প্রশ্নোত্তরঃ যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলন-একেএম নাজির আহমদ
1.
চল্লিশ বছরের ইসলামের সোনালী যুগ বলা হয় কোন
সময়কালকে?
উত্তরঃ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সা. এর শাসনাধীন ১০ বছর এবং
খিলাফত আলা মিনহাজিন নাবুওয়াতে ত্রিশ বছর-এই চল্লিশ বছর সময়কালকে।
2. খৃষ্টীয় কত সনে মুহাম্মদ সা. মদীনা মুনাওয়ারাতে ইসলামী রাষ্ট্র গড়ে তুলেন এবং কত খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত তা পরিচালনা করেন?
উত্তরঃ খৃষ্টীয় ৬২২ সনে শুরু এবং ৬৩২ সন পর্যন্ত।
3. কোন খলিফা দুই বছর তিন মাস দশ দিন রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
উত্তরঃ হযরত আবু বকর রা.
4. হযরত উমর রা. কতদিন রাষ্ট্র পরিচালনা করেন?
উত্তরঃ দশ বছর ছয় মাস চার দিন।
5. ১২দিন কম ১২ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেন ইসলামের কোন খলিফা?
উত্তরঃ হযরত উসমান রা.
6. হযরত আলী রা. কার পরে খলিফা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং কত দিন পালন করেন?
উত্তরঃ হযরত উসমান রা. এর পর চার বছর নয় মাস।
7. ইসলামের স্বর্ণ যুগে মাত্র ছয় মাস রাষ্ট্র পরিচালনা করেন কোন শাসক?
উত্তরঃ হযরত হাসান ইবনে আলী রা.
8. মুসলিম উম্মাহ অন্তর্বিরোধের শিকার হয় কার শাহাদাতকে কেন্দ্র করে?
উত্তরঃ হযরত উসমান ইবনু আফ্ফান রা. এর শাহাদাতকে কেন্দ্র করে।
9. মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. ও আল খুলাফাউর রাশিদুনের শাসনকালে কি ছিল রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান?
উত্তরঃ আশশূরা।
10. কোন ধরণের শাসন কায়েম হবার পর আশ শূরা থেকে ক্রমশ দীনী নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব পৃথক হয়ে যায়?
উত্তরঃ রাজতান্ত্রিক শাসন কায়েম হবার পর।
11. খিলাফত আলা মিনহাজিন নাবুওয়াত থেকে সরে যাওয়ার বিরুদ্ধে সর্ব প্রথম আওয়াজ তোলেন কে?
উত্তরঃ আল হুসাঈন ইবনু আলী রা.
12. আল হুসাইন ইবনু আলী রা.কে ইয়াযিদের পক্ষে বাইয়াত গ্রহণের আহবান জানানো হলে তিনি কি কারণে অস্বীকৃতি জানান?
উত্তরঃ কারণ, ইয়াযিদের নিকট বাইয়াত গ্রহণের অর্থ ছিল খিলাফাত আলা মিনহাজিন নাবুওয়াত থেকে বিচ্যুতিকে স্বীকৃতি দেওয়া।
13. হযরত হুসাইন ইবনু আলী রা. এর হত্যার হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে কত সনে?
উত্তরঃ খৃষ্টীয় ৬৮৯ সনে বা হিজরী ৬১ সনে।
14. বানু উমাইয়ার অষ্টম খলিফা কে ছিলেন?
উত্তরঃ উমার ইবনু আবদিল আযীয রাহি.
15. বনু উমাইয়ার ৭ম খলিফা ছিলেন সুলাইমান ইবনু আবদিল মালিক। তার ছেলেরা ছিল ছোট ছোট। তাই তার পরবর্তী খলিফা কে হবে, এই মর্মে তিনি একটি গোপন ওয়াছিয়াতনামা লিখে গচ্ছিত রেখে যান। সেই ওয়াছিয়াতনামাতে কি লেখা ছিল?
উত্তরঃ তাঁর ওফাতের পর উমার ইবনু আবদিল আযীয় খালীফা হবেন এবং তাঁর ওফাতের পর খালীফা হবে ইয়াযিদ ইবনু আব্দুল মালিক।
16. “আমার ওপর রাষ্ট্র পরিচালনার ভার অর্পন করে আমাকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে। আমি এটা চাইনি। এই ব্যাপারে আমার মতও নেওয়া হয়নি। আপনাদের ঘাড়ে আমার আনুগত্যের যেই রজ্জু পরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা আমি খুলে দিচ্ছি। এখন আপনার যাকে ইচ্ছা তাকেই আপনাদের আমীর বানাতে পারেন।” এই কথা গুলো কে বলেছিলেন, কখন বলেছিলেন?
উত্তরঃ উমার ইবুন আবদিল আযীয রাহি. বলেছিলেন, তার অভিষেক অনুষ্ঠানে সমবেতদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে।
17. উমার ইবনু আবদিল আযীয রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে প্রদত্ত ভাষণে বলেনঃ আসলে রব, নবী ও কিতাবের ব্যাপারে উম্মাহর মধ্যে বিরোধ নেই। তার মতে বিরোধ তাহলে কোন ব্যাপারে ছিল?
উত্তরঃ শুধু দীনার-দিরহামের ব্যাপারে।
18. “যেই ব্যক্তি আল্লাহ আনুগত্য করে, তার আনুগত্য করা ওয়াজিব। আর যেই ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্য করেনা, তার জন্য কোন আনুগত্য নেই। যতোক্ষণ আমি আল্লাহ আনুগত্য করি, ততোক্ষণ আপনারা আমার আনুগত্য করবেন। আর আল্লাহর অবাধ্যতা করলে, আমার আনুগত্য করা আপনাদের জন্য ওয়াজিব নয়।” এই উক্তিটি কার?
উত্তরঃ উমার ইবনু আবদিল আযীয রাহি.
19. বনু উমাইয়ার কোন শাসক নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করে দেন?
উত্তরঃ উমার ইবনু আবদিল আযীয রাহি.
20.কোন শাসক রাষ্ট্রীয় ভাবে হাদীস সংগ্রহ ও একত্রিত করার অভিযান শুরু করার জন্য একদল বিশেষজ্ঞের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেন?
উত্তরঃ উমার ইবনু আবদিল আযীয রাহি.
21. উমার ইবনু আবদিল আযীয় রাহি. খৃষ্টীয় কত সনে কোথায় শাহাদাত বরণ করেন?
উত্তরঃ ৭২০ সনে দামিসকে।
22. হাদীছ বিশারদদের একদল ছিলেন সংগ্রাহক, অপর দল ছিলেন বিশ্লেষক। ইমাম আবু হানিফা কোন দলের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন?
উত্তরঃ বিশ্লেষক দলের।
23.কত সনে বানু উমাইয়া খিলাফতের অবসান ঘটে?
উত্তরঃ খৃষ্টীয় ৭৫৯ সনে।
24. কত সানে বানুল আব্বাসের খিলাফতের সুচনা হয়?
উত্তরঃ খৃষ্টীয় ৭৫৯ সনে।
25.রাষ্ট্রীয় দর্শনের অন্যতম মৌলিক বিষয় কি?
উত্তরঃ সার্বভৌমত্ব।
26. আবু হানিফার কয়েক হাজার ছাত্র ছিলেন। তার মধ্যে বিশিষ্টতা লাভ করেছিলেন কতজন?
উত্তরঃ ৩৬ জন।
27.কে ইমাম আবু হানিফাকে বিচারপতির পদ গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন? প্রস্তাব গ্রহণ না করায় তাঁকে কি শাস্তি প্রদান করা হয়?
উত্তরঃ প্রস্তাব দেনঃ ইরাকের গভর্ণর ইয়াযিদ ইবনু আমার ইবনু হুবাইরা। শাস্তি ছিলঃ প্রতি দিন ১০টি করে ১১ দিনে মোট ১১০টি চাবুক মারা।
28.বিচারপতির হওয়ার জন্য কে ইমাম আবু হানিফাকে প্রস্তাব দেন এবং সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করায় তাকে বন্দি করা হয়?
উত্তরঃ বানুল আববাস খলীফ আল মানছুর।
29. ইমাম আবু হানিফা কত সনে কোথায় কোন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন?
উত্তরঃ ৭৬৭ সনে বাগদাদে বন্দি অবস্থায়।
30. ইমাম মালিক ইবনু আনাস রাহি. কখন এবং কোথায় জন্ম গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ খৃষ্টীয় ৭১৪ সরেন মদীনায় জন্ম গ্রহণ করেন।
31. ইমাম মালিক রাহি. কোন শাসকের শাসনামলে ইনতিকাল করেন?
উত্তরঃ খলিফা হারুনুর রশীদের শাসনামলে।
32.ইমাম মালিকের হাদীস সংকলনের নাম কি?
উত্তরঃ আলমুওয়াত্তা।
33. কাকে ‘আন নাফসুয যাকিয়া’ বলা হতো? তিনি কার বংশীয় ব্যক্তি ছিলেন?
উত্তরঃ মুহাম্মদ ইবনু আবদিল্লাহ, যিনি আল হাসান ইবনু আলী রা. বংশীয় ব্যক্তি ছিলেন।
34.কোন অভিযোগে ইমাম মালিককে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে কার নির্দেশে কি শাস্তি প্রদান করা হয়?
উত্তরঃ মুহাম্মদ ইবনু আবদিল্লাহর খিলাফাত আলা মিনহাজিন নাবুওয়াত প্রতিষ্ঠার কাজে সমর্থন দানের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। মদীনার গভর্ণরের নির্দেশে কার পিঠে চাবুক মারা হয়।
35. ইমাম মালিক কত সনে মৃত্যু বরণ করণে?
উত্তরঃ ৭৯৮ সনে।
36.ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রাহি. কত সনে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ৭৮০ সনে, বাগদাদে।
37. খলিফা আল মামুন গ্রীক ভাষা ও সংস্কৃত ভাষায় লিখিত গ্রন্থ সমুহ সংগ্রহ করে দুইজন ব্যক্তিকে আরবী ভাষায় অনুবাদের দায়িত্ব প্রদান করেন। এই দুই ব্যক্তির নাম কি কি?
উত্তরঃ গ্রীক-কোষ্টা নামক ব্যক্তি এবং সংস্কৃত-দুবান নামক ব্যক্তি।
38. মুতাযিলাবাদের প্রবর্তক কে ছিলেন? তিনি কার ছাত্র ছিলেন?
উত্তরঃ ওয়াসল ইবনু আতা, তিনি আল হাসান আল বাছরী রাহি. এর ছাত্র ছিলেন।
39.মুতাযিলাদের ৬টি ভ্রান্ত মতবাদ কি কি?
উত্তরঃ ১. আল কুরআন একটি সৃষ্ট বস্তু। ২. মানুষের কার্যাবলী সম্বন্ধে কোন চিরস্থায়ী বিধি নেই। ৩. আসমানী অনুশাসন গুলোও পরিবর্তনের অধীন। ৪. আখিরাতে মানুষের শারীকির পূনরুত্থান হবে না। ৫. জান্নাতে আল্লাহকে মানবীয় চোখে দেয়া যাবে। ৬. ইসলামী আইনের উৎস আল হাদীস ও আল ইজমা প্রায় বাতিল বলে গন্য।
40.কোন চিন্তার বিভ্রান্তিকে রুখে দেওয়ার জন্য ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল মাথা উঁচু করে দাঁড়ান?
উত্তরঃ মুতাযিলা চিন্তার বিভ্রান্তি।
41. আল কুরআন সম্পর্কে ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল এর মত কি?
উত্তরঃ আল কুরআন সৃষ্ট বস্তু নয়, এটি আল্লাহর চিরন্তন বাণী।
42. ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল এর মতে আল কুরআন ও আল হাদীসের পর আছহাবে রাসূলের অভিমতকে গ্রহণ করতে হবে। তার কারণ কি?
উত্তরঃ কারণ, আসহাবে রাসূল পরবর্তী কালের লোকদের তুলনায় আল কুরআন ও আল হাদীছে অনেক বেশী পারদর্শী ছিলেন এবং তাঁরা পূর্ণ নিষ্ঠার সাতে আল কুরআন ও আল হাদীছের নির্দেশগুলো অনুসরণ করতেন।
43.মুসনাদে আহমাদ কে সংকলন করেন? এর সংকলিত হাদীস সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল। হাদীস সংখ্যা ২৯ হাজার।
44. ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল কত সনে কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তরঃ ৮৮৫ সনে, বাগদাদে।
45.ইমাম ইবনে তাইমিয়ার পুরো নাম কি?
উত্তরঃ তাকী উদ্দিন আবুল আব্বাস আহমাদ ইবনু আবদিল হালিম ইবনু তাইমিয়া রাহি.
46. চেংগিস খানের পুত্রদের নাম কি?
উত্তরঃ মংগু খান ও হালাকু খান।
47.বাগদাদের ২০ লাখ অধিবাসীদের ১৬ লাখকেই হত্যা করেন কে?
উত্তরঃ চেংগিস কাণের পুত্র হালাকু খান।
48.ইমাম ইবনে তাইমিয়া কতসনে কোথায় জন্ম গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১২৬৩ সনে সিরিয়ার হাররান শহরে।
49. ১৩০২ সনে তাতারদের নেতা কাজান কর্তৃক সিরিয়া ও মিসর দখলের বিরুদ্ধে সুলতান আল মালিকুন নাছির মুহাম্মদ ইবনু কালাউনকে আল জিহাদের প্রেরণায় উজ্জীবিত করেন কে?
উত্তরঃ ইমাম ইবনে তাইমিয়া।
50. ইমাম ইবনে তাইমিয়া রচিত তাফসির গ্রন্থের নাম কি? তার খন্ড সংখ্যা কত?
উত্তরঃ আল বাহরুল মুহীত, খন্ড সংখ্যা-৪০
51. ইবনে তাইমিয়া রাহি. আল কুরআন ও আল হাদীছের আক্ষরিক অর্থকে প্রাধান্য দিতেন। কোন পদ্ধতিকে ঘৃণা করতেন?
উত্তরঃ টেনেটুনে অর্থ বের করাকে ঘৃণা করতেন।
52.আল্লাহর রাসূলের প্রতি ঈমান আনার তাৎপর্য বুঝাতে গিয়ে ইমাম ইবনে তাইমিয়া কি বলেন?
উত্তরঃ রাসূলের প্রতি মানুষকে অবশ্যই এমন ঈমান আনতে হবে যাতে কোন শর্ত যোগ হবে না।
53. ইমাম ইবনে তাইমিয়ার মতে চরম স্ব-বিরোধিতা, বুদ্ধিভ্রষ্টতা ও ধর্মহীনতা কি?
উত্তরঃ যেই ব্যক্তি নিজের আকল-বুদ্ধির সম্মতি সাপেক্ষে রাসূলেল কথা বিশ্বাস করে এবং আকল ও যুক্তির অনুমোদন না পেলে রাসূলের কথা প্রত্যাখ্যান করে অর্থাৎ বুদ্ধি ও যুক্তিকেই রাসূলের বক্তব্যের মুকাবিলায় প্রাধন্য দেয়, আবার রাসুলের প্রতি ঈমান পোষনের দাবী করে।
54.রাসূলুল্লাহ সা. ও আছহাবে রাসূল কোন গানের আসর বসাতেন না। তবে বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে দফ বাজিয়ে মেয়েদের কিছু গাওয়াকে রাসূল সা. অনুমোদন দিয়েছেন। - এই উক্তিটি কার?
উত্তরঃ ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহি. এর
55. ইবনু তাইমিয়া রাহি. বলেছেনঃ “রাষ্ট্রের নেতৃত্ব জনগনের রায়ের ভিত্তিতে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। এর মানে কি?
উত্তরঃ অর্থাৎ জনগন যখন কারো হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে তখন তিনি রাষ্ট্র প্রধান হতে পারেন, পূর্ববর্তী কোন পদাধিকার বলে নয়।
56.ইমাম ইবনে তাইমিয়ার দৃষ্টিতে রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভের উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ আল্লাহর আনুগত্য, ইকামাতুদ দীন এবং শাসিতদের কল্যাণ সাধন।
57. ইমাম ইবুন তাইমিয়া কত খৃষ্টাব্দে কোথায় মৃত্যু বরণ করনে?
উত্তরঃ ১৩২৮ খৃষ্টাব্দে দামিসকে।
58. শায়খ আহমাদ সরহিন্দি এর পুরো নাম কি? তিন কত সনে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ পুরো নামঃ আবুল বারাকাত বাদরুদ্দীন আহমদ সরহিন্দি। তিনি ১৫৬৩ সনে ভারতের পূর্ব পাঞ্জাবের পাতিয়ালা রাজ্যের সরহিন্দ নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করেন।
59.ভক্তিবাদ এর মুল কথা কি?
উত্তরঃ “ধর্মীয় আচার নয়, ভক্তিতেই মুক্তি।”
60.আলফিয়াহ মতবাদের বক্তব্য কি ছিল?
উত্তরঃ ইসলাম এসছিল এক হাজার বছরের জন্য। এক হাজার বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। এখন নতুন দীনের প্রয়োজন।
61. সম্রাট আকবর ১৫৮২ সনে যে নতুন ধর্মের প্রবর্তন করেন, তার নাম কি? এই ধর্মের কালিমা কি ছিল?
উত্তরঃ নতুন ধর্মের নামঃ দীনে ইলাহী। তার কালিমা ছিলঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আকবারো খালীফাতুল্লাহ।
62. সম্রাট আকবরের দরবারে কুর্নিশ করার সময় দূটি শব্দ বলা হতো। তা কি কি?
উত্তরঃ ‘দিল্লীশ্বরোবা’ ও ‘জগদীশ্বরোবা’।
63.শায়খ আহমাদ সরহিন্দ কত বছর বয়সে সম্রাট আকবরের দীনে ইলাহীর বিরোধীতা শুরু করেন?
উত্তরঃ ১৯ বছর বয়সে।
64. সম্রাট আকবার মারা যান কত সনে?
উত্তরঃ ১৬০৫ সনে।
65.ইসলামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরে এবং তা অনুসরণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে সম্রাট, শাহজাদা, সম্রাটের পরিষদ ও সেনাপতিদের নিকট প্রায় ৫০০ দাওয়াতী চিঠি লিখেছিলেন কে?
উত্তরঃ শায়খ আহমাদ সরহিন্দি।
66. শায়খ আহমাদ সরহিন্দি সম্রাট জাহাঙীরের রাজ প্রাসাদে পৌছলে তাকে বলা হলোঃ সম্রাটকে কুর্ণিশ করুন। জবাবে তিনি কি বলেছিলেন?
উত্তরঃ “মুমিনের মাথা তো আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে নত হয় না।”
67.শায়খ আহমাদ সরহিন্দি কত সালে মৃত্যু বরণ করেন?
উত্তরঃ ১৬২৪ সালে।
68.কোন সম্রাট দিল্লী জামে মসজিদ ও লাহোর জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ সম্রাট শাহজাহান।
69. আওরঙ্গজেব কত সালে সম্রাট হোন?
উত্তরঃ ১৬৫৮ সালে।
70. শায়খ আহমাদ সরহিন্দি এর সেরা ছাত্র কে ছিলেন? তার পুরো নাম কি?
উত্তরঃ মোল্লা জীওয়ান। পুরো নামঃ আহমাদ ইবনু আবি সায়ীদ ইবনু উবাইদুল্লাহ।
71. কোন সম্রাটে নির্দেশে একদল বিশিষ্ট ইসলামী বিশেষজ্ঞ ‘ফতওয়া-ই-আলমগীরী’ নামক গ্রন্থ রচনা করেন?
উত্তরঃ সম্রাট আওরঙ্গজেব।
72.সম্রাট আওরঙ্গজেব জনগনের কল্যাণ বিবেচনা করে কত প্রকারের ট্যাকস রহিত করেন?
উত্তরঃ আশি প্রকারের।
73. শাহ ওয়ালী উল্লাহ রাহি. এর পুরো নাম কি?
উত্তরঃ আবুল ফাইয়াদ আহমাদ কুতবুদ্দীন শাহ ওয়ালী উল্লাহ
74.শাহ ওয়ালী উল্লাহ কত সালে কোন সময়ে কোন সম্রাটের শাসনামলে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১৭০৩ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেব এর শাসনকালের একেবারে শেষ ভাগে দিল্লীতে জন্ম গ্রহণ করেন।
75. আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শাহ ওয়ালীউল্লাহ রাহি.কে কোন অসাধরণ যোগ্যতা দান করেছিলেন?
উত্তরঃ সমাজ বিশ্লেষণ করার এবং চিন্তা-চেতনার ভ্রান্তি চিহ্নিত করার যোগ্যতা দান করেছিলেন।
76.মুসলিম উম্মাহর সামগ্রিক অবক্ষয়ের প্রাধণ করারণ ছিল ‘খিলাফাত আলা মিনহাজিন নাবুওয়াত’ থেকে বিচ্যুতি-এর মুল বিষয়টি বুঝতে কার একটুও কষ্ট হয়নি?
উত্তরঃ শাহ ওয়ালিউল্লাহ রাহি. এর।
77. শাহওয়ালীউল্লাহ মুসলিম উম্মার চিন্তার বিশুদ্ধি সাধনের জন্য কলম ধরেন। তিনি কাদেরকে কিসের দিক নির্দেশনা দিতে কলম ধরেন?
উত্তরঃ শাসকশ্রেণী, পরিষদবৃন্দ, সেনাপতিবৃন্দ, আলিম-সমাজ, সুখী সমাজ এবং জনগনকে কুরআন সুন্নাহপর নিরিখি দিক নির্দেশনা দিতে।
78. শাহ ওয়ালীউল্লাহ একদল লোক তৈরী করেন, যাদের যোগ্যতা কি ছিল?
উত্তরঃ মুসলিম উম্মাহকে বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা।
79.শাহ আব্দুল আযীয দেহলবী কে ছিলেন?
উত্তরঃ শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলভীল পুত্র
80. ‘তারগীরে মুহাম্মাদীয়া’ নামক সংগঠন কখন গড়ে উঠে? প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কে ছিলেন?
উত্তরঃ ১৮১৮ সানে। শাহ আব্দুল আযীয দেহলবী।
81. সামাহ-কে কেন্দ্র করে একটি রাষ্ট্র অস্তিত্ব লাভ করে। সেই রাষ্ট্রে ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী পরিচালনা শুরু করেন কে?
উত্তরঃ সাইয়েদ আহমদ বেরেলভী।
82.সাইয়েদ আহমদ বেরেলভী কত তারিখে কোথায় শাহাদাত বরণ করেন?
উত্তরঃ ১৮৩১ সনের ৬ই মে বালাকোট নামক স্থানে।
83. সাইয়েদ আহমদ বেরেলভীর পর তারগীবে মুহাম্মাদীয়র আমীর কে হোন? তখন এর সদর দফতর কোথায় স্থাপিত হয়?
উত্তরঃ মৌলভী বেলায়েত আলী; বিহার প্রদেশের পাটনাতে।
84.১৮৪৫ সালে মৌলভী বেলায়েত আলী এর ভাই মৌলভী ইনায়েত আলী ফতেহগড় নামক স্থানকে কেন্দ্র করে একটি রাষ্ট্র গড়ে তোলেন। ফতেহগড়ের নাম পরিবর্তন করে কি রাখা হয়?
উত্তরঃ ইসলামগড়।
85. ফতেহগড় বা ইসলামগড়ের আমীরুল মুমিনীল নির্বাচিত হোন কে এবং কখন?
উত্তরঃ মৌলভী বেলায়েত আলী; ১৮৪৬ সনের ৯ই অক্টোবর।
86.আমবালা ট্রায়াল কখন অনুষ্ঠিত হয়? এই ট্রায়ালে কাকে কাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। পরে মৃত্যু দন্ড না দিয়ে কি করা হয়?
উত্তরঃ ১৮৪৬ সালের ২রা মে। মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়ঃ মৌলভী ইয়াহইয়া আলী, মুহাম্মদ জাফর থাকেশ্বরী এবং মুহাম্মদ শাফীকে। পরে দন্ড পরিবর্তন করে তাদেরকে সারা জীবনের জন্য আন্দামান দ্বীপে নির্বাসনে পাঠানোর হয়।
87. শায়খ মুহাম্মদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব কখন জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১৭০৪ সনে।
88. কিতাবুত তাওহীদ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ কে রচনা করেন?
উত্তরঃ শায়খ মুহাম্মদ ইবুন আবদিল ওয়াহহাব রাহি.
89.শায়খ মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব কত সনে মুহাম্মদ ইবনুস সাউদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তখন মুহাম্মদ ইবনুস সাউদ কোথাকার শাসক ছিলেন এবং তার পদবী কি ছিল?
উত্তরঃ ১৭৪৫ সনে; দিরাইয়াহর আমীর ছিলেন।
90.আমি আল্লাহ ওলীগণের কারামাত ও কাশফের কথা স্বীকার করি। কিন্তু তাঁদের কাউকে প্রভূত্বের অধিকারী ও ইবাদাতযোগ্য মানি না।– এই কথাগুলো কে বলেছেন?
উত্তরঃ শায়খ মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব রাহি.
91. আমি ফাসিক নেতার পতাকাতলে সমবেত হয়ে জিহাদ করা এবং তাদের জামায়াতে ছালাত আদায় করা জায়েজ মনে করি। আমি দাজ্জালের পতন না হওয়া পর্যন্ত তলোয়ারের জিহাদ বিধান বলবৎ ও ফারয মনে করি। - কে এই কথা গুলো বলেছেন?
উত্তরঃ শায়খ মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব রাহি.
92. শায়খ মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব রাহি. কেবলমাত্র কাদেরকে কাফির বলে থাকেন?
উত্তরঃ যেই ব্যক্তি জেনে বুঝে ইসলাম পরিহার করে কিংবা রাসুলুল্লাহ সা. এর বিরুদ্ধে কটুক্তি করে এবং তাঁর অনুসরণে বাধা দেয়।
93.শায়খ মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহার আমীল মুহাম্মদ ইবনুস সাউদ এর উপদেষ্টা নিযুক্ত হওয়ার পর মুহাম্মদ ইবনুস সাউদ রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। আর শায়খ মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল ওয়াহহাব কি করতেন?
উত্তরঃ ব্যক্তি গঠনের কাজ করতেন।
94. আমীর আবদিল আযীয় ইবনু মুহাম্মদ ইবনু সাউদ কার হামলার শিকার হয়ে শাহাদাত বরণ করেন এবং কখন?
উত্তরঃ একজন শিয়া আততায়ীর হামলার শিকার হয়ে, ১৮০৩ সালে।
95. ‘আল মামলুকাতুল আরাবীয়া আস সাউদীয়া’ কখন গঠিত হয়, কে গঠন করেন?
উত্তরঃ ১৯২৬ সালে; আব্দুল আযীয ইবনু আবদির রাহমান ইবনুল ফায়সাল ইবনু সাউদ।
96. ১৯২৬ সালে আধুনিক সাউদী আরব গঠনের পর আস সাউদ বংশের লোকেরা রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। শিক্ষা ও বিচার বিভাগ কারা পরিচালনা করেন?
উত্তরঃ শায়খ মুহাম্মদ ইবনু আবদিল ওয়াহহাব এর বংশধরেরা।
97.শায়খ হাসানুল বান্না কখন কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১৯০৬ সনে মিশরের মাহমুদিয়া শহরে।
98.আল ইখওয়ানুল মুসলিমুন সংগঠনটি কত সালে গঠিত হয়? প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য কতজন ছিলেন?
উত্তরঃ ১৯২৮ সালে; ৭ জন।
99. আল ইখয়ানুল মুসলিমুন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কয়জন এবং কারা?
উত্তরঃ ৭জন। ১. শায়খ হাসানুল বান্না। ২. হাফিজ আব্দুল হামিদ। ৩. আহমাদ আল হাসরী। ৪. ফুয়াদ ইব্রাহীম। ৫. আব্দুর রহমান হাসবুল্লাহ। ৬. ইসমাঈল ইযয। ৭. যাকী আল মাগরিবী।
100. ইসলামী সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আল জিহাদের প্রধান কাজ কি?
উত্তরঃ আদ দাওয়াতু ইলাল্লাহ।
101. আল ইখওয়ানুল মুসলিমুন এর মহিলা শাখার নাম কি?
উত্তরঃ আল আখাওয়াত আল মুসলিমাত।
102. দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ কখন শুরু হয়?
উত্তরঃ ১৯৩৯ সালে।
103. দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ ইংল্যান্ড চাচ্ছিল মিসর তার পক্ষে যুদ্ধ নামুক। মিশর ইংল্যান্ডের পক্ষে যুদ্ধ নামার অর্থ কি ছিল?
উত্তরঃ মিশরের ইংলেন্ডের পক্ষে যুদ্ধে নামার অর্থ ছিল তুর্কীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা তথা রণাংগনে মুসলিম সৈন্যরা মুসলিম সৈন্যদেরকেই হত্যা করা।
104. মিশরের প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান সেনাপতি ইংল্যান্ডের পক্ষ হয়ে মিশরকে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার পক্ষে ছিলেন না। তদানিন্তন কিং ফারুককে চাপের মাধ্যমে নতি স্বীকার করিয়ে কিভাবে তারা মিশরকে যুদ্ধে নামায়?
উত্তরঃ কিং প্রধান সেনাপতিকে দীর্ঘ ছুটিতে পাঠান এবং প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করেন।
105. ১৯৪০ সালে কোন অপরাধে শায়খ হাসানুল বান্নাকে গ্রেফতার করা হয়?
উত্তরঃ মিশর ইংরেজদের পক্ষে দ্বিতীয় যুদ্ধে নামার প্রতিবাদ করায়।
106. জাতিসংঘের নিরাপত্ত পারষদে ফিলিস্তিন বিভক্তকরণ প্রস্তাব তথা ফিলিস্তিনের বুকে একটি ইয়াহুদী রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় কখন?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাসে।
107. কোন তারিখে প্রথম আল ইখওয়ানুল মুসলিমুনকে বে-আইনী ঘোষণা করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৪৮ সালের ৮ই ডিসেম্বর।
108. শায়খ হাসানুল বান্না কত তারিখে শাহাদাত বরণ করেন?
উত্তরঃ ১৯৪৯ সনের ১২ই ফ্রেব্রুয়ারী।
109. শায়খ হাসানুল বান্নার শাহাদাতের পর আল ইখওয়ানুল মুসলিমুন এর মুর্শিদে আম কে হোন?
উত্তরঃ হাসান আল হুদাইবি।
110. ১৯৫২ সালের সামরিক অভ্যত্থানের পর মিশরের প্রেসিডেন্ট কে হোন?
উত্তরঃ জামাল আবদুন নাসের।
111. সাইয়েদ কুতুব, মুহাম্মদ হাওয়াশ ও আব্দুল ফাত্তাহ ইসমাঈলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদ করা হয় কত তারিখে?
উত্তরঃ ১৯৬৬ সালের ২৯শে আগষ্ট।
112.উসমানী খলিফা দ্বিতীয় আব্দুল হামীদের শাসনকালে তুর্কির বিতলিস অঞ্চলের নূরস নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কে এবং কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তরঃ বাদিউযযামান সাঈদ নুরসী; ১৮৭৭ সালে।
113. বৃটিশ পার্লামেন্টে প্রদত্ত সেক্রেটারী ফর কলোনীজ মিঃ জর্জ গ্ল্যাডস্টোন তার ভাষণে কি বলেন?
উত্তরঃ “যতদিন মুসলিমদের হাতে আল কুরআন থাকবে, আমরা তাদেরকে বশ করতে পারবো না। হয় আমাদেরকে তাদের কাছ থেকে এটি ছিনিয়ে নিতে হবে অথবা তারা যেন এর প্রতি ভালবাসা হারিয়ে ফেলে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
114. মিঃ গ্ল্যাডস্টোনের ভাষণে সাঈদ নুরসী সজাগ হয়ে কি সংকল্প ব্যক্ত করেন?
উত্তরঃ আমি প্রমাণ করবো এবং দুনিয়াকে দেখাবো যে আল কুরআন মৃত্যুহীন এবং নিভিয়ে ফেলা যায় না এমন এক সূর্য।
115. “আমার যদি এক হাজার জীবন থাকতো, আমি শরীয়ার এক একটি অংশের জন্য আমার জীবনগুলো কুরবান করে দিতাম। কারণ শরীয়াই হচ্ছে সমৃদ্ধি, কল্যাণ, সুবিচার ও সততার পথ।” এই কথা গুলো কে বলেছিলেন?
উত্তরঃ বদীউযযামান সাঈদ নুরসী।
116. “যালিম হয়ে বাঁচার চেয়ে মাযলুম হয়ে মৃত্যুবর|ণ করা উত্তম।” এই উক্তিটি কার?
উত্তরঃ বদীউযযামান সাঈদ নুরসী।
117. প্রথম মহাযুদ্ধ কখন শুরু হয়?
উত্তরঃ ১৯১৪ সালে।
118. প্রথম মহাযুদ্ধে একপক্ষে ছিল বৃটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া। অন্য পক্ষে কারা ছিল?
উত্তরঃ জার্মান ও তুর্কী।
119. কত সালে মুস্তাফা কামার পাশা উসমান খিলাফতের বিলুপ্তি ঘোষণা করেন?
উত্তরঃ ১৯২৪ সালে।
120. তুর্কির কোন শাসক সে দেশে পর্দা প্রথা বিলোপ সাধন করেন, সহ-শিক্ষা প্রবর্তন করেন, ইসলামী শিক্ষা বন্ধ করে দেনে, আরবীতে আযান দেওয়া নিষিদ্ধ করেন, আরবী বর্ণমালার পরিবর্তে ল্যাটিন বর্ণমালা চালু করেন, পাগড়ি ও ফেজ টুপি নিষিদ্ধ করে হ্যাট পরিধান বাধ্যতা মূলক করেন এবং সালাম দেওয়া নিষিদ্ধ করেন?
উত্তরঃ কামাল পাশা।
121. আল কুরআনের শ্রেষ্টত্ব, বলিষ্ঠতা এবং কল্যাণময়তা মানুষের সামনে তুলে ধরতে সাঈদ নুরসী কোন পুস্তিকা রচনা করেন?
উত্তরঃ রিসালা-ই-নুর।
122. রিসালা-ই-নুর নামক সিরিজ পুস্তিকার মোট খন্ড সংখ্যা কত ছিল?
উত্তরঃ ১৩০টি।
123. ইসলাম বিদ্বেষী সরকারের শাসনকালে সাঈদ নুরসীর পুস্তিকা রিসালা-ই-নুর মুদ্রনের কোন সুযোগ ছিল না বলে তার ছাত্ররা লিখে নিয়ে কপি করতেন। সর্বশেষ তার কপি সংখ্যা কততে পৌছে?
উত্তরঃ ৬ লাখ।
124. সাঈদ নুরসী কত তারিখে মৃত্যু বরণ করেন?
উত্তরঃ ১৯৬০ সালের ২৩শে মার্চ।
125. আধুনিক তুর্কির ইসলামী নব জাগরণের প্রধান পথিকৃৎ কে ছিলেন?
উত্তরঃ বাদীউযযামান সাঈদ নুরসী।
126. ভারতের হায়দারাবাদ রাজ্যের বর্তমান নাম কি?
উত্তরঃ অন্দ্র প্রদেশ।
127. সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী কখন কোথায় জন্ম গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ ১৯০৩ সালে ভারতের হায়দারাবাদ রাজ্যের আওরঙ্গাবাদ শহরে।
128. মাওলানা মওদূদী রাহি. কখন মৃত্যু বরণ করেন?
উত্তরঃ ১৯৭৯ সালে।
129. কোন পত্রিকায় কাজ করার মাধ্যমে মাওলানা মওদূদী তার কর্মজীবন শুরু করেন?
উত্তরঃ আল মাদীনা পত্রিকায়।
130. জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ কত সালে গঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯১৯ সালে।
131. ‘শুদ্ধি আন্দোলন’ এর বক্তব্য কি ছিল?
উত্তরঃ উপমহাদেশের মুসলিমদের পূর্ব পুরুষগণ ছিল হিন্দু। মুসলিম শাসকদের চাপে পড়ে তারা হিন্দুত্ব ত্যাগ করে মুসলিম হয়। এখন মুসলিমদের উচিত হিন্দুত্বে ফিরে আসা।
132. মাওলানা মওদূদী কত সালে ‘আল জিহাদ ফিল ইসলাম’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন? কোন পত্রিকায় প্রকাশ করেন?
উত্তরঃ ১৯২৬ এবং ১৯২৭ সালে আল জমিয়ত পত্রিকায়।
133. মাওলানা মওদূদী রাহি. কেন আল জমিয়ত পত্রিকার সম্পাদক পদ থেকে ইস্তেফা দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ১৯২৮ সনে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের ‘এক জাতি তত্বের’ প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করলে মাওলানা মওদূদী এই ভূমিকাকে সঠিক বলে মেনে নিতে পারেননি বলে তিনি ইস্তেফা দেন।
134. অল ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কংগ্রেস কত সালে গঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৮৮৫ সালে।
135. মাওলানা মওদূদী ‘মাসিক তারজুমানুল কুরআন’ পত্রিকার সম্পাদক কখন হোন?
উত্তরঃ ১৯৩২ সালে।
136. অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ কখন গঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯০৬ সালে।
137. ১৯৪০ সনের ২২, ২৩ ও ২৪শে মার্চ লাহোরের মিন্টু পার্কে মুসলিমলীগের সম্মেলনের প্রস্তাব জানানো হয় যে, উপ-মহাদেরশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলকে নিয়ে মুসলিমদের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করত হবে। এই প্রস্তাব কি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ লাহোর প্রস্তাব বা পাকিস্তান প্রস্তাব নামে পরিচিত।
138. ‘ইসলামী হুকুমাত কিস তারাহ কায়েম হুতি হায়’ এর বাংলা অনুবাদ কি?
উত্তরঃ ইসলামী বিপ্লবের পথ।
139. ১৯৪১ সনের ২৫ ও ২৬ আগষ্ট মাওলানা মওদূদী একটি সম্মেলন আহবান করেন। এতে কতজন লোক উপস্থিত হোন? অবশেষে সম্মেলনের লক্ষের সাথে টিকে থাকেন কতজন?
উত্তরঃ প্রায় দেড় শতের মতো লোক উপস্থিত হোন। টিকে থাকেন মাত্র ৭৫জন লোক।
140. জামায়াতে ইসলামী কত তারিখে কতজন লোক নিয়ে গঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৪১ সনের ২৬শে আগষ্ট ৭৫জন লোক নিয়ে।
141. মাওলানা মওদূদীর বক্তব্য অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামীতে যারা যোগদান করবেন, তাদেরকে কোন কথাটি ভালভাবে বুঝে নিয়ে হবে?
উত্তরঃ জামায়াতে ইসলামীর সামনে যেই কাজ রয়েছে তা কোন সাধারণ কাজ নয়। দুনিয়ার গোটা ব্যবস্থা পাল্টে দিতে হবে।
142. মাত্র ৭৫জন মানুষের সামনে দাড়িয়ে “দুনিয়ার গোটা ব্যবস্থা পাল্টে দেবার” সংকল্প ব্যক্ত করা কি প্রমাণ করে?
উত্তরঃ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী একজন সুক্ষ্নদর্শী ও দূরদর্শী ব্যক্তি ছিলেন।
143. মাওলানা মওদূদী রাহি. এর তিনটি অবদান অতি বড়ো। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. খৃষ্টীয় ১৯৮১ সনের ২৬শে আগষ্ট জামায়াতে ইসলামী গঠন। ২. খৃষ্টীয় ১৯৪২ সনে তাফহীমুল কুরআন রচনা শুরু করা যা খৃষ্টীয় ১৯৭২ সনে সমাপ্ত করা। ৩. খৃষ্টীয় ১৯৪৬ সনে ছাত্র অংগনে ইসলামের দাওয়াত সম্প্রসারণের জন্য স্বতন্ত্র ছাত্র সংগঠন কায়েমের সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
144. জামায়াতে ইসলামী কত তারিখে গঠন করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৪১ সনের ২৬শে আগষ্ট।
145. তাফহীমুল কুরআন কত সালে লেখা শুরু হয় এবং কখন শেষ হয়?
উত্তরঃ ১৯৪২ সনে শুরু এবং ১৯৭২ সনে শেষ।
146. কত তারিখে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সনের ১৪ই আগষ্ট।
147. জমিয়তে তালাবা নামে ছাত্র সংগঠন কত তারিখে গঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সনের ২৩শে ডিসেম্বর।
148. পাকিস্তান ও হিন্দুস্থান ভাগ হওয়ার সময় জামায়াতে ইসলামীর রুকন সংখ্যা কত ছিল? পাকিস্তানে কতজন এবং হিন্দুস্থানে কতজন ছিল?
উত্তরঃ মোট ৬২৫ জন। পাকিস্তানেঃ ৩৮৫জন এবং হিন্দুস্তানেঃ ২৪০ জন।
149. ১৯৪৮ সানে মার্চ মাসে করাচির জাহাঙীর পার্কে জামায়াতে ইসলামীর প্রথম রাজনৈতিক জনসভায় ৪টি ঘোষনা প্রদান করেন। প্রথম দুইটি কি কি?
উত্তরঃ ১. সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহর। আর সরকার আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে দেশ শাসন করবে। ২. ইসলামী শরীয়া হবে দেশের মৌলিক আইন।
150. ১৯৪৮ সানে মার্চ মাসে করাচির জাহাঙীর পার্কে জামায়াতে ইসলামীর প্রথম রাজনৈতিক জনসভায় ৪টি ঘোষনা প্রদান করেন। শেষ দুইটি কি কি?
উত্তরঃ ৩. ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক আইনগুলোকে পরিবর্তন করে ইসলামের সাথে সংগতিশীল করা হবে। ৪. ক্ষমতা প্রয়োগ করতে গিয়ে রাষ্ট্র কোন অবস্থায়ই শরীয়ার সীমা লংঘন করবে না।
151. ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর শাখা কখন গঠিত হয় এবং কাদেরকে নিয়ে গঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৪৮ সালে। রফি আহমাদ ইন্দোরী, কারী জলিল আশরাফ নদবী, খুরশিদ আলম পাট এবং মাওলানা আব্দুর রহীমকে নিয়ে।
152. পাকিস্তানের স্থপতি মি. মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তরঃ ১৯৪৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর।
153. কখন জন নিরাপত্তা আইনে মাওলানা মওদূদীকে গ্রেফতার করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৪৮ সালের ৪ অক্টোবর।
154. ইসলামী শাসনতন্ত্রের ২২ দফা মূলনীতি নামে মূল্যবান দলীলটি কখন কোথায় তৈরী করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৫১ সালের ২১শে জানুয়ারী মাওলানা মওদূদীর প্রচেষ্টায় করাচিতে আয়োজিত দেশের সেরা আলেমদে গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে।
155. ফাঁসির রায় প্রান্ত মাওলানা মওদূদী রাহি. কনডেমনড সেলে ক্রন্দরত ছেলে উদ্দেশ্যে কি বলেছিলেন?
উত্তরঃ “বাচ্চা, রোতা হায় কেঁও। হায়াত আওর মাউতকা ফায়সালা হোতা হায় আসমান মে যমীন মে নেহি-ছেলে, কাঁদছো কেন? জীবন মৃত্যুর সিদ্ধান্ত হয় আসমানে, যমীনে নয়।
156. ১৯৬১ সনের কিং আস সাউদের অনুরোধে মাওলানা মওদূদী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যান তৈরী করেন, যা কিছুটা পরিবর্তন করে গৃহিত হয় এবং এর ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়েটির নাম কি?
উত্তরঃ মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
157. কত তারিখে প্রেসিডেন্ট আইউব খানের নির্দেশে জামায়াতে ইসলামীকে বেআইন ঘোষনা করেন?
উত্তরঃ ১৯৬৪ সনের ৬ই জানুয়ারী।
158. মাওলানা মওদূদী রাহি. কত তারিখে কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তরঃ ১৯৭৯ সনের ২২শে সেপ্টেম্বর আমেরিকার বাফেলো সিটিতে।
0 Comments