প্রশ্নোত্তর
ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কাঙ্খিত মান
1. বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-এর নির্বাচিত আমীর মুহতারাম অধ্যাপক গোলাম আযমকে সরকার অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ রাখার ফলে ১৯৯২ সালের সদস্য সম্মেলনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর হিসাবে কে নেতৃত্ব প্রদান করেন?
উত্তরঃ মরহুম আব্বাস আলী খান। (কর্মীদের কাঙ্খিত মান-প্রকাশকের কথা)
2. সাইয়েদ আহমদ শহীদ বেরেলভীর (রহ) যে সংগঠন কায়েম করেন, তার নাম কি?
উত্তরঃ তাহরিকে মুজাহেদীন। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৭)
3. উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে সত্যিকার অর্থে “খিলাফত আলা মিনহাজিন্নাবুয়্যৎ অর্থাৎ নবী মুস্তাফার (সা.) প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্রের অনুকরণে একটি খোদার প্রতিনিধিত্বমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল কার নেতৃত্বে এবং কোন সংগঠনের মাধ্যমে?
উত্তরঃ সাইয়েদ আহমদ শহীদ বেরেলভীর (রহ) এর নেতৃত্বে, ‘তাহরিকে মুজাহেদীন' সংগঠনের মাধ্যমে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৭)
4. সাইয়েদ আহমদ শহীদ বেরেলভীর (রহ) কত সালে কোথায় শাহাদাত বরণ করেন?
উত্তরঃ ১৮৩১ সালে বালাকোটে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৭)
5. “আমি সপ্ত রাজ্যের বাদশাহীকে ঘাসতুল্যও গণ্য করি না। দীন প্রতিষ্ঠার কাজে যখন আল্লাহর সাহায্য শুরু হবে এবং খোদাদ্রোহীরা ছিন্নমূল হয়ে যাবে, তখন আমার চেষ্টা-চরিত্রের তীর স্বয়ং লক্ষ্যস্থলে পৌঁছে যাবে। আমি খোদা ছাড়া অন্যান্য সব কিছু থেকে চক্ষু ও কর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। খোদা ছাড়া কারো সাহায্য ও সন্তুষ্টি আমার কাম্য নয়। রত্ন খচিত রাজমুকুট এবং সেকান্দার বাদশাহর তখত্ ও তাজ আমার দৃষ্টিতে একটি যবের দানার সমতুল্যও নয়। আমার শুধু এতোটুকু আরযু-অভিলাষ যে, দুনিয়ার সর্বত্র রাব্বুল আলামীনের হুকুম জারি হোক।” এই কথাগুলো কে বলেছেন?
উত্তরঃ সাইয়েদ আহমদ শহীদ বেরেলভীর (রহ) (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৭-৮)
6. হযরত সাইয়েদ আহমদ বালাকোটে শাহাদাতের অমৃত পান করে দুনিয়া থেকে বিদায় হলেন। কিন্তু ইসলামী আন্দোলনকে আমানত হিসাবে কাদের কাছে রেখে গেলেন?
উত্তরঃ উপমহাদেশের আলেম সমাজের কাছে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৮)
7. হযরত সাইয়েদ আহমদ বালাকোটে শাহাদাতের পর একশ’ বছর পর তার রেখে যাওয়া আমানতের দায়িত্ব গ্রহণ কে করেন?
উত্তরঃ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৮)
8. সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী তার আন্দোলনের সূচনা করেন কিসের মাধ্যমে?
উত্তরঃ একটি মাসিক পত্রিকার মাধ্যমে (তরজমানুল কুরআনের মাধ্যমে)। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৮)
9. ইসলামই একমাত্র বিশ্বজনীন সত্য ও সঠিক মতবাদ ও মানব জাতির জন্যে খোদা প্রদত্ত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। তার অর্থ শুধু এ নয় যে, ইসলামের প্রচারকার্য চালাতে থাকুন, এতে সারা দুনিয়া জয় করে ফেলবেন। তাহলে আসল কথাটা কি?
উত্তরঃ আসল কথা প্রতিটি সভ্যতার মূলোৎপাটনের জন্যে প্রয়োজন হয় একটি শক্তির, একটি সংগঠিত মযবুত দলের। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৮)
10. দুনিয়াকে ভবিষ্যত অন্ধকার যুগের বিপদ থেকে মুক্ত করার জন্যে এবং ইসলামের অবদান থেকে উপকৃত হওয়ার জন্যে এতোটুকুই যথেষ্ট নয় যে, তার একটা সঠিক মতবাদ বিদ্যমান আছেই। বরঞ্চ সঠিক মতবাদের সাথে কি প্রয়োজন?
উত্তরঃ একটা সৎ জামায়াত বা দলের প্রয়োজন। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৮-৯)
11. মাওলানা মওদূদী ইসলামী বিপ্লবের জন্যে একটি মূল্যবান প্রবন্ধ একচল্লিশ সালের এপ্রিল মাসের তরজমানুল কুরআনে প্রকাশ করেন। এ প্রবন্ধের দ্বারা আকৃষ্ট ও অনুপ্রাণিত হয়ে মাওলানার আহ্বানে এ বছরের আগস্ট মাসে লাহোরে ৭৫ জন আল্লাহর নেক বান্দাহ একত্রে মিলিত হন এবং ‘জামায়াতে ইসলামী' নামে একটি বিপ্লবী আদর্শবাদী দল গঠিত হয়। সেই প্রবন্ধটির শিরোনাম কি?
উত্তরঃ ‘সৎ জামায়াতের প্রয়োজনীয়তা'। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৯)
12. জামায়াতে ইসলামী কত তারিখে কতজন লোক নিয়ে কোথায় গঠিত হয়?
উত্তরঃ একচল্লিশ সালের আগস্ট মাসে ৭৫ জন লোক নিয়ে লাহোরে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৯)
13. সংগঠনের প্রতি নিষ্ঠা ও আনুগত্য। দ্বিধাহীনচিত্তে সংগঠনের সকল নির্দেশ পালন। বৈঠকাদিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ, কর্ম তৎপরতার নিয়মিত রিপোর্ট পেশ প্রভৃতিকে কি হিসাবে গণ্য করা হয়?
উত্তরঃ সাংগঠনিক মান। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৯)
14. আন্দোলন ও দলের কর্মীদের দু’ধরণের মান অপরিহার্য হয়ে থাকে। একটি হলো, যে মান কুরআন পাক তৈরি করতে চায়, যে মান তৈরি করেন নবী করীম (সা.) সাহাবা কিরামেরা। আরেকটি কি?
উত্তরঃ সাংগঠনিক মান। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৯)
15. এক ব্যক্তি বহু ডিগ্রীধারী পণ্ডিত হতে পারেন, বিবিধ জ্ঞান-বিজ্ঞানে পারদর্শী হতে পারেন, একজন নানাবিধ অনলবর্ষী বক্তা হতে পারেন. কুরআন-হাদীসে পারদর্শী হতে পারেন, সাংগঠনিক যোগ্যতার অধিকারী হতে পারেন। কিন্তু তাঁর মধ্যে যদি তিনটি গুণাবলীর অভাব থাকে, তাহলে সাংগঠনিক মান ইসলামী বিপ্লবের জন্যে অর্থহীন হয়ে পড়ে। সেই তিনটি গুণাবলী কি কি?
উত্তরঃ ১. তাওয়াভিত্তিক গুণাবলীর অভাব। ২. প্রতিটি কথা ও কাজের মধ্যে যদি ইসলামী আদর্শের প্রতিফলন পরিলক্ষিত না হওয়া। ৩. নিজেকে ইসলামের মূর্ত প্রতীক বানাতে অপারগ হওয়া। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১০)
16. তাহরিকী মেযাজ-প্রকৃতি মানে কি?
উত্তরঃ আন্দোলনী মেযাজ-প্রকৃতি। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১০)
17. ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্যে কর্মীদের ব্যক্তিগত গুণাবলী অর্জনের পূর্বে অথবা সাথে সাথে কোন ধরণের মেযাজ তৈরী হওয়া বাঞ্ছনীয়?
উত্তরঃ তাহরিকী/আন্দোলনী। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১০)
18. যে তারিকী বা আন্দোলন নিয়ে আপনারা মাঠে নেমেছেন, সে আন্দোলনের মধ্যে আপনাদেরকে পুরোপুরি পাকাপোক্ত হতে হবে। এর মধ্যে নিমগ্ন হয়ে যাবেন। এর জন্য মনের মধ্যে আগ্রহ-উৎসাহ সৃষ্টি করতে হবে। একে দুনিয়ার সকল কিছু থেকে প্রিয় মনে করতে থাকবেন। নিজের মনের, দেহের এবং অন্যান্য যেসব শক্তি সামর্থ আপনাদেরকে দান করেছেন, তা সবকিছু তাঁর পথে নিয়োজিত করার জন্যে উঠেপড়ে লাগবে। আপনাদের মধ্যে এ দৃঢ় সংকল্প পয়দা হতে হবে যেন আপনারা আপনাদের সব কিছুই একাজে নিয়োজিত করেন। এই ধরণের অবস্থাকে কি বলে?
উত্তরঃ তাহরিকী মেযাজ। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১০)
19. তাহরিকী মেযাজ কিভাবে তৈরী করা যায়?
উত্তরঃ ১. তরবিয়াত গাহ বা শিক্ষা শিবিরের মাধ্যমে। ২. ইসলামী সাহিত্য পড়াশুনা। ৩. আন্দোলনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে বাস্তবে কর্মত’পরত হয়ে পড়া। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১১)
20. আন্দোলনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন, তাতে বাস্তবে কার্যতৎপর হয়ে পড়ুন। তাহলে দেখবেন বিভিন্ন ধরনের বিরোধিতা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবেন। আপনার ভবিষ্যত বিপজ্জনক মনে হবে। অনেক সময় মারপিটও খেতে হবে। জেল-জুলুম ও নির্যাতনও হতে পারে আপনাদের উপরে। তারপর দেখবেন, এ কাজে আপনার উৎসাহ-উদ্যম বেড়েই চলেছে। এ কাজকে তখন জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য মনে করবেন । অবস্থা যতোই কষ্টদায়ক হোক, বিপজ্জনক হোক, এর মধ্যে একটা মানসিক প্রশান্তি লাভ করতে থাকবেন। এই অবস্থাকে কি বলে?
উত্তরঃ তাহরিকী মেযাজ-প্রকৃতি । (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১১)
21. কর্মীদের কাংখিত মান কি হতে পারে?
উত্তরঃ যে মান আল্লাহ তাআলার ইন্সিত, যে মান তিনি পছন্দ করেন, যে মানে তিনি সন্তুষ্ট হন। যার ফলে বান্দাহর সকল গোনাহ মাফ করে দেন এবং আখিরাতে পুরস্কারস্বরূপ তাকে জান্নাত দান করেন। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১১)
22. যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সুস্পষ্টরূপে ঘোষণা করেছেন। নবী করীম সা. ও তাঁর সাহাবায়ে কিরাম যা করেছেন, তা কি?
উত্তরঃ নেক আমল। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১২)
23. ঈমানসহ নেক আমল এবং তার জন্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আখেরাতের পুরস্কার- এ সবকিছু নির্ভর করছে কিসের উপর?
উত্তরঃ খোদাভীতির উপর। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১২)
24. যে ব্যক্তি খোদার ব্যাপারে বেপরোয়া, ভয়হীন ও দুঃসাহসী হয়ে জীবন যাপন করেনি বরঞ্চ প্রতি মুহূর্তে ও পদে পদে খোদাকে ভয় করে চলেছে। খোদার কাছে ধরা পড়া যেতে পারে, এমন কোন কাজই তার দ্বারা যেন কখনো না হয়, তার জন্য পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করে চলেছে, সে কে?
উত্তরঃ খোদার প্রিয় বান্দাহ। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১২)
25. নেক আমল ও তার জন্যে ব্যক্তির যে প্রয়োজনীয় গুণাবলী তা অর্জন করা হঠাৎ রাতারাতি কিছুতেই সম্ভব নয়। তাহলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ এর একটা Process আছে, কর্মপদ্ধতি আছে, তা অবলম্বন করেই নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১২)
26. ব্যক্তিগত গুণাবলীর মধ্যে প্রাথমিক ও মৌলিক গুণ কি?
উত্তরঃ মুজাহাদায়ে নফস বা আমাদের প্রত্যেককে নিজের মনের সাথে লড়াই করে প্রথমে তাকে মুসলমান ও খোদার অনুগত বানাতে হবে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৩)
27. হাদীসে যেসব ব্যক্তিগত গুণাবলীর কথা বলা হয়েছে, তার প্রথমটি কি?
উত্তরঃ মুজাহাদায়ে নফস। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৩)
28. ব্যক্তিগত গুণাবলীর মধ্যে প্রাথমিক ও মৌলিক গুণ এই যে, আমাদের প্রত্যেককে নিজের মনের সাথে লড়াই করে প্রথমে তাকে মুসলমান ও খোদার অনুগত বানাতে হবে। এ কথাকেই হাদীসে কিভাবে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ الْمُجَاهِدُ مَنْ جَاهَدَ نَفْسَهُ فِي طَاعَتِ اللهِ. বা সত্যিকার মুজাহিদ সেই, যে আল্লাহর আনুগত্যের জন্যে নিজের নফসের সাথে সংগ্রাম করেছে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৩)
29. যে খোদার আইন ও তাঁর সন্তুষ্টির বিরুদ্ধে চলার জন্যে সর্বদা চাপ সৃষ্টি করে। সে কে?
উত্তরঃ নফস। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৩)
30. অপরের কাছে আনুগত্যের দাবী করার আগে করণীয় কি?
উত্তরঃ নিজে খোদার সামনে মস্তক অবনত করা। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৩)
31. নফসের বিরুদ্ধে জিহাদের পর দ্বিতীয় মর্যাদা কোন কাজের?
উত্তরঃ হিজরতের। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৩)
32. হিজরতের আসল উদ্দেশ্য বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়া বা দেশ ত্যাগ করা নয়। তাহলে আসল উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ খোদার নাফরমানী থেকে পালিয়ে খোদার সন্তুষ্টি লাভের দিকে অগ্রসর হওয়া। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৩)
33. কেউ যদি দেশ ত্যাগ করে এবং আল্লাহর আনুগত্য অবলম্বন না করে, তাহলে এই কাজ কোন ধরণের কাজ?
উত্তরঃ নির্বুদ্ধিতার কাজ। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৩)
34. مَالْهَجْرَةٌ اَفْضَلُ يَارَسُوْلَ الله হে আল্লাহর রাসূল! কোন্ হিজরত সবচেয়ে উত্তম? এমন প্রশ্নের জবাবে রাসূল সা. কি বললেন?
উত্তরঃ أَنْ تَهْجُرَ مَا كَرِهُ رَبُّكَ (তুমি সে সব কাজ পরিহার করবে-যা আল্লাহ অপছন্দ করেন)। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৩-১৪)
35. ইসলামী আন্দোলন যাঁরা করেন, তাঁদের বাইরের শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামের পূর্বে কি করতে হবে?
উত্তরঃ ভেতরের বিদ্রোহী শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৪)
36. পারিভাষিক কাফেরকে মুসলমান বানাবার পূর্বে কাকে মুসলমান বানাতে হবে?
উত্তরঃ আপন নফসকে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৪)
37. প্রকৃত দাওয়াত ও তাবলীগ কি?
উত্তরঃ আপনি আপনার দাওয়াতের মূর্ত বহিঃপ্রকাশ ও নমুনা বিশেষ। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৪)
38. কুরআন-হাদীস অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়াশুনা করতে হবে কোন অবস্থায় নিজের মাঝে সৃষ্টি করার জন্য?
উত্তরঃ ফানা ফিল ইসলাম। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৪)
39. কোন দু‘টি বিষয় ছাড়া ইসলামী চরিত্র তৈরী, নেক আমল করা এবং সকল প্রকার পাপাচার থেকে দূরে থাকা কিছুতেই সম্ভব নয়?
উত্তরঃ খোদাভীতি ও আখেরাতে জবাবদিহির অনুভূতি (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৫)
40. কারো প্রতি সদয় থাকি অথবা ক্রুদ্ধ সকল অবস্থায় কি কায়েম করতে হবে?
উত্তরঃ ইনসাফ। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৫)
41. সততা ও ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হবে কোন কোন অবস্থায়?
উত্তরঃ দারিদ্র অথবা আর্থিক সাচ্ছল্য উভয় অবস্থায়। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৫)
42. যে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে তার সাথে কি করবো?
উত্তরঃ সম্পর্ক স্থাপন করবো। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৫)
43. যে আমাকে বঞ্চিত করবে আমি তাকে যেন কি করি?
উত্তরঃ দান করি। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৫)
44. কেউ আমার উপর জুলুম করলে আমাকে কি করতে হবে?
উত্তরঃ তাকে যেন মাফ করে দিই। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৫)
45. মাওলানা মওদূদী রাহি. এর বক্তব্য অনুযায়ী ইবাদত কি?
উত্তরঃ জীবনের সর্বক্ষণ নিজেকে খোদার বান্দাহ বলে মনে করা, অনুগত গোলামের ন্যায় মালিকের অধীন হয়ে থাকা এবং মালিকের হুকুম পালনের জন্যে সর্বদা প্রস্তুত থাকার নামই ইবাদত। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৬)
46. নামায মানুষকে কিসের জন্য প্রস্তুত করে?
উত্তরঃ ইবাদতের জন্যে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৬)
47. নামায মানুষকে কোন ইবাদতের জন্য প্রস্তুত করে?
উত্তরঃ জীবনের সর্বক্ষণ নিজেকে খোদার বান্দাহ বলে মনে করা, অনুগত গোলামের ন্যায় মালিকের অধীন হয়ে থাকা এবং মালিকের হুকুম পালনের জন্যে সর্বদা প্রস্তুত থাকার ইবাদতের জন্য প্রস্তুত করে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৬)
48. নামায যেসব এবং যে ধরনের বহু গুণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করে এবং তাকে খোদার খাঁটি বান্দাহ রূপে গড়ে তোলে তা কি কি?
উত্তরঃ ১. দাস হওয়ার অনুভূতি, ২. খোদা, তাঁর রাসূল ও তাঁর কিতাবের প্রতি ঈমান, ৩. আখেরাতের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস, ৪. খোদাভীতি, ৫. খোদাকে আলিমুল গায়েব বলে স্বীকার করা, ৬. তাঁকে সব সময় নিজের নিকটে অনুভব করা, ৭. খোদার হুকুম পালনের জন্যে সর্বদা নিজেকে প্রস্তুত রাখা, ৮. খোদার হুকুমগুলো ভালো করে জানা। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৬)
49. নামাযই সর্বোত্তম ইবাদত যা নামাযীর মধ্যে সকল বাঞ্ছিত গুণাবলী সৃষ্টি করে। নামাযই মানুষকে খোদার নৈকট্যলাভের সুযোগ করে দেয়। এ সম্পর্কে কুরআন কি বলে?
উত্তরঃ এবং সিজদা কর ও খোদার নিকটবর্তী হয়ে যাও। (আলাক : ১৯) (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৭)
50. নামাযই সর্বোত্তম ইবাদত যা নামাযীর মধ্যে সকল বাঞ্ছিত গুণাবলী সৃষ্টি করে। নামাযই মানুষকে খোদার নৈকট্যলাভের সুযোগ করে দেয়। এ সম্পর্কে হাদীসে কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ বান্দাহ ঐ সময়ে তার খোদার সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়, যখন সে খোদার সামনে সিজদায় থাকে (মুসলিম) (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৭)
51. আকায়েদের ব্যাপারে যেমন খোদার সত্তা ও গুণাবলীর উপর ঈমান গোটা দীনের উৎস, তেমনি আমলের ব্যাপারে কোন জিনিস গোটা দীনের আমলের ভিত্তি?
উত্তরঃ নামায। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৭)
52. নামাযের দু'টি রূপ আছে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. জাহিরী, ২. বাতিনী। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৭)
53. ইব্রাহীমি দোয়া কি?
উত্তরঃ إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا ۖ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৮)
54. কোন দোয়ার পেছনে রয়েছে সাইয়েদুনা হযরত ইবরাহীম আলায়হিস সালামের সত্য ঘোষণার এক স্মরণীয় দীর্ঘ ইতিহাস।
উত্তরঃ إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا ۖ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৮)
55. এমন এক দোয়া, যার চেয়ে উৎকৃষ্ট দোয়া আসমান ও যমীনে আর কিছু নেই। তা কি?
উত্তরঃ সূরায়ে ফাতিহা। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৮)
56. যখন বান্দাহ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ বলে, তখন আল্লাহ কি বলেন?
উত্তরঃ আল্লাহ বলেন, আমার বান্দাহ আমার শুকরিয়া আদায় করলো। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৯)
57. যখন বান্দাহ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ বলে, তখন আল্লাহ কি বলেন?
উত্তরঃ আল্লাহ বলেন, আমার বান্দাহ আমার প্রশংসা করলো। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৯)
58. যখন বান্দাহ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ বলে, তখন আল্লাহ কি বলেন?
উত্তরঃ আল্লাহ বলেন, বান্দাহ আমার শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করলো। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৯)
59. যখন বান্দা বলে, إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ তখন আল্লাহ কি বলেন?
উত্তরঃ আল্লাহ বলেন, এ অংশটি আমার ও আমার বান্দাহর সমান সমান। আমি আমার বান্দাহকে ওসব কিছুই দিলাম, যা সে চেয়েছে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৯)
60. বান্দাহ যখন বলে, ٱهْدِنَا ٱلصِّرَٰطَ ٱلْمُسْتَقِيمَ، صِرَٰطَ ٱلَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ ٱلْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا ٱلضَّآلِّينَ তখন আল্লাহ কি বলেন?
উত্তরঃ আল্লাহ বলেন, এ আমার বান্দাহর অংশ। সে যা কিছু চেয়েছে তা আমি তাকে দিলাম। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৯)
61. কখন বান্দার রূহ্ আনন্দে গদগদ্ হয়ে পড়ে। তার দোয়ার এক একটি শব্দ তার কাছে মণি-মুক্তার চেয়েও মূল্যবান মনে হয়?
উত্তরঃ নামাযী যখন সূরা ফাতিহার মতো দোয়া নামাযের মধ্যে পড়ে, তখন সঙ্গে সঙ্গে এ ধারণা করতে থাকে যে, তার এক একটি শব্দকে দুনিয়ার বাদশাহ রাব্বুল আলামীন কিভাবে কবুল করে নিচ্ছেন। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ১৯)
62. নামাযের কোন অংশে বান্দাহ তার মনীবের নৈকট্য লাভ করে?
উত্তরঃ সিজদায়। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২০)
63. রুকু ও সিজদার তসবিহগুলোতে বান্দাহ কি স্বীকৃতি দান করে?
উত্তরঃ আপন প্রভুর সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে পাক-পবিত্র থাকা এবং সর্বশ্রেষ্ঠ হওয়ার স্বীকৃতি দান করে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২০)
64. নামাযের রূহ কি?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২০)
65. আন্দোলনের কর্মীদের কাঙ্খিত গুণাবলী ও মান, জান ও মাল কুরবানীর প্রেরণা, আল্লাহর হক আদায়ের সাথে বান্দাহরও হক আদায় করা, আমানতদারী ও ইনসাফ কায়েম করা, প্রতি মুহূর্তে খোদার ভয় ও আখেরাতের জবাবদিহির অনুভূতি- এ সমুদয় গুণাবলী সৃষ্টি করা হয় কোন জিনিসের মাধ্যমে?
উত্তরঃ নামায। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২১)
66. যে ধরনের নামায আল্লাহর নিকট প্রিয় তা যে বড়ো কঠিন এ কথা আল্লাহ কিভাবে বলেছেন?
উত্তরঃ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةُ الأَ عَلَى الْخَاشِعِينَ الَّذِينَ يَظُنُّونَ أَنَّهُمْ مُلْقُوا رَبِّهِمْ وَأَنَّهُمْ إِلَيْهِ رَاجِعُونَ বা নামায অবশ্যই বড়ো কঠিন জিনিস। কিন্তু তাদের জন্যে নয়, যারা আল্লাহর বিনীত ও অনুগত বান্দাহ। তারা মনে করে তাদের রবের কাছে ফিরে গিয়ে মিলিত হতে হবে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২১)
67. সে ব্যক্তির স্থান আল্লাহর আরশের ছায়ার নীচে হবে, যার মন সর্বদা কোথায় লেগে থাকে?
উত্তরঃ মসজিদে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২১)
68. নামায যেমন আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়। ঠিক ততো বেশী অসহনীয় কার কাছে?
উত্তরঃ শয়তানের কাছে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২১)
69. ভালো হওয়ার সবচেয়ে ফলপ্রসূ পন্থা যেহেতু নামাযকে বলা হয়েছে, সে জন্যে সর্বপ্রথম আমাদেরকে কি করতে হবে?
উত্তরঃ নামাযকে নামাযের মতো করে আদায় করতে হবে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২২)
70. আমাদের নামায যদি আল্লাহর ফযলে রিয়া থেকে মুক্ত হয়ে ইসানের নামায হয়, তাহলে আমাদের জামায়াতের কি হবে?
উত্তরঃ আমাদের জামায়াত একটি দীনী জামায়াত হিসাবে পরিচিত লাভ করতে পারবে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২২)
71. মাওলানা মওদূদী রহ. ইসলামী বিপ্লবের সাফল্যের শর্তাবলীর মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান শর্তের উল্লেখ করেছেন। তা কি?
উত্তরঃ সাফল্যের সকল শর্ত যদি পূরণ হয়, কিন্তু দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী যদি ইসলামী শাসন মেনে নিতে রাযী না হয়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা জবরদস্তি করে তাদের উপর খোদায়ী শাসন চাপিয়ে দেবেন না। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২৩)
72. কি না হলে আমাদের গঠনমূলক সকল চেষ্টা-সাধনা ব্যর্থ হয়ে যাবে?
উত্তরঃ মযবুত জনমত সৃষ্টি না হলে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২৩)
73. ইসলামী বিপ্লবের সপক্ষে দেশে ও বিদেশে বলিষ্ঠ জনমত সৃষ্টি নির্ভর করে কোন কাজের উপর?
উত্তরঃ দাওয়াতী কাজের উপর। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২৩)
74. নামায মানুষের সকল মানসিক ব্যাধিও নিরাময় করে। তা কি কি?
উত্তরঃ গর্ব, অহঙ্কার, ঔদ্ধত্য, পারস্পরিক মনোমালিন্য, হিংসা-বিদ্বেষ, গীবত, পরচর্চা, পরনিন্দা, পদমর্যাদার লোভ-লালসা প্রভৃতি। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২৪)
75. চারিত্রিক মানদন্ড কি?
উত্তরঃ আর্থিক লেনদেন। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২৪)
76. ইসলামের বিজয়ের জন্যে আমাদের সাংগঠনিক, আদর্শিক, চারিত্রিক, ইলমি ও ফিকরী মানের সাথে আরও কিছু গুণাবলী অপরিহার্য। যেমন: ১. প্রশাসনিক যোগ্যতা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক যোগ্যতা। ২. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। তৃতীয়টি কি?
উত্তরঃ মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও আরও দু'টি ভাষায়- 'আরবী ও ইংরেজীতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২৫-২৬)
77. ইসলামের বিজয়ের জন্যে আমাদের সাংগঠনিক, আদর্শিক, চারিত্রিক, ইলমি ও ফিকরী মানের সাথে আরও ৩টি গুণাবলী অপরিহার্য। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. প্রশাসনিক যোগ্যতা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক যোগ্যতা। ২. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। ৩. মাতৃভাষা বাংলা ছাড়াও আরও দু'টি ভাষায়- 'আরবী ও ইংরেজীতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২৫-২৬)
78. প্রশাসনিক যোগ্যতা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক যোগ্যতা। এখানে দুর্নীতিমুক্ত বিশেষণ যোগ করার অর্থ কি?
উত্তরঃ প্রভূত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ দুর্নীতিপরায়ণ হয়, তাহলে সে যোগ্যতার সাথে দুর্নীতি করতে পারে। তাই প্রয়োজন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক যোগ্যতা। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২৫)
79. মুসলমান হোক অথবা অমুসলমান। আল্লাহ কাদের উপরে দায়িত্ব অর্পন করেন?
উত্তরঃ যাদের মধ্যে দেশ পরিচালনার যোগ্যতা থাকে এবং অকল্যাণ থেকে কল্যাণ বেশী করতে সক্ষম, আল্লাহ তায়ালা তাদের উপরেই এ দায়িত্ব অর্পণ করে থাকেন। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২৫)
80. স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টির পর এ দেশে সকল ইসলামী দল ও সকল প্রকার ইসলামী তৎপরতা সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর কত তারিখে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর প্রকাশ্য সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করে?
উত্তরঃ ১৯৭৯ সালের ২৫শে মে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২৯)
81. নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ১৮টি আসল গ্রহণের পর জামায়াতের এ বিজয় স্বার্থান্ধ মহলকে ভীত ও উদ্বিগ্ন করে তোলে। নির্বাচনটি কত সালে কোন মাসে অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৯১ এর ফেব্রুয়ারী মাসে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ২৯)
82. হঠাৎ ঢাকা থেকে ডজনখানেক দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ লাভ করে। এসবের উদ্দেশ্য কি ছিল?
উত্তরঃ বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলন ও তার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচারের এক বিরামহীন অভিযান শুরু করা। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩০)
83. ইসলামী আন্দোলনের পথ কোনোদিন কুসুমাস্তীর্ণ হয় না। বরঞ্চ এ যে ভয়ানক বন্ধুর, কন্টাকাকীর্ণ ও বিপদ-সংকুল, তা ভালো করে জেনে বুঝেই আমরা এ পথে পা বাড়িয়েছি এবং পেছনে আমাদের নৌকা জ্বালিয়ে দিয়ে এসেছি যাতে পেছনে ফেরার কোন উপায় না থাকে। এই উক্তিটি কার?
উত্তরঃ মরহুম আব্বাস আলী খান। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩১)
84. অংকের একটি মেধাবী ছাত্র একটা কঠিন অংক পেলে যেমন খুশী হয় যে, এতে করে তার প্রতিভার যাচাই হবে, তেমনি এক দৃঢ়-সংকল্প মুমিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে আনন্দ পায়। কারণ কি?
উত্তরঃ কারণ এর দ্বারা সে তার আনুগত্য প্রমাণ করার সুযোগ পায়। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩২)
85. আল্লাহ আমাদের কাছে এ দাবী করবেন না যে, আমাদেরকে হযরত আবু বকর রা. এবং হযরত উমরের রা. রাষ্ট্রের মতো একটি রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে। এমনটি করার সাধ্য কারো নেই এবং এর আদেশও আল্লাহ করেননি। তাহলে আমাদের কাছে কি দাবী করা হয়েছে?
উত্তরঃ আমরা দীন প্রতিষ্ঠার জন্যে সকল প্রকার চেষ্টা-চরিত্র করি এবং এ চেষ্টায় জীবনের সবকিছুই নিয়োজিত করতে পারি। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩২)
86. “এ আন্দোলনের প্রাণ হলো এমন একটি বিষয়। তাঁর সাথে আমাদের সম্পর্ক যদি দুর্বল হয়, তাহলে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার এবং তা সাফল্যের সাথে পরিচালনা করার যোগ্য আমরা হতে পারব না।” বিষয়টি কি?
উত্তরঃ খোদার সাথে দৃঢ় ও গভীর সম্পর্ক। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৩)
87. কিসের ফলশ্রুতিতে ভারত বিভক্ত হয় এবং পাকিস্তান ও ভারত নামে দু'টি স্বাধীন রাষ্ট্র অস্তিত্ব লাভ করে?
উত্তরঃ উপমহাদেশের মুসলমানগণ তাদের মৌল আকীদাহ-বিশ্বাস, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সভ্যতা-সংস্কৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে স্বতন্ত্র মুসলিম জাতি হিসাবে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্যে একটি পৃথক আবাসভূমির দাবীতে সংগ্রাম করে। তার ফলশ্রুতিতে ভারত বিভক্ত হয় এবং পাকিস্তান ও ভারত নামে দু'টি স্বাধীন রাষ্ট্র অস্তিত্ব লাভ করে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৩)
88. উপমহাদেশের মুসলমানগণ তাদের মৌল আকীদাহ-বিশ্বাস, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সভ্যতা-সংস্কৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে স্বতন্ত্র মুসলিম জাতি হিসাবে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্যে একটি পৃথক আবাসভূমির দাবীতে সংগ্রাম করে। তার ফলশ্রুতিতে কি হয় এবং কিসের অস্তিত্ব লাভ করে?
উত্তরঃ ভারকত বিভক্ত হয় এবং পাকিস্তান ও ভারত নামে দু’টি স্বাধীন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব লাভ করে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৩)
89. পাকিস্তান রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ভারত যেমন মেনে নিতে পারেনি, তেমনি করে ভারত আর কি মেনে নিতে পারেনি?
উত্তরঃ বাংলাদেশ নামে মুসলমানদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অস্তিত্বও ভারত মেনে নিতে পারেনি। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৩)
90. ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারতের বহুদিনের স্বপ্ন কি?
উত্তরঃ অখণ্ড ভারতে ‘রামরাজ' প্রতিষ্ঠা। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৩)
91. ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারতের বহুদিনের স্বপ্ন অখণ্ড ভারতে ‘রামরাজ' প্রতিষ্ঠা। এ কারণেই ভারত কি চেয়েছিল?
উত্তরঃ বাংলাদেশকে তার একটি তাবেদার রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৩)
92. বাংলাদেশের প্রথম ক্ষমতাসীন সরকার জাতিকে সঠিক দিকদর্শন দিতে পারেনি কেন?
উত্তরঃ কোন মহৎ আদর্শ, চরিত্র না থাকায় এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয়ার কারণে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৪)
93. স্বাধীন বাংলাদেশের যে সংবিধান তৈরী হয়, তাতে সমাজতন্ত্র, সিকিউলারিজম, জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র বাংলাদেশের চার রাষ্ট্রীয় স্তম্ভ হিসাবে নির্ধারিত হয়। এই স্তম্ভ গুলো কার স্তম্ভ?
উত্তরঃ ভারতীয় হিন্দু কংগ্রেসের চারটি আদর্শিক স্তম্ভ। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৪)
94. সত্যিকার দেশপ্রেম সৃষ্টি করতে পারে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করে কোন কোন বিষয়?
উত্তরঃ ইসলামী মূল্যবোধ, ইসলামী চেতনা ও চরিত্র। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৪)
95. “এক ধর্মরাজ্য হবে এ ভারতে-এ মহাবচন, করিব সম্বল” এই পংক্তিটি কোন কবিতার অংশ বিশেষ? তার রচয়িতা কে?
উত্তরঃ ‘শিবাজী’ নামক কবিতার অংশ বিশেষ, এর রচয়িতাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৫)
96. জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য কি?
উত্তরঃ আল্লাহর কিতাব, রাসূলের আদর্শ ও খিলাফতে রাশিদার পদাঙ্ক অনুকরণে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করা। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৭)
97. জামায়াতে ইসলামী দেশের ঈমানদার, সৎ ও যোগ্য লোকদের সংগঠিত করে জনগণকে শোষকদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করতে চায় কোন ধরণের নেতৃত্বের পরিচালনায়?
উত্তরঃ নিঃস্বার্থ নেতৃত্বের পরিচালনায়। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৭)
98. জামায়াতের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন ফোরাম সংগঠনের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী?
উত্তরঃ রুকন সম্মেলন। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৮)
99. জামায়াতে ইসলামীর কোন ফোরাম কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও মজলিসে শুরার যে কোন সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে?
উত্তরঃ রুকন সম্মেলন। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৮)
100. আমাদের কাজ সমাজের কোন আংশিক সংস্কার-সংশোধন নয়, তাহলে আমাদের কাজ কি?
উত্তরঃ একটি পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৯)
101. বিদেশী আধিপত্যবাদী শক্তি এবং তাদের এ দেশীয় সেবাদাসেরা একমাত্র কাদেরকে তাদের পথে বিরাট প্রতিবন্ধক মনে করে?
উত্তরঃ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৯)
102. কুরআন পাকের সূরা ইয়াসীনে এক আল্লাহর বান্দার শাহাদাতের উল্লেখ আছে। শুধুমাত্র তাঁর আপন জাতির লোক তাঁকে কোন অপরাধে হত্যা করে?
উত্তরঃ আল্লাহর বন্দেগীর দাওয়াত দেওয়ার অপরাধে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৯)
103. যে ব্যক্তি কোন মুমিনকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে তার পরিণাম কি?
উত্তরঃ জাহান্নাম। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৩৯)
104. সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে ইসলামের মূল কথা কি?
উত্তরঃ আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪০)
105. আমাদের লক্ষ্য যেহেতু সমাজের সর্বস্তরে সৎ ও চরিত্রবান লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, সে জন্যে প্রথমে আমাদের প্রত্যেককে কি হতে হবে?
উত্তরঃ সৎ ও চরিত্রবান হতে হবে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪০)
106. রূহের খোরাক কি?
উত্তরঃ আল্লাহর যিকির। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৪)
107. কিসের দ্বারা তাকওয়ার পয়দা হয়?
উত্তরঃ আল্লাহর যিকির। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৪)
108. আল্লাহ যিকির, তাকওয়া, আল্লাহর প্রেম ও ভালোবাসা- তাঁর জন্যে জীবন বিলিয়ে দেয়া, রূহের এ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া কে কি বলে?
উত্তরঃ এই হলো হাকীকী রূহানিয়াত। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৪)
109. সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদূদী রহ., যাঁর লেখা, যাঁর সাহিত্য, ইসলামকে নতুন করে তার আসল রূপে হৃদয়গ্রাহী ভাষায় তা পরিবেশন করার তাঁর যোগ্যতা ও ক্ষমতা যা আমাদেরকে জিহাদের ময়দানে টেনে এনেছে-সেই মাওলানা মরহুম যারা জামায়াতে ইসলামী করে এবং দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন উপায়ে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইসলামী আন্দোলন করে তাদের সকলের কাছে জামায়াতে ইসলামী তথা ইসলামী আন্দোলনকে কোন হিসাবে রেখে গেছেন?
উত্তরঃ আমানতস্বরূপ। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৪-৪৫)
110. কোন অবস্থায় ইসলামী বিপ্লব কেউ রুখতে পারবে না?
উত্তরঃ আমাদের আমল-আখলাকে যদি আল্লাহ খুশী হযে যান এবং তিনি যদি মনে করেন যে, হ্যাঁ, এমন একটি দল তৈরী হয়েছে যাদের হাতে রাজনৈতিক ক্ষমতা দেয়া যেতে পারে এবং সামান্যতম ক্ষমতার অপব্যবহারও তারা করবে না। আমানতদারী ও দিয়ানতদারী তারা করবে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৫)
111. কুরআন পাক পড়লে দেখা যাবে রাহমানুর রাহীম আল্লাহ তাআলা যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, মানুষকে অত্যন্ত ভালোবাসেন, মানুষের হিদায়াতের জন্যে যেখানে কিছু কথা বলেছেন, কিছু নসিহত করেছেন সেখানে প্রত্যেকটি কথার সাথে তিনি কি বলেছেন?
উত্তরঃ ইত্তাকুল্লাহ- অর্থাৎ আল্লাহকে ভয় কর। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৫)
112. নূহ আ. তার জাতিকে কি বলেছেন?
উত্তরঃ يَٰقَوۡمِ إِنِّي لَكُمۡ نَذِيرࣱ مُّبِينٌ أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱتَّقُوهُ وَأَطِيعُونِ (হে আমার জাতির লোকজন! আমি তোমাদের জন্যে একজন সুস্পষ্ট ভাষায় সাবধানকারী (নবী)। তোমাদেরকে (সাবধান) করে দিচ্ছি তোমরা সকলে আল্লাহর দাসত্ব কর। আল্লাহর হুকুম মেনে চল, তাকে ভয় করে চলো এবং আমার আনুগত্য করে কাজ কর।) (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৫)
113. তাকওয়া মানে কি? আল্লাহর ভয় মানে কি?
উত্তরঃ তাকওয়া মানে-আল্লাহর ভয়। আল্লাহর ভয় মানে-একীন ও দৃঢ় প্রত্যয়। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৫)
114. আল্লাহ তাআলা আমার সাথে আছেন। তিনি হাযির ও নাযির আছেন। আমি যা কিছু প্রকাশ্যে ও গোপনে করছি তিনি তো দেখছেনই বটে, তাঁর নিয়োজিত অফিসারগণ অর্থাৎ ফেরেশতাগণ সবকিছুর ভিডিও ফিল্ম তৈরী করছেন। কোন কিছু লুকোবার উপায় নেই। এমন অনুভূতিকে কি বলে?
উত্তরঃ তাকওয়া বা আল্লাহর ভয়। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৬)
115. এমন কিছু করবো না এবং করতে পারি না যা আমার মনীবকে নারায করে, অসন্তুষ্ট করে। মনীব যদি বান্দাহর প্রতি নারায হয়, তাহলে তা বান্দাহর একেবারে সর্বনাশ। তখন তার আর কিছুই করার থাকে না। এমন অনুভূতিকে কি বলে?
উত্তরঃ তাকওয়া বা আল্লাহর ভয়। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৬)
116. কোন গুণ অর্জন করলে বান্দাহর মধ্যে খোদাপ্রেম সৃষ্টি হয়, সে খোদাপ্রেমিক হয়ে যায়?
উত্তরঃ তাকওয়া বা আল্লাহর ভয়। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৭)
117. جان دی دی ہوئی اسی کی تھی ۔ حق تو یہ ہے کہ حق ادا نہ ہوا জাঁন দি দি হুই উসি কি থি, হক ত ইয়ে হ্যায় কে হক আদা না হুয়া। এর ব্যাখ্যামূলক বাংলা কি?
উত্তরঃ যে জানটা খোদার পথে বিলিয়ে দিলাম, সে জানটা তো তাঁরই দেয়াছিল। এতে আমার কোন ক্রেডিট আছে কি? এ জানতো তিনি আমার কাছে আমানত রেখেছিলেন। আমানত রাখা জিনিস আমি তাঁর কাছেই ফেরত দিয়েছি। এতে আমার বাহাদুরী কি? বরঞ্চ হক তো ইয়ে হ্যায় কে হক আদা না হুয়া। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৭)
118. মাওলানা মওদূদী রাহি. ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ব্যক্তিগত গুণাবলী আলোচনায় এক নম্বরে কোন গুণটির কথা বলেছেন?
উত্তরঃ মুজাহাদায়ে নফ্স। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৮)
119. এসো এখন আমরা জিহাদে আসগার থেকে জিহাদে আকবারের দিকে ফিরে যাই। জিহাদে আকবার আবার কোনটা?
উত্তরঃ নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৮)
120. বাপ-দাদার প্রচলিত ভ্রান্ত রেসম রেওয়াজ ও কুসংস্কার বাতির খোদাদের একটি। তাই সর্বযুগে নবীর দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে বিরোধীরা কি বলেছে?
উত্তরঃ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَ আমাদের বাপ-দাদাকে আমরা যেমন করতে দেখেছি আমরা তো তাই করব। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৮)
121. হাশরের মাঠে দু'ধরনের মানুষই হবে। এক ধরণের হলো” যারা দুনিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছে। অন্য ধরণের কি?
উত্তরঃ যারা তাদের অনুসরণ করেছে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৯)
122. বাতিল খোদা ৫ প্রকারের। ১. বাপ-দাদার প্রচলিত ভ্রান্ত রেসম রেওয়াজ ও কুসংস্কার। ২. ধন-দৌলত। ৩. সন্তানাদি। বাকী ২টি কি কি?
উত্তরঃ ৪. গোমরাহ, পথভ্রষ্ট ও খোদাদ্রোহী নেতা। ৫. নফ্স। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৮-৪৯)
123. নফ্স্ যে মানুষের খোদা হতে পারে এ কথা কুরআনে কিভাবে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ أَفَرَأَيْتَ مَن التَّخَذَ الهَهُ هَوَاهُ নফসকে বা প্রবৃত্তিকে যারা খোদা বানিয়ে নিয়েছে, তারা তার হুকুমেই চলে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৪৮-৪৯)
124. أَشَدُّ الجهادِ جهادُ الْهَوَى وَمَا كَرَّمَ المَرْءَ الاَّ التَّقْوَا এর অর্থ কি?
উত্তরঃ সবচেয়ে বড়ো জিহাদ হলো নসের বিরুদ্ধে জিহদ এবং তাওয়া ছাড়া আর কোন কিছু মানুষকে সম্মান দান করতে পারে না। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫০)
125. কোন সূরাকে السَّبْعُ المَثَانِي (আস সাবউল মাছানী) বলা হয়। السَّبْعُ المَثَانِي অর্থ কি?
উত্তরঃ নামাযে বার বার পঠিতব্য সাতটি আয়াত। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫০)
126. আপনার মাথা কখন সিজদা থেকে উঠতেই চাইবে না?
উত্তরঃ সিজদায় গিয়ে যখন আমরা অনুভব করব যে, আল্লাহর নৈকট্য লাভ হচ্ছে এবং আল্লাহর নৈকট্যের একটা স্বাদও উপভোগ করছি। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫১)
127. অগ্রহণযোগ্য মাল মানে রিজেক্টেড মাল। রিজেকটেড মাল কি?
উত্তরঃ ৯৯% ইখলাস আছে এবং তার সাথে ১% দুনিয়াবী স্বার্থ আছে তাহলে এই ৯৯% ইখলাস আল্লাহর কাছে একেবারে অগ্রহণযোগ্য-রিজেকটেড মাল। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫২)
128. مَن أحبَّ للَّهِ وأبغضَ للَّهِ ، وأعطى للَّهِ ومنعَ للَّهِ فقدِ استَكْملَ الإيمانَ এর বাংলা অর্থ কি?
উত্তরঃ যে ভালোবাসলো আল্লাহর জন্যে, শত্রুতা করলো আল্লাহর জন্যে, কাউকে দিল আল্লাহর জন্যে, এবং কাউকে না দিলেও তা আল্লাহর জন্যে, সে তার ঈমানকে পূর্ণতা দান করলো। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫২)
129. ‘ইস্তাকমালাল্ ঈমান' অর্থ কি?
উত্তরঃ ঈমানকে পূর্ণতা দান করেছে। বা কামালিয়াত দান করেছে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৩)
130. আমাদের জামায়াতে ইসলামীকে, ছাত্র শিবিরকে তাদের অস্তিত্বের জন্যে অত্যন্ত বিপজ্জনক মনে করে। তা আমাদের উপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করা এবং আমাদেরকে হত্যা করা। এ ব্যাপারে আমরা একটা ভুল করছি। ভূলটা কি?
উত্তরঃ আমরা তাগুতের কাছে বিচারপ্রার্থী হচ্ছি। বিক্ষোভ, মিছিল, প্রতিবাদ, সমাবেশ করছি। আমরা আল্লাহ আদালতে ধরণা দেই নি। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৩)
131. আগার মাই বয়ঠ যাঁও ত খাড়া রাহে কৌন? এই উক্তিটি কার?
উত্তরঃ মাওলানা মওদূদী রাহি. এর। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৪)
132. ১৯৬৩ সালে লাহোরে জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলনে একজন জামায়াত কর্মী খুন হোন। তিনির নাম কি?
উত্তরঃ আল্লাহ বখস। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৪)
133. ১৯৬৩ সালে জামায়াতের সম্মেলনের হামলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে মাওলানা মওদূদীকে বলা হলে, মাওলানা কি জবাব দেন?
উত্তরঃ আমি তো মামলা দায়ের করেছি সেই সর্বোচ্চ আদালতে যেখান থেকে প্রকৃত সুবিচার হবে ইনশ আল্লাহ। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৪)
134. আমাদের মধ্যে ঈমানী জয়া অবশ্যই থাকবে। জিহাদী জবা থাকবে। সেই সাথে কি থাকবে?
উত্তরঃ শাহাদাতের তামান্না। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৪)
135. শাহাদাত শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ সাক্ষ্যদান। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৪)
136. নবী সা. তবুকের অভিযানে রওয়ানা হোন কত হিজরীতে?
উত্তরঃ নবম হিজরীতে। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৫)
137. مَا أَبْقَيْتَ لَأَهْلِكَ يَا أَبَا بَكْرٍ আবু বকর! তোমার পরিবারের জন্যে কি রেখে এসেছ? কে কাকে এই প্রশ্ন করলেন? জবাবে উত্তর কি দেয়া হলো?
উত্তরঃ রাসূল সা. হযরত আবু বকরকে এই প্রশ্ন করলে আবু বকর রা. বললেন: আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাম ছাড়া আর কিছু নেই। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৫)
138. ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনি একটু হাত তুলে দোয়া করুন! আমি যেন কাফেরদের হাতে শহীদ হতে পারি। এমন আবেদন কে করেছিলেন? জবাবে রাসূল সা. কি দোয়া করলেন?
উত্তরঃ আব্দুল্লাহ যুল বাজাদাইন রা.। রাসূল সা. দোয়া করলেন: পরওয়ারদেগার। তুমি আবদুল্লাহর খুন কাফেরদের জন্যে হারাম করে দাও। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৫)
139. আব্দুল্লাহ যুল বাজাদাইন রা. চিৎকার করে বলে উঠলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনি এ কি দোয়া করলেন? আমি তো শহীদ হতে চাই। তখন রাসূল সা. কি বললেন?
উত্তরঃ আবদুল্লাহ তোমার শাহাদাতের তামান্না আল্লাহ কবুল করেছেন। তুমি যদি জ্বর হয়েও মর তাহলে তুমি হবে হাকীকী শহীদ। (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৫)
140. তাবুকের অভিযানে জ্বর আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন কোন সাহাবী?
উত্তরঃ আব্দুল্লাহ যুল বাজাদাইন রা. (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৬)
141. আব্দুল্লাহ যুল বাজাদাইন রা. লাশ কবরে নামায়েছিলেন দুইজন সাহাবী। তারা কারা?
উত্তরঃ হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. ও হযরত উমর ফারুক রা. (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৬)
142. পরওয়ারদেগার! আমি আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত আবদুল্লাহর প্রতি রাযী ছিলাম। তুমি রাযী হয়ে যাও।– কোন সাহাবীকে কবরে রাখার পর রাসূল সা. এই দোয়া করেছিলেন?
উত্তরঃ আব্দুল্লাহ যুল বাজাদাইন রা. (কাঙ্খিত মান-পৃষ্ঠাঃ ৫৬)

1 Comments