃ দলবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ জীবন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৫)
3. ইকামাতে দীনের কাজ আঞ্জাম দেয় যে সংগঠন, তাকে কোন ধরণের সংগঠন বলা হয়?
উত্তরঃ ইসলামী সংগঠন্।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৫)
4. কোথায় অন্তর্ভূক্ত হওয়া ইকামাতে দীনের সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফারয?
উত্তরঃ ইসলামী সংগঠনে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৫)
5. সংগঠন সম্পর্কে আল্লাহর নির্দেশ কি?
উত্তরঃ তোমরা সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহ রজ্জুকে (অর্থাৎ ইসলামকে) আঁকড়ে ধর।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৫)
6. হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী রাসূল ৫টি বিষয়ের নির্দেশ প্রদান করছেন, তা কি কি?
উত্তরঃ সংগঠন, নেতৃ নির্দেশ শ্রবণ, নেতৃ নির্দেশ পালন, আল্লাহর অপছন্দনীয় সবকিছু বর্জন, এবং আল্লাহর পথে জিহাদ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৬)
7. কে নিজের গর্দান থেকে ইসলামের রশি খুলে ফেলেছে?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি ইসলামী সংগঠন ত্যাগ করে এক বিঘৎ পরিমাণ দূরে সরে গেছে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৬)
8. যে ব্যক্তি জাহিলিয়াতের দিকে আহবান জানায়, তার পরিণাম কি?
উত্তরঃ সে জাহান্নামী।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৬)
9. সালাত কায়েম, সাওম পালন এবং মুসলিম বলে দাবী করা সত্ত্বেও সে জাহান্নামী-এমন ব্যক্তি কে?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি জাহিলিয়াতের দিকে আহবান জানায়।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৬)
10. কোন অবস্থায় একজনকে আমীর না বানিয়ে থাকা জায়েয নয়?
উত্তরঃ তিনজন লোক কোন নির্জন প্রান্তরে থাকলে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৬)
11. তিনজন লোক সফরে বের হলে রাসূল সা. এর নির্দেশ কি?
উত্তরঃ তারা যেন তাদের একজনকে আমীর বানিয়ে নেয়।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৬)
12. কোন ব্যক্তি যদি জান্নাতের আনন্দ উপভোগ করতে চায়, তাহলে তার করণীয় কি?
উত্তরঃ সে যেন সংগঠনকে আঁকড়ে ধরে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৬)
13. যেই ব্যক্তি জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, তার অবস্থা কি হবে?
উত্তরঃ তার মৃত্যু হবে জাহিলিয়াতের মৃত্যু।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৬)
14. সংগঠন সম্পর্কে উমার ইবনুল খাত্তাব রা. এর উক্তিটি কি?
উত্তরঃ সংগঠন ছাড়া ইসলাম নেই, নেতৃত্ব ছাড়া সংগঠন নেই, আনুগত্য ছাড়া নেতৃত্ব নেই।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৭)
15. কুরআনের আয়াত, হাদীস এবং হযরত উমর রা. এর উক্তি থেকে মোট ৬টি বিষয় প্রমাণিত হয়। তার যে কোন ২টি উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ ১. মুমিনদেরকে সংঘবদ্ধ জীবন যাপন করতে হবে। ২. এককভাবে জীবনযাপন করার অধিকার তাদের নেই। ৩. একজন জীবন যাপনকারী শাইতানের শিকারে পরিণত হয়। ৪. ইসলামী সংগঠন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া জাহিলিয়াতের প্রত্যাবর্তনের শামিল। ৫. সংঘবদ্ধভাবে জীবন যাপন জান্নাত প্রাপ্তির অন্যতম পূর্বশর্ত। ৬. সংগঠন না থাকলে ইসলাম সগৌরবে ঠিকে থাকতে পারে না।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৭)
16. আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমানের অনিবার্য দাবী কি?
উত্তরঃ সংঘবদ্ধ জীবন যাপন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৭)
17. সংগঠনের উপাদান কি কি?
উত্তরঃ নেতৃত্ব, কর্মী বাহিনী এবং সংগঠন পরিচালনা বিধি।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৮)
18. ইসলামী সংগঠনের উপাদান কি কি?
উত্তরঃ ইসলামী নেতৃত্ব, ইসলামী কর্মী বাহিনী এবং ইসলামী পরিচালনা বিধি।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৮)
19. ইসলামী নেতৃত্ব কি?
উত্তরঃ যেই নেতৃত্ব ইসলামের আলোকে আত্মগঠন করে শুধুমাত্র আল্লাহর দীনের প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মনিয়োগ ও কর্মী বাহিনী পরিচালনা করে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৮)
20.ইসলামী কর্মী বাহিনী কি?
উত্তরঃ যে বাহিনী দুনিয়াবী কোন স্বার্থে তাড়িত না হয়ে কেবল আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামী নেতৃত্বের অধীনে সময়, শক্তি ও অর্থের কুরবানী দিতে থাকে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৮)
21. নেতৃত্ব ও কর্মী বাহিনী যাতে নিজেদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও অধিকারের সীমারেখা সঠিকভাবে জেনে নিতে পারে, সেজন্য সংগঠনের কিছু পরিচালনা বিধি থাকে। আধুনিক পরিভাষায় এই সব বিধি-বিধানের নাম কি?
উত্তরঃ সংবিধান।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৮)
22. ইসলামী সংগঠনে মুল বিধি-বিধান কি?
উত্তরঃ আল কুরআন ও আস সুন্নাহ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৮)
23.সমাজের পরিবর্তন অনাকাংখিত ধারায় প্রবাহিত হওয়ার প্রধান কারণ কি?
উত্তরঃ সমাজ জীবনে ইসলামের অনুপস্থিতি।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৯)
24. সমাজ পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় নিজস্ব ভূমিকা পালনের জন্য কার আগমন?
উত্তরঃ ইসলামের আগমন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৯)
25.কে মানব সমাজকে পুরোপুরি পরিবর্তন করে একে নতুন ধাঁচে গড়ে তুলে মানব গোষ্ঠীর শান্তি ও স্বস্তির নিশ্চয়তা বিধান করতে চায়?
উত্তরঃ ইসলাম।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৯)
26. ইসলাম নিজে নিজে সমাজে কায়েম হয়ে যায় না। কোন ব্যক্তির একক প্রচেষ্টার মাধ্যমেও ইসলাম কায়েম হতে পারে না। এর জন্য কি প্রয়োজন?
উত্তরঃ একদল মানুষের সংগঠিত উদ্যোগ, সর্বাত্মক প্রচেষ্টা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-০৯)
27.মত পার্থক্যের চক্করে পড়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বিঘ্নিত হোক, এটা আল্লাহ চাননি। তাই আল্লাহ কি করলেন?
উত্তরঃ রাসুল পাঠিয়েছেন জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম পদ্ধতি শিক্ষা দেবার জন্য।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১০)
28.ইসলামী সংগঠনের চূড়ান্ত লক্ষ্য কি?
উত্তরঃ আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান রাসূল সা. প্রদর্শিত পন্থায় মানব সমাজে কায়েম করে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১১)
29. আল্লাহ সন্তোষ অর্জনের উপায় কি?
উত্তরঃ আল্লাহ যেই উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন, সেই উদ্দেশ্য সাধন করা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১১)
30.
মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ আল্লাহর আবদ হিসাবে আল।লাহর বিধান মুতাবিক আত্মগঠন, পরিবার গঠন, দল গঠন ও রাষ্ট্র গঠন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১১)
31. ইসলামী সংগঠনের কর্মীদের ব্যর্থতার কিছু নেই কেন?
উত্তরঃ কারণ, যারা ইখলাসের সাথে আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চালিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন এবং আখিরাতের মহা পুরস্কার তাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রাখেন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১১)
32.ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব কাঠামো সম্পর্কে আমরা সুস্পষ্ট ধারণা পাই কোন কোন উৎস থেকে?
উত্তরঃ আল্লাহর রাসূলের বাণী এবং আসহাবে রাসূলের অনুশীলন থেকে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১২)
33.
নাম উল্লেখ করে তাদের প্রত্যেকের তিন ধরণের পৃথক গুণ উল্লেখ করেন। কার কি কি গুণ উল্লেখ করেছিলেন?
উত্তরঃ ১. হযরত আবু বকর রা.-আমানতদার, দুনিয়ার প্রতি নির্মোহ এবং আখিরাতের প্রতি আকৃষ্ট। ২. হযরত উমর রা.-শক্তিধর, আমানতদান এবং আল্লাহর ব্যাপারে কোন নিন্দুকের পরোয়া না করা। ৩. হযরত আলী রা.-পথ প্রদর্শনকারী, পথ প্রাপ্ত ব্যক্তি এবং সঠিক পথে পরিচালক।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১২-১৩)
34.রাসূল সা. এর পর কাকে নেতা করা হবে এমন জিজ্ঞাসার জবাবে রাসূল সা. যা বর্ণনা করেন, তা থেকে আমরা দুটো মুলনীতি পাই। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. মুসলিমদের আমীর একজনই হবেন, একাধিক ব্যক্তি নন। ২. মুসলিমগন তাদের মধ্য থেকে একজনকে আমীর নির্বাচিত করবেন তাদের স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৩)
35.
নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে ব্যক্তির কোন গুণটি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হতে হয়?
উত্তরঃ তাকওয়া।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৪)
36.এই ব্যক্তির অন্তরে খুশু থাকলে তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ওপরও খুশু পরিলক্ষিত হতো।” নিজ দাড়ি নিয়ে খেলছে নামায রত একজন ব্যক্তির ব্যাপারে রাসূল সা. এর এই উক্তিটি কিসের দলীল হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে?
উত্তরঃ তাকওয়ার।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৪)
37.
নেতৃত্বের বুনিয়াদী ১০টি গুণ কি কি?
উত্তরঃ ১. জ্ঞানের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব। ২. উন্নত আমল। ৩. নম্র ব্যবহার। ৪. সাহসিকতা। ৫. সময়ানুবর্তিতা। ৬. সাংগঠনিক প্রজ্ঞা। ৭. প্রেরণা সৃষ্টির যোগ্যতা। ৮. সুভাষণ। ৯. নথিপত্র সংরক্ষণের পারদর্শিতা। ১০. হিসাব সংরক্ষেণের পারদর্শিতা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৫-১৮)
38.
নেতাকে যেহেতু মানুষ চালাতে হয়, সে জন্য তার কোন ধরণের যোগ্যতা থাকা চাই?
উত্তরঃ মানব মনকে বুঝার যোগ্যতা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৫)
39.ইসলামী সংগঠনের নেতার জন্য কোন বিষয়টি বড় রকমের অযোগ্যতা। যার কারণে কর্মীগন সাংগঠনিক শৃংখলার খাতিরে নেতার আনুগত্য করলেও তাদের অন্তরে তীব্র বেদনা থাকে।
উত্তরঃ রূঢ় আচরণ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৬)
40.যেই ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে দুনিয়ার সবকিছু তাকে ভয় করে। কিন্তু যেই ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ভয় পোষণ করে না দুনিয়ার সবকিছু তাকে ভয় দেখায়।” রাসূল সা. এর এই হাদীস ইসলামী সংগঠনের নেতার কোন গুণের পক্ষে দলীল?
উত্তরঃ সাহসিকতা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৬)
41. সংগঠন গড়ে তোলা, কর্মী পরিচালনা, সংগঠনের সংহতি সংরক্ষণ, ময়দান বিশ্লেষণ করা, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, জনশক্তিকে কর্মমুখুর রাখা, কর্মীদের মানোন্নায়নের জন্য বিভিন্ন কর্মপন্থা উদ্ভাবন এবং সংগঠনের কর্মীদেরকে গ্যাপ অব ইনফরমেশন থেকে বাঁচিয়ে রাখা-এই সকল যোগ্যতাকে এক কথায় কি বলা হয়?
উত্তরঃ সাংগঠনিক প্রজ্ঞা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৭)
42. যেই নেতা কর্মীদের ওপর বটগাছের মতো শীতল ছায়া বিস্তার করতে পারেন না, তিনি নাৎসী পার্টির নেতা হতে পারেন, কিন্তু কিসের নেতা হওয়া তাঁর সাজে না।
উত্তরঃ ইসলামী সংগঠনের।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৭)
43.উত্তম ভাষণের অন্যতম বৈশিষ্ট কি?
উত্তরঃ কম কথায় বেশী ভাব প্রকাশ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৮)
44. “বুয়িসতু বিজাওয়ামিইল কালিম” এর অর্থ কি?
উত্তরঃ আমাকে ব্যাপক অর্থবোধক সংক্ষিপ্ত ভাষণের যোগ্যতাসহ প্রেরণ করা হয়েছে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৮)
45.সৌর জগতের গ্রহগুলো যেমন সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে, তেমনি ভাবে কি ঘুরতে থাকে?
উত্তরঃ ইসলামী দলের কর্মীবাহিনী নেতাকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৯)
46. ইসলামী দলের অন্যতম প্রধান টার্গেট কি?
উত্তরঃ তাযকিয়া।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-১৯)
47.তাযকিয়াকে গুরুত্ব দিয়ে আল্লাহর রাসূল সা. কি দোয়া করতেন?
উত্তরঃ “হে আল্লাহ, আমার সত্তাকে তাকওয়া দান করুন এবং একে পবিত্র করুন।”
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২০)
48.হযরত উমর রা. কার ছুরির আঘাতে আহত হোন?
উত্তরঃ আবু লুলু ফিরোজ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২১)
49. “তোমার পোশাক ওপরে ওঠাও। এতে তোমার কাপড় পরিচ্ছন্ন থাকবে আর তোমার রবের কাছে এটা অধিকতর পছন্দনীয়” এই উক্তিটি কার?
উত্তরঃ হযরত উমর রা. এর।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২১)
50.
উখুয়াত শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ ভ্রাতৃত্ব।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২১)
51. মুমিনদের পারস্পরিক গভীল সম্পর্ককে আল্লাহ কি নামে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তরঃ উখুয়াত।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২১)
52.উখুয়াত সম্পর্কে সূরা হুজুরাতে কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ “নিশ্চয়ই মুমিনগন পরস্পর ভাই ভাই।”
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২১)
53.
মুহাজিরদের আকাশের নিচে রেখে নিজেরা ঘরে ঘুমাতেন না, মুহাজিরদের অভূক্ত রেখে নিজেরা খেতেন না-তারা কারা?
উত্তরঃ আনসারগন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২২)
54.গলিত সিসা দ্বারা গড়া প্রাচীরের মতো মজবুত প্রাচীরকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ বুনিয়ানুম মারসুস।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২২)
55.
সাংগঠনিক শক্তির নির্যাস কি?
উত্তরঃ উখুয়াত।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২২)
56.হাদীসের বর্ণনা অনযায়ী, মুমিনদের পারস্পরিক সম্পর্ক কিসের মতো? যার একটি অংশ অপর অংশকে মজবুত করে।
উত্তরঃ একটি প্রাচীরের মতো।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২২)
57.
পারস্পরিক ভালবাস, দয়া অনুগ্রহ এবং মায়া মমতার দৃষ্টিকোণ থেকে মুমিনগণ কিসের সমতুল্য?
উত্তরঃ একটি দেহের সমতুল্য।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২৩)
58.
নেতার অন্তরের উষ্ঞতা যখন ছড়িয়ে পড়ে দল বা রাষ্ট্রের সকল স্তরে তখই কি গড়ে উঠে?
উত্তরঃ উখুয়াত।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২৩)
59.মানুষের জন্য দুনিয়ায় ঠিক কতটুকু পাথেয় যথেষ্ট?
উত্তরঃ একজন মুসাফিরের জন্য যেই পরিমাণ পাথেয় দরকার।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২৩)
60.রাসূল সা. এর কাপ কেন কখনো পাট করে রাখা হতো না?
উত্তরঃ কারণ, তার অতিরিক্ত কাপড় ছিল না।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২৩)
61. সাদাসিধে জীবন যাপনের উৎসাহ দিতে গিয়ে রাসুল সা. কি বলেছেন?
উত্তরঃ “আডম্বরহীনতা ঈমানের অঙ্গ।”
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২৪)
62. নেতার জন্য ইনসাফের দাবী পাঁচটি কি কি?
উত্তরঃ ১. কর্মীদেরকে সমান চোঁখে দেখবেন। ২. প্রত্যেকের প্রতি সমান মনোযোগ দেবেন। ৩. প্রত্যেকের আপনজনে পরিণত হবেন। ৪. প্রত্যেককেই তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ দেবেন। ৫. কাজ আদায় করে নেবেন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২৫)
63.সূরা আল বাকারাঃ ১৫৫, সূরা আল আনকাবুতঃ ২৩ আর সুরা আলে ইমরানঃ ১৪২ আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ যেই কথাটি মুমিনদের মনে বদ্ধমূল করে দিতে চান, তা কি?
উত্তরঃ জান্নাত প্রাপ্তি সহজ ব্যাপার নয়। আত্ম প্রতিষ্ঠার রঙ্গীন স্বপ্ন বাদ দিয়ে পরিপূর্ণ আত্মত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেবলমাত্র আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েই মুমিনগণ জান্নাত প্রাপ্তির আশা করতে পারে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২৭)
64. আজকের যুগে ইসলামী পুনর্জাগরণের পথে অন্যতম প্রধান বাধা কি?
উত্তরঃ বৈরাগ্যবাদ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২৮)
65.ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিয়োজিত ব্যক্তিদের অন্যতম বিশেষ গুণ কি?
উত্তরঃ ছরব।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২৮)
66. আল্লাহর অনুমোদন ছাড়া কোন ব্যক্তির জীবনে কোন মুসিবাত আসতে পারে না। সূরা আল হাদীদে এ সম্পর্কে কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ “দুনিয়ায় এবং তোমাদের ব্যক্তিসত্তায় এমন কোন মুসিবাত ঘটতে পারে না, যা ঘটার আগেই আমি একটি কিতাবে লিপিবদ্ধ করে রাখিনি। এমনটি করা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ।”
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-২৮)
67.মুমিনদের দৃষ্টি সঠিক দিকে নিবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে আল্লাহ সূরা আলে ইমরানে কি বলেছেন?
উত্তরঃ “দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের রবের মাগফিরাতের দিকে এবং জান্নাতের দিকে যার ব্যাপ্তি সমগ্র আসমান ও পৃথিবীর সমান। মুত্তাকীদের জন্যই তা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।”
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩০)
68.জিহাদ করে শহীদ হওয়ার মতো বড়ো রকমের কুরবানীও আল্লাহর নিকট গৃহীত হয় না কখন?
উত্তরঃ যদি তা বিশুদ্ধ নিয়াত সহকারে না করা হয়।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩১)
69. ইসলামী
দল, সমাজ বা রাষ্ট্রের নেতার দায়িত্ব দ্বিমুখী। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. দায়ী থাকতে হয় নির্বাচক মন্ডলীর কাছে। ২.
দায়ী থাকতে হয় আল্লাহর কাছে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩৩)
70.
ইসলামী দল, সমাজ বা রাষ্ট্রের নেতার
জবাবদিহিতা সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সাবধান করে কি বলেছেন?
উত্তরঃ “তোমরা
প্রত্যেকেই তত্ত্বাবধায়ক এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার তত্ত্বাবধান-দায়িত্ব সম্পর্কে
জওয়াবদিহি করতে হবে। নেতা একজন তত্ত্বাবধায়ক এবং এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।”
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩৩)
71. নেতা
যখন কর্মীদের থেকে অধিকার পুরোপুরি আদায় করে নিবে। কিন্তু কর্মীদের অধিকার দেবনা, তখন কর্মীদের করণীয় কি?
রাসূল সা. এ ব্যাপারে কি বলেছেন?
উত্তরঃ “তোমরা
শ্রবণ করবে এবং আনুগত্য করে যাবে। কারণ তাদের বোঝা তাদের ওপর। তোমাদের বোঝা
তোমাদের উপর।”
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩৫)
72.আনুগত্যের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধিকারী কে কে?
উত্তরঃ প্রথমঃ আল্লাহ। দ্বিতীয়ঃ আল্লাহর রাসূল। তৃতীয়ঃ
সংগঠনের আমীর।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩৫)
73.
কোন বিষয়ে নির্দেশ জানার পর বিনা বাক্য ব্যয়ে
তা পালন করা মুমিনের কর্তব্য। এই নির্দেশ কার পক্ষ থেকে?
উত্তরঃ আল্লাহ ও রাসূলের নির্দেশ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩৫)
74.যেই সংগঠনে আনুগত্য নেই, সেই সংগঠনে কি নেই?
উত্তরঃ শৃংখলা নেই।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩৬)
75.
সংগঠনের শৃংখলার উপাদান কি?
উত্তরঃ আনুগত্য।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩৬)
76.একটি সংগঠন কখণ কোন বলিষ্ঠ
ভূমিকা পালন করতে পারে?
উত্তরঃ যখন এর কর্মীবাহিনী নেতার নির্দেশকে সেভাবে
পালন করে যেভাবে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা তাদের কামান্ডারের নির্দেশ পালন করে থাকে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩৬)
77.
যদি কোন ব্যক্তির কথা ও আচরণ থেকে প্রমাণিত হয়
যে নেতৃত্ব পদের প্রতি তার লোভ রয়েছে, তাহলে কি বুঝতে হবে?
উত্তরঃ বুঝতে হবে যে, সেই
ব্যক্তি ব্যাধিগ্রস্ত।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩৭)
78.
কোন ধরণের লোক ইসলামী সংগঠনে নেতৃত্ব পদ লাভের
জন্য প্রার্থী হতে পারে?
উত্তরঃ একমাত্র আত্মপূজারী বা স্বার্থান্ধ ব্যক্তি।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৩৭)
79.আল্লাহ রাব্বুল আলামীন
সামষ্টিক কাজ কর্মে আসহাবে কিরামের সাথে পরামর্শ করার জন্য রাসুলুল্লাহ সা.কে
নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশটি কুরআনের ভাষায় কি?
উত্তরঃ “কাজ
কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ কর। কোন বিষয়ে তোমরা মত সুদৃঢ় হয়ে গেলে আল্লাহর উপর ভরসা
কর।”
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪০)
80.
মানুষের মুখ বন্ধ করে তাদের হাত-পা বেঁধে
তাদেরকে অন্ধকারে রেখে সামষ্টিক ব্যাপারসমূহ পরিচালনা করা কি?
উত্তরঃ বড় রকমের যুলম।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪১)
81. মুসলিমদের
ব্যাপার সমূহ নিষ্পন্ন করার ক্ষেত্রে মাজলিসে শূরা নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী নয়।
কখন তারা নতুন ফায়সালা নিতে পারে না?
উত্তরঃ যে সব বিষয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা. চূড়ান্ত
ফায়সালা দিয়েছেন, সে সব বিষয়ে মাজলিসে শূরা স্বাধীন ভাবে কোন
নতুন ফায়সালা গ্রহণের উদ্যোগ নিতে পারে না।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪১)
82.সংগঠনের কোন সিদ্ধান্তের
সাথে ভিন্নমত পোষণকারীগণ কি করতে পারবেন?
উত্তরঃ আমীরের মাধ্যমে পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত
পূণর্বিবেচনা করার জন্য মজলিসে শূরাকে অনুরোধ জানাতে পারেন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪২)
83.
কোন একটি বিষয়ে যদি সংগঠনের মজলিসে শূরার
অধিকাংশ সদস্য একমত হোন। কিন্তু এই মতের সাথে সংগঠনের আমীর যদি একমত না হোন। তাহলে
করণীয় কি?
উত্তরঃ সিদ্ধান্ত মুলতবী রেখে আমীর বিষয়টি সদস্য
মন্ডলীর নিকট পেশ করবেন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৩)
84.মুমিনগন যাতে একে অপরের
ভূলভ্রান্তি দেখিয়ে দেয় তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে আল্লাহ রাসূল সা. কি বলেছেন?
উত্তরঃ মুমিন মুমিনের আয়না।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৪)
85.
সাধারণতঃ অবচেনভাবেই মানুষ ভূল করে। কেউ যদি এই
ব্যাপারে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তবেই সে সচেতন হয়ে তার জীবন থেকে ভূল-ভ্রান্তি দূর
করা পদক্ষেপ নিতে পারে। একে অপরের ভূল ভ্রান্তি দেখিয়ে দেয়ার এই প্রক্রিয়ার নাম কি?
উত্তরঃ ইহতিসাব।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৪)
86.কোন বিষয় মাথা পেতে নেয়া
বাহাদুরীর কাজ?
উত্তরঃ ইহতিসাব।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৫)
87.
ইসলামী সংগঠনের কর্মীগণ কাপুরুষতার শিকারে
পরিণত হবেন, এটা কাম্য নয়। তাই কি করণীয়?
উত্তরঃ ইহতিসাবের জন্য মানসিক প্রস্তুত থাকা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৫)
88.
কর্মী পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিচালককে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয়। প্রধানতঃ কয়টি কাজ করতে হয়? প্রথমটি কি?
উত্তরঃ ২৮টি। আদর্শের আলোকে মন মানসিকতা গঠন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৬-৫৭)
89.আদর্শের আলোকে মন মানসিকতা
গঠনের লক্ষ্যে কি কি বিষয় কর্মীর চিন্তাধারায় সঠিকভাবে রোপন করতে হবে?
উত্তরঃ স্রষ্টা,
বিশ্বজাহান, পৃথিবীতে
মানুষের কর্তব্য, অপরাপর মানুষের সাথে তার সম্পর্ক এবং জীবনের
পরিণতি সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিকোন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৬)
90.ইসলামের বুনিয়াদী নির্দেশগুলো
কি কি?
উত্তরঃ ফারয,
ওয়াজিব
ও সুন্নাতে মুয়াক্কাদার অনুশীলন, হালাল জীবিকা উপার্জন এবং
জীবনের সর্বক্ষেত্রে হারাম বর্জন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৬)
91. আল
কুরআনের সর্বত্রত আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কি রয়েছে?
উত্তরঃ পরিচয়,
মহাজ্ঞান
ও মহাশক্তি।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৭)
92. জামায়াতে
সালাত আদায় করা কি? একাকী সালাত আদায়কারীর চেয়ে জামায়াতে সালাত আদায়কারী মর্যাদা কতগুণ বেশী।
উত্তরঃ সুন্নাতে মুআক্কাদা। ২৭ গুণ বেশী।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৭)
93.যে কাজ বাদ দিয়ে অন্যান্য
যাবতীয় নেককাজ করলেও নবীরই রিসালাতের দায়িত্ব পালন হয় না বলে আল্লাহ ঘোষণা করেছে, সেই কাজ কি?
উত্তরঃ আদদাওয়াতু ইলাল্লাহ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৮)
94. আল্লাহ
দীন প্রতিষ্ঠান আন্দোলন প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফারয। আর দীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের
অন্যতম প্রধান কাজ কি?
উত্তরঃ দাওয়াত সঠিক ভাবে মানুষের নিকট পেশ করা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৪৮)
95.একজন কর্মী কতক্ষণ পর্যন্ত
অন্যদেরকে বেশী বেশী দান করার কথা বলতে পারেনা?
উত্তরঃ নিজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ দান না করে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৫০)
96. মানুষের
আয়ু বলতে কোন সময়কে বুঝায়?
উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট মুহূর্ত থেকে আর একটি নির্দেষ্ট
মুহূর্ত পর্যন্ত নির্ধারিত সময়।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৫০)
97.সময় বাঁচানোর একমাত্র উপায়
কি?
উত্তরঃ সময়ানুবর্তিতা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৫১)
98.মনের পরিচ্ছনতা অর্জনের জন্য
কর্মীর মন থেকে যেসব প্রবণতা উপড়ে ফেলতে হবে তা কি কি?
উত্তরঃ হিংসা বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা, সন্দেহপ্রবণতা, পরনিন্দা
প্রবণতা, দোষ অন্বেষণ প্রবণতা, অপছন্দনীয়
কিছু দেখলেই খুঁত খুঁত করার প্রবণতা,
তিলকে
তাল করার প্রবণতা এবং কোন কথা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট অথবা যথার্থ ফোরামে না বরে
এখানে ওখানে বলে বেড়ানোর প্রবণতা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৫১)
99. ব্যক্তির
প্রতি ইহসাব করা হয় কিভাবে?
উত্তরঃ কারো কোন ভুল ভ্রান্তি স্বাভাবিকভাবে চোখে পড়লে
তা এখানে ওখানে চর্চা না করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দেখিয়ে দেয়া।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৫১)
100. ব্যক্তির
অজ্ঞাতে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট তার ভূল-ভ্রান্তি চর্চা করা কি?
উত্তরঃ বড় রকমের যুলম।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৫১)
101.
কর্মীর মনের অপরিচ্ছন্নতা দূর করার জন্য
পরিচালকের দায়িত্ব কি?
উত্তরঃ আল কুরআন এবং আল হাদীসের শিক্ষার সাথে তাকে
পরিচিত করে তোলা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৫১)
102. কোন
কারণে গৃহীত পরিকল্পনার প্রতি কর্মীর সঠিক দৃষ্টিভংগী গড়ে ওঠে না?
উত্তরঃ পরিকল্পনার তাৎপর্য উপলব্দি করতে না পারার
কারণে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৫২)
103. যে
কর্মীর উপর কোন বিভাগের কাজ অর্পন করা হয় না, তার মূল কাজ কি?
উত্তরঃ দাওয়াতী কাজ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৫২)
104. কর্মী
অত্যন্ত সাধারণ ব্যক্তি হয়েও তার ব্যক্তিত্ব অন্যদের ওপর প্রভাব রাখতে সক্ষম হয়
কখন?
উত্তরঃ যদি কর্মীর মাঝে আদর্শের সঠিক প্রতিফলন ঘটে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৫৪)
105. ইসলামী
সংগঠনের পবিত্র অঙ্গনে বিচরণ করার উপযুক্ত ব্যক্তি কারা?
উত্তরঃ যারা নির্ভেজাল ঈমানের অধিকারী এবং আল্লাহর
সন্তোষ অর্জনকে কেন্দ্র করেই যাদের জীবনের সামগ্রিক তৎপরতা পরিচালিত।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৫৮)
106. ইসলামী
সংগঠনে বাইতুল মালের আয়ের প্রধান উৎস কি?
উত্তরঃ কর্মীদের ইনফাক ফী সাবীলিল্লাহ বা আল্লাহর পথে
অর্থদান।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬০)
107. আত্মগঠনের
অনেক গুলো প্রক্রিয়া থেকে প্রথম ৩টি কি কি?
উত্তরঃ ১. আল্লাহর দিকে আহবান। ২. একাগ্রতা সহকারে
সালাত আদায়। ৩. আল কুরআন অধ্যয়ন। ৪. আ হাদীস অধ্যয়ন। ৫. সহায়ক সাহিত্য অধ্যয়ন। ৬.
রাত্রি জাগরণ। ৭. আল্লাহর পথে অর্থ দান। ৮. সকল কাজে আল্লাহর স্মরণ। ৯. রাসূলের
প্রতি দরূদ পড়া। ১০. আত্ম-সমালোচনা। ১১. সাওম পালন। ১২. মৌলিক মানবীয় গুণ অর্জন।
১৩. পাস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্টকারী কাজ বর্জন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৩-৭০)
108. দেহ
ও মন নিয়ে সার্বভৌম সত্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি আনুগত্য জ্ঞাপনের এক
অপূর্ব মহড়া কি?
উত্তরঃ নামায বা সালাত।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৩)
109. আল
কুরআনে কোন কোন বিষয়ে সুস্পষ্ট ও নির্ভূল জ্ঞান পরিবেশিত হয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহ,
বিশ্বজাহান, পৃথিবীর
জীবনে মানুষের কর্তব্য, ব্যক্তি ও সমষ্টির সর্ববিধ সমস্যা সমাধানের
মূলনীতি, মানব জীবনের পরিণতি ইত্যাদি।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৩-৬৪)
110.
আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধানের সর্বোচ্চ জ্ঞান
হাসিল করেছিলেন কে?
উত্তরঃ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা.
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৪)
111.
আল্লাহর সাথে গভীল সম্পর্ক স্থাপনের একটি উত্তম
উপায় কি?
উত্তরঃ রাত্রি জাগরণ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৪)
112.
আল্লাহ দুনিয়ার প্রত্যেক মানুষকে সরাসরি সমান
পরিমাণ সম্পদ দান করেন না। কারো বেশী, কারো কম। এই দুই ধরণের লোকের মধ্যে বিদ্যমান
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার দায়িত্ব কার?
উত্তরঃ সরকারের।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৫)
113.
কোন জিনিস মানুষকে পাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে?
উত্তরঃ
আল্লাহর স্মরণ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৬)
114.
কিভাবে দোয়া পড়লে অন্তর আল্লাহ মুখী হয়?
উত্তরঃ
অর্থ বুঝে এবং
অর্থের দিকে লক্ষ্য রেখে দোয়া পড়লে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৬)
115.
যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসূলের প্রতি একবার দরূদ
পড়ে, আল্লাহ সেই ব্যক্তির জন্য কয়টি পূণ্য লিখেন?
উত্তরঃ
১০টি।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৬)
116.
পরিশ্রমপ্রিয়তা, কষ্টসহিষ্ঞুতা, সংযম, বিপদে
দৃঢ়তা, সময়ানুবর্তিতা, নিয়মানুবর্তিতা, সাহসিকতা, বিশ্লেষণ শক্তি, উদ্ভাবন শক্তি,
তড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা, সংগঠন গড়ে তোলার যোগ্যতা, সংগঠন পরিচালনার
যোগ্যতা, হৃদয়ের প্রশস্ততা, নম্র ব্যবহার, উত্তম লিখন ও ভাষণ ইত্যাদি কোন ধরণের
গুনাবলী?
উত্তরঃ
মৌলিক মানবীয়
গুণাবলী।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৭)
117.
পাস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্টকারী ৬টি কাজ কি কি?
উত্তরঃ
১. অশালীন ও
অশোভন কথাবার্তা। ২. গীবত। ৩. আন্দাজ-অনুমান। ৪. হিংসা। ৫. রাগ। ৬. অহংকার।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৭)
118.
জিহবা সংযত করার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে আল্লাহর
রাসূল সা. কি বলেছেন?
উত্তরঃ
যেই ব্যক্তি
তার জিহবা ও লজ্জাস্থানের হিফাজতের যামিন হবে আমি তার জান্নাতের যামিন হবো।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৮)
119.
কারো পশ্চাতে তার দোষত্রুটি চর্চা করার নাম কি?
উত্তরঃ
গীবত।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৮)
120. গীবত
যে কতোবড়ো পাপ তা বুঝাতে গিয়ে আল্লাহ রাসূল সা. কি বলেছেন?
উত্তরঃ
গীবাত যিনার
চেয়েও জঘন্যতর।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৮)
121.
হিংসা কোন ধরণের রোগ?
উত্তরঃ
মনস্তাত্ত্বিক
রোগ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৯)
122.
মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে যে তারা রাগ দমন
করে। এই সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সা. কি বলেছেন?
উত্তরঃ
বলবান সে নয়
যে কুস্তিতে অন্যকে পরাজিত করে বরং বলবান সে যে রাগের সময় নিজকে নিয়ন্ত্রণ করে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৯)
123. অহংকারী
ব্যক্তি ব্যক্তি সংগঠন ও সমাজ জীবনে কিসের জন্ম দেয়?
উত্তরঃ
ফিতনা-ফাসাদের
জন্ম দেয়।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৬৯)
124.
অহংকারী সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সা. কি বলেছেন?
উত্তরঃ যার অন্তরে সামান্য পরিমাণও অহংকার আছে সে জান্নাতে
প্রবেশ করতে পারবে না।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৭০)
125. কর্মী
গঠনের জন্য করণীয় কাজ সমূহ কি কি?
উত্তরঃ
১. সাহচর্য দান। ২. সাংগঠনিক পরিবেশে আনয়ন। ৩. ছোট
খাট দায়িত্ব অর্পণ। ৪. অর্থ দানে উদ্বুদ্ধকরণ। ৫. প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রদান। ৬.
আহবান জ্ঞাপনের দায়িত্ব অর্পণ। ৭. কাজের রিপোর্ট গ্রহণ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৭১)
126.
মানুষ একজন সামাজিক জীবন। তার মন উম্মুক্ত করার
জন্য, মনের ভার লাঘব করার জন্য এবং ভাব-বিনিময় করার জন্য তার আশে পাশের লোক গুলো
তার প্রয়োজন। যাদের কথাবার্তা, ধ্যান-ধারণা ও আচরণ দ্বারা সে প্রভাবিত। এই সব
লোকের বেষ্টনী থেকে তাকে মুক্ত করতে হলে কি করণীয়?
উত্তরঃ
তাকে সাহচর্য দান করতে হবে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৭১)
127. সাহচর্য
দান করতে করণীয় কাজ দুইটি কি কি?
উত্তরঃ
১. অন্তর্দ্বন্দ্ব নিরসন। ২. মানসকি দৃঢ়তা অর্জনে
সহযোগিতা দান।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৭১)
128. অন্তর্দ্বন্দ্ব
নিরসনের জন্য তিনটি কাজ করতে হয়। তা কি কি?
উত্তরঃ ১.
নিয়মিত যোগাযোগ। ২. ইসলামের শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাগুলি স্পষ্ট করে তুলে ধরা। ৩.
লাভ-ক্ষতির সঠিক তাৎপর্য বুঝানো।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৭২)
129.
অত্যন্ত ফলপ্রসু কয়েকটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম কি
কি?
উত্তরঃ ১.
সাপ্তাহিক সভা। ২. সংক্ষিপ্ত শিক্ষা শিবির। ৩. পাঠচক্র। ৪. দীর্ঘ শিক্ষা শিবির। ৫.
বক্তৃতা অনুশীলন চক্র। ৬. ব্যক্তিগত আলাপ, জিজ্ঞাসা এবং পরামর্শ দান।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৭৫)
130. সাপ্তাহিক
সভায় নিয়মিত যোগদানের মাধ্যমে কর্মীদের মাঝে কোন কোন অভ্যাস গড়ে উঠে?
উত্তরঃ সময়ানুবর্তিতা
এবং সাংগঠনিক আনুগত্যের অভ্যাস।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৭৫)
131.
আদর্শিক জ্ঞান বৃদ্দি, আন্দোলন ও সংগঠনিক
সম্পর্কে ধারণা দান, সাংগঠনিক পারদর্শিতা সৃষ্টি, সমাজ-সচেতনতা সৃষ্টি এবং ইসলামী
আন্দোলনের কর্ম-কৌশল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দানের জন্য কোন প্রোগ্রাম অনন্য
ভূমিকা পালন করে?
উত্তরঃ পাঠচক্র।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৭৬)
132. সমমানের
অনুর্ধ ১০জন নিয়ে এবং শুরুতেই একটি পূর্ণাঙ্গ কোর্স তৈরী করে, কমপক্ষে ১০টি সেসন
বা অধিবেশনের মাধ্যমে যে প্রোগ্রামটি করা হয়, তা কি?
উত্তরঃ পাঠচক্র।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৭৬)
133. ইসলামী
জীবনাদর্শ, ইসলাম বিরোধী মতবাদ, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী সংগঠন, ইসলামী আন্দোলনের
কর্মকৌশল, কর্মীদের কাংখিত মান ইত্যাদি সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞান ও স্পষ্টতর ধারণা
দানের উদ্দেশ্যে বেশী সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে তিন, পাঁচ বা সাত দিনের দীর্ঘ যে
প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়, তার নাম কি?
উত্তরঃ দীর্ঘ
শিক্ষা শিবির।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৭৬)
134. রিদওয়ানুল্লাহ
মানে কি?
উত্তরঃ আল্লাহর
সন্তোষ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৭৯)
135. কোন
ধরণের কাজ ইসলামী আন্দোলনের কর্মপদ্ধতি নয়?
উত্তরঃ জোর
করে মানুষের ঘাড়ে সওয়ার হওয়া।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮০)
136. ইসলামী
আন্দোলনের মৌলিক কাজ কি?
উত্তরঃ রমানুষের
চিন্তাধারা থেকে জাহিলী ধ্যান ধারণাগুলোর মূলোৎপাটন করে সেখানে ইসলামী ধ্যান ধারণা
রোপণ করা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮০)
137. ইসলামদ্রোহীদের
ওপর বিপদ মুসিবাত আসে আযাবরূপে। মুমিনের উপর বিপদ মুসিবাত আসে কি রূপে?
উত্তরঃ পরীক্ষারূপে।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮১)
138. আল্লাহর
পক্ষ থেকে ইসলামী সংগঠনের উপর যখন কোন বিপদ মুসিবাত আসে, তখন কর্মীর কর্তব্য কি?
উত্তরঃ বিপদ
মুসিবাতকে আযাব মনে না করে পরীক্ষা মনে করা।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮১)
139. মানসিক
ভারসাম্যহীনার প্রধান লক্ষণগুলো কি কি?
উত্তরঃ ১.
ত্বরা প্রবণতা। ২. অতি আশা। ৩. চরমপন্থার প্রতি ঝোঁক। ৪. অহংকার। ৫. অভিমান।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮২)
140. কি
কারণে ইসলামী সংগঠনের কর্মীদের নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য হয় স্বতঃস্ফূর্ত ও অখন্ড?
উত্তরঃ কর্মীদের
গভীর ভালবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮৪)
141.
ইসলামী সংগঠনের ক্রমবিকাশের চিত্র সম্পর্কে
কুরআনের কোন আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে। আয়াতটি তরজমা কি?
উত্তরঃ সূরা
আল ফাতহঃ ২৯ আয়াত। “এ এমন এক কৃষি বা অঙ্কুর বরে করলো, অতঃপর শক্তি সঞ্চয় করলো,
অতঃপর মোট-তাজা হলো এবং অবশেষে নিজ কান্ডের ওপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে গেলো।”
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮৭)
142.
ইসলামী সংগঠনের ক্রমবিকাশের চারটি পর্যায় কি
কি?
উত্তরঃ ১.
অঙ্কুর বের করা। ২. শক্তি অর্জন করা। ৩. মোটা-তাজা হওয়া। ৪. কান্ডের উপর দৃঢ়ভাবে
দাঁড়িয়ে যাওয়া।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮৭)
143. ‘অঙ্কুর
বের করা’ অর্থ কি?
উত্তরঃ আল্লাহর
দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের সূচনাকরণ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮৭)
144.
‘শক্তি অর্জন রা’ অর্থ কি?
উত্তরঃ আহবানে
সাড়া দানকারী ব্যক্তিদেরকে সংঘব্ধ ও সংশোধিত করে সাংগঠনিক শক্তি অর্জন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮৮)
145. মোটা-তাজা
হওয়া অর্থ কি?
উত্তরঃ কর্ম
এলাকার সর্বত্র প্রভাব সৃষ্টি ও গণ মানুষের সমর্থন লাভ।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮৮)
146.
গণ-মানুষের সমর্থন লাভের আরেক নাম কি?
উত্তরঃ গণ-ভিত্তি
অর্জন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮৮)
147. “কান্ডের
উপর দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যাওয়া” অর্থ কি?
উত্তরঃ রাষ্ট্রয়ি
ক্ষমতা অর্জন।
(ইসলামী সংগঠনঃ পৃষ্ঠা-৮৮)
0 Comments