প্রশ্নোত্তর – তাফহীমুল কুরআন – সূরা আল আনআম

. গৃহপালিত পশু হারাম হওয়া এবং হালাল হওয়া সম্পর্কে আরববাসীদের কাল্পনিক কুসংস্কারমূলক ধারণা বিশ্বাস খন্ডন করা হয়েছে বলে সূরাটির নাম করণ করা হয় সেই সূরার নাম কি?

উত্তরঃ সূরা আল আনআম

. হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রা. এর চাচাত বোনের নাম কি? তিনি কখন ইসলাম কবুল করেন?

উত্তরঃ হযরত আসমা বিনতে ইয়াজিদ রা. তিনি হিজরতের পরে ইসলাম কবুল করেন

. রাসূলুল্লাহ সা. উটনীর পিঠে সওয়ার অবস্থায় সূরাটি নাযিল হয় তখন একজন মহিলা উটনীর লাগাম ধরে রেখেছিলেন কোন সে সূরা এবং কে সেই মহিলা?

উত্তরঃ সূরা আল আনআম এবং হযরত আসমা বিনতে ইয়াজিদ রা.

. ইয়াসরিবের দূটি প্রভাবশালী গোত্রের নবী সা. এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন গোত্র দুইটির নাম কি?

উত্তরঃ আওস খাযরাজ

. সূরা আল আনআম-এর আলোচ্য বিষয় গুলোকে কয়টি প্রধান শিরোনামে ভাগ করা যায়? যে কোন ২টি উল্লেখ করুন

উত্তরঃ ৭টি শিরোনামে আর তা হলোঃ

একঃ শিরককে খণ্ডন করা ও তাওহীদ বিশ্বাসের দিকে আহবান জানানো।

দুইঃ আখেরাত বিশ্বাসের প্রচার এবং এ দুনিয়ার জীবনটাই সবকিছু, এ ভুল চিন্তার অপনোদন।

তিনঃ জাহেলীয়াতের যে সমস্ত ভ্রান্ত কাল্পনিক বিশ্বাস ও কুসংস্কারে লোকেরা ডুবে ছিল তার প্রতিবাদ করা।

চারঃ যেসব বড় বড় নৈতিক বিধানের ভিত্তিতে ইসলাম তার সমাজ কাঠামো গড়ে তুলতে চায় সেগুলো শিক্ষা দেয়া।

পাঁচঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর দাওয়াতের বিরুদ্ধে উত্থাপিত লোকদের বিভিন্ন আপত্তি ও প্রশ্নের জবাব।

ছয়ঃ সুদীর্ঘ প্রচেষ্টা ও সাধনা সত্ত্বেও দাওয়াত ফলপ্রসূ না হবার কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম ও সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে যে অস্থিরতা ও হতাশাজনক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছিল সে জন্য তাদেরকে সান্ত্বনা দেয়া।

সাতঃ অস্বীকারকারী ও বিরোধী পক্ষকে তাদের গাফলতি, বিহ্বলতা ও অজ্ঞানতা প্রসূত আত্মহত্যার কারণে উপদেশ দেয়া, ভয় দেখানো ও সতর্ক করা।

. সামান্য চেষ্টা-পরিশ্রম করলে কোন ধরণের সূরার নাযিলের সময়-কাল চিহ্নিত করে নেয়া যেতে পারে?

উত্তরঃ মাদানী সূরা।

. মক্কী জীবনের প্রথম পর্যায় কত সময় এবং কখন থেকে শুরু হয়েছে আর কোথায় শেষ হয়েছে?

উত্তরঃ নবুওয়াত প্রাপ্তির সূচনা থেকে শুরু করে নবুওয়াতের প্রকাশ্য ঘোষণা পর্যন্ত প্রায় তিন বছর।

. মক্কী জীবনের দ্বিতীয় পর্যায় কত সময় এবং কখন থেকে শুরু হয়েছে আর কোথায় শেষ হয়েছে?

উত্তরঃ নবুওয়াতের প্রকাশ্য ঘোষণার পর থেকে জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন ও উৎপীড়নের সূচনাকাল পর্যন্ত প্রায় দু’বছর।

৯. মক্কী জীবনের তৃতীয় পর্যায় কত সময় এবং কখন থেকে শুরু হয়েছে আর কোথায় শেষ হয়েছে?

উত্তরঃ চরম উৎপীড়নের সূচনা অর্থাৎ নবুওয়াতের ৫ম বছর থেকে নিয়ে আবু তালিব ও হযরত খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আনহার ইন্তিকাল তথা ১০ম বছর পর্যন্ত পাঁচ বছর সময়-কাল

১০. মক্কী জীবনের চতূর্থ পর্যায় কত সময় এবং কখন থেকে শুরু হয়েছে আর কোথায় শেষ হয়েছে?

উত্তরঃ নবুওয়াতের দশম বছর থেকে ত্রয়োদশ বছর পর্যন্ত প্রায় তিন বছর।

১১. এরা একথা স্বীকার করতো যে, আল্লাহ‌ পৃথিবী ও আকাশের স্রষ্টা। তিনি দিন ও রাতের উদ্ভব ঘটান। সূর্য ও চন্দ্রকে তিনিই অস্তিত্ব দান করেছেন। এ কাজগুলো লাত, উয্‌যা হোবল অথবা আর কোন দেবদেবী করেছে-এ ধরনের কোন বিশ্বাস তাদের কেউ পোষন করতো না-ওরা কারা?

উত্তরঃ আরবের মুশরিকরা

১২. কি কারণে কুরআনে আলোর মোকাবিলায় ‌‘অন্ধকার’ শব্দটিকে বহুবচনে উপস্থাপিত করা হয়েছে?

উত্তরঃ কারণ, অন্ধকার বলা হয় আলোবিহীনতাকে আর আলোবিহীনতার রয়েছে অসংখ্য পর্যায়। তাই আলো এক বা একক এবং অন্ধকার একাধিক, বহু।

১৩. اَجَلٌ مُّسَمًّى  অর্থ কি?

উত্তরঃ কিয়ামতের সময়

১৪. তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য সব অবস্থান জানেন এবং ভালো বা মন্দ যা-ই তোমাদের উপার্জন করো তাও তিনি ভালোভাবেই অবগত। তিনি কে? তিনি কোথায় আছে?

উত্তরঃ তিনিই এক আল্লাহ‌ আকাশেও আছেন এবং পৃথিবীতেও

১৫. ঠিক আছে, এতদিন পর্যন্ত যা নিয়ে তারা ঠাট্টা বিদ্রূপ করে এসেছে শীঘ্রই সে সম্পর্কে কিছু খবর তাদের কাছে পৌঁছবে-এই কথা দ্বারা কোন দিকে ইংগিত করা হয়েছে?

উত্তরঃ হিজরত এবং হিজরতের পরে ইসলাম একের পর এক যেসব সাফল্য অর্জন করবে সেদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

১৬. যারা ছিল দোর্দণ্ড প্রতাপশালী? পৃথিবীতে তাদেরকে কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছিল। তাদের ওপর আকাশ থেকে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ ও তাদের পাদদেশে নদী প্রবাহিত করা হয়েছিল। অবশেষে তাদের গোনাহের কারণে কি কি করা হয়েছে?

উত্তরঃ ১. তাদেরকে ধ্বংস করা হয়েছে।২ .তাদের জায়গায় পরবর্তী যুগের মানবগোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে।

১৭. যদি আল্লাহ তার নবীর প্রতি কাগজে লেখা কোন কিতাবও নাযিল করতেন এবং লোকেরা নিজেদের হাত দিয়ে তা স্পর্শ করেও দেখে নিতো, তাহলেও আজ যারা সত্যকে অস্বীকার করছে তারা তখন কি বলতো?

উত্তরঃ বলতো, এটা সুস্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়।

১৮. কোন ফেরাউন তার বান্দাদের কাছ থেকে কোন দুইটি জিনিস না পেলে প্রভূত্বের দাপট দেখাতে পারে না?

উত্তরঃ কর ও নযরানা।

১৯. যদি আল্লাহ‌ কোন ধরনের ক্ষতি করেন তাহলে কে ঐ ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে?

উত্তরঃ আল্লাহ।

২০. “বলো, আল্লাহ‌ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী” এই কথার অর্থ কি?

উত্তরঃ অর্থাৎ এ মর্মে সাক্ষী যে, আমি তাঁর পক্ষ থেকে নিযুক্ত এবং যা কিছু বলছি তাঁরই নির্দেশ অনুসারে বলছি।

২১. তারা সন্দেহাতীতভাবে এ সত্যটি জানে ও উপলব্ধি করে যে, আল্লাহ একক সত্তা এবং তাঁর প্রভুত্বের কর্তৃত্বে আর কেউ শরীক নয়। তারা কারা?

উত্তরঃ যারা আসমানী কিতাবসমূহের জ্ঞান রাখে

২২. কোন দুইটি কাজ করার কারণে আল্লাহ জালিম আখ্যা দিয়ে প্রশ্ন করছেনঃ আর তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হতে পারে?

উত্তরঃ. যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা দোষারোপ করে২. আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে

২৩. কুরআনে বলা হয়েছেঃ كَذَّبَ بِاٰيٰتِه আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলেতাফসীরে নিদর্শনাবলী বলতে ৩ ধরণের নিদর্শনাবলী বুঝানো হয়েছে তা কি কি?

উত্তরঃ. যেগুলো মানুষের নিজের সত্তার মধ্যে এবং সমগ্র বিশ্ব-জাহানের মধ্যে ছড়িয়ে রয়েছে . নবী-রসূলগনের চরিত্র ও কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে যেগুলোর প্রকাশ ঘটেছে৩. যেগুলো আসমানী কিতাবসমূহের মধ্যে পেশ করা হয়েছে

২৪. “যেদিন এদের সবাইকে একত্র করবো এবং মুশরিকদেরকে জিজ্ঞেস করবো”-মুশরিকদের কি জিজ্ঞাসা করা হবে?

উত্তরঃ এখন তোমাদের মনগড়া সেই শরীকরা কোথায়, যাদেরকে তোমরা নিজেদের ইলাহ মনে করতে?

২৫. হঠকারী ও সত্য অস্বীকারকারীদের সবকিছু শোনার পরও কিছু না শোনা এবং সত্যের আহবায়কের কোন কথা তাদের মনের গহীনে প্রবেশ না করা কিসের ফল?

উত্তরঃ তাদের একগুঁয়েমি, গোঁড়ামি ও স্থবিরতার স্বাভাবিক ফল।

২৬. তারা এ মহাসত্যবাণী গ্রহণ করা থেকে লোকদেরকে বিরত রাখে এবং নিজেরাও এর কাছ থেকে দূরে পালায়। - এর মাধ্যমে আসলে তারা কি করছে?

উত্তরঃ আসলে তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসের পথ প্রশস্ত করেছে।

২৭. হায়! যদি এমন কোন উপায় হতো যার ফলে আমরা আবার দুনিয়ায় প্রেরিত হতাম তখন আমাদের রবের নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা বলতাম না এবং মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতাম।– এই কথা কারা বলবে? কখন বলবে?

উত্তরঃ যারা এ মহাসত্যবাণী গ্রহণ করা থেকে লোকদেরকে বিরত রাখে এবং নিজেরাও এর কাছ থেকে দূরে পালায়, তারা বলবে। যখন তাদেরকে জাহান্নামের কিনারে দাঁড় করানো হবে

২৮. একদল মানুষকে তাদের রবের সামনে দাঁড় করানো হবে সে সময় এদের রব এদেরকে জিজ্ঞেস করবেন, “এটা কি সত্য নয়?” এরা বলবে, “হ্যাঁ, হে আমাদের রব! এটা সত্যই।” তখন তাদের রব কি জবাব দেবেন?

উত্তরঃআচ্ছা, এবার তাহলে নিজেদের সত্য অস্বীকারের ফলস্বরূপ আযাবের স্বাদ গ্রহণ করো।”

২৯. “হায়, আফসোস! এ ব্যাপারে আমাদের কেমন ভুল হয়ে গেছে।” এই উক্তিটি কারা করবে?

উত্তরঃ যারা আল্লাহর সাথে নিজেদের সাক্ষাতের ঘোষণাকে মিথ্যা গণ্য করেছে

৩০. এর মানে হচ্ছে, আখেরাতের যথার্থ ও চিরন্তন জীবনের তুলনায় দুনিয়ার এ জীবনটি ঠিক তেমনি যেমন কোন ব্যক্তি কিছুক্ষণ খেলাধূলা করে চিত্তবিনোদন করে তারপর তার আসল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ কারবারে মনোনিবেশ করে।-এই কথাটা কুরআনের কুরআন আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ وَمَا الۡحَيٰوةُ الدُّنۡيَاۤ اِلَّا لَعِبٌ وَّلَهۡوٌ বা দুনিয়ার জীবন তো একটি খেল-তামাসার ব্যাপার।

৩১. কাদের জন্য আখেরাতের আবাসই ভালো?

উত্তরঃ যারা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে চায়

৩২. যতদিন পর্যন্ত মুহাম্মাদ সা. তাঁর জাতিকে আল্লাহর আয়াত শুনাতে শুরু করেননি ততদিন তারা তাঁকে কি মনে করতো?

উত্তরঃ  “আমীন” ও সত্যবাদী মনে করতো

৩৩. মুহাম্মদ সা.কে তাঁর জাতি কখন থেকে মিথ্যাবাদী বলতে শুরু করলো?

উত্তরঃ যখন তিনি তাদেরকে আল্লাহর পয়গাম পৌঁছাতে শুরু করলেন তখন থেকে

৩৪. إِنَّا لاَ نُكَذِّبُكَ وَلَكِنْ نُكَذِّبُ مَا جِئْتَ بِهِআমরা আপনাকে মিথ্যাবাদী মনে করি না বরং আপনি যা কিছু পেশ করছেন সেগুলোকেই মিথ্যা বলছি।” এই উক্তিটি কার? কাকে উদ্দেশ্য করে এই উক্তিটি করা হয়েছে?

উত্তরঃ উক্তিটি আবু জাহেল এর মুহাম্মদ সা.কে উদ্দেশ্য করে এ উক্তিটি করা হয়েছে

৩৫. “এখানে আমি ও তুমি ছাড়া আর তৃতীয় কেউ নেই। সত্যি করে বলো তো, মুহাম্মাদকে তুমি সত্যবাদী মনে করো, না মিথ্যাবাদী? প্রশ্ন কর্তাকে? কাকে উদ্দেশ্য করে এই প্রশ্ন করেন? কখন করেন?

উত্তরঃ প্রশ্নকর্তাঃ আখনাস ইবনে শারীকআবু জাহেলকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করেন। বদরের যুদ্ধের সময়

৩৬. বদরের যুদ্ধের সময় আখনাস ইবনে শারীক এর প্রশ্নের উত্তরে আবু জাহেল রাসূল সা. সম্পর্কে যে উক্তি করে, তা কি ছিল?

উত্তরঃআল্লাহর কসম, মুহাম্মাদ একজন সত্যবাদী। সারা জীবনে কখনো মিথ্যা বলেনি। কিন্তু যখন পতাকা, হাজীদের পানি পান করানো, আল্লাহর ঘরের পাহারাদারী, রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ও নবুওয়াত সবকিছুই ‘কুসাই’ বংশের লোকদের ভাগে পড়ে তখন কুরাইশ বংশের অন্যান্য শাখার ভাগে কি থাকে বলো?”

৩৭. মুহাম্মদ সা. এর পূর্বে অনেক রাসূলকে মিথ্যা বলা হয়েছে কিন্তু তাদের উপর যে মিথ্যা আরোপ করা হয়ে এবং যে কষ্ট দেয়া হয়েছে, তাতে তাঁরা কি করেছিলেন?

উত্তরঃ সবর

৩৮. কোন জিনিস বদলে দেবার ক্ষমতা কারোর নেই?

উত্তরঃ হক ও বাতিল এবং সত্য ও মিথ্যার সংঘাতের যে বিধান আল্লাহ‌ তৈরী করে দিয়েছেন

৩৯. সত্যপন্থীদের অবশ্যি দীর্ঘকাল পরীক্ষার আগুনে কি হতে হবে?

উত্তরঃ ঝালাই।

৪০. সত্যপন্থীদের পরীক্ষা দিতে হবে নিজেদের ৯টি ত্যাগের। তা কি কি?

উত্তরঃ ১. সবর . সহিষ্ণুতা . সততা . সত্যবাদিতা . ত্যাগ . তিতিক্ষা . আত্মোৎসর্গিতা . ঈমানী দৃঢ়তা৯. আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতা।

৪১. সত্যপন্থীদেরকে জাহেলিয়াতের উপর বিজয় লাভ করতে হবে কোন ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করে?

উত্তরঃ নির্ভেজাল উন্নত নৈতিক গুনাবলী ও সচ্চরিত্রে অস্ত্র ব্যবহার করে

৪২. নিজেদেরকে কি প্রমাণ করতে পারলে আল্লাহর সাহায্য যথা সময়ে সহায়তা দান করার জন্য এগিয়ে আসবে?

উত্তরঃ উন্নত সংস্কারকারী

৪৩. “সত্যের দাওয়াতে তারাই সাড়া দেয় যারা শোনে” – কারা শোনে?

উত্তরঃ যাদের বিবেক জীবন্ত ও জাগ্রত, যারা নিজেদের বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তিকে অচল করে দেয়নি এবং যারা নিজেদের মনের দুয়ারে পক্ষপাতিত্ব, বিদ্বেষ ও জড়তার তালা ঝুলিয়ে দেয়নি।

৪৪. “আর মৃতদেরকে তো আল্লাহ‌ কবর থেকেই ওঠাবেন” –এখানে মৃত বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ মৃত হচ্ছে তারা যারা ভেড়ার পালের মতো গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে অন্ধের মতো এগিয়ে যেতে থাকে এবং প্রথম ভেড়াটির পথ ছাড়া অন্য কোন পথ গ্রহণ করতে প্রস্তুত হয় না, তা দ্ব্যর্থহীন সুস্পষ্ট ও অকাট্য সত্য হলেও।

৪৫. “তারা বলে, এ নবীর ওপর তাঁর রবের পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয়নি কেন?” এই নিদর্শণ অর্থ কি?

উত্তরঃ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য মু’জিযা

৪৬. বধির ও বোবা, তারা অন্ধকারে ডুবে আছে কারা?

উত্তরঃ যারা আল্লাহর নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা বলে।

৪৭. “আল্লাহ যাকে চান বিপথগামী করেন” এখানে বিপথগামী করার অর্থ কি?

উত্তরঃ একজন মূর্খতা ও অজ্ঞতাপ্রিয় ব্যক্তিকে আল্লাহর নিদর্শনসমূহ অধ্যয়ন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা।

৪৮. “যাকে চান সত্য সরল পথে পরিচালিত করেন” এখানে সরল পথে পরিচালিত করার অর্থ কি?

উত্তরঃ একজন সত্যান্বেষী ব্যক্তি জ্ঞানের উপকরণসমূহ থেকে লাভবান হবার সুযোগ লাভ করে এবং আল্লাহর নিদর্শনগুলোর মধ্যে সত্যের লক্ষ্যে পৌঁছার নিশানী গুলো লাভ করে যেতে থাকে

৪৯. ইংরেজী এই শব্দগুলোর বাংলা অর্থ কি? Zoology, Botany, Biology, Geology, Astronomy, physiology, Anatomy

উত্তরঃ প্রাণীবিদ্যা (Zoology), উদ্ভিদ বিদ্যা (Botany), জীববিদ্যা (Biology), ভূতত্ব (Geology), মহাকাশ বিদ্যা (Astronomy), শরীর বিজ্ঞান (physiology), শবব্যবচ্ছেদ বিদ্যা (Anatomy)

৫০. যারা সচেতন বুদ্ধি বিবেকের সাথে চোখ মেলে বিশ্ব প্রকৃতির এ সুবিশাল কর্মক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ করেন, তারা কি বলে ওঠে?

উত্তরঃ সচেতন দৃষ্টি সমুখে গাছের প্রতিটি সবুজ পাতা-একেকটি গ্রন্থ যেন স্রষ্টা-সন্ধানের এনেছে বারতা।”

৫১. নবী মুহাম্মদ সা. এর পূর্বে অনেক মানব গোষ্ঠীর কাছে আল্লাহ রাসূল পাঠিয়েছিলেন এবং আল্লাহ তাদেরকে বিপদ ও কষ্টের মুখে নিক্ষেপ করেছেন কেন?

উত্তরঃ যাতে তারা বিনীত ভাবে আল্লাহর সামনে মাথা নত করে

৫২. তোমাদের হৃদয়ে মোহর মেরে দেন-এখানে হৃদয়ে মোহর মেরে দেবার মানে কি?

উত্তরঃ চিন্তা ও অনুধাবন করার শক্তি কেড়ে নেয়া।

৫৩. আল্লাহ যে রসূল প্রেরণ করেন তা কেবল এ জন্যই পাঠান যে, তারা দুই ধরণের বার্তা প্রদান করেন কাদেরকে কি বার্তা দেন?

উত্তরঃ সৎকর্মশীলদের জন্য সুসংবাদ এবং দুষ্কৃতকারীদের জন্য ভীতি প্রদর্শন

৫৪. কাদের কোন ভয় ও দুঃখের কারণ নেই?

উত্তরঃ যারা রাসূলদের কথা মেনে নেবে এবং নিজেদের কর্মনীতি সংশোধন করবে

৫৫. রাসূল সা.কে একজন সাধারণ পর্যায়ের মানুষ দেখে তাঁর সমকালীন লোকেরা আপত্তি করতো যে, এ আবার কেমন পয়গম্বর যিনি খাওয়া দাওয়া করছেন, স্ত্রী-পুত্র-কণ্যা নিয়ে থাকছেন এবং হাট-বাজারেও চলাফেরা করছেন? এসব কথার জবাবে কুরআনের যে আয়াত নাযিল হয়েছে, তার অনুবাদ লিখুন।

উত্তরঃ “হে মুহাম্মাদ! তাদেরকে বলো, “আমি তোমাদের একথা বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধনভাণ্ডার আছে, আমি গায়েবের জ্ঞানও রাখি না এবং তোমাদের একথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো কেবলমাত্র সে অহীর অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি নাযিল করা হয়

৫৬. “কেবলমাত্র এ ধরনের লোকদের ওপরই এ নসীহতের প্রভাব পড়তে পারে এবং তাদের সংশোধনের আশা করা যেতে পারে।” এই ধরণের লোকদের ২টি বৈশিষ্ট কি কি?

উত্তরঃ ১. যাদের মনে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবার ভীতি বিরাজমান২. কোন মিথ্যা আশ্বাসবাণীতে বিশ্বাস করে না। 

৫৭. কুরাইশদের বড় বড় সরদার এবং তাদের বিত্তবান ও স্বচ্ছল লোকেরা নবী সা.এর বিরুদ্ধে যেসব আপত্তি উত্থাপন করেছিল, তা কি ছিল?

উত্তরঃ আপনার চারদিকে আমাদের জাতির ক্রীতদাস, মুক্তি প্রাপ্ত ক্রীতদাস এবং নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা সমবেত হয়েছে।

৫৮. “আসলে আমি এভাবে মানুষের মধ্য থেকে এক দলকে আর এক দলের সাহায্যে পরীক্ষা করেছিএ কথার অর্থ কি?

উত্তরঃ সমাজের নিম্ন পর্যায়ে অবস্থানকারীর দরিদ্র, অভাবী ও কপর্দকহীনদেরকে সর্বপ্রথম ঈমান আনার সুযোগ দান করে আমি ধন ও বিত্তের অহংকারে মত্ত লোকদেরকে পরীক্ষার মধ্যে নিক্ষেপ করেছি।

৫৯. কেউ যদি অজ্ঞতা বশত কোন খারাপ কাজ করে বসে, তাহলে তাকে মাফ করে দেয়া হয় কি কি করলে?

উত্তরঃ তারপর তাওবা করা এবং সংশোধন করে নেয়া।

৬০. যারা সে সময় নবী সা. এর প্রতি ঈমান এনেছিলেন তাদের মধ্যে বহু লোক এমনও ছিলেন, যারা জাহেলী যুগে বড় বড় গোনাহ করেছিলেন। এখন ইসলাম গ্রহণ করার পর তাদের জীবন সম্পূর্ণরূপে বদলে গেলেও ইসলাম বিরোধীরা তাদের পূর্ববর্তী জীবনের দোষ ও কার্যাবলীর জন্য তাদেরকে বিদ্রূপ করতো ও খোঁটা দিতো। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার জবাবে যে আয়াত নাযিল করেন তা আরবীতে লিখুন অথবা তার বাংলা অনুবাদ লিখুন

উত্তরঃ مَنۡ عَمِلَ مِنۡكُمۡ سُوۡٓءًۢا بِجَهٰلَةٍ ثُمَّ تَابَ مِنۡۢ بَعۡدِهٖ وَاَصۡلَحَ فَاَنَّهٗ غَفُوۡرٌ رَّحِيۡمٌ তোমাদের কেউ যদি অজ্ঞতা বশত কোন খারাপ কাজ করে বসে, তারপর তাওবা করে এবং সংশোধন করে নেয়, তাহলে তিনি তাকে মাফ করে দেন এবং নরম নীতি অবলম্বন করেন, এটি তাঁর দয়া ও অনুগ্রহেরই প্রকাশ।

৬১. নবী মুহাম্মদ সা. কে নির্দেশ দেয়া হয়েছেঃ “বলো, আমি তোমাদের ইচ্ছা-বাসনার অনুসরণ করবো না।” প্রশ্ন হচ্ছেঃ যদি তিনি ইচ্ছা-বাসনার অনুসরণ করেন, তাহলে কোন ২টি পরিণতি হবে?

উত্তরঃ ১. বিপথগামী হবেন। ২. সরল-সত্য পথ লাভকারীদের অন্তর্ভুক্ত থাকবেন না

৬২. “এখন তোমরা যে জিনিসটি তাড়াতাড়ি চাচ্ছো সেটি আমার ক্ষমতার আওতাধীন নয়। ফায়সালার সমস্ত ক্ষমতা আল্লাহর হাতে” কোন জিনিসটা নবী সা. এর আওতাধীন নয়?

উত্তরঃ আল্লাহর আযাব

৬৩. “তিনি নিজের বান্দাদের ওপর পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন এবং তোমাদের ওপর রক্ষক নিযুক্ত করে পাঠান।এই রক্ষক কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট কি?

উত্তরঃ রক্ষক এমন ধরনের ফেরেশতা, যারা প্রত্যেকটি কথা এবং তৎপরতার ওপর, প্রতিটি নড়াচড়ার ওপর নজর রাখেন এবং প্রতিটি গতিবিধিকে লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করতে থাকে।

৬৪. তোমরা যা দেখতে পাচ্ছো না তা জোর করে তোমাদের দেখিয়ে দেয়া এবং যা বুঝতে পারছো না তা জোর করে তোমাদের বুঝিয়ে দেয়া আমার কাজ নয়। আর তোমরা না দেখলে ও না বুঝলে তোমাদের ওপর আযাব নাযিল করাও আমার কাজ নয়। তাহলে নবীর কাজটা কি?

উত্তরঃ শুধুমাত্র হক ও বাতিল এবং সত্য ও মিথ্যাকে সুস্পষ্ট করে সামনে তুলে ধরা।

৬৫. “তাদের কৃতকর্ম থেকে কোন কিছুর দায়-দায়িত্ব সতর্কতা অবলম্বনকারীদের ওপর নেই। তবে নসীহত করা তাদের কর্তব্য।” এই নসীহত করা হলো কি উপকার হবে?

উত্তরঃ হয়তো তারা ভুল কর্মনীতি অবলম্বন করা থেকে বেঁচে যাবে।

৬৬. “তাদেরকে পরিত্যাগ করো। তবে এ কুরআন শুনিয়ে উপদেশ দিতে ও সতর্ক করতে থাকো” – কোন দুই ধরণের ব্যক্তিদের পরিত্যাগ করতে বলা হচ্ছে?

উত্তরঃ ১. যারা নিজেদের দ্বীনকে খেল-তামাশায় পরিণত করেছে২. দুনিয়ার জীবন যাদেরকে প্রতারণায় নিক্ষেপ করেছে

৬৭. কুরআনে মুহাম্মদ সা. কে নির্দেশ করা হচ্ছেঃ বলো, আসলে আল্লাহর হেদায়াতই একমাত্র সঠিক ও নির্ভুল হেদায়াত এবং তাঁর পক্ষ থেকে আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছে প্রশ্ন হচ্ছেঃ কি কি নিদের্শ এসেছে?

উত্তরঃ বিশ্ব-জাহানের প্রভুর সামনে আনুগত্যের শির নত করে দাও, নামায কায়েম করো এবং তাঁর নাফরমানী করা থেকে দূরে থাকো।

৬৮. “আর যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে” তাফসীরে দুই বার শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে জানা যায়। দ্বিতীয়বার ফুঁক দেয়ার পর ২টি অবস্থা হবে তা কি কি?

উত্তরঃ . পূর্বের ও পরের এবং প্রথমের ও শেষের সবাই পুনর্বার জীবিত হয়ে নিজেদেরকে হাশরের ময়দানে উপস্থিত দেখতে পাবে।  . নতুন প্রকৃতি ও নতুন আইন কানুন নিয়ে আর একটি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হবে।

৬৯. “আর যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে” তাফসীরে দুই বার শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে জানা যায়। প্রথমবার ফুঁক দেয়ার পর ২টি অবস্থা হবে তা কি কি?

উত্তরঃ. সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। ২. বিশ্ব-জাহানের সমস্ত ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে পড়বে, সবকিছু ওলট পালট ও লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে

৭০. “সেদিন রাজত্ব হবে একমাত্র তাঁরই” সেদিন যদি রাজত্ব তাঁর হবে বলা হয়, তাহলে কি আজকে রাজত্ব তাঁর নয়? ব্যাখ্যা করুন।

উত্তরঃ যাদেরকে দুনিয়ায় ক্ষমতাশালী দেখা যেতো, তারা সম্পূর্ণ ক্ষমতাহীন এবং যে আল্লাহ‌ এ বিশ্ব-জাহান সৃষ্টি করেছেন রাজত্ব করার সমস্ত ক্ষমতা ও ইখতিয়ারের একমাত্র ও একচ্ছত্রভাবে তিনিই অধিকারী।

৭১. অদৃশ্য ও দৃশ্য মানে কি?

উত্তরঃ সৃষ্টির দৃষ্টি থেকে যা কিছু গোপন আছে তাই অদৃশ্য। সৃষ্টির সামনে যা কিছু প্রকাশিত ও তার গোচরীভূত, তাই দৃশ্য।

৭২. “তুমি কি মূর্তিগুলোকে ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করছো?” এই কথা কে কাকে বলেছিলেন?

উত্তরঃ ইব্রাহীম আ. তার পিতা আযরকে বলেছিলেন

৭৩. আল্লাহ্‌ প্রদত্ত হেদায়াতের বদৌলতে যেভাবে আজ মুহাম্মাদ সা. ও তাঁর সাথীরা শিরককে অস্বীকার করেছেন এবং সকল কৃত্রিম ইলাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে একমাত্র বিশ্বজাহানের মালিক, স্রষ্টা ও প্রভু আল্লাহর সামনে আনুগত্যের শির নত করে দিয়েছেন ঠিক তেমনি ইতিপূর্বে  কে করেছেন?

উত্তরঃ হযরত ইবরাহীম আ. করেছেন।

৭৪. নূহ, ইবরাহীম ও ইবরাহীমী বংশোদ্ভুত সমস্ত নবী যে পথে চলেছেন, একই পথে কে চলেছেন?

উত্তরঃ মুহাম্মাদ সা.

৭৫. আরবের লোকেরা, বিশেষ করে কুরাইশ বংশের লোকেরা কাকে নিজেদের নেতা ও শ্রেষ্ঠ অনুসরণীয় পূর্বপুরুষ হিসেবে স্বীকার করতো?

উত্তরঃ হযরত ইব্রাহীম আ.কে

৭৬. কাবাঘরের সেবক হবার আভিজাত্যবোধ ও অহংকার কাদের?

উত্তরঃ কুরাইশ বংশের লোকদের

৭৭. হযরত আবদুল কাদের জিলানী রাহ. এর উদাহরণ দেয়া হয়েছে তাফহীমুল কুরআনের কোন সূরার কত নম্বর টীকাতে?

উত্তরঃ সূরা আল আনআমঃ টীকা-৫০

৭৮. আব্রাহাম’ নামক বইয়ের লেখক কে?

উত্তরঃ স্যার লিওনার্ড উলী (Sir Leonard Woolley)

৭৯. খৃস্টপূর্ব কত সালে ইব্রাহীম আ. এর আবির্ভাব হয় তখন উর শহরের জনসংখ্যা কত ছিল

উত্তরঃ ২১০০ সাল জনসংখ্যা ছিলঃ আড়াই লাখ

৮০. “এটি ছিল বৃহৎ শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্র। একদিকে পামীর ও নীলগিরি পর্যন্ত এলাকা থেকে সেখানে পণ্য সম্ভার আমদানী হতো এবং অন্যদিকে আনাতোলিয়া পর্যন্ত তার বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিস্তৃত ছিল।” এ বর্ণনাটি একটি শহরের। শহরটির নাম কি?

উত্তরঃ উর।

৮১. উর শহরের অধিবাসীদের জীবন সম্পর্কিত দৃষ্টিভংগী ছিল সম্পূর্ণ বস্তুবাদী। এই কথাটির তথ্যসূত্র কি?

উত্তরঃ শিলালিপি

৮২. অর্থ উপার্জন করা এবং আরাম আয়েশ ও বিলাস উপকরণ সংগ্রহ করাই ছিল কোন শহরের অধিবাসীদের জীবনের প্রধানতম লক্ষ্য?

উত্তরঃ উর শহরের।

৮৩. উর শহরের জনগোষ্ঠী তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল তা কি কি? তাদের পরিচয় কি?

উত্তরঃ . আমীলুঃ এরা ছিল উচ্চ শ্রেণীভুক্ত। এদের অন্তর্ভুক্ত ছিল পূজারী পুরোহিত, পদস্থ সরকারী কর্মচারীবৃন্দ, সেনাবাহিনীর অফিসারবৃন্দ এবং এ পর্যায়ের অন্যান্য লোকেরা। ২. মিশকীনুঃ ব্যবসায়ী, শিল্পী, কারিগর ও কৃষিজীবীরা এর অন্তর্ভুক্ত। ৩. আরদূঃ অর্থাৎ দাস।

৮৪. হযরত ইব্রাহীম আ. সেই সময়ের কোন শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত ছিলেন?

উত্তরঃ আমীলু শ্রেণীর

৮৫. উর নগরীর সবচেয়ে উচূঁ পাহাড়ের ওপর একটি বিশাল সুরম্য প্রাসাদে এক দেবতার প্রতিমূর্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল। সেই দেবতার নাম কি ছিল?

উত্তরঃ  ‘নান্নার’

৮৬. হযরত ইবরাহীমের সময় উরের যে রাজপরিবারটি ক্ষমতাসীন ছিল তার প্রতিষ্ঠাতার নাম কি ছিল?

উত্তরঃ উরনাম্মু

৮৭. খৃস্টপূর্ব ১৯১০ সালে ব্যাবিলনের বাদশাহ ‘হামুরাবি’ যে আইন সংকলন করেন, সে আইনের বহু মূলনীতি ও খুঁটিনাটি ধারা-উপধারা হযরত মূসার শরীয়াতের সাথে সামঞ্জস্য রাখে। সেই আইনের নাম কি ছিল?

উত্তরঃ The oldest code of law

৮৮. তাঁর দাওয়াত গ্রহণ করে নেয়ার অর্থ ছিল নীচে থেকে ওপর পর্যন্ত সমাজের সমগ্র ইমারতটি গুড়িয়ে ফেলে তাকে নতুন করে তাওহীদের ভিত্তিতে গড়ে তোলা।–এটা কার দাওয়াতের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ হযরত ইব্রাহীম আ. এর।

৮৯. বিজ্ঞানী নিউটন সম্পর্কে বহুল প্রচলিত ঘটনা, তিনি একদিন একটি বাগানে গাছ থেকে আপেল পড়তে দেখেন আকস্মাত তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, আপেলটি আকাশে না উঠে মাটিতে পড়লো কেন? কোন বিষয়টি বুঝানোর জন্য নিউটনের এই ঘটনার অবতারণ করা হয়েছে?

উত্তরঃ হযরত ইব্রাহীম আ. এর নক্ষত্র, চাঁদ ও সূয্য দেখার মাধ্যমে সত্যে উপনীতি হওয়ার বিষয়টি

৯০. “একজন সত্যসন্ধানী তাঁর সত্য অনুসন্ধানের পথে পরিভ্রমণকালে মাঝপথে যেসব মনযিলে চিন্তা-ভাবনা করার জন্য থামে আসল গুরুত্ব সে মনযিলগুলোর নয় বরং আসল গুরুত্ব হচ্ছে সে গন্তব্যের যে দিকে তিনি অগ্রসর হচ্ছেন এবং যেখানে গিয়ে তিনি অবস্থান করেন। মাঝখানের এ মনযিলগুলো অতিক্রম করা প্রত্যেক সত্যসন্ধানীর জন্য অপরিহার্য।এই কথা গুলো একটি প্রশ্নের জবাব প্রশ্নটা কি?

উত্তরঃ হযরত ইবরাহীম (আ) যখন তারকা দেখে বলেন, এ আমার রব আবার যখন চাঁদ ও সূর্য দেখে তাদেরকেও নিজের রব বলে ঘোষণা দেন, সে সময় কি তিনি সাময়িকভাবে হলেও শিরকে লিপ্ত হননি?

৯১. “আমি তো একনিষ্ঠভাবে নিজের মুখ সেই সত্তার দিকে ফিরিয়ে নিয়েছি যিনি যমীন ও আসমান সৃষ্টি করেছেন এবং আমি কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।” এই কথাটি কার?

উত্তরঃ ইব্রাহীম আ. এর।

৯২. ‘তাযাক্কুর’ শব্দের সঠিক অর্থ কি?

উত্তরঃ সঠিক অর্থ হচ্ছে, যে ব্যক্তি গাফলতি ও ভুলের মধ্যে ডুবে ছিল তার হঠাৎ গাফলতি থেকে জেগে ওঠে যে জিনিস থেকে গাফেল হয়ে ছিল তার স্মরণ করা।

৯৩. নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্ততা কাদের জন্য এবং সত্য-সরল পথে কারা পরিচালিত?

উত্তরঃ যারা ঈমান এনেছে এবং যারা নিজেদের ঈমানকে জুলুমের সাথে মিশিয়ে ফেলেনি।

৯৪. হযরত ইবরাহীমের জাতি পৃথিবী ও আকাশের স্রষ্টা মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করতো নাতাহলে তাদের আসল অপরাধ কি ছিল?

উত্তরঃ তাদের আসল অপরাধ ছিলঃ তারা আল্লাহর গুণাবলি এবং তার প্রভুত্বের অধিকারে অন্যদের শরীক করতো

৯৫. “এবং যারা নিজেদের ঈমানকে জুলুমের সাথে মিশিয়ে ফেলেনি।” নবী কারীম সা. এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী এখানেরজুলুমশব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ শিরক

৯৬. ইবরাহীম আ. কে তাঁর জাতির মোকাবিলায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কি প্রদান করেছিলেন?

উত্তরঃ যুক্তি-প্রমাণ

৯৭. সূরা আল আনআমের ৩টি আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা হযরত ইব্রাহীম আ. বংশের বেশ কয়েকজন নবী ও হেদায়াত প্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করেছেন তারা কতজন এবং কে কে?

উত্তরঃ মোট ১৬জন যথাঃ ১. ইসহাক, ২. ইয়াকূব, ৩. দাউদ, . সুলাইমান, . আইউব, . ইউসুফ, . মূসা,  ৮. হারুণ, ৯. যাকারিয়া, ১০. ইয়াহিয়া, ১১. ঈসা, ১২. ইলিয়াস, ১৩. ইসমাঈল, ১৪. আল ইয়াসা, ১৫. ইউনুস ও ১৬. লূত।

৯৮. আল্লাহ নবীদেরকে তিনটি জিনিস দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তা কি কি?

উত্তরঃ . কিতাব . হুকুম . নবুয়াত

৯৯. আল্লাহর হেদায়াত নামা, হেদায়াত নামার সঠিক জ্ঞান এবং হেদায়াত অনুযায়ী আল্লাহর সৃষ্টিকে পথ দেখানোর দায়িত্বশীল পদ ও মর্যাদা-এই তিনটি জিনিস আল্লাহ নবীদের প্রদান করেছেন কুরআনের ভাষায় এই ৩টি জিনিস কি কি?

উত্তরঃ . আল কিতাব . আল হুকম . আন নাবুয়্যাহ

১০০. “এবং বলে দাও, এ কাজে আমি তোমাদের কাছ থেকে কোন পারিশ্রমিক চাই না।” এই কথাটা কাকে বলে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে?

উত্তরঃ মুহাম্মদ সা.কে

১০১. আল্লাহ‌ কোন মানুষের ওপর কিছুই নাযিল করেননি” এই উক্তিটি কাদের?

উত্তরঃ ইহুদীদের।

১০২. কোন উক্তির মাধ্যমে মূল রিসালাতকেই অস্বীকার করা হয়?

উত্তরঃ আল্লাহ কোন মানুষের কাছে কিছুই নাযিল করেননি

১০৩. “তারা আল্লাহ্‌ সম্পর্কে বড়ই ভুল অনুমান করলো যখন তারা বললো” এর অর্থ কি?

উত্তরঃ তারা আল্লাহর কুশলতা বিচক্ষণতা ও ক্ষমতার মূল্যায়নে ভুল করেছে।

১০৪. “আল্লাহ‌ কোন মানুষের ওপর কিছুই নাযিল করেননি।” এই উক্তিটির জবাবে বলা হয়েছেঃতাদেরকে জিজ্ঞেস করো, তাহলে মূসা যে কিতাবটি এনেছিল এখানে মুসা নবীর উদাহরণ কেন দেয়া হলো? অন্য নবীর কেন নয়?

উত্তরঃ কারণ এই জবাবটি ইহুদীদের প্রদান করা হচ্ছে এবং মুসা আ. এর প্রতি তাওরাত নাযিলকে প্রমাণ হিসাবে পেশ করা হয়েছে

১০৫. মুহাম্মাদ সা. এর ওপর যে কালামটি নাযিল হয়েছে সেটি আল্লাহরই কালাম, এর স্বপক্ষে দেয়া দ্বিতীয় যুক্তির সত্যটি প্রমাণ করার জন্য সাক্ষ্য হিসেবে চারটি কথা পেশ করা হয়েছে। তা কি কি সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।

উত্তরঃ ১. এ কিতাবটি বড়ই কল্যাণ ও বরকতপূর্ণ।  ২. এর আগে আল্লাহর পক্ষ থেকে যেসব হেদায়াতনামা এসেছিল এ কিতাব সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে অন্য কোন হেদায়াত পেশ করে না৩. প্রত্যেক যুগে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে উদ্দেশ্যে কিতাব নাযিল করা হয়েছে এ কিতাবটিও সে একই উদ্দেশ্যে নাযিল করা হয়েছে।  ৪. মানব সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা দুনিয়া পূজারী ও প্রবৃত্তি লালসার দাসত্বে জীবন উৎসর্গকারী, এ কিতাব তাদেরকে দাওয়াত দিয়ে সমবেত করেনি

১০৬. “আর সে ব্যক্তির চেয়ে বড় জালেম আর কে হবে?”

উত্তরঃ যে আল্লাহর সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ রটায় অথবা বলে আমার কাছে অহী এসেছে অথচ তার ওপর কোন অহী নাযিল করা হয়নি অথবা যে আল্লাহর নাযিল করা জিনিসের মোকাবিলায় বলে, আমিও এমন জিনিস নাযিল করে দেখিয়ে দেবো?

১০৭. “নাও, তোমাদের প্রাণ বের করে দাও।” এই কথাটা ফেরেশতারা কাকে বলবে?

উত্তরঃ যে আল্লাহর সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ রটায় অথবা বলে আমার কাছে অহী এসেছে অথচ তার ওপর কোন অহী নাযিল করা হয়নি অথবা যে আল্লাহর নাযিল করা জিনিসের মোকাবিলায় বলে, আমিও এমন জিনিস নাযিল করে দেখিয়ে দেবো?

১০৮. “আল্লাহই শস্যবীজ ও আঁটি বিদীর্ণকারী।কথাটার অর্থ কি?

উত্তরঃ  জমির অভ্যন্তরে শস্যবীজ ফাটিয়ে তার মধ্য থেকে অংকুর গজান।

১০৯. তিনিই জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং তিনিই বের করেন মৃতকে জীবিত থেকে” – জীবিতকে মৃত থেকে বের করা এবং মৃতকে জীবিত থেকে বের করার অর্থ কি?

উত্তরঃ জীবিতকে মৃত থেকে বের করার অর্থ প্রাণহীন বস্তু থেকে জীবন্ত সৃষ্টির উদ্ভব ঘটানো। আর মৃতকে জীবিত থেকে বের করার অর্থ জীবন্ত দেহ থেকে প্রাণহীন বস্তু বের করা।

১১০. পৃথিবী ও সমুদ্রের গভীর অন্ধকারে পথের দিশা জানার মাধ্যম কি?

উত্তরঃ তারকারাজি।

১১১. কোন জিনিস বোঝার ভারে নুয়ে পড়ে?

উত্তরঃ খেজুরের কাঁদি

১১২. ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর মেয়ে বলতো কারা?

উত্তরঃ আবরের মূর্খ লোকরা

১১৩. “আমি তো তোমাদের পাহারাদার নই” কুরআনের এই উক্তিটি কার কথা?

উত্তরঃ নবীর কথা

১১৪. “আমি তো তোমাদের পাহারাদার নই”-এ বাক্যের ব্যাখ্যা কি?

উত্তরঃ তোমাদের কাছে আলো পৌঁছে দেয়াই শুধু আমার কাজ। তারপর চোখ খুলে দেখা বা না দেখা তোমাদের কাজ। যারা চোখ বন্ধ করে রেখেছে জোরপূর্বক তাদের চোখ খুলে দেবো এবং যা কিছু তারা দেখছে না তা তাদেরকে দেখিয়ে ছাড়বো, এটা আমার দায়িত্ব নয়।

১১৫. “তোমাকে আহবায়ক ও প্রচারকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছেতাহলে কোন দায়িত্বটা রাসূলের নয়?

উত্তরঃ কোতায়ালের দায়িত্ব

১১৬. “এরা শক্ত কসম খেয়ে বলছে, যদি কোন নিদর্শন ৭৪ আমাদের সামনে এসে যায় তাহলে আমরা তার প্রতি ঈমান আনবো।এখানে নিদর্শন মানে কি?

উত্তরঃ এমন কোন সুস্পষ্ট মু’জিযা, যা দেখে নবী সা. এর সত্যতা এবং তাঁর আল্লাহর পক্ষ থেকে নিযুক্তিকে মেনে না নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।

১১৭. “নিদর্শন তো রয়েছে আল্লাহর কাছে।” এর অর্থ কি?

উত্তরঃ নিদর্শনসমূহ পেশ করার ও নিদর্শন তৈরী করে আনার ক্ষমতা আমার নেই। একমাত্র আল্লাহ‌ এ ক্ষমতার অধিকারী। তিনি চাইলে দেখাতে পারেন, না চাইলে নাও দেখাতে পারেন।

১১৮. আল্লাহ্‌ যে কর্মকৌশলের ভিত্তিতে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন কোন জিনিসটি তার পরিপন্থী?

উত্তরঃ সৃষ্টিগত ও প্রকৃতিগতভাবে যেমন প্রতিটি স্বাধীন ক্ষমতাহীন সৃষ্টিকে সত্যপন্থী হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে ঠিক তেমনি তাদের থেকেও স্বাধীন ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে প্রকৃতিগত ও জন্মগতভাবে তাদেরকে সত্যপন্থী বানিয়ে দেয়া।

১১৯. প্রত্যেক নবীর দুশমনে পরিণত করা হয়েছে দুই ধরণের শয়তানকে তারা কারা?

উত্তরঃ . মনুষ্য জাতীয় শয়তান ও  ২. জিন জাতীয় শয়তান

১২০. চমকপ্রদ কথা” কি?

উত্তরঃ সত্যের আহবায়ক ও তাঁর দাওয়াতের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত ও বিরূপ মনোভাবাপন্ন করে তোলার জন্য তারা যেসব কৌশল ও ব্যবস্থা অবলম্বন এবং যে সমস্ত সন্দেহ সংশয় ও আপত্তি উত্থাপন কর হয় সে সব কথা

১২১. দুনিয়ার অধিকাংশ লোক নির্ভুল জ্ঞানের পরিবর্তে কেবলমাত্র কিসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে?

উত্তরঃ আন্দাজ অনুমানের ভিত্তিতে।

১২২. আল্লাহর পথ অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টি অনুযায়ী দুনিয়ায় জীবন যাপন করার পথ মাত্র একটিই। তা কি?

উত্তরঃ আল্লাহ্‌ নিজে যে পথটি জানিয়ে দিয়েছেন

১২৩. দুনিয়ার বেশীর ভাগ লোক কোন্ পথে যাচ্ছে, কোন সত্য সন্ধানীর এটা দেখা উচিত নয়। তাহলে কি দেখা উচিত?

উত্তরঃ আল্লাহ্‌ যে পথটি তৈরী করে দিয়েছেন তার ওপরই তার দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলা উচিত।

১২৪. সূরা আল আনআম ও সূরা নাহলের কোন কোন আয়াত পরোক্ষভাবে একথা প্রমাণ করে যে, সূরা নাহল নাযিল হয়েছে সূরা আল আনআমের আগে?

উত্তরঃ সূরা আল আনআমঃ ১১৯ এবং সূরা নাহলঃ ১১৫

১২৫. ইহুদী আলেমরা নবী সা. এর বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করার জন্য আরবের অজ্ঞ অশিক্ষিত লোকদেরকে যেসব প্রশ্ন শেখাতো তার একটি প্রশ্ন কি?

উত্তরঃ আল্লাহ যেগুলো হত্যা করেন সেগুলো হারাম হয়ে যায় আর তোমরা যেগুলো হত্যা করো সেগুলো হালাল হয়ে যায় এর কারণ কি?” 

১২৬. জীবনের সমগ্র বিভাগে আল্লাহর পূর্ণাংগ আনুগত্য কায়েম করার নাম কি?

উত্তরঃ তাওহীদ।

১২৭. কাদের পদ্ধতির অনুসরণ করা শিরক?

উত্তরঃ একদিকে আল্লাহর সার্বভৌম কর্তৃত্বের স্বীকৃতি দেয়া এবং অন্যদিকে আল্লাহ‌ বিমুখ লোকদের বিধান অনুযায়ী চলা এবং তাদের নির্ধারিত পদ্ধতির অনুসরণ করাই হচ্ছে শিরক।

১২৮. যে ব্যক্তি প্রথমে মৃত ছিল, পরে আমি তাকে জীবন দিয়েছিএখানে মৃত ও জীবন বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ এখানে মৃত্যু বলা হয়েছেঃ অজ্ঞতা, মূর্খতা ও চেতনাবিহীন অবস্থাকে। আর জীবন বলতেঃ জ্ঞান, উপলব্ধি ও প্রকৃত সত্যকে চিনতে পারার অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। 

১২৯. সত্যের বিচারে মনুষ্য পদবাচ্য নয়, জীবনন্ত প্রাণী কিন্তু জীবনন্ত মানুষ নয় কে?

উত্তরঃ যে ব্যক্তির মধ্যে ভুল ও নির্ভুলের পার্থক্যবোধ নেই এবং যার সত্য-সরল পথের স্বরূপ জানা নেই, জীব বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সে জীবন সম্পন্ন হলেও প্রকৃত সত্যের বিচারে সে মনুষ্য পদবাচ্য নয়। সে অবশ্যি জীবন্ত প্রাণী কিন্তু জীবন্ত মানুষ নয়।

১৩০. জীবন্ত মানুষ একমাত্র কাকে বলা যাবে?

উত্তরঃ  যে সত্য-মিথ্যা, ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ও ভুল-নির্ভুলের চেতনা রাখে।

১৩১. আল্লাহর বিধান অনুযায়ী কাদের কাছে অন্ধকার ভাল মনে হতে থাকবে?

উত্তরঃ  যাদেরকে আলো দেখানো হয় এবং তারা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে আর যাদেরকে সত্য-সরল পথের দিকে আহবান জানানো হয় এবং তারা সে আহবানে কর্ণপাত না করে নিজেদের বাঁকা পথেই চলতে থাকে 

১৩২. “তাদের সামনে কোন আয়াত এলে তারা বলে, আল্লাহর রসূলদেরকে যে জিনিস দেয়া হয়েছে যতক্ষণ না তা আমাদের দেয়া হয় ততক্ষণ আমরা মানবো না৷এই দাবী অনুযায়ী তাদের সামনে কি জিনিস আসতে হবে, যা রাসূলের কাছে এসেছে?

উত্তরঃ ফেরেশতারা সরাসরি তাদের কাছে আসবে এবংএটি আল্লাহর বাণীএকথা সরাসরি তাদেরকে বলবে

১৩৩. “প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ যাকে সত্যপথ দেখাবার সংকল্প করেন তার বক্ষদেশ ইসলামের জন্য উন্মুক্ত করে দেন” বক্ষদেশ উম্মুক্ত করে দেয়া মানে কি?

উত্তরঃ বক্ষদেশ উন্মুক্ত করে দেয়ার মানে হচ্ছে, ইসলামের সত্যতা সম্পর্কে হৃদয়ে পূর্ণ নিসংশয়তা ও নিশ্চিয়তা সৃষ্টি করা এবং যাবতীয় সন্দেহ, সংশয় ও দোদুল্যমানতা দূর করে দেয়া

১৩৪. “এভাবে আল্লাহ আবিলতা ও অপবিত্রতা বেঈমানদের ওপর চাপিয়ে দেন” তা কিভাবে?

উত্তরঃ বক্ষদেশ সংকীর্ণ করে দেন এবং এমনভাবে তাকে সংকুচিত করতে থাকেন যে, (ইসলামের কথা চিন্তা করতেই ) তার মনে হতে থাকে যেন তার আত্মা আকাশের দিকে উড়ে যাচ্ছে

১৩৫. ‘শান্তির ঘরমানে কি? এই ঘরের বৈশিষ্ট কি?

উত্তরঃ শান্তির ঘর মানে জান্নাত, যেখানে মানুষ সব রকেমর বিপদ আপদ থেকে সংরক্ষিত এবং সব রকমের ক্ষতির হাত থেকে নিরাপদ থাকবে

১৩৬.  يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ  হে জিন সম্প্রদায়! এখানে জিন বলতে কোন ধরণের জিন বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ শয়তান জীন বুঝানো হয়েছে

১৩৭. “হে জিন সম্প্রদায়! তোমরা তো মানুষদেরকে অনেক বেশী তোমাদের অনুগামী করেছো” এখানে জিন বলতে কোন ধরণের জিন বুঝানো হয়েছে।

উত্তরঃ শয়তান জীন বুঝানো হয়েছে

১৩৮. “আমাদের মধ্য থেকে প্রত্যেকে প্রত্যেককে খুব বেশী ব্যবহার করেছেঅর্থ কি?

উত্তরঃ আমাদের প্রত্যেকে প্রত্যেককে অবৈধভাবে কাজে লাগিয়েছে এবং তার দ্বারা লাভবান হয়েছে প্রত্যেকে অন্যকে প্রতারাণা করে নিজের কামনা বাসনা চরিতার্থ করেছে

১৩৯. আল্লাহএভাবেআখেরাতে জালেমদেরকে পরস্পরের সাথী বানিয়ে দেবেন কিভাবে দেবেন?

উত্তরঃ যেভাবে দুনিয়ায় গোনাহ ও অসৎকাজ করার ব্যাপারে পরস্পরের শরীক ছিল ঠিক তেমনি আখেরাতেও শাস্তি পাওয়ার ব্যাপারে পরস্পরের শরীক হবে

১৪০. “হাঁ, আমরা নিজেরাই নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ দিচ্ছি৷মানে কি?

উত্তরঃ মানেঃ আমরা স্বীকার করছি, আপনার পক্ষ থেকে রসূলের পর রসূল এসেছেন তারা প্রকৃত সত্যের ব্যাপারে ক্রমাগতভাবে আমাদের অবহিত ও সতর্কও করেছেন কিন্তু তাদের কথা না মেনে আমরা নিজেরাই ভুল করেছি

১৪১. “এ যুক্তি প্রদর্শনের পথ রোধ করার জন্য আল্লাহ নবী পাঠিয়েছেন, কিতাব নাযিল করেছেন৷যুক্তিটা কি?

উত্তরঃ আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে তাঁর মোকাবিলায় এ মর্মে প্রতিবাদ জানাবার সুযোগ দিতে চান না যে, আপনি প্রকৃত সত্য সম্পর্কে আমাদের অবগত করেননি এবং আমাদের সঠিক পথ জানাবার কোন ব্যবস্থাও করেননি ফলে অজ্ঞতাবশত আমরা যখন ভুল পথে চলতে শুরু করেছি অমনি আমাদের পাকড়াও করতে শুরু করেছেন

১৪২. প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদা তার কার্য অনুযায়ী হয় আর তোমার রব মানুষের কি ব্যাপারে বেখবর নন?

উত্তরঃ কাজের ব্যাপারে।

১৪৩. “তাঁর কোন কাজ তোমাদের জন্য আটকে নেই৷ তোমাদের সাথে তাঁর কোন স্বার্থ জড়িত নেই৷ কাজেই তোমাদের নাফরমানীর ফলে তাঁর কোন ক্ষতি হবে না৷ অথবা তোমাদের আনুগত্যের ফলে তিনি লাভবানও হবেন না৷এই কথাগুলো বলা হয়েছে কুরআনের কোন বক্তব্য বুঝাতে গিয়ে?

উত্তরঃ তোমার রব কারোর মুখাপেক্ষী নন

১৪৪. “তিনি তোমাদের সেলামীর মুখাপেক্ষী নন৷ তোমাদের মানত-নযরনারও তাঁর কোন প্রয়োজন নেই৷ তিনি তাঁর বিপুল ভাণ্ডার তোমাদের জন্য অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছেন এবং এর বিনিময়ে তোমাদের কাছ থেকে কিছুই চান না৷এই কথাগুলো বলা হয়েছে কুরআনের কোন বক্তব্য বুঝাতে গিয়ে?

উত্তরঃ তোমার রব কারোর মুখাপেক্ষী নন

১৪৫. তাঁর এ আদেশ-নিষেধের অর্থ এ নয় যে, তোমরা সঠিক পথে চললে তাঁর লাভ এবং তোমরা ভুল পথে চললে তাঁর ক্ষতি৷ তাহলে সঠিক পথে চললে কার লাভ এবং ভূল পথে চললে কার ক্ষতি?

উত্তরঃ আসল অর্থ হচ্ছেঃ সঠিক পথে চললে তোমাদের লাভ এবং ভুল পথে চললে তোমাদের ক্ষতি৷ 

১৪৬. "দয়া ও করুণা তাঁর রীতি" পরিবেশে ও পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এখানে এ বাক্যটির কয়টি অর্থ হয়?

উত্তরঃ দু'টি

১৪৭. সঠিক কর্মপদ্ধতি শিক্ষা দেয়া। তার সাহায্যে উচ্চতম পর্যায়ে উন্নীত হবার যোগ্যতা লাভ করতে পারা। ভুল কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা। এর ফলে নিম্ন পর্যায়ে নেমে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া-এগুলো আল্লাহর কি?

উত্তরঃ আল্লাহর করুণা ও মেহেরবানী ছাড়া আর কিছুই নয় 

১৪৮. “তোমাদের কাছে যে জিনিসের ওয়াদা করা হয়েছে তা নিশ্চিতভাবেই আসবে ৷কোন জিনিসের ওয়াদা করা হয়েছে?

উত্তরঃ কিয়ামতের

১৪৯. “তোমরা নিজেদের জায়গায় কাজ করে যেতে থাকো এবং আমিও নিজের জায়গায় কাজ করে যেতে থাকি” এর মানে কি?

উত্তরঃ আমরা বুঝাবার পরও যদি তোমরা না বুঝতে চাও এবং নিজেদের ভ্রান্ত পদক্ষেপ থেকে বিরত না হও, তাহলে যে পথে তোমরা চলছো সে পথে চলে যেতে থাকো আর আমাকে আমার পথে চলতে দাও৷ এর পরিণাম যা কিছু হবে তা তোমাদের সামনেই আসবে এবং আমার সামনেও ৷

১৫০. আর এভাবেই বহু মুশরিকের জন্য তাদের শরীকরা নিজেদের সন্তান হত্যা করাকে সুশোভন করে দিয়েছেএখানে শরীক বলতে কাদের বুঝানো হয়েছে? তারা কি করেছিল?

উত্তরঃ মানুষ ও শয়তানদেরকে বুঝানো হয়েছে, যারা সন্তান হত্যাকে তাদের দৃষ্টিতে একটি বৈধ ও পছন্দনীয় কাজে পরিণত করেছিল

১৫১. কারোর মনগড়া আইনকে সত্য মনে করে তার আনুগত্য করা এবং তার নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে অবস্থান করাকে অপরিহার্য মনে করা কি?

উত্তরঃ আল্লাহর কর্তৃত্ব ও সার্বভৌমত্বে শরীক গণ্য করারই শামিল

১৫২. “এ দু'টি কাজ অবশ্যি শিরক” কোন দু’টি কাজ?

উত্তরঃ ১. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর সামনে পূজা ও উপাসনার কোন অনুষ্ঠান করা২. কারোর মনগড়া আইনকে সত্য মনে করে তার আনুগত্য করা এবং তার নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে অবস্থান করাকে অপরিহার্য মনে করা

১৫৩. আরববাসীদের মধ্যে সন্তান হত্যা করার কয়টি পদ্ধতির প্রচলন ছিল এবং তা কি কি? বিস্তারিত আলোচনা কর।

উত্তরঃ তিনটি১. মেয়ের কারণে কোন ব্যক্তিকে জামাই হিসেবে গ্রহণ করতে হবে অথবা গোত্রীয় যুদ্ধে শত্রুরা তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে বা অন্য কোন কারণে তার জন্য পিতামাতাকে লজ্জার সম্মুখীন হতে হবে- এসব চিন্তায় মেয়েদের হত্যা করা হতো২. সন্তানদের লালন পালনের বোঝা বহন করা যাবে না এবং অর্থনৈতিক উপাদান ও সুযোগ-সুবিধার অভাবের দরুণ তারা দুর্বিসহ বোঝায় পরিণত হবে-এ ভয়ে সন্তানদের হত্যা করা হতো৩. নিজেদের উপাস্যদের সন্তুষ্টির জন্য সন্তানদের বলি দেয়া হতো

১৫৪. “যাতে তাদেরকে ধ্বংসের আবর্তে নিক্ষেপ করতেএখানে ধ্বংস শব্দটি দ্বারা তিনটি অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে তা কি কি?

উত্তরঃ . নৈতিক ধ্বংস  ২. সম্প্রদায়গত ও জাতীয় ধ্বংস৩. পরিণামগত ধ্বংস

১৫৫. জাহেলে যুগের আরবরা নিজেদেরকে কোন কোন নবীর অনুসারী মনে করতো এবং এ হিসেবে নিজেদের পরিচয়ও দিতো?

উত্তরঃ হযরত ইব্রাহীম আ. ও হযরত ইসমাঈল আ.

১৫৬. হযরত ইব্রাহীম আ. ও হযরত ইসমাঈল কাছ থেকে যে জীবন বিধানের শিক্ষা নিয়া হয়েছিল, তার মধ্যে পরবর্তীতে কারা নাবা ধরণের বিশ্বাস ও কর্মের সংযোজন ঘটিয়েছে?

উত্তরঃ ১. বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা . গোত্রীয় সরদার . পরিবারের বয়োবৃদ্ধ এবং অন্যান্য লোকেরা

১৫৭. আল্লাহ চাইলে তারা এমনটি করতো না৷তাহলে আল্লাহ কেন চাননি?

উত্তরঃ যেহেতু যে ব্যক্তি যে পথে চলতে চায় তাকে সে পথে চলতে দেয়াটাই ছিল আল্লাহর ইচ্ছা

১৫৮. মানত ও নযরানার পশুর ব্যাপারে যে মন গড়া বিধান আরববাসীদের মধ্যে প্রচলিত ছিল তার একটি ধারা ছিলঃ এ পশুগুলোর পেট থেকে যেসব বাচ্চা জন্মায় কেবলমাত্র পুরুষরাই তাদের গোশ্‌ত খেতে পারে মেয়েদের জন্য তাদের গোশ্‌ত খাওয়া নাজায়েযতবে মেয়েরা এই বাচ্চার গোশত কখন খেতে পারতো?

উত্তরঃ যদি সে বাচ্চা মৃত হয় অথবা মরে যায় তাহলে পুরুষদের সাথে মেয়েরা তার গোশ্‌ত খেতে পারতো। 

১৫৯. “নিসন্দেহে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেকারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে?

উত্তরঃ . যারা নিজেদের সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতা ও অজ্ঞতাবশত হত্যা করেছে২. যারা আল্লাহর দেয়া জীবিকাকে আল্লাহর সম্পর্কে মিথ্যা ধারণাবশত হারাম গণ্য করেছে

১৬০. جَنَّاتٍ مَّعْرُوشَاتٍ وَغَيْرَ مَعْرُوشَاتٍ হচ্ছে দুধরণের বাগান এই দুধরণের বাগানের বৈশিষ্ট কি?

উত্তরঃ এক ধরনের বাগান হচ্ছেঃ লতানো গাছের, যেগুলো মাচানের ওপর বা কোন কিছুকে আশ্রয় করে বিস্তার লাভ করে৷ দ্বিতীয় ধরনের বাগান হচ্ছেঃ এমন সব গাছের যেগুলো অন্যের সাহায্য ছাড়াই নিজের কাণ্ডের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে

১৬১. جَنَّاتٍ مَّعْرُوشَاتٍ এর অর্থ তাফহীমূল কুরআনে কি করা হয়েছে?

উত্তরঃ লতাগুল্ম এই আয়াতে শব্দ দ্বারা এক ধরণের পশুকে বুঝানো হয়েছে যাদের ৩টি বৈশিষ্ট হতে পারে তা কি কি?

১৬২. وَمِنَ الْأَنْعَامِ حَمُولَةً وَفَرْشًا এই আয়াতে فرش শব্দ দ্বারা এক ধরণের পশুকে বুঝানো হয়েছে তাদেরকে ৩টি কারণে فرش বলা হয়েছে তা কি কি?

উত্তরঃ . তারা আকারে ছোট এবং যমীনের সাথে মিশে চলাফেরা করে৷  ২. যবেহ করার সময় তাদেরকে যমীনের ওপর শোয়ানো হয়৷  ৩. তাদের চামড়া ও লোম থেকে ফরশ্‌ বা বিছানা বানানো হয়

১৬৩. গবাদী পশু-যাদেরকে যাত্রী ও ভার বহণের কাজে ব্যবহার করা হয় এবং যাদেরকে খাদ্য ও বিছানার কাজে ব্যবহার করা হয়, এ জিনিস গুলো থেকে খাওয়ার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন-যা আল্লাহ দান করেছেন কিন্তু আল্লাহ এক্ষেত্রে শয়তানের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন এই সব জিনিস খেতে বা ব্যবহার করার সময় শয়তানের অনুসরণ কিভাবে হতে পারে?

উত্তরঃ . এগুলো সবই আল্লাহর দান৷ এ দানে অন্য কারোর কোন অংশ নেই৷ তাই এ দানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ব্যাপারেও কারোর কোন অংশ থাকতে পারে নাঅশীদার করলে শয়তানের অনুসরণ হবে। ২. এগুলো যেহেতু আল্লাহর দান তাই এগুলোর ব্যবহারের ক্ষেত্রেই আল্লাহর বিধানের অনুগত্য করতে হবে৷ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নির্ধারিত রীতি ও নিয়মের অনুসরণ করলে বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উদ্দেশ্যে নযরানা পেশ করলে শয়তানের অনুসরণ করা হবে। ৩. এসব জিনিস আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন মানুষের পানাহার ও ব্যবহার করার জন্য৷ এগুলোকে অযথা নিজের জন্য হারাম করে করে নিলে শয়তানের অনুসরণ হবে।

১৬৪. সূরা আল আনআমে খাবার জন্য যে সব বিষয়কে হারাম ঘোষনা করা হয়েছে, একই বিষয় আলোচনা করা হয়েছে আরো ৩টি সূরাতে সূরা ও আয়াত নম্বর কি?

উত্তরঃ সূরা আল বাকারাঃ ১৭৩; সূরা আল মায়েদাহঃ ৩; সূরা আন নাহ্‌লঃ ১১৫

১৬৫. "বহমান রক্ত" কি?

উত্তরঃ কোন প্রাণীকে জখম বা জবাই করে যে রক্ত বের করা হয়

১৬৬. কোন ধরণের প্রাণীরাওমরাবলে গন্য হবে?

উত্তরঃ ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাণীরা

১৬৭. আহার যোগ্যপ্রাণীদের কত অবস্থায় হারাম? তা কি কি? মুসলিম ফকীহগণের ঐ দলের মত, যা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) ও হযরত আয়েশা (রা)ও একমত পোষণ করতেন, তা বর্ণনা করুন।

উত্তরঃ আহার যোগ্য প্রাণীদের ৪টি অবস্থায় হারাম যথাঃ মরা, বহমান রক্ত বা শুয়োরের গোশ্‌ত, যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নামে যবেহ করা হয়।

১৬৮. গৃহপালিত গাধা কোন কোন ইমাম হারাম গন্য করেন?

উত্তরঃ ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেঈ

১৬৯. হিংস্র পশু, শিকারী পাখি ও মৃত ভক্ষণকারী প্রাণী একবারেই হারাম-এটা কোন ইমাম বা তার অনুসারীদের মত? কিন্তু যারা হালাল মনে করেন তারা কারা?

উত্তরঃ হারাম মনে করেনঃ হানাফীরা কিন্তু হালাল মনে করেনঃ ইমাম মালেক ও ইমাম আওযাঈ

১৭০. আল্লাহ কেবলমাত্র নবী ও কিতাবের মাধ্যমে কোন জিনিস হারাম করেন না তাহলে আর কোন মাধ্যমে হারাম করেন?

উত্তরঃ আল্লাহ তাঁর বিদ্রোহী বান্দাদের ওপর বানোয়াট বিধান রচিয়তা ও আইন প্রণেতাদের চাপিয়ে দেন এবং তারা পাক-পবিত্র জিনিসগুলো তাদের জন্য হারাম করে দেয়

১৭১. কোন ধরণের হারাম আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি ও লানত হিসেবে প্রবর্তিত হয়?

উত্তরঃ যখন আল্লাহ তাঁর বিদ্রোহী বান্দাদের ওপর বানোয়াট বিধান রচিয়তা ও আইন প্রণেতাদের চাপিয়ে দেন এবং তারা পাক-পবিত্র জিনিসগুলো তাদের জন্য হারাম করে দেয়৷

১৭২. যখন আল্লাহ নবী ও কিতাবের মাধ্যমে কোন জিনিস হারাম করেন, তখন এই হারামটি আল্লাহর পক্ষ থেকে কি হিসাবে প্রবর্তিত হয়?

উত্তরঃ রহমত হিসাবে

১৭৩. যখন আল্লাহ তাঁর বিদ্রোহী বান্দাদের ওপর বানোয়াট বিধান রচিয়তা ও আইন প্রণেতাদের চাপিয়ে দেন এবং তারা পাক-পবিত্র জিনিসগুলো তাদের জন্য হারাম করে দেয়এই হারামটি আল্লাহর পক্ষ থেকে কি হিসাবে প্রবর্তিত হয়?

উত্তরঃ শাস্তি ও লানত হিসেবে

১৭৪. “এ ধরনের উদ্ভট কথা তৈরী করে করে এদের পূর্ববর্তী লোকেরাও সত্যকে প্রত্যাখ্যান করেছিলউদ্ভট কথা গুলো কি?

উত্তরঃ যদি আল্লাহ চাইতেন তাহলে আমরা শিরকও করতাম না, আমাদের বাপ-দাদারাও শিরক করতো না। আর আমরা কোন জিনিসকে হারামও গণ্য করতাম না

১৭৫. الْحُجَّةُ الْبَالِغَةُ অর্থ কি? এটা কার কাছে থাকে?

উত্তরঃ الْحُجَّةُ الْبَالِغَةُ  অর্থঃ অকাট্য যুক্তিএটি আল্লাহর কাছে থাকে।

১৭৬. মানুষের ব্যাপারে আল্লাহর ইচ্ছা কি?

উত্তরঃ মানুষের ব্যাপারে আল্লাহর ইচ্ছা হচ্ছেঃ সে কৃতজ্ঞতা ও কুফরী, হেদায়াত ও গোমরাহী এবং আনুগত্য ও অবাধ্যতার মধ্য থেকে যে পথটিই নিজের জন্য নির্বাচিত করবে, আল্লাহ তার জন্য সে পথটিই উন্মুক্ত করে দেবেন

১৭৭. "আল্লাহ চাইলে আমরা শির্‌ক করতাম না"৷ এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ কথাটি ব্যক্ত হয়নিতাহলে সম্পূর্ণ কথাটি কিভাবে হবে?

উত্তরঃ "আল্লাহ চাইলে তোমাদের সবাইকে হেদায়াত দান করতেন"

১৭৮. তিন শ্রেণীর মানুষের খেয়াল খুশী অনুযায়ী না চলতে বলা হয়েছে তারা কারা?

উত্তরঃ . যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলেছে . যারা আখেরাত অস্বীকারকারী৩. যারা অন্যদেরকে নিজেদের রবের সমকক্ষ দাঁড় করায়

১৭৯. আসল বিধি-নিষেধ কোন গুলো?

উত্তরঃ যেগুলো সর্বকালে ও সর্বদেশে আল্লাহর দেয়া শরীয়াতের মৌল বিষয় হিসেবে পরিচিত হয়ে এসেছে

১৮০. “তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না৷” অর্থ কি?

উত্তরঃ আল্লাহর সত্তায়, তাঁর গুণাবলীতে, তাঁর ক্ষমতা-ইখতিয়ারের বা তাঁর অধিকারে কোন ক্ষেত্রে কাউকে শরীক করো না

১৮১. আল্লাহর ইলাহী সত্তার মৌল উপাদানে কাউকে অংশীদার করা মানে কি?

উত্তরঃ আল্লাহর সত্তায় শরীক করা

১৮২. খৃষ্টানদের ত্রিত্ববাদের আকীদা, আরব মুশরিকদের ফেরেশতাদের আল্লাহর কণ্যা গণ্য করা এবং অন্যান্য মুশরিকদের নিজেদের দেবদেবীদেরকে এবং নিজেদের রাজ পরিবারগুলোকে আল্লাহ বংশধর বা দেবজ ব্যক্তিবর্গ হিসেবে গণ্য করা-এসবগুলো কিসের অন্তর্ভূক্ত?

উত্তরঃ আল্লাহর সত্তায় শরীক করার অন্তরভুক্ত

১৮৩. আল্লাহর গুণাবলীতে শরিক করার অর্থ কি? যে কোন একটি উদাহরণ দিন।

উত্তরঃ আল্লাহর গুণাবলী আল্লাহর জন্য যে অবস্থায় থাকে ঠিক তেমনি অবস্থায় সেগুলোকে বা তার কোনটিকে অন্য কারোর জন্য নির্ধারিত করা।

উদাহরণঃ

১. কারোর সম্পর্কে এ ধারণা পোষন করা যে, সমস্ত অদৃশ্য সত্য তার কাছে দিনের আলোর মতো সুস্পষ্ট৷

২. সে সবকিছু দেখেও সবকিছু শোনে

৩. সে সবরকমের দোষ-ত্রুটি ও দুর্বলতা মুক্ত একটি পবিত্র সত্তা৷

১৮৪. ক্ষমতা –ইখতিয়ারের ক্ষেত্রে শিরক করার অর্থ কি?

উত্তরঃ সার্বভৌম ক্ষমতা সম্পন্ন ইলাই হবার কারণে যে সমস্ত ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ সাথে সম্পৃক্ত সেগুলোকে বা সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটিকে আল্লাহ ছাড়া আর কারোর জন্য স্বীকার করে নেয়া

১৮৫. অতিপ্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কাউকে লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্ত করা, কারোর অভাব ও প্রয়োজন পূর্ণ করা, কাউকে সাহায্য করা, কারোর হেফাজত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, কারোর প্রার্থনা শোনা, ভাগ্য ভাঙ্গাগড়া করা ইত্যাদি কিসের সাথে শিরক করা?

উত্তরঃ আল্লাহর ক্ষমতা-ইখতিয়ারের ক্ষেত্রে শিরক করা।

১৮৬. অধিকারের ক্ষেত্রে শিরক করার অর্থ কি?

উত্তরঃ আল্লাহ হবার কারণে বান্দাদের ওপর আল্লাহ বিশেষ অধিকার রয়েছে৷ সে অধিকারসমূহ বা তার মধ্য থেকে কোন একটি অধিকার আল্লাহ ছাড়া আর কারোর জন্য মেনে নেয়া

১৮৭. “পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো”- কোন কোন কাজ সদ্ব্যবহারের অন্তর্ভূক্ত?

উত্তরঃ আদব, সম্মান, আনুগত্য, সন্তুষ্টি বিধান, সেবা সবকিছুই সদ্ব্যবহারের অন্তরভুক্ত

১৮৮. কুরআনে কোন কোন কাজকে ফাহেশ কাজের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে?

উত্তরঃ কুরআনে ব্যভিচার, সমকাম (পুরুষ কামিতা), উলংগতা, মিথ্যা দোষারোপে এবং পিতার বিবাহিত স্ত্রীকে বিয়ে করাকে ফাহেশ কাজের অন্তরভুক্ত করা হয়েছে

১৮৯. হাদীসে কোন কোন কাজকে ফাহেশ কাজের মধ্যে গন্য করা হয়েছে?

উত্তরঃ হাদীসে চুরি ও মদপান ও ভিক্ষাবৃত্তিকে ফাহেশ কাজের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে

১৯০. “আল্লাহ যে প্রাণকে মর্যাদা দান করেছেন ন্যায় সংগতভাবে ছাড়া তাকে ধ্বংস করো না৷”- এখানে "ন্যায়সংগতভাবে" বা "ন্যায় ও সত্যের খাতিরে" এর অর্থ কি? কুরআনের আলোকে জবাব দিন

উত্তরঃ কুরআনে ন্যায় সংগত ভাবে-এর তিনটি পর্যায় বর্ণিত হয়েছেঃ

(১) যখন এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তিকে জেনে বুঝে হত্যা করার অপরাধ করে এবং হত্যাকারীর ওপর কিসাস বা রক্তপণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়৷

(২) যখন কোন ব্যক্তি আল্লাহর সত্য দীন প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় এবং তার সাথে যুদ্ধ করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না৷

(৩) যখন কোন ব্যক্তি দারুল ইসলামের সীমানার মধ্যে বিশংখলা সৃষ্টি করে অথবা ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার পতন ঘটাবার চেষ্টা করে৷

১৯১. “আল্লাহ যে প্রাণকে মর্যাদা দান করেছেন ন্যায় সংগতভাবে ছাড়া তাকে ধ্বংস করো না৷”- এখানে "ন্যায়সংগতভাবে" বা "ন্যায় ও সত্যের খাতিরে" এর অর্থ কি? হাদীসের আলোকে জবাব দিন

উত্তরঃ হাদীসে ন্যায় সংগত ভাবে-এর দুইটি পর্যায় বর্ণিত হয়েছেঃ

(১) কোন ব্যক্তি বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও যিনা করলে৷

(২) কোন ব্যক্তি মুরতাদ হয়ে গেলে এবং মুসলিম সমাজ ত্যাগ করলে৷ 

১৯২. “আর তোমরা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত এতীমের সম্পদের ধারে কাছেও যেয়ো না, তবে উত্তম পদ্ধতিতে যেতে পারো৷”-এখানে উত্তম পদ্ধতি বলতে কি?

উত্তমঃ এমন পদ্ধতিতে, যা হবে সর্বাধিক নিঃস্থার্থপরতা, সদুদ্দেশ্য ও এতীমের প্রতি সদিচ্ছা ও কল্যাণকামিতার ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং যার বিরুদ্ধে আল্লাহর অসন্তোষ বা মানুষের আপত্তি উত্থাপন করার কোন অবকাশই না থাকে

১৯৩. আল্লাহ অংগীকার পূর্ণ করো৷”- এখানে আল্লাহ অঙ্গিকার বলত ৩ ধরণের কথা বলা হয়েছে তা কি কি?

উত্তরঃ .যা মানুষ তার সার্বভৌম ক্ষমতা সম্পন্ন ইলাহর তথা আল্লাহর সাথে করে২. যা আল্লাহর নামে বান্দার সাথে করে৷ ৩. একটি মানব শিশু আল্লাহর যমীনে মানব সমাজে চোখ মেলে তাকাবার সাথে সাথেই আল্লাহ ও মানুষ এবং মানুষ মানুষের মধ্যে স্বতষ্ফূর্তভাবে যে অংগীকারের বন্ধনে আবদ্ধ হয়

১৯৪. ফাসেক হচ্ছে ফাসেক হচ্ছে তারা যারা "আল্লাহর সাথে অংগীকার করার পর তা ভেঙে ফেলে, আল্লাহ যাকে সংযুক্ত করার হুকুম দিয়েছেন তাকে কেটে ফেলে এবং যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে" – এই কথাটা কুরআনের কোন সূরার কত নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ সূরা বাকারাঃ আয়াত-২৭

১৯৫. স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক অংগীকারের অনিবার্য দাবী কি?

উত্তরঃ মানুষ তার রবের দেখানো পথে চলবে

১৯৬. “রবের নির্দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া এবং আত্মম্ভরিতা, স্বেচ্ছাচার ও অন্যের দাসত্বের পথে পা বাড়ানোইত্যাদি কি হিসাবে পরিগণিত?

উত্তরঃ অংগীকারের প্রাথমিক বিরুদ্ধাচরণ

১৯৭. আল্লাহ প্রদত্ত পথনির্দেশ গ্রহণ না করার ফলে মানুষকে দু'টি বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়তা কি কি?

উত্তরঃ ১. অন্য পথ অবলম্বন করার কারণে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের একমাত্র পথ থেকে মানুষ অনিবার্যভাবে সরে যায়২. সঠিক এ পথ থেকে সরে যাওয়ার সাথে সাথেই অসংখ্য সরু সরু পথ সামনে এসে যায়৷ এ পথগুলোয় চলতে গিয়ে দিক ভ্রান্ত হয়ে সমগ্র মানব সমাজ বিক্ষিপ্ত ও বিপর্যনস্ত হয়ে পড়ে

১৯৮. রবের সাথে সাক্ষাতের প্রতি ঈমান আনার অর্থ কি?

উত্তরঃ নিজেকে আল্লাহর সামনে জবাবদিহি করতে হবে বলে মনে করা এবং দায়িত্বপূর্ণ জীবন যাপন করা

১৯৯. “আমাদের পূর্বের দুটি দলকেবলতে কুরআনে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ ইহুদি ও খৃষ্টান

২০০. ঈমান আনাটা অর্থহীন কখন হবে?

উত্তরঃ নিশানী দেখে নেবার পর যদি কোন কাফের তার কুফরী থেকে তাওবা করে ঈমানের দিকে চলে আসে

২০১. “একদম সঠিক নির্ভুল দীন, যার মধ্যে কোন বত্রুতা নেইএই দ্বীন কার পদ্ধতি

উত্তরঃ ইব্রাহীমের পদ্ধতি

২০২. نُسُكِ শব্দটির অর্থঃ কুরবানীও হয় কিন্তু ব্যাপক ও সাধারণ ভাবে আর কি অর্থে نُسُكِ শব্দ ব্যবহার করা করা হয়

উত্তরঃ বন্দেগী ও পূজা-অর্চনার অর্থে

২০৩. “কেউ কারো বোঝা বহন করবে নাঅর্থ কি?

উত্তরঃ প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেই নিজের কাজের জন্য দায়ী৷ একজনের কাজের দায়-দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে চাপবে না

২০৪. “তিনিই তোমাদের করেছেন দুনিয়ার প্রতিনিধি এবং যা কিছু তোমাদের দিয়েছেন তাতে তোমাদের পরীক্ষার উদ্দেশ্যে তোমাদের কাউকে অন্যের ওপর অধিক মর্যাদা দান করেছেন৷” এ বাক্যটির মধ্যে তিনটি সত্য বিবৃত হয়েছেতা কি কি?

উত্তরঃ. সমস্ত মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি. আল্লাহ নিজেই এ প্রতিনিধিদের মধ্যে মর্যাদার পার্থক্য সৃষ্টি করেছেন. এ সবকিছুই আসলে পরীক্ষার বিষয়বস্তু

২০৫. “হে মুহাম্মাদ! এদেরকে বলো, এসো আমি তোমাদের শুনাই তোমাদের রব তোমাদের ওপর কি বিধি-নিষেধ আরোপ করেছেন৷” এই বলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ১০টি বিধি নিষেধ উল্লেখ করেছেন। তার প্রথম ৩টি সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।

উত্তরঃ ১. তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না. পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো. দারিদ্রের ভয়ে নিজের সন্তানদেরকে হত্যা করো না



Post a Comment

0 Comments