মুহাম্মদ নজরুল ইসলামঃঃ আমাকে কি সালটা বলতেই হবে? সরি! সালটা বলতে পারছিনা। শুধু এতো টুকু বলতে পারবো যে, আলী
আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ প্রথম বারের মতো জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল
হয়েছেন। এর মাত্র ১সপ্তাহের ভিতর তিনি কাতারে আসলেন। সফর ভিসা ইত্যাদি সব আগে থেকেই
তৈরী ছিল। যখন তিনি ছিলেন সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল।
ভাগ্যক্রমে
আমি তার খেদমতের সুযোগ পেয়ে গেলাম। মুজাহিদ সাহেবের সফর সংগী ছিল মাত্র ১টা
টুপি। ব্যস্ততার কারণে টুপিটা একটু ময়লাই লাগছিলো। আমি উপযাচক হয়ে তাকে টুপিটা
ধুয়ে দিতে প্রস্তাব করাতে তিনি রাজী হলেন। টুপিটা ধুয়ে শুকাতে দিয়েছি। ভাবছি তিনি
অন্য টুপি পরে নেবেন। কিন্তু টুপি না শুকাতেই তিনি তার টুপি তলব করলেন। তখন বুঝতে
পারলাম এতো বিরাট প্রভাবশালীর আন্দরের অবস্থা কেমন। মাত্র ১টা টুপি নিয়েই তাকে
কাতার সফর করতে হচ্ছে। তার চাহিদা মতে আধা শুকানো আধা ভিজা টুপিটা তাকে দিলাম।
তিনি টুপির দিকে থাকিয়ে হতবাক। বললেন, আমার টুপি কই। আমি বললম, ওটাই
আপনার টুপি। তিনি তার নিজের টুপিটা চিনতে পারলেন না।
কারণ?
কারণ, মুজাহিদের
বসবাস ঢাকার যে এলাকায় সেখানে পানির অবস্থা খুবই খারাপ। পানিতে আয়রণ রয়েছে। তাই
তার সাথের সকল কাপড় ছোপড় লাল লাল ভাব। মধ্যপ্রাচ্যের আয়রণমুক্ত পানির ছোয়াতে সেই
লাল লাল ভাব চলে গিয়ে ধবধবে হয়ে উঠেছে মুজাহিদের কালো টুপি। মুজাহিদ হতবাক। এতো
সুন্দর হতে পারে।
মুজাহিদ
থাকলেন প্রায় ১সপ্তাহ। তার সকল কাপড় ধোয়ার প্রয়োজন পড়েছিলো। তার সাথে ছিল মাত্র
১টা গেঞ্জী, ২টা লুঙ্গি, ২টা পানজাবী আর পায়জামা। সব কিছু নিজ হাতে ধুয়ে দিলাম। ধবধবে হয়ে উঠলো
মুজাহিদের জামা কাপড়। মুজাহিদের মুখে মুচকি হাসি। কারণ পুরাতন কাপড় গুলোকে
দেখাচ্ছে নতুনের মতো।
২০১৩, ১৭ জুলাই
*********************************************************************
শহীদ আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।
0 Comments