মুহাম্মদ নজরুল ইসলামঃঃ সুজাউল আলিয়া
মাদ্রাসা থেকে প্রায় ৮০ জন ছাত্র ইতিমধ্যে গাংকুল মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি
হয়েছেন। আমিও সেখানে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমার আব্বা জনাব আব্দুল
ওয়াহিদ গ্রাম সরকার চান্দগ্রাম আনোয়ারুল উলুম আলিয়া মাদ্রাসার ম্যানেজিং
কমিটির সদস্য হওয়াতে বাধ্য হলাম চান্দগ্রাম মাদ্রাসায় নতুন শুরু হওয়া
আলিম শ্রেণীতে ভর্তি হতে।
ইতিপূর্বে
সুজাউল আলিয়া মাদ্রাসায় ৩ বছর অধ্যয়নের ফলে সেখানকার শিক্ষা
প্রদান পদ্ধতি
এবং সেখানকার শিক্ষকদের দৈনন্দিন পাঠ প্রস্তুতি সম্পর্কে
একটা ভাললাগা
তৈরী হয়েছিল। সুজাউল মাদ্রাসার শিক্ষকদের প্রায় সবাই জামায়াতে ইসলামীর
সমর্থক হলেও একজনও সক্রিয় ছিলেন না বা কর্মী বা রুকন ছিলেন না। তাদের
সকলের একটাই নেশা ছিল-ছাত্রদের পাঠ বুঝিয়ে দেয়া। তারা রীতিমতো আগামী দিনের
ক্লাশের বিষয়বস্তু পূর্বরাতে পড়াশুনা করে আসতেন এবং ছাত্রদের পক্ষ থেকে
আসা সম্ভাব্য সকল প্রশ্নের উত্তর রেডি করে আসতেন। সুজাউল আলিয়া মাদ্রাসায়
ক্লাশের শেষ পর্যায়ে ছাত্রদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা এক ধরণের
বাধ্যতামূলক রেওয়াজ
ছিল। যার কারণে ছাত্র-শিক্ষকদের মাঝে একটি ঈর্ষনীয়
বন্ধন ছিল। চান্দগ্রাম
মাদ্রাসায় এসে এই বিষয়টা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত পেলেও সুজাউল
মাদ্রাসার
অভ্যাসে আমি ছিলাম অভ্যস্ত।
ছাত্রজীবনে
খুব মেধাবী ছাত্র কখনোই ছিলাম না। সব সময় রুল নম্বর ৩ অথবা ৪ থাকতো। তবে আমার হাতের
লেখা যে খুব সুন্দর এটা ছাত্র জীবন কর্মজীবন এমন কি শশুরবাড়ীর তরফ থেকেও
বারবার শুনার পর প্রবাসী জীবনেও হাজার বার শুনেছি।
চান্দগ্রাম
মাদ্রাসার শিক্ষক যারা আলিম শ্রেণীতে পড়াতেন, তাদের মাঝে
কেবলমাত্র
মাওলানা ফয়জুর রাহমান মুড়াউলী হুজুর এবং মাওলানা মকবুল হোসাঈন বাহাদুরপুরী
ছাড়া আর কেহই এই শ্রেণীতে পড়ানোর মতো যোগ্যতা ছিলনা।
পূর্বে
যে জালাল সিদ্দিকী সাহেবের কথা উল্লেখ করেছি (তিনি নাকি এখন
আমেরিকাতে একটা মসজিদের ইমাম) সেই জালাল সিদ্দিকী সাহেব ওয়াজে যতই
এক্সপার্ট হোন না কেন, বাস্তব জীবনে কিতাবী ইলিমে অত্যন্ত দূর্বল ছিলেন। ক্লাশে
ওয়াজ নসিহত করে সময় পার করার চেষ্টাতে আমি যখন বাঁধা হয়ে গেলাম,
কখন প্রায় সকল
শিক্ষকই মন থেকে চাচ্ছিলেন আলিম ক্লাশটা যেন বন্ধ হয়ে যায়।
আমার
সহপাটি যারা ছিলেন, তাদের মাঝে চান্দগ্রামের আশরাফ আলী ব্যক্তিগত জীবনে খুবই
মেধাবী ছিলেন। আর তারাদরমের ফখরুল ইসলাম মামু-যিনি খুব ভাল ছাত্র ছিলেন না।
তারা কেহই কথা বলে উস্তাদের বিরাগবাজন হওয়া বা বিয়াদব ডিগ্রী নেয়ার
পক্ষপাতি ছিলেন না। অবশেষে এক সময়ে চান্দগ্রাম মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণীর
কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আমি ভর্তি হই পাথারিয়া গাংকুল মনসুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায়।
গাংকুল মাদ্রাসাতে
আমার জীবনে মাত্র ২দিন যাওয়া হয়েছিল। সবশেষে যে দিন গিয়েছিলাম,
সেদিন ছিলাম আমি
সুজাউল মাদ্রাসার ছাত্র। সুজাউল মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস পদে
চাকুরী করতেন
জনাব মাওলানা আব্দুশ শাকুর। আর তিনি লজিং থাকতেন মুড়াউল
এলাকাতে। আর
আমিও লজিং থাকতাম মুড়াউল এলাকাতে। আমি নিম্ন ক্লাশের ছাত্র
হওয়াতে উনি
আমাদেরকে কোন ক্লাশ নিতেন না। কিন্তু এক এলাকায় লজিং থাকার
কারণে উনার আদর
ভালবাসা পেতাম সীমাহীন। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি আমাকে “লংকা
পুড়া”
বলে ডাকতেন।
উল্লেখ্য যে, সিলেট এলাকায় লংকাপুড়া নামে একটি ছোট্ট মরিচ
আছে, যা
খুবই ঝাল।
সেই
মাওলানা আব্দুশ শাকুর সাহেব গাংকুল মাদ্রাসায়
প্রিন্সিপালের
চাকুরী নিলেন। তাকে গাংকুল পর্যন্ত পৌছাতে অনেক ছাত্রের সাথে
আমিও লাতুর
ট্রেনে সওয়ার হয়ে গাংকুল মাদ্রাসায় হাজির হয়েছিলাম। এখনো মনে
আছে,
যারা তাকে
গাংকুল পৌছিয়ে দিয়ে ছিলাম, তাদেরকে তিনি নাস্তা করার জন্য
টাকা দিয়েছিলন।
যা দিয়ে আমরা ফিরতি ট্রেনে মুড়াউল নেমে মুড়াউল বাজারে জনাব
আজির উদ্দিনের
হোটেলে ব্রেড (তদানিন্তন সময়ের লুফ) ও দুধ দিয়ে নাস্তা
করেছিলাম। সে
সময়ে লুফ প্লেটে নিয়ে তার উপর চিনি দিয়ে তা দুধ দিয়ে বিজিয়ে
চামচ দিয়ে কেটে
কেটে খাওয়া সাংঘাতিক মজাদার নাস্তা ছিল।
প্রথমবার
আমি গাংকুল মাদ্রাসায় যখন যাই, তখন আমি গাংকুল নামক জায়গাটার সাথে নতুন
পরিচিত। মূলতঃ তখন আমি চান্দগ্রাম মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র। আমি মাদ্রাসা
থেকে চলে আসি বিয়ানী বাজারের পাতন এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার জন্য।
সেখানে জনাব ফুলতলী সাহেব প্রধান অতিথি হিসাব আসার কথা। তখনকার মন চাচ্ছিল
ওয়াজ মাহফিলে হাজির হয়ে ফূলতলী সাহেবের সামনে রুমাল ধরে তাওবা করবো। বাড়ীতে
আসার পর আমার আব্বা বললেন, তিনিও নাকি ওয়াজে যাবেন। তাই উনার সাথে যাওয়াই
শ্রেয় মনে করলাম। কারণ আব্বার সাথে গেলে ওয়াজ মাহফিলে আসা ভাল ভাল খাবার
পাওয়া যাবে। আব্বার সাথে চান্দগ্রাম বাজারে এসে বাসে উঠলাম। বাসে বলতে
সাধারণ বাসে নয়, একদম ড্রাইভারের পাশের সিটে। সেই সময়ে বাসে আপার-লয়ার,
সাধারণ ইত্যাদি
সিট ছিল। ড্রাইভিং সিটে বসা আমার জীবনে এটাই
প্রথম। মনে কত
আনন্দ। কোথায় ওয়াজ। মনে হচ্ছিল, সারা দিন যেন বাসের মধ্যে থাকি।
বাস চলা শুরু করলো। বাস পাতন এলাকায় না গিয়ে পৌছলো বড়লেখা হয়ে রতুলীতে।
সেখানে গাংকুল মাদ্রাসা। সেই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নজাবত আলী।
সেখানের ওয়াজ মাহফিলের আজকের প্রধান অতিথি জনাব মাওলানা কামাল উদ্দিন জাফরী।
চতূর্থ
শ্রেণীর ছাত্র হিসাবে কামাল উদ্দিন জাফরীর নাম কখনো শুনিনি। আমাদের শুনা
বড় বড় মাওলানা বলতে তখন ছিলেন, জনাব আব্দুল লতিফ ফুলতলী,
হাবীবুর রাহমান
ইছামতি, ক্বারী গিয়াস উদ্দিন কোনাগ্রামী,
রমিজ উদ্দিন
ভোট্রো, আব্দুল কুদ্দুস নুরী গং। কামাল উদ্দিন জাফরী গাংকুল মাদ্রাসায়
আসার ব্যাপারে একটি বিরাট কাহিনী আছে,
যা আমি বড় হয়ে
জানতে পারলাম। ওয়াজ মাহফিলে একটা বড় হাঙ্গামা হয়েছিল আমি কেবল এটাই
মনে ছিল। কিন্তু কেন হাঙামা হয়েছিল, তা আমার মনে নেই। আমি মনে করতাম যে,
কামাল উদ্দিন
জাফরীর যে ওয়াজ মুখস্ত করে এসেছিলেন, তা ভূলে যাওয়াতে দ্বিতীয় ওয়াজ শুরু
করেছিলেন। কিন্তু সেই ওয়াজও তার ভাল মুখস্ত ছিল না। আমি দেখলাম জোহরের পর
কামাল উদ্দিন জাফরী মঞ্চে উঠলেন, ওয়াজ শুরু করলেন,
কিছুক্ষণ পর
মুনাজাত করে ফেললেন। এর পর আবার শুরু করলেন। এর পর হাঙামা হলো। আমি
বুঝলাম উনি প্রথম ওয়াজটা ভূলে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ওয়াজ শুরু করে তাও
ভূলে যাওয়াতে উপস্থিতি বিরক্ত হয়ে হাঙামা করেছে।
চতূর্থ
শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্র যেমন ভাবার ক্ষমতা রাখে
তেমনই ভাবলাম। বড়
হয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানলাম। ঘটনাটা ছিল এমনঃ গাংকুল মাদ্রাসার একজন বড় ডোনার-যার
নাম ছাই হাজি বা ছখই হাজি হবে। বড়থল এলাকায় যার বাড়ী। তার এক
ছেলে পড়তো
নরসিংদী জামেয়া কাসেমীয়াতে। যেই সুবাদে হাজি সাহেব ছিলেন কামাল উদ্দিন
জাফরী সাহেবের মুরিদ। তিনি প্রস্তাব করলেন কামাল উদ্দিন জাফরী সাহেবকে
যেন গাংকুল মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে মেহমান করা হয়।
তদানিন্তন সময়ে
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল নজাবত আলী সাহেবসহ প্রায় সকল শিক্ষক
ছিলেন অন্য
ঘরণার। তারা বিষয়টা না করতে পারছেন না হাজি সাহেব মাদ্রাসার
একজন ভাল ডোনার
হওয়ার কারণে, আবার রাজী হতে পারছেন না তাদের নিজস্ব
প্লাটফর্ম জাফরী
সাহেব বিরুধী হওয়ার কারণে।
অবশেষে
উনারা হাজি সাহেবের প্রস্তাব মেনে নিয়ে তাকে প্রধান অতিথি করতে সম্মত হলেন।
কিন্তু উনারা ভিতরে ভিতরে কামাল উদ্দিন জাফরীকে অপদস্ত করার নীল নকশা আঁকলেন।
উনাদের নীল নকশা ছিল, উনারা কামাল উদ্দিন জাফরী সাহেবের ওয়াজের ভূল ধরবেন। উনাদের
বিবেচনায় ছিল, কামাল উদ্দিন জাফরী সুন্দর ওয়াজ করেন বটে,
কিন্তু তিনি ভাল
আলেম নন। নীল নকশা বাস্তবায়নে কামাল উদ্দিন জাফরী সাহেব যখন ওয়াজ
শুরু করলেন, তখন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল সহ সকল শিক্ষক
মঞ্চের পাশে উঁত পেতে থাকলেন, কখন
কিভাবে কামাল
উদ্দিন জাফরী সাহেবের ভূল ধরা যায়। গতানুগতিক ধারা অনুযায়ী কামাল উদ্দিন জাফরী
সাহেব ওয়াজ শুরু করলেন। কিন্তু উনার নিজস্ব ধারা অনুযায়ী খুতবা শেষ করে
সংক্ষিপ্ত দরুদ পাঠ করে আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করতে সংক্ষিপ্ত
মুনাজাত করলেন। বিষয়টা উপস্থিত প্রিন্সিপাল ও শিক্ষক মন্ডলীর কাছে
কাংখিত ছিল না। আর আমি তখন একজন শিশু শ্রোতা হিসাবে মনে করেছিলাম উনি তার
মুখস্ত করা ওয়াজ ভূলে গিয়েছেন বলে মুনাজাত করে দ্বিতীয় ওয়াজ শুরু করেছেন। এর
পর উনি উনার মুল আলোচনা শুরু করলেন।
উনি
ওয়াজ করছেন কি বিষয়ে, তা কি আমার বুঝার বয়স আছে। পাশে মাদ্রাসার
প্রিন্সিপালসহ তার অনুগত শিক্ষক মন্ডলী বসে আছেন, এই বুঝি ভূল করে ফেললেন কামাল উদ্দিন
জাফরী-এমন হাবভাব। এক সময় বড়শীতে মাছের চিমটি কাটার খবর মিললো।
মাওলানা কামাল উদ্দিন জাফরী আরবী একটা শব্দের উল্লেখ করতে গিয়ে যে অর্থ বললেন,
উপস্থিত
প্রিন্সিপাল ও উঁত পেতে বসে থাকা শিক্ষকদের কাছে তা সঠিক বলে মনে হলনা। তারা সাথে
সাথে প্রতিবাদ করে উঠলেন। বললেন, মাওলানা সাহেবঃ এই শব্দটার এই অর্থ নয়।
একধাপ এগিয়ে তারা মিসবাহুল লুগাত (আরবী ভাষার একটি প্রসিদ্ধ অভিধান) বের করে
নিলেন। সাথে সাথে মাহফিলে আনাগোনা আর হাঙামার ভাব লক্ষ করা গেলো।
আমি
একজন শিশু শ্রেুাতা হিসাবে কিছুই বুঝে উঠলাম না। আমি মনে করলাম,
যে কামাল উদ্দিন জাফরী
প্রথম ওয়াজটা ভূলে গিয়েছিলেন, তিনি দ্বিতীয় ওয়াজটাও ভূলে গেলেন এইমাত্র।
কিন্তু বাস্তবে কি ঘটেছিল?
মাওলানা
কামাল উদ্দিন জাফরী অত্যন্ত দক্ষতা আর বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিস্থিতি
নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেলেন। তিনি বললেন, হুজুর যে অর্থ বললেন,
একটা অভিধানে এই
অর্থটাও আছে, যদি আপনি মিসবাহুল লুগাতের এই অধ্যায়ে খোঁজেন,
তাহলে সে উনার
সেই অর্থটা পাবেন। কিন্তু যদি আপনি আপনার জ্ঞানের পরিধিটাকে আরেকটু প্রশস্ত
করে আরো ৮/১০টি অভিধানের পাতা উল্টান, তাহলে এই শব্দের যে সব অর্থ পাবেন,
তাহলোঃ এই কথা বলে
তিনি বিভিন্ন অভিধানের উদৃতি দিতে থাকলেন। এক এক করে ১০/১২টি অভিধানের রেফারেন্স
দিয়ে তিনি থামলেন, যে সব অভিধানের নাম পর্যন্ত সেই সময়কার প্রিন্সিপাল
বা শিক্ষক মন্ডলীর কাছে ছিল অপরিচিত। মাওলানা কামাল উদ্দিন
জাফরীর মাত্র
একটি শব্দ সম্পর্কে এই ধরণের পান্ডিত্ত দেখে প্রিন্সিপাল আর
শিক্ষকমন্ডলী থ’
বনে গেলেন। আর
উপস্থিত শ্রোতা সাধারণ সবাই কামাল উদ্দিন জাফরীর জ্ঞানের গভীরতা দেখে উল্লসিত।
তারা আওয়াজ তুললেন, নারায়ে তাকবী————————–র।
এর
পর সময় গড়িয়ে গেছে, সময়ের পরিবর্তনে মাওলানা নজাবত আলী রিটায়ার্ড হয়েছেন,
বার্ধক্য জীবনে
ইনতিকাল করেছেন। আমরা ছাত্র জীবনে গাংকুল মাদ্রাসায়
পড়াকালীন সময়ে
উনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ নিতাম। বিশেষ করে কোন বিশেষ
প্রোগ্রাম হলে
বিশেষ কালেকশনের সময়ে আমরা উনা থেকে চাঁদা সংগ্রহের জন্য
উনার বাড়ী
ফেনাগুলে হাজির হতাম। তিনি সব সময় আওয়ামীলীগের সমর্থক একজন
মাওলানা ছিলেন,
যিনি ভোট
সেন্টারে গিয়ে প্রকাশ্যে বলতেন, আমার নৌকাটা
খই-দেখাইয়া
দেওছাইন (আমার নৌকাটা কোথায়-দেখিয়ে দাও)। সেই নজাবত আলী সাহেব আমাদের
সাথে আলোচনায় বলতেন, জামায়াতের আকীদাতে অনেক সমস্যা আছে,
তবে জামায়াতের
একটা বিষয় খুবই প্রশংসনীয়। আর তা হলো, জামায়াতে কোন বিদায়াত নাই। এছাড়া
তিনি বলতেন, জামায়াতে আলেম মাত্র একজন আছেন,
তিনি হলেন জনাব
কামাল উদ্দিন জাফরী।
0 Comments