চলবো বলে শপথ
নিয়ে যাত্র হলো শুরু,
নিজাম গৌছ উসমানেরা
তখন ছিল গুরু।
ইসলাম আকমল সামনে
আছে আমি তাদের পিছে,
মান্নান রমিজ খিজির
আছে কথাটা নয় মিছে।
সুজাউলের পাহাড় থেকে
যাত্রা হলো শুরু,
শিরিশতলায় শেষ হলো
যখন আমি গুরু।
কুরআন পড়া হাদীস
পড়া এইতো নিত্য কাজ,
দিবা নিশি দ্বীনের
পথে নেই কো তাতে লাজ।
ক্লাশের ফাঁকে একটু
খানি সময় যদি পাই,
সহযাত্রী ভাই
বন্ধুদের
দাওয়াত দিয়ে যাই।
আনোয়ার ভাইয়ের হেদায়াতটা
আজো মনে পড়ে,
নজরুল ভাইয়ের উদ্দীপনা
আমায় নিল গড়ে।
চাইতে হবে অনেক
বেশী পাইতে হবে কিছু,
সফলতা পাইতে
নারি ছাড়বোনাকো
পিছু।
এই হেদায়াত মেনে
চলে চললাম অবিরাম,
চলার পথে জুটলো পথে ফুয়াদ আর সালাম।
মতলিব ভাইয়ের মিষ্টি হাসি, দেলওয়ার ভাইয়ের ভাষণ,
মান্নান ভাইয়ের উৎসাহ আর শোয়েব ভাইয়ের শাসন।
সুজাউল আর মাধবকুন্ড কিংবা মৌলভী বাজার,
শপথের এই বানী গুলো বাজে বারংবার।
মুল্লা ভাইসাব, সারিক গানম আজিজ সবাই ছিল,
সময় গেল, দিনও গেল ওরাও চেলে গেল।
মান্নান, মালিক, হিফজুর কমর ছিল ফকু ভাই,
রাজপথেতে আর বোদ্ধা সম গুরুরা
কেউ নাই।
চলতে থাকা এই পথেতে
অনেক দূরে যাই,
সাজিদ রফিক শিহাব
মুহিব অনেকেরে পাই।
এই কাফেলার নিয়ম
যখন জানতে পারি ভাই,
পিছের জনেরে দায়িত্ব
দিয়ে আমিও পালাই।
ছোটর হাতে দায়িত্ব
দিয়ে বড়র চলে যাওয়া,
এই কাফেলায় এই নিয়মে
চলে এই ভেলা।
যাওয়ার বেলা খুবই
কঠিন তবু চলে যায়,
আপন জনের চোঁখের অশ্রু সবাইকে কাঁদায়।
তারিখঃ ০৮ই সেপ্টেম্বর ২০২১
“শপথের আলোকে আমাদের জীবন” এই বিষয়ের উপর সপ্তাহ খানেক পরে একটা আলোচনা পেশ করার জন্য
আমি নির্দেশিত হয়ে আছি। তারই প্রস্তুতির জন্য কম্পিউটারে থাকা নোট গুলো অপেন করতে
গিয়ে ‘শপথ’ বাক্যটা
লিখে যখন সার্চ করতে গেলাম, তখন
চোঁখের সামনে এই লেখাটা চলে আসলো। কোন এক সময়ে লেখাটা শুরু হয়েছিল বটে। কিন্তু শেষ
করা হয়নি। তাই একটুখানি ঘষামাঝা করে রেখেদিলাম।
0 Comments