প্রশ্নোত্তর – তাফহীমুল কুরআন – সূরা হূদ

প্রশ্নোত্তর: তাফহীমুল কুরআন-সূরা হুদ 

1.   সূরার আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে যদি চিন্তা-ভাবনা করা হয়, তাহলে এ উপলব্ধি হবে যে সূরাটি সূরা ইউনূসের সমসময়ে নাযিল হয়েছিল এটি কোন সূরা?

উত্তরঃ সূরা হুদ

2.  সূরা ইউনুস আর সূরা হুদের ভাষণের মূল বক্তব্য একই তবে পার্থক্য কোথায়?

উত্তরঃ সূরা হুদে সতর্ক করে দেয়ার ধরণটা সূরা ইউনুসের চেয়ে বেশী কড়া

3.  হযরত আবু বকর রা. রাসূল সা.কে বললেন: আমি দেখছি আপনি বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন এর কারণ কি? উত্তরে রাসূল সা. কি বলেছিলেন?

উত্তরঃ সূরা হুদ তারই মতো বিষয়বস্তু সম্বলিত সূরাগুলো আমাকে বুড়ো করে দিয়েছে

4.  যখন কুরাইশের কাফিররা নিজেদের সমস্ত অস্র দিয়ে নবী সা.এর দাওয়াতকে স্তব্দ করে দিতে চাচ্ছিল, তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে কি হচ্ছিল?

উত্তরঃ একের পর এক সতর্কবাণী নাযিল হচ্ছিল

5.  একদিকে কুরাইশদের বাঁধা, অন্যদিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে একের পর এক সতর্কবাণী-এমন অবস্থায় রাসূল সা.কে সব সময় কোন আশংকা অস্তির করে তুলছিল?

উত্তরঃ আল্লাহর দেয়া অবকাশ কখন না জানি খতম হয়ে যায় এবং আল্লাহ আযাব এসে পড়ে

6.  সূরা হুদের বিষয়বস্তু সূরা ইউনুসের অনুরূপ তা কি কি?

উত্তরঃ দাওয়াত, উপদেশ সতর্কবাণী

7.  সূরা হুদে কিভাবে দাওয়াত দেয়া হয়েছে?

উত্তরঃ নবীর কথা মেনে নাও, শিরক থেকে বিরত হও, অন্য সবার বন্দেগী ত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহর বান্দা হয়ে যাও এবং নিজেদের দুনিয়ার জীবনের সমস্ত ব্যবস্থা আখেরাতে জবাবদিহির অনুভূতির ভিত্তিতে গড়ে তোলো

8.  সূরা হুদে কিভাবে উপদেশ দেয়া হয়েছে?

উত্তরঃ দুনিয়ার জীবেরন বাহ্যিক দিকের ওপর ভরসা করে যেসব জাতি আল্লাহর নবীদের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেছে, ইতিপূর্বে তারা অত্যন্ত ভয়াবহ পরিণতির সম্মুখীন হয়েছে ইতিহাসের ধারাবাহিক অভিজ্ঞতায় যে পথটি ধ্বংসের পথ হিসাবে চূড়ান্তভাবে প্রমাণিত হয়েছে, সেই একই পথে তোমাদেরও চলতেই হবে, এমন কোন বাধ্যবাধকতা আছে নাকি?

9.  সূরা হুদে কিভাবে সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে?

উত্তরঃ আযাব আসতে যে দেরী হচ্ছে, তা আসলে একটা অবকাশ মাত্র আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে এই অবকাশ দিয়েছেন যদি এই অবকাশে সংযত সংশোধিত না হও, তাহলে এমন আযাব আসবে যা হটিয়ে দেবার সাধ্য কারোর নেই আর এই আযাব ঈমানদারদের ছোট্ট দল ছাড়া বাকী সমগ্র জাতিকে দুনিয়ার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে

10. সূরা হুদের বিষয়বস্তু উপলব্দি করানোর জন্য কোন কোন জাতির ঘটনাবলীর সাহায্য গ্রহণ করা হয়েছে?

উত্তরঃ নূহের জাতি, আদ, সামুদ, লুতের জাতি, মাদয়ানবাসী ফেরাউনের সম্প্রদায়ের

11.  আল্লাহ যখন কোন বিষয়ের চূড়ান্ত মীমাংসা করতে উদ্যত হন, তখন কোন পদ্ধতিতে করেন?

উত্তরঃ সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ পদ্ধতিতে

12. কি থেকে কোন নবীপুত্র বা নবী পত্নীও বাঁচতে পারে না?

উত্তরঃ আল্লাহ গযব থেকে

13. যখন ঈমান কুফরীর চুড়ান্ত ফায়সালার সময় এসে পড়ে তখন দীনের প্রকৃতি কি দাবী জানাতে থাকে?

উত্তরঃ মুমিন নিজেও যেন পিতা-পুত্র, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভূলে যায় এবং আল্লাহর ইনসাফের তরবারির মতো পূর্ণ নিরপেক্ষতার সাথে একমাত্র সত্যের সম্বন্ধ ছাড়া অন্য সব সম্বন্ধ কেটে ছিঁড়ে দুরে নিক্ষেপ করে

14. বংশ রক্ত সম্বন্ধের প্রতি সামান্যতম পক্ষপাতিত্বও ইসলামের প্রাণসত্তার সম্পর্ক বিরোধী-এই শিক্ষার প্রদর্শনী মক্কার মুসলমানরা কোথায় করেছিলেন?

উত্তরঃ বদরের ময়দানে

15. আরবী ভাষায় কিতাব শব্দটি কেবলমাত্র কিতাব লিপি অর্থে ব্যবহৃত হয় না তাহলে আর কি অর্থে ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ হুকুম, বাদশাহী ফরমান অর্থে

16. সূরা হুদের শুরুতে ব্যবহৃত কিতাব শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ ফরমান

17. তাহলে তিনি একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তোমাদের উত্তম জীবন সামগ্রী দেবেনএই আয়াতের ব্যাখ্যায় সূরা নাহলে কি বলা হয়েছে?

উত্তরঃ যে ব্যক্তিই ঈমান সহকারে সৎকাজ করবে, সে পুরুষ হোক বা নারী, আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করবো

18. তাহলে তিনি একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তোমাদের উত্তম জীবন সামগ্রী দেবেনকুরআন এই বক্তব্যটি প্রদান করেছে লোকদের মধ্যে সাধারণভাবে ছড়িয়ে থাকা একটি বিভ্রান্তি দূরা করার উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিটি কি?

উত্তরঃ আল্লাহ ভীতি, সততা, সাধুনা দায়িত্বানুভূতির পথ অবলম্বন করলে মানুষ আখেরাতে লাভবান হলেও হতে পারে কিন্তু এর ফলে তার দুনিয়া একদম বরবাদ হয়ে যায়

19. متاع حسن   এর অর্থ কি?

উত্তরঃ উত্তম জীবন সামগ্রী

20.কুরআন মজীদের দৃষ্টিতে দুনিয়ার জীবন সামগ্রী দুপ্রকারের তা কি কি?

উত্তরঃ. এমন জীবন সামগ্রী যা আল্লাহ বিমুখ লোকদেরকে ফিতনার মধ্যি নিক্ষেপ করার জন্য দেয়া হয়ে থাকে  . এমন জীবন সামগ্রী যা মানুষকে আরো বেশী সচ্ছল, সমৃদ্ধ শক্তিশালী করে মানুষকে আল্লাহর আরো বেশী কৃতজ্ঞ বান্দায় পরিণত করে

21. متاع غرور এর অর্থ কি?

উত্তরঃ প্রতারণার সামগ্রী

22. আরবী ঘোড়ার পিঠে জরাজীর্ণ জিন, আর গাধার গলায় ঝোলে সোনার শৃংখল-কুরআনের কোন আয়াতের ব্যাখ্যা করতে এই উদাহরণ প্রদান করা হয়েছে?

উত্তরঃ অনুগ্রহ লাভের যোগ্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার অনুগ্রহ দান করবেন-وَيُؤْتِ كُلَّ ذِي فَضْلٍ فَضْلَهُ

23.আকাশ পৃথিবী যদি প্রথমে না থেকে থাকে এবং পরে সৃষ্টি করা হয়ে থাকে, তাহলে প্রথমে কি ছিল?

উত্তরঃ প্রথমে পানি ছিল

24. আল্লাহর আরশ পানির ওপরে ছিল-এই বাক্য অর্থ কি?

উত্তরঃ আল্লাহর সামাজ্য পানির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল

25.আল্লাহ আকাশ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন মানুষ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে আর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন কি জন্য?

উত্তরঃ নৈতিক দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দেবার জন্য

26. খিলাফতের ইখতিয়ার দান করে আল্লাহ কি দেখতে চান?

উত্তরঃ মানুষের মধ্যে কে সেই ইখতিয়ার এবং নৈতিক দায়িত্ব কিভাবে ব্যবহার পালন করে

27. হচ্ছে মানুষের নীচতা, স্থুলদৃষ্টি পরিণামদর্শিতার বাস্তব চিত্র জিনিসটা কি?

উত্তরঃ অহংকার

28.আরে পাগল! দেখছো না আমরা সুখ-ঐশ্বর্যের সাগরে ভাসছি, চারদিকে আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের ঝান্ডা উড়ছে, সময় দিন-দুপুরে তুমি কেমন করে দেখলে আমাদের ওপর আযাব নাযিল হওয়ার বিভীষিকাময় স্বপ্ন”  নবীর উপদেশের জবাবে এই ধরণের উক্তি  কোন ধরণের প্রদর্শনী?

উত্তরঃ নীচ সহজাত প্রবৃত্তির একটি নিকৃষ্টতর প্রদর্শনী

29. ভ্রষ্টতা অসৎকার্যাবলী সত্ত্বেও কি কারণে শাস্তি বিলম্বিত করা হয়?

উত্তরঃ নিছক আল্লাহর অনুগ্রহ করুণার কারণে

30.  সবরকারী ব্যক্তি কালের পরিবর্তশীল অবস্থায় কি করে?

উত্তরঃ নিজের মানসিক ভারসাম্য অটুট রাখে

31. সময়ের প্রত্যেকটি পরিবর্তনের প্রভাব গ্রহণ করে নিজের রং বদলাতে থাকে না কোন ব্যক্তি?

উত্তরঃ সবরকারী ব্যক্তি

32.সবরকারী ব্যক্তি অনুকুল অবস্থায় যখন ধনাঢ্যতা, কর্তৃত্ব খ্যাতির উচ্চাসনে চড়তে থাকে তখন কি করে না?

উত্তরঃ শ্রেষ্ঠত্ব অহংকারের নেশায় মত্ত হয়ে বিপথে পরিচালিত হয় না

33. সবরকারী ব্যক্তিকে যখন বিপদ-আপদ সমস্যা-সংকটের করাল আঘাত ক্ষত-বিক্ষত করতে থাকে, সে অবস্থায় সে কি করে না?

উত্তরঃ নিজের মানবিক চরিত্র বিনষ্ট করে না

34.অহংকার থেকে মুক্ত তারা, যারা সবর করে এবং সৎ কাজ করে তাদের জন্য কি পুরস্কার রয়েছে?

উত্তরঃ ক্ষমা বিরাট প্রতিদান

35. সাধারণ মানুষ তাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে নিযুক্ত বলে মনে করতে পারে এমন কোন অসাধারণ জিনিস রাসূল সা. এর কাছে ছিল না তবে দুইটি জিনিস ছিল, তা কি কি?

উত্তরঃ . নিজের পূত-পবিত্র চরিত্র . যুক্তিসংগত কথা

36.মাওলানা মওদূদী রাহি. এর দৃষ্টিতে কে আসলে মর্যাদার অধিকারী?

উত্তরঃ যে ব্যক্তি নিজে সৎ হয় এবং সততার পথে ধৈর্য, দৃঢ়তা অবিচলতার সাথে অগ্রসর হয়

37. নবী নিজেই কিতাবটি রচনা করেছেন-এমন অভিযোগের জবাবে কুরআনের আয়াতে সূরা হুদে কি বলা হয়েছে?

উত্তরঃ বলো, ঠিক আছে, তাই যদি হয়, তাহলে এর মতো দশটি সূরা তোমরা বানিয়ে নিয়ে এসো এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের আর যেসব মাবুদ আছে তাদেরকে সাহায্যের জন্যে ডাকতে পারলে ডেকে নাও, যদি তোমরা সাচ্চা হয়ে থাকো

38. বারবার চ্যালেঞ্জ দেবার পরও সবাই মিলে কুরআনের মতো একটি কিতাব রচনার নজীর পেশ করতে না পারে, তাহলে কোন দাবীটি সত্য হয়?

উত্তরঃ মুহাম্মদ সা. এই কিতাব (কুরআনের) রচয়িতা নন, বরং আল্লাহর জ্ঞান থেকে কুরআন নাযিল হয়েছে

39.সূরা হুদের ১৩ নম্বর আয়াতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছেঃ তাহলে এর মতো দশটি সূরা তোমরা বানিয়ে নিয়ে এসো যখন কাফেররা সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে অক্ষম হলো, তখন শুধু মাত্র এরি মতো একটি সূরা রচনা করে নিয়ে আসতে বলা হয় এই একটি সূরা বলতে কোন সূরাকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ সূরা ইউনুস

40.অতীত কালে এবং আজ অবধি যে ধরণের লোকেরা কুরআনের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করেছিল, তাদের বেশীল ভাগই কারা?

উত্তরঃ দুনিয়া পূজারী

41. যারা দুনিয়া পূজারী, তাদের মন-মস্তিষ্ককে আচ্ছন্ন করে রাখে কোন জিনিস?

উত্তরঃ বৈষয়িক স্বার্থ

42. দুনিয়াতে কোন প্রাসাদ তৈরী করা হলে সে প্রাসাদ দুনিয়ায় ছেড়ে চেলে যেতে হয়, আখেরাতে নিয়ে যাওয়া যায় না কিন্তু সেই প্রাসাদকে আখেরাতে স্থানান্তরিত করতে হলে কি করতে হবে?

উত্তরঃ এমন সব কাজে প্রচেষ্টাকে নিয়োজিত  করা, যেগুলোর সাহায্যে আইন অনুযায়ী আখেরাতে প্রাসাদ নির্মিত হয়

43.দুনিয়ায় প্রাসাদ নির্মান করলে আখেরাতে সেই প্রাসাদ পাওয়া যায় না তার পরিবর্তে কেন আগুন পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ কারণ, যে আখেরাতকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র দুনিয়ার জন্য করা করে সে অনিবার্য স্বাভাবিকভাবে এমন পদ্ধতিতে কাজ করে যার ফলে আখেরাতে প্রাসাদের পরিবর্তে আগুনের কুন্ড তৈরী হয়

44. সূরা হুদের ১৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: তারপর যে ব্যক্তি তার রবের পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট সাক্ষের অধিকারী ছিল, এরপর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে একজন সাক্ষীও এসে গেছে - এখান প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সাক্ষী বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ কুরআন

45.কাদের জন্য কুরআনের দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করা সহজ?

উত্তরঃ যারা দুনিয়ার জীবনের বাহ্যিক দিকগুলো এবং তার আপাত চাকচিক্যে মুগ্ধ হয়ে গেছে

46. নবী সা. কুরআন নাযিলের পুর্বেই কোন ধরণের ঈমানের মনযিল অতিক্রম করেছিলেন?

উত্তরঃ ঈমান বিল গাইব এর মনযিল

47.কোন নবী নবী হওয়ার আগেই বিশ্ব-জগতের নিদর্শনসমূহ প্রত্যক্ষ করে তাওহীদের তত্ত্বজ্ঞান লাভ করেছিলেন?

উত্তরঃ হযরত ইব্রাহীম .

48.সূরা হুদের ২০ আয়াতের একাংশে বলা হয়েছে: তাদেরকে এখন দ্বিগুণ আযাব দেয়া হবে কোন অপরাধের জন্য আযাব দ্বিগুণ করা হবে?

উত্তরঃ একটি আযাব নিজে গোমরাহ হবার জন্য আর অপরটি অন্যকে গোমরাহ করার এবং পরবর্তী বংশধরদের গোমরাহীর উত্তরাধিকার রেখে যাবার জন্য

49. আমি তোমাদের পরিষ্কার ভাষায় সাবধান করে দিচ্ছি, তোমরা আল্লাহর ছাড়া আর কারোর বন্দেগী করো না নয়তো আমার আশংকা হচ্ছে তোমাদের ওপর একদিন যন্ত্রণাদায়ক আযাব আসবে - এমন কথা কে তার জাতিকে বলেছিলেন

উত্তরঃ নূহ .

50. আমাদের দৃষ্টিতে তুমি তো ব্যস আমাদের মতো একজন মানুষ বৈ আর কিছুই নও আর আমরা তো দেখছি আমাদের সমাজের মধ্যে যারা অত্যন্ত নিকৃষ্ট ও নিম্নশ্রেণীর চিল তারাই কোন প্রকার চিন্তা-ভাবনা না করে তোমার অনুসরণ করছে আমরা এমন কোন জিনিসও দেখছি না যাতে তোমরা আমাদের চেয়ে অগ্রবর্তী আছো বরং আমরা তো তোমাদের মিথ্যবাদী মনে করি - এমন কথা কে কাকে বলেছিল?

উত্তরঃ নুহ .কে তার কওমের সরদার লোকেরা

51. এর সাথে কারা আছে? জন মাথাগরম ছোকরা, যাদের দুনিয়ার কোন অভিজ্ঞতা নেই অথবা কয়েকজন গোলাম এবং নিম্ন শ্রেণীর কিছু সাধারণ মানুষ, যাদের বুদ্ধিশুদ্ধি নেই এবং বিশ্বাসের দিক দিয়েও কমজোর -এমন কথা কারা কার সম্পর্কে বলতো?

উত্তরঃ মক্কার বড় বড় উঁচু শ্রেণীর লোকেরা মুহাম্মদ সা. সম্পর্কে বলতো

52.নুবুওয়াত লাভ করার আগে সকল নবী ঈমান বিল গাইব লাভ করে থাকেন তাহলে নবুয়াতের মর্যাদা দান করার সময় তাদের কোন ধরণের ঈমান  দান করেন?

উত্তরঃ ঈমান বিশ শাহাদাত বা প্রত্যক্ষ দর্শন লব্ধ বিশ্বাস

53. হে আমার কওম! এ কাজের জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন অর্থ চাচ্ছি না-এমন কথা কে তার কাওমকে বলেছিলেন?

উত্তরঃ হযরত নূহ .

54.হে নূহ! তুমি আমাদের সাথে ঝগড়া করেছো, অনেক ঝগড়া করেছো, যদি সত্যবাদী হও তাহলে এখন আমাদের যে আযাবের ভয় দেখাচ্ছো তা নিয়ে এসো এমন কথার জবাবে নূহ আ. কি বলেছিলেন?

উত্তরঃ তা তো আল্লাহই আনবেন যদি তিনি চান এবং তা প্রতিহত করার ক্ষমতা তোমাদের নাই

55. এখন যদি আমি তোমাদের কিছু মঙ্গল করতে চাইও তাহলে আমার মঙ্গলাকাংখা তোমাদের কোন কাজে লাগবে না যখন আল্লাহ নিজেই তোমাদের বিভ্রান্ত করার এরাদা করে ফেলেছেন এই কথা দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ আল্লাহ যদি তোমাদের হঠকারিতা, দূর্মতি এবং সদাচারে আগ্রহহীনতা দেখে ফায়সালা করে থাকেন যে, তোমাদের সঠিক পথে চলার সুযোগ আর দেবেন না এবং যেসব পথে তোমরা উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াতে চাও সেসব পথে তোমাদের ছেড়ে দেবেন তাহলে এখন আর তোমাদের কল্যাণের জন্য আমার কোন প্রচেষ্টা সফলকাম হতে পারে না

56.নুহ আ. যখন নৌকা নির্মাণ করছিলেন, তখন তার কওমের সরদারদের মধ্য থেকে যারা নৌকার কাছ দিয়ে যেতো, তারা কি করতো?

উত্তরঃ উপহাস

57. নূহ আ. এর সময়ের প্লাবনের সূচনা হয় কোথা থেকে?

উত্তরঃ একটি বিশেষ চুলা থেকে

58. তান্নুর শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ চুলা

59.নূহ আ. এর নৌকাতে পারিবারের লোকদের উঠাতে গিয়ে ২জনকে না উঠাতে বলা হয়েছে তারা কারা?

উত্তরঃ . নূহ . এর ছেলে . নূহ . এর স্ত্রী

60.সমগ্র মানবজাতির বংশধারা হযরত নূহ আ. এর তিন ছেলের সাথে সংযুক্ত এই কথাটা কি সত্য?

উত্তরঃ না সত্য নয়

61. وَقَالَ ارْكَبُوا فِيهَا بِسْمِ اللَّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا ۚ إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ এর বাংলা অনুবাদ কি?

উত্তরঃ এতে আরোহণ করো, আল্লাহর নামেই এটা চলবে এবং থাকবে আমার রব বড়ই ক্ষমাশীর করুণাময়

62. নূহ আ. সময়কার প্লাবন বন্ধের জন্য আল্লাহ যে নির্দেশ প্রদান করলেন, তা কি? কুরআনের ভাষায় বাংলাতে বলুন

উত্তরঃ হে পৃথিবী! তোমার সমস্ত পানি গিলে ফেলো এবং হে আকাশ! থেমে যাও

63.নূহ আ. এর নৌকা যে পাহাড়ে থামলো, তার নাম কি? তা কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ জুদী পাহাড়ে, যা কুর্দিস্তান অঞ্চলে উমর দ্বীপের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত

64. আর তুমি সমস্ত শাসকদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও উত্তম শাসক-এর মানে কি?

উত্তরঃ তোমার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এরপর আর কোন আবেদন নিবেদন খাটবে না আর তুমি নির্ভেজাল জ্ঞান পূর্ণ ইনসাফের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকো

65.এক ব্যক্তির শরীরের কোন  অংশ পচে গেছে ডাক্তার অংগটি কেটে ফেলে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন রোগী ডাক্তারকে বলছে, এটা তো আমার শরীরের একটা অংশ, আপনি কেটে ফেলে দেবেন? ডাক্তার জবাবে বলেন, এটা তোমার শরীরের অংশ নয় কারণ এটা পচে গেছে - আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কোন কথা বুঝাতে মাওলানা মওদূদী রাহি. এই উদাহরণ পেশ করেছেন?

উত্তরঃ হে নূহ! সে তোমার পরিবারভূক্ত নয় সে তো অসৎ কর্মপরায়ন

66. বিকৃত ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া লোক পরিবারের সদস্য হতে পারে না রক্ত সম্পর্কিয় পরিবারের একজন সদস্য হতে পারে কিন্তু নৈতিক পরিবারের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই - এই কথা গুলো কোন নবীর পরিবারের সদস্যকে নিয়ে আলোচনার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে?

উত্তরঃ নূহ . এর

67.আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি, নিজেকে অজ্ঞদের মতো বানিয়ে ফেলো না-এখানে কে উপদেশ দিচ্ছে, কাকে দিচ্ছেন

উত্তরঃ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উপদেশ দিচ্ছেন নূহ .কে

68.হযরত নূহ আ. এর নৈতিক উচ্চমানের বড় প্রমাণ কি?

উত্তরঃ জওয়ান ছেলেকে চোখের সামনে ডুবে যেতে দেখেও ইসলামের কাংখিত চিন্তা ভাবধারার দিকে ফিরে আসা

69. হে আমার রব! যে জিনিসের ব্যাপারে আমার জ্ঞান নেই, তা তোমার কাছে চাইবো-এ থেকে আমি তোমার কাছে পানাহ চাচিছ যদি তুমি আমাকে মাফ না করো এবং আমার প্রতি রহম না করো তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যাবো - এই দোয়া কে করেছিলেন?

উত্তরঃ হযরত নূহ .

70. হযরত ইব্রাহীম আ. আওলাদ হওয়া, বড় বড় দেবদেবীর ভক্ত হওয়া, অমুক বোজর্গের আওলাদ এবং অমুজ বোজর্গের ভক্ত, কাজেই তাদের সুপারিশ আমাদেরকে আল্লাহর শাস্তি হাত থেকে বাঁচাবে-এমন চিন্তা-ভাবনা যে ভ্রান্ত চিন্তা-ভাবনা তার প্রমাণ করা হয়েছে কিসের মাধ্যমে?

উত্তরঃ মর্যাদাশালী নবী নূহ . এর চোঁখের সামনে নিজের সন্তানকে ডুবে যেতে দেখা বা তার মৃত্যু

71. সূরা হুদ এর ৪৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলছেন: হুকুম হলো, হে নূহ! নেমে যাও….. এখানে নেমে যাও বলতে কোথায় এবং কোথা থেকে মেনে যেতে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ যে পাহাড়ের উপর নৌকা থেমেছিল তার উপর থেকে নেমে যেতে বলা হয়েছে

72.শুরুতে সত্যের দুশমনরা যতই সফতার অধিকারী হোন কোন কেন সবশেষে কারা সফলকাম হয়?

উত্তরঃ যারা আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে চিন্তা কর্মের ভূল পথ পরিহার করে হকের উদ্দেশ্যে কাজ করে থাকে

73. যেসব বিপদ আপদ ও দূ:-কষ্টের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তাদের মুমিনদের মন খারাপ করার প্রয়োজন নেই বরং তাদেরকে কি করতে হবে?

উত্তরঃ সবর হিম্মত সহকারে কাজ করতে হবে

74.আদ জাতির প্রতি কোন নবীকে প্রেরণ করা হয়েছে?

উত্তরঃ হূদ .কে

75. হে আমার স্ব্জাতয়ি ভাইয়েরা! আল্লাহর বন্দেগী করো, তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই তোমরা নিছক মিথ্যা বানিয়ে রেখেছো - এই কথা গুলো কে কাকে বলেছেন?

উত্তরঃ হূদ . তা জাতি বা কাওমকে বলেছেন

76.দুনিয়ার প্রাচুর্য ও সমৃদ্ধিতে প্রতারিত হয়ে যে জাতি জুলুম ও গোনাহের কাজে অগ্রসর হয়, তার পরিণাম কি?

উত্তরঃ ধ্বংস

77. তোমার কথায় আমরা আমাদের উপাস্যদের ত্যাগ করতে প্রস্তুত নই-আদ জাতির এমন উক্তির জবাবে হুদ আ. কি বললেন?

উত্তরঃ আমার সিদ্ধান্তও শুনে রাখো, আমি তোমাদের এসব উপাস্যের প্রতি চরমভাবে বিরূপ অসন্তুষ্ট

78. তোমরা সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে যা করার করো, তাতে কোন ত্রুটি রেখো না এবং আমাকে একটুও অবকাশ দিয়ো না-হুদ আ. এর এমন উক্তি কাফেরদের কোন কথার জবাব?

উত্তরঃ কাফেরদের উক্তি: তোমার ওপর আমাদের কোন দেবতার অভিশাপ পড়েছে-এর জবাব

79.এখন আমার বর তোমাদের জায়গায় অন্য জাতিকে বসাবেন এবং তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না - এই কথা কাফেরদের কোন কথার জবাব

উত্তরঃ কাফিরদের উক্তিআমরা তোমার প্রতি ঈমান আনছিএর জবাব

80. সূরা হূদ এর ৫৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: “এ হচ্ছে আদ, নিজের রবের নিদর্শন তারা অস্বীকার করেছে, নিজের রাসূলদের কথাও অমান্য করেছেপ্রশ্ন হচ্ছে: আদ জাতির কাছে মাত্র একজন রাসূলই পাঠানো হয়েছিল তাহলে তারারাসূলদেরকথা তথা অনেক রাসূলের কথা কিভাবে অমান্য করলো?

উত্তরঃ তাদের প্রতি যে একজন রাসূল এসেছিলেন, তিনি তাদেরকে এমন এক বিষয়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন যে দাওয়াত সবসময় সবযুগে সকল জাতির মধ্যে আল্লাহর নবীগন পেশ করতে থেকেছেন তাই এক রাসূলদের কথা না মানকে সকল রাসূলের প্রতি নাফরমানী গণ্য করা হয়েছে

81. সালেহ আ. নো জাতির প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন?

উত্তরঃ সামুদ জাতির কাছে

82.সূরা হুদের ৬১ নম্বর আয়াতের বর্ণনা অনুযায়ী সালেহ আ. সামুদ জাতিকে বললেন: কাজেই তোমরা তাঁর কাছে ক্ষমা চাও প্রশ্ন হচ্ছে, কোন অপরাধের জন্য তারা ক্ষমা চাইবে?

উত্তরঃ এতদিন পর্যন্ত তোমরা অন্যের বন্দেগী পূজা-অর্চনা করে এসেছো সেই অপরাধের জন্য তোমাদের রবের কাছ ক্ষমা চাও

83. কারীব ও মুজীব শব্দ দূটির অর্থ কি?

উত্তরঃ কারীব মানে আল্লাহ নিকটবর্তী, মুজীব মানে আল্লাহ জবাব দেন

84.হযরত সালেহ আ. বলেছিলেন, আল্লাহ ছাড়া আর কোন প্রকৃত মানুদ নেই এবং যুক্তি হিাসেব তিনি বলেছিলেন, আল্লাই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীতে বসবাস করিয়েছেন এর জবাবে মুশরিকরা কি বলেছে এবং তাদের যুক্তি কি ছিল?

উত্তরঃ আমাদের মাবুদরাও ইবাদত লাভের হকদার এবং এদের ইবাদতও পরিত্যাগ করা যেতে পারে না কারণ বাপ-দাদার আমল থেকে এদের ইবাদত চলে আসেছ

85. সত্যের দাওয়াতের বৈশিষ্ট কি?

উত্তরঃ দাওয়াত দেবার পর লোকদের মানসিক প্রশান্তি খতম হয়ে যায় এবং একটি ব্যাপক অস্তিরতা জন্ম নেয়

86.সিনাই উপদ্বীপে নবী মুসা আ. এর পাহাড়ের কাছে আছে আরেকটি ছোট পাহাড়, যা নবী সালেহ আ. এর সাথে সংশ্লিষ্ট পাহাড়টির নাম কি?

উত্তরঃ নবী সালেহের পাহাড়

87. ফেরেশতারা হযরত ইব্রাহীম আ. কাছে এসেছিল কোন ধরণের আকৃতি ধরে?

উত্তরঃ মানুষের আকৃতি ধরে

88. আরব দেশে কোন ব্যক্তি কারোর মেহমানদারীর জন্য আনা খাবার গ্রহণ না করলে কি মনে করা হয়?

উত্তরঃ সে মেহমান হিসাবে নয় বরং হত্যা লুটতরাজের উদ্দেশ্যে এসেছে

89.ভয় পাবেন না, আমাদের তো লুতের সম্প্রদায়ের কাছে পাঠানো হয়েছেএই উক্তি কে কার উদ্দেশ্যে করেছেন?

উত্তরঃ ফেরেশতারা ইব্রাহীম .কে উদ্দেশ্য করে

90.সূরা হুদে বলা হয়েছে: ইব্রাহীমের স্ত্রীও দাঁড়িয়েছিল, সে একথা শুনে হেসে ফেললো - এখানে স্ত্রী বলতে কোন স্ত্রীকে বুঝানো হয়েছে? হাজরা, না সরাহ?

উত্তরঃ সারাহ

91. হযরত ইব্রাহীম আ. ও সারাহ যখন ইসহাকের সুসংবাদ পেলেন, তখন তাদের বয়স কত ছিল?

উত্তরঃ ইব্রাহীম-১০০ বছর আর সারাহ ৯০ বছর

92. তারপর যখন ইব্রাহীমের আশংকা দূর হলো এবং তার মন খুশীতে ভরে গেলো তখন সে লূতের সম্প্রদায়ের ব্যাপারে আমার সাথে বাদানুবাদ শুরু করলো - এখানে বাদানুবাদ বলতে কি প্রকাশ করা হয়েছে?

উত্তরঃ আল্লাহর সাথে হযরত ইব্রাহীম . এর গভীর ভালবাসা মান অভিমানের সম্পর্কের কথা প্রকাশ করা হয়েছে

93.যে তারিখে ইব্রাহীমের বংশ থেকে একটি বিরাট সৌভাগ্যবান জাতির উত্থানের ফায়সালা হয়, ঠিক সেই একই তারিখেই এ ব্যভিচারী জাতিটিকে দুনিয়ার বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবার ফরমানও জারি হয় ইব্রাহীমের বংশ কার মাধ্যমে শুরু হয় আর ব্যভিচারী জাতিটি কারা?

উত্তরঃ হযরত ইসহাক . এবং কাওমে লুত

94. ফেরেশতারা কোন ধরণের ছদ্মবেশে লুত আ. এর গৃহে এসেছিলেন?

উত্তরঃ সুন্দর ছেলেদের ছদ্মবেশে

95.হযরত লুত আ. এর উক্তি: “ভাইয়েরা! এই যে, একানে আামর মেয়েরা আছে, এরা তোমাদের জন্য পবিত্রতরএই বক্তব্যেএরা তোমাদের জন্য পবিত্রতরবলতে লুত আ. এর বক্তব্যের উদ্দেশ্য কি?

উত্তরঃ উদ্দেশ্য ছিল: আল্লাহ যে জায়েয পদ্ধতি নির্ধারণ করেছেন, সেই পদ্ধতিই নিজেদের যৌন কামনা পূর্ণ করো এবং এজন্য মেয়েদের অভাব নেই

96. লুত আ. এর সামনে কখন ফেরেশতারা তাদের পরিচয় প্রদান করলেন?

উত্তরঃ যখন লুত . বললেন: হায়! যদি আমরা এতটা শক্তি থাকতো যা দিয়ে আমি তোমাদের সোজা করে দিতে পারতাম অথবা কোন শক্তিশালী আশ্রয় থাকতো সেখানে আশ্রয় নিতে পারতাম

97.লুত আ. কওমকে যখন শাস্তি প্রদান করা হয়, তার আগে ফেরেশতারা লুত আ.কে তার পরিবার পরিজন নিয়ে বের হয়ে যেতে বলেন কিন্তু পরিবার পরিজনের মধ্যে তার স্ত্রীকে রাখেননি  স্ত্রীকেও আযাবের অন্তর্ভূক্ত করা হয় এ থেকে মানুষের জন্য কি শিক্ষা দেয়া হয়েছে?

উত্তরঃ শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, কোন বুযর্গের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক এবং কোন বুযর্গের সুপারিশ তোমাদের নিজেদের গোনাহের পরিণতি থেকে বাঁচাতে পারে না

98.পাকা মাটির পাথরবলতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ এমন মাটি, যা আগ্নেয়গিরির আওতাধীন এলাকার ভূগর্ভস্থ উত্তাপ লাভার প্রভাবে পাথরে পরিণত হয়

99. প্রত্যেকটি পাথর তোমার রবের কাছে চিহ্নিত ছিলমানে কি?

উত্তরঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি পাথরকে কি ধ্বংসাত্মক কাজ করতে হবে এবং কোন পাথরটি কোন অপরাধীর উপর পড়বে তা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছিল

100.  সূরা হুদে বলা লুত জাতির উপর আযাবে বর্ণনার শেসে বলা হয়েছেআর জালেমদের থেকে এ শাস্তি মোটেই দূরে নয়এর দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ আজ যারা জুলুমের পথে চলছে তারাও যেন আযাবকে নিজেদের থেকে দূরে না মনে করে লুতের সম্প্রদায়ের উপর যদি আযাব আসতে পেরে থাকে তাহলে তাদের উপরও আসতে পারে লুতের সম্প্রদায় আল্লাহর আযাব ঠেকাতে পারেনি, এরাও পারবে না

101. মাদয়ানবাসীর কাছে আল্লাহ তাদের ভাই শোয়াইব আ.কে পাঠালেন তিনি মাদয়ানবাসীকে কি বললেন?

উত্তরঃ হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা! আমার বন্দেগী করো তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ নেই আপ মাপে ওজনে কম করো না আজ আমি তোমাদের ভাল অবস্থায় দেখছি কিন্তু আমার ভয় হয় কাল তোমাদের উপর এমন দিন আসবে, যার আযাব সবাইকে ঘেরাও করে ফেলবে

102. ফাসেকীতে ভরা সমাজে কোন ব্যক্তিকে নামাযা পড়তে দেখলে সংগে সংগেই তাদের মনে কি অনুভূতি জাগে?

উত্তরঃ ব্যক্তির উপর দীনদারীর আক্রমণ ঘটেছে

103.রিজিক শব্দের দুইটি অর্থের একটি হলো: সত্য-সঠিক জ্ঞান, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে অপর অর্থটি কি?

উত্তরঃ আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে জীবন যাপন করার জন্য যে জীবন সামগ্রী দান করেন

104.  اللَّهُ أَرْحَمُ بِعِبادِهِ مِنْ هَذِهِ بِوَلَدِهَا এর বাংলা অর্থ কি?

উত্তরঃ মহিলা তার বাচ্ছার প্রতি যে পরিমাণ অনুগ্রহশীল আল্লাহর অনুগ্রহ তাঁর বান্দার প্রতি তার চেয়ে অনেক বেশী

105. কুরাইশরা মুহাম্মদ সা. এর রক্ত পিপাসু হয়ে উঠেছিল তারা তাঁর জীবননাশ করতে চাচ্ছিল কিন্তু কেন তার গায়ে হাত দিতে ভয় পাচ্ছিল?

উত্তরঃ শুধু বনী হাশেম তাঁর পেছনে আছে বলে তাঁর গায়ে হাত দিতে ভয় পাচ্ছিল

106. কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী হযরত মূসা আ.কে ফেরাউন ও তার রাজ্যের প্রধন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে ২টি বস্তু সহ তা কি কি?

উত্তরঃ আল্লাহর নিজের নিদর্শনাবলী স্পষ্ট নিয়োগপত্র          

107. কিয়ামতের দিন কে তার নিজের নেতৃত্বে তার কাওমকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে?

উত্তরঃ ফেরাউন

108.  امرؤ القيس صاحب لواء الشعراء إلى النار এর অর্থ কি?

উত্তরঃ কিয়ামতের দিন কবি ইমরাউল কয়েসের হাতে থাকবে জাহেলী কাব্যচর্চার ঝান্ডা এবং আরবের জাহেলিয়াতপন্থী সমস্ত কবি তার নেতৃত্বে জাহান্নামের পথে এগিয়ে যাবে

109. যারা কুরআনের ব্যাপারে মতবিরোধ সৃষ্টি করছে তাদের ফায়সালা শিগগির চুকিয়ে দেবার ব্যাপারটি নিয়ে কেন অস্থির না হতে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ কারণ, আল্লাহ স্থির করে নিয়েছে যে, ফায়সালা নির্দিষ্ট সময়ের আগে করা হবে না এবং দুনিয়ার লোকেরা ফায়সালা চাওয়ার ব্যাপারে যে তাড়াহুড়া করে থাকে আল্লাহর ফায়সালা করে দেয়ার ব্যাপারে সে ধরণের তাড়াহুড়া করবেন না

110. আর দেখো, নামায কায়েম করো দিনের দুপ্রান্তে এবং রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হবার পর এখানে দিনের দুই প্রান্ত ও রাতে কিছু অংশ অতিবাহিত হবার পর বলতে কোন সময় বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ দিনের দুই প্রান্ত বলতে ফজর মাগরিব আর রাতের কিছু অংশ অতিবাহতি হবার পর বলতে এশার সময় বুঝানো হয়েছে

111. মানুষকে সৎ বানানোর সর্বোত্তম মাধ্যম কি?

উত্তরঃ নামায।

112. মানব জাতির অতীত ইতিহাসে যতগুলো জাতিই ধ্বংস হয়েছে তাদের সাবইকে যে জিনিসটি অধপতিত করে তা কি?

উত্তরঃ তাহলো, যখন আল্লাহ নিজের নিয়ামতের দ্বারা তাদেরকে সমৃদ্ধ করেছেন তখন নিজেদের প্রাচুর্য সমৃদ্ধির নেশায় মত্ত হয়ে তারা পৃথিবীতের বিপর্যয় সৃষ্টিতে তৎপর হয়েছে।

113. প্রত্যেক সামাজ ব্যবস্থায় কোন ধরণের লোকের উপস্থিতি অপরিহার্য তারা কারা?

উত্তরঃ ভাল কাজের দিকে আহবানকারী এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখার মতো সৎলোকের উপস্থিতি

114. যে জাতি নিজের মধ্যে সবকিছু বরদাশত করতে পারে, কিন্তু শুধুমাত্র এমন গুটিকয় হাতে গোনা লোককে বরদাশত করতে পারে না, যারা তাকে অসৎকাজ থেকে বিরত রাখার ও সৎকাজ করার দাওয়াত দেয়, সে জাতির ব্যাপারে কি কথা জেনে নিতে হবে?

উত্তরঃ তার দূর্দিন কাছে এসে গেছে

115. আর তোমার বরে একথা পূর্ণ হয়ে গেছে যা তিনি বলেছিলেন রব কি কথা বলেছিলেন?

উত্তরঃ আমি জাহান্নামকে জিন মানুষ উভয়কে দিয়ে ভরে দেবো



অন্যান্য সূরা ও বইয়ের উপর প্রশ্নোত্তর জানতে এখানে ক্লিক করুন।

Post a Comment

1 Comments

Fazl-E-Rabby said…
আল্লাহ আপনার সকল চেষ্টা ও প্রচেষ্টাকে কবুল করুন।