প্রশ্নোত্তর – তাফহীমুল কুরআন – সূরা আল মায়িদাহ


০০১. সূরা আল মায়েদাহ-এর নাম করণ করা হয়েছে সূরার কত নম্বর আয়াতের শব্দ থেকে?

উত্তরঃ ১১২ নম্বর আয়াত থেকে

০০২. সূরা আল মায়েদাহ কখন এবং কত হিজরীতে নাযিল হয়?

উত্তরঃ হুদায়বিয়ার সন্ধির পর, হিজরীর শেষ বা হিজরীর প্রথম দিকে

০০৩. ১৪শ মুসলমানকে সাথে নিয়ে নবী সা. উমরাহ সম্পন্ন করার জন্য জন্য মক্কায় উপস্থিত হোন কখন?

উত্তরঃ ৬ষ্ট হিজরীর যিলকদ মাসে

০০৪. কুরাইশ কাফেররা রাসূল সা.কে উমরাহ করতে না দেয়া আরবের কোন ঐতিহ্যের বিরুদ্ধাচরণ ছিল?

উত্তরঃ প্রাচীনতম ধর্মীয় ঐহিহ্যের বিরুদ্ধাচরণ

০০৫. সূরা আর মায়েদাহ-তে কাফের শক্র দল তাদের উমরাহ করতে না দিয়ে যে বাড়াবাড়ি করেছে তার জবাবে তারা নিজেরা অগ্রবর্তী হয়ে যেন আবার কাফেরদের ওপর কোন অন্যায় বাড়াবাড়ি ও জুলুম না করে বসে-এই উদ্দেশ্যের সাথে আরেকটি উদ্দেশ্যে আলোচনা এসেছে। তা কি?

উত্তরঃ মুসলমানদেরকে কাবাঘর যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করার নিয়ম কানুন বাতলে দেবার প্রয়োজন ছিল, যাতে পরবর্তী বছর পূর্ণ ইসলামী শান শওকতের সাথে উমরাহর সফর করা যায়

০০৬. ইসলামের শক্তিকে দমন করার জন্য কুরাইশরা সর্বশেষ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল কোন যুদ্ধে?

উত্তরঃ খন্দকের যুদ্ধে।

০০৭. কোন যুদ্ধে পরাজয়ের পর আরববাসীদের মনে এ ব্যাপারে আর কোন সন্দেহই রইলো না যে, ইসলামের ও আন্দোলনকে খতম করার সাধ্য দুনিয়ার আর কোন শক্তির নেই।

উত্তরঃ খন্দকের যুদ্ধে।

০০৮. ইসলাম এখন আর নিছক একটি আকীদা-বিশ্বাস ও আদর্শের পর্যায় সীমিত নয়। নিছক মন ও মস্তিষ্কের ওপরই তার রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত নয়। বরং  কি?

উত্তরঃ ইসলাম এখন একটি পরাক্রান্ত রাষ্ট্রীয় শক্তিতে পরিণত হয়েছে এবং রাষ্ট্রের সীমানায় বসবাসকারী সমস্ত অধিবাসীর জীবনের ওপর তার কর্তৃত্ব ও প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত।

০০৯. নৈতিকতা, স্বভাব-চরিত্র, আচার-আচরণ, জীবন যাপন প্রণালী, সামাজিক রীতিনীতি ইত্যাদি যাবতীয় ক্ষেত্রে মুসলমানরা এখন অমুসলিমদের থেকে কি?

উত্তরঃ সম্পূর্ণ আলাদা।

০১০. চুক্তি সম্পাদিত হবার পূর্ব পর্যন্ত মুসলমানদের পথে একটি বড় প্রতিবন্ধক ছিল এই যে , কুরাইশ কাফেরদের সাথে তাদের ক্রমাগত যুদ্ধ, সংঘর্ষ ও সংঘাত লেগেই ছিল। নিজেদের ইসলামী দাওয়াতে সীমানা বৃদ্ধি ও এর পরিসর প্রশস্ত করার জন্য অবকাশই তারা পাইনি। চূক্তি এ বাধা দূর করে দিয়েছিল । এই বক্তব্য কোন চূক্তি বা সন্ধির দিকে ইংগিত করা হয়েছে।

উত্তরঃ হোদায়বিয়ার সন্ধি।

০১১. হুদায়বিয়ার সন্ধির মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত বিস্তৃত করার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়, রাসূল সা. সে কাজের উদ্বোধন করেন কোন কাজের মাধ্যমে।

উত্তরঃ ইরান, রোম মিসর ও আরবের বাদশাহ ও রাষ্ট্র প্রধানদের কাছে পত্র লেখার মাধ্যমে

০১২. হুদায়বিয়ার সন্ধির মাধ্যমে মুসলমানরা নিজেদের রাষ্ট্রীয় সীমায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে পাওয়ার সাথে সাথে সাথে আরেকটি অবকাশ লাভ করে, তা কি?

উত্তরঃ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ইসলামের দাওয়াত বিস্তৃত করার সুযোগ

০১৩. হুদায়বিয়ার সন্ধির পর ইসলামের প্রচারকবৃন্দ মানুষকে আল্লাহর দ্বীনের দিকে আহবান জানাবার জন্য কোথায় ছড়িয়ে পড়লেন?

উত্তরঃ বিভিন্ন গোত্র এ কওমের মধ্যে

০১৪. তিনটি বড় বড় বিষয় সূরা আল মায়েদায় অন্তর্ভূক্ত। তা কি কি?

উত্তরঃ ১. মুসলমানদের ধর্মীয়, তামাদ্দুনিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে আরো কিছু বিধি নির্দেশ। ২. মুসলমানদেরকে উপদেশ প্রদান৩. ইহুদী ও খৃস্টানদেরকে উপদেশ প্রদান

০১৫. মুসলমানরা একটি শাসক গোষ্ঠীতে পরিণত হয়ে যাওয়ায় তাদের হাতে ছিল শাসন শক্তি। এর নেশায় বহু জাতি পথভ্রষ্ট হয়। মুসলমানরা যাতে পথভ্রষ্ট না হয়, সে জন্য তাদেরকে কিসের উপদেশ দেয়া হয়েছে?

উত্তরঃ ন্যায়, ইনসাফ ও ভারসাম্যের নীতি অবলম্বনের উপদেশ দেয়া হয়েছে।

০১৬. যদি আল্লাহ বলতেন, ''আন'আম'' তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, তাহলে কেবলমাত্র চারটি জন্তু হালাল হতো। এই চারটি জন্তু কি কি?

উত্তরঃ উট, গরু, ছাগল ও ভেড়া

০১৭. আনআম বললে আরবী ভাষায় কোন কোন পশুকে বুঝায়?

উত্তরঃ উট, গরু, ছাগল ও ভেড়া বুঝায়

০১৮. “বাহীমা” শব্দ দ্বারা আরবী ভাষায় কোন ধরণের জন্তুকে বুঝায়?

উত্তরঃ বিচরণশীল চতুষ্পদ জন্তু বুঝানো হয়

০১৯. হাদীসে নবী সা. পরিস্কার ভাবে কোন প্রাণীকে হারাম নির্দেশ দিয়েছেন?

উত্তরঃ শিকারী হিংস্র প্রাণী হারাম

০২০. রাসূল সা. কর্তৃক যে সব পশু আহার করতে নিষেধ করা হয়েছে, সেই সব কথামালা সম্বলিত হযরত আব্দুল্লাহ রা. বর্ণিত হাদীসটি অনুবাদ লিখুন।

উত্তরঃ ''নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিকারী দাঁত সম্পন্ন প্রত্যেকটি পশু এবং নখরধারী ও শিকারী পাঞ্জা সম্পন্ন প্রত্যেকটি পাখি আহার করতে নিষেধ করেছেন৷''

০২১. কাবঘর যিয়ারত করার জন্য যে ফকিরী পোশাক পরিধান করা হয়, তার নাম কি?

উত্তরঃ ''ইহরাম''

০২২. ইহরামের পোষাকের মধ্যে কি কি থাকে?

উত্তরঃ একটি সেলাই বিহীন লুংগী ও একটি চাদর।

০২৩. ইহরামকে ইহরাম বলার কারণ কি? তার বিস্তারিত বর্ণনা করুন।

উত্তরঃ এ পোশাপ পরিধান করার সাথে সাথে মানুষের জন্য এমন অনেক কাজ হারাম হয়ে যায় যেগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় তার জন্য হালাল ছিল৷ যেমন ক্ষৌরকার্য করা, সুগন্ধি ব্যবহার, সবধরনের সাজসজ্জা, সৌন্দর্য চর্চা, যৌনাচার ইত্যাদি৷ এ অবস্থায় কোন প্রাণী হত্যা করা যাবে না, শিকার করা যাবে না৷ এবং শিকারের খোঁজও দেয়া যাবে না৷

০২৪. কুরআন মজীদ সর্বোচ্চ বলিষ্ঠতা সহকারে হালাল হারামের যে মূলনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছে, তা কি?

উত্তরঃ কোন বস্তুর হালাল ও হারাম হবার জন্য সর্বশক্তিমান প্রভুব আল্লাহর অনুমোদন ও অননুমোদন ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন ভিত্তির আদৌ কোন প্রয়োজন নেই৷ অনুরূপভাবে আল্লাহ যে কাজটিকে বৈধ গণ্য করেছেন সেটি বৈধ এবং যেটিকে অবৈধ গণ্য করেছেন সেটি অবৈধ, এ ছাড়া মানুষের জন্য কোন কাজের বৈধ ও অবৈধ হবার দ্বিতীয় কোন মানদণ্ড নেই৷

০২৫. যে জিনিসটি কোন আকীদা-বিশ্বাস, মতবাদ, চিন্তাধারা, চিন্তাধারা, কর্মনীতি বা কোন ব্যবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে তাকে তার কি বলা হয়?

উত্তরঃ শেআ'

০২৬. শেআ'র শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ নিশানী।

০২৭. সরকারী পতাকা, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রভৃতির ইউনিফরম, মুদ্রা, নোট ও ডাকটিকিট সরকারের কি?

উত্তরঃ শেআ'

০২৮. গীর্জা, ফাঁসির মঞ্চ ও ক্রুশ এবং টিকি, পৈতা ও মন্দির কাদের শেআ’র?

উত্তরঃ খৃস্টবাদ আর ব্রাহ্মণ্যবাদের নিশানী৷

০২৯. শিখ ধর্মের নিশানী কি?

উত্তরঃ ঝুঁটি চুল, হাতের বালা ও কৃপাণ

০৩০. হাতুড়ি ও কাস্তে কাদের নিশানী?

উত্তরঃ সমাজতন্ত্রের

০৩১. ''শাআইর" কোন শব্দের বহুবচন?

উত্তরঃ ''শে'আর" শব্দের বহুবচন

০৩২. ''শাআইরুল্লাহ" বলতে এমন কোন আলামত বা নিশানী বুঝায়?

উত্তরঃ যা শিরক, কুফরী ও নাস্তিক্যবাদের পরিবর্তে নির্ভেজাল আল্লাহ আনুগত্য সূচক মতবাদের প্রতিনিধিত্ব করে৷

০৩৩. ইহরাম আল্লহার একটি অন্যতম কি?

উত্তরঃ নিশানী

০৩৪. ইহরামের অবমাননা কখন হবে?

উত্তরঃ ইহরামের জন্য যে বিধিনষেধগুলো আরোপিত হয়েছে তার মধ্যে থেকে কোন একটি ভংগ করলে।

০৩৫. শরীফাতের বিধি অনুযাযী ইহরামের সীমা খতম হয়ে গেলে কিসের অনুমতি আছে?

উত্তরঃ শিকার করার অনুমতি আছে।

০৩৬. “তোমাদের জন্য হারাম করে দেয়া হয়াছে মৃতজীব” এখানে মৃতজীব বলতে কোন ধরণের পশুকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ যে পশুর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে

০৩৭. “আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নামে যবেহকৃত জীব” বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ যাকে যবেহ করার সময় আল্লাহর ছাড়া আর কারোর নাম নেয়া হয়৷ অথবা যাকে যবেহ করার আগে এ মর্মে নিয়ত করার হয় যে, অমুক মহাপুরুষ অথবা অমুক দেবী বা দেবতার নামে উৎসর্গীত

০৩৮. হালাল প্রাণীর গোশত হালাল হওয়ার একমাত্র পন্থা কি?

উত্তরঃ যবেহ করা।

০৩৯. ‘নুসুব’ শব্দটির আমাদের পরিচিত পরিভাষা কি? নুসুব কি?

উত্তরঃ ‘নুসুব’ শব্দটির আমাদের পরিচিত পরিভাষা হচ্ছেঃ বেদী বা আস্তানা। নুসুব হচ্ছেঃ এমন সব স্থান, যেগুলোকে লোকেরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর উদ্দেশ্যে বলিদান ও নজরানা পেশ করার জন্য নির্দিষ্ট করে নিয়েছে৷

০৪০. মক্কার মুশরিকরা কোন দেবতাকে ভাগ্যের ফায়সালা জানার জন্য নির্দেষ্ট করে রেখেছিল?

উত্তরঃ হুবল।

০৪১. নবী সা. এর সামনে যখন দু'জন সমান হকদারের মধ্যে একজনকে প্রাধান্য দেবার প্রশ্ন দেখা দিতো এবং তাঁর আশংকা হতো যে, তিনি একজনকে প্রাধান্য দিলে তা অন্যজনের মনোকষ্টের কারণ হবে তখন তিনি সাধারণত এ পদ্ধতিটি অবলম্বন করতেন। ইসলামী পরিভাষায় এই পদ্ধতিকে কি বলে?

উত্তরঃ 'কুরআ'

০৪২. “শর নিক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য নির্ণয় করাও তোমাদের জন্য জায়েয নয়৷এ আয়াতে যে জিনিসটি হারাম করা হয়েছে দুনিয়ায় তার তিনটি সংস্কারণ প্রচলিত আছেতা কি কি?

উত্তরঃ ১. মুশরিকদের মতো করে ‌‌‌'ফাল' গ্রহণ করা২. কুসংস্কারাচ্ছন্ন ফাল গ্রহণ৩. জুয়া ধরনের যাবতীয় খেলা ও কাজ

০৪৩. শরীয়াতের বিরুদ্ধাচরণের অর্থ এ হবে না যে, এ ব্যাপারে তোমরা অন্যদের প্রভাবে বাধ্য হয়ে এমনটি করেছোতাহলে অর্থ কি হবে?

উত্তরঃ অর্থ হবেঃ তোমরার আল্লাহর আনুগত্য করতে চাও না

০৪৪. দীনকে পরিপূর্ণ করে দেবার অর্থই কি?

উত্তরঃ দ্বীনকে একটি স্বতন্ত্র চিন্তা ও কর্ম ব্যবস্থা এবং একটি পূর্নাঙ্গ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থায় পরিণত করা হয়েছে

০৪৫. মুসলিম শব্দের অর্থ কিঃ

উত্তরঃ আনুগত্যকারী।

০৪৬. “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছি, আমার নিয়ামত তোমাদের প্রতি সম্পূর্ণ করেছি এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছি” নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়েত অনুযায়ী আয়াতটি কখন নাযিল হয়েছে?

উত্তরঃ বিদায় হজ্জের সময় ১০ হিজরীতে

০৪৭. “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছি, আমার নিয়ামত তোমাদের প্রতি সম্পূর্ণ করেছি এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে তোমাদের দীন হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছি” মাওলানা মওদূদী রাহ. এর অনুমান অনুযাযী এই আয়াতটি কখন নাযিল হয়েছে?

উত্তরঃ প্রথম এ আয়াতটি এ একই প্রসংগে তথা সূরা আল মায়েদার সাথে নাযিল হয়েছিল৷ মুসলমানরা তখন বিজিত ছিল বলে এর আসল গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেনি৷ পরে  মহান আল্লাহ পুনর্বার এ বাক্য তাঁর নবীর প্রতি নাযিল করেন এবং এটি ঘোষণা করে দেবার নির্দেশ জারি করেন৷

০৪৮. এক ধরণের শিকারী প্রাণীর কথা বলা হয়েছে, যার ধরা বস্তু হালাল হওয়ার জন্য আল্লাহর নাম নেয়া শর্তারোপ করা হয়েছে। এই এই শিকারী প্রানীর বৈশিষ্ট কি?

উত্তরঃ যে শিকারী প্রাণীকে শিক্ষিত করে তুলা হয়েছে এবং যাদেরকে আল্লাহর দেয়া জ্ঞানের ভিত্তিতে শিকার করা শিখানো হয়েছে।

০৪৯. শিকারী পাখি তার শিকার থেকে কিছু খেয়ে নিলে ঐ শিকার হালাল বা হারাম হওয়ার ব্যাপারে ৪টি মত কি কি?

উত্তরঃ ১. শিকারী পশু-পাখি তার শিকার করা প্রাণী থেকে যদি কিছুটা খেয়ে নেয় তাহলে তা হারাম হয়ে যাবে৷ কারণ তার খাওয়া প্রমাণ করে যে, শিকারটিকে সে মালিকের জন্য নয়, নিজের জন্য ধরেছে৷ (ইমাম শাফেয়ী) ২. সে যদি তার শিকার করা প্রাণীর কিছুটা খেয়ে নেয় তাহলেও তা হারাম হয়ে যায় না৷ এমনকি এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত খেয়ে নিলেও বাকি দু'-তৃতীয়াংশ হালালই থেকে যাবে৷ আর এ ব্যাপারে পশু ও পাখির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই৷ (ইমাম মালেক) ৩. শিকারী পশু যদি তার শিকার থেকে কিছু খেয়ে নেয় তাহলে তা হারাম হয়ে যাবে কিন্তু যদি শিকারী পাখি তার শিকার থেকে কিছু খেয়ে নেয় তাহলে তা হারাম হয়ে যাবে না৷ কারণ শিকারী পশুকে এমন শিক্ষা দেয়া যেতে পারে যার ফলে সে শিকার থেকে কিছুই না খেয়ে তাকে মালিকের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারে কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, শিকারী পাখিকে এ ধরনের শিক্ষা দেয়া সম্ভব নয়৷ (ইমাম আবু হানিফা) ৪. শিকারী পাখির শিকার আদৌ জায়েয নয়৷ কারণ শিকারকে নিজে না খেয়ে মালিকের জন্য রেখে দেবার ব্যাপারটি তাকে কোনক্রমেই শেখানো সম্ভব নয়৷ (হযরত আলী রা.)

০৫০. “তবে তার ওপর আল্লাহর নাম নিতে হবে” এর মানে কি?

উত্তরঃ শিকারী পশুকে শিকারের পেছনে লেলিয়ে দেবার সময় ''বিসমিল্লাহ'' বলো

০৫১. 'আমি কি কুকুরের সাহায্যে শিকার করতে পারি?' এমন প্রশ্নের জবাবে রাসূল সা. কি বলেছেন?

উত্তরঃ ''যদি তাকে ছাড়ার সময় তুমি ''বিসমিল্লাহ''বলে থাকো, তাহলে তা খেয়ে নাও অন্যথায় খেয়ো না৷ আর যদি সে শিকার থেকে কিছু খেয়ে নিয়ে থাকে, তাহলে তা খেয়ো না৷ কারণ সে শিকারকে আসলে তার নিজের জন্য ধরেছে''

০৫২. ‌‌'আমি যদি শিকারের ওপর নিজের কুকুর ছেড়ে দেবার পর দেখি সেখানে আর একটি কুকুর আছে তাহলে?' এমন প্রশ্নের জবাবে রাসূল সা. এর নির্দেশ কি?

উত্তরঃ ''এ অবস্থায় ঐ শিকারটি খেয়ো না৷ কারণ আল্লাহর নাম তুমি নিজের কুকুরের ওপর নিয়েছিলে, অন্য কুকুরটির ওপর নয়?''

০৫৩. ''তোমাদের জন্য সমস্ত পাক-পবিত্র জিনিস হালাল করে দেয়া হয়েছে৷'' এই বক্তব্যের মাধ্যমে আহলে কিতাবের তিন ধরণের খাদ্য হারাম গন্য করা হয়েছে তা কি কি?

উত্তরঃ ১. যদি তারা আল্লাহর নাম না নিয়েই কোন প্রাণী যবেহ করে ২. তার ওপর আল্লাহ ছাড়া আর কারোর নাম নেয় ৩. তাদের দস্তরখানে মদ, শূকরের গোশ্‌ত বা অন্য কিছু হারাম খাদ্য পরিবেশিত হয়

০৫৪. “আর সংরক্ষতি মেয়েরা তোমাদের জন্য হালাল” বলতে কোন মেয়েদের বলা হয়েছে? তাদের বিয়ে করার ব্যাপারে শর্ত কি?

উত্তরঃ ইহুদী ও খৃষ্টান মেয়েদের কথা বলা হয়েছে। শর্ত হচ্ছে তারা মুহসানাত (সংরক্ষিত মহিলা) হতে হবে।

০৫৫. “আর সংরক্ষতি মেয়েরা তোমাদের জন্য হালাল” বলতে ইবনে আব্বাস রা. এর মতে আহলে কিতাবের কোন মহিলাদের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ আহ্‌লি কিতাব বলতে সে সব আহ্‌লি কিতাবকে বুঝানো হয়েছে যারা ইসলামী রাষ্ট্রের প্রজাঅন্যদিকে দারুল হার্‌ব ও কুফ্‌রের ইহুদী ও খৃস্টানদের মেয়েদের বিয়ে করা জায়েয নয়

০৫৬. হযরত উমর রা. মুহসানাত শব্দটির কি অর্থ গ্রহণ করেছেন?

উত্তরঃ পবিত্র ও নিষ্কলূষ চরিত্রের অধিকারী মেয়েরা

০৫৭. ইমাম শাফেঈর মতে মুহসানাত বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ ক্রীতদাসীদের মোকাবিলায় ব্যবহৃত হয়েছে৷ অর্থাৎ এখানে এ শব্দটির অর্থ হচ্ছে, আহলি কিতাবদের এমন সব মেয়ে যারা ক্রীতদাসী নয়৷

০৫৮. জানাবাত কয় ধরণের হতে পারে এবং তা কি কি?

উত্তরঃ ২ ধরণের। ১. স্ত্রী সহবাসের কারণে। ২. স্বপ্নে বীর্য স্খলনের কারণে।

০৫৯. মানুষের ওপর আল্লাহর নিয়ামত কখন সম্পূর্ণ হতে বা পূর্ণতা লাভ করতে পারবে?

উত্তরঃ যখন সে আত্মা ও শরীর উভয়ের তাহারাত ও পাক-পবিত্রতা অর্জনের জন্য পূর্ণ হেদায়াত লাভ করতে সক্ষম হবে

০৬০. “আল্লাহ তোমাদের যে নিয়ামত দান করেছেন” আল্লাহ কি নিয়ামত দান করেছেন?

উত্তরঃ জীবনের সরল সটিক রাজপথ দিয়ে আলোকোজ্জল করা এবং সারা দুনিয়ার মানুষের হোদায়াত ও নেতৃত্ব দানের আসনে সমাসীন করা।

০৬১. যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে আল্লাহ তাদের সাথে কি ওয়াদা করেছেন?

উত্তরঃ তাদের ভুল-ত্রুটি মাফ করে দেয়া হবে এবং তারা বিরাট প্রতিদান লাভ করবে

০৬২. যারা কুফরী করবে এবং আল্লাহর আয়াতকে মিথ্যা বলবে, তারা কিসের অধিবাসী হবে?

উত্তরঃ জাহান্নামের।

০৬৩. “আল্লাহর সে অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো, যা তিনি তোমাদের প্রতি করেছেন” আল্লাহ কি রহম করেছে?

উত্তরঃ যখন একটি দল তোমাদের ক্ষতি করার চক্রান্ত করেছিল কিন্তু আল্লাহ তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন

০৬৪. “হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহর সে অনুগ্রহের কথা স্মরণ করো, যা তিনি তোমাদের প্রতি করেছেন, যখন একটি দল তোমাদের ক্ষতি করার চক্রান্ত করেছিল” এখান থেকে কুরআনের যে ভাষণটি শুরু হয়েছে, তার ২টি উদ্দেশ্য কি কি?

উত্তরঃ ১. মুসলমানদের পূর্বসূরী আহলী কিতাবরা যে পথে চলছিল সে পথে চলা থেকে তাদেরকে বিরত রাখা২. ইহুদী ও খৃস্টান উভয় সম্প্রদায়কে তাদের ভুলের জন্য সতর্ক করে দেয়া এবং তাদেরকে সত্য দীন তথা ইসলামের দাওয়াত দেয়া

০৬৫. নকীব অর্থ কি?

উত্তরঃ পর্যবেক্ষক, রক্ষণাবেক্ষণকারী ও তদন্তকারী

০৬৬. নকীবের কাজ কি ছিল?

উত্তরঃ নকীবের কাজ ছিল তার গোত্রের লোকদের চালচলন ও অবস্থার প্রতি নজর রাখা এবং তাদেরকে বেদীনী ও নৈতিকতা বিরোধী কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা

০৬৭. নকীবের স্ট্যাটাসকে কুরআন ও বাইবেলে কিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে?

উত্তরঃ বাইবেল নকীবদেরকে সরদার ও প্রধান হিসাবে পেশ করেছে। কুরআন তাদেরকে নৈতিক ও ধর্মীয় পর্যবেক্ষক ও রক্ষণাবেক্ষণকারী বলে গন্য করেছে।

০৬৮. কুরআনে বর্ণিত নকীবদেরকে বাইবেলে কি নাম দেয়া হয়েছে?

উত্তরঃ সরদা।

০৬৯. “আমার রসূলদেরকে মানো ও তাদেরকে সাহায্য করো” মানে কি?

উত্তরঃ অর্থাৎ আমার পক্ষ থেকে যে রসূলই আসবে যদি তোমরা তাঁর দাওয়াত কবুল করতে থাকো এবং তাকে সাহায্য করতে থাকো

০৭০. “আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিতে থাকোঅর্থ কি?

উত্তরঃ অর্থাৎ আল্লাহর পথে নিজের ধন সম্পদ ব্যয় করতে থাকো

০৭১. উত্তম ঋণ হতে হলে কি শর্ত?

উত্তরঃ বৈধ উপায়ে সংহীত অর্থ আল্লাহর পথে ব্যয় করতে হবে, আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ব্যয় করতে হবে এবং আন্তরিকতা, সদিচ্ছা ও সৎ সংকল্প সহকারে ব্যয় করতে হবে

০৭২. পাপ মোচন করার ২টি অর্থ কি কি?

উত্তরঃ ১. সত্য ও সঠিক পথ অবলম্বন করার এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী চিন্তা ও কর্মের সঠিক পথে চলার ফল স্বরূপ মানুষের আত্মা বিভিন্ন প্রকার পাপের মলিনতা থেকে এবং তার জীবনধারা বহু প্রকার দোষ ও ত্রুটি থেকে মুক্ত হয়ে যেতে থাকবে২. এ পরিশুদ্ধি সত্ত্বেও যদি কোন ব্যক্তি সামগ্রিকভাবে পূর্ণতার পর্যায়ে না পৌঁছুতে পারে এবং তার মধ্যে কিছু ত্রুটি ও গুনাহ থেকে যায় তাহলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাকে জবাবদিহির সম্মুখীন করবেন না এবং সে গুনাহগুলো তার হিসেব থেকে বিলুপ্ত করে দেবেন

‌‌‌০৭৩. 'সাওয়া-উস-সাবীল-এর বাংলা অনুবাদ কি?

‌‌ উত্তরঃ 'সরল-সঠিক ভারসাম্যপূর্ণ মধ্যম পথ'

০৭৪. কুরআনে 'সাওয়া-উস-সাবীল’ কে আরেকটি নামে বলা হয়েছে। তা কি?

উত্তরঃ 'সিরাতুল মুস্তাকীম'

০৭৫. জীবনের সমস্ত বক্র পথ কোন দিকে গেছে?

উত্তরঃ জাহান্নামের দিকে

০৭৬. ইংরেজী শব্দ গুলোর বাংলা অর্থ কি? Dialectic Process, Thesis, Antithesi.

উত্তরঃ Dialectic Process: দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়া, Thesis: চরমপন্থী দাবী, Antithesis: চরম ভাবাপন্ন দাবী

০৭৭. আল্লাহ বলছেনঃ “আমি তাদেরকে নিজের রহমত থেকে দূরে নিক্ষেপ করেছি” যাদেরকে রহমত থেকে দূরে নিক্ষেপ করা হয়েছে, তাদেরকে কি কারণে দূরে নিক্ষেপ করা হয়েছে?

উত্তরঃ তাদের নিজেদের অংগীকার ভংগের কারণে

০৭৮. “নাসারা” শব্দটির উৎপত্তি কোন শব্দ থেকে?

উত্তরঃ নুসরাত থেকে।

০৭৯. “আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে?” এই আহবানটি কার ছিল? যারা এই আহবানে সাড়া দিয়েছিল, তাদের জবাব কি ছিল?

উত্তরঃ ঈসা আ. এর। সাড়া দানকারীদের জবাবঃ আমরা হবো আল্লাহর কাজে সাহায্যকারী

০৮০. খৃস্টবাদের ইতিহাসের প্রথম যুগে একটি সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব ছিল, তাদের নাম কি ছিল?

উত্তরঃ নাসেরীয়া (Nazarenes)

০৮১. শান্তি ও নিরাপত্তা মানে কি?

উত্তরঃ শান্তি ও নিরাপত্তা মানে ভুল দেখা, ভুল আন্দাজ-অনুমান করা ও ভুল কাজ করা থেকে দূরে থাকা এবং এর ফলাফল থেকেও নিজেকে সংরক্ষিত রাখা

০৮২. “আসলে তোমরাও ঠিক তেমনি মানুষ যেমন আল্লাহ অন্যান্য মানুষ সৃষ্টি করেছেন” এখানে তোমরাও বলতে কাদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে?

উত্তরঃ ইহুদী ও খৃষ্টান।

০৮৩. “এখন সেই সুসংবাদ দানকারী ও ভীতি প্রদর্শনকারী এসে গেছেন এবং আল্লাহ সবকিছুর ওপর শক্তিশালী৷” এখানে সবকিছুর উপর শক্তিশালী বলতে যে আল্লাহ ইতিপূর্বে সংসংবাদ দানকারী ও ভীতি প্রদর্শণকারী পাঠাবার ক্ষমতা রাখতেন এখন তিনিই মুহাম্মদ সা.কে সেই একই দায়িত্বে নিয়োগ করেছেন এবং এধরণের নিযুক্তর ক্ষমতাও তাঁর ছিল। এর অপর অর্থটি কি?

উত্তরঃ যদি তোমরা এ সুসংবাদ দানকারী ও ভীতি প্রদর্শনকারীর কথা না মানো, তাহলে মনে রেখো, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু করতে সক্ষম৷ তিনি তোমাদের যে শাস্তি দিতে চান তা কার্যকর করার ব্যাপারে তাঁকে কোন বাধার সম্মূখীন হতে হয় না

০৮৪. “তোমরা আল্লাহর সেই নিয়ামতের কথা মনে করো, যা তিনি তোমাদের দান করেছিলেন৷ তিনি তোমাদের মধ্যে বহু নবীর জন্ম দিয়েছেন, তোমাদেরকে শাসকে পরিণত করেছেন” এই কথা গুলো কার কথা এবং কাদেরকে বলেছেন?

উত্তরঃ মুসা আ. তার জাতিকে বলেছিলেন।

০৮৫. “তিনি তোমাদের মধ্যে বহু নবীর জন্ম দিয়েছেনবলতে কোন কোন নবীর কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ হযরত ইবরাহীম, হযরত ইসহাক, হযরত ইয়াকুব ও হযরত ইউসুফ আ.

০৮৬. “তোমাদেরকে শাসকে পরিণত করেছেন” এখানে শাসক বলতে কোন সময়কে ইংগিত করা হয়েছে?

উত্তরঃ হযরত ইউসুফ আ. এর আমলে ও তার পরবর্তী কালে মিসরে ব্যাপক শাসন কর্তৃত্বের অধিকারী হওয়ার দিকে ইংগিত করা হয়েছে।

০৮৭. “হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা ! সেই পবিত্র ভূখণ্ডে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন” এখানে পবিত্র ভূখন্ড বলতে কোন ভূখন্ডের কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ফিলিস্তিন।

০৮৮. হযরত ইব্রাহীম, হযরত ইসহাক ও হযরত ইয়াকুব আ. এর আবাসভূমির নাম কি ছিল?

উত্তরঃ ফিলিস্তিন।

০৮৯. বনী ইসরাঈল মিসর থেকে বের হয়ে এলে আল্লাহ তাদের জন্য যে দেশটি নির্দিষ্ট করেন এবং সামনে অগ্রসর হয়ে যে দেশটি জয় করার নির্দেশ দেন, সেই দেশের নাম কি?

উত্তরঃ ফিলিস্তিন।

০৯০. “হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা ! সেই পবিত্র ভূখণ্ডে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য লিখে দিয়েছেন পিছনে হটো না৷ পিছনে হটলে তোমরা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে” এই বক্তব্যটি কে কখন প্রদান করেন?

উত্তরঃ হযরত মূসা তাঁর জাতিকে নিয়ে মিসর থেকে বের হবার প্রায় দু'বছর পর যখন তাদের সাথে ফারানের মরু অঞ্চলে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান করছিলেন তখন এই বক্তব্য প্রদান করেন।

০৯১. ফারান মরু অঞ্চল কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ ফিলিস্তিনের দক্ষিণ সীমান্তে সাইনা উপদ্বীপে।

০৯২. “সেখানে একটা অতীব দুর্ধর্ষ জাতি বাস করে৷ তারা সেখান থেকে বের হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা কখনই সেখানে যাবো না” এই কথাটি কারা কাকে বলেছিল?

উত্তরঃ মুসা আ. এর কাওম মুসা আ.কে বলেছিল।

০৯৩. “ঐ ভীরু লোকদের মধ্যে দুজন এমন লোকও ছিল যাদের প্রতি আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহ বর্ষণ করেছিলেন৷ তারা বললো” –এখানে ভীরু লোকদের মধ্যে দু’জন লোক বললো- বাক্যাংশের দূ’টি অর্থ কি কি?

উত্তরঃ ১. যারা শক্তিশালীদেকে ভয় করছিল তাদের মধ্য থেকে দু'জন বলে উঠলো২. যারা আল্লাহকে ভয় করতো তাদের মধ্য থেকে দু'জন বলে উঠলো৷

০৯৪. “তুমি ও তোমার রব, তোমরা দুজনে সেখানে যাও এবং লড়াই করো, আমরা তো এখানে বসেই রইলাম” এই কথাটি কাদের কথা। কাকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছিল?

উত্তরঃ মুসা আ. এর কাওমের কথা। মুসা আ.কে উদ্দেশ্য করে বলেছিল।

০৯৫. ফিলিস্তিনের অবস্থা জানার জন্য ফারান থেকে মুসা আ. কাদেরকে ফিলিস্তিন সফরে পাঠান? তাদের সংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ ইসরাঈলের ১২জন সরদারকে।

০৯৬. বনী ইসরাঈলের ফারান মরুভূমি থেকে পূর্ব জর্দানে পৌছাতে কত বছর সময় লেগেছিল?

উত্তরঃ ৩৮ বছর।

০৯৭. কার আমলে বনী ইসরাইল ফিলিস্তিন জয় করে?

উত্তরঃ হযরত ইউশা ইবনে নূন।

০৯৮. আদম আ. এর দুই ছেলে কুরবানী করলে একজনের কুরবানী কবুল করা হলো না। কেন করা হলো না?

উত্তরঃ কারণ তার মাঝে আল্লাহভীতি বা তাকওয়া নেই।

০৯৯. আদম আ. এর এক ছেলে যখন অন্য ছেলেকে বললো, আমি তোমাকে মেরে ফেলবো। তখন সেই ছেলে জবাবে কি বললো?

উত্তরঃ আল্লাহ তো মুত্তাকিদের নজরানা কবুল করে থাকেতুমি আমাকে মেরে ফেলার জন্য হাত উঠালেও আমি তোমাকে মেরে ফেলার জন্য হাত উঠাবো না৷ আমি বিশ্ব জাহানের প্রভু আল্লাহকে ভয় করিআমি চাই, আমার ও তোমার পাপের ভার তুমি একাই বহন করো এবং তুমি জাহান্নামী হয়ে যাও৷ জালেমদের জুলুমের এটিই সঠিক প্রতিফল

১০০. “আল্লাহ তো মুত্তাকিদের নজরানা কবুল করে থাকে” এর অর্থ কি?

উত্তরঃ তোমার কুরবানী কবুল না হয়ে থাকলে এতে আমার কোন দোষ নেই বরং তোমরা কুরবানী কবুল না হওয়ার কারণ হচ্ছে এই যে, তোমার মধ্যে আল্লাহভীতি বা তাকওয়া নেই৷ কাজেই আমাকে হত্যা না করে বরং তোমরা নিজের মধ্যে তাকওয়া সৃষ্টির চিন্তা করা উচিত

১০১. “তুমি আমাকে মেরে ফেলার জন্য হাত উঠালেও আমি তোমাকে মেরে ফেলার জন্য হাত উঠাবো না” এই কথার অর্থ কি?

উত্তরঃ তুমি আমাকে হত্যা করতে চাও করো কিন্তু আমি তোমাকে হত্যা করতে চাইবো না

১০২. “তুমি আমাকে মেরে ফেলার জন্য হাত উঠালেও আমি তোমাকে মেরে ফেলার জন্য হাত উঠাবো না” এই কথার অর্থ হচ্ছেঃ “তুমি আমাকে হত্যা করতে এলে আমি হাত বেঁধে তোমার সামনে নিহত হবার জন্য তৈরী হয়ে যাবো এবং নিজের প্রতিরক্ষা করবো না” – এই অর্থটা কি ঠিক?

উত্তরঃ না। ঠিক নয়।

১০৩. “আমি চাই, আমার ও তোমার পাপের ভার তুমি একাই বহন করো” একথার অর্থ কি?

উত্তরঃ অর্থাৎ আমাদের পরস্পরকে হত্যা করার প্রচেষ্টায় আমাদের দু'জনের গুনাহগার হবার পরিবর্তে আমি বরং ভাল মনে করছি আমাদের উভয়ের গুনাহ তোমার একার ভাগে পড়ুক

১০৪. আদমের বিভ্রান্ত ও অসৎ পুত্রটিকে তার মূর্খতা ও অজ্ঞতা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন কিসের মাধ্যমে?

উত্তরঃ একটি কাকের মাধ্যমে।

১০৫. লাশ কবর দেয়ার পদ্ধতি আদম সন্তান কার কার্যক্রম থেকে শিখলো?

উত্তরঃ কাকের।

১০৬. ২টি কারণ ছাড়া অন্য কোন কারণে যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করলো, সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে হত্যা করলো। কারণ ২টি কি?

উত্তরঃ ১. নরহত্যা। ২. পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা।

১০৭. কোন ব্যক্তি দুনিয়ার সমস্ত মানুষের জীবন রক্ষা করলো?

উত্তরঃ যে ব্যক্তি কারো জীবন রক্ষা করলো।

১০৮. আদমের জালেম সন্তানটি যে সব অসৎ গুণের প্রকাশ ঘটিয়েছিল, কার মধ্যে সেই সব গুণের নিদর্শন পাওয়া যেতো?

উত্তরঃ বনী ইসরাঈলের মধ্যে।

১০৯. "যে ব্যক্তি ইসরাঈলের একটি প্রাণকে হত্যা করলো আল্লাহর কিতাবের দৃষ্টিতে সে যেন সারা দুনিয়ার মানুষকে হত্যা করলো” এই কথাটা কোন গ্রন্থে রয়েছে।

উত্তরঃ তালমূদে।

১১০. মানব জাতির অস্তিত্ব নিশ্চিত ও নিরাপদ হতে পারে কিভাবে?

উত্তরঃ দুনিয়ার প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে অন্য মানুষের প্রাণের প্রতি মর্যাদাবোধ যদি জাগ্রত থাকে এবং তাদের প্রত্যেকে অন্যের জীবনের স্থায়িত্বে ও সংরক্ষণে সাহায্যকারী হবার মনোভাব পোষণ করে

১১১. যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করে  কি প্রমাণ করে?

উত্তরঃ সে প্রমাণ করে যে, তার অন্তরে মানুষের জীবনের প্রতি মর্যাদাবোধ ও সহানুভূতির কোন স্থান নেই

১১২. যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে লড়াই করে এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করার জন্য প্রচেষ্টা চালায়, তাদের ৪প্রকারের শাস্তি কি?

উত্তরঃ ১. হত্যা করা হবে। ২. শূলিবিদ্ধ করা হবে। ৩. হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা হবে। ৪. দেশ তেকে নির্বাসিত করা হবে।

১১৩. “যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে লড়াই করে এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করার জন্য প্রচেষ্টা চালায়এখানে পৃথিবী বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ পৃথিবীর সেই অংশ ও অঞ্চল বুঝাচ্ছে যেখানে শান্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কায়েম করার দায়িত্ব ইসলামী সরকার গ্রহণ করেছে

১১৪. “যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে লড়াই করে এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করার জন্য প্রচেষ্টা চালায়এখানে আল্লাহ রাসূলের সাথে লাড়াই করা বলতে কি বুঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ ইসলামী সরকার দেশে যে সৎ ও সত্যনিষ্ঠ সমাজ ব্যবস্থার প্রচলন করেছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করা

১১৫. আল্লাহর ইচ্ছা কি? যে ইচ্ছা পূরণের জন্য তিনি রাসূল পাঠিয়েছেন।

উত্তরঃ পৃথিবীতে একটি সৎ ও সত্যনিষ্ঠ রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা

১১৬. ভারতীয় দন্ডবিধিতে "সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ" করার অপরাধে অভিযুক্ত গন্য করা হয় কোন কাজ করলে?

উত্তরঃ কোন ব্যক্তির ভারতে বৃটিশ সরকারের ক্ষমতা উচ্ছেদের প্রচেষ্টাকে

১১৭. Waging War Against the king এর বাংলা কি?

উত্তরঃ সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।

১১৮. ইসলামী সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, বিশ্বাসঘাতকতা বা আল্লাহ ও রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইত্যাদি অপরাধের পর যদি কেউ তাওবা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো যাবে না। কিন্তু কোন অপরাধের পর তাওবা করলেও তার বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত ফৌজদারী মামলা চালানো হবে? উদাহরণ সহ উল্লেখ করুন

উত্তরঃ যদি কেউ মানুষের অধিকারের ওপর কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করে থাকেযেমনঃ কোন ব্যক্তিকে হত্যা করা অথবা কারোর সম্পদ অন্যায়ভাবে হস্তগ করা বা অন্য কোন অপরাধ করা।

১১৯. (جاهدوا) "জাহিদু" এবং (مجاهده) 'মুজাহাদা' শব্দ দূটি অর্থ কি?

উত্তরঃ (جاهدوا) "জাহিদু" অর্থ 'প্রচেষ্টা ও সাধনা' আর (مجاهده) 'মুজাহাদা' অর্থ মুকাবিলা

১২০. মুমিন বান্দাকে প্রতিটি ক্ষেত্রে চতুর্মুখী ও সর্বাত্মক লড়াই করার লড়াই করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চারদিকে যে চারটি শত্রু রয়েছে তার মধ্যে যে কোন ২টি উল্লেখ করুন।

উত্তরঃ ১. অভিশপ্ত ইবলীস এবং তার শয়তানী সেনাদল২. মানুষের নিজের নফস ও তার বিদ্রোহী প্রবৃত্তি৩. এমন এক আল্লাহ বিমুখ মানব গোষ্ঠী যাদের সাথে মানুষ সব ধরনের সামাজিক , তামাদ্দুনিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সূত্রে বাঁধা৪. এমন ভ্রান্ত ধর্মীয় তামাদ্দুনিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যার ভিত্তিভূমি গড়ে উঠেছে আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ওপর এবং তা সত্যের আনুগত্য করার পরিবর্তে মিথ্যার আনুগত্য করতে মানুষকে বাধ্য করে

১২১. আল্লাহ বলছেনঃ “চোর-পুরুষ বা নারী যেই হোক না কেন, উভয়ের হাত কেটে দাও” এই দন্ডবিধি অনুযায়ী খেয়ানত বা আত্মসাৎ-এর জন্য কি হাত কাটা যাবে? দলীলসহ বলুন।

উত্তরঃ না! কাটা যাবে না। কারণ খেয়ানত বা আত্মসাৎ ইত্যঅদি চুরির পর্যায়ভূক্ত নয়্ নবী সা. বলেছেনঃ “খেয়ানকারীর হাত কাটা হবে না।”

১২২. চূরির অপরাধের শাস্তি কি?

উত্তরঃ হাত কেটে দেয়া।

১২৩. হাতকাটা শাস্তি প্রয়োগে কোন হাত কাটতে হবে?

উত্তরঃ ডান হাত।

১২৪. চুরি বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ যার মাধ্যমে মানুষ একজনের ধন সম্পদ তার নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণ থেকে বের করে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

১২৫. কতটুকু পরিমাণ অর্থ মূল্যের কমমূল্যের চূরি করলে হাতকাটার শাস্তি দেয়া যাবে না?

উত্তরঃ একটি ঢালের মূল্যের চেয়ে কম পরিমাণ চুরি করলে হাত কাটা যাবে না

১২৬. রাসূল সা. এর যুগে একটি ঢালের মূল্য কত ছিল? এ ব্যাপারে সাহাবায়ে কিরামের ৪টি মত পাওয়া যায়। তা কি কি?

উত্তরঃ এক. ১০ দিরহাম। দুই. ৩ দিরহাম। তিন. ৫ দিরহাম। চার. অর্ধ দিনার।

১২৭. ইমাম আবু হানীফার মতে চূরির শাস্তির জন্য চুরি করা বস্তুর সর্বনিম্ন মূল্য কতে হতে হবে?

উত্তরঃ ১০ দিরহাম।

১২৮. গোশত, রান্না করা খাবার, যে শস্য স্তুপীকৃত করা হয়নি, খেলার সরঞ্জাম, বাদ্যযন্ত্র, বনে বিচরণকারী পশু, বাইতুলমালের জিনিস ইত্যাদি চূরির ক্ষেত্রে শরয়ী বিধান কি?

উত্তরঃ এই সব চুরির ক্ষেত্রে হাত কাটা যাবে না।

১২৯. চুরির ব্যাপারে হযরত আয়েশা বর্ণিত হাদীসটির অর্থ কি?

উত্তরঃ "তুচ্ছ ও নগণ্য বস্তু চুরির অপরাধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমলে হাত কাটা হতো না"

১৩০. কোরআন মজীদ চোরকে কি নির্দেশ দেয়?

উত্তরঃ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার এবং নিজের সংশোধন করার নির্দেশ দেয়

১৩১. “তারা মিথ্যা ভাষণ শোনার জন্য কান পেতে বসে থাকে” এর দূ’টি অর্থ কি কি?

উত্তরঃ . এরা যেহেতু প্রবৃত্তির দাসে পরিণত হয়ে গেছে তাই সত্যের সাথে এদের কোন সম্পর্ক নেই২. এরা নবী সা. ও মুসলমানদের মজলিসে এসে বসে মিথ্যাচারের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য ৷

১৩২. “এবং যারা কখনো তোমার কাছে আসেনি তাদের জন্য আড়ি পেতে থাকে” এর দূ’টি অর্থ কি কি?

উত্তরঃ ১. এরা গোয়েন্দা হয়ে আসে২. এরা মিথ্যা দোষারোপ ও নিন্দা করার জন্য তথ্য সংগ্রহ করে বেড়ায়

১৩৩. “আল্লাহর কিতাবের শব্দাবলীর সঠিক স্থান নির্ধারিত হওয়া সত্ত্বেও যারা সেগুলোকে তাদের আসল অর্থ থেকে বিকৃত করে” এখানে অর্থ বিকৃত করা মানে কি?

উত্তরঃ অর্থাৎ তাওরাতের যেসব বিধান তদের মনমাফিক নয়, সেগুলোর মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে রদবদল করে এবং শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে সেখান থেকে নিজেদের ইচ্ছামাফিক বিধান তৈরী করে

১৩৪. “এসব লোকের অন্তরকে আল্লাহ পবিত্র করতে চাননি৷” কিন্তু কেন? ব্যাখ্যা করুন।

উত্তরঃ কারণ তারা নিজেরাই পবিত্র হতে চায়নি ৷ যে নিজে পবিত্র হতে চায় এবং এ জন্য প্রচেষ্টা ও সাধানা করে তাতে পবিত্রতা থেকে বঞ্চিত করা আল্লাহর নীতি নয় ৷ যে নিজে পবিত্র হতে চায় না আল্লাহ তাকে পবিত্র করতে চান না

১৩৫. “এর মিথ্যা শ্রবণকারী ও হারাম আহারকারী” এরা কারা?

উত্তরঃ সে সব মুফতী ও বিচারপতি, যারা মিথ্যা সাক্ষ্য নিয়ে ও মিথ্যা বিবরণ শুনে এমন সব লোকদের পক্ষে ইনসাফ ও ন্যায়নীতি বিরোধী ফায়সালা করতো যাদের কাছ থেকে তারা ঘুষ নিতো অথবা যাদের সাথে তাদের অবৈধ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট থাকতো

১৩৬. তাওরাতের বিধান অনুযায়ী একজন মহিলা ও একজন পুরুষের অবৈধ সম্পর্কের শাস্তি কি?

উত্তরঃ 'রজম' বা উভয়কে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা

১৩৭. খয়বরের সম্ভ্রান্ত ইহুদী পরিবার সংক্রান্ত একটা মামলা ছিল। সেই মামলার অপরাধটা কি ছিল?

উত্তরঃ পরিবারগুলোর এক মহিলার সাথে এক পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছিল

১৩৮. নবী সা. এর সময়ে মদীনায় তাওরাতের সবচেয়ে বড় আলেম কি ছিলেন?

উত্তরঃ ইবনে সূরিয়া।

১৩৯. “আমি তোমাকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি যিনি তোমাদের বাঁচিয়েছিলেন ফেরাউনের কবল থেকে এবং তুর পাহাড়ে তোমাদের শরীয়াত দান করেছিলেন, সত্যিই কি তাওরাতে ব্যভিচারের জন্য এ শাস্তির বিধান আছে? ” এই প্রশ্ন কে কাকে করেছিলেন?

উত্তরঃ রাসূল সা. তাওরাতের আলেম ইবনে সুরাইয়াকে করেছিলেন।

১৪০. “আমি তোমাকে সেই আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি যিনি তোমাদের বাঁচিয়েছিলেন ফেরাউনের কবল থেকে এবং তুর পাহাড়ে তোমাদের শরীয়াত দান করেছিলেন, সত্যিই কি তাওরাতে ব্যভিচারের জন্য এ শাস্তির বিধান আছে?” রাসূল সা. এর এই প্রশ্নের জবাববে ইবনে সূরিয়া কি বলেছিলেন?

উত্তরঃ "আপনি আমাকে এ ধরনের কঠিন কসম না দিলে আমি বলতাম না ৷ প্রকৃতপক্ষে রজমই ব্যভিচারের শাস্তি

১৪১. রব্বানী ও আহবার অর্থ কি?

উত্তরঃ রব্বানী মানে আলেম এবং আহবার মানে ফকীহ

১৪২. প্রাণের বদলে প্রাণ, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান, দাঁতের বদলে দাঁত এবং সব রকমের যখমের জন্য সমপর্যায়ের বদলা-এই বিধান কোন আসমানী কিতাবে কাদের জন্য লিখা হয়েছিল?

উত্তরঃ তাওরাতে ইহুদীদের জন্য।

১৪৩. কুরআনে হাকীমের বর্ণনা অনুযায়ী যারা আল্লাহর নাযিল করা আইন অনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারা কি?

উত্তরঃ জালেম, ফাসেক, কাফের।

১৪৪. “তারপর যে ব্যক্তি ঐ শাস্তি সাদকা করে দেবে তা তার জন্য কাফ্‌ফারায় পরিণত হবে” এখানে সাদাকা কিভাবে হবে?

উত্তরঃ যে ব্যক্তি সাদকার নিয়তে কিসাস মাফ করে দেবে তার জন্য এ নেকীটি তার অনেক গোনাহর কাফফারায় পরিণত হবে

১৪৫. তাওরাতের সত্যতা প্রমাণকারী কে ছিলেন? ইনজিলে কি ছিল?

উত্তরঃ সত্যতা প্রমাণকারীঃ হযরত ঈসা আ. আর ইনজিলে ছিলঃ পথনির্দেশ ও আলো এবং তাও তাওরাতের মধ্যে থেকে যা কিছু সে সময় বর্তমান ছিল তার সত্যতা প্রমাণকারী

১৪৬. ঈসা আ. নতুন দীন নিয়ে আসেননি। তাহলে তার দীন কি ছিল?

উত্তরঃ ইতিপূর্বেকার বিভিন্ন পয়গাম্বরদের দীনই ছিল ঈসা আ. এর দীন।

১৪৭. রক্ত যদি হারাম হয়, তাহলে গোশত পাক ও হালাল হাবার জন্য অপরিহার্য বিষয় কি?

উত্তরঃ গোশতকে পুরোপুরি রক্তশূন্য করা।

১৪৮. কুরআনে হাকীমের বর্ণনা অনুযায়ী যারা আল্লাহর নাযিল করা আইন অনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারা কাফের-জালেম-ফাসেক। এই সংক্রান্ত আয়াত গুলো বনী ইসাঈলদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। হযরত হুযাইফা রা. কে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি কি জবাব দিয়েছিলেন?

উত্তরঃ "এ বনী ইসরাঈল গোষ্ঠী তোমাদের কেমন চমৎকার ভাই, তিতোগুলো সব তাদের জন্য আর মিঠাগুলো সব তোমাদের জন্য! কখনো নয়, আল্লাহর কসম তাদেরই পথে তোমরা কদম মিলিয়ে চলবে"

১৪৯. "মুহাইমিন" শব্দটি আরবীতে কি কি অর্থে ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ দেখাশুনা, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, সাক্ষ দান, আমানতদারী, সহায়তা দান ও সমর্থন করা  ইত্যাদি অর্থে।

১৫০. বিভিন্ন নবীর শরীযাতের মধ্যে আল্লাহ যে পার্থক্য সৃষ্টি করেছেন তার পেছনে বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি বড় কারণ কি?

উত্তরঃ এভাবে আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করতে চাচ্ছিলেন

১৫১. ইসলাম হচ্ছে পুরোপুরি জ্ঞানে পথ। ইসলাম থেকে ভিন্নধর্মী যে কোন পথের নাম কি?

উত্তরঃ জাহেলিয়াতের পথ।

১৫২. আরবের ইসলাম পূর্ব যুগকে কি যুগ বলা হয়? কেন বলা হয়?

উত্তরঃ জাহেলিয়াতের যুগ বলা হয়। কারণ সে যুগে জ্ঞান ছাড়াই নিছক ধারণা, কল্পনা, আন্দাজ, অনুমান বা মানসিক কামনা বাসনার ভিত্তিতে মানুষেরা নিজেদের জন্য জীবনের পথ তৈরী করে নিয়েছিল

১৫৩. “তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর যদি তোমাদের মধ্য থেকে কেউ তাদেরকে বন্ধু হিসেবে পরিগণিত করে, তাহলে সেও তাদের মধ্যেই গণ্য হবে।” ওরা কারা, যারা পরস্পরে পরস্পরের বন্ধু?

উত্তরঃ ইহুদী ও খৃষ্টানেরা।

১৫৪. যাদের অন্তরে মোনাফেকীর রোগ আছে, তারা কি বলে?

উত্তরঃ তারা বলে, আমাদের ভয় হয়, আমরা কোন বিপদের কবলে না পড়ে যাই।

১৫৫. মুসলমানদের মধ্যে কিছু লোক ছিল, যারা ইসলামী দলের মধ্যে থেকেও ইহুদী ও খৃষ্টানদের সাথেও সম্পর্ক রাখতো। তারা কারা?

উত্তরঃ মুনাফিক।

১৫৬. মুনাফিকরা ভাবতো, ইসলাম ও কুফরের এ দ্বন্দ্বে যদি ইসলামের পরাজয় ঘটে যায় তাহলে তাদের জন্য যেন কোন একটা আশ্রয় স্থল অবশিষ্ট থাকেআরো একটা কারণে তারা ইহুদী ও খৃষ্টানদের সাথে সম্পর্ক রাখতো, সেই কারণটি কোন ধরণের কারণ ছিল?

উত্তরঃ অর্থনৈতিক কারণ।

১৫৭. ইসলামের ব্যাপারে তাদের মনে আন্তরিকতা ও একনিষ্ঠতা ছিল না এবং তারা সবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে একমাত্র আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে একমাত্র তারই অনুগত বান্দায় পরিণত হয়ে যায়নি-এই কারণে কি কি নষ্ঠ হয়ে যায়?

উত্তরঃ নামায, রোযা, যাকাত, জিহাদে শরীক হওয়া, ইসলামী আইনের আনুগত্য করা।

১৫৮. যাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন এবং তারা আল্লাহকে ভালবাসবে তাদের টি গুণ কি কি?

উত্তরঃ ১. মুমিনদের ব্যাপারে কোমল  ২. কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর হবে ৩. আল্লাহর পথে প্রচেষ্টা ও সাধনা করে যাবে ৪. কোন নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেনা

১৫৯. 'মুমিনদের ব্যাপারে কোমল' হবার মানে কি?

উত্তরঃ ঈমানদারদের মোকাবিলায় কখনো শক্তি প্রয়োগ করবে না

১৬০. 'কাফেরদের ব্যাপারে কঠোর' হবার মানে কি?

উত্তরঃ নিজের মজবুদ ঈমান, নিস্বার্থ ও একনিষ্ঠ দীনদারী, অনমনীয় নীতিবাদিতা, চারিত্রিক শক্তি ও ঈমানী দূরদৃষ্টির কারণে একজন মুমিন ইসলাম বিরোধীদের মোকাবিলায় পাহাড়ের মতো অটল হবে

১৬১. যে সকল ঈমানদাররা বন্ধু হতে পারে, তাদের মাঝে কয়টি বৈশিষ্ট থাকবে এবং তা কি কি?

উত্তরঃ ৩টি। ১. নামায কায়েমকারী। ২. যাকাত আদায়কারী। ৩. আল্লাহর সামনে বিনত।

১৬২. মুমিনদের বন্ধু কে কে?

উত্তরঃ আল্লাহ, তার রাসূল এবং ঐ ঈমানদার যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহর সামনে বিনত।

১৬৩. যে আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মুমিনদের নিজের বন্ধু রূপে গ্রহণ করে, তার কি জেনে রাখা দরকার?

উত্তরঃ আল্লাহর দলই বিজয়ী হবে।

১৬৪. যেসব লোক দীনকে বিদ্রুপ ও হাসি–তামাশার বস্তুতে পরিণত করেছে তারা এবং অন্যান্য কাফেরদের ব্যাপারে ঈমানদারদের জন্য নির্দেশ কি?

উত্তরঃ তাদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না।

১৬৫. যখন নামাযের জন্য ডাকা হয়, তখন এর প্রতি বিদ্রূপবান নিক্ষেপ করে, টিটকারী ও তামাশা করে কি কারণে?

উত্তরঃ কারণ তাদের জ্ঞান নাই।

১৬৬. “যখন তোমরা নামাযের জন্য ডাক দাও তখন তারা এর প্রতি বিদ্রূপবান নিক্ষেপ করে” এই বিদ্রূপ করে কিভাবে?

উত্তরঃ আযানের আওয়াজ শুনে তা নকল করতে থাকে ৷ ঠাট্টা-তামাশা ও বিদ্রূপ করার জন্য তার শব্দ বদল ও বিকৃত করে এবং তা নিয়ে টিটকারী দেয় ও ভেংচি কাটে

১৬৭. আমরা আল্লাহর ওপর এবং দীনের সে শিক্ষার ওপর ঈমান এনেছি যা আমাদের প্রতি নাযিল হয়েছে এবং আমাদের আগেও নাযিল হয়েছিল-এই ঈমান আনাটা একদল মানুষের ক্রোধের কারণ। ওরা কারা?

উত্তরঃ আহলে কিতাব।

১৬৮. সাওয়া-উস-সাবীল অর্থ কি?

উত্তরঃ সরল সঠিক পথ।

১৬৯. ইহুদী কওমরে বহু লোকের চেহারা বিকৃত হয়েছে কোন অপরাধে?

উত্তরঃ শনিবারের আইন ভাঙার কারণে।

১৭০. “তারা আরো নিকৃষ্ট এবং তারা সাওয়া-উস-সাবীল- (সরল সঠিক পথ) থেকে বিচ্যুত হয়ে অনেক দূরে সরে গেছে” করা সরল সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত?

উত্তরঃ ইহুদীরা।

১৭১. যারা কুফর নিয়ে এসেছিল এবং কুফর নিয়েই ফিরে গেছে, তারা যখন ঈমানদারকে কাছে আসে তখন কি বলে?

উত্তরঃ তারা বলে, আমরা ঈমান এনেছি।

১৭২. আরবী প্রবাদ অনুযায়ী কারো হাত বাঁধা মানে কি বুঝায়?

উত্তরঃ সে কৃপণ।

১৭৩. ইহুদীদরা বলে, আল্লাহর হাত বাঁধা-এখানে হাত বাঁধা অর্থ তারা কি বুঝায়? আল্লাহর হাত রশি দিয়ে বাঁধা না অন্য কোন অর্থ? অন্য অর্থ হলে তা কি?

উত্তরঃ আল্লাহ কৃপণ।

১৭৪. “তাদেরকে পৌঁছিয়ে দিতাম নিয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাতে” কাদেরকে কোন কাজ করলে জান্নাতে পৌঁছে দেয়া হবে?

উত্তরঃ আহলে কিতাব গোষ্ঠী। যদি তারা ঈমান আনে, আল্লাহ ভীতির পথ অবলম্বন করে।

১৭৫. উপর থেকে রিযিক বর্ষিত  হতো এবং নীচে থেকে রিযিক উত্থিত হতো কোন কাজ করলে?

উত্তরঃ তাওরাত, ইনজিল ও অন্যান্য কিতাব গুলো প্রতিষ্ঠিত করলে।

১৭৬. আল্লাহর এমন নির্দেশ, যা না করলে রাসূলের জন্য তার রিসালাতের হক আদায় হয়না। সেই নির্দেশটি কি?

উত্তরঃ হে রসূল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে যা কিছু নাযিল করা হয়েছে তা মানুষের কাছে পৌঁছাও

১৭৭. বনী ইসরাইলরা  রাসূলদের কাউকে মিথ্যুক বলেছে আর কাউকে হত্যা করেছে কখন?

উত্তরঃ যখন রাসূল তাদের প্রবৃত্তির কামান-বাসনা বিরোধী কিছু নিয়ে হাজির হয়েছেন।

১৭৮. কার উপর আল্লাহ জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন?

উত্তরঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করেছে।

১৭৯. যারা বলেছে, মারয়াম পুত্র মসহীই আল্লাহ-তারা কি করেছে?

উত্তরঃ কুফরী করেছে।

১৮০. যারা বলেছে, আল্লাহ তিন জনের মধ্যে একজন-তারা কি করেছে?

উত্তরঃ কুফরী করেছে।

১৮১. কাদের চিন্তধারায় প্রভাবিত হয়ে খৃষ্টানরা সেই সিরাতে মুস্তাকীম-সরল সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছিল?

উত্তরঃ গ্রীক দার্শনিকদের

১৮২. "প্রথম তিনটি ইনজীল গ্রন্থের নাম কি কি?

উত্তরঃ মথি, মার্ক ও লুক

১৮৩. বনী ইসরাঈল জাতির মধ্য থেকে যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করেছে, তাদের উপর অভিসম্পাত করা হয়েছে দুইজন নবীর মুখ দিয়ে। তারা কারা?

উত্তরঃ দাউদ আ. ও ঈসা আ.

১৮৪. প্রত্যেক জাতির বিকৃতি শুরু হয় কোথা থেকে?

উত্তরঃ কয়েক ব্যক্তি থেকে।

১৮৫. সাধারণ জনমত বিপথগামী লোকদের দমিয়ে রাখে কোন অবস্থায়?

উত্তরঃ জাতির সামগ্রিক বিবেক জাগ্রত থাকলে।

১৮৬. কোন ধরণের লোকের অধিকাংশ আল্লাহর আনুগত্য ত্যাগ করেছে?

উত্তরঃ যারা কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে।

১৮৭. কোন কাজ করলে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতো না?

উত্তরঃ আল্লাহ, নবী এবং নবীর ওপর যা নাযিল হয়েছিল তা মেনে নিলে।

১৮৮. ঈমানদারদের সাথে শত্রুতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী উগ্র কারা?

উত্তরঃ ইহুদী ও মুশরিকরা।

১৮৯. যারা রাসূলের উপর যে কালাম নাযিল হয়েছে সেই কালাম শুনে, সত্যকে চিনতে পারার কারণে তাদের চোঁখ কি হয়ে উঠে?

উত্তরঃ অশ্রুসজল হয়ে উঠে।

১৯০. যারা রাসূলের উপর যে কালাম নাযিল হয়েছে সেই কালাম শুনে, সত্যকে চিনতে পারার কারণে তারা কি বলে উঠে?

উত্তরঃ হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি, সাক্ষদাতাদের মধ্যে আমাদের নাম লিখে নাও

১৯১. যারা আল্লাহর আয়াত মানতে অস্বীকার করেছে ও সে গুলোকে মিথ্যা বলেছে, তাদের পরিণাম কি?

উত্তরঃ তারা জান্নাতের অধিবাসী হবে।

১৯২. “খৃষ্টীয় সন্যাসী, হিন্দু যোগী, বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ইশরাকী তাসাউফ পন্থীদের মতো বৈরাগ্য, সংসার বিমুখতা ও দনিয়ার বৈধ স্বাধ আস্বাদন পরিহার করার পদ্ধতি অবলম্বন করো না” কুরআনের কোন আয়াতের ব্যাখ্যায় একথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ “হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহ তোমাদের জন্য যেসব পবিত্র জিনিস হালাল করেছেন সেগুলো হারাম করে নিয়ো না” (সূরা আল মাযিদাঃ ৮৭) ﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُحَرِّمُوا طَيِّبَاتِ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكُمْ﴾

১৯৩. ধর্মীয় মানসিকতার অধিকারী সৎস্বভাব সম্পন্ন লোকদের মধ্যে সাধারণভাবে এ প্রবণতা দেখা গেছে যে, শরীর ও প্রবৃত্তির অধিকার আদায় ও চাহিদা পূরণ করাকে কিসের অন্তরায় মনে করেন?

উত্তরঃ আধ্যাত্মিক উন্নতির অন্তরায়

১৯৪. স্বামী তিন রাত ইচ্ছামতো ইবাদাত করতে পারেন কিন্তু চতুর্থ রাতে অবশ্যি স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে-এই ফায়সালাটি কার?

উত্তরঃ কা’ব ইবনে সাওরুল আযদির।

১৯৫. একজন মহিলার স্বামী ধারাবাহিক ভাবে সারাদিন রোযা রাখা ও রাতের বেলা ইবাদতে মগ্ন থেকে স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক না রাখার কারণে স্ত্রী কর্তৃক হযরত উমর রা. এর বরাবরে অভিযুক্ত হলে মামলার নিষ্পত্তির জন্য হযরত উমর রা. কাকে নিযুক্ত করেন?

উত্তরঃ তাবেঈ বুযর্গ কা'ব ইবনে সাওরুল আযদিকে

১৯৬. সীমালংঘন করার অত্যন্ত ব্যাপক অর্থ ব্যাপক শব্দ। এর তিনটি পর্যায় কি কি?

উত্তরঃ ১. হালালকে হারাম করা। ২. পাক পবিত্র জিনিস অযথা ও অপ্রয়োজনে ব্যয় করা। ৩. হালালের সীমার পেরিয়ে হারামের সীমায় প্রবেশ করা।

১৯৭. কসম ভেঙে ফেলার কাফ্ফারা কি?

উত্তরঃ দশ জন মিসকিনকে এমন মধ্যম পর্যায়ের আহার দান করা, যা নিজেদের সন্তানদের খেতে দেওয়া হয়। অথবা দশজন মিসকিনকে কাপড় পরিধান করানো। অথবা একটি গোলামকে মুক্ত করে দেওয়া। এর তিনটি কোনটির সামর্থ না থাকলেঃ তিন দিন রোযা রাখা।

১৯৮. তোমরা যে সমস্ত অর্থহীন কসম খেয়ে ফেলো৷ সে সবের জন্য আল্লাহ তোমাদের পাকড়াও করেন নাতাহলে কোন ধরণের কসমের জন্য পাকড়াও করা হয়?

উত্তরঃ জেনে বুঝে যেসব কসম খাও

১৯৯. অনিচ্ছাকৃত ভাবে মুখ থেকে কসম শব্দ বের হয়ে গেলে তার বিধান কি?

উত্তরঃ তা পূর্ণ করার কোন প্রয়োজ নাই।

২০০. গোনাহের কাজে জেনে বুঝে কসম খেয়ে থাকলে তার বিধান কি?

উত্তরঃ কসম ভেঙে ফেলা ও কাফ্ফারা আদায় করা।

২০১. কোন কোন কাজকে ঘৃণ্য শয়তানী কাজ আখ্যায়িত করে কুরআন তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ প্রদান করেছে?

উত্তরঃ মদ, জুয়া, মূর্তি পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর সমূহ।

২০২. শর বা আযলাম এবং মাইসির বা জুয়া এর মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তরঃ শর বা 'আযলাম' বলা হয় এমন ধরনের ফাল গ্রহণ ও শর নিক্ষেপ করাকে যার সাথে মুশরিকী আকীদা-বিশ্বাস ও কুসংস্কার জড়িত থাকেআর

'মাইসির' বা জুয়া শব্দটি এমন সব খেলা ও কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় যেখানে আকস্মিক ঘটনাকে অর্থোপার্জন, ভাগ্য পরীক্ষা এবং অর্থ ও দ্রব্যসামগ্রী বন্টনের মাধ্যমে পরিণত করা হয়

২০৩. "যিনি একে হারাম করেছেন তিনি একে তোহফা হিসেবে দিতেও নিষেধ করেছেন ৷" এই বক্তব্য কোন জিনিসের হারাম হওয়ার সাথে সম্পর্কিত?

উত্তরঃ মদ।

২০৪. কোন জিনিস ঔষধ নয় বরং রোগ?

উত্তরঃ মদ।

২০৫. "তারা না মানলে তাদের সাথে যুদ্ধ করো ৷" কোন জিনিস না মানলে যুদ্ধ করতে আল্লাহর রাসূল সা. নির্দেশ দিয়েছেন?

উত্তরঃ মদ হারাম হওয়া।

২০৬. কুরআনে মদ হারাম হওয়া বিষয়ে ৩টি নির্দেশ রয়েছে তিনটি আয়াতে সে আয়াত গুলো কোন সূরার কত নম্বর আয়াত?

উত্তরঃ . সূরা বাকারাঃ ২১৯, . সূরা আন নিসাঃ ৪৩ এবং ৩. সূরা আল মায়িদাঃ ৯০

২০৭. যাদের কাছে মদ আছে তাদের তা বিক্রি করে দেয়া উচিত-কখন রাসূল সা. এই নির্দেশনা প্রদান করেন?

উত্তরঃ মদ চূড়ান্ত ভাবে হারাম হওয়ার নির্দেশ আসার আগে।

২০৮. আল্লাহ লানত বর্ষণ করেছেন ৯টি জিনিসের উপর। তা কি কি?

উত্তরঃ (১) মদের ওপর, (২) মদ পানকারীর ওপর, (৩) মদ পরিবেশনকারীর ওপর, (৪) মদ বিক্রতার ওপর, (৫) মদ ক্রয়কারীর ওপর, (৬) মদ উৎপাদন ও শোধনকারীর ওপর, (৭) মদ উৎপাদন ও শোধনের ব্যবস্থাপকের ওপর, (৮) মদ বহনকারীর ওপর এবং (৯) মদ যার কাছে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় তার ওপর

২০৯. আল্লাহ লানত বর্ষণ করেছেন ৯টি জিনিসের উপর। সর্বশেষ তিনিটি কি কি?

উত্তরঃ (৭) মদ উৎপাদন ও শোধনের ব্যবস্থাপকের ওপর, (৮) মদ বহনকারীর ওপর এবং (৯) মদ যার কাছে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় তার ওপর

২১০. কোন ধরণের দস্তরখানে আহার করতে রাসূল সা. নিষেধ করেছেন?

উত্তরঃ যেকানে মদ পান করা হচ্ছে।

২১১. কিছু জিনিস-যা ব্যবহার করতে রাসূল সা. নিষেধ করেন। পরে মদ হারাম হবার হুকুমটি পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে ব্যবহারের অনুমতি দেন। কি জিনিস?

উত্তরঃ যেসব পাত্রে মদ তৈরী ও পান করা হতো।

২১২. খামর শব্দটি আরবী আংগুর থেকে তৈরী মদের জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পরোক্ষ অর্থে কোন কোন বস্তু থেকে উৎপাদিত মদকে খামর বলে?

উত্তরঃ গম, যব, কিসমিস, খেজুর ও মধু থেকে।

২১৩. রাসূল সা. এর কোন উক্তিকে নেশা সৃষ্টিকারী প্রত্যেকটি জিনিসকে হারাম সাবস্ত করে?

উত্তরঃ "প্রত্যেকটি নেশা সৃষ্টিকারী জিনিস মদ ও এবং প্রত্যেকটি নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু হারাম ৷" অথবা " যে কোন পানীয় নেশা সৃষ্টি করলে তাহা হারাম" অথবা " আর আমি প্রত্যেকটি নেশা সৃষ্টিকারী জিনিস ব্যবহার করতে নিষেধ করছি ৷"

২১৪. হযরত উমর রা. প্রদত্ত মদের সংগা কি?

উত্তরঃ "মদ বলতে এমন সব জিনিসকে বুঝায় যা বুদ্ধিকে বিকৃত করে ফেলে ৷"

২১৫. যে জিনিসের বেশী পরিমাণ নেশা সৃষ্টি করে তার সামান্য পরিমাণের ব্যাপারে শরীয়ার নির্দেশ কি?

উত্তরঃ সামান্য পরিমাণও হারাম।

২১৬. যদি কোন জিনিস সামান্য পরিমাণে পান করলে নেশা হয়না, বরং পুরো পাত্র পরিমাণ পান করলে নেশা হয়। সেই সব জিনিস সামান্য পরিমাণে পান করার ব্যাপারে শরীয়ার নির্দেশ কি?

উত্তরঃ "যে জিনিসের বড় এক পাত্র পরিমাণ পান করলে নেশা হয় তা ক্ষুদ্র পরিমাণ পান করাও হারাম ৷"

২১৬. ইসলামী শরীয়ায় মদ পানের শাস্তি কি?

উত্তরঃ ৮০টি বেত্রাঘাত (কোন কোন মতে ৪০টি বেত্রাঘাত। বিধায় ৮০ লিখলেও সঠিক, ৪০ লিখলেও সঠিক)

২১৭. হযরত ‍উমর রা. এর সময়ে তার হুকুমে পুরো একটি গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু কেন?

উত্তরঃ কারণ সেই গ্রামে গোপনে মদ উৎপাদন ও চোলাই করা হতো এবং মদ বেচাকেনার কারবারও সেখানে চলতো

২১৮. যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লংঘন করলো, তার পরিণাম কি?

উত্তরঃ তার জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।

২১৯. ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শিকারের ব্যাপারে ইসলামের বিধান কি?

উত্তরঃ ইহরাম বাঁধা অবস্থায় নিজে শিকার করা বা অন্যকে শিকারে সাহায্য করা উভয়টি নিষিদ্ধ

২২০. মুহরিম ব্যক্তির জন্য যদি শিকার করা হয়, তাহলে সেই শিকারের গোশত খাওয়ার বিধান কি?

উত্তরঃ মুহরিম ব্যক্তি তার জন্য শিকার করা বস্তুর গোশত খেতে পারবেনা।

২২১. মুহরিম ব্যক্তি কোন ধরণের পশু হত্যা করলে, তার কাফফারা হিসাবে কতজন মিসকিন খাওয়াবে বা কতটা রোযা রাখবে?

উত্তরঃ এই সংখ্যা নির্ধারণ করবেন দুইজন ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তি।

২২২. মুহরিম ব্যক্তি কোন ধরণের পশু হত্যা করলে, তার কাফ্ফারা কি?

উত্তরঃ সমপর্যায়ের গৃহপালিত প্রাণী নজরানা দেয়া, অথবা কয়েকজন মিসকিনকে খাওয়ানো, অথবা সে অনুপাতে রোযা রাখা।

২২৩. মুহরিমদের জন্য সামুদ্রিক প্রাণী শিকার করার বিধান কি?

উত্তরঃ হালাল।

২২৪. বাইতাল হারাম কি?

উত্তরঃ বাইতাল হারাম মানে কাবাঘর।

২২৫. মানুষের জন্য সমাজ জীবন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিণত করেছেন কোন জিনিসকে?

উত্তরঃ কাবা ঘরকে।

২২৬. রাসূলের উপর কেবলমাত্র কি দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে?

উত্তরঃ বাণী পৌঁছে দেবার দায়িত্ব।

২২৭. কুরআনের কোন আয়াতটি মূল্যবোধ ও মূল্যমানের মানদন্ড। আয়াতটির বাংলা অনুবাদ কি?

উত্তরঃ সূরা আল মায়িদা, আয়াত ১০০। অনুবাদঃ হে নবী ! এদেরকে বলে দাও, পবিত্র ও অপবিত্র সমান নয়, অপবিত্রের আধিক্য তোমাদের যতই চমৎকৃত করুক না কেন কাজেই হে বুদ্ধিমানেরা! আল্লাহর নাফরমানী করা থেকে দূরে থাকো আশা করা যায়, তোমরা সফলকাম হবে

২২৮. হজ্জ ফরয হওয়া সম্পর্কে জনৈক ব্যক্তির প্রশ্নঃ এ কি প্রত্যেক বছরে ফরয করা হয়েছে? রাসূল সা. এর জবাবে কি বললেন?

উত্তরঃ "তোমাদের প্রতি আপফসোস, আমার মুখ থেকে হাঁ শব্দ বের হয়ে গেলে তোমাদের জন্য প্রতি বছর হজ্জ করার ফরয হয়ে যাবে ৷ তখন তোমরাই তা মেনে চলতে পারবে না, ফলে নাফরমানি করতে থাকবে ৷"

২২৯. "মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে বড় অপরাধী কোন ব্যক্তি?

উত্তরঃ যে এমন একটি জিনিস সম্পর্কে প্রশ্ন করলো যা লোকদের জন্য হারাম ছিল না, অথচ নিছক তার প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসাবাদের কারণে সে জিনিসটি হারাম গণ্য করা হলো ৷"

২৩০. কোন ধরণের পশুকে বাহীরা বলা হয়?

উত্তরঃ এমন উষ্ট্রী, যে পাঁচবার শাবক প্রসব করেছে এবং শেষবারের শাবকটি হয়েছে 'নর'

২৩১. কোন ধরণের পশুকে সায়েবা বলা হয়?

উত্তরঃ এমন উট বা উষ্ট্রীয়, যাকে কোন মানত পুরো হবার, কোন রোগ থেকে মুক্তি লাভ করার অথবা কোন বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নিদর্শন স্বরূপ স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেয়া হতো৷ অথবা যে উট দশবার বাচ্চা প্রসব করেছে এবং প্রত্যেকটি বাচ্চা হয়েছে স্ত্রী জাতীয়৷

২৩২. কোন ধরণের পশুকে অসীলা বলা হয়?

উত্তরঃ ছাগলের একই সঙ্গে যদি পাঁঠা ও পাঁঠী বাচ্চা হতো তাহলে পাঁঠাটিকে যবেহ না করে দেবতাদের নামে ছেড়ে দেয়া হতো এবং তাকে বলা হতো অসীলা।

২৩৩. কোন ধরণের পশুকে হাম বলা হয়?

উত্তরঃ এমন উট যার পৌত্র সওয়ারী বহন করার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এমন বুড়ো উটটিকে স্বাধীন ছেড়ে দেয়া হতো। অথবা এমন উট, যার ঔরসে দশটি সন্তান জন্ম নেবার পর তাকেও স্বাধীন করে দেয়া হতো

২৩৪. যখন আহবান করা হয়ঃ এসো আল্লাহর নাযিল করা বিধানের দিকে, এসো রাসূলের দিকে। তখন তারা কি জবাব দেয়?

উত্তরঃ আমাদের বাপ-দাদাকে যে পথে পেয়েছি সে পথই আমাদের জন্য যথেষ্ট।

২৩৫. অমুক কি করছে, অমুকের আকীদার মধ্যে কি গলদ আছে এবং অমুকের কাজে কোন কোন ধরনের দোষ-ত্রুটি আছে, সবসময় এসব দেখার পরিবর্তে মানুষের কি দেখা উচিত?

উত্তরঃ দেখা উচিত, সে নিজে কি করছে ৷ তার নিজের চিন্তাধারার এবং নিজের চরিত্র ও কার্যাবলীর কথা চিন্তা করা উচিত সেগুলো যেন খারাপ ও বরবাদ না হয়ে যায়।

২৩৬. নিশ্চিতভাবে অন্য কোন ব্যক্তির গোমরাহী ও বক্র পথে চলা নিজের জন্য কোন ক্ষতির কারণ হতে পারে না-যদি চারটি কাজ করা হয়, তা কি ক?

উত্তরঃ ১. আল্লাহর আনুগত্য করতে থাকা। ২. আল্লাহ ও বান্দার যেসব অধিকার আরোপিত হয় সেগুলো আদায় করতে থাকা। ৩.  সততা ও সঠিক পথ অবলম্বন করার দাবী পূর্ণ করে যেতে থাকা। ৪. সৎকাজের আদেশ করা ও অসৎকাজ থেকে বিরত রাখা।

২৩৭. মৃত্যু কালীন সময়ে অসিয়তের জন্য দুইজন ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিকে সাক্ষী করতে হয়। ন্যায়নিষ্ঠ মানে কি?

উত্তরঃ দীনদার, সত্যনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য।

২৩৮. মুসলমানদের ব্যাপারে অমুসলিমদেরকে কখন সাক্ষী হিসাবে গ্রহণ করা যাবে?

উত্তরঃ যখন কোন মুসলমান সাক্ষী পাওয়া যাবে না।

২৩৯. দোলনা থেকে লোকদের সাথে কথা বলেছিলেন কে? তিনি কার পুত্র?

উত্তরঃ ঈসা আ. মারিয়াম পুত্র।

২৪০. আল্লাহ কিতাব, হিকমাত, তাওরাত ও ইনজিলের শিক্ষা দিয়েছিলেন কাকে?

উত্তরঃ ঈসা আ.কে।

২৪১. জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে ভাল করার ক্ষমতা কাকে দেয়া হয়েছিল?

উত্তরঃ ঈসা আ.কে।

২৪২. আমরা ঈমান আনলাম এবং সাক্ষী থাকো আমরা মুসলমান-এই বক্তব্যটি কাদের?

উত্তরঃ হাওয়ারীদের।

২৪৩. হাওয়ারীদের আসল ধর্ম কি ছিল? কোনটা হাওয়ারীদের ধর্ম ছিল না?

উত্তরঃ আসল ধর্মঃ ইসলাম। হাওয়ারীদের ধর্ম ছিলনাঃ খৃষ্টবাদ।

২৪৪. হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের যেসব শাগরিদ তাঁর কাছ থেকে সরাসরি দীক্ষা লাভ করেছিলেন তারা হযরত মসীহকে কি মনে করতেন?

উত্তরঃ একজন মানুষ এবং নিছক আল্লাহর একজন বান্দা মনে করতেন।

২৪৫. “হে আমাদের রব ! আমাদের ওপর আকাশ থেকে একটি খাদ্য ভরা খাঞ্চা নাযিল করো, যা আমাদের জন্য এবং আমাদের আগের-পিছের সবার জন্য আনন্দের উপলক্ষ হিসেবে গণ্য হবে এবং তোমার পক্ষ থেকে হবে একটি নিদর্শন” কে এই দোয়া করেছিলেন?

উত্তরঃ হযরত ঈসা ইবনে মারয়াম আ.

২৪৬. মারয়াম আ.এর জন্য ইসকানদারিয়ার কিছু খৃষ্টান পন্ডিত সর্বপ্রথম কি শব্দ ব্যবহার শুরু করেন?

উত্তরঃ 'উম্মুল্লাহ' বা 'আল্লাহর মাতা'

২৪৭. রোমের প্রখ্যাত সেনাপতি নারসিস কোন সম্রাটের সেনাপতি ছিলেন?

উত্তরঃ জাস্টিনিন।

২৪৮. রাসূল সা. এর সমকালীন রোম সম্রাট কে ছিলেন?

উত্তরঃ হিরাকেল।



Post a Comment

0 Comments