প্রশ্নোত্তরঃ রুকনিয়াতের দায়িত্ব ও মর্যাদা
1.
রুকন এর শাব্দিক বাংলা অর্থ কি কি??
উত্তরঃ অবলম্বন, আশ্রয়, নির্ভর, সমর্থন, ভার বহন, আস্থা, শক্তির উৎস, মযবুত অংশ।
2.
দালানের চার কোণের উপর নির্ভর করেই মাঝের দেয়াল টিকে
থাকে বলে কোণকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ রুকন।
3. কাবা ঘরের যে কোণে তাওয়াফ করার সময় হাত ছোঁয়াতে হয়, তাকে কি বলে?
উত্তরঃ রুকনে ইয়ামানী।
4.
কুরআন মজীদের কোন কোন স্থানে রুকন শব্দটি ব্যবহার করা
হয়েছে?
উত্তরঃ ১. সূরা হুদঃ আয়াত ৮০ এব ২. সূরা আয যারিয়াতঃ আয়াত ৩৯
5.
رُكْنٍ شَدِيدٍ মানে কি?
উত্তরঃ মযবুত অবলম্বন বা আশ্রয়।
6.
সূরা আয যারিয়াতের ৩৯ আয়াতে উল্লেখিত রুকন মানে কি?
উত্তরঃ শক্তি।
7.
জামায়াতে ইসলামী সদস্যগনকে কি কি অর্থে রুকন আখ্যা দিয়েছে?
উত্তরঃ অবলম্বন, নির্ভর, আশ্রয়, শক্তি।
8.
কি ছাড়া জামায়াতে ইসলামীতে কোন শাখা সাংগঠনিক স্বীকৃতি
পায় না?
উত্তরঃ ইমরাত ছাড়া।
9.
আমীরে জামায়াত ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের
দায়িত্ব যাদের উপর অর্পণ করা কর্তব্য তাদেরকে বাছাই করার ইখতিয়ার কাদের ছাড়া আর কারো
উপর দেয়নি।
উত্তরঃ রুকনদের ছাড়া।
10.
জাতীয় সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার উদ্দেশ্যে এমন কোন
লোককে জামায়াতের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেয়া উচিত নয় যিনি সব দিক দিয়ে যত যোগ্যই হোন কিন্তু
তিনি জামায়াতের কি নিতে রাযী নন?
উত্তরঃ রুকনিয়াতের শপথ।
11.
জামায়াতে ইসলামীর রুকন হওয়ার জন্য শপথ বাক্য শুরু করার
পূর্বে ভূমিকায় কি বলতে হয়?
উত্তরঃ “আমি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর গঠনতন্ত্রে বর্ণিত আকীদা উহার ব্যাখ্যা সহকারে ভালভাবে বুঝিয়া লওয়ার পর আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রাখিয়া পূর্ণ দায়িত্ববোধের সহিত সাক্ষ্য দিতেছি যে…”
12.
জামায়াতে ইসলামী মৌলিক আকীদা কি?
উত্তরঃ কালেমা।
13.
জামায়াতে ইসলামীর রুকন শপথ নেয়ার সময় শপথ বাক্য শুরুতে
ভূমিকা হিসাবে তিনটি কথা বলতে হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয়টি কি?
উত্তরঃ ২. আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী রেখে শপথ নেয়া হচ্ছে। ৩. পূর্ণ দায়িত্ববোধের সাথে কালেমায়ৈ শাহাদাতের ঘোষণা দেয়া হচ্ছে।
14.
শিরক কোন ধরণের সুক্ষ্ন ফেতনা?
উত্তরঃ এমন ফেতনা যে, বহু মুখলিস দ্বীনদার লোকও শিরকে খফী বা পরোক্ষ ও গোপন ধরণের শিরক থেকে বেঁচে থাকতে সক্ষম হোন না।
15.
কোন জিনিস সমস্ত নেক আমলকে বরবাদ করে দেয়?
উত্তরঃ শিরক।
16.
তাওহীদের বিপরীত বস্তু কি?
উত্তরঃ শিরক।
17.
শিরক ভালভাবে বুঝে নেয়ার জন্য অধ্যাপক গোলাম আযম কি পড়ার
পরামর্শ দিয়েছেন?
উত্তরঃ তাফহীমুল কুরআনের সূরা আল আনআমের ১২৮ নং টীকা।
18.
সকল বিষয়ে একমাত্র উসওয়ায়ে হাসানা কে?
উত্তরঃ রাসূল সা.
19.
রাসূল বিষয়ে আকীদা মযবুত করার জন্য অধ্যাপক গোলাম আযমের
কোন বইটি পড়া দরকার।
উত্তরঃ ইসলামে নবীর মর্যাদা।
20.রুকনদের শপথ নামার প্রথম দফাটি কিসের সাতে
সম্পর্কিত?
উত্তরঃ আকীদার সাথে।
21.
কি দুরস্ত না হলে আমলের কোন মূল্য থাকে না?
উত্তরঃ আকীদা।
22.
রুকনিয়াতের শপথ গ্রহণকারী দ্বিতীয় দফায় কি ঘোষণা করেন?
উত্তরঃ জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যা, তা-ই তার জীবনের উদ্দেশ্য।
23.শপথের দ্বিতীয় দফায় একজন রুকন জামায়াতকে
কি কি নিশ্চয়তা দান করেন?
উত্তরঃ ১. তিনি আখেরাতের কামিয়াবীর লক্ষবিন্দুকে সামনে রেখেই এ পথে এসেছেন। ২. জামায়াত থেকে কিছু নেবার জন্য তিনি আসছেন না। ৩. তার সবকিছু জামায়াতের মাধ্যমে আল্লাহ হাতে তুলে দেবার জন্য তিনি রুকনিয়াতে বাইয়াত কবুল করছেন।
24. জামায়াতের মাধ্যমে কোন বিশেষ সুযোগ বা মর্যাদা না পেলে, কোন দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলে, কোন দায়িত্বশীলের কাছ থেকে আশানুরূপ ভাল ব্যবহার না পেলে, কোন বিষয়ে তার মতামত গৃহিত না হলে যদি কোন রুকন নিষ্ক্রিয় হয়ে যান বা মনক্ষুন্ন হয়ে কাজে ঢিলা হয়ে যান, তাহলে কি প্রমাণ হয়?
উত্তরঃ তিনি তার শপথের দ্বিতীয় দফাটি ভুলে গেছেন।
25.যদি আল্লাহর সন্তুষ্টিই একমাত্র উদ্দেশ্য হয়, তাহলে কি চলে না?
উত্তরঃ কোন কারণেই রুকনিয়াতের দায়িত্ব পালনে অবহেলা চলে না।
26. রুকনিয়াতের শপথের তৃতীয় দফাটি কোন ধরণের ওয়াদা?
উত্তরঃ জামায়াতের গঠনতন্ত্র আন্তরিকতার সাথে মেনে চলার এবং জামায়াতের নিয়ম-শৃংখলার পূর্ণ আনুগত্যের ওয়াদা।
27.রুকনিয়াতের শপথ নামার আসল কথা সূরা আল আনআমের ১৬২ নম্বর আয়াত। যা তিলাওয়াত করার মাধ্যমে কি করতে হয়?
উত্তরঃ রাব্বুল আলামীনের নিকট পরিপূর্ণ আত্মসমর্পনের কথা ঘোষণা করতে হয়।
28.আল্লাহর সন্তোষের কামনা নিয়ে তাঁর মর্জির
নিকট নিজের সব চাওয়া-পাওয়ার বসার কুরবান করার এই অনুভূতিকে সূফীদের পরিভাষায় কি বলা হয়?
উত্তরঃ ফানা ফিল্লাহ।
29. কুরআন ও সুন্নাহ এবং সাহাবায়ে কেরামের জীবন থেকে প্রমাণিত সব ফরযের বড় ফরয কোনটি এবং দ্বিতীয় বড় ফরয কোনটি?
উত্তরঃ ইকামাতে দ্বীন সকল ফরযের চেয়ে বড় ফরয। আর জামায়াতবদ্ধ হওয়া দ্বিতীয় বড় ফরয।
30. রুকনিয়াতের ব্যক্তিগত দায়িত্ব কয়টি? প্রথম তিনটি কি কি?
উত্তরঃ দায়িত্ব মোট ৭টি। ১. আত্ম সমালোচনার দায়িত্ব। ২. মান বৃদ্ধির দায়িত্ব। ৩. জামায়াতের প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব।
31.
আত্ম সমালোচনার দায়িত্ব পালনে একজন রুকন ব্যক্তিগত ভাবে
কি কি বিষয় পর্যালোচনা করবেন?
উত্তরঃ আমার ঈমান, ইলম ও আমলের মান আমার বিবেকের নিকট সন্তোষজনক কিনা, তা পর্যালোচনা করবেন।
32.রুকন হিসাবে আরা জামায়াতের প্রতিনিধিত্বের
দায়িত্ব পালনে কখন ব্যর্থ হবো?
উত্তরঃ আমাদের কথা ও কাজ এবং আচার-আচরণ ও লেনদেন যদি ইসলামী মানের না হয়।
33. দায়িত্বশীলদের প্রধান দায়িত্ব কি?
উত্তরঃ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের যোগ্য লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
34.নিজে নিজেই কাজ না করার বা কাজে ঢিল দেবার
সিদ্ধান্ত নিলে রুকনিয়াতের শপথের খেলাফ হয়ে যাবে। কোন কোন প্রেক্ষাপটে উধর্বতন
দায়িত্বশীলের নিকট সমাধানের পরামর্শ চাইতে হবে?
উত্তরঃ আর্থিক দূরবস্থা, পারিবারিক সংকট, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে দায়িত্ব পালনে সমস্যা সৃষ্টি হলে।
35. জামায়াতে ইসলামী এদেশে ইকামাতে দ্বীনের যে দায়িত্ব নিয়ে
ইসলামী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এর অনিবার্য দাবী কি?
উত্তরঃ দেশের ১০ কোটি জনতাকে আল্লাহর পথে আনা।
36.নেতৃত্বের সিলসিলা এর ইংরেজী শব্দ কি?
উত্তরঃ Chain of leadership
37. দেশের জনগন ইসলামকে যতই পছন্দ করুক কারা তাদের নিকট
নেতৃত্বের মর্যাদা না পেলে ইসলামের বিজয় কিছুতেই সম্ভব নয়?
উত্তরঃ ইসলামী ব্যক্তিত্ব।
38. জামায়াতের দায়িত্বশীলগনকে ধর্মীয় নেতা হিসাবে ইমামতির যোগ্য হতে হবে। আর এজন্য তাদের কিরাআত কতটুকু শুদ্ধ হতে হবে?
উত্তরঃ এতটা শুদ্ধ হতেহবে যেন জনগন তাদেরকে নামাযে ইমামতি করার জন্য আবদার জানায়।
39.জামায়াতের দায়িত্বশীলগনকে রাজনৈতিক নেতা হিসাবে স্থানীয় সমস্যা ও অভাব অভিযোগের ব্যাপারে কতটা সোচ্চার ও সক্রিয় হতে হবে?
উত্তরঃ এতটা সোচ্চার ও সক্রিয় হতে হবে, যাতে এলাকাবাসী তাদের নিকট ভীড় করা প্রয়োজন বোধ করে।
40.স্থানীয় নেতৃত্ব কিভাবে গড়ে তোলা যায়?
উত্তরঃ জামায়াতের পার্শ্বসংগঠন সমূহকে এলাকায় সক্রিয় করার মাধ্যমে অথবা জামায়াতের সমাজ সেবামূলক কাজকে এলাকায় সম্প্রসারিত করার মাধ্যমে।
41.
কোন বিষয়টি অধ্যাপক গোলাম আযমের কাছে বিস্ময়কর ও রহস্যজনক
মনে হয়?
উত্তরঃ যারা একবার ভালভাবে বুঝে শুনেই এ পথে এলেন এবং বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালন করলেন তারা কী করে এ পথ ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে দিব্যি দুনিয়ার দায়িত্ব পালন করেন।
42.
এমন দোয়া যা হেদায়াত পাওয়ার পর হেদায়াতের উপর কায়েম
থাকার চেষ্টা অব্যাহত রাখার তাকিদ দেয়। সেই দোয়া আরবী বা বাংলাতে উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ “হে আমাদের প্রভূ, তুমিই যখন আমাদের হেদায়াত করেছ তখন এ হেদায়াত দেবার পর আমাদের দিলে কোন বক্রতা সৃষ্টি হতে দিও না। তোমার দয়ার ভান্ডার থেকে আমাদের উপর রহমত নাযিল কর। একমাত্র তুমিই প্রকৃত দাতা।”
43.সব রকম বিচ্যুতি থেকে বাঁচার একমাত্র নিশ্চিত
গ্যারান্টি কি?
উত্তরঃ জামায়াতী জিন্দেগী।
44.
একমাত্র একটি কারণে জামায়াতের রুকনিয়াতের দায়িত্ব ত্যাগ
করা জায়েজ। তা কি?
উত্তরঃ যে উদ্দেশ্যে জামায়াতের রুকনিয়াত কবুল করা হয়েছিল, যদে সে উদ্দেশ্য হাসিল করার মতো উন্নতম কোন দ্বীনি সংগঠনের রুকন হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
45.ঈমানের জন্য নিঃসন্দেহে মারাত্মক কি?
উত্তরঃ কোন অজুহাত খাড়া করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি লাভ করার চেষ্টা করা।
46.
মাত্র ৪ মাসের ব্যবধানে দুটো করুন সম্মেলন ডাকা হয়েছিল
কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৪৬ সালে।
47.সম্মেলনে যোগদান করার চাইতে বড় কোন দ্বীনি
খেদমতে নিযুক্ত থাকলে বৈঠকাদিতে অনুপস্থিত থাকা জায়েয হবে কি না?
উত্তরঃ দায়িত্বশীলের নিকট ওযর পেশ করে অনুপস্থিত থাকার অনুমতি না নিয়ে বিনা নোটিশে অনুপস্থিত থাকা জায়েয হতে পারে না। এটা বাইয়াতের স্পিরিটের খেলাফ।
48.কোন জিনিসের চেয়ে বড় কোন দ্বীনি খেদমত
হতে পারে না?
উত্তরঃ আল্লাহ নির্দেশ পালন করার চাইতে।
49.
রুকনদের উপর যে বিরাট দ্বীনি দায়িত্ব রয়েছে, তা যোগ্যতার সাথে পালন করতে হলে কতটি
টার্গট হাসিল করার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে?
উত্তরঃ ১০টি।
50. যে ১০টি টার্গেট হাসিল জরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত
রাখতে হবে, তার প্রথম
৩টি কি কি?
উত্তরঃ ১. আল্লাহ পারেক সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক অন্তরে অনুভব করা। ২. রুকনিয়াতের হাইসিয়াত সম্পর্কে সজাগ থাকা। ৩. ইতায়াতে আমীরের হক আদায় করা।
51.
যারা আল্লাহ পাকের নিকট নিজেদের জান-মাল বেহেশতের বিনিময়ে খুশী মনে বিক্রয়
করেছেন, তারা কিসের জন্য মানসিক প্রস্তুত থাকেন?
উত্তরঃ যে কোন পরীক্ষার জন্য।
52.একমাত্র আল্লাহকে অতি নিকটে পাওয়ার
অনুভূতি সৃষ্টি হয় কখন?
উত্তরঃ পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জেলের উঁচু দেয়ালের থেবর যখন আবদ্ধ হতে হয় তখন।
53. কাদের উপর আল্লাহর ফেরেশতারা নাযিল হয়ে বলে “তোমরা ভয়
পেয়ো না ও ঘাবড়ে যেও না, বরং ঐ জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ কর যার ওয়াদা তোমাদের সাথে
করা হয়েছে।”
উত্তরঃ নিশ্চয়ই যারা আল্লাহকে একমাত্র রব হিসাবে ঘোষণা করার পর একথার উপর মযবুত হয়ে থাকে।
54.কারা সামান্য বিপদেই দিশেহারা হয় এবং এ পথ থেকে পালাবার ফিকর করে?
উত্তরঃ ইসলামী আন্দোলনের পথে যে কোন কঠিন পরীক্ষা আসতে পারে বলে যারা মন মগজে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকে না।
55. একজন রুকনের জন্য রুকনিয়াতের মান উন্নত করা সহজ হয় কখন?
উত্তরঃ যখন রুকন ‘রুকন’ হিসাবে তার মর্যাদা ও পজিশন সম্পর্কে সব সময় সজাগ ও সচেতন থাকেন।
56.আমার বিবেকের বিরুদ্ধে কিছুতেই চলব
না-এই দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাকে?
উত্তরঃ রুকনকে।
57. রুকনের কোন দূর্বলতার দরুন যদি বিবেকের বায়কে উপেক্ষা
করা হয়ে যায়, তাহলে তার জরিমান আদায় করার ব্যবস্থা করতে হবে কিভাবে?
উত্তরঃ নফল নামায, রোযা ও বাইতুল মালে ইয়ানাত দিয়ে।
58. যদি কোন সিদ্ধান্ত কোন রুকন সঠিক মনে না করেন তাহলে গঠনতান্ত্রিক
উপায়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের চেষ্টা করবেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
না হওয়া পর্যন্ত তা মেনে চলতে হবে। যদি তা না করা হয়, তাহলে কি হবে?
উত্তরঃ জামায়াতের আনুগত্য বা বাইয়াতের খেলাফ হবে।
59.জামায়াতের সুস্থতা ও শৃংখলার দাবী কি?
উত্তরঃ কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উধর্বতন জামায়াতের নিকট অভিযোগ পেশ করা যাবে। কিন্তু সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
60.মেজায ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকার
পরামর্শ দিয়ে রাসূল সা.। এ ব্যাপারে রাসূল সা. কি বলেছেন?
উত্তরঃ পাহলোয়ান ঐ ব্যক্তি নয় যে কাউকে কুস্তিতে কাবু করে। ঐ ব্যক্তিই সত্যিকার বীর যে রাগ দমন করতে পারে।
61.
সূরা আশ শুয়ারা ২১৪ নম্বর আয়াতে রাসূল সা.কে কি নির্দেশ দেয়া হয়েছে?
উত্তরঃ “আপনার নিকটাত্মীয়দেরকে সতর্ক করুন।”
62.
আমরা যারা এ পথে আছি, তাদের কি কি মানুষ তীক্ষ্ন দৃষ্টিতে লক্ষ্য
করবে?
উত্তরঃ লেবাস-পোষাক, বাহ্যিক চার-চলন থেকে শুরু করে লেন-দেন, ওয়াদা পালন, আচার ব্যবহার ও গোটা চরিত্র পর্যন্ত মানুষ লক্ষ্য করবে।
63.জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াত কখন সাফল্যের
প্রমাণ দেবে?
উত্তরঃ যখন জামায়াতের রুকনগনর মানবিক গুণ সমাজে স্বীকৃতি পাবে।
64.
যে সব রুকনের মান অবনতি হয়, তার প্রধান দায়ী বিষয় কি?
উত্তরঃ রুকনিয়াতের মর্যাদা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব।
65.জামায়াতের গঠনতন্ত্র রুকনদের উপর যে সব
সাংগঠনিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব অর্পণ করে, তার প্রথম দুইটি কি কি?
উত্তরঃ ১. কেন্দ্রীয় আমীর সহ সংগঠনের সকল স্তরে একমাত্র রুকনদের ভোটেই আমীর নির্বাচিত হয়। ২. কেন্দ্রীয় মসলিসে শুরু থেকে শুরু করে সর্বস্তরে শুরা সদস্যগণ রুকনদের প্রতিনিধি হিসাবে তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়।
66.
জামায়াতের গঠনতন্ত্র রুকনদের উপর যে সব সাংগঠনিক ক্ষমতা
ও দায়িত্ব অর্পণ করে, তার শেষ দুইটি কি কি?
উত্তরঃ ৩. সকল স্তরে রুকন সম্মেলনই সকল বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা রাখে। আমীর, কর্মপরিষদ ও মাজলিসে শুরার যে কোন সিদ্ধান্ত রুকন সম্মেলন নাকচ করা অধিকারী। ৪. গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জামায়াতের কেন্দ্রীয় রুকন সম্মেলনই সংগঠনের সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী।
67.জামায়াতে ইসলাম কেন ক্ষমতায় যেতে চায়?
উত্তরঃ আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠা অর্থাৎ কুরআন সুন্নাহর ভিত্তিতে একটি ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্র কায়েমের জন্য।
68.অতীতে ইসলামের নামে যারা ক্ষমতায় গিয়েছে
তারা ইসলাম কায়েম করতে সক্ষম হয়নি বরং ইসলামের নামে ভূর প্রতিনিধিত্ব করেছে। তার কারণ কি?
উত্তরঃ তাদের হাতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার উপযোগী লোক ছিল না।
69. জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় লক্ষ লক্ষ লোকের মধ্য থেকে বাছাই করে যে রুকন করা হয় এটা কিন্তু আসল বাছাই নয়। তাহলে আসল বাছাই কোনটি?
উত্তরঃ আসল বাছাই আল্লাহ তায়ালঅ স্বয়ং করেন। ঐ বাছাইতে যারা টিকে তারাই খাঁটি রুকন।
70. রুকনিয়াতের শপথ নেয়ার সময় আল্লাহকে সাক্ষী রেখে
আল্লাহর বান্দাহদের সামনে একজন রুকন কি ঘোষনা করেন, আরবীতে বলুন অথবা তার বাংলা অর্থ বলুন।
উত্তরঃ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ - আমার নামায, আমার ইবাদত, আমার হায়াত ও আমার মওত আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য।
71.
আল্লাহ কিভাবে পরীক্ষা করেন, তা কুরআনর আয়াত দিয়ে দলীল দিন
(বাংলা বা আরবীতে)।
উত্তরঃ وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ - আমি অবশ্যই ভয়, ক্ষুধা, জান ও মালের ক্ষতি এবং ফসলাদির (আয় রোযগারের) কমতি দ্বারা তোমাদের পরীক্ষা করবো।
72.পরীক্ষায় কারা ফেল করে?
উত্তরঃ যারা একথা ভুলে যায় যে বিপদ আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে এবং আল্লাহর বিনা অনুমতিতে আসেনি।
0 Comments