মুহাম্মদ নজরুল ইসলামঃঃ শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগকে আওয়ামীলীগ ছাড়া সবাই পলায়ন বলছেন। এমনকি ভারতীয় বাংলাভাষী মিডিয়াও পলায়ন বলছে। আওয়ামীলীগের ভাই বেরাদররা কি বলছেন, তা জানা যায়নি। আলিমুল গায়িব জানেন যে, তারা এখন কোথায় আছেন। যদি কখনো তারা আবার ইদুরের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসেন, তাহলে তাদের বয়ান জানা যাবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, শেখ হাসিনা
কেন পলায়ন করলেন? আমার বিবেচনায় মাত্র একটি কারণে শেখ হাসিনা পলায়ন করেছেন। কারণটি
ব্যাখ্যা করার আগে কিছু কথা অবতারণার অপ্রাসংগিক হবে না।
শেখ হাসিনা কিছু দিন আগেই বলেছেন, তিনি
কেন ক্ষমতা ছাড়বেন? তার কারণটি বলার জন্য, তার অপরাধটি বলার জন্য। বিধায় তিনি দেশ থেকে
পলায়নের কোন কথাই উঠতে পারে না।
একজন দেশ প্রেমিক নাগরিক, দেশের মাটি
কামড়ে ধরে পড়ে থাকে, কিন্তু দেশ ত্যাগ করেনা। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেছেন।
আমাদের নবী মুহাম্মদ সা. দেশ ত্যাগ করেছেন।
ইতিহাসে সেই ঘটনাকে হিজরত বলা হয়। হিজরত আর দেশ ত্যাগের মধ্যে আসমান জমিন ফারাক। দেশ
ত্যাগ হচ্ছে একটি ভদ্র পরিভাষা। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যার সোজা সাপটা বাংলা হলো ‘পলায়ন’।
পরিস্থিতি অনুকূলে না দেখে লক্ষ কোটি সমর্থককে বাঘের মুখে রেখে, নিজে এবং আত্মীয়দের
নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়াকে দেশে ত্যাগ বলে না, বলে পলায়ন। শেখ হাসিনা সেই কাজটি
করেছেন।
আমাদের নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা.
তদানিন্তন সময়ে কাফেরদের নির্যাতনে নির্যাতিত মানুষদের নিরাপত্তার বিবেচনায় প্রথমে
মুসলমানদের হাবশায় হিজরত করতে বলেছেন। তারপর পূর্বপ্রস্তুতি হিসাবে নিরাপদ আশ্রয় মদীনায়
তার অনুসারীদের পাঠিয়েছেন। মদীনায় যাতে সবাই স্বাচ্ছন্দপূর্ণ ভাবে এবং আত্ম মর্যাদার
সাথে বসবাস করতে পারে, সে জন্য সেখানকার নাগরিকদের সাথে চূক্তি করেছেন এবং সবশেষে সকলে
নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার পর তিনি মদীনায় হিজরত করেছেন। সেই আবাস ভূমিতে তাকে স্বাগত
জানানো হয়েছে বিশাল আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এবং সেই জনপদ কেন্দ্রীক তিনি তার সারাজীবন
কাঠিয়েছেন, সেই জনপদকে রাজধানী করে রাষ্ট্র গঠন করে বিশ্ব বিজয় করেছেন। সেই জনপদ থেকে
পূর্ব আবাস মক্কাকে জয় করলেও তিনি সেখানে থাকেননি, বরং ফিরে গেছেন মদীনায় এবং সেখানেই
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার একজন অনুসারীকেও বিপদে বাঘের মুখে ফেলে যাননি।
শেখ হাসিনা ভারতে পলায়ন করেছেন। কিন্তু
তার জন্য পূর্ব কোন প্রস্তুতি ছিল না। তাকে বহণ করা বিমানটি সর্বশেষ দিল্লিতে গেছে।
কিন্তু দিল্লিতে যাওয়ার জন্য কলকাতায় যাওয়ার দরকার ছিল না। কিন্তু তার বিমানটি প্রথমে
কলকাতা গেছে। কারণ তার ডেসটিনেশন নির্ধারিত ছিল না। একদম পলাতক ব্যক্তির মতো আকাশে
উড়েছেন দীর্ঘক্ষণ। তারপর তার ব্যক্তিগত প্রোফাইলের কারণে ভারত একসময় তাকে দিল্লিতে
আশ্রয় দিয়েছে এবং একান্ত নির্জন অবস্থায় সেখানে আছেন।
একটু পিছনে ফিরে যদি আমরা ঘটনাকে বিবেচনায়
নেই, তাহলে আরেকটি বিষয় খুবই গুরুত্ববহ। প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার
ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে নির্বাসিত এই সরকারের শুরু থেকে। দেশে আসলে হয় ফাঁসি, না হয়
জেল-এই চিন্তা থেকে তিনি লন্ডনে রয়েছেন। খালেদা জিয়াও লন্ডনে গিয়েছিলেন। আওয়ামীলীগ
ও শেখ হাসিনার চরিত্র বিবেচনা করে তিনিও লন্ডনে নির্বাসিত জীবন যাপন করাই যুক্তিযুক্ত
ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি দেশে ফিরে এসেছেন, কারাগারে গিয়েছেন, কিন্তু দেশ
ত্যাগ করেননি।
জামায়াতের যে শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেয়া
হয়েছিল, তাদের কেউই দেশ ত্যাগ করেননি। তাদের সামনের দিন গুলো কঠিন অমানিশা অপেক্ষা
করছে জেনেও তারা দেশে অবস্থান করছিলেন। তাদেরকে বারবার বিভিন্ন মহল থেকে অনুরোধ করা
হয়েছিল বিদেশে চলে যেতে। কিন্তু তাদের দেশ প্রেম তাদেরকে দেশ ত্যাগ করতে দেয়নি। এখানে
একটি বিষয় খুবই প্রাসংগিক যে, শহীদ মীর কাসেম আলী-যিনি দেশ ত্যাগ করেছিলেন সাংগঠনিক
সফরে। তার দেশ ত্যাগ করার পর মিডিয়া পাড়া উত্তাল হয়ে গিয়েছিল যে, তিনি পলায়ন করেছেন।
তাকেও তার স্বতীর্থরা অনুরোধ করেছিলেন দেশে না ফিরার জন্য। কিন্তু তিনি তা মানেনি।
তিনি আবার দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। দেশে অবস্থান করেছেন, গ্রেফতার হয়েছেন এবং ক্যাঙ্গারু
কোর্টের আদেশে জুডিশিয়াল মার্ডারের শিকার হয়ে শহীদ মীর কাশে আর হয়েছেন। কিন্তু পলায়ন
করেননি।
সাম্প্রতিক ঘটনা। মানবতার ফেরিওয়ালা বলে
খ্যাত জামায়াতের বর্তমান আমীর ডা. শফিকুর রাহমান হজ্জ পালন করতে গিয়ে সৌদী আরবে অবস্থান
করছিলেন। দেশের পরিস্থিতি যখন খুবই স্পর্শ কাতর, তখন তিনি দেশে ফিরেছেন। হজ্জ উপলক্ষে
তার দেশ ত্যাগ থেকে শুরু করে গতকাল সেনাপ্রধানের আহবানে আয়োজিত বৈঠক পর্যন্ত তিনি ছিলেন
মিডিয়ার আড়ালে। এটাকে বলে রাজনৈতিক কৌশল। তার দলের নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ
তাহের, সেক্রেটারী জেনারেল মিয়া গুলাম পরওয়ার (যিনি তার সেক্রেটারী মেয়াদের বেশীর ভাগ
সময় কারাগারেই থাকলেন), সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও এহসানুল
মাহবুব জুবায়ের সহ অসংখ্য নেতা কর্মী জেলে গেলেন। এমন অবস্থায় তিনি বিদেশে অবস্থান
করে দল চালাতে পারতেন তারেক রহমান স্টাইলে। কিন্তু তিনি তা করেননি। মিডিয়া থেকে দূরে
অবস্থান করে দল পরিচালনা করেছেন রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসাবে।
যে কোন বিবেচনায় জামায়াতের চেয়ে আওয়ামীলীগের
নেতা কর্মীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশী। শেখ হাসিনা কঠিন পরিস্তিতিতে পড়লে তার পক্ষে মাঠে
নামার জন্য তার লক্ষ লক্ষ জনবাজ কর্মী ছিল। কিন্তু সেই লক্ষ লক্ষ কর্মীর প্রতি আস্তা
না রেখে শেখ হাসিনা পলায়ন করলেন। তিনি কথায় কথায় জনগন, জনগন চিৎকার করতেন। কিন্তু সেই
জনগন বলতে ছিল তার নেতা কর্মী। সাধারণ মানুষ কেউ ছিল না। তার সেই জনগন তথা তার নেতা
কর্মী-বিশাল নেতা কর্মী-কারো কথা চিন্তা না করে নিজের বোনকে সাথে নিয়ে পলায়ন করলেন।
তিনিও ডা. শফিকুর রহমানের মতো অজ্ঞাত
স্থানে গিয়ে নেতা কর্মীদের নির্দেশনা দিতে পারতেন। তাকে শেলটার দেয়ার জন্য তার দীর্ঘদিনের
লালিত পালিত সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা আর পুলিশ বাহিনী ছিল। যারা তাকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে
পারতো। কিন্তু তিনি তা না করে সকল নেতা কর্মীকে বাঘের মুখে ফেলে নিজ বোনকে নিয়ে আকাশে
উড়লেন।
কি কারণে শেখ হাসিনা পলায়ন করলেন? শেখ
হাসিনা পলায়নের সময়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মিডিয়া থেকে দূরে অবস্থান করছিলাম। উমরাহ পালনের
জন্য গত ২৩শে জুলাই সৌদী আরব সফরে যাই। সেখানে আল্লাহর ঘর ধরে স্বৈরাচারমুক্ত একটি
বাংলাদেশ কামনা করেছিলাম। একজন শুভাকাংখী হোয়াইটসআপে ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেনঃ জনাব, আস্সালামু আলাইকুম। আপনি কাতার ফিরে আসতে আসতে আমার বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাবে।
ইনশাআল্লাহ।। আমি ফিরতি ম্যাসেজ দিয়েছিলামঃ ইনশাআল্লাহ।
এই স্বাধীনতার জন্য আমার অনেক অবদান। কারণ ওখানে বসে বসে আমি মালিককে এই দরখাস্ত দিয়েছি
বারবার। কিন্তু এই দরখাস্তটা যে এতো তাড়াতাড়ি মনজুর হয়ে যাবে, তা জানা ছিল না।
রিয়াদ থেকে কাতার ড্রাইভ করা অবস্থায় শেখ হাসিনার পলায়নের বিষয়টি
জানতে পারলাম। তখন থেকে হিসাব মিলাতে পারছিলাম না যে, শেখ হাসিনা কেন পলায়ন করলেন?
শেখ হাসিনা তো পলায়ন করার মতো নেতা ছিলেন না। শেখ হাসিনা তো অত্যন্ত ডিটারমাইন্ড একজন
নেত্রী ছিলেন। তিনি জননেত্রী, তিনি বঙ্গমাতা, তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি কেন পালালেন।
পলায়ন শব্দটা তো তার সাথে যায় না। তা হলে তিনি কেন পালালেন। বাংলাদেশে আওয়ামীলীগের
এমন দূরদিন আসেনি যে, তাকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। দীর্ঘ দেড় দশকের শাসনে প্রশাসনের
রন্দ্রে রন্দ্রে তার একান্ত আস্তাভাজন বিশেষ করে হিন্দুদের বসিয়ে রেখেছেন। ব্যবসায়ী
মহলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে আঙ্গুলদের কলাকাছ বিনিয়ে রেখেছেন, তৃণমূল থেকে কেন্দ্র
পর্যন্ত সর্বস্তরে তার একদল আস্তাবান নেতা কর্মী তৈরী করে রেখেছেন, বিরোধীদলকে পঙ্গু
করে রেখেছেন। এমন অবস্থায় তিনিতো দেশ ত্যাগ করার কথা না। তাহলে কেন তিনি পালায়ন করলেন?
৫শ কিলোমিটারের
দীর্ঘপথ ড্রাইভ করতে করতে সেই হিসাব করতে করতে যখন আবু সামরা বর্ডারে প্রবেশ করলাম,
তখন হিসাবটা মিলে গেল। তিনি কেন পলায়ন করলেন, তার হিসাব মানসপটে ঝকঝক করে পরিস্কার
হয়ে গেল। পাঠক, আপনার জিজ্ঞাসা হতে পারে, কি কারণ? যে কারণে শেখ হাসিনা পলায়ন করলেন।
শেখ হাসিনা পলায়ন
করার বিষয়টি কোন আহামরি কারণ নয়। বিষয়টি অত্যন্ত জেনেটিক কারণ। পলায়নের বিষয়টি তার
রক্তের সাথে মিশে আছে বলে তিনি পলায়ন করেছেন। বিষয়টি একটু খোলাসা করে বলি।
১০৭১ সাল। ৭ই মার্চ
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে রেসকোর্স ময়দানে ডাক দিলেনঃ এবারের সংগ্রাম মুক্তির
সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো-এদেশে
মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এই ঘোষনা দেয়ার পর নেতা হিসাবে শেখ মুজিবের
দায়িত্ব ছিল মুক্তিযোদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা, যুদ্ধ কিভাবে পরিচালিত হবে তা
নিয়ে তৎপরতা চালানো, নেতা কর্মীদের দিক নির্দেশনা দেয়া, নেতা কর্মীদের মাঝে বাংলাদেশকে
ভাগ করে দেয়া। আর সেই কাজ করার জন্য নিজে আত্মগোপনে চলে যাওয়া। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী
দেয়, শেখ মুজিব তার একটিও করেননি। সেই সময়ে তিনি পাকিস্তানী দুশমনদের সাথে আলোচনায়
বসতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তার পরিবার মুক্তিযোদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানের সরকার
কর্তৃক ভাতা প্রাপ্ত হয়ে সুখে সময় কাটিয়েছেন। আর তিনি সেই বাসায়ই অবস্থান করে পাকিস্তানীদের
কাছে ধরা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধের পুরো নয় মাস আরামে আয়েশে পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায়
জীবন কাটিয়েছেন। যখন ৩০ লক্ষ মানুষ মরেছে, যখন মা বোনদের ইজ্জত পাকিস্তানীদের কর্তৃক
লুষ্ঠিত হয়েছে, তখন তিনি এবং তার পরিবারের একটি সদস্যের গায়ে কাঁটার আঁচর তো দূরের
কথা, ফুলের আঘাতও লাগেনি। দীর্ঘ ৯মাস আত্মগোপনে থেকে ঢাকা থেকে দূর আমবাগানে (আম্রকাণনে)
মুজিব নগরে গিয়ে সরকার গঠন ও মুক্তিযোদ্ধ পরিচালনা করেছেন নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন
এবং আতাউল গনি উসমানী সাহেবরা। আমরা তখন হামাগুড়ি দেয়া শিশু ছিলাম। যুদ্ধ আমার আর শান্তি
সব আমাদের কাছে একই বিষয় ছিল। কিন্তু বড় হয়ে মুরব্বীদের কাছে শুনেছি, শেখ মুজিব পরিস্থিতি
কঠিন দেখে গ্রেফতারের নাটক করে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ফলে স্বাধীনতার পরে ১৯৭৫
সাল পর্যন্ত শেখ মুজিব বেঁচে থাকলেও পাকিস্তানের কারাগারে তার জীবনটা কেমন ছিল, তার
আত্মজীবনী তিনি লিখে যাননি। কারণ তিনি কারগার বলতে যা বুঝায়, তাতে ছিলেন না। বরং পরম
সুখে জামাই আদরে পাকিস্তানে অবস্থান করছিলেন। বিধায়, দেশের মানুষকে বাঘের মুখে ফেলে
রাখা এই বিষয়টি জেনেটিক সূত্রে শেখ মুজিব থেকে শেখ হাসিনা পেয়েছেন।
বাপকা বেটি। শেখ
হাসিনার রক্তের সাথে মিশে আছে পলায়ন নামক বস্তুটি। বিধায়, শেখ হাসিনার পালায়ন বিষয়টি
তার ব্যক্তিগত বিষয় নয়, বিষয়টি তার পিতা শেখ মুজিব থেকে পাওয়া। জেনেটিক ভাবে পলায়ন
নামক বস্তুটি শেখ হাসিনার অস্তি মজ্জায় মিশে আছে। বিধায় শেখ হাসিনা দেশের কঠিন দূর্যোগে
লক্ষ লক্ষ কর্মীদের বাঘের মুখে রেখে পলায়ন করেছেন।
আমার দূঃখ হয়, আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী আগামী দিনে এই লজ্জা থেকে কেমনে মুক্তি পাবে? তারা কোন মুখে আবার বাংলাদেশের মানুষের সামনে এসে দাড়াবে? মানুষের সামনে যখন আওয়ামীলীগ বলবে, আর মানুষ বলবেঃ এই সেই দল, যে দলের নেতা দূর্যোগপূর্ণ সময়ে কর্মীদের ফেলে পালিয়ে যায়। পলাতক নেত্রীর কর্মীদের জন্য রইল সহমর্মীতা।
0 Comments