বই নোট - সংগঠন পদ্ধতি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী - মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম

সংগঠন পদ্ধতিঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

সংস্করণঃ জানুয়ারী ২০২১

 মুত্তাফিক সংগঠন-অধ্যাপক গোলাম আযম রচিত বই থেকে

 জামায়াতের ৪দফা কর্মসূচীর ভিত্তিতে রচিত

 এমেন্টম্যান্ট৮৫তে পূণর্বিন্যাস

 পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণঃ ২০২১ সালে

প্রকাশকের কথা

     ➧ সংগঠন হলো ইসলামী আন্দোলনের বাহন যা ছাড়া ইসলামী আন্দোলন সফল হতে পারে না
 রাসূল সা. একদল সৎ ও যোগ্য লোক তৈরী করেছেন সংগঠনের মাধ্যমে
 জামায়াত সৎ যোগ্য ও দেশপ্রেমিক লোক তৈরী করতে চায় রাসূল সা. এর এই নীতি অনুসরণে
 সংগঠনের কাজকে সুন্দর সঠিক ও নিয়মতান্ত্রিক ভাবে করার জন্য জামায়াতের রয়েছে বিজ্ঞান সম্মত ও যুগোপযোগী ৪দফা কর্মসূচী
 এই বই তথা সংগঠন পদ্ধতি হলো জামায়াতের ৪দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নের পদ্ধতিগত সমূহের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ
 পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে এই বইয়ে বর্ণিত পদ্ধতি ও কৌশলে পরিবর্তন আসতে পারে, যদি নৈতিকতা ও গঠনতান্ত্রিক নীতিমালা ঠিক থাকে

ভূমিকা

(এখানে এই বই রচনা কেন করা হলো, জামায়াতের সংগনের গুরুত্বপূর্ণ ২টি দিক, জামায়াতের স্থায়ী কর্মনীতি, দাওয়াত ও স্থায়ী কর্মসূচী নিয়ে কথা বলা হয়েছে)

সংগঠন পদ্ধতি বই রচনার প্রয়োজনীয়তাঃ

      ইসলামের সুবিচারপূর্ণ শাসন কায়েমের জন্য কাজ করছে জামায়াতে ইসলামী
 জামায়াতের লক্ষ হলো, বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানব জাতির কল্যাণ আর সেজন্য ব্যক্তি ও সমাজকে ইসলামের আলোকে গড়ে তোলা ও পরিচালনা করা
 উপরোক্ত কাজই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের একমাত্র পথ
 জামায়াতে ইসলামী দ্বীন প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে
 লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন মজবুত সংগঠন আর মজবুত সংগঠনের জন্য প্রয়োজন জনশক্তির মাঝে সংগঠন পদ্ধতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ও জ্ঞান
 জনশক্তির মাঝে সংগঠন পদ্ধতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ও জ্ঞান দেয়ার জন্য রচিত হয়েছে এই বইটি

জামায়াতে ইসলামীর সংগঠন পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ দিক ২টিঃ

          . কর্মনীতি বা কর্মকৌশল
. কর্মসূচী বা আন্দোলনের বহুমূখী কাজের তালিকা সূচীপত্র

. জামায়াতে ইসলামীর স্থায়ী কর্মনীতিঃ ৩টি
. সিদ্ধান্ত বা কর্মপন্থা গ্রহণে আল্লাহ ও রাসূল সা. এর নির্দেশ ও বিধানের গুরুত্ব দান
. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিলে সততা, বিশ্বাস পরায়নতা পরিপন্থী এবং ফেতনা সৃষ্টিকারী পন্থা পরিহার
. নিয়মতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন তথা দাওয়াত সম্প্রসারণ এবং সংগঠন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মন মগজ ও চরিত্র সংশোধন এবং জনমত গঠন

খ. জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতঃ ৩ দফা

 জামায়াত সেই দাওয়াত প্রদান করে, যে দাওয়াত প্রদান করেছেন নবী আর রাসূল গন জামায়াতের ৩ দফা দাওয়াত হচ্ছেঃ
. আল্লাহর দাসত্ব ও রাসূল সা. এর আনুগত্য করার আহবান
. বাস্তব জীবনে কথা কাজের গরমিল পরিহার ও খাটি মুসলিম হওয়ার আহবান
. সংঘবদ্ধ প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুবিচারপূর্ণ শাসন কায়েম ও জুলুম, শোষণ-দূর্নীতি ও অবিচারের অবসান

. জামায়াতে ইসলামীর স্থায়ী কর্মসূচীঃ ৪টি
 রাসূল সা. যে কর্মসূচীর মাধ্যমে সফল সমাজ বিপ্লব করেছেন,  জামায়াতে ইসলামীও সেই কর্মসূচীকে নিজেদের কর্মসূচী হিসাবে গ্রহণ করেছে জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রে ৪ দফা কর্মসূচী উল্লেখ করা হয়েছেঃ

. দাওয়াত ও তাবলীগঃ আহবান ও প্রচার
 দাওয়াত হবে বাংলাদেশের সকল নাগরিকের উদ্দেশ্যে
 দাওয়াতের উদ্দেশ্য হলো চিন্তার বিশুদ্ধিকরণ ও বিকাশ সাধন
 চিন্তার বিশুদ্ধি করণের জন্য ইসলামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরা হবে
 অনুভূতি জাগ্রত করা হবে, ইসলামের অনুসরণ করার জন্য এবং ইসলামী প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা বুঝার জন্য

. সংগঠন ও প্রশিক্ষণঃ তানযীম ও তারবিয়াত
 সংগঠনে কেবল সৎ ব্যক্তিদেরকে সংগঠিত করা হবে
 সংগঠনের তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হবে, যারা ইসলামকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করতে আগ্রহী
 যারা সংগঠনে যুক্ত হবেন, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে ইসলাম কায়েম করার যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে

. সমাজ সংস্কার ও সমাজ সেবাঃ ইসলাহে মুয়াশারা
 সামাজিক সংশোধন, নৈতিক পূনর্গঠন ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন করা হবে ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে
 দূঃস্থ মানবতার সেবা করা হবে

. রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও সংশোধনঃ ইসলাহে হুকুমাত
 সরকার পরিবর্তনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক ও গনতান্ত্রিক পন্থা গ্রহণ করা হবে
 সমাজের সর্বত্র নেতৃত্ব কায়েম করা হবে, আল্লাহ ভীরু, চরিত্রবান, সৎ ও যোগ্য লোকের মাধ্যমে 

কর্মসূচী

প্রথম দফা কর্মসূচীঃ দাওয়াত ও তাবলীগ

দাওয়াতের মাধ্যমে চিন্তার পরিশুদ্ধি ও পূণর্গঠনের কাজ

বাংলাদেশের সকল নাগরিকের নিকট ইসলামের প্রকৃতরূপ বিশ্লেষণ করিয়া চিন্তার বিশুদ্ধিকারণ ও বিকাশ সাধরনের মাধ্যমে জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামের অনুসরণ ও ইসলাম প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অনুভূতি জাগ্রত করা

প্রথম দফার তিনটি দিকঃ
 সকাল মানুষকে ইসলামের সঠিক ধারণা দান
 ব্যক্তি-সমাজে ইসলাম বিরুধী ধ্যান ধারণার অবসান
 ব্যক্তিগত ও সামষ্ঠিগত জীবনে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার উৎসাহ দান

প্রথম দফার কাজ ২৮টি

    ১. ব্যক্তিগত যোগাযোগ (টার্গেট ভিত্তিক ও সাধারণ)
       . টার্গেট ভিত্তিক যোগাযোগ
       . সাধারণ দাওয়াত
২. গ্রুপভিত্তিক যোগাযোগ
৩.ইসলামী সাহিত্য বিতরণ
৪. বই বিলিকেন্দ্র স্থাপন
৫. পাঠাগার প্রতিষ্ঠা
৬. বই বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন ও ব্যক্তিগতভাবে বই বিক্রয়
৭. পরিচিতি, বুকলেট, লিফলেট, স্টিকার বিলি ও পোষ্টারিং
৮. মাসিক সাধারণ সভা
৯. দাওয়াতি জনসভা ও ইসলামী মাহফিল
১০. দাওয়াতী ইউনিট গঠন
১১. আলোচনা সভা ও সুধী সমাবেশ
১২. সীরাতুন্নবী সা. মাহফিল
১৩. আল কুরআনের দারস ও তাফসির মাহফিল
১৪. ইসলামী দিবস পালন
১৫. মসজিদ ভিত্তিক দাওয়াতী কাজ ও মসজিদ সংগঠিত করণ্
১৬. পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে দাওয়াত সম্প্রসারণ্
১৭. দাওয়াতী সাপ্তাহ/পক্ষ পালন ও দাওয়াতী অভিযান/গনসংযোগ অভিযান
১৮. জুমুয়া বক্তৃতা ও ঈদগাহে আলোচনা
১৯. দাওয়াতী চিঠি/ফোন আলাপ ও ইন্টারনেট ব্যবহার
২০. দাওয়াতী বই উপহার প্রদান
২১. ইফতার মাহফিল
২২. সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম
২৩. চা-চক্র ও বনভোজন
২৪. হামদ-না, কিরআত ইত্যাদি চর্চা
২৫. দাওয়াতী ক্যাসেট তৈরী ও প্রচার্
২৬. দাওয়াহ সেন্টার ভিত্তিক দাওয়াত
২৭. সাংস্কৃতিক টীমের মাধ্যমে দাওয়াত
২৮. তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে দাওয়াত

দ্বিতীয় দফা কর্মসূচীঃ সংগঠন ও প্রশিক্ষণ বা তানযীম ও তারবিযঅত

গঠনতন্ত্রের ভাষায় জামায়াতের দ্বিতীয় দফা কর্মসূচীঃ

ইসলামকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করিবার সংগ্রামে আগ্রহী সৎ ব্যক্তিদিগকে সংগঠিত করা এবং তাহাদিগকে ইসলাম কায়েম করিবার যোগ্যতাসম্পন্ন হিসাবে গড়িয়া তুলিবার উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণ দান করা

 দ্বিতীয় দফার দূইটি দিকঃ
 সংগঠন (তানযীম)
 প্রশিক্ষণ (তারবিয়াত)

সংগঠনঃ

জামায়াতের সংগঠন

      এখানে তারা শামীল হবে, যারা জামায়াতের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, দাওয়াত ও কর্মসূচীর সাথে মনে প্রাণে একমত হবেন
- জামায়াত একটি ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন
- প্রভাব প্রতিপত্তি ও অর্থনৈতিক যোগ্যতার গুরুত্বে এখানে নেই
- শুরুতেই কাউকে রুকন করা হয়না
 জামায়াতে শামীল হলেই সদস্য করা হয়না
 জামায়াতে শামীল হতে হয় সহযোগী সদস্য হিসাবে এরপর কাজের মাধ্যমে কর্মী মান অতিক্রম করে সদস্য হওয়ার চেষ্টা করতে হয়

জামায়াতের সাংগঠনিক বৈশিষ্টঃ

 জামায়াত ভারসাম্যপূর্ণ, বিজ্ঞানসম্মত, মানবপ্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যশীল, গতিশীল, বাস্তবধর্মী এবং দায়িত্বশীল সংগঠন এর বৈশিষ্ট হলো:

     নীতি ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় পরামর্শের ভিত্তিতে
আভ্যন্তনীর পরিবেশ উন্নত এজন্য রয়েছে পারস্পরিক সংশোধনের সম্মাণজনক প্রদক্ষেপ (বা মুহাসাবা পদ্ধতি)
নীতি ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় কুরআন সুন্নাহর শিক্ষার নিরিখে

জামায়াতের স্তর বিন্যাসের দূটি দিকঃ

. সাংগঠনিক জনশক্তির স্তর বিন্যাস

. সাংগঠনিক কাঠামোর স্তর বিন্যাস

. সাংগঠনিক জনশক্তির স্তর বিন্যাস

 জামায়াতের গঠনতন্ত্রে জনশক্তি দুই ভাগে বিভক্ত. সদস্য (রুকন). সহযোগী সদস্য

 প্রেকটিক্যালী জনশক্তি তিন ভাগে বিভক্ত. সহযোগী সদস্য. কর্মী. সদস্য (রুকন)

সহযোগী সদস্য:

§  লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে একমত হওয়া

§  তিন দফা দাওয়াত মানসিক ভাবে গ্রহণ করা

§  চার দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নে  আগ্রহ প্রকাশ

 প্রাকটিক্যালী বৈঠকে যোগদান, এয়ানত দেয়া বা রিপোর্ট রাখা এই তিনটি কাজের যে কোন ১টি করলে সহযোগী সদস্য করা হয়

কর্মী:

 কর্মীর শর্ত:

§  সহযোগী সদস্য হওয়া

§  নিয়মিত বৈঠকে যোগদান

§  ইয়ানত দেয়া

§  রিপোর্ট রাখা ও বৈঠকে পেশ করা

§  দাওয়াতী কাজ করা

§  সামাজিক কাজ করা

 কর্মীর গুনাবলী:

§  ইসলামী জ্ঞানার্জন

§  ইসলামী অনুশাসন মেনে চলা

§  জামায়াতের নিয়ম-শৃংখলা মেনে চলা

§  স্বত:স্ফূর্তভাবে জামায়াতের কাজ করা

§  লেন-দেন ও ব্যবহারে নিষ্ঠা

§  সততা বজায়

§  তীব্র দায়িত্বানুভূতি থাকা

সদস্য (রুকন):

 রুকন হতে হলে জামায়াতের কর্মী হতে হয়

 জামায়াতের গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত শর্ত ও নিয়ম নেমে সদস্য হতে হয়

 সদস্যদের দ্বারা জামায়াতের নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়

 সদস্যরা জামায়াতের নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা বাস্তাবয়ান, কাজের তদারকি করেন

 জামায়াতকে সঠিক ভাবে এগিয়ে নেয়া সদস্যদের দায়িত্ব

 মুমিনের জান-মাল আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে একজন মুমিনের সকল ধরণের ইবাদত, কাজ-কর্ম, জীবন-মৃত্যু সব আল্লাহর জন্য এককথায়ঃ আখেরাতে জান্নাত পেতে হলে নিজেকে আল্লাহর কাছে সপে দেয়া

 রাসূলের সুন্নাহ তরিকা অনুযায়ী নিজেকে আল্লাহর কাছে সপে দেয়া হলো, দ্বীন কায়েমের কাজে নিয়োজিত কোন জামায়াতের সাথে একাত্ম হয়ে জীবন পরিচালনা করা

 জামায়াতে ইসলামী দ্বীন প্রতিষ্ঠার এমনই একটি দল

 জামায়াতের মূল জনশক্তি হচ্ছে সদস্য (রুকন)

 সহযোগী সদস্য হয়ে জামায়াতের সীমায় প্রবেশ করা হয় তার পর তাকে কর্মী করা হয় নিম্নোক্ত গুনাবলী একজন কর্মীর মাঝে দেখা না গেলে তাকে সদস্য বা রুকন করা হয়নাঃ

§  চিন্তা চেতনায় জামায়াতের লক্ষ্যকে নিজ জীবনের লক্ষ্য মনে করা

§  কর্মনীতি ও কর্মসূচী অনুযাযী সকল কাজ করা

§  গঠনতন্ত্র ও নীতিমালা সঠিক ভাবে মেনে চলা

§  আচার-ব্যবহার লেন-দেন ইত্যাদিতে সতর্ক মুমিনের পরিচয় দেয়া

. সাংগঠনিক কাঠামের স্তর বিন্যাস

জামায়াতের সাংগঠনিক স্তর নিম্নরূপঃ

. কেন্দ্র

. জেলা/মহানগরী

. উপজেলা/থানা

. পৌরসভা

. ইউনিয়ন

. ওয়ার্ড

. ইউনিট

কেন্দ্রঃ

) আমীরে জামায়াত

 আমীরে জামায়াত নির্বাচিত হোন ৩ বছরের জন্য সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে

 জামায়াতের নেতৃত্ব থাকে আমীরে জামায়াতের হাতে

 বাকী সকল দায়িত্বশীল আমীরে জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে থাকেন

) কেন্দ্রীয় সদস্য (রুকন) সম্মেলন

 এটি একটি ফোরাম

 সদস্য সদস্য সম্মেলন আহবান করা হয় আমীরে জামায়াত অথবা অধিকাংশ মজলিসে শুরার সদস্য প্রয়োজন মনে করলে

) জাতীয় কাউন্সিল

 এটি একটি ফোরাম

 জাতীয় কাউন্সিল গঠিত হয়ে আমীরে জামায়াত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য, জেলা/মহানগরী আমীর, জেলা/মহানগরী মজলিসে শুরার সদস্যদের সমন্বয়ে

 জাতীয় কাউন্সিলের প্রধান দায়িত্ব হলো, কোন বিষয়ে আমীরে জামায়াত ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিলে তা মিমাংসা করা

) কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা

 কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা হলো জামায়াতের নীতি নির্ধারণী পরিষদ

 কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা কাজ হলো, আমীরে জামায়াতকে তার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করা

 সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ৩ বছরের জন্য মজলিসে শুরা নির্বাচিত হয়

 মহিলা বিভাগের কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পৃথক কেন্দ্রীয় মহিলা মজলিসে শুরা নির্বাচন করা হয় যারা পদাধিকার বলে মূল কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য হয়ে থাকেন

) কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ

 কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা যে পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে, তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকে আমীরের জামায়াতের উপর আর সেই দায়িত্বে সহযোগিতা করার জন্য গঠিত হয় কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ

 কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত হোন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যদের কর্তৃক

 কেন্দ্রীয় মহিলা কর্মপরিষদের সদস্যরা পদাধিকার বলে মূল কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য হয়ে থাকেন

 কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বিভিন্ন বিভাগ পরিচালনার জন্য যে সব সেক্রেটারীদের নিয়োগ দেয়া হয় তারা আমীরে জামায়াত কর্তৃক অর্পিত নিজ নিজ বিভাগের কাজ পরিচালনা করেন এবং আমীরে জামায়াতকে অবগত করেন

) কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ

 কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ যে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে, তার বাস্তবায়ন ও দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করার জন্য গঠিত হয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ

 কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা হয় সর্বোচ্চ ২১জনকে নিয়ে

 কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যদের ভোটে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়

) অঞ্চল সংগঠন

 আঞ্চলিক সংগঠনের কাজ হলোঃ রুকুনিয়াত মনজুর করা, রিপোর্ট পর্যালোচনা, সফর ও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন, সাংগঠনিক সমস্যা সমাধান, আয়-ব্যয় ও হিসাব সংরক্ষণ সহ জেলা/মহানগরীর কাজের সামগ্রিক তত্ত্বাবধান

 সংগঠনকে গতিশীল করা ও শাখা সমূহকে আত্মনির্ভরশীল করা অঞ্চল সংগঠনের প্রধান কাজ

 মহিলা অঞ্চলের কাজ তত্ত্বাবধান

 আমীরে জামায়াত আঞ্চলিক পরিচালক ও আঞ্চলিক টিম সদস্য নিয়োগ করেন

 প্রতি ২মাস পরপর অঞ্চল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় যাতে জেলা/মহানগরী আমীর বা তার প্রতিনিধি এবং টীম সদস্যগন উপস্থিত থাকবেন

 অঞ্চল বৈঠক প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম সহ সকল এজেন্ডা কাভার করে অনুষ্ঠিত হবে

) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী

 গঠনতন্ত্রের ৩২ ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারীগন নিযুক্ত হবেন

 সাংগঠনিক সেক্রেটারীগন আমীরে জামায়াত অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন

) জেলা/মহানগরী আমীর সম্মেলন

 প্রতি বছর প্রতি বছর জেলা/মহানগরী সম্মেলন হয়ে থাকে

জেলা/মহানগরীঃ

) জেলা/মহানগরী আমীর

 জেলা/মহানগরী আমীরগন সংশ্লিষ্ট জেলা/মহানগরীতে আমীরে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করেন

 জেলা/মহানগরী আমীর গন ২ বছরের জন্য রুকনদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হোন

) জেলা/মহানগরী মজলিসে শুরা

 গঠনতন্ত্রের ধারা ৩৮ ও ৩৯ অনুযায়ী জেলা ও মহানগরীর সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে মজলিসে শুরা নির্বাচিত হয়

 মহিলা বিভাগের জন্য পৃথক জেলা মহিলা মজলিসে শুরা গঠিত হয় যারা পদাধিকার বলে মূল জেলা মজলিসে শুরা সদস্য হয়ে থাকেন

) জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদ

 জেলা/মহানগরীর আমীরের সহযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয় জেলা/মহানগরী কর্মপরিষদ

 জেলা/মহানগরীতে পৃথক জেলা মহিলা কর্মপষিদ থাকে, যারা পদাধিকার বলে মূল কর্মপরিষদের সদস্য হয়ে থাকেন

) জেলা/মহানগরী সদস্য (রুকন) সম্মেলন ও মাসিক সদস্য (রুকন) বৈঠক

 জেলা/মহানগরী সদস্য (রুকন) সম্মেলন-যা প্রতি ৬ মাসে ১বার অনুষ্ঠিত হয় সাংগঠনিক বিষয়াদির সাথে সাথে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামও এই সম্মেলনের কর্মসূচীতে অন্তর্ভূক্ত থাক

 মাসিক সদস্য (রুকন) বৈঠক-যা প্রতি মাসে অনুষ্ঠিত হয়

) জেলা/মহানগরী বৈঠক

 উপজেলা/থানা আমীর বা সভাপতিদের নিয়ে এই বৈঠক প্রতিমাসে অনুষ্ঠিত হয়

) জেলা/মহানগরী পর্যায়ে বিভাগ বন্টন

 জেলা/মহানগরীর বিভিন্ন বিভাগ জেলা/মহানগরী আমীর, সেক্রেটারী ও কর্মপরিষদ সদস্যদের মধ্যে বন্টন করা হয় প্রয়োজনীয় দায়িত্বশীলের অভাবে একজন একাধিক বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন

 কাজের সুবিধার জন্য বিভাগীয় দায়িত্বশীলকে আহবায়ক করে বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়

উপজেলা/থানাঃ

) উপজেলা/থানা আমীর বা সভাপতি

 উপজেলা/থানা আমীর নির্বাচিত হোন ২ বছরের জন্য রুকনদের ভোটে

 যেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক রুকন নেই সেখানে জেলা/মহানগরী মজলিসে শুরার সাথে পরামর্শ করে জেলা/মহানগরী আমীর উপজেলা/থানা সভাপতি নিয়োগ প্রদান করেন

) উপজেলা/থানা মজলিসে শুরা

 ১৫জন রুকন থাকলে উপজেলা/থানা মজলিসে শুরা গঠন করা যাবে

 মজলিসে শুরা হবে ২ বছর মেয়াদের

 গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শের জন্য উপজেলা/থানা আমীর মজলিসে শুরার বৈঠক আহবান করবেন

 ১৫জন মহিলা সদস্যা থাকলে পৃথক মহিলা মজলিসে শুরা গঠন করা হবে ২ বছর মেয়াদের যারা পদাধিকার বলে উপজেলা/থানার মূল মজলিসে শুরা সদস্য হবেন

) উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ

 প্রয়োজনীয় সংখ্যক রুকন থাকলে উপজেলা/থানা কর্মপরিষদ গঠন করা হবে না থাকলে হবে উপজেলা টীম

 উপজেলা কর্মপরিষদ বা টীম

) উপজেলা/থানা সদস্য (রুকন) বৈঠক

 উপজেলা রুকন বৈঠক প্রতিমাসে অনুষ্ঠিত হবে

) উপজেলা/থানা বৈঠক

 রিপোর্ট পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য প্রতিমাসে উপজেলা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে

 ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সমূহের আমীর বা সভাপতিদের নিয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে

) সংগঠিত উপজেলা/থানা

 পৌরসভা সহ মোট ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড এর অর্ধেক সংখ্যা যদি সংগঠিত হয়, তাহলে ঐ উপজেলা/থানাকে সংগঠিত উপজেলা/থানা বলে গন্য করা হবে

পৌরসভা/ইউনিয়নঃ

 পৌরসভা এবং ইউনিয়ন সমপর্যায়ে আলোচনা করা হলেও বাস্তবে পৌরসভার গুরুত্ব অনেক বেশী

 পৌরসভায় ইমারত প্রতিষ্ঠা হলে জেলা বা মহানগরী সূরা তাকে আলাদা সাংগঠনিক থানার মর্যাদা দিতে পারবে

 এক্ষেত্রে কেন্দ্রে রিপোর্ট পাঠানোর সময় আলাদা থানা দেখানো যাবে না

 সাংগঠনিক  থানা মর্যাদা সম্পন্ন পৌরসভা উপজেলা/থানার বিধি অনুযায়ী কাজ করবে

 সংগঠিত পৌরসভাঃ যে পৌরসভায় কমপক্ষে অর্ধেক ওয়ার্ড সংগঠিত থাকবে, সে পৌরসভাকে সংগঠিত পৌরসভা বলে গন্য করা হবে

 পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ডঃ প্রশাসনিকভাবে পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর যার কাজ নিম্নরূপঃ

. পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড আমীর বা সভাপতিঃ

. পৌরসভা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সদস্য বৈঠকঃ

. পৌরসভা/ইউনিয়ন বৈঠকঃ

. সংগঠিত ইউনিয়নঃ

ওয়ার্ডঃ

ইউনিটঃ

১. দাওয়াতী ইউনিটঃ

২. ইউনিটঃ

 ইউনিট সংগঠনের কাজের সূচনা পর্ব

 ইউনিটের জনশক্তির মাধ্যমে জামায়াত জনগনের সাথে সম্পৃক্ত হয়

 লোক সংগ্রহ ও কর্মী গঠনের মূল সাংগঠনিক স্তর হলো ইউনিট

 ছোট ছোট এলাকা কেন্দ্রীক চার বা তার অধিক কর্মী নিয়ে ইউনিট গঠিত হয়

 ইউনিটে একজন সভাপতি থাকেন

 ইউনিটের শর্তঃ

ক. কমপক্ষে ৪জন কর্মী ও ১জন সক্রিয় সভাপতি

খ. নিয়মিত বৈঠকাদি

গ. দাওয়াতী গ্রুপ বের হওয়া

ঘ. রিপোর্ট ও নিসাব আদায়

ঙ. সামাজিক কাজ

 ইউনিটের কাজঃ

ক. জামায়াতের বক্তব্য জনগনের কাছে পৌছানো

খ. দাওয়াত, কর্মী গঠন ও কর্মীদের প্রশিক্ষণ দান

গ. চার দফা কর্মসূচীর ভিত্তিতে কাজ বাস্তবায়ন

ঘ. উর্ধতন সংগঠনের ‍নির্দেশ পালন

- নিয়মিত জনশক্তি বৃদ্ধি

- বছরে কমপক্ষে ১টি দাওয়াতী ইউনিট বৃদ্ধি

- দাওয়াতী বইয়ের বিলি কেন্দ্র থাকা

- ১ কপি সোনার বাংলা রাখা

 ইউনিটের প্রোগ্রামঃ

. কর্মী বৈঠক

. সাধারণ সভা

. প্রশিক্ষণ বৈঠক

. গ্রুপ দাওয়াত

৩. পারিবারিক ইউনিটঃ

 পারিবারিক ইউনিট গঠনের প্রয়োজন অপসংস্কৃতির সয়লাব রোধে, দ্বীন চর্চার কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে, পরিবারে দ্বীন ও তাক্বওয়ার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য

 পরিবারের সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে একজন সভাপতির নেতৃত্বে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পারিবারিক ইউনিট গঠিত হয়

 পারিবারিক ইউনিটের কোন নেসাব নেই, রিপোর্ট নেই তবে পারিবারিক ইউনিট সংখ্যা ও ইউনিট বৃদ্ধি রিপোর্ট ইউনিট সংগঠনের রিপোর্টে যোগ হবে

 পারিবারিক ইউনিটের কাজের ক্ষেত্র ৩টিঃ

. পরিবারের সকল সদস্য

. আত্মীয় স্বজন

. প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধব

 পারিবারিক ইউনিটে বৈঠক হচ্ছেঃ নিয়মিত মাসে ২টি এবং প্রতি ৩ মাসে একটি শব্বেদারী

 পারিবারিক বৈঠকে পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত মানোন্নয়নের খবর নেয়া, দাওয়াতী টার্গেট নির্ধারণ, পরিবারিক বিষয় নিয়ে পরামর্শ করা

 পারিবারিক তরবিয়াতী বৈঠকে কুরআন হাদীস মাসলা মাসায়েল ও নির্দিষ্ট বিষয় বা বইয়ের উপর আলোচনা করা

 পারিবারিক দাওয়াতী বৈঠকে আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধু বান্ধবদের দাওয়াত করা

মহিলা বিভাগঃ

 মহিলাদের মাঝে দাওয়াতের বিস্তার, সংগঠন প্রতিষ্ঠা, সাংগঠনিক মজবুতি অর্জন, নেতৃত্বের যোগ্য টিম গড়তে গঠনতন্ত্রের ৫৮, ৫৯, ৬০ ও ৬১ ধারা মোতাবেক এই বিভাগ গড়ে তুলা হবে

 নারী সমাজে নারীরাই ইসলামের সঠিক ধারণা দান করতে পারে

দ্বিতীয় দফার অন্যান্য সাংগঠনিক কাজঃ

টার্গেট ভিত্তিক যোগাযোগ

 টার্গেট নেবেন সদস্য ও কর্মীরা

 টার্গেট হবে আশপাশ থেকে, সক্রিয় সহযোগী, সহযোগী ও জনগন থেকে

 টার্গেটের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হবে

 টার্গেট হবে ৩ ধরণেরঃ

. দাওয়াতী টার্গেট

. কর্মী টার্গেট

টার্গেট নেয়ার সময় যে সব গুনাগুন দেখতে হবেঃ

 যিনি কর্মঠ

 যিনি বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ

 যিনি সামাজিক

 যিনি সৎ ও সত্যপ্রিয়

 যিনি নেতৃত্বের যোগ্যতা সম্পন্ন

. সদস্য (রুকন) টার্গেট

কর্মী যোগাযোগ

. কর্মী যোগাযোগের উদ্দেশ্য

 মান উন্নয়ন, সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ, দূর্বলতা দূর করা, কাজে উৎসাহ প্রদান ও অনুপ্রেরণা দান, সম্পর্ক মধুর করা, সমস্যা অবগত হওয়া ও সমস্যা সমাধান বের করা ইত্যাদি

. কর্মী যোগাযোগের পদ্ধতি

. পূর্ব স্থান ও সময় নির্ধারণ

. সালাম বিনিময়, শারিরিক ও মানসিক অবস্থা জানা

. ব্যক্তিগত ও পরিবারিক সমস্যা জানা ও পরামর্শ প্রদান

. সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা

. আন্দোলন সংগঠন সম্পর্কিত আলোচনা

. দূর্বলতা দরদী মন নিয়ে ধরে দেয়া

. মানোন্নয়নে উৎসাহিত করা

. সময় ও অর্থ ব্যয়ের ফজিলত কুরআন ও হাদীসের আলোকে বর্ণনা

. ব্যক্তিগত গুনাবলী অর্জনে উৎসাহিত করা (কুরআন ও হাদীসের আলোকে)

১০. পারস্পরিক দোয়ার মাধ্যমে শেষ করা

সফর

ক. দাওয়াতী সফর

খ. সাংগঠনিক সফর

গ. তারবিয়াতী সফর

ঘ. উর্ধ্বতন সফর

ঙ. জরুরী সফর

পরিকল্পনা

পরিকল্পনা প্রণয়নে যে সব বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবেঃ

 জনশক্তি

 নেতৃত্বের মান

 কাজের পরিধি বা এলাকা

 বিভিন্ন দিকের পরিসংখ্যানমূলক জ্ঞান

 কর্মীদের মান

 অর্থনৈতিক অবস্থা

 পরিবেশ

 বিরোধী মহলের শক্তি ও তৎপরতা

 বিগত সময়ের কাজের অগ্রগতির হার

·   পরিকল্পনা হবে বার্ষিক বাস্তবায়ন পরিকল্পনা হবে ত্রৈমাসিক ও মাসিক

·   পরিকল্পনা পর্যালোচনা বৈঠকঃ পরিকল্পনার আলোকে পর্যালোচনার পর পূণঃপরিকল্পনা নিতে হবে মাসিক রিপোর্টের সাথে পরিকল্পনা থাকবে

সাংগঠনিক পক্ষ/সপ্তাহ পালন

নেতৃত্ব নির্বাচন

বাইতুলমাল

 আল কুরআনে বর্ণিত ইনফাক ফি সাবিলিল্লাহর চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জামায়াত তার সর্ব পর্যায়ে যে ফান্ড গঠন করে থাকে, তাকে বাইতুলমাল বলা হয়

 বাইতুলমাল সংগঠনের মেরুদন্ড

 শক্তিশালী বাইতুলমাল প্রয়োজন সংগঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য

 জামায়াতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সর্বস্তরে বাইতুলমাল থাকবে

 প্রতি বছর বাইতুলমালের অডিট হতে হবে

 অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে সূরা, কর্মপরিষদ, টীম

 সংগঠনের বাইতুলমালের দায়িত্ব আমীরে জামায়াতের উপর

 মহানগরী ও জেলা সমূহে আমীরগন বাইতুলমালের দায়িত্বশীল

 প্রত্যেক শাখায় কমপক্ষে ৩ সদস্যের বাইতুলমাল কমিটি থাকবে এবং একজন সম্পাদক থাকবেন

  বাইতুলমাল সেক্রেটারীর দায়িত্বঃ তহবিল সংরক্ষণ, আমীরের অনুমোদনক্রমে খরচ এবং হিসাব সংরক্ষণ

 বাইতুলমালের আয়ের উৎসঃ

. কর্মীদের আর্থিক কুরবানী

. শুভাকাংখীদের থেকে

. যাকাত ও উশর

. তাছাড়াও বই বিক্রিয় লাভ্যাংশ, মুষ্টি চাউল ও মাটির ব্যাংক, বাইতুলমাল বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ, ওয়াকফ (জায়গা-গাছ) ইত্যাদি

রেকর্ডিং

 সর্বস্তরে জামায়াতে অফিস থাকবে অফিসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ তথ্য ও ইতিহাস সংরক্ষণ-যাকে রেকর্ডিং বলা হয়

 রেকর্ডিং এর জন্য প্রয়োজনে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে

 যেসব বিষয় রেকর্ডিং-এর আওতায় থাকবেঃ

-    কর্মী ও সদস্যদের তালিকা

-    দায়িত্বশীলদের ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর

-    রিপোর্টঃ সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত

-    বইয়ের তালিকা

-    সহযোগী সদস্যদের ফরম ও মুড়ি

-    সদস্যপ্রার্থী আবেদন পত্র

-    রশিদ বইয়ের মুড়ি

-    ক্যাশ বই

-    লেজার

-    বিভিন্ন পরামর্শ ফাইল

-    বিভিন্ন বৈঠকের কার্যবিবরণী

-    পোষ্টার ও লিফলেটের নমুনা কপি

-    প্রকাশিত সংবাদ কাটিং ও প্রেরিত সংবাদ

-    প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের তৎপরতা-নেতৃবৃন্দের ঠিকানা ও ফোন নম্বর

-    চিঠি ও সার্কূলার

-    বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তালিকা

 রেজিস্টারঃ

-    কর্মী তালিকা

-    বই তালিকা ও ইস্যু রেজিষ্টার

-    সদস্য তালিকা

-    বিভিন্ন বৈঠকের কার্যবিবরণী

-    ক্যাশবুক ও লেজার বুক

-    হাজিরা রেজিষ্টার

-    সদস্য টার্গেট তালিকা ও প্রার্থী রেজিস্টার

-    সদস্যদের ব্যক্তিগত রিপোর্ট রেজিস্টার

-    দায়িত্বশীলদের ঠিকানা ও ফোন নম্বর

-    বিশিষ্ট লোকদের তালিকা

-    রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের নাম ও ঠিকানা

 ফাইলঃ

-    সহযোগী সদস্য ফাইল (মুড়ি)

-    ভাউচার ফাইল

-    রিপোর্ট ফাইল

-    সার্কূলার ফাইল

-    চিঠির ফাইল

-    পরিকল্পনা ফাইল

-    সদস্যদের ব্যক্তিগত রিপোর্ট ফাইল

-    সদস্যপ্রার্থী আবেদন ফাইল

-    রশিদ বই-এ মুড়ি ফাইল

-    পরামর্শ ফাইল

-    সফর প্রোগ্রাম ফাইল

-    অধ্বস্তন সংগঠন কাজ অনুপাতে ফাইল ও রেজিস্টার কমাতে পারবে, উর্ধ্বতন সংগঠন কাজ অনুপাতে ফাইল ও রেজিস্টার বাড়াতে পারবে

রিপোর্ট সংরক্ষণ

১০অফিস

প্রশিক্ষণ

. তারবিয়াত (নৈতিক শিক্ষা ও সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ)

      তারবিয়াতি বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছেঃ

 জনশক্তিকে ইসলামের যথার্থ জ্ঞান, বিশুদ্ধ চিন্তা, উন্নত আমল-আখলাক ও তাকওয়া সম্পন্ন করে গড়ে তোলা

 জনশক্তির আত্মগঠন, মানউন্নয়ন এবং সংগঠন পরিচালনায় যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা

 অর্থনৈতিক পরিশুদ্ধির জন্য উপার্জনে শরয়ীনীতি মেনে চলার গুরুত্ব জনশক্তির নিকট তুলে ধরা

 বৈষয়িক চাহিদার ভিত্তিতে জীবন মান উন্নত করা প্রবণতা থেকে দূরে রাখার মটিভেমন অব্যাহত রাখা

পাঠসূচী ভিত্তিক ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন

 জামায়াতের পাঠ্যসূচী ২ ধরণের. ডিগ্রিপ্রাপ্তদের জন্য. স্বল্প শিক্ষিতদের জন্য

 নিয়মিত কুরআন হাদীস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করা

 দৈনিক ১০ পৃষ্টার কম না পড়া

প্রশিক্ষণ (তারবিয়াতি) বৈঠক

 ইউনিটে মাসে ৩টি বৈঠকের ১টি তারবিয়াতী বৈঠক হবে

 সামষ্ঠিক পাঠ, মাসলা মাসায়েল, দোয়া ও কুরআন তালিম ইত্যাদি প্রশিক্ষণ বৈঠকের অন্তর্ভূক্ত থাকবে

সামষ্ঠিক পাঠ

 সামষ্টিক পাঠে ১জন পরিচালন এবং ৭-১০ জন সদস্য থাকবে

 সামষ্টিক পাঠ ১ ঘন্টার বেশী হবে না

 কোন বই, একটি হাদীস, যে কোন বিষয়ের উপর সামষ্টিক পাঠ হবে

পাঠচক্র

 ১জন পরিচালক ও ৮/১০জন সদস্য নিয়ে পাঠচক্র হবে

 পাঠচক্রের লক্ষ্যঃ সদস্যদের সাংগঠনিক মানোন্নয়ন, রুকুনিয়াতের মান সৃষ্টি, নেতৃত্ব সৃষ্টি

 পাঠচক্রের অধিবেশন হবে মাসে কমপক্ষে ১টি প্রতি অধিবেশন ২ ঘন্টার বেশী হবে না


-    পাঠচক্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকঃ

সদস্যদের মান সমমানের হবে

পরিচালক হবেন অভিজ্ঞ ও যোগ্য

পড়াশোনা ও চিন্তা ভাবনা জন্য প্রথম অধিবেশনে গাইড লাইন দেয়া হবে

সকল সদস্য পড়াশোনার সাথে সাথে নোট নিয়ে আসবেন

সকল সদস্য উপস্থিত হবেন

যথা সময়ে উপস্থিত হতে হবে

সদস্যরা অংশ নিবেন মানসিক প্রস্তুতি, পূর্ণ আন্তরিকতা ও অকাগ্রতা নিয়ে

পরিচালক আলোচনাকে একটি নির্দিষ্ট খাতে প্রবাহিত করবেন প্রতিটি পয়েন্টে উপসংহার দেবেন

সকল পয়েন্টের মূল কথা সকলে নোট নেবেন

কুরআন স্টাডি সার্কেল

 কুরআন স্টাডি সার্কেল হবে পাঠচক্রের অনুরূপ তবে নিম্নোক্ত বিষয় গুলো গুরুত্ব দেয়া হবেঃ

নির্ধারিত সূরা বা আয়াত সহীহ করে তিলাওয়াত

নির্ধারিত সূরা বা আয়াত সকলে মুখস্ত করে নেয়া

ব্যাপক স্টাডি করা, যাতে সংশ্লিষ্ট সুরা বা আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট, ব্যাখ্যা, শিক্ষা ইত্যাদি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা ক্লিয়ার হয়ে যায়

আলোচনা চক্র

 আলোচনা চক্র হবে ওয়ার্ড বা ইউনিট পর্যায়ে

 আলোচনা চক্রের সদস্য হবেন ১০ থেকে ১৫ জন

 আলোচনা চক্রে পরিচালক সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সামারী তুলে ধরবেন এরপর সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেবেন

শিক্ষা বৈঠক

শিক্ষা শিবির

গণশিক্ষা বৈঠক

১০গণ নৈশ ইবাদত

১১ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষণ

১২ মুহাসাবা

১৩বক্তৃতা অনুশীলন

১৪দুআ’, জিকির ও নফর ইবাদত

১৫সামষ্টিক খাওয়া

১৬আত্ম-সমালোচনা

. মানব সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনাঃ

 মানব সম্পদ উন্নয়ন হলোঃ উৎপাদন কাজে প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা বা ব্যবহারের উপযোগিতা বৃদ্ধি করণ

 জেলা, মহানগরী, উপজেলা, থানায় মানব সম্পদ বিভাগ চালু ও সম্প্রসারণ করা

 জনশক্তির বাহিরে মেধাবীদের এই প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা

তৃতীয় দফা কর্মসূচীঃ সামজ সংস্কার ও সমাজ সেবা

গঠনতন্ত্রের ভাষায় জামায়াতের তৃতীয় দফা কর্মসূচীঃ

ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক সংশোধন, নৈতিক পূণর্গঠন ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধন ও দুস্থ মানবতার সেবা করা

তৃতীয় দফর প্রধান কাজ তিনটি

. সমাজ সংশোধন ও সমাজ সংস্কার

. অপসংস্কৃতি রোধ ও ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ

. দুস্থ মানবতার সেবার লক্ষ্যে সমাজ সেবা

. সমাজ সংশোধন ও সংস্কার

প্রচলিত কুসংস্কার সম্পর্কে সতর্কীকরণ

ইসলামী আচার অনুষ্ঠান চালু করণ

পেশাভিত্তিক দাওয়াতী কাজ

গণশিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন

. প্রতিটি মক্তব, মাদ্রাসা, বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র, স্কুল ইত্যাদিতে নিজস্ব প্রভাব সৃষ্টি করা

. নিজেদের উদ্যোগে মক্তব, মাদ্রাসা, বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র, কিন্ডার গার্টেন চালু করা

. নিরক্ষরতা দুরিকরণে সাধ্যানুযায়ী ভূমিকা রাখা

মসজিদ সংস্কার

হাট-বাজার সংস্কার

পাঠাগার প্রতিষ্ঠা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ

ক্লাব, সমিতি, শরীর চর্চা কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা

১০সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা

. অপসংস্কৃতি রোধ ও ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ

ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ক্ষতিকর দিক উপস্থাপন

পিনআপ ম্যাগাজিনের ক্ষতিকর দিক উপস্থাপন

ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার বিকৃত খবর

উলঙ্গপনা, বেহায়পনা, নাচগানের বিরুদ্ধে আলোচনা ও লিখা

হাউজি, মদজুয়া মুষ্টিমেয় মানুষকে টাকার কুমির বানায়

অশ্লীল বিজ্ঞাপন, জন্ম নিয়ন্ত্রন দ্রব্যাদির, হোটেল বিজন্যাস


x

Post a Comment

0 Comments