প্রশ্নোত্তরঃ আল্লাহ কোথায় আছেন?
1. কোন প্রশ্নকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক মুসলমানদের মধ্যে মারাত্মক বিভ্রান্তি রয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহ কোথায় আছেন?
2. আল্লাহ যে আরশে আযীমে অধিষ্ঠিত হয়েছেন এই কথা কুরআনে কতবার বলা হয়েছে?
উত্তরঃ ৭বার।
3. আল্লাহ যে আরশে আযীমে অধিষ্ঠিত হয়েছেন এই কথা কুরআনে ৭টি সূরায় উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা গুলোর নাম কি কি?
উত্তরঃ সূরা আল আরাফ, সূরা ইউনুস, সূরা রা‘দ, সূরা ত্বাহা, সূরা ফোরকারন, সূরা সিজদা ও সূরা হাদীদ।
4.
আল্লাহ সুষ্টি করে তিনি তাঁর সৃষ্টি জগৎ পরিচালনার দায়িত্বও
কারো প্রতি অর্পণ করেননি। এই বিষয়টি
স্পষ্ট করে দেয়ার লক্ষ্যেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি আরশে
আযীমে সমাসীন আছেন। এর মানে
কি?
উত্তরঃ এর মানেঃ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন গোটা মহাবিশ্বের শুধুমাত্র সৃষ্টি কর্তাই নন, তিনি এই মহাবিশ্বের প্রতিপালক, নিয়ন্ত্রক, ব্যবস্থাপক, পরিচালক, পর্যবেক্ষক, সমস্ত সৃষ্টির প্রয়োজন পূরণকারী, আবেদন শ্রবণকারী, দোয়া কবুলকারী এবং সমস্ত সৃষ্টির প্রয়োজনীয় আইন-কানুন ও বিধান দানকারী।
5. কোন ধরণের স্থান সমূহ থেকে কোন কিছু প্রেরণ করা হলে তাকে অবতীর্ণ বুঝায় না?
উত্তরঃ পাশাপাশি কোন স্থান থেকে বা নীচু স্থান থেকে কোন কিছু প্রেরণ করা হলে।
6. কোন ধরণের স্থান থেকে কোন কিছু প্রেরণ করা হলে তা অবতীর্ণ বুঝায়?
উত্তরঃ উপর থেকে।
7.
এ কথা যদি বলা হয় যে, আল্লাহ তায়ালা
সব জায়গায় আছে বা তিনি সর্বত্র বিরাজমান। তাহলে কি প্রতিয়মান হয়?
উত্তরঃ তিনি পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়, সাগর, মহাসাগর, আকাশ-বাতাস, আগুন-পানি, ময়লা তথা বাঞ্ছিত অবাঞ্ছিত সকল স্থানেই তিনি রয়েছেন।
8. একজন দাসীকে আল্লাহর রাসূল সা. প্রশ্ন করলেনঃ আল্লাহ কোথায়? আমি কে? সেই দাসী কার দাসী ছিলেন?
উত্তরঃ হযরত মুয়াবিয়া ইবনে হাকাম আসলামী রা.
9. আল্লাহ কোথায়? আমি কে? এই দুইটি প্রশ্নের সন্তোষ জনক জবাব দেয়ার কারণে একজন দাসীকে আল্লাহর রাসূল সা. মুক্ত করে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। ঐ দাসী কার দাসী ছিলেন?
উত্তরঃ হযরত মুয়াবিয়া ইবনে হাকাম আসলামী রা.
10. একজন দাসীকে আল্লাহর রাসূল সা. প্রশ্ন করলেনঃ আল্লাহ কোথায় এবং আমি কে? উত্তরে ঐ দাসী কি বলেছিলেন?
উত্তরঃ আল্লাহ তায়ালা আকাশের উপর এবং আপনি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসূল।
11. যদি ধরে নেয়া হয় যে আল্লাহ সব জায়গায় আছে এবং তিনি সর্বত্র বিরাজমান। এই কথা অর্থ কি?
উত্তরঃ আল্লাহর ইলমে আল্লাহর জ্ঞানের মধ্যে আল্লাহর নজরের সামনে গোটা জগত রয়েছে।
12. পৃথিবীতে মানুষের স্থিতি অবস্থিতি ও শান্তি-নিরাপত্তা প্রত্যেক মূহূর্তেই কিসের উপর একান্তভাবে নির্ভরশীল?
উত্তরঃ আল্লাহর অনুগ্রহের উপর।
13. ارحَموا مَن في الأرضِ يرحَمْكم مَن في السَّماءِ এর বাংলা কি?
উত্তরঃ তোমরা পৃথিবীবাসীর প্রতি দয়া করো, তাহলে আসমানের ওপর যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।
14. তিনি সদা সর্বত্র বিরাজমান এ কথার অর্থ কি?
উত্তরঃ আল্লাহ তায়ালার ইলম গোটা সৃষ্টি জগতকে বেষ্টন করে রেখেছে। তাঁর ইলমের ভেতর রয়েছে সব।
15. إنَّ رحمتي تغلِبُ غضَبي এর বাংলা কি?
উত্তরঃ নিশ্চয়ই আমার রহমত আমার গযবের ওপর বিজয়ী হয়েছে।
16.
رَبَّنَآ إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِى وَمَا نُعْلِنُ
ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى ٱللَّهِ مِن شَىْءٍۢ فِى ٱلْأَرْضِ وَلَا فِى ٱلسَّمَآءِ এর বাংলা কি?
উত্তরঃ হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি জান যা আমরা গোপন করি ও প্রকাশ করি। আকাশ ও যমীনে কিছুই আল্লাহর কাছে গোপন নয়।
17. وَإِنَّ رَبَّكَ لَيَعْلَمُ مَا تُكِنُّ صُدُورُهُمْ وَمَا يُعْلِنُونَ এর বাংলা কি?
উত্তরঃ তাদের অন্তর যা গোপন করে এবং তারা যা প্রকাশ করে, তা তোমার প্রতিপালক অবশ্যই জানেন।
18. যেসব মানুষ আইন-কানুন, মতবাদ-মতাদর্শ তৈরী করে অন্য মানুষকে তা মেনে চলোর আহবান জানায়, তারা কারা?
উত্তরঃ পথভ্রষ্টকারী।
19. সমস্ত কুমির, সাপ, বাঘ, ভাল্লুক ইত্যাদি যত বাচ্চা দেয়, তা যদি বাঁচতে পারতো তা কি থাকতো না?
উত্তরঃ পৃথিবী আর মানুষ বসবাসের উপযোগী থাকতো না।
20. আরবের যারা মুর্তিপূজক ছিল তারা আল্লাহকে বিশ্বাস করতো। মুখে তারা আল্লাহর নাম বেশ শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারণ করতো। তাহলে তাদের বিশ্বাস কি ছিল?
উত্তরঃ তাদের বিশ্বাস ছিল, আল্লাহর কাছে পৌছানোর মাধ্যম হলো এসব মূর্তি।
21. প্রাচীন কালদানীয় ও সুরইয়ানী ভাষায় আল্লাহ শব্দটি কি নামে ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ আলাহিয়া।
22. হিব্রু ভাষায় আল্লাহ শব্দটি কি নামে ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ উলুহ।
23. আরবী ভাষায় কোন শব্দের সাথে কি যুক্ত হয়ে আল্লাহ শব্দে রূপান্তরিক হয়েছে?
উত্তরঃ ইলাহ শব্দের সাথে আল যুক্ত হয়ে।
24. নবী করীম সা. এর আগমনের পূর্বে আরবদের মধ্যে কোন শব্দটি মহান পরওয়ারদেগারের একক শব্দরূপে ব্যবহৃত হতো?
উত্তরঃ আল্লাহ।
25. কোন শব্দের কোন লিঙ্গান্তর, দ্বিবচন বা বহুবচন হয় না।
উত্তরঃ আল্লাহ।
26. ইসলামী শরীয়াতে কোন নামের কোন বিকল্প নাই।
উত্তরঃ আল্লাহ।
27. হে অর্জ্জুন! যে যে সময়ে ধর্ম্মের পতন আর পাপের প্রাদূর্ভাব হয়, সেই সেই সময়ে আমি জন্ম লইয়া থাকি। এইভাবে পাপীদের বিনাশ করিত (শাস্তি দিতে) আর সৎ লোকদের বাঁচাইতে এবং ধর্ম্মকে আবার প্রতিষ্ঠিত করিত যুগে যুগে আমি জন্মগ্রহণ করি। এই উক্তিটি কার? কার প্রশ্নের জবাবে এই উক্তি করেন?
উত্তরঃ শ্রী কৃষ্ঞের । অর্জুনের প্রশ্নের জবাবে।
28. এমন এক শব্দ, যে শব্দের কোন অনুবাদ হয় না। শব্দটি কি?
উত্তরঃ আল্লাহ।
29. স্রষ্টা হিসাবে আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম রয়েছে, তা কি?
উত্তরঃ খলিক।
30. কি কারণে আল্লাহর গুণবাচক নাম প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহ অসংখ্য গুণাবলীর অধিকারী এবং গুণ ও বৈশিষ্ট্যের কারণে।
31.
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল্লাহ নাম দিয়ে তার পরিচয় তিনি
কিভাবে তুলে ধরেছেন?
উত্তরঃ “আল্লাহ সেই চিরঞ্জীব শাশ্বত সত্তা, যিনি সমগ্র বিশ্বচরাচরকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে আছেন, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি সদাজাগ্রত এবং তন্দ্রা তাকে স্পর্শ করতে সক্ষম নয়। আকাশমন্ডল ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছুর সার্বভৌমত্ব তাঁর।
32. তিনিই আল্লাহ যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তিনি মালিক-বাদশাহ। অতীব মহান ও পবিত্র। সম্পূর্ণ শান্তি, নিরাপত্তা দানকারী, সংরক্ষণকারীম সর্বজয়ী নিজের নির্দেশাবলী শক্তি প্রয়োগে কার্যকরকারী এবং স্বয়ং বড়ত্ব গ্রহণকারী। এই কথা গুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তার কি কি পরিচয় পেশ করেছেন?
উত্তরঃ আল্লাহ মাহপবিত্র এবং তিনি সকল কিছুর মালিক, সকল কিছুরই বাদশাহ, রাজাধিরাজ।
33. আল্লাহ নাম লিখতে প্রথমে আরবী অক্ষর আলিফ প্রয়োজন হয়। এই আলিফ অক্ষর বাদ দিলেও আল্লাহর নাম বিকৃত করা যাবে না। তার উদাহরণ হিসাবে কোন সূরার কত নম্বর আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা বাকারাঃ ২৮৪
34. কোন সূরার কত নম্বর আয়াতে লাহু শব্দ দিয়ে আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আশ শূরাঃ ১২
35. কোন সূরায় হু আকারে আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা বুরুজ।
অন্যান্য সূরা ও বইয়ের উপর প্রশ্নোত্তর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
0 Comments