মুহাম্মদ নজরুল ইসলামঃঃ যোগাযোগের জন্য আমরা নানাবিধ মাধ্যমে ব্যবহার করে থাকি। যেমনঃ
১. চিঠি। ২. ই-মেইল। ৩. টেলিফোন। ৪.
টেক্স ম্যাসেজ। ৫. ভয়েস ম্যাসেজ। ৬. হোয়াইটসআপ। ৭.
ম্যাসেঞ্জার। ৮. টেলিগ্রাম। ৯.
বিআইপি। ১০. টুইটার। ১১.
ফেইসবুক। ১২. ব্লগ। ১৩. ওয়েবসাইট।
এছাড়াও
আরো অনেক মাধ্যম আছে। কিন্তু আমি কেবল
সে গুলোর উল্লেখ করলাম, যে গুলোর
সাথে আমার কিছু কিছু যোগাযোগ আছে।
আমার
বিবেচনায় যে মাধ্যমে আপনার সাথে
যোগাযোগ করা হবে,
আপনিও সেই মাধ্যম ব্যবহার করে তার
জবাব দিন। চিঠির জবাব
চিঠির মাধ্যমে, ই-মেইলের জবাব ই-মেইলে,
সোসাল মিডিয়ার কোন পোষ্টের বক্তব্য বা মন্তব্যের
জবাব সংশ্লিষ্ট সোসাল মিডিয়াতে-সংশ্লিষ্ট বক্তব্য বা মন্তব্যের
নিচে।
আমার
কাছে ভয়েস ম্যাসেজ বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। কিন্তু লিখতে অভ্যস্ত নন, এমন অনেকে
ভয়েস ম্যাসেজ প্রেরণ করে থাকেন। তাদের
এই ম্যাসেজ গুলোর জবাব পেতে সংগত কারণে দেরী হয়ে থাকে। এমন
অনেক ভয়েস ম্যাসেজ আছে, যা আজও
আমার শোনা হয়নি। বিশেষ করে অপরিচিত নম্বর থেকে
আসা ভয়েস ম্যাসেজ-যা প্রায়ই
আমি ইগনর করি।
যোগাযোগের
জন্য আপনি যার সাথে যে
মাধ্যমটা ব্যবহার করেন, সেই একই
মাধ্যম সবসময় ব্যবহার করা উচিত। এতে
করে আপনার সাথে যোগাযোগের সকল তথ্য একজায়গায়
পাওয়া যায়। আপনি আজ
হোয়াইটসআপে যোগাযোগ করলে, কাল ম্যাসেঞ্জারে,
পরদিন টেলিগ্রামে। এতে করে আপনার
সাথে যোগাযোগের তথ্য খুঁজে পেতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনেকে আছেন, যারা একাধিক মোবাইল ব্যবহার করেন। আবার সব ক’টিতেই হোয়াইটসআপ সংযোগ আছে। কোন দিন
কোন সময় কোন নম্বর
থেকে কল করবেন,
তার কোন জমাখরচ নাই। এতে
করেও সমস্যা হয়ে থাকে।
সবচেয়ে
মারাত্মক একটা বিষয় হলোঃ সোসাল মিডিয়াতে প্রদত্ত বক্তব্যের জন্য ফোন করা। মনে
করুন আপনি ফেইসবুকে একটা পোষ্ট দিয়েছেন অথবা কোন পোষ্টে মন্তব্য করেছেন। কোন একজন
আপনাকে ফোন করলেনঃ ভাই আপনার
এই বক্তব্যটা ঠিক হয়নি। যদি
বলেনঃ কেন ঠিক হয়নি, তা আপনি সংশ্লিষ্ট পোষ্টের কমেন্টস বক্সে লিখুন। উনি রীতিমতো রাগ করে
বসবেন।
সম্প্রতি
একজন কাতার বহুল পরিচিত প্রবাসী বাংলাদেশী ফেইসবুকে একটা বক্তব্য কপি পেষ্ট করলেন। আমি তার পোষ্টে মন্তব্য করার ১ মিনিটের ভিতর তার ফোন এবং
তিনি কথা বললেন মাত্র
১০ মিনিট। আমাকেও বাধ্য হয়ে তার কথা
গলদকরণ করতে হলো। অথচ তিনি
তার আত্মপক্ষ সমর্থন করে ১০ মিনিটে
আমার বক্তব্যের জবাব দিতে পারতেন সেই মন্তব্যে রিপ্লাই করে। এতে
করে আমার ১০ মিনিট বাঁচতো।
সবচেয়ে
মজার ব্যাপার হলোঃ কিছু কিছু ভাই আছেন,
যারা আমার লিখার সাথে বা মন্তব্যের সাথে দ্বিমত
পোষণ করে পোষ্টটি ডিলিট করে
দিতে আবদার করে থাকেন। তখন
উনাদের ব্যাপারে অশ্রদ্ধা চলে আসে,
ভালবাসা চলে যায়। আমার
বিবেচনায়ঃ আপনি যদি আমার বিরুদ্ধেও
লিখেন, তাহলে আপনার
লিখার স্বাধীনতায় আমি হস্তক্ষেপ করা উচিত
নয়। আমার বক্তব্য আমি লিখনির মাধ্যমেই দিতে পারি।
মোদ্দাকথাঃ
আমাদের যোগাযোগের মাধ্যমে হোক তৃপ্তির-না
হোক বিরক্তিকর। যোগাযোগ হোক যে কোন
একটি মাধ্যমে। যে মাধ্যমে যোগাযোগ হবে,
জবাবও হবে সেই একই
মাধ্যমে।
0 Comments