মুহাম্মদ নজরুল ইসলামঃঃ মিডিয়াতে কোন
প্রচার নেই, কোন ধরণের প্রার্থী নেই, গ্রুপিং চা নাস্তার কোন খবর নেই, নির্বাচনের দিনে
কোন ধরণের চেয়ার ছুড়াছুড়ি নেই। তাহলে এটা কোন ধরণের নির্বাচন? জনগন জানেনা, জামায়াতের
কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাংখীরা জানেনা, কেবল ভোটার রুকনরা জানেন ভোটের খবর-এটা কোন ধরণের
নির্বাচন। এই নির্বাচন গণতান্ত্রিক নির্বাচন হতে পারে?
আমরা যারা জামায়াতে ইসলামীর ঘরোনার লোক,
অথচ রুকন না হওয়ার কারণে আমাদের ভোট নাই, তারা কমপক্ষে ১ কাপ চা খাওয়া, কিংবা কোন একজন
নেতাকে একটু তেলমারার সুযোগ নিতে দেয়া হলো না। নূন্যতম ফেইসবুকে একজন নেতার বিপক্ষে
অথবা সম্ভাব্য নেতার পক্ষে একটু তেল মেরে নিজে একটু নেক নজরে যাবো, সেই সুযোগটাও দিলনা
জামায়াতে ইসলামী। তাহলে এটা কেমন গনতান্ত্রিক নির্বাচন?
ইতিমধ্যে আমার নিজের এলাকার মহানগরীর
নির্বাচন নিয়ে একজন প্রাক্তণ ভাই মন্তব্য করে বসলে ফেইসবুকে। তিনি লিখলেনঃ “যে কোন রাজনৈতিক দলের মহানগর, জেলা ও উপজেলা শাখার সভাপতি একনাগাড়ে তিন সেশন থাকলে নতুন
নেতৃত্ব সৃষ্টির পথ বন্ধ হয়ে যায়।”
আর সেই
পোষ্টের মধ্যে একজন
ভাই মন্তব্য করলেনঃ Specialy sylhet notun netritto ahsar shujug nai kisu
poribarer kase shonggoton bondi hoye gese (স্পেশালী সিলেট নতুন নেতৃত্ব আশার সুযোগ নাই কিছু পরিবারের কাছে সংগঠন বন্ধি হয়ে গেছে)।
এই পোষ্ট দেখে প্রশ্ন জাগে একটি ইসলামী
সংগঠন হিসাবে জামায়াতে ইসলামীর এই নির্বাচন প্রক্রিয়াটি কি গনতান্ত্রিক? না এটি ইসলামিক?
আমাদের এই আলোচনায় আমরা ২টি বিষয়ে হাইলাইট
করবো। ১. নির্বাচিত দায়িত্বশীল এক নাগাড়ে কত সেশন দায়িত্ব পালন করবেন? ২.
শীর্ষ দায়িত্বশীলের পরিবারের লোক হওয়া কি সংগঠনের কোন পর্যায়ে দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য
অযোগ্যতা?
প্রথমেই আলোচনা করতে চাই দ্বিতীয় বিষয়টি।
ফেইসবুকের মন্তব্যঃ “যে কোন
রাজনৈতিক দলের মহানগর, জেলা ও
উপজেলা শাখার সভাপতি একনাগাড়ে তিন সেশন থাকলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির পথ বন্ধ হয়ে
যায়।” এর প্রতিক্রিয়ায় মন্তব্য করা
হয়েছেঃ “স্পেশালী সিলেট নতুন নেতৃত্ব আশার সুযোগ নাই কিছু পরিবারের কাছে সংগঠন বন্ধি হয়ে গেছে”। মন্তব্যকারী
এখানে নাম উল্লেখ না করলেও আমি লেখাটি পাঠকদের বোধগম্য করার জন্য একটি নাম উল্লেখ
করতে চাই। আর তা হলো “মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম”। যিনি সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর
আমীর নির্বাচিত হয়েছে এবং তিনি পারিবারিক ভাবে আমীরে জামায়াতের ছোট ভাই। এখন
প্রশ্ন হচ্ছে, ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী ফখরুল ইসলাম কি আমীরে জামায়াতে উত্তরাধিকারী?
উত্তর হচ্ছে না। উত্তরাধিকারী হিসাবে তার ছেলে সন্তান রয়েছে। কিন্তু ফখরুল ইসলাম
লোকটা কে? তাকে আমীরে জামায়াত কি রাস্তা থেকে ধরে এনে সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামী
পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন? না তার মাঝে যোগ্যতার কিছু আছে?
ফখরুল
ইসলাম সিলেট সরকারী কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব
পালন শুরু করেন। মরহুম সুহেল আহমদ চৌধুরী সিলেট শহরকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহরে
রূপান্তরিত করার জন্য যাদেরকে খলিফা হিসাবে ভূমিকা পালন করতে পেয়েছেন, ফখরুল ইসলাম
তাদের অন্যতম। সর্বশেষ তিনি সিলেট জেলা শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন শেষে সিলেট
মহানগর শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্য
(সম্ভবতঃ কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক) হিসাবে দায়িত্ব পালন করে ছাত্রজীবন শেষ করেন।
বর্তমান নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল জনাব এহসানুল
মাহবুব জুবায়ের যখন শিবিরের সিলেট মহানগরীর সভাপতি, একই সময়ে ফখরুল ইসলাম সিলেট
জেলা সভাপতি ছিলেন। একই ভাবে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের যখন সিলেট মহানগর
জামায়াতের আমীর, তখন ফখরুল ইসলাম নায়েবে
আমীর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ফখরুল ইসলাম মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর উড়ে
এসে জুড়ে বসে হোননি। বরং জামায়াতে ইসলামীর তৃণমূল থেকে দায়িত্ব পালন করে করে সেই পর্যায়ে
পৌছেন। এহসানুল মাহবুব জুবায়েরকে যখন কেন্দ্রে সহকারী সেক্রেটারী করার লক্ষ্যে
সিলেট বিভাগীয় দায়িত্বশীল করে নেয়া হয়, তখন তার শুন্যপদে জনাব ফখরুল ইসলাম আমীর
হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত হোন। সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে যদি ফখরুল
ইসলাম যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হোন, তাহলে কেবলমাত্র আমীরে জামায়াতের ভাই হওয়ার কারণে
তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না-এমন চিন্তা যেমন সুস্থ চিন্তা নয়, তেমনি এই
চিন্তা ইসলামী শরীয়াও এ্যালাও করে না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, যদি তদানিন্তন
সময়ে নায়েবে আমীর ডা. সায়েফ আহমদ ও মহানগর সেক্রেটারী সিরাজুল ইসলাম শাহীন যথাক্রমে
কানাডা ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী না হতেন, তাহলে হয়তো জনাব ফখরুল ইসলাম এখনো মহানগর
আমীর হতেন না।
ইসলামের
ইতিহাসে দায়িত্ব প্রদানের বিষয়টি আমীরের সম্পূর্ণ নিজস্ব এখতিয়ার। আমি ব্যক্তিগত
ভাবে জেলায় জেলায় এবং মহানগর কিংবা উপজেলায় উপজেলায় যে আমীর নির্বাচনের ব্যবস্থা
করা হয়, তাকে ইসলামী তরিকা মনে করি না। আমি মনে করি আঞ্চলিক আমীর নিযুক্ত হবেন আমীরে
জামায়াতের একক নিজস্ব এখতিয়ারে। কিন্তু আঞ্চলিক দায়িত্বশীল নিয়োগে নির্বাচন করা
হবে এই পদ্ধতিটি জামায়াতে ইসলামী ইসলামের কোন ধরণের উসুল থেকে গ্রহণ করেছে, তা
আমার অজানা।
ইসলামের
ইতিহাসে নিজের আত্মীয় স্বজন বা নিজ পরিবারের লোকদের দায়িত্ব প্রদানের নজির রয়েছে।
খুলাফায়ে রাশেদার সময়ে হযরত উসমান রা. এর সময়ে এমন করা হয়েছে বলে তার বিরোধীরা
অভিযোগ করে থাকেন অথবা তার সমর্থক উদারপন্থী স্কলাররাও তাদের পর্যালোচনায় উল্লেখ
করেন। আল্লাহর রাসূল সা. তার জীবনের বিভিন্ন বাঁকে বাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব
পালনের জন্য তার পরিবারের সদস্য হিসাবে হযরত আলী রা.কে নিয়োগ প্রদান করেছিলেন,
এমনটা আমরা সবাই জানি।
বিধায়,
কেবলমাত্র আমীরে জামায়াতের পরিবারের সদস্য বা আমীরে জামায়াতের এলাকার লোক হওয়ার
কারণে কেউ দায়িত্ব পালনের জন্য অনুপযুক্ত হবে, এমনটা ইসলাম বিরোধী এবং সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তির অধিকার খর্ব করার মতো যুলুম।
আমি তো
ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, পরিবারের সদস্যদের জামায়াতে ইসলামী বঞ্চিত করে এবং
পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে জামায়াতে ইসলামী অনেকে যোগ্য দায়িত্বশীল হওয়া থেকে
বঞ্চিত হোন। অথচ জন্মলগ্ন থেকে তারা পারিবারিক ভাবে সংগঠন পরিচালনা শিখে আসেন।
কিন্তু জামায়াতের সিসটেমের কারণে যোগ্য লোকেরা জামায়াতকে সার্ভিস দিতে পারেন না।
অন্যান্য সংগঠন (ইসলামিক ও অনৈসলামিক) তাদের পরিবারের সদস্যদের যেভাবে প্রোমোট
করে, জামায়াতী পরিবারের সদস্যদেরও তেমনি প্রমোট করা দরকার।
এবার
আলোচনায় আসা যাক প্রথমোক্ত বিষয়ঃ “যে কোন রাজনৈতিক দলের মহানগর, জেলা ও উপজেলা শাখার সভাপতি একনাগাড়ে তিন সেশন থাকলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির পথ
বন্ধ হয়ে যায়।” মন্তব্য নিয়ে আলোচনা।
প্রথম
কথা হলোঃ এই ব্যাপারে ভিন্নমতও আছে। যেমন আমি মনে করি নেতৃত্ব সৃষ্টির পথ বন্ধ হয়
না, বরং পরবর্তী নেতৃত্ব পাকাপোক্ত হয়। বর্তমান নেতৃত্বের মাঝে যারা শীর্ষ
নেতৃত্বর কাছাকাছি অবস্থান করেন, যেমন কেন্দ্র বা জেলা/মহানগর পর্যায়ে নায়েবে
আমীর, সেক্রেটারী বা সহকারী সেক্রেটারী-তাদের কাছে পরবর্তী বছর গুলোতে আমীর হওয়া
কিংবা সেক্রেটারী জেনারেল হওয়ার আকাংখা থাকতে পারে (নাউযুবিল্লাহ)। এই আকাংখাটা
ইসলামী শরীয়া এ্যালাউ করে না। বিধায় দীর্ঘ মেয়াদে আমীর নির্বাচন করে এবং বারবার
আমীর নির্বাচন করে সেই আকাংখাটাকে নির্মূল করে নিম্নতম দায়িত্বশীলদের ধৈর্য ও
আনুগত্যের পরীক্ষা হওয়া উচিত। সেই পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন, কেবল তারাই
পরবর্তীর আমীর হওয়ার যোগ্য।
দুই বছর
বা তিন বছর পরপর আমীর নির্বাচনের এই ব্যবস্থাটা কি ইসলাম অনুসৃত, নাকি এটা তথাকথিত
গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা তথা মানব রচিত মতাদর্শের আবিষ্কার? এই প্রেকটিসটা তো ইহুদী
খৃষ্টানদের দান।
ইসলামী
জীবন ব্যবস্থা বা রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে যদি আমরা দৃষ্টি দেই, তাহলে কোথাও কয়েক
দিন পরপর বা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের পর চলমান সভাপতি, দায়িত্বশীল, আমীর, খলিফা কাউকে
দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বা তৃতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচনের সম্মুখীন হতে দেখিনা।
ইসলামী
রাষ্ট্রব্যবস্থার বা আন্দোলন ও সংগঠনের প্রথম ‘আমীর’ হিসাবে যদি রাসূল সা.কে
বিবেচনায় নেয়া হয়, তাহলে তিনি আমৃত্যু সেই পদে আসীন ছিলেন। অতঃপর খুলাফায়ে রাশেদার
যুগে আমীরুল মুমিনিন বা খলিফাতুল মুসলিমিনরাও আমৃত্যু আমীর হিসাবে দায়িত্ব পালন
করেছেন। এরপর রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা চলে আসলেও আহলে ইলম সেই যুগকে খাইরুল কুরুন
(শ্রেষ্ঠ যুগ) হিসাবে গন্য করেছেন। সেই যুগ থেকে নিয়ে উমাইয়া, আব্বাসী খেলাফত
মাড়িয়ে সর্বশেষ উসমানী খেলাফতের সময়েও যারা
খলিফা বা আমীর বা সম্রাট নির্বাচিত বা নিযুক্ত হয়েছিলেন, তারা আমৃত্যু সে দায়িত্ব
পালন করেছেন।
জামায়াতে
ইসলামী বা ইসলামী সংগঠনে যদি কেউ আমীর হোন (আমীর বলতে আমি আমীরে জামায়াত বা
কেন্দ্রীয় আমীর বুঝাচ্ছি), তাহলে তিনি আমৃত্যু সে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি কেবলমাত্র
তখনই তার পরিষদের ভোটভোটির সম্মুখীন হবেন, যখন তার বিরুদ্ধে কখনো অনাস্তা প্রস্তাব
আনা হবে। আর অধ্বঃস্তন সংগঠনের ইসলামী যামানার গভর্নরদের মতো সবাই আমীরে জামায়াত
কর্তৃক নিযুক্ত হবেন, তারা স্থানীয় রুকনদের ভোটে নির্বাচিত হবেন না। তাহলে
জামায়াতে ইসলামীর এই মেয়াদান্তে নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি ইসলামী নিয়মের অনুসরণ, না
তথাকথিত গনতন্ত্রের প্রচ্ছন্ন অনুসরণ?
প্রসংগত
উল্লেখ করতে চাই যে, জামায়াতে ইসলামী সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জাতীয়
সংসদে আসন ভিত্তিক ভোটের পরিবর্তে জাতীয় ভাবে শতকরা ভিত্তিতে ভোটের প্রস্তাব করা
হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি, জামায়াতে ইসলামীতে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার নির্বাচন হয়
অঞ্চল ভিত্তিক। প্রতিটি জেলা/মহানগর থেকে নির্ধারিত সংখ্যাক আসনে প্রতিনিধি
নির্বাচিত হয়ে আসেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরাতে। তৃণমূল পর্যায়ের (যেমন খাগড়াছড়ি বা
টেকনাফ, কিংবা তেতুলিয়া) একজন জেলা দায়িত্বশীল আসনের ভিত্তিতে মজলিসে শুরা সদস্য
নির্বাচিত হচ্ছেন। অথচ ঢাকা মহানগরীতে থাকা দক্ষ যোগ্য দায়িত্বশীল কোটার আসনের
কারণে তিনি নির্বাচিত হচ্ছেন না। যদি আমীরে জামায়াতের নেক নজর তার দিকে পড়ে, তাহলে
তিনি হয়তো মনোনীত হতে পারেন। কিন্তু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অধিক সংখ্যক
দায়িত্বশীলের অবস্থান ও আসন বাধ্যবাধকতার কারণে তিনি নির্বাচিত হতে পারছেন না। এতে
করে যোগ্য দায়িত্বশীলের পরামর্শ থেকে সংগঠন বঞ্চিত হচ্ছে।
এখন যদি
জামায়াতের দাবী হয়ে থাকে যে, শতকরা প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্য নেতাদের
সংসদ সদস্য করা হবে, তাহলে তৃণমূলে থাকা বর্তমান প্রার্থীরা আগামীতে সংসদ সদস্য
হতে পারতেছেন না। কিন্তু এই ধারণাটা কেন জামায়াতে ইসলামী নিজ সংগঠনে প্রেকটিস করছে
না। অর্থাৎ জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শুরার সদস্যরা আঞ্চলিক আসনের ভিত্তিতে
নির্বাচিত না হয়ে কেন জাতীয় ভাবে নির্বাচিত হবেন না। সারা দেশের রুকনরা সারা দেশের
রুকনকদের মধ্য থেকে নির্ধারিত সংখ্যক সদস্যদেরকে কেন একই সাথে ভোট প্রদান করতে
পারবে না? তাহলে এই আসন ভিত্তিক মজলিসে শুরার নির্বাচন-এটা গনতান্ত্রিক না
ইসলামিক?
সামগ্রিক
ভাবে প্রশ্ন হচ্ছে,
১. জামায়াতে
ইসলামীর নির্বাচন প্রক্রিয়া গনতান্ত্রিক, নাকি ইসলামিক?
২. জামায়াতে
ইসলামীতে আমীর নির্বাচন কেন নির্দিষ্ট মেয়াদ পরপর হবে-এটা গনতান্ত্রিক, না ইসলামিক?
৩. জামায়াতের
দায়িত্বশীলদের নিকটাত্মীয়রা কেন বঞ্চিত হবে-এটা গনতান্ত্রিক, না ইসলামিক?
৪. জামায়াত
ইসলামীর মজলিসে শুরার নির্বাচন কেন আসন ভিত্তিক হবে, জাতীয়ভাবে হবে না-এটা
গনতান্ত্রিক, না ইসলামিক?
2 Comments