০১. প্রতিষ্ঠিত সমাজ ব্যবস্থা সমূলে উৎপাটিত
করে তার স্থলে সম্পূর্ণ ভিন্ন করে এক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে কি করতে
হয়?
উত্তরঃ একটি আদর্শ বেছে নিতে হয়।
০২. চিন্তা ও আদর্শের সাথে যারা সকল দিক দিয়ে
একমত পোষণ করে কি করে?
উত্তরঃ তারা একটি দল গঠন করে।
০৩. একটি আদর্শবাদী দল কাকে বলে?
উত্তরঃ চিন্তা ও আদর্শের সাথে যারা সকল দিক দিয়ে একমত
পোষণ করে তারা একটি দল গঠন করে। একে বলা হয় একটি আদর্শবাদী দল।
০৪. আদর্শবাদী দলের বিশেষ করে নেতাকে যেসব
গুণের অধিকারী হতে হয়, তা কি কি?
উত্তরঃ গতিশীল, দূরদর্শী, সমসাময়িক সকল সমস্যা সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন
এবং চরম সংকট মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী।
০৫. একটি আদর্শবাদী দলে সকলের জন্য অনিবার্য
বিষয় কি?
উত্তরঃ নেতৃত্ব ও নিয়ম শৃংখলার আনুগত্য।
০৬. একটি আদর্শবাদী দলে যে সব গুনাবলী থাকে,
একটি ইসলামী দলে তার সকল গুণ থাকতে হয়। কিন্তু ইসলামী দলে অতিরিক্ত আরো অনেক
গুনাবলী থাকতে হয়। তার মাঝে চরম ও পরম লক্ষ কি হবে?
উত্তরঃ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
০৭. জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ একটি আদর্শবাদী
দল। এ দলের সূচনা হয়েছিল কোথায় এবং কখন?
উত্তরঃ অবিভক্ত ভারতে ১৯৪১ সালে।
০৮. আল্লামা ইকবাল কত সালে হিজরত করেন? তিনি
কিসের মাধ্যমে মাওলানা মওদূদীর গুণমুগ্ধ হয়ে পড়েন?
উত্তরঃ হিজরতঃ ১৯৩৭ সালে। তরজমানুল কুরআনের মাধ্যমে।
০৯. মাওলানা মওদূদী কত তারিখে কোথা থেকে কোথায়
হিজরত করেন?
উত্তরঃ ১৯৩৮ সালের ১৬ই মার্চ হায়দারাবাদ থেকে পূর্ব
পাঞ্জাবের পাঠানকোটে।
১০. দারুল ইসলাম ট্রাষ্টের জমি দাতার নাম কি?
সেখানে কতটুকু জমি ছিল?
উত্তরঃ জনৈক
অবসরপ্রাপ্ত এসডিও চৌধুরী নিয়ায আলী; ষাট-সত্তর একর।
১১. কে দেওয়ানা বা উম্মাদ এবং আগুন নিয়ে খেলতে
চায়?
উত্তরঃ দুর্দান্ত
কুফরী শক্তির প্রভূত্ব কর্তৃত্ব দেখার পর যে ব্যক্তি দারুল ইসলাম কায়েমের জন্য
ময়দানে নেমে পড়বে।
১২. যে ব্যক্তি দারুল ইসলাম কায়েমের জন্য
ময়দানে নেমে পড়বে তার কি ভালো করে এর পরিণাম জেনে বুঝে রাখতে হবে। পরিণাম কি?
উত্তরঃ যমীন ও
আসমানের প্রতিটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তু আপনাদের দুশমন হয়ে পড়বে এবং সকল কুফরী
শক্তি ও আপনাদের কওমের মুনাফেকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনাদের নিষ্পেষিত করার চেষ্টা
করবে।
১৩. কাদের দ্বারা দারুল ইসলাম আন্দোলন পরিচালনা
করতে সক্ষম?
উত্তরঃ যারা
তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের পথে ব্যর্থতাসহ মৃত্যুবরণ করাকে দুনিয়াবী সাফল্যের উপর
অগ্রাধিকার দিতে প্রস্তুত।
১৪. মুহতারাম আব্বাস আলী খানের ভাষায় ১৯৪১
সালের আগষ্ট মাসে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয় কাদের নিয়ে?
উত্তরঃ মাওলানার
কথিত পঁচাত্তর জন উম্মাদ নিয়ে।
১৫. “এ দলের সদস্যদেরকে ঈমানের দিক দিয়ে সুদৃঢ়
ও অবিচল হতে হবে এবং আমলের দিক দিয়ে হতে হবে প্রশংসনীয় ও উচ্চমানের। কারণ তাদেরকে
সভ্যতা সংস্কৃতির ভ্রান্ত ব্যবস্থা ও রাজনীতির বিরুদ্ধে কার্যতঃ বিদ্রোহ ঘোষণা
করতে হবে এবং এ পথে আর্থিক কুরবানী থেকে শুরু করে কারাদণ্ড এমন কি ফাঁসিরও ঝুঁকি
নিতে হতে পারে”। এটা কার উক্তি?
উত্তরঃ আল্লামা
সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহ.)
১৬. “আমার জন্য ত এ আন্দোলন আমার জীবনের
উদ্দেশ্য। আমার জীবন মরণ তারই জন্য। কেউ সম্মুখে অগ্রসর না হলে আমি হবো। কেউ
সহযোগিতা না করলে আমি একাকীই এ পথে চলবো। গোটা দুনিয়া ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিরোধিতা করলে
আমি একা তার বিরুদ্ধে লড়তে ভয় করবো না।” একথা গুলো কার?
উত্তরঃ আল্লামা
সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহ.)
১৭. জামায়াতের সদস্যদের কি কি বারবার এবং গভীর
মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে?
উত্তরঃ কুরআন,
সীরাতুন্নবী ও সীরাতে সাহাবা।
১৮. নফল নামায, নফল রোযা এবং সদকা এমন সব
জিনিস যা মানুষের মধ্যে কি সৃষ্টি করে?
উত্তরঃ ইখলাস
ও ঐকান্তিকতা সৃষ্টি করে।
১৯. কোন জিনিস আন্দোলনের প্রাণ?
উত্তরঃ তায়াল্লুক
বিল্লাহ বা আল্লাহর সাথে সম্পর্ক।
২০. কোন বিষয়টি দূর্বল হলে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা বা তা সাফল্যের সাথে চালানো
যাবে না?
উত্তরঃ আল্লাহর
সাথে সম্পর্ক।
২১. জামায়াতের রুকনদের ঐসব কর্মকাণ্ড থেকে দূরে
থাকা উচিত যা মুসলমানদের মধ্যে ফিরকা সৃষ্টি করে। এজন্য মাওলানা মওদূদী রাহ. তিনটি
নসিহত করেছেন। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. নিজেদের
নামায সাধারণ মুসলমান থেকে পৃথকভাবে পড়বেন না। ২. নামাযে নিজেদের জামায়াত পৃথক
করবেন না। ৩. কোন বিতর্কে লিপ্ত হবেন না।
২২. কি করলে আন্দোলনের প্রাণশক্তি বিনষ্ট হয়
এবং তার পতন রোধ করা সুকঠিন হয়ে পড়ে?
উত্তরঃ জীবনের
সকল প্রকার কাজকর্মের উপরে আন্দোলনের কাজকে অগ্রাধিকার না দিয়ে ব্যক্তিগত, পারিবারিক অথবা বৈষয়িক স্বার্থকে
আন্দোলনের উপর অগ্রাধিকার দিলে।
২৩. ইসলামী আন্দোলন ও সংগ্রামের শক্তিশালী
হাতিয়ার কি?
উত্তরঃ ইসলামী
জ্ঞান ও চরিত্র।
২৪. নিষ্ক্রিয়তা ও কর্মবিমুখতা দেখা দেয় কেন?
উত্তরঃ অধ্যয়ন
বা পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেলে।
২৫. আন্দোলনের অগ্রগতি বন্ধ হয় এবং আল্লাহর
সাহায্যও বন্ধ হয়ে যায় কোন জিনিসের কমতে থাকলে?
উত্তরঃ সময় ও
আর্থিক কুরবানী ও কুরবানীর প্রেরণা।
২৬. দলের বৈশিষ্ট্য নষ্ট হয় এবং তার বিকৃতি
শুরু হয়ে যায় কি করলে?
উত্তরঃ দলের
মূলনীতি লঙ্গিত হতে থাকলে।
২৭. দলের বৈশিষ্ট্য নষ্ট হয়ে যায় এবং পতনের পথ
খুলে যায় কি কারণে?
উত্তরঃ স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব অথবা আঞ্চলিকতার কারণে
ইনসাফ করতে ব্যর্থ হলে।
২৮. যাতে করে বাতিল শক্তির মুকাবেলা করতে পারে,
সেজন্য ইসলামী আদর্শবাদী দলের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী দলের সদস্যদের সম্পর্ক কেমন হবে?
উত্তরঃ ইসলামের
ভ্রাতৃত্ববন্ধনে আবদ্ধ হবে এবং এভাবে তারা হবে সীসাঢালা একটা প্রাচীরের মতো।
২৯. কি কি কারণে পারস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্ট হয়?
উত্তরঃ ১. পারস্পরিক হিংসা বিদ্বেষ। ২. গীবত, পরনিন্দা পরচর্চা। ৩. পরশ্রীকাতরতা। ৪. একে অপরকে সন্দেহের চোখে দেখা। ৫. কারো বিপদে আপদে তার খোঁজ-খবর না
নেয়া। ৬.
পরস্পর বৈষয়িক স্বার্থে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হওয়া। ৭. অযথা কারো প্রতি কুধারণা পোষণ করা।
৩০. কয়টি কারণে একটি ইসলামী দল তার প্রকৃত
পরিচয় হারিয়ে ফেলে এবং নিষ্ক্রিয় ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে? এবং তা কি কি?
উত্তরঃ ৫টি।
যথাঃ ১. কৃত শপথ পূরণ না করা। ২. নিয়মিত দাওয়াতী কাজ না করা।
৩. মাসিক সাহায্য নিয়মিত না দেয়া। ৪. জামায়াতের ডাকে সকল ব্যক্তিগত ও
বৈষয়িক কাজ পরিহার করে নির্দিষ্ট সময়ে যথাস্থানে হাজির না হওয়া। ৫. প্রতি মুহূর্তে
খোদার ভয় এবং আখেরাতের জবাবদিহির অনুভূতি মনের মধ্যে জাগ্রত না থাকা।
৩১. ওয়াদা ভংঙ্গকারীর পরিণাম কি?
উত্তরঃ ওয়াদা
ভঙ্গকারী দীন বহির্ভূত।
৩২. কোন কাজকে বিশ্বাসঘাতকতা বলা হয়?
উত্তরঃ শপথ
ভঙ্গ করলে।
৩৩. দাওয়াতী কাজের উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ বেশী
বেশী লোককে ইসলামী দলভুক্ত করা।
৩৪. দাওয়াতী কাজ অব্যাহত গতিতে চলতে না থাকলে
জামায়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণের কি হয়?
উত্তরঃ তারা
নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে এবং অনেকে জামায়াত থেকে কেটে পড়ে।
৩৫. একটি দলকে আদর্শবাদী ও বিপ্লবী দল কখন বলা
হবে?
উত্তরঃ যখন
দলের নেতার পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত ব্যক্তিগণ নির্দিষ্ট তারিখে, নির্দিষ্ট স্থানে যথা সময়ে হাজির
হবেন।
৩৬. “আপনারা নেতার ডাকে যথাসময়ে সাড়া দিয়ে
পরিপূর্ণ আনুগত্যের পরিচয় দিয়েছেন। এমন দলের দ্বারাই বিপ্লব সম্ভব। এখন আপনারা স্ব
স্ব স্থানে ফিরে যেতে পারেন”- এটা কার উক্তি?
উত্তরঃ সাইয়্যেদ
আবুল আ’লা মওদূদী (রহ.)
৩৭. কোন অনুভূতি বিলুপ্ত হলে মুসলমান হিসাবে
জীবন যাপন সম্ভব নয়?
উত্তরঃ প্রতি মুহূর্তে
খোদার ভয় এবং আখেরাতের জবাবদিহির অনুভূতি।
৩৮. বিকৃতি ও পতনের কারণ হয় কখন?
উত্তরঃ দলের
জনশক্তির মধ্যে নৈরাশ্য ও হতাশা সৃষ্টি হলে।
৩৯. হতাশার সৃষ্টি হয় কেন?
উত্তরঃ ভ্রান্ত
চিন্তাধারা ও পরিশুদ্ধ ইসলামী চিন্তার অভাবে।
৪০. একটানা সংগ্রাম ও চেষ্টা চরিত্রের সুফল যদি
অবিলম্বে অথবা এ জীবনে পাওয়া না যায় তাহলে তা আলবৎ পরাজয়-এই ধারণা কোন ধরণের চিন্তুা?
উত্তরঃ বস্তুবাদী
চিন্তা।
৪১. জামায়াতে ইসলামী গঠনের পূর্বে দীর্ঘ নয় বছর
মাওলানা মওদূদী রহ. জামায়াত গঠনের প্রস্তুতি হিসাবে কি কাজ করেন?
উত্তরঃ ইসলামকে
তার সত্যিকার রূপ ও আকৃতিতে পেশ করেন এবং পাশ্চাত্যের জড়বাদী মতবাদ ও চিন্তাধারার
পরিবর্তে ইসলামী চিন্তা চেতনা সৃষ্টির কাজ করেন।
৪২. “মুসলমান জাতির অবস্থা বর্তমানে এক অনুর্বর
ভূমিখন্ডের মতো হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে নিকৃষ্ট ধরনের বৃক্ষাদি খুব বাড়ে ও ফুলে ফলে
সুশোভিত হয়। কিন্তু উৎকৃষ্ট ধরনের বৃক্ষ বর্ধিত ও বিকশিত হতে পারে না। আমাদের
চোখের সামনে বহু কল্যাণ ও সংস্কারের বীজ তো জমিতেই বিনষ্ট হয়ে গেল। কোনটি অঙ্কুরিত
হলেও তার মূল বিস্তার লাভ করতে পারেনি”-এটি কার উক্তি?
উত্তরঃ সাইয়েদ
আবুল আ’লা মওদূদী।
৪৩. জমির দুরবস্থা, মওসুমের অনুপযোগিতা ও পানির
স্বল্পতা দেখে সে হিম্মত হারিয়ে ফেলা-কাজ নয়?
উত্তরঃ মর্দে
মুমিনের কাজ নয়।
৪৪. প্রত্যেক সত্যানুসন্ধী ব্যক্তির অপরিহার্য
কর্ত্যব্য কি?
উত্তরঃ সে যেন
তার মধ্যে ‘ইকামতে দ্বীনের’ তীব্র অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে।
৪৫. নিজের জীবনেই যারা সুফল না দেখে
হতাশাগ্রস্ত হয়, তাদের
চিন্তাটি কি? এই চিন্তুার পরিণাম কি?
উত্তরঃ এই
চিন্তাটি ত্রুটিপূর্ণ। এ ধরনের চিন্তা ও হতাশা দলের বিকৃতি ও পতন ডেকে আনে।
৪৬. ইসলামী আন্দোলনে তথা দলে যোগদান করতে হবে
একেবারে নিঃস্বার্থভাবে, কোন লক্ষ্যে?
উত্তরঃ নিছক
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে।
৪৭. অর্থের লালসা মানুষকে কিসের মধ্যে নিমজ্জিত
করে?
উত্তরঃ চরম
নৈতিক অধঃপতনে নিমজ্জিত করে।
৪৮. কোন কাজটি আন্দোলনের বুকে ছুরিকাঘাত করার
মতো?
উত্তরঃ আন্দোলনের
দায়িত্বশীল কর্তৃক বায়তুলমালের অর্থ আত্মসাৎ করা।
৪৯. কোন অনুভূতি সদা জাগ্রত থাকলে আমানত খেয়ানত
সম্ভব নয়?
উত্তরঃ আমানতের
জন্য আখেরাতে জবাবদিহি এবং খেয়ানতের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে অনুভূতি।
৫০. সংগ্রামী জীবনের সাথে সাংঘর্ষিক জীবন যাপন
কোনটি?
উত্তরঃ সহজ
সরল ও সাদা মাটা-জীবন যাপনের পরিবর্তে বিলাসী জীবন যাপন।
৫১. “সামর্থ থাকা সত্ত্বেও ছিন্ন ও তালি দেয়া
পোশাক পরিধান করতে হবে এবং অতি নিম্নমানের আহার করতে হবে” বনাম “জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় না
করে মিতব্যয়ী হওয়া” কোনটি সহজ সরল ও সাদা মাটা-জীবন যাপন?
উত্তরঃ “জীবন
যাপনের জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় না করে মিতব্যয়ী হওয়া”।
৫২. নিক আব্দুল আজিজ কে?
উত্তরঃ মালয়েশিয়ার
কেলান্তান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
৫৩. আল্লাহকে স্মরণ করার, স্মরণ রাখার এবং সম্পর্ক গভীর
করার সর্বোত্তম উপায় কি?
উত্তরঃ নামায।
৫৪. নামাযী নামাযের প্রত্যেক রাকায়াতে ছয়বার
মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে একটি বাক্য, তা কি এবং তার অর্থ কি?
উত্তরঃ ‘আল্লাহু
আকবর’ আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ।
৫৫. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি ও নিবিড় হলে তিনি
তাঁর প্রিয় বান্দার মধ্যে গণ্য করবেন এবং আল্লাহ বান্দাকে ডেকে কি বলবেন বলবেন?
উত্তরঃ “আমার প্রিয় বান্দাহদের মধ্যে শামিল
হয়ে যাও এবং তারপর জান্নাতে প্রবেশ কর”।
৫৬. এক ব্যাক্তির নামায সঠিক হলে তার কি কি
সঠিক হবে?
উত্তরঃ যাবতীয়
আচরণ সঠিক হবে।
৫৭. “ইসলাম শরিয়তে প্রথম যে জিনিস ফরয করা হয় তার নাম কি?
উত্তরঃ নামায।
৫৮. ইকামতে দীনের সংগ্রাম অবশ্যই ঈমানের দাবী।
এ কাজের জন্য যে মন মানসিকতার, যে চরিত্র ও গুণাবলীর প্রয়োজন তা সৃষ্টি হয় কিসের মাধ্যমে।
উত্তরঃ নামাযের
মাধ্যমে।
৫৯. একটি ইসলামী দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং
সাধারণ মুসলমান দলটিকে একটি দীনি দল বা জামায়াত হিসেবে মেনে নিতে দ্বিধাবোধ করে
কোন কারণে?
উত্তরঃ নামায
যদি সঠিকভাবে যথাসময়ে জামায়াতের সাথে পড়া না হয়, একাগ্রতা ও বিনয় নম্রতাসহ পড়া না হয়, বরঞ্চ তাড়াহুড়া করে পড়া হয়, সকলের পেছনে মসজিদে প্রবেশ এবং সকলের
আগে বেরিয়ে আসা হয়।
৬০. ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীল নেকটাই পরিধান
করে জনসমক্ষে যাওয়া অথবা জনসভায় ভাষণ দেয়া সম্পর্কে জায়েজ নাজায়েজ বিতর্কে না গিয়ে
শ্রদ্ধেয় আব্বাস আলী খান কি বলেছেন?
উত্তরঃ এতে
পাশ্চাত্য সভ্যতা সংস্কৃতির প্রভাব সুস্পষ্ট।
৬১. আল্লাহর সাথে গভীর ও নিবিড় সম্পর্ক মজবুত
করা কোন কাজ ব্যতিত সম্ভব নয়?
উত্তরঃ তাহাজ্জুদ।
৬২. যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ আমল করে, কুরআন তাদেরকে কি কি নামে
অভিহিত করেছে?
উত্তরঃ ‘মুহসীন’
এবং ‘মুত্তাকী’।
৬৩. কোন চারটি কাজ করলে নিরাপদে বেহেশতে যাওয়া
যাবে।
উত্তরঃ ১. ইসলামের
তবলিগ করা। ২. মানুষকে আহার দান করানো। ৩. আত্মীয়তা
অটুট রাখা। ৪. যখন মানুষ রাতে ঘুমিয়ে থাকবে তখন নামায পড়তে থাকবে।
৬৪. তাহাজ্জুদ নামাযের উপকারিতা কি? হযরত
সালমান ফার্সী বর্ণিত হাদীসের আলোকে জবাব দিন।
উত্তরঃ ১. তোমাদেরকে
আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে। ২. গুনাহগুলো মিটিয়ে দেবে। ৩. গুনাহ
থেকে বাঁচিয়ে রাখবে। ৪. শরীর থেকে রোগ দূর করবে।
৬৫. ফরয নামাযগুলোর পরে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নামায
কি?
উত্তরঃ তাহাজ্জুদ
নামায।
৬৬. ইসলামী আন্দোলনের পরম লক্ষ্য কি?
উত্তরঃ আল্লাহর
সন্তুষ্টি লাভ।
৬৭. মুহাসাবায়ে নফস-এর বাংলা কি?
উত্তরঃ আত্মসমালোচনা।
৬৮. ক্রোধ দমন করতে না পারলে সংগঠনে তা কিসের
সৃষ্টি করে?
উত্তরঃ বিশৃংখলা।
৬৯. লোকের মন জয় করা, কাছে টানা, দূরে ঠেলে দেয় নয়-এগুলো কার কাজ?
উত্তরঃ ইসলামী
আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের কাজ।
৭০. কোন একটি দলে নীতিগত প্রশ্নে ঐক্যের অভাব
হলে এবং তা দূর করতে না পারলে সে দল কিসের সম্মুখীন হয়?
উত্তরঃ ভাঙ্গনের
সম্মুখীন হয়।
৭১. ইসলামের বৈশিষ্ট্য প্রভাবিত করা, প্রভাবিত হওয়া নয়, স্রোতে ভেসে যাওয়া নয়, তাহলে কি?
উত্তরঃ আপন
স্থানে অবিচল থেকে স্রোতের বিপরীত দিকে চলার চেষ্টা করা।
৭২. আধুনিক জড়বাদী সভ্যতা জীবনের সকল ক্ষেত্রে
পুরুষের পাশাপাশি নারীকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এর ফলে নারী কিছু আর্থিক সুযোগ সুবিধা
লাভ করলেও কি বিনষ্ট করা হয়েছে।
উত্তরঃ নারীত্বের
মর্যাদা।
৭৩. কোন জিনিস জাহিলিয়াত দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার
বস্তু নয়?
উত্তরঃ ইসলামী
আন্দোলন।
৭৪. ইসলামী জ্ঞান ও নৈতিক চরিত্রের দুর্বলতা, ব্যক্তিত্বের দুর্বলতা,
সকলকে নিয়ে কাজ করার যোগ্যতার অভাব, যথাসময়ে
সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষমতা-এসব দূর্বলতাকে এক কথায় কোন ধরণের দূর্বলতা বলা
হয়েছে?
উত্তরঃ নেতৃত্বের
দূর্বলতা।
৭৫. নেতৃত্বের প্রধানতম গুণ কি?
উত্তরঃ সকলকে
সমান চোখে দেখা।
৭৬. ব্যক্তির চরিত্র গঠনের জন্য কি পন্থায়
চেষ্টা করা উচিত।
উত্তরঃ (ক)
কুরআন ও হাদীসের জ্ঞান ও তদানুযায়ী চরিত্র গঠন।।(খ) প্রতি মুহূর্তে আল্লাহর স্মরণ
ও ভয় এবং আখিরাতের জবাবদিহির অনুভূতি। (গ) ইবলিশ শয়তান ও নফস শয়তানের বিরুদ্ধে
সর্বদা সংগ্রামরত থাকা এবং কাতরকন্ঠে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থী হওয়া।
৭৭. জনশক্তির স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে দলের
নেতা নির্বাচিত হয় এবং এটাই সঠিক পন্থা। প্রত্যেকে নিঃস্বার্থভাবে তার
জ্ঞান-বুদ্ধিতে কার পক্ষে রায় দেবে?
উত্তরঃ যাকে
সকলের চেয়ে সবদিক দিয়ে নেতৃত্বের গুণাবলীতে ভূষিত দেখতে পায়।
৭৮. কেউ যদি তার সমর্থিত ব্যক্তির জন্য গোপন
তৎপরতা চালায় তাহলে তা কোন ধরণের অপরাধ?
উত্তরঃ আন্দোলনের
সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা।
৭৯. নবীগনের আগমন ও ইসলামের আবির্ভাব হয়েছে কি
প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে?
উত্তরঃ পরিপূর্ণ
ইনসাফ।
৮০. ন্যায় সঙ্গত সমালোচনা যিনি বরদাশত করতে
পারেন না, তার
দ্বারা কি আশা করা যায়না?
উত্তরঃ ইনসাফ
কায়েম হবে এ আশা করা যায় না।
৮১. বিপ্লবের জন্য কাংখিত চরিত্র তৈরী হয়ে
কিসের মাধ্যমে?
উত্তরঃ ত্যাগ
ও কুরবানীর মাধ্যমে।
৮২. ব্যক্তির ঈমান সত্য অথবা মিথ্য-তা প্রমাণিত
হয় কিসের দ্বারা?
উত্তরঃ পরীক্ষার
দ্বারা।
৮৩. আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত দুচারজন মিলে কোন
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করাতে কোন দোষ নেই, তবে শর্ত আছে। শর্ত গুলো কি কি?
উত্তরঃ যদি
তারা নিয়মিত দাওয়াতী কাজ করেন, জামায়াতের শৃঙ্খলা ও নিয়ম-নীতি মেনে চলেন। সেই সাথে আল্লাহর
পথে অকাতরে অর্থ ব্যয়ও করতে থাকেন।
৮৪. রাসূল সা. আমানতদারীর অভাবকে কিসের অভাব
বলে ঘোষণা করেছেন?
উত্তরঃ ঈমানের
অভাব।
৮৫. কে আমানত খেয়ানত করতে পারে?
উত্তরঃ যে
পার্থিক স্বার্থকে আখেরাতের উপর প্রাধান্য দেয়।
৮৬. খায়বারের যুদ্ধে এক ব্যক্তি শাহাদাত বরণ
করেন। আল্লাহর রাসূল সা. না কখনো না। তাকে তো আমি জাহান্নামে দেখতে পেলাম। শাহাদাত
লাভের পরও জাহান্নামে কেন?
উত্তরঃ কারণ
সে একটা চাদর বা কোর্তা চুরি করেছিল।
৮৭. দাওয়াতী কাজের দুটি সুফল রয়েছে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১.
দাওয়াতের মাধ্যমে যতো বেশী লোককে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হবে, ততোবেশী ইসলামের স্বপক্ষে জনমত সৃষ্টি
হবে। ২. যিনি দাওয়াত পেশ করবেন, তাকে অবশ্যই ইসলামের মডেল হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হয়।
ফলে তার পক্ষে ইসলামের অনুশাসন মেনে চলার প্রেরণা সৃষ্টি হয়।
৮৮. দাওয়াত দাতার মধ্যে যেসব যোগ্যতা ও
গুণাবলীর প্রয়োজন, তা অর্জন
করার জন্য কি ব্যবস্থা দরকার?
উত্তরঃ তরবিয়তি
নিজাম বা প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা।
৮৯. কর্মীদেরকে চারটি গুণের অধিকারী হতে হবে।
তা কি কি?
উত্তরঃ ১।
ইসলামের সঠিক উপলদ্ধি। ২। ইসলামের উপর পাকাপোক্ত ঈমান। ৩। কথা
ও কাজের মধ্যে পূর্ণ সামঞ্জস্য। ৪। দীনকে জীবনের উদ্দেশ্য হিসাবে
গ্রহণ।
৯০. কর্মীদের মধ্যে সামাজিক ভাবে যে সব গুণাবলী
প্রয়োজন তা কি কি?
উত্তরঃ ১।
ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা। ২। পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ
করা। ৩। নিয়ম-শৃঙ্খলা পুরোপুরি মেনে চলা। ৪।
সংশোধনের নিয়তে সমালোচনা করা।
৯১. পূর্ণতাদানকারী গুণাবলী কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ৫টি।
যথাঃ ১। আল্লাহর সাথে গভীর সম্পর্ক ও তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা। ২। আখিরাতের
জবাবদিহিকে স্মরণ রাখা। ৩। চরিত্র মাধুর্য। ৪। ধৈর্য। ৫। প্রজ্ঞা।
৯২. তরবিয়ত ও তাযকিয়া বিষয়ক ৯টি বই কর্মীদেরকে
অধ্যয়ন করা উচিত বলে মরহুম আব্বাস আলী খান উল্লেখ করেছেন। যেমনঃ ১. তাহরিক আওর
কারকুন। ২। ইন্তেখাব ও তারতীব। ৩। তা’মীর সীরাত কে লাওয়াযেম। ৪। তাযকিয়ায়ে নফস। ৫। ইসলাম আপসে কিয়া চাহতা
হ্যায়। বাকী চারটি বইয়ের উর্দূ নাম কি কি?
উত্তরঃ ৬।
আপনি ইসলাহ আপ। ৭। ইসলাম এক নিযামি তরবিয়াত। ৮।
তাহরিকে ইসলামী মে। ৯। বাহামী তায়াল্লুকাত।
৯৩. তাফহীমুল কুরআন, সীরাতে সরওয়ারে আলম, রাসায়েল ও মাসায়েল এবং মাওলানা মওদূদীর সাহিত্যাবলী পাঠের অভাবে কি কি
ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ ১. চিন্তার
ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়। ২. জনশক্তির মধ্যে ঐক্যের অভাব ঘটে। ৩. নৈরাশ্য, অবসাদ, ক্লান্তি, আন্দোলন বিমুখতা ও নিষ্ক্রিয়তা এসে
যায়।
0 Comments