প্রশ্নোত্তরঃ
কুরআন বুঝা সহজ – অধ্যাপক গোলাম আযাম
1. কুরআন পাক আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে কি জন্য?
উত্তরঃ মানব জাতির সঠিক হেদায়াতের জন্য। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৩)
2. কিতাবকে শুদ্ধভাবে পড়ে শুনানো এবং এর সঠিক অর্থ বুঝিয়ে
দেয়ার দায়িত্ব কাদের উপর দেয়া হয়েছিল?
উত্তরঃ রাসূলের উপর। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৩)
3. রাসূল যে কিতাবের ব্যাখ্যা দাতা, আল্লাহ
তায়ালা সেই কিতাবের কি?
উত্তরঃ রচয়িতা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৩)
4. কুরআন থেকে হেদায়াত পাওয়ার জন্য প্রথম শর্ত কি?
উত্তরঃ কুরআনকে বুঝতে পারা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৩)
5. কুরআন যা মানতে বলে তা মানতে রাজী হওয়া এবং যা ছাড়তে বলে তা
ছাড়তে প্রস্তুত থাকাকে কি বলে?
উত্তরঃ তাকওয়া। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৩)
6. কুরআন বুঝবার জন্য আরবী জানা শর্ত নয়।
তাহলে আরবী অবশ্যই জানতে হবে কেন?
উত্তরঃ কুরআন বুঝাতে হলে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৪)
7. কুরআন বুঝা সহজ বইটির মূল চিন্তা ধারা অন্য একটি গ্রন্থের
ভূমিকা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রন্থটির নাম কি?
উত্তরঃ তাফহীমুল কুরআন (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৪)
8. কুরআন বুঝা সহজ বইয়ের পঞ্চম সংস্করণে তিনটি নতুন পরিচ্ছেদ
যোগ করা হয়েছে। একটি কুআনের আন্দোলনমুখী তাফসীর, দ্বিতীয়টি
আন্দোলনের দৃষ্টিতে অধ্যয়ন। তৃতীয়টি কি?
উত্তরঃ নবী কাহিনীর উদ্দেশ্য। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৪)
9. কুরআন (যা পাঠ করা হয়, যা পড়া কর্তব্য)।
ফুরকান (যা হক ও বাতিলের পার্তক্য দেখিয়ে দেয়)।
নূর (যা সঠিক জ্ঞান অর্জনের যোগ্য আলো দান করে)।
তাহলে যিকর কি?
উত্তরঃ যা নির্ভুল উপদেশ দান করে, যা ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দেয়। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৭)
10. কুরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে কয়টি সূরার বিষয় ভিত্তিক নাম নেই?
উত্তরঃ ১০৫টি সূরার। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৭)
11. কুরআনের একটি সূরা, যার নাম সূরার
মধ্যে নেই। সূরার নাম কি?
উত্তরঃ আল ইখলাছ। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৭)
12. কুরআনের ভাষা সাধারণত কিসের মতো সংক্ষিপ্ত?
উত্তরঃ টেলিগ্রামের মত। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৮)
13. যিনি পাঠিয়েছেন তিনিই এর সঠিক অর্থ জানেন।
যার কাছে পাঠানো হয়েছে তাঁকেই সঠিক অর্থ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
এটা কি?
উত্তরঃ কুরআন। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৮)
14. কুরআন যার উপর নাযিল হয়েছে, তাঁকে কি দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল?
উত্তরঃ মানব জাতিকে আল্লাহর রচিত বিধান অনুযায়ী জীবন যাপনের বাস্তব শিক্ষা দান করা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৮)
15. কিতাবী কুরআনকে জীবন্ত কুরআন থেকেই বুঝতে হবে। জীবন্ত কুরআন
কি?
উত্তরঃ মুহাম্মদ সা. (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৮)
16. কুরআনের একমাত্র সরকারী ও নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যাদাতা কে?
উত্তরঃ মুহাম্মদ সা. (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৯)
17. যুগে যুগে কুরআনের নতুন নতুন ব্যাখ্যা হতে পারে। কিন্তু
কোন ব্যাখ্যা গ্রহনযোগ্য হতে পারে না?
উত্তরঃ রাসূলের ব্যাখ্যার বিপরীতে ব্যাখ্যা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৯)
18. মধু কেমন তা খেয়েই বুঝতে হয়।
তেমনি একটি কিতাব যা না পড়া পর্যন্ত এর বৈশিষ্ট ও মর্যাদা কি তা বুঝ আসতে পারে না।
কিতাবটির নাম কি?
উত্তরঃ তাফহীমুল কুরআন। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৯)
19. কুরআনকে আসল রূপে দেখতে হলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ রাসূল (সা)-এর ২৩ বছরের সংগ্রামী জীবনের সাথে মিলিয়ে বুঝবার চেষ্টা করতে হবে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-০৯)
20.তাফহীমুল
কুরআন কোন কথাই বুঝাবার চেষ্টা করেছে?
উত্তরঃ রাসূল (সাঃ) -এর আন্দোলনকে পরিচালনা করার জন্যই কুরআন এসেছে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১০)
21. তাফহীমুল কুরআন ঈমানদার পাঠককে কোথায় হাজির করে?
উত্তরঃ রাসূল (সা) – এর আন্দোলনের সংগ্রামী ময়দানে নিয়ে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১০)
22. তাফহীমুল কুরআন কোন নিষ্ক্রিয় মুফাসসিরের রচনা নয়।
তাহলে কার রচনা?
উত্তরঃ ইকামাতে দ্বীনের আন্দোলনের সংগ্রামী নেতার। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১০)
23.কি
কারণে কুরআনকে আন্দোলনের কিতাব হিসাবে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন তখন ছিল না?
উত্তরঃ ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম থাকার কারণে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১১)
24. খুলাফায়ে রাশেদার পর খেলাফতের স্থলে রাজতন্ত্র চালু হলেও
কোন কোন ব্যবস্থা ইসলাম অনুযায়ী চলতো?
উত্তরঃ শিক্ষাব্যবস্থা, আইনব্যবস্থা, অর্থব্যবস্থা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১১)
25.কখন
ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের আন্দোলন জরুরী হয়ে পড়ল?
উত্তরঃ যখন ইংরেজ শাসন এ উপমহাদেশে ইসলামকে জীবনের সকল ক্ষেত্র থেকে উৎখাত করে কুরআনের বিপরীত শিক্ষা, সভ্যতা ও সংস্কৃতি চালু করল। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১১)
26. বিশ্ব স্রষ্টা মানুষকে অজ্ঞানতার অন্ধকারে ছেড়ে দেননি। ৪টি
মাধ্যমে জ্ঞান দানের ব্যবস্থা করেছেন। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. ইন্দ্রিয়, ২. বুদ্ধি, ৩. ইলহাম ও ৪. অহী। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১২)
27.বিশ্বজগত
ও মানব দেহকে ব্যবহার করার ব্যাপারে মানুষকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়নি। তাহলে
কি দেয়া হয়েছে?
উত্তরঃ স্বায়ত্বশাসন। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১২)
28.দুনিয়ার
জীবনটা পরীক্ষা মাত্র। এ পরীক্ষায়
মানুষ কি কারণে ফেল করে?
উত্তরঃ বস্তুজগতের প্রতি বস্তুজ্ঞান সর্বস্ব ও নীতিজ্ঞান বর্জিত দেহের তীব্র আকর্ষণ রয়েছে। নাফস বা দেহের দাবী ও রুহের স্বাভাবিক সংঘর্ষে মানুষের পরাজয় হলেই সে পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১২)
29. কি শিক্ষা দেবার জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসুল পাঠানো হয়েছে?
উত্তরঃ জীবন সমস্যার মোকাবেলা করে জীবনকে সঠিক পথে চালাবার বাস্তব শিক্ষা দেবার জন্য। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৩)
30. দ্বীন অর্থ
কি? সকল নবীর দ্বীন এক ছিল। কিন্তু সমাজ
বিবর্তনের প্রয়োজনে কি এক ছিল না।
উত্তরঃ দ্বীন অর্থঃ আনুগত্যের নীতি– আল্লাহর আনুগত্য শরীয়াত এক ছিল না। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৩)
31. মূল দ্বীনের চিরন্তন শিক্ষা ও পূর্নাঙ্গ শরীয়াত কোথায়
রয়েছে?
উত্তরঃ কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৩)
32.নবীগণ
তাঁদের দায়িত্ব যথাযথই পালন করেছেন। কিন্তু
যখনই দুটো শর্ত পূর্ণ হয়েছে তখনই ইসলামী বিধান বিজয়ী হয়েছে। শর্ত
দুটো কি কি?
উত্তরঃ ১. একদল যোগ্য লোক তৈরী হওয়া। ২. জনগণ এর সক্রিয় বিরোধী না হওয়া। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৩)
33. সমাজ
বিপ্লবের উদ্দেশ্যে পরিচালিত আন্দোলনের সাথে কার সংঘর্ষ অনিবার্য?
উত্তরঃ প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা ও কায়েমী স্বার্থের। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৪)
34.সমাজ
বিপ্লবের উদ্দেশ্যে পরিচালিত আন্দোলন সমাজের মানুষকে কয়ভাগে ভাগ করে এবং কি কি?
উত্তরঃ দুভাগে বিভক্ত করেঃ ১. বিপ্লবের অনুসারী -প্র্রধানতঃ যারা প্রচলিত সমাজের সুবিদাভোগী নয়। ২. বিপ্লব বিরোধী– প্রচলিত সমাজের কায়েমী স্বার্থ বা সুবিধাভোগী। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৪)
35. বিপ্লবী
আদর্শের অনুসারী ও বিরোধী ছাড়া আন্দোলনের বিভিন্ন সময় ৫ রকম মুনাফিকের আবির্ভাব হয়। তা
কি কি?
উত্তরঃ ১. দুর্বল মুমিন ২. দুর্বল কাফির ৩. সন্দেহ পরায়ণ বা মুযাবযাবীন ৪. মুমিন বেশে কাফির ৫. বাধ্য হয়ে মুমিন। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৪)
36.আন্দোলনের
বিভিন্ন স্তরে বিরোধীতার রুপ হয় তিন ধরণের। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. বিদ্রুপ ২. মিথ্যা প্রচার ৩. নির্যাতন। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৫)
37. রাসূল
(সাঃ)-এর আন্দোলনের দুটো যুগঃ ১. মাক্কী
যুগ- প্রথম ১৩ বছর। এটা
সংগ্রাম যুগ, লোক তৈরীর যুগ বা ব্যক্তি গঠনের যুগ ও
নির্যাতনের যুগ। ২. মাদানী
যুগ- হিজরাতের পর ১০বছর। এই যুগ
কোন ধরণের যুগ।
উত্তরঃ এটা বিজয় যুগ, সমাজ গঠনের যুগ, রাষ্ট্র পরিচারনার যুগ ও সশস্ত্র মোকাবেলার যুগ। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৫)
38. মক্কী
যুগের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে বা গোপনে (আন্ডার গ্রাউন্ড) দাওয়াত ও
সংগঠনের সময়কাল কত বছর?
উত্তরঃ ৩ বছর। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৫)
39.মক্কী
যুগের দ্বিতীয় স্থর হলোঃ কাশ্যে দাওয়াত–বিরোধীদের বিদ্রুপ ও অপপ্রচার এবং
নির্যাতনের প্রাথমিক অবস্থা। এর মেয়াদ
কয় বছর?
উত্তরঃ ২ বছর। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৫)
40.নবুওয়াতের
৭ম থেকে ৯ম বছর পূর্ণ ৩ বছর রাসূল (সাঃ) এর নিজ বংশ ‘বনী হাশিম’ সহ ‘শে’বে আবু
তালিব’ নামক উপত্যকায় কঠোর বন্দী দশা।
১০ম বছরে রাসূল (সাঃ) -এর চাচা আবু তালিব ও বিবি খাদিজা (রাঃ) ইন্তেকাল করেন।
এই সময়টাকে কি কাল হিসাবে অভিহিত করা হয়?
উত্তরঃ অত্যাচার ও নির্যাতন কাল। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৫)
41. প্রথম বাইয়াতে আকাবা এবং দ্বিতীয় বাইয়অতে আকাবাতে কতজন এবং
কতজন বাইয়াত গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ প্রথম বাইয়াতে আকাবাতেঃ ১২ জন এবং দ্বিতীয় বাইয়াতে আকাবাতেঃ ৭৫জন। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৬)
42. মাদানী যুগের বিভিন্ন স্তর মোট ১০ বছর। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. বদর যুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত- ১ বছর ৬ মাস। ২. বদর থেকে হোদায়বিয়ার সন্ধি পর্যন্ত -৪ বছর ২মাস। ৩. মক্কা বিজয় পর্যন্ত -১ বছর ১০ মাস। ৪. মক্কা বিজয়ের পর ২ বছর ৬ মাস। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৬)
43.নিম্নোক্ত
৪টি তারিখে ইসলামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ চারটি ঘটনা ঘটে। তা কি কি? (১) ১২ রবিউল
আউয়াল ১ হিজরী । (২)
রমযান ২য় হিজরী (৩) শাওয়াল ৩য় হিজরী (৪) রবিউল আউয়াল ৪র্থ হিজরী।
উত্তরঃ ১. হিজরাত। ২. বদর যুদ্ধ। ৩. ওহুদ যুদ্ধ। ৪. বানূ নাযীরের বিরুদ্ধে অভিযান। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৬)
44. ইসলামের ইতিহাসে নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ চারটি ঘটনা কখন
সংঘটিত হয়? (১) খন্দকের যুদ্ধ (২) বাইয়াতে
রিদওয়আন (৩) খায়বার যুদ্ধ (৪) মক্কা বিজয়।
উত্তরঃ ১. খন্দকের যুদ্ধ – শাওয়াল ৬ষ্ঠ হিজরী। ২. বাইযাতে রিদওয়আন – যিলকাদ ৬ষ্ঠ হিজরী। ৩. খায়বার যুদ্ধ – মুহাররাম ৭ম হিজরী। ৪. মক্কা বিজয় -রমযান ৮ম হিজরী। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৬)
45.হুনাইনের
যুদ্ধ, তাবুকের যুদ্ধ ও বিদায় হজ্জ কখন সংঘটিত হয়?
উত্তরঃ হুনাইনের যুদ্ধ- শাওয়াল ৮ম হিজরী, তাবুকের যুদ্ধ- রজব ৯ম হিজরী এবং বিদায় হজ্জ – যিলহজ্জ ১০ম হিজরীতে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৬)
46. রাসূলকে দেয়া বিরাট দায়িত্ব পালনের উপযোগী উপদেশ। তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাতের বেশি চর্চা। মানুষের
ঘুমন্ত বিবেক ও নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করে চিন্তাশক্তিকে সত্য গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা।
এসব বৈশিষ্ট হলো কুরআনের সেই সব মক্কী সূরার, যা মক্কী
জীবনের প্রথম দিকের। আরো একটি বৈশিষ্ট আছে, যা এখানে উল্লেখ
করা হয়নি, তা কি?
উত্তরঃ প্রাথমিক সূরাগুলোর ভাষা স্বচ্ছ, ঝর্ণাধারার মত ঝরঝরে, ছোট ছোট ছন্দময় আয়াত; অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও হৃদয়গ্রাহী, সহজে মুখস্ত হবার যোগ্য, অতি উন্নত সাহিত্য। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৭)
47.“মক্কী
সূরায় সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের আইন বিধান নেই।
শুধু শেষ দিকে সমাজ গঠনের ইংগিতমূলক কথা ‘ম্যানিফেস্টো’ আকারে আছে।
অতীতে বিভিন্ন জাতির নিকট নবীর আগমন —নবীর প্রতি জনগণের আচরণের ভিত্তিতে তাদের
উথান পতনের বর্ণনা-ইতিহাস জানার জন্য নয় ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য ।”
এই পুরো বক্তব্যকে এককথায় বলুন।
উত্তরঃ মাক্কী সূরা ব্যক্তি গঠনের হেদায়াতপূর্ণ। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৭)
48.হিজরাতে
পর অবতীর্ণ সূরা, কিন্তু মক্কায় নাযিল হয়েছে। কুরআনের এমন
সূরাকে মক্কী সূরা বলে? না মাদানী সূরা বলে?
উত্তরঃ মাদানী সূরা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৭)
49. মাদানী সুরার বৈশিষ্ট্য হলোঃ ১. অধিকাংশ দীর্ঘ সূরা। ২. সমাজ গঠনের বিধান। সমাজ
গঠনের বিধান মানে ১. ফৌজদারী আইন, উত্তরাধিকার
বিধান, বিয়ে -তালাক, যাকাত ও ওশর
ইত্যাদির নিয়ম কানুন। ২. দল, রাষ্ট্র, সভ্যতা ও সামাজিকতার ভিত্তি। বাকী দুইটি
কি কি?
উত্তরঃ ৩. মুনাফিক, কাফির, যিম্মি, আহলে কিতাব, যুদ্ধমান শত্রু ও সন্ধি সূত্রে আবদ্ধ জাতির প্রতি আচরণ। ৪. জয় -পরাজয়, বিপদ- শান্তি, নিরাপত্তা ভীতি ইত্যাদি অবস্থায় মুসলমানদের কর্তব্য। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৮)
50. কুরআনের
বাচন ভংগী ১. বিপ্লবী নেতার ঝংকারময় ভাষণ। ২.
মন – মগজ বুদ্ধি – বিবেককে উদ্বুদ্ধ করার মতো এবং ভাবাবেগের প্লাবন সৃষ্টি করার
যোগ্য। ৩. দরদী
মন দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করার মতো আবেগ ও আবেদনময় আহবান।
আরো তিনটি কি কি?
উত্তরঃ ১. একটি বিপ্লবী আন্দোলনের উপযোগী। ২. সমর্থকদের উদ্দীপিত করার মত সম্মোহক। ৩. বিরোধীদের প্রতিহত করায় বলিষ্ঠ্ (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৮)
51. কুরআনে কেন একইকথা বার বার উল্লেখ করা হয়েছে? যেমনঃ ১. আন্দোলনের
বিশেষ এক অধ্যায়ে যেসব কথা মন- মগজে বসান দরকার তা বারবারই বলা দরকার। ২. বারবার
একই ভাষা বা শব্দে, নতুন ভংগীতে ও আকর্ষণীয়
পদ্ধতীতে একটি কথাকে পূর্ণরূপে হজম করাবার জন্যই বলা হয়েছে।
আরেকটি কি?
উত্তরঃ ৩. আল্লাহর গুনাবলী, তাওহীদ, রিসালাত, আখিরাত, কিতাব, ঈমান, তাকওয়া, সবর, তাওয়াক্কুল ইত্যাদি এমন গুরুত্বপূর্ণ যে এ সবের পুনরূক্তি ব্যাপক হওয়াই স্বাভাবিক এবং আন্দোলনের সকল স্তরে এর প্রয়োজন। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৮)
52.কুরআন
হলো ব্লু- প্রিন্ট বা ইসলামী বিধানের নীল নকশা।
আল্লাহর তৈরী এ নীল নকশা অনুযায়ী ইসলামের বিরাট সৌধ গড়ার দায়িত্ব যে ইঞ্জিনিয়ারকে
দেয়া হয়েছে তিনি কে?
উত্তরঃ তিনিই হলেন রাসূল (সাঃ)। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৮)
53. কুরআনের
এমন ৫টি সূরা, যার মক্কী হওয়া, কিংবা মাদানী হওয়া নিয়ে ব্যাপক মতভেদ আছে। সূরা
গুলো কি কি?
উত্তরঃ ১. আল বাইয়েনাহ, ২. আল আদিয়াহ, ৩. আল মাউন, ৪. আল ফালাক ও ৫. আন নাস। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৯)
54.তাফহীমুল
কুরআনে সূরাগুলোর ভুমিকায় মাওলানা মওদূদী (রঃ) সুরা সমূহের নাযিল হবার সময় নিয়ে যে
গবেষণামূলক আলোচনা করেছেন তাতে মাত্র কয়টি সূরা মাদানী বলে প্রমাণিত?
উত্তরঃ ২৫টি। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৯)
55. তাফহীমুল
কুরআনে সূরাগুলোর ভুমিকায় মাওলানা মওদূদী (রঃ) সুরা সমূহের নাযিল হবার সময় নিয়ে যে
গবেষণামূলক আলোচনা করেছেন তাতে মাত্র কয়টি সূরা মাক্কী বলে প্রমাণিত?
উত্তরঃ ৮৯টি। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৯)
56.অধিকাংশের
মতে মাক্কী সুরা কয়টি এবং মাদানী সূরা কয়টি?
উত্তরঃ মাক্কীঃ ৮৬ এবং মাদানীঃ ২৮টি। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-১৯)
57. কুরআনের
একটি পারা রয়েছে, যাতে বর্ণিত সকল সুরা মাক্কী। এটি কত নম্বর
পারা এবং সূরার সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ২৯ পারা, ১১টি সূরা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-২০)
58. সূরার
প্রথম ভাগ মাক্কী এবং পরবর্তী অংশ মাদানী এমন সূরা মাক্কী সূরা হিসাবে পরিচিত। এমন
একটি সূরার উদাহরণ দিন।
উত্তরঃ সূরা মুযযাম্মিল। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-২০)
59.কুরআনের
কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় কি?
উত্তরঃ মানুষের কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পথনির্দেশঃ (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩০)
60.কুরআনে
কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয়কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. নেতিবাচক। ২. ইতিবাচক। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩০)
61. পৃথিবী ও আকাশ রাজ্যের গঠন প্রকৃতি, প্রাকৃতির অগণিত নিদর্শন এবং চন্দ্র -সূর্য, গ্রহ-তারা
এবং বায়ু ও বৃষ্টি ইত্যাদির প্রতি কুরআনে বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
ভূগোল ও বিজ্ঞান শেখাবার উদ্দেশ্যে এসব আলোচনা করা হয়নি।
তাহলে কেন আলোচনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ এসবের পেছনে যে মহাকুশলী স্রষ্টা রয়েছেন এবং তিনি যে এসব বিনা উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেননি সে কথা বুঝাবার জন্যই। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩১)
62. মানুষের প্রয়োজনে আল্লাহ পাক যত কিছু পয়দা করেছেন—বিশেষ করে
খাদ্য ও পানীয়, গৃহপালিত পশু, ফল ও
ফসলাদী সম্পর্কে বারবার উল্লেখ করে কোন কথা চিন্তা করতে বাধ্য করা হয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহ ছাড়া আর কারো পক্ষে এসবের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় এবং এসব ছাড়া মানুষ দুনিয়ায় একদিন ও বেঁচে থাকতে পারতো না। তাই একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব করাই মানুষের কর্তব্য। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩১)
63.আফাক
অর্থ কি? উফুক অর্থ কি?
উত্তরঃ আফাকঃ প্রকৃতি জগত। উফুকঃ দিগন্ত। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩১)
64. আনফুস অর্থ কি?
উত্তরঃ মানব জীবন বা মানবসত্তা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩১)
65.কুরআনে
বেহেশতের সাথে দোযখের, সৎলোকের সাথে অসৎলোকের, মুত্তাকীদের পাশাপাশি আল্লাহর
নাফরমানদের, সফলতার সাথে বিফলতার উল্লেখ করা হয়েছে।
এভাবে কুরআনে বিপরীতমুখী চিত্রের মাধ্যমে কি করা হয়েছে?
উত্তরঃ মানুষকে কল্যাণের পথে আহবান জানানো হয়েছে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩২)
66. কুরআনের সবচেয়ে বেশী আলোচিত ৪টি বিষয়ের একটি হলোঃ আল্লাহর
পরিচয়। বাকী ৩টি কি কি?
উত্তরঃ ২. রাসূল ও নবীদের পরিচয়, মর্যাদা, দায়িত্ব ও কর্তব্য। ৩. আখিরাতের যুক্তি, সম্ভাবনা ও বিবরণ। ৪. আল্লাহর উত্তরঃ কিতাবের গুরুত্ব। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩২-৩৩)
67.পারিবারিক
আইন থেকে শুরু করে সরকারী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সব আইন-কানুন এসব বিষয়ে
মাক্কী যুগের শেষ দিকে একটি সূরাতে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে এমন সংক্ষেপে
ইঙ্গিত করা হয়েছে যা মূলনীতি হিসাবে গণ্য।
সূরাটির নাম কি?
উত্তরঃ সূরা বনী ইসরাইল। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৩)
68.মাক্কী
যুগে মুসলমানদের উপর অত্যাচর ও নির্যাতন চললেও কাফির ও মুনফিকদের বিরুদ্ধে শক্তি
প্রয়োগের কোন উপায় ছিল না। বিরোধী
শক্তির সাথে যুদ্ধ করার সুযোগ হলো কখন এবং কিভাবে?
উত্তরঃ হিজরাতের পর মুসলমানদের হাতে ক্ষুদ্র আকারে হলেও রাষ্ট্রক্ষমতা আসার পর। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৩)
69. যুদ্ধ, সন্ধি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, যুদ্ধবন্দীদের সাথে আচরণ,
যুদ্ধের ফলে অর্জিত সম্পদ ও এলাকার ব্যবহার, যুদ্ধে
শহীদদের পরিবারের প্রতি কর্তব্য ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আইন কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ মাদানী সূরায়। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৩)
70. বিয়ে ও
তালাক, সম্পত্তির উত্তরাধিকার, খাদ্যের হালাল ও হারাম এবং ফোজদারী আইন, সমাজবিরোধী কোন কাজের কী শাস্তি হওয়া
উচিত, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য যাকাত ব্যবস্থার প্রবর্তন,
ধার –কর্য ও লেন -দেনের বিধান ইত্যাদি কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ মাদানী সূরায়। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৩)
71. যেসব বিষয়ে মূলনীতি বেঁধে দেয়া হয়েছে এবং এর ভিত্তিতে
প্রয়োজনীয় আইন রচনার দায়িত্ব ইসলামী রাষ্ট্রের পরিচালকদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তা
কি কি?
উত্তরঃ সরকার গঠন ও পরিচালনার মূলনীতি, অর্থনৈতিক পলিসী, উৎপাদন ও বন্টনের নীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিধি ইত্যাদি। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৪)
72.খোলাফায়ে
রাশেদীন বিস্তারিত আইন জারী করেন কিসের ভিত্তিতে?
উত্তরঃ আল্লাহর কুরআন ও রাসূল (সাঃ) এর সুন্নাহ এসব বিষয়ে যে বিধান দিয়েছে তারই ভিত্তিতে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৪)
73. যুগে যুগে
নতুন নতুন বিধি-বিধানের দরকার বোধ না হয়ে পারে না। দেশে
দেশে যুগে যুগে প্রয়োজনীয় বিধান রচনা করতে হবে কিভাবে?
উত্তরঃ কুরআনের মূলনীতি, সুন্নাহর প্রয়োগ বিধি ও খোলাফায়ে রাশেদার পদাংক অনুসরণ করে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৪)
74.মাক্কী
যুগের সূরাগুলোর মূল আলোচ্য বিষয় কি?
উত্তরঃ তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাত। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৫)
75. মূল আলোচ্য
বিষয়কে ভালভাবে বুঝবার জন্য ‘আফাক’ ও ‘আনফুস’ কে যুক্তি হিসাবে পেশ করা হয়েছ।
এখানে আফাক ও আনফুসের বিররণটা আসল কথা নয়। একথা
খেয়াল না থাকলে আসল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকতে হবে।
তাহলে আসল বিষয় কি?
উত্তরঃ তাওহীদ বা রিসালাত বা আখিরাত। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৫)
76.তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাতের শিক্ষাকে বাস্তবে উপলব্ধি করার জন্য কুরআনে কি আলোচনা
করা হয়েছে?
উত্তরঃ নবী ও রাসূলগণের বহু ঘটনা, বিভিন্ন জাতির উদাহরণ ও রূপক কাহিনী। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৫)
77. ইয়াহুদীদের
ইতিহাস থেকে আমদানী হয়ে কুরআনে উল্লেখিত ঘটনাবলী ও কাহিনীসমূহকে রূপকথার এমন গল্পে
পরিণত করেছে যে, তাফসীর পড়তে গিয়ে পাঠক ঐ গল্পের মধ্যেই আটক
হয়ে পড়ে। তখন
তাওহীদ, রিসালাত ও আখিরাতের যুক্তি হিসাবেই যে ঐ
ঘটনাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সে উদ্দেশ্য ও শিক্ষাই হারিয়ে যায়।
এই কাহিনী কি নামে পরিচিত?
উত্তরঃ ইসরাঈলিয়াত। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৫)
78. সূরা মুলক এর
মূল আলোচ্য বিষয় তাওহীদ। সূরা
মুদ্দাসসির ও আবাসা এর মূল আলোচ্য বিষয় হলো রিসালাত। সূরা
কাফ, সূরা যারিয়াত, সূরা
মায়ারিজ ও সূরা মুতাফফিফীন এর প্রধান আলোচ্য বিষয় আখিরাত।
সূরা তুর ও সূরা হাক্কাহ এর আলোচ্য বিষয় কি?
উত্তরঃ প্রথম রুকূতে আখিরাত ও ২য় রুকূ’তে রিসালাত। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৬)
79.যে
সূরা বা রুকূর মূল আলোচ্য বিষয় তাওহীদ সে সূরার পক্ষে তিন ধরনের যুক্তির যে কোন এক
বা একাধিক যুক্তি পাওয়া যায়। যেমনঃ ‘আনফুস
’-এর যুক্তিঃ মানব সৃষ্টির কৌশল, তাওহীদ বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের পরিণাম বর্ণনা
করা। আরেকটি কি?
উত্তরঃ আফাকী যুক্তি বা পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্ট বস্তু যা মানুষের উপকারে লাগে এবং মহাশূন্যের বিরাট বিরাট সৃষ্টি যা মানুষের খেদমতে নিযুক্ত। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৬)
80. মানব
সৃষ্টির কৌশল—মাটি থেকে পয়লা আদমকে সৃষ্টি করে তা থেকে হাওয়াকে পয়দা করা হয় এবং এর
পর তাদের যৌন মিলনের মাধ্যমে আল্লাহরই ইচ্ছায় মানব বংশের বৃদ্ধি হচ্ছে।
পুরুষের সামান্য শুক্রকীট নারীর গর্ভস্থ ডিম্বের সাথে মিলে যে অণু পরিমাণ ক্ষুদ্র
সৃষ্টির পত্তন হয় তা একমাত্র আল্লাহরই পরিকল্পনায় সুন্দর দেহ ও অগণিত গুণ বিশিষ্ট
মানুষে পরিণত হয়। এটিকে
কিসের যুক্তি বলা হয়?
উত্তরঃ ‘আনফুস ’-এর যুক্তি। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৬)
81. আল্লাহ যাকে পুরুষ বানাতে চান তাকে মেয়ে বানাবার ক্ষমতা
কারো নেই। মায়ের
পেটে তিনি যাকে একটা হাত দেননি তাকে এ হাত কেউ দিতে পারে না।
যাকে তিনি বোকা বানিয়েছেন তাকে কেউ মেধাশক্তি দিতে পারেনা।
এসব যুক্তি দিয়ে কি বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ এসব কিছুর ক্ষমতা এককভাবে একমাত্র আল্লাহর হাতে রয়েছে। কেউ তাঁর সাথে শরীক নেই। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৭)
82.তাওহীদ
বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের পরিণাম বর্ণনা করা হয়েছে যাতে মানুষ তাওহীদ বিশ্বাস করার
গুরুত্ব অনুভব করতে পারে। এ পরিণাম
দু’প্রকারে দেখানো হয়েছে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. ঐতিহাসিক যুক্ত। ২. আখিরাতের ভয়াবহ পরিণামের যুক্তি। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৭)
83. যে সূরা বা
রুকূ’র মূল আলোচ্য বিষয় ‘রিসালাত’ সেখানেও কয় রকম যুক্তির এক বা একধিক যুক্তি
পাওয়া যায়?
উত্তরঃ তিন রকম। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৭)
84.যে
সূরা বা রুকূ’র মূল আলোচ্য বিষয় ‘রিসালাত’ সেখানেও তিন রকম যুক্তির এক বা একধিক
যুক্তি পাওয়া যায়। তার একটি
হলো রাসূল (সাঃ) এর উন্নত নির্মল চরিত্র। দ্বিতীয়ঃ
রাসূল (সাঃ)-এর উপর আল্লাহর যে কিতাব নাযিল হয়েছে সে কুরআন। তৃতীয়টি
কি?
উত্তরঃ রাসূলকে অবিশ্বাস করার ভয়াবহ পরিণাম। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৭)
85. রাসূলকে
অবিশ্বাস করার ভয়াবহ পরিণাম বর্ণনা করে এ বিষয়ে মানুষকে উপদেশ দেয়া হয়েছে।
এর পরিণাম ও দু’প্রকারের দেখানো হয়েছে। তা
কি কি?
উত্তরঃ ১. ইতিহাসের উদাহরণ। ২. আখিরাতের পরিণাম এমনভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যা থেকে বুঝা যায় যে, সেখানে মানুষের কিসমতের ফায়সালা এই ভিত্তিতে হবে যে, কে রাসূলকে বিশ্বাস করেছে আর কে করেনি। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৮)
86.যে
সূরা বা রুকূ’র মূল আলোচ্য বিষয় আখিরাত সেখানেও কয় ধরনের যুক্তির মধ্যে এক বা
একাধিক যুক্তি পেশ করা হয়েছে?
উত্তরঃ তিন ধরণের। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৮)
87. যে সূরা বা
রুকূ’র মূল আলোচ্য বিষয় আখিরাত সেখানেও তিন ধরনের যুক্তির মধ্যে এক বা একাধিক
যুক্তি পেশ করা হয়েছে? তা কি কি?
উত্তরঃ ১. ইমকান বা সম্ভাবনা (আখিরাত হওয়া যে সম্ভব তা প্রমাণ করা হয়েছে)। ২. উকূ (আখিরাত অবশ্যই যে হবে বা হবেই সে বিষয়ে বিবরণ)। ৩. উজূব (হওয়াই উচিত-অর্থাৎ যুক্তি, বিবেক ও কান্ডজ্ঞানের দাবী যে আখিরাত হওয়া অপরিহার্য)। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৮)
88. যে সূরা বা
রুকূ’র মূল আলোচ্য বিষয় আখিরাত সেখানেও তিন ধরনের যুক্তির মধ্যে এক বা একাধিক
যুক্তি পেশ করা হয়েছে? তার মধ্যে এক ধরনের যুক্তি হলো ইমকান। ইমকান কয় প্রকারের। তা কি কি?
উত্তরঃ দুই প্রকার। ১. আফাক। ২. আনফুস। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৮)
89.আখিরাতের
কয়েকটি পর্যায়ে রয়েছে। তার
প্রথম পর্যায় কি?
উত্তরঃ কিয়ামত। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৮)
90.দুনিয়া
যে অবস্থায় আছে তা এক সময় ভেঙে চুরমার করে দেয়া হবে।
এর নাম কি?
উত্তরঃ কিয়ামত। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৯)
91. পুনরুত্থানের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের নাম কি?
উত্তরঃ বারযাখ। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৯)
92. উজুব মানে কি?
উত্তরঃ হওয়াই যুক্তিসংগত, অবশ্যই কর্তব্য, অপরিহার্য এবং যা না হলে চলে না। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৯)
93.নৈতিক
এমন এক মনাদন্ড দ্বারা আল্লাহ মানব জাতিকে নিয়ন্ত্রিত করেন যে কোন জাতি এর শেষ
সীমা লংঘন করলে তিনি কি করেন?
উত্তরঃ সে জাতির উপর অবশ্যই গযব নাযিল করেন। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৯)
94. কুরআনে বার বার উল্লেখ করা হয়েছে যে, মানুষকে এত সুযোগ সুবিধা দেবার সাথে সাথে ভাল ও মন্দের ধারণাও দেয়া হয়েছে।
একদিন এসবের হিসাব দিতেই হবে। তাই নৈতিক
ফল প্রকাশ করার জন্য কি অপরিহার্য?
উত্তরঃ আখিরাত অপরিহার্য। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৩৯)
95.যেহেতু
শেষ নবী (সাঃ)-এর নেতৃত্বে পরিচালিত ইসলামী আন্দোলানকে ধাপে ধাপে বিজয়ের পথে এগিয়ে
নেবার উদ্দেশ্যেই কুরআন নাযিল হয়েছে, সেহেতু কি হওয়া উচিত?
উত্তরঃ কুরআনের অধ্যয়ন আন্দোলনের দৃষ্টিতেই হওয়া উচিত। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪০)
96. কুরআন অধ্যয়নকালে কোন কথা খেয়াল রাখতে হবে?
উত্তরঃ দ্বীনে হকের আন্দোলন ময়দানে চলছে এবং বাতিল শক্তি এর বিরোধিতা করছে। হক ও বাতিলের এ সংঘর্ষে হকের সহায়তা করার জন্যই কুরআনের আগমন। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪০)
97.কুরআনের
আসল শানে নুযূল কি?
উত্তরঃ কুরআনের যে অংশ পড়া হচ্ছে তা আন্দোলনের কোন্ যুগে কোন অবস্থায় নাযিল হয়েছে এবং ঐ সময় হকের আন্দেলন কোন অবস্থায় ছিল ও বাতিলের ভূমিকা কী ছিল তা মনের চোখে দেখা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪০)
98.সূরা
কাহফ-এর মধ্যে গুহাবাসীদের যে ঘটনার বিবরণ দেয়া হয়েছে তাতে কি প্রমাণ দেয়া
উদ্দেশ্য?
উত্তরঃ আখিরাত যে সম্ভব তার প্রমাণ দেয়াই উদ্দেশ্য। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪১)
99. মানুষ আসল শিক্ষা বা উপদেশের দিকে খেয়াল না করে কাহিনীর
অপ্রয়োজনীয় বিস্তারিত বিষয়ের চর্চায় লেগে যায়। যেমন”
সূরা কাহফ-এর অধ্যয়নকালে গুহায় আশ্রয় গ্রহণকারী কতজন ছিলেন এবং তারা কত বছর ঘুমন্ত
অবস্থায় ছিলেন এসব অপ্রয়োজনীয় কথা দিকে লক্ষ্য দেয়। যদি এসব বিষয় অপ্রয়োজনীয় চর্চা
হয়, তাহলে গুহাবাসীদের বিবরণ প্রদানের আসল উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ আখিরাত যে সম্ভব তার প্রমাণ দেয়াই উদ্দেশ্য। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪২)
100. কুরআনে নবীদের কাহিনী আলোচনার উদ্দেশ্য ৭টি। যে কোন ২টি
বলুন।
উত্তরঃ
১. ঈমানদারদেরকে নবীদের উদাহরণ থেকে ধৈর্য, সাহস, দৃঢ়তা ও
নিষ্টার শিক্ষা গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করা।
২. নবীদের বিরোধিতা করার মারাত্মক পরিণাম
উল্লেখ করে বাতিল শক্তিকে সাবধান করা।
৩. শেষ নবীর বিরোধিতায় যারা লিপ্ত ছিল
তাদেরকে পূর্ববর্তী নবীদের বিরোধীদের পরিণাম থেকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেয়া।
৪. যুগে যুগে যত নবী ও রাসূল এসেছেন তাঁদের
সবাই যে একই দ্বীনের ধারক ছিলেন সে কথা প্রমাণ করা।
৫. হক ও বাতিলের সংঘর্ষ যে চিরন্তন সে কথা
স্পষ্ট করে তুলে ধরা। যখন কোন নবী দ্বীনে হক কায়েম
করার চেষ্টা করেছেন তখনই বাতিল কায়েমী স্বার্থবাদী শক্তি বিরোধিতা করেছে।
৬. আল্লাহ পাক শক্তিবলে মানুষকে হেদায়াত করার
ইখতিয়ার দেননি। মানুষকে শুধু বুঝাবার চেষ্টা করাই নবীদের
দায়িত্ব ছিল।
৭. মানুষ হককে কবুল করতে রাজী না হলে আল্লাহ জবরদস্তি করে কোন জাতিকে হেদায়াত করেনা। হককে কবুল করা ও না করা মানুষের স্বাধীন ইচছার উপরই নির্ভর করে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৩)
101.
তাফসীর
মানে কি?
উত্তরঃ বিস্তারিত ব্যাখ্যা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৪)
102. আরবী বাক্য বিন্যাস না জানলে কি করা অসম্ভব?
উত্তরঃ শব্দে শব্দে অর্থ বলে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৪)
103. দারসে কুরআন অর্থ কি?
উত্তরঃ কুরআনের শিক্ষা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৪)
104. সূরা ফাতিহার কয়টি সূরা কুরআনের ২৫টি পারা দখল করে আছে?
উত্তরঃ ৪৪টি সূরা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৪)
105. কুরআনে ২৬ পারা থেকে ৩০ পারা পর্যন্ত মাত্র ৫টি পারায় মোট
কয়টি সূরা আছে?
উত্তরঃ ৬৯টি সূরা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৪)
106. কয়টি সূরা নামাযে ইমামগন বেশী বেশী পড়েন?
উত্তরঃ ৭০টি সূরা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৫)
107. একটা মহাসত্য কথা সবাইকে স্বীকার করতে হবে, তা কি?
উত্তরঃ বুঝাবার চেষ্টা যারা করে তাদেরই বুঝাবার যোগ্যতা অর্জন করা সহজ হয়। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৫)
108. দারসে কুরআনের দায়িত্ব যিনি নেবেন তাকে প্রথমেই দুটো কাজ
করতে হবে। ১. প্রথমে
তাকে কুরআন শুদ্ধ করে পড়তে হবে। তাজবীদের
নিয়মে পুরোপুরি পড়তে না পারলেও মোটামুটি শুদ্ধ করে পড়তে সক্ষম হতে হবে।
দ্বিতীয়টি কি?
উত্তরঃ যদি তিনি আলেম না হয়ে থাকেন তাহলে কোন একজন আলেমের কাছে আরবীর প্রাথমিক ভাষাজ্ঞান শিখতে হবে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৬)
109. দারসে কুরআন পেশ করার সময় যে তারতীব অনুযায়ী একটার পর একটা
করতে হবে তা কি কি?
উত্তরঃ ১. তেলাওয়াত। ২. তরজমা।৩. শানে নুযুল বা পটভূমি। ৪. ব্যাখ্যা। ৫. শিক্ষা। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৬)
110.
কি করলে কুরআন
বুঝবার জন্য পাঠকের মনের দুয়ার সঠিকভাবে খুলে যায়?
উত্তরঃ যে মহান আন্দোলনকে পথ দেখাবার জন্য কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সে আন্দোলনে সক্রিয় হলে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৬)
111.
কুরআন
অধ্যয়নের সময় মনে কোন ধরণের তীব্র অনুভুতি জাগতে হবে?
উত্তরঃ আমার মহান মনিব কুরআনের মাধ্যমে আমাকে উপদেশ দিচ্ছেন। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৭)
112.
গোটা
কুরাআন সমান ৩০টি পারায় বিভক্ত। এভাবে
পারা, পারার অর্ধেক, একচতুর্থাংশ
ইত্যাদি খন্ডে ভাগ করা হয়েছে কখন?
উত্তরঃ হিজরী ৮৬ সালে। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৭)
113.
কুরআনে মোট
সূরা সংখ্যা ও রুকু সংখ্যা কত?
উত্তরঃ মোট ১১৪টি সূরা। মোট ৫৪০টি রুকূ। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৭)
114.
কুরআনে মোট
কতটি আয়াতের পূনরাবৃত্তি আছে?
উত্তরঃ ২৭৭৫ টি আয়াতের। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৭)
115.
কুরআনে মোট
অক্ষর সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ৩,৩৮,৬০৬ টি। (কুরআন বুঝা সহজঃ পৃষ্টা-৪৭)
প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানতে যুক্ত থাকুন আমাদের হোয়াইটসআপ গ্রুপে। গ্রুপে যুক্ত হওয়ার জন্য ক্লিক করুন এখানে।

0 Comments