প্রশ্নোত্তরঃ আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায়-মতিউর রহমান নিজামী
1.
আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় বইটি লেখকের তিনটি
বক্তৃতার সংকলন। বক্তৃতা তিনটির বিষয়বস্তু কি কি?
উত্তরঃ ১. আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায়। ২. আত্মশুদ্ধির উপায়। ৩. জিকির ও দোয়া।
2. মানুষ কেবলমাত্র দেহ সর্বস্ব জীব নয়। তাহলে কি?
উত্তরঃ সুন্দর দৈহিক অবয়বের সাথে মহান আল্লাহ তাঁর সেরা সৃষ্টিকে সুন্দর একটি আত্মাও দিয়েছেন।
3. আধুনিক বিশ্বের জড়বাদী সভ্যতা কি নামে আখ্যায়িত হতে যাচ্ছে?
উত্তরঃ মানবতা বিধ্বংসী সভ্যাতা নামে।
4. বর্তমানে জড়বাদী সভ্যতার ব্যর্থতার পটভূমিতে মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফুর্তভাবে কিসের প্রতি একটা ঝোঁক প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে?
উত্তরঃ নীতি-নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি।
5. অতীতে আধ্যাত্মিককা ও আত্মিক উন্নতি সাধরণের চেষ্টা যারা করছেন (ইসলামের বাহিরে) তাদের ঝোঁক প্রবণতা দেহের প্রয়োজনকে অস্বীকার অথবা উপেক্ষা করেছে। তার ফল কি হয়েছে?
উত্তরঃ তাদের আধ্যাত্মবাদদের চর্চা গুটিকতক সংসার বিরাগী সাধু-সন্যাসী সৃষ্টি করা ছাড়া বৃহত্তর মানব গোষ্ঠীর জন্য কোন কল্যাণকর অবদান রাখতে পারেনি।
6. আত্মাকে উপেক্ষা করে দেহের প্রয়োজন পূর্ণ করার একদেশদর্শী কার্যক্রম যেমন মানবতার জন্য ও মানুষ্যত্বের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি ক্ষতিকর কি?
উত্তরঃ আত্মার প্রয়োজন পূরণ করতে গিয়ে আত্মার উন্নতি সাধণ করতে গিয়ে দেহের প্রয়োজনকে উপেক্ষা করা, দেহকে শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া অবলবম্বন করাও মানবতার জন্য চরম ক্ষতিকর।
7. আধুনিক বিশ্বে হতাশাজনিত কারণে মানুষ যেভাবে আবার আধ্যাত্মবাদের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে, তাকে কি করা না হলে মানুষের চেষ্টা সাধনা আরেকবার চরমভাবে ব্যর্থ হবে?
উত্তরঃ তাকে যদি অহীলব্ধ জ্ঞানের ধারায় প্রবাহিত করা না যায়।
8. মুসলিম সমাজে আধ্যাত্ববাদের চর্চা ও সাধনার কাজটি কি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ তাসাউফ।
9. আধ্যাত্মবাদের চর্চা ও সাধনার কাজটিকে কুরআনে কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তাযকিয়ায়ে নাফস।
10. আধ্যাত্মবাদের চর্চা ও সাধনার কাজটিকে হাদীসে কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ইহসান।
11. আধ্যাত্মবাদের চর্চা ও সাধনার কাজটিকে ইমাম শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবী রাহি. কি নামে অভিহিত করছেন?
উত্তরঃ আখলাকে ইহসান সৃষ্টির উপায়।
12. ইলমে তাসাউফকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. নির্ভেজাল ইসলামী তাসাউফ। ২. নিম ইসলামী তাসাউফ। ৩. গায়ের ইসলামী তাসাউফ।
13. নফসের তাযকিয়া করে সাহাবায়ে কেরাম রা. যে আখলাকে ইহসানের অধিকারী হতেন, সেই পদ্ধতিকে কোন ধরণের তাসাউফ বলে?
উত্তরঃ নির্ভেজাল ইসলামী তাসাউফ।
14. তিন প্রকার তাসাউফের মধ্যে খোলাফায়ে রাশেদীন, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন তথা সমস্ত আয়েম্মায়ে মুজতাহেদীন কোন ধরণের তাসাউফের অনুসারী ছিলেন?
উত্তরঃ নির্ভেজাল ইসলামী তাসাউফ।
15. সঠিক তাসাউফ বা আত্মশুদ্ধির নির্ভূল পথ। এই পথকে কুরআনে কি নামে অভিহিত করা হয়েছে?
উত্তরঃ তাযকিয়ায়ে নাফস।
16. নিম ইসলামী তাসাউফ বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ ইসলামী শরীয়তের সীমার মধ্যে অবস্থান করে আধ্যাত্মিক উন্নতি বিধানের লক্ষ্যে ভারতীয় যোগী-ঋষি তথা গ্রীক দর্শনের ভিত্তিকে কিছু যোগ আসন জনিত প্রক্রিয়া পদ্ধতির সংযোজনকে বুঝায়।
17. নিম ইসলামী তাসাউফের ধারকরা তাওহীদ বর্জন ও শিরক অবলম্বন করেননি। তারা তাদের প্রক্রিয়াতে তিনটি বিষয়কে প্রধান্য দিয়েছেন। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. খাওফে খোদা। ২. হোব্বে রাসূল। ৩. ফিকরে আখেরাত।
18. যারা ইসলামী শরীয়তের সীমা লংঘন করছে, শিরক ও বিদআতের জন্ম দিয়েছে, এমনকি দুনিয়ার সামনে ইসলাম ও মুসলমানকে একটা তামাশার বস্তু বানিয়েছে, আল্লাহর কিছু প্রিয় বান্দাদের মাজারকে গাঁজার আসর ও কাওয়ালীর নামে ন্যাংটা নাচের আখড়া বানিয়েছে, যারা মানুষেরে ধর্মীয় অনুভূতির দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ধর্মের নামে দুনিয়া বানাচ্ছে, তাদের তাসাউফকে কোন ধরণের তাসাউফ বলা হয়?
উত্তরঃ গায়ের ইসলামী তাসাউফ।
19. কোন ধরণের তাসাউফের মূলোৎপাটন অপরিহার্য?
উত্তরঃ গায়ের ইসলামী তাসাউফ।
20.কুরআনে মানুষের সফলতার একমাত্র উপায় বলা হয়েছে কোন জিনিসকে?
উত্তরঃ তাযকিয়ায়ে নাফসেকে।
21. সূরা আল জুমুয়ার ২ নম্বর আয়াতে রাসূলের কাজ হিসাবে ৩টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. তিলাওয়াতে আয়াত। ২. তাযকিয়ায়ে নাফস। ৩. তালীমে কিতাব ও হিকমত।
22. শেষ নবী মুহাম্মদ সা. তাঁর উপরে অর্পিত সব দায়িত্বই ঠিক মত পালন করেছেন-এই কথা তিন ধরণের সাক্ষী কি কি?
উত্তরঃ ১. আল্লাহর কুরআন। ২. লক্ষ লক্ষ সাহাবায়ে কেরাম। ৩. দুনিয়ার ইতিহাস।
23.শেষ নবী মুহাম্মদ সা. তাঁর উপরে অর্পিত সব দায়িত্বই ঠিক মত পালন করেছেন-এই কথার সাক্ষী তিনি সাহাবায়ে কিরামের নিকট থেকে কিভাবে নিয়েছেন?
উত্তরঃ বিদায় হজ্জের ভাষণের মাধ্যমে।
24. তাযকিয়ায়ে নাফসের ক্ষেত্রে রাসূল সা. তাঁর দায়িত্ব পুংখানুপুংখরূপে পালন করেছেন। এতে সন্দেহ পোষণ করলে কি থাকা যায় না?
উত্তরঃ মুসলমান থাকা যায় না।
25.মানুষের জীবনে আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব বিচার করতে হলে প্রথমে কি করা অপরিহার্য?
উত্তরঃ মানুষের পরিচয় এবং মানব সত্ত্বার যথার্থ মূল্যায়ণ করা।
26. মানুষের পরিচয় সংক্ষেপে বলতে গেলে কি বলতে হবে?
উত্তরঃ মানুষ এই দুনিয়ায় আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি।
27.মানুষের জীবনে এবং সমাজে আল্লাহর আইন ও আল্লাহর হুকুম-আহকাম জারি করার, কার্যকর করার দায়িত্ব কার উপর?
উত্তরঃ মানুষের উপর।
28.আল্লাহ মানুষের পরিচয় দিতে গিয়ে কি বলেছেন? বাংলাতে বলুন।
উত্তরঃ “মানুষের কাছে আমি দু’টি পথ তুলে ধরেছি, একটি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ও আনুগত্যের পথ। আর অপরটি কুফরী এবং নাফরমানীর পথ।”
29. সূরা আদ দাহর এর বর্ণনা অনুযায়ী আল্লাহ কাফের দেরে জন্য ৩টি জিনিস তৈরী করে রেখেছেন। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. লোহার শিকল। ২. কন্ঠকড়া। ৩. দোযখের আগুন।
30. মানুষের প্রতি আল্লাহ তায়ালার বিরাট আমানত কি?
উত্তরঃ আল্লাহর পথের অনুসরণ করে চলা এবং নিজেদের মনগড়া পথে অনুসরণ করে চলার মধ্যে যে স্বাধীন ইচ্ছার প্রয়োগের সুযোগ জনিত স্বায়ত্বশাসনের ক্ষমতা।
31. মানুষকে যে আমানতের বোঝা প্রদান করা হয়েছে, সেই আমানত এর আগে কাদেরকে দেয়ার জন্য পেশ করা হয়েছিল?
উত্তরঃ আসমান, জমীন ও পাহাড় পর্বতকে।
32.হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী মানুষের পিতামাতার কারণেই তারা ইয়াহুদী, খৃষ্টান অথবা অগ্নিপূজক হয়ে থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ কিসের উপর জন্মগ্রহণ করে?
উত্তরঃ স্বভাব ধর্মের উপর।
33. প্রকত মানুষ কোনটি?
উত্তরঃ দেহ ও আত্মার সমন্বয়ে মানুষের যে সত্ত্বার বিকাশ ঘটে।
34.দৈহিক ও আত্মিক চাহিদার ভিত্তিতে গড়ে উঠা মানব সত্ত্বাকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. জৈবিক দিক। ২. নৈতিক দিক।
35. জৈবিক বা পাশবিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রিত করে গঠনমূলক কাজে ব্যবহার করার যে সত্ত্বা মানুষের মাঝে আছে, সেই সত্ত্বা বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ আল্লাহ প্রদত্ত সেই সহজ বিবেক-বুদ্ধি, যার দ্বারা মানুষ ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ও সত্য-মিথ্যার মধ্যে বিচার-বিশ্লেষণ করে মন্দকে পরিহার করে ভালটাকে গ্রহণ করতে পারে। অন্যায়কে বর্জন করে সত্যকে গ্রহণ করতে পারে।
36.আল্লাহ প্রদত্ত সেই সহজ বিবেক-বুদ্ধি, যার দ্বারা মানুষ ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ও সত্য-মিথ্যার মধ্যে বিচার-বিশ্লেষণ করে মন্দকে পরিহার করে ভালটাকে গ্রহণ করতে পারে। অন্যায়কে বর্জন করে সত্যকে গ্রহণ করতে পারে। মানব সত্ত্বার এই দিকটাকে কি নামে অভিহিত করা যায়?
উত্তরঃ নৈতিক সত্ত্বা।
37. আহসানে তাকয়িম এর স্বার্থকতা ও লাকাদ কাররামনা বানি আদামা এর বাস্তব প্রকাশ ঘটে কিসের মাধ্যমে?
উত্তরঃ মানুষ যদি স্বীয় সাধনা বলে নৈতিক সত্ত্বার উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে তার জৈবিক ও পাশবিক সত্ত্বার উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে তাহলে সে হয় আল্লাহর সৃষ্টির সেরা সৃষ্টি। আর এর মাধ্যমেই স্বার্থকতা ও বাস্তব প্রকাশ ঘটে।
38. যদি কারো কৃতকর্মের ফলে মানুষের আল্লাহ প্রদত্ত নৈতিক সত্ত্বা অবদমিত হয়, পরাভূত হয় পাশবিক সত্তার কাছে। তাহলে তারা কোন পর্যায়ভূক্ত হয়?
উত্তরঃ আসফালা সাফিলীন এর পর্যায়ভূক্ত।
39.কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ আসবে সব মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য নবী সা. কি?
উত্তরঃ একমাত্র অনুসরণযোগ্য শিক্ষক।
40.খোদা প্রদত্ত এবঙ রাসূল সা. প্রদর্শিত পদ্ধতিতে পরিচালিত আধ্যাত্মিক ও আত্মিক উন্নতি বিধানের প্রচেষ্টার লক্ষ্য কি?
উত্তরঃ স্রষ্টার দাসত্ব, আনুগত্য ও সৃষ্টির সেবা করার মত যোগ্যতা অর্জন।
41. ইলমে কালামের দৃষ্টিতে ইচ্ছা করে কারামাত প্রদর্শণ করাকে কি বলা হয়?
উত্তরঃ এসতেদরাজ।
42. যারা এসতেদরাজ করে তাদেরকে কি নামে আখ্যায়িত করা হয়?
উত্তরঃ ফাসেক।
43.জন্মগতভাবে মানুষের আত্মা যেভাবে যে অবস্থায় এ দুয়িায় আসে, কুরআনের আলোকে এটাকে কি বলা যায়?
উত্তরঃ নাফসে মুলহামা।
44. যে এলহাম প্রাপ্ত তাকে আমরা কি নামে অভিহিত করতে পারি?
উত্তরঃ মালাহামা।
45.হাদীসের বর্ণনাঃ একটি পথের দুই পাশের খোলা দরজাসমুহে পর্দা লটকানো রয়েছে। মানুষ এই পথে যাত্র শুরু করার মুহুর্তে একজন সতর্ককারী তাকে সতর্ক করে বের সোজাসুজি যাবে, ডানে বাঁমে ঢুকতে চেষ্টা করবে না। অতপর পথি পথ চলতে চলতে ডানে বাঁয়ে উকি-ঝুঁকি দেয়, লটকানো পর্দায় হাত দিয়ে ভিতরে ঢুকতে উদ্যোগ নেয়। এমন সময় আরেকজন সতর্ককারী তাকে বাধা দেয়। রাসূল সা. এর বক্তব্য অনুযায়ী প্রথম সতর্ককারী এবং দ্বিতীয় সতর্ককারী কে এবং কে?
উত্তরঃ প্রথম সতর্ককারী কুরআন আর দ্বিতীয় সতর্ককারী মানুষের মনের মাঝে অবস্থিত ওয়ায়েজ তথা আল্লাহ প্রদত্ত বিবেক-বুদ্ধি, যাকে আল্লাহ শক্তি দিয়েছেন ভালকে গ্রহণ করার ও খারাপ কাজকে বর্জন করার।
46. আত্মার সর্বোচ্চ স্তরকে কুরআনে কোন ধরণের নফস বলা হয়েছে?
উত্তরঃ নাফসে মুতমায়িন্নাহ।
47.নাফসে মুলহামা এর নিচের স্তরে আত্মার দুইটি অবস্থা কি কি?
উত্তরঃ ১. নাফসে লাওয়্যামা বা তিরস্কারকারী আত্মা। ২. নাফসে আম্মারা।
48.নফসের এমন এক স্তরে যে স্তরে পৌছার পর মানুষের আত্মা বিবেকের অনুভূতিটুকু হারিয়ে ফেলে। খারাপ কাজ তখন তার স্বভাবের অংশ হয়ে যায়। এই নফসকে কোন ধরণের নফস বলা হয়?
উত্তরঃ নাফসে আম্মারা।
49. আল কুরআনের ঘোষনা মোতাবেক রাসূল সা. এর মৌলিক কাজ কয়টি? প্রথমটি কি? বিস্তারিত বলুন।
উত্তরঃ ৩টি। ১. তিনি মানবজাতির নিকট আল্লাহর কিতাব উপস্থাপন করেছেন, তাদেরকে আল্লাহর কিতাব শিক্ষা দিয়েছেন।
50. আল কুরআনের ঘোষনা মোতাবেক রাসূল সা. এর মৌলিক কাজ কয়টি? দ্বিতীয়টি কি? বিস্তারিত বলুন।
উত্তরঃ ৩টি। ২. কিতাবের আলোকে যাবতীয় কার্যক্রম আনজাম দেবার পথ, পন্থা ও কৌশল তথা প্রয়োগ-বুদ্ধির শিক্ষা ও দীক্ষা দিয়েছেন।
51. আল কুরআনের ঘোষনা মোতাবেক রাসূল সা. এর মৌলিক কাজ কয়টি? তৃতীয়টি কি? বিস্তারিত বলুন।
উত্তরঃ ৩টি। ৩. ইসলামী সমাজের উপযোগী ব্যক্তি গঠন করেছেন, ব্যক্তিদের চরিত্র গঠন ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনের প্রয়াস চালিয়েছেন। সেই সাথে সমাজের সামষ্ঠিক পরিবেশও পূত-পবিত্র করার এবং মার্জিত পরিশীলিত মানে উন্নীত করার চেষ্টা করেছেন।
52.রাসূলের মৌলিক কাজের কথা আল কুরআনের মোট কয়টি স্থানে আলোচিত হয়েছে? সূরা ও আয়াত নম্বর উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ চারটি স্থানে। ১. সূরা আল বাকারাহ-১২৯, ২. সূরা আল বাকারাহ-১৫১, ৩. সূরা আলে ইমরান-১৬৪ এবং সূরা আল জুমুয়া-২
53. রাসূল সা. এর গৃহীত পদ্ধতি অনুযায়ী তাযকিয়ায়ে নাফসের সার্থক প্রচেষ্টা ও সাধনা করেছেন কারা?
উত্তরঃ সাহাবায়ে কেরাম রা., তাবেয়ীন ও তাবে তাবেয়ীন।
৫৪. খলিফা হিসাবে মানুষ নিজে কেবলমাত্র আল্লাহর গোলামী ও বন্দেগী করা, অন্যান্য মানুষকেও আল্লাহর গোলাম ও বন্দেগী করার সুযোগ করে দেয়ার সাথে আর কি কাজ তার দায়িত্বের অন্তুর্ভূক্ত?
উত্তরঃ আল্লাহর গোলামী ও বন্দেগীর পথের সকল বাধা প্রতিবন্ধকতা দূর করা।
৫৫. মুহাম্মদ সা. এর সার্থক অনুসারীগণ সম্পর্কে আল্লাহর ঘোষণা কি?
উত্তরঃ “আল্লাহ তাদের প্রতি রাজী আর তারাও আল্লাহর প্রতি রাজী।”
৫৬. মুহাম্মদ সা. এবং তার সঙ্গী সাথীদের পরিচয় কুরআনে কিভাবে দেয়া হয়েছে? সূরা আল ফাতহ এর বর্ণনানুসারে পরিচয় দিন।
উত্তরঃ তারা কফরী শক্তির বিরুদ্ধে বজ্র কঠিন, পরস্পরের প্রতি রহম দিল, তাদের দেখতে পাবে রুক ও সিজদারত অবস্থায়, আল্লাহ রহমত ও সন্তুষ্টির তালাশে সদা নিয়োজিত।
৫৭. সূরা আল ফাতহ এ মুহাম্মদ সা. এর সংগীদের ৪টি গুণের কথা বলা হয়েছে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. কফরী শক্তির বিরুদ্ধে বজ্র কঠিন। ২. পরস্পরের প্রতি রহম দিল। ৩. তাদের দেখতে পাবে রুক ও সিজদারত অবস্থায়। ৪. আল্লাহ রহমত ও সন্তুষ্টির তালাশে সদা নিয়োজিত।
৫৮. আল্লাহর রাসূল সা. তাঁর নিজের আগমন সম্পর্কে কি বলেছেন?
উত্তরঃ “আমি প্রেরিত হয়েছি উত্তম আখলাক বা চরিত্রের পূর্ণ বিকাশ সাধনের জন্য।”
৫৯. সূরা আল মুমিনুন এর প্রথম ১০ আয়াতে মুমিনদের যে সব গুনাবলীল উল্লেখ করা হয়েছে, তার প্রথম ৩টি কি কি?
উত্তরঃ ১. নামাযে বিনয়ী। ২. বেহুদা কাজকর্ম থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলে। ৩. যাকাতের পন্থায় কর্মতৎপর হয়।
৬০. সূরা আল মুমিনুন এর প্রথম ১০ আয়াতে মুমিনদের যে সব গুনাবলীল উল্লেখ করা হয়েছে, তার শেষ ৪টি কি কি?
উত্তরঃ ১. যৌনাংগের হেফাজত করে। ২. তারা আমানতের হেফাজতকারী। ৩. ওয়াদা পালনকারী। ৪. নামায সমূহের হেফাজতে নিয়োজিত।
৬১. সূরা আল মুমিনুন এর শুরুতে মুমিনদের যেসব গুনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে একটি বিষয় ২বার উল্লেখ করা হয়েছে, তা কি?
উত্তরঃ নামায।
৬২. রাহমানের প্রিয় বান্দারা যমীনের উপরে কিভাবে চলাফেরা করে?
উত্তরঃ বিনয় ও নম্রভাবে।
৬৩. রাহমানের প্রিয় বান্দাদের সাথে যখন অন্ধ লোকেরা কূটতর্কে জড়াতে চাই, তখন রাহমানের বান্দারা কি বলে?
উত্তরঃ সালাম।
৬৪. রাহমানের প্রিয় বান্দারা অর্থনৈতিক জীবনে ভাসাম্য রক্ষার জন্য কোন পথ অবলম্বন করে?
উত্তরঃ মধ্যপথ।
৬৫. আল্লাহর রাসূলের হাতে গড়া লোকদের ব্যাপারে ইসলামের কট্টর দুশমনদের বক্তব্য কি?
উত্তরঃ “তারা রাতে দরবেশ আর দিনে অশ্বারোহী বীরযোদ্ধা, কর্মচঞ্চল সৈনিক।” অথবা “তারা কাউকে ধোঁকা দেয় না, তাদেরকেও কেউ ধোঁকা দিতে পারে না।”
৬৬. রাসূল সা. এর হাতে গড়া উম্মতকে আল্লাহ দুইটি পরিচয়ে উল্লেখ করেছেন, তা কি কি?
উত্তরঃ ১। খায়রা উম্মাাতিন (উত্তম জাতি) এবং ২। উম্মাতে ওয়াসাতা (মধ্যমপন্থী জাতি)।
৬৭. কোন পথ সকলের পক্ষে অনুসরণ করা বাস্তবসম্মত?
উত্তরঃ মধ্যম পথ।
৬৮. ইসলামে তাযিকিয়ায়ে নফসের বা আত্মশুদ্ধির ও আধ্যাক্মিক সাধনার লক্ষ্য কি?
উত্তরঃ বিশ্বের সকল স্তরের সকল মানুষের জন্য অনুসরণ ও অনুকরণযোগ্য একদল মানুষ সৃষ্টি করা, একদল উম্মত গড়ে তোলা।
৬৯. কুরআনের সুরা আল আ’লা থেকে আমরা তাযকিয়ার কয়টি উপায় পাই এবং তা কি কি?
উত্তরঃ ২টি। ১. যিকরুল্লাহ। ২. সালাত।
৭০. কুরআ সুন্নাহপর আলোকে, রাসূলে খোদা সা. এর প্রদর্শিত ও অনুসৃত পন্থায় তাযকিয়ায়ে নাফসের জন্যে যে তরীকা অবলম্বন করা উচিত, তা ৫ ধরণের। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. আল ঈমানিয়াত। ২. আত তাহারাত। ৩. আল ইখবাত। ৪. আস সামাহাত। ৫. আদালাত।
৭১. ঈমানিয়াত তথা আমাদেরকে ৭টি জিনিসের প্রতি ঈমান আনতে হবে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. আল্লাহ। ২. ফেরেশতা। ৩. কিতাব। ৪. নবী-রাসূল। ৫. আখেরাত। ৬. তাকদীর। ৭. পূনরুত্থান।
৭২. মারেফাত কাকে বলে?
উত্তরঃ আল্লাহর জাত, ছিফাত, আল্লাহর হক ও এখতিয়ার সম্পর্কে সঠিক ধারণা পোষণ।
৭৩. ইবাদতের আগে পূর্বশর্ত কি?
উত্তরঃ তাহারাত।
৭৪. আত্তাহুরু শাতরুল ঈমান- মানে কি?
উত্তরঃ পবিত্রতা ঈমানের অংগ।
৭৫. জবানের পবিত্রতার জন্য কি করণীয়?
উত্তরঃ ছিদকে কালাম বা সদা সত্য কথা বলার অভ্যাস করা এবং মিথ্যা বর্জন করা।
৭৬. গেহের রক্ত মাংসের পবিত্রতার জন্য কি করণীয়?
উত্তরঃ রিজকে হালাল গ্রহণ করা এবং হারাম রিজক বর্জন করা।
৭৭. কোন কোন জিনিস আল্লাহ সমীপে বান্দাকে বিনয়ীরূপে আত্মসমর্পন করতে শিখায়?
উত্তরঃ সালাত, যিকির ও দোয়া।
৭৮. রিয়া বা অহংকারের অভিশাপ থেকে বাঁচার জন্য কি করতে হবে?
উত্তরঃ নফল ইবাদত সমূহের ব্যাপারে গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে।
৭৯. কোন ইবাদত একটি জীবন্ত যিকির?
উত্তরঃ নামায।
৮০. মুনাজাতে রত থাকা পর্যন্ত নিজেকে আল্লাহর কাছে কোন ধরণের অসহায় অবস্থায় পেশ করলেই দোআর মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য বেশী পরিমাণ অগ্রসর হওয়া যায়?
উত্তরঃ মাইয়েত বা লাশ গোসলদাতার হাতে যেমন অবস্থায় থাকে।
৮১. রাসূল সা.কে যখন প্রশ্ন করা হলোঃ ঈমান কি? উত্তরে রাসূল সা. কি বললেন?
উত্তরঃ সবর ও সামাহাত।
৮২. সামাহাতের অর্থ কি?
উত্তরঃ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আল্লাহর বান্দাদের জন্যে অকাতরে অর্থ ব্যয় করা। নম্র, ভদ্র ও উদারতাকেও সামাহাত বলা হয়।
৮৩. সামাহাত কোন জিনিসের পরিপুরক গুণ হিসেবে বেশী পরিচিত?
উত্তরঃ সবরের।
৮৪. কিসের মাধ্যমে একজন ঈমানদার ব্যক্তির মধ্যে সামাহাতের গুণের পূর্ণ বিকাশ ঘটে?
উত্তরঃ রোযা, যাকাত ও হজ্জের মাধ্যমে।
৮৫. জিহাদ ফি সাবীলিল্লাহ এর কাজের বিনিময়ে আল্লাহ দুই ধরণের পুরস্কার দেন। এক ধরণের পুরস্কার হলোঃ দোযখের কঠিন ভয়াবহ শাস্তি থেকে নাজাত, আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও সদাবসন্ত বিরাজমান বেহেশত। অপরটি কি?
উত্তরঃ আল্লাহর সাহায্যে জাগতিক বিজয়।
৮৬. ঈমানের ঘোষণার অনিবার্য দাবীর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য হলো-জান মাল আল্লাহর কাছে সোপর্দ করা এবং এটাকে কেবলমাত্র আল্লাহর দ্বীনের বিজয়ের সংগ্রামে ব্যবহার করা। এর নাম কি?
উত্তরঃ বাইয়াত।
৮৭. বাইয়াতের মূল কথা, যেখানে আল্লাহর দ্বীন কায়েম নেই সেখানে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের সংগ্রামে নিয়োজিত জামায়াতের মাধ্যমে ঈমানদার লোকেরা তাদের জান ও মালকে আল্লাহর কাছে সোপর্দ করবে। কিন্তু যেখানে দ্বীন কায়েম আছে সেখানে কি করবে?
উত্তরঃ সেখানে এ দ্বীনকে টিকিয়ে রাখার জন্য সব বৈধ কাজের আনুগত্যের ওয়াদা এবং আল্লাহ ও রাসূলের বিধি-নিষেধ মেনে চলার ওয়াদা।
৮৮. ইসলামী শরীয়াতে বাইয়াত কি? হাদীসের আলোকে বাইয়াত বিহিন মৃত্যু কোন ধরণের মৃত্যু।
উত্তরঃ বাইয়াত ফরয। বাইয়াত বিহীন মৃত্যু জাহেলিয়াতের মৃত্যু।
৮৯. পরিপূর্ণ ইসলামী বিপ্লবের পূর্ব পর্যন্ত একটি দেশে অনুরূপ ইসলামী দল পদ্ধতিগত মতপার্থক্যের কারণে একাধিক হতে পারে। এ অবস্থায় করণীয় কি?
উত্তরঃ যে ব্যক্তি যেটাকে অধিকতর তরীকায়ে মুহাম্মাদীর অনুসারী মনে করবে সে সেটাতেই যোগদান করবে।
৯০. মো’জিযা ও কারামত প্রসঙ্গে আকায়েদের কিতাবসমূহে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নবীদের মো’জিযা এবং অলি-আল্লাহদের কারামত হক। সাথে আর কি কি কথা উল্লেখ আছে?
উত্তরঃ এটা হয় সম্পূর্ণভাবে আল্লাহ ইচ্ছায় এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে। এতে নবী-রাসূলদেরও নিজস্ব কোন এখতিয়অর থাকেনা। অলি-আল্লাহদের ব্যাপারে তো প্রশ্নই উঠেনা।
৯১. অস্বাভাবিক অতি প্রাকৃতিকভাবে কিছু বিস্ময়কর ঘটনা ঘটনা যা নবী রাসূলদের জীবনে ঘটেছে। এই সব ঘটনাকে কি নামে অভিহিত করা হয়?
উত্তরঃ মো’জিযা বা বাইয়্যেনা।
৯২. ইছবাতে নবুয়াত অর্থ কি?
উত্তরঃ নবুয়াতের প্রমাণ।
৯৩. ইস্তেদরাজ কি?
উত্তরঃ কোন মানুষের পক্ষ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে অতিপ্রাকৃতিক কিছু ঘটনা ঘটাবার প্রয়াস চালানো।
৯৪. মানুষ তার দায়িত্ব পালনের পথে যে ইবলিস বাধা সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ করে এসেছে এ সম্পর্কে আল্লাহ গাফেল নন। মানুষকে অভিশপ্ত ইবলিসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে হেদায়াতের পথে পরিচালিত করবার জন্য আল্লাহ যে অভয় বাণী শুনিয়েছেন, তা বাংলাতে বলুন।
উত্তরঃ “অতপর আমার পক্ষ থেকে হেদায়াত আসবে, যারা সেই হোদায়াতের অনুসরণ করবে, তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই।”
৯৫. আল্লাহর সাথে বান্দার সঠিক সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে কিভাবে?
উত্তরঃ নবী রাসূলদের বিশষে করে শেষ নবী মুহাম্মদ সা. এর প্রদর্শিত পথে।
৯৬. শেষ নবী মুহাম্মদ সা. এর শিক্ষার আলোকে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি ব্যাপারি তিনটি জিনিস আয়ত্ব করা অপরিহার্য। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. আল্লাহ তায়ালার সঠিক মারেফাত বা পরিচয়। ২. সঠিক অর্থে আল্লাহ তায়ালার উবুদিয়াত বা দাসত্ব করা। ৩. আল্লাহ মনোনীত পথে চলা এবং অমনোনীত পথ বর্জন করা।
৯৭. আল্লাহর সাথে আমার সম্পর্ক কেমন হবে, তা কিসের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ আল্লাহর মারেফাত বা পরিচয়ের উপর।
৯৮. শেষ নবী মুহাম্মদ সা. যাদের মাঝে আবির্ভূত হয়েছিলেন, তারা ফেরেশতাদের কি নামে আখ্যায়িত করতো?
উত্তরঃ আল্লাহর কন্যা সন্তান নামে।
৯৯. আহলে কিতাব যারা, তারা কোন কোন কিতাবের অনুসারী ছিল। কোন কোন নবীর মাধ্যমে তারা আল্লাহর সঠিক পরিচয় লাভ করেছিল?
উত্তরঃ তৌরাত ও ইঞ্জিল এবং হযরত মূসা আ. ও হযরত ঈসা আ.
১০০. আল্লাহ তায়ালার মারেফাত হাসিল করতে হলে পাঁচটি বিষয়ে সঠিক ধারণা লাভ করা একান্তু অপরিহার্য। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. আল্লাহ তায়ালার জাত সম্পর্কে সঠিক ধারণা। ২. আল্লাহ তায়ালার ছেফাত বা গুণাবলী সম্পর্ক সঠিক ধারণা। ৩. আল্লাহ তায়ালার আপয়ালে কুদরত বা কার্যক্রম সম্পর্কে সঠিক ধারণা। ৪. আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত সম্পর্কে ধারণা। ৫. আয়ামুল্লাহ বা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অতীতে নাফরমান লোকদেরকে যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়েছে সে সব ঐতিহাসকি দিনসমুহের আলোচনা এবং সর্বশেষ দিন ইয়াওমুদ্দিন সম্পর্কীয় ধারণা।
১০১. আল্লাহর মারেফাত হাসেলের জন্য কি সম্পর্কে চিন্তা গবেষণা করতে আল্লাহর রাসূল সা. নিষেধ করেছেন?
উত্তরঃ আল্লাহর জাত সম্পর্কে।
১০২. ঈসায়ীগন ইয়াজান ও আহরামান বলত কাদেরকে?
উত্তরঃ ভাল কাজের স্রষ্টাকে ইয়াজদান এবং মন্দ কাজের স্রষ্টাকে আহরামান বলতে।
১০৩. আল্লাহ জাত সম্পর্কে কুরআনে বার্ণিত সর্বোৎকৃষ্ট বর্ণনাটি কি? বাংলা ভাষায় উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ “হে নবী! আপনি ঘোষণা করুনঃ আল্লাহ এক ও অদ্বিতয়ি, তিনি সৃষ্টি জগতের কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কোন সন্তান-সন্ততির জনক নন, তিনিও কারো ঔরষজাত নন। তাঁর সমকক্ষ কেউই হতে পারে না।”
১০৪. প্রকৃত প্রস্তাবে নবী রাসূলগন আল্লাহর প্রতি ঈমানের দাওয়াত দিতে গিয়ে কিসের আহবান জানিয়েছেন?
উত্তরঃ আল্লাহর সার্বভৌমত্ব মেনে নেয়া এবং গায়রুল্লাহার সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করার আহবান জানিয়েছেন।
১০৫. মানুষ মনগড়া আইন-কানুন বিধি-বিধানের অনুসরণ করতে গিয়ে তাদের জীবনটাকে তিন ভাগে ভাগ করে নিয়েছে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. পেটের চাহিদা পুরণের জন্যে এক ধরণের নিয়ম-নীতি বা প্রভূত্বের অনুসরণ করছে। ১. মনের ক্ষুধা তথা আধ্যাত্মিক চাহিদা পূরণের জন্য এর সম্পূর্ণ বিপরীত নিয়ম-নীতি অনুসরণ করছে। ৩. রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে ঠিক এর বিপরীত আদর্শের বা রীতি-নীতির অনুসরণ করছে।
১০৬. দুনিয়ার ইতিহাসে প্রায় সব যুগে সবকালেই সাধারণ মানুষ তিন শ্রেণীর কায়েমী স্বার্থের যাঁতাকলে নিষ্পিষ্ট হয়ে আসছে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির অধিকারী। ২. অর্থনৈতিক প্রাধান্য ও প্রতিপত্তির অধিকারী। ৩. ধর্মীয় নেতৃত্ব ও পৌরহিত্যের অধিকারী।
১০৭. আল্লাহকে একযোগে মানুষের রব, ইলাহ ও মালিক মানার অর্থ মানুষের জীবন থেকে তিন শ্রেণীর কায়েমী স্বার্থের কর্তৃত্ব প্রভূত্ব অস্বীকার ও উৎখাত করে আল্লাহকে সবকিছুর একক নিয়ামক মনে করা। এই তিন শ্রেণীর কায়েমী স্বার্থ কি কি?
উত্তরঃ ১. রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির অধিকারী। ২. অর্থনৈতিক প্রাধান্য ও প্রতিপত্তির অধিকারী। ৩. ধর্মীয় নেতৃত্ব ও পৌরহিত্যের অধিকারী।
১০৮. দুই বিপরীতমূখী ধারণার একযোগে উপস্থিতির নাম ঈমান বা আল্লাহর সঠিক মারেফাত। আরবীতে এই কথাকে কি বলে?
উত্তরঃ আল ঈমানু বাইনাল খাউফে ওয়ার রেজা।
১০৯. দুই বিপরীতমূখী ধারণার একযোগে উপস্থিতির নাম ঈমান বা আল্লাহর সঠিক মারেফাত। এই দুই বিপরীতমূখী ধারণা কি কি?
উত্তরঃ ১. রহমান, রহীম, গফুর, আফুউন, করীম প্রভূতি নাম থেকে যেমন আল্লাহর দয়া মেহেরবানী ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় মনকে আশান্বিত করা। ২. জব্বার, কাহহার, মালিক আজিজুন-জুনতিকাম প্রভৃতি আলোচনায় চরম ভয়-ভীতির উদ্রেক হয়ে থাকা।
১১০. দুনিয়ার বৈষয়িক নেয়ামতের পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত কি?
উত্তরঃ আল কুরআন।
১১১. আল্লাহর নবীদের দাওয়াতকে অস্বীকার করে অততে যেসব জাতি আল্লাহর গজবে ধ্বংস হয়েছে, সেইসব জাতির ধ্বংস হবার দিনগুলোতে মানুষের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা সংঘটিত হবার কারণে এই গুলো কি নামে অভিহিত?
উত্তরঃ আইয়ামুল্লাহ।
১১২. আল্লাহর দিন সমূহের সর্বশেষ দিন কি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ ইয়াওমুদ্দীন।
১১৩. কখন মানুষের মন স্বতঃস্ফূর্তভাবে আল্লাহর উবুদিয়াত গ্রহণ করবে?
উত্তরঃ আল্লাহর তায়ালার সঠিক মারেফাত বা সঠিক পরিচয় মানুষের সামনে উদঘাটিত হবার সাথে সাথে।
১১৪. আল্লাহর সঠিক পরিচয় সম্পর্কে ওয়াকেফহাল হবার পর মানুষের পক্ষে কি করা ছাড়া গত্যন্তর থাকে না?
উত্তরঃ আল্লাহতে পরিপূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া।
১১৫. “নিশ্চিত জেনে নাও আমিই আল্লাহ, আমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। অতএব একমাত্র আমারই ইবাদত কর, নামায কায়েম কর আমাকে স্মরণ রাখার জন্যে।” এই নির্দেশটি কোন নবীকে করা হয়েছিল?
উত্তরঃ হযরত মুসা আ.কে।
১১৬. কোন কাজকে সঠিক অর্থে আল্লাহর উবুদিয়াত গ্রহণ করা বলে?
উত্তরঃ রাষ্ট্রশক্তিকে আল্লাহর অনুগত বানানো অথবা পরাভূত করে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার যথার্থ সংগ্রাম-সাধনয় আত্ম নিয়োগ করাকে।
১১৭. “ছবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য কামনা কর।” এই সাহায্য কিসের জন্য?
উত্তরঃ উবুদিয়াতের দায়িত্ব পালন করার জন্য।
১১৮. নবী মুহাম্মদ সা. তাঁর নবুয়াতের দ্বাদশতম বছরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের নির্দেশ পেলেন। তাহলে এতদিন যে কাজটা করলেন সেটা কি ছিল?
উত্তরঃ আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার কাজ।
১১৯. উবুদিয়াতের কঠিন দায়িত্ব যুগে যুগে পালন করছেন নবী ও রাসূলগন। আর নবী ও রাসূলদের অনুসারী হিসাবে যারা এ দায়িত্ব আনজাম দিয়েছেন আল কুরআনে তারা কি কি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ সিদ্দিকীন, শোহাদা এবং সালেহীন।
১২০. কঠোরতা ও কোমলতার মধ্যে ভারসাম্য আনতে কোন ইবাদত সাহায্য করে?
উত্তরঃ নামায।
১২১. আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিনয়ী মনোভাব অর্জিত হয় কিভাবে?
উত্তরঃ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর দরবারে রুকু এবং সেজদা করার মাধ্যমে।
১২২. কোন দূর্বল মুহুর্তে ভূল-ত্রুটি হয়ে গেলে অনুতাপ-অনুশোচনা করে আল্লাহর কাছে সে ভূলের জন্যে ক্ষমা চাওয়া এবং সঠিক পথে ফিরে আসাকে কি বলে?
উত্তরঃ তাওবা।
১২৩. “হাসেবু কাবলা আনতুহাসেব” এই কথাটি কার? এর অর্থ কি?
উত্তরঃ এটা হযরত আলীর কথা। এর অর্থঃ আল্লাহর কাছে হিসেব দেয়ার আগে তুমি নিজেই নিজের হিসেব নাও।
১২৪. সার্বক্ষনিক ইবাদতের যোগ্যতা অর্জনের জন্য কি পুরোপুরি আদায় করতে হবে?
উত্তরঃ আনুষ্ঠানিক ইবাদত সমূহের হক।
0 Comments