প্রশ্নোত্তরঃ আল্লাহর রাসূল কিভাবে নামায পড়তেন
1. আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম কে ছিলেন?
উত্তরঃ আল্লামা হাফেজ ইবনুল কায়্যিম ইসলামি দুনিয়ার এক উজ্জল
দৌপ্যমান নক্ষত্র । তিনি ছিলেন শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়ার ছাত্র এবং সার্থক
উত্তরসুরি।
2.
আল্লামা
ইবনুল কাইয়্যিমকে তিনটি উপাধিতে ভুষিত করা হয় সে গুলি কি কি?
উত্তরঃ আল্লামা-বিদ্যাসাগর, শামসুদ্দিন-দ্বীন ইসলামের সুর্য, হাফিজ।
3.
আল্লামা
ইবনুল কায়্যিমের মুল নাম কি?
উত্তরঃ মুহাম্মদ ইবনে বকর ইবনে আইয়ুব ইবনে সাআদ।
4.
আল্লামা
ইবনুল কায়্যিম কোথায় এবং কত হিজরি সনে জন্মগ্রহন করেন?
উত্তরঃ ৬৯১ হিযরি সনে দামেস্কে।
5.
আল্লামা
ইবনুল কায়্যিমের উল্লেখযোগ্য ৫টি গ্রন্থের নাম বলুন
উত্তরঃ যাআদুল মায়াদ, সকরুল হিযরাআইন, মারাহিলস
সায়েরিন, আলকালিমুত্তায়্যিব,
যাতুল মুসাফিরিন।
6.
আল্লাহর
রাসুল কি ভাবে নামাজ পড়তেন বইটির লেখকের কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত?
উত্তরঃ যায়াদুল মায়াদ এর ।
7.
হযরত
মুহাম্মদ সঃ বলেছেন তোমরা তার দ্বারা প্রতারিত হয়োনা । কার দ্বারা?
উত্তরঃ ওলহান নামক শয়তানের দ্বারা।
8.
এটা
শয়তানের কুমন্ত্রনা প্রসুত কাজ লেখক কোন কাজকে বুঝাইয়াছেন?
উত্তরঃ ওযু করার সময় পানির অপচয় করা।
9.
আল্লাহর
রাসুল কি বলে অজু শুরু করতেন?
উত্তরঃ বিসমিল্লাহ।
10. এই দোয়াটি রাসুল সঃ কোন সময় পড়তেন?اشهد ان لا اله الا الله ؤاشهد ان محمد اعبده ؤرسؤله –اللهم اجعلني من التؤابين ؤاجعلني من المتطهرين
উত্তরঃ অযুর শেষে।
11. রাসুল সঃ মুজার উপর মাসেহ করতেন কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ।
12. রাসুল (সঃ )কি ভাবে তাইয়ামুম করতেন?
উত্তরঃ দুই হাতের তালু মাটিতে মেরে হাত এবং মুখমন্ডল মাসেহ করতেন।
13. তাকবিরে তাহরিমা কাহাকে বলে?
উত্তরঃ নামাজের জন্য দাড়াইয়া আল্লাহু আকবার উচ্চারন করাকে তাকবিরে
তাহরিমা বলে।
14. অধিকাংশ সময় রাসুল সঃ জুমার নামাজে কোন সুরাগুলি পড়তেন?
উত্তরঃ সুরা জুমুয়া ও সুরা কাফিরুন।
15. ফযরের নামায দেরীতে পড়ার যে কোন একটি কারণ বর্ননা করুন?
উত্তরঃ দিন এবং রাতের ফেরেস্তাদের ডিউটি বদলের সময় বলে ।
16. রফেইয়াদাইন কি?
উত্তরঃ দুইহাত উঠানো।
17. রাসুল সঃ পাগড়ির প্যাচের উপর সিজদা করতেন কোন সাহাবির বরাত
দিয়ে কোন গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন?
উত্তরঃ আব্দর রাজ্জাক তাহার আলমুসান্নাক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
18. সিজদা ইজতিহাদ সম্পর্কে রাসুল সঃ সৃস্টি কথা তিনটি কি কি?
উত্তরঃ সিজদার মাধ্যমে আল্লাহর নিকটবর্তি হয়, আল্লাহ সিজদার
দোয়া বেশি বেশি কবুল করেন,
দুই সিজদায় গিয়ে বেশি বেশি দোয়া করো।
19. সিজদায় রাসুল সঃ দুই ধরনের দোয়া বেশি বেশি পড়তেন তার যেই
কোন একটি বর্ননা করুন।
উত্তরঃ আল্লাহর প্রশংসা মুলক দোয়া।
20.ইবাদত ও
দাসত্বর চুড়ান্ত প্রকাশ কোনটি এবং এর কারণ কি?
উত্তরঃ সিজদাহ।
21.
তিনি এত
দির্ঘ সময় বসে থাকতেন যে আমরা বলতাম হয়তো তিনি ভুলে গেছেন কিম্বা সংশয়ের পড়েছেন ।
কখন বসে থেকেছেন বলে গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন?
উত্তরঃ দুই সিজদার মাঝ খানে।
22. রাসুল সঃ এর উপর সালাত পাঠানোর জন্য দোয়া করার মানে কি?
উত্তরঃ সম্মান, মর্যাদা ও প্রসংসা বাড়িয়ে দেবার জন্য দোয়া কর।
23.রাসুল সঃ
নামাজের মধ্যে কত জায়গায় দোয়া করতেন?
উত্তরঃ সাত জায়গায়।
24. রাসুল সঃ তাশাহুদের পরে সাহাবিদেরকে কাহার ফেৎনা থেকে বাঁচার জন্য দোয়া করতে বলেছেন?
উত্তরঃ দাজ্জালের ক্ষতি থেকে।
25.তিরমিযি,আবু দাউদ নাসাসি ও ইবনে মাযাহকে হাদিস গ্রন্থে একবারে কোন নামে ভুষিত
করেছেন?
উত্তরঃ সুনানে আবরায়া।
26. রাসুল সঃ বিলালকে উদ্দেশ্য করে কি বলতেন?
উত্তরঃ বিলাল! নামাজে ডেকে আমার হৃদয়কে প্রশান্তিতে ভরে দাও
27.মহানবী
কোন সময় এবং কখন তাহার প্রভুর সান্নিদ্ধ লাভের জন্য হাজির হইতেন?
উত্তরঃ গভির রাতে নামাজের মাধ্যমে।
28.মোবাহ, দোয়া কুনুত ,এবং ইখতিলাফ অর্থ কি?
উত্তরঃ মোবাহ অর্থ বৈধ, দোয়া কুনুত অর্থ কুনুতে নাযেলা, ইখতিলাফ
অর্থ মতভেদ।
29. যদি কেউ নামাজের ফরয কাজ ছাড়া অন্য কোন অংশ ভুল বসত না পড়ে
তাহাকে কি করতে হবে?
উত্তরঃ সাহুসিজদা দিতে হইবে।
30.
যদি কেউ
সুতরা রেখে নামাযে দাড়ায় এরপরও যদি কেউ তাহার সামনে দিয়ে যেতে চায় তাহা হলে রাসুল
সঃ কি করতে বলেছেন?
উত্তরঃ নামাজি যেন বুক দিয়ে তাকে বাধা দেয়, তাকে যেন
সাদ্ধমত প্রতিহত করে,
তাকে যেন ইশারায় দুইবার মানা করে।
31. নবী করিম সঃ নামাজে সালাম ফিরানোর পর কি কি করতেন?
উত্তরঃ উচ্চস্বরে আল্লাহ আকবর বলতেন, এবং আল্লাহুম্মা আসতাগফিরল্লাহ
পড়তেন।
32.কঠিন
বিপদে ফেলে ঈমানের পরীক্ষা নেয়কে কি বলা হয়?
উত্তরঃ ফিৎনা বলা হয়।
33.
এমন
তিনটি কাজ আছে যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে সাথে সে কাজগুলিকে করতে পারবে সে জান্নাতের
যেই দরজা দিয়ে ইচ্ছা সেই দরজা দিয়ে বেহেস্তে প্রবেশ করতে পারবেন এবং তাদের জুড়ি
হিসাবে লাভ করবে হুরদের উক্তকাজ তিনটি কি কি?
উত্তরঃ নিজের লোকদের হত্যাকারিকে মাফ করে দেয়া, গোপন ঋণ
পরিশোধ করে দেয়া,
প্রত্যেক ফরয নামাজের পর দশবার সুরা ইখলাছ পড়া।
34.কোন আমল
মৃত্যছাড়া জান্নাতে প্রবেশে আর কোন বাধা থাকে না?
উত্তরঃ প্রত্যেক ফরয নামজের পর আয়াতুলকুরসি পাঠ করলে।
35.
একাএকি
নামাজ পড়া থেকে জামায়াতে নামাজ পড়লে কতটুকু সওয়াব পাওয়া যাইবে?
উত্তরঃ সাতাশ গুণ সওয়াব।
36.জামায়াতে
হাজির না হওয়া কিসের লক্ষন?
উত্তরঃ মুনাফিকির লক্ষন।
37.
জামায়াতে
উপস্থিতির ক্ষেত্রে কি কি অবকাশ দেওয়া হইয়াছে?
উত্তরঃ খাবার সামনে আনা হলে এমতাবস্থায় খানা শেষ করে তার পরে
জামায়াতে উপস্থিত হতে হবে,
পায়খানা প্রসাবের বেগ চাপলে আগে হাযত শেষ করে তার পর
জামায়াতে হাজির হইতে হইবে
38.
যে
ব্যাক্তি চল্লিশ দিন প্রথম তাকবিরে শামিল হয়ে জামায়াতে নামাজ পড়েছে সে দুটি
জিনিসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। উক্ত
জিনিস দুটি কি কি?
উত্তরঃ দোযখ, মোনাফিকি।
39.রাসুলুল্লাহ
সঃ আবাসে ফরযের আগে ও পরে মোট কত রাকায়াত নামাজ পড়তেন এবং কখন?
উত্তরঃ দশ রাকয়াত। যোহরের আগে দুই পরে দুই রাকায়াত মাগরিবের পরে
ঘরে দুই রাকায়াত ঈশার পরে ঘরে দুই রাকায়াত ফযরের আগে দুই রাকায়াত।
40.রাসুল সঃ
ওনার রিসালাতের সময় কত প্রকার সফর করেছেন এবং কি কি?
উত্তরঃ চার প্রকারঃ ১.
হিযরতের সফর। ২.
আল্লাহর পথে জিহাদের সফর। ৩. ওমরার সফর। ৪. হজ্জের সফর।
41. রাসুল সঃ কোন ওয়াক্তের সুন্নত সামাজ সফরকালিন সময়ও পড়তেন?
উত্তরঃ ফযরের সুন্নত।
42.
কোরআনের
কোন দুটি সুরায় কসর সংক্রান্ত বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। কোরআনের কোন আয়াত গুলোর
ভিক্তিতে রাসুল সঃ কসর করার কৌশল অবলম্বন করেছে?
উত্তরঃ সুরা আল বাকারার ২৩৮ ও২৩৯ নং আয়াতে এবং সুরা আননিসার ১০১ ও
১০২ নং আয়াতে।
43.রাসুল সঃ
মদিনায় হিযরতের পুর্বে কে প্রথম জুমার নামাজ আদায়ের সুচনা করেন এবং কোন স্থানে?
উত্তরঃ আবু উমামা আসআদ ইবনে যিরারার। উক্ত স্থানের নাম বাকিউল
খাদুরাত।
44. সুর্যোদয়ের মাধ্যমে যে সব দিনের সুচনা হয় তন্মেধ্যে কোন
দিনটি সর্বোত্তম এবং কারণ কি?
উত্তরঃ জুমার দিন । কারণ ১. এই দিনটিতে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে। ২.
তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। ৩. তাকে জান্নাত থেকে পৃথিবিতে পাঠানো হয়েছে।
৪. কিয়ামত অনুষ্টিত হবে। ৫. আদমের মৃত্যু হয়েছে। ইবনে মাজাহ
45.জুমার
দিনের উত্তম বৈশিষ্ট কয়টি ? যে কোন পাঁচটি
বৈশিষ্ট বলুন।
উত্তরঃ জুমার দিনটি ১. আল্লাহর মনোনিত দিন। ২. সাপ্তাহিক ঈদের দিন।
৩. পাপ মোচনের দিন। ৪. ঐদিন জাহান্নম উত্তপ্ত কবরের কাছে আছে।
46. কোন কোন ধরনের লোকদের লোকদের জন্য জুমার নামাজ ফরয নয়?
উত্তরঃ কৃতদাস, নারী, শিশু, রুগি, মুসাফির ও পাগল।
47.রাসুল সঃ
বলেছেন তোমাদের উচিত রাত্রে উঠে নামাজ পড়া। কারণ কি?
উত্তরঃ ১. তোমাদের পুর্ববর্তি সালেহ লোকদের রীতি। ২. তোমাদের
প্রভুর সান্নিধ্য লাভের উপায়। ৩. গুনাসমুহ মুছে ফেলার হাতিয়ার এবং পাপের
প্রতিবন্ধক।
48.মানুষ
কখন ঘুমায়, শয়তান তার মাথার পেছনের দিকে কয়টি গিরা দেয়?
এবং গিরায় কি মোহর মারা থাকে?
উত্তরঃ তিনটি ঘিরা থাকে বা দেয়। এখনো অনেক রাত আছে ঘুমাও একথার
মোহর মারা থাকে।
49. শয়তানের মোহর কৃত ঘিরা তিনটি খুলে যায় কি ভাবে?
উত্তরঃ প্রথমত ঘুম থেকে জেগে উঠে আল্লাহকে স্মরন করলে দ্বিতীয় অযু
করলে তৃতীয় নামাজ পড়লে প্রত্যেকটি কাজে একএকটি ঘিরা খুলে যায়।
50.
শ্রেষ্ট
ও সর্বত্তম উম্মতে মোহাম্মদি কারা?
উত্তরঃ কোরআনের বাহক ও রাত জাগরনকারি লোকেরা।
51. রাসুলুল্লাহ সঃ কখন এবং কোন শুক্রবারে শোকরানার সেজদা আদায়
করতেন?
উত্তরঃ রাসুল সঃ যখন কোন সুসংবাদ পেতেন তখনই আল্লাহর প্রতি
কৃতজ্ঞতা স্বরুপ শোকরানার সিজদা আদায় করতেন।
52.রাসুল সঃ
জান্নাতে কার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন এবং উনি কোন আমলের বিনিময়ে এ মর্যাদা
পেয়েছেন?
উত্তরঃ হযরত বিলাল । তিনি প্রত্যেক বার আজানের পরে দুই রাকাত নামাজ
পড়তেন এবং অযু চলে গেলে পুরায় অযু করে আল্লাহর জন্য দুই রাকাত নামাজ পড়াকে কর্তব্য
হিসাবে গন্য করেছিলেন।
53.
কোন
নামাজ জীবনে একবার হলেও পড়ার জন্য হাদিসে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ সালাতুত তাসবিহ।
54.ইস্তিস্কা
অর্থ কি? রাসুল সঃ কে সালাতুল ইস্তিস্কা পড়তেন?
উত্তরঃ ইস্তিস্কা অর্থ পানি চাওয়া বা পানি প্রার্থনা করা ।
অনাবৃষ্টি হলে অথবা পানির প্রয়োজন দেখা দিলে রাসুল সঃ মহান আল্লাহ পাকের নিকট
প্রার্থনা করতেন এবং সালাতুল ইস্তিস্কা আদায় করতেন।
55.
জানাযার
নামাজ মূলত কি?
উত্তরঃ জানাযার নামাজ মুলত মৃত্যের জন্য দোয়ার অনুষ্টান।
0 Comments