প্রশ্নোত্তর – ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - এ.কে.এম. নাজির আহমদ

ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ

প্রশ্নোত্তরঃ

ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ

এ.কে.এম. নাজির আহমদ

ভূমিকা

1.    বিংশ শতাব্দীতে ইসলামী জাগরণের জন্য যাঁরা বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছেন তাঁদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় হচ্ছেন তিনজন। তারা কারা?

উত্তরঃ . শায়খ হাসানুল বান্না রাহি., . বাদীউয্‌যামান সাঈদ নুরসী রাহি. ও ৩. সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী রাহি.। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - ভূমিকা)

2.   নাস্তিকতাবাদ, অংশীবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ-সৃষ্ট তাত্ত্বিক বিভ্রান্তি দূরকরণে যারা মূল্যবান অবদান রেখেছেন সৃষ্টি করেছেন ইসলামী জাগরণইসলামী জাগরণের এমন তিনজন পথিকৃৎ কে কে?

উত্তরঃ . শায়খ হাসানুল বান্না রাহি., . বাদীউয্‌যামান সাঈদ নুরসী রাহি. ও ৩. সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী রাহি.। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - ভূমিকা)

3.   ইসলামী আন্দোলনের তিন পথিকৃৎকে ইউরো-আমেরিকান জীবন দর্শনে বিশ্বাসী শাসকগোষ্ঠী স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি বারবার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে তাঁদের চলার পথে বারবার তাঁদেরকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে তারা প্রতিটি বাধার মোকাবেলা করেছেন তিন ভাবে। কি কি?

উত্তরঃ . আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ তাওয়াক্কুল রেখে, . উচ্চমানের ছবর অবলম্বন করে, . নিয়মতান্ত্রিক পন্থায়। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - ভূমিকা)

4.   শায়খ হাসানুল বান্না কত সনে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার আব্বার নাম কি?

উত্তরঃ ১৯০৬ সনে; আবদুর রাহমান আল বান্না। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৭)

5.   শায়খ হাসানুল বান্নার আনুষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় কত বছর বয়সে?

উত্তরঃ আট বছর বয়সে (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৭)

6.   মাদরাসা আর রাশাদ আদ দীনিয়াহ নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কে পড়ালেখা করেন?

উত্তরঃ শায়খ হাসানুল বান্না (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৭)

7.   শায়খ হাসানুল বান্নার আমর বিল মা’রূফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার (সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ) তৎপরতার হাতেখড়ি কোথায়?

উত্তরঃ শায়খ মাহমুদ এর কাছে/ জামিয়াতুল মাকারিমিল আখলাক আল ইসলামিয়াহ নামক সংস্থায়। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৭)

8.   কতসালে শায়খ হাসানুল বান্না এর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি ঘটে?

উত্তরঃ ১৯২৭ সালে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৭)

9.   সুয়েজখালের সাথে সংযুক্ত তিমসাহ ঝিলের সন্নিকটে অবস্থিত একটি শহর নাম কি?

উত্তরঃ ইসমাঈলিয়া। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৮)

10.   ১৯২৮ সনের মার্চ মাসে ছয়জন ব্যক্তি শায়খ হাসানুল বান্নার বাসায় আসেন তাঁর সাথে আলাপ করতে তারা কারা?

উত্তরঃ ১. হাফিয আবদুল হামীদ, ২. আহমাদ আল হাসরী, ৩. ফুয়াদ ইবরাহীম, ৪. আবদুর রাহমান হাসবুল্লাহ, ৫. ইসমাইল ইযয ও ৬. যাকী আল মাগরিবী। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৮)

11.   ১৯২৮ সনের মার্চ মাসে মিশরের ইসমাঈলিয়া শহরের একটি বাসায় ৭জন লোক বসে যে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন, সেই সংগঠনের নাম কি?

উত্তরঃ আল ইখওয়ানুল মুসলিমূন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৮)

12.   আল ইখওয়ানুল মুসলিমুন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কয়জন ছিলেন?

উত্তরঃ ৭জন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৮)

13.   ১৯২৮ সনের মার্চ মাসে ইসমাইলিয়া শহরে ৭জন লোক বসে আল ইখওয়ানুল মুসলিমুন সংগঠন শুরু করেন। সেই সংগঠন প্রধানের পদবী কি ছিল এবং তিনি কে ছিলেন।

উত্তরঃ আলমুরশিদুল আম; শায়খ হাসানুল বান্না। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৮)

14.   শায়খ হাসানুল বান্না কত বছর বয়সে ইখওয়ানুল মুসলিমুন এর প্রধান নির্বাচিত হোন?

উত্তরঃ ২২ বছর বয়সে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৮)

15.   শায়খ হাসানুল বান্না ভালো করেই কি জানতেন?

উত্তরঃ ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আল জিহাদু ফিল ইসলাম বা ইসলামী আন্দোলনের প্রধান কাজ হচ্ছে আদ্‌দা’ওয়াতু ইলাল্লাহ বা আল্লাহর দিকে লোকদেরকে ডাকা। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৯)

16.   ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আল জিহাদু ফিল ইসলাম বা ইসলামী আন্দোলনের প্রধান কাজ কি?

উত্তরঃ আদ্‌দা’ওয়াতু ইলাল্লাহ বা আল্লাহর দিকে লোকদেরকে ডাকা। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৯)

17.   আদ্‌দা’ওয়াতু ইলাল্লাহ বা আল্লাহর দিকে লোকদেরকে ডাকা-এই কাজ করতে হলে লোকদের সামনে প্রথমেই কি কি পরিচয় তুলে ধরতে হয়?

উত্তরঃ আল্লাহর পরিচয়, তারপর আল্লাহর পথের তথা ইসলামের পরিচয়। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৯)

18.   আল্লাহর পরিচয়, তারপর আল্লাহর পথের তথা ইসলামের পরিচয় তুলে ধরার পর আদ্‌দা’ওয়াতু ইলাল্লাহর কাজ কি?

উত্তরঃ উদ্বুদ্ধ করতে হয় ব্যক্তিগত জীবনে আল্লাহর বিধান অনুসরণের সাথে সাথে সামষ্টিক জীবনে আল্লাহর বিধান কায়েম করার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৯)

19.   কয় বছরের মধ্যেই আল ইখওয়ান খুবই পরিচিত একটি সংগঠনে পরিণত হয়

উত্তরঃ চার বছরের। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৯)

20.  ইখওয়ানুল মুসলিমুনের প্রতিষ্ঠালগ্নে মিসরের মসনদে কে আসীন ছিলেন?

উত্তরঃ কিং ফুয়াদ। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১০)

21.   শায়খ হাসানুল বান্নার বিরুদ্ধে সরকার সর্বপ্রথম কোন অভিযোগ দায়ের করে?

উত্তরঃ তিনি সরকারী টাকা খরচ করে দল গঠন করেছেন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১০)

22.  ‘আল আখাওয়াত আল মুসলিমাত’ কি?

উত্তরঃ আল ইখওয়ানের মহিলা শাখা। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১১)

23.  আল ইখওয়ানের প্রথম সাধারণ সম্মেলন কখন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ ১৯৩৩ সনে কায়রোতে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১১)

24.  ‘মাজাল্লাতুল ইখওয়ানুল মুসলিমূন’ কি?

উত্তরঃ আল ইখওয়ানের সাপ্তাহিক পত্রিকা। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১১)

25.  আলী মাহির পাশার সরকারের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপনের সিদ্ধান্তে  ইখওয়ানুল মুসলিমুন এর কিছু সংখ্যক সদস্য একমত হতে পারেন নি তাঁরা কি দাবী করেন?

উত্তরঃ শায়খ হাসানুল বান্নার সহকারী আহমাদ আশ্‌শুককারীর পদত্যাগ দাবি করেন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১২)

26.  ‘‘আল ইখওয়ানুল মুসলিমূন একটি সালাফীয়া আহ্‌বান, একটি সুন্নীপথ, একটি সুফী বাস্তবতা, একটি রাজনৈতিক দল, একটি ক্রীড়া সংস্থা, একটি শিক্ষা-সংস্কৃতি পরিষদ, একটি অর্থনৈতিক সংগঠন ও একটি সমাজ দর্শন’’ এই কথা গুলো কে কোথায় এবং কেন উল্লেখ করেন?

উত্তরঃ শায়খ হাসানুল বান্না; ইখওয়ানুল মুসলিমুনের সম্মেলনে; নতুন সদস্যগণ যাতে আল ইখওয়ান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে পারে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১২)

27.  শায়খ হাসানুল বান্না ইসলামী বিপ্লবের সুস্থ ও স্বাভাবিক পদ্ধতি কী তা তুলে ধরতে কুরআনের যে আয়াত তিলাওয়াত করেন, তার অনুবাদ কি?

উত্তরঃ ‘‘তুমি লোকদেরকে তোমার রবের পথে ডাক হিকমাহ ও সুন্দর বক্তব্য সহকারে আর তাদের সাথে আলাপ কর অতীব সুন্দর পদ্ধতিতে তোমার রব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে বিভ্রান্ত হয়েছে, আর জানেন কে হিদায়াত অনুসরণ করে চলেছে’’ (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৩)

28.  শায়খ হাসানুল বান্না হাওয়ার দোলায় আন্দোলিত হবার মতো ব্যক্তি ছিলেন না তিনি স্রোতের সাথে ভেসে যাবার পাত্র ছিলেন না হঠকারিতার পরিণতি কী হতে পারে তাও তিনি বুঝতেন তাই তিনি স্বীয় মতে অটল থাকেন যার কারণে কি ঘটে?

উত্তরঃ কিছু লোক সংগঠন ছেড়ে চলে যায়। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৩)

29.  দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ কখন শুরু হয়?

উত্তরঃ ১৯৩৯ সনে।  (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৩)

30.  দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে গ্রেট বৃটেন চাচ্ছিলো মিসর তার পক্ষাবলম্বন করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করুক কিন্তু গ্রেট বৃটেনের পক্ষাবলম্বন করার মানে কি কি?

উত্তরঃ . তুর্কীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা. মুসলিম সৈন্যগণ মুসলিম সৈন্যদেরকে আহত ও নিহত করা। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৩)

31.   এক সময় মিশরের সেনাবাহিনীর তরুণ অফিসারদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় কিছু সংখ্যক তরুণ অফিসার একটি গোপন সংস্থা গড়ে তোলে। সংস্থাটি নাম কি ছিল?

উত্তরঃ ‘‘ফ্রি অফিসারস’’। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৫)

32.  প্রধানমন্ত্রী মুসতাফা আন্‌ নাহাস পাশা পার্লামেন্টের নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিলে আল ইখওয়ান শায়খ হাসানুল বান্নাকে কোন নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে?

উত্তরঃ ইসমাঈলিয়া। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৫)

33.  প্রধানমন্ত্রী মুসতাফা আন নাহাস পাশা ঘোষিত নির্বাচন হতে সরে দাড়াতে ইখওয়ান তিনটি শর্ত আরোপ করে? তা কি কি?

উত্তরঃ ১. আল ইখওয়ানকে নির্বিঘ্নে কাজ চালিয়ে যেতে দেয়া হবে ২. মদ ও বেশ্যাবৃত্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ৩. আল ইখওয়ানের পত্র-পত্রিকাগুলোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৫)

34.  …..ইসলামের প্রকৃত তাৎপর্য সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা তোমাদের পথে বাধার সৃষ্টি করবে তোমরা দেখবে ধর্মধারী ও সরকারী আলিমগণ তোমাদের ইসলাম সম্পর্কিত ধারণাকে আজগুবী বলে আখ্যায়িত করবে তোমরা যে ইসলামের সৈনিক তা-ই অস্বীকার করবে নেতৃস্থানীয়, সম্মানিত ও অন্যান্য ব্যক্তিগণ তোমাদেরকে ঈর্ষা করবে একটির পর একটি সরকার এসে তোমাদেরকে বাধা দেবে এদের প্রত্যেকে তোমাদের কাজ ব্যাহত করতে চাইবে ও তোমাদের অগ্রগতি রোধ করতে চাইবে….. কর্মীদের জন্য বিশেষ হিদায়াত হিসাবে ইসলামী আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল এই বক্তব্যটি প্রদান করেন। তিনি কে?

উত্তরঃ শায়খ হাসানুল বান্না। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৬)

35.  ….. এইভাবে তোমরা কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হবে তোমাদেরকে ধরপাকড় করা হবে বন্দী করে রাখা হবে নির্বাসিত করা হবে তোমাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে তোমাদের বিশিষ্ট কাজগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে তোমাদের গৃহে তল্লাশী চালানো হবে তোমাদের এই পরীক্ষার কাল দীর্ঘ হতে পারে … কর্মীদের জন্য বিশেষ হিদায়াত হিসাবে ইসলামী আন্দোলনের একজন দায়িত্বশীল এই বক্তব্যটি প্রদান করেন। তিনি কে?

উত্তরঃ শায়খ হাসানুল বান্না। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৬)

36.  ১৯৪৩ সনের গোড়ার দিকে আল ইখওয়ানের কতিপয় সদস্য এক অনাকাংখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তারা অস্র প্রয়োগ করে বিপ্লব আনয়নে বিশ্বাসী ছিলো গঠিত হবার পর থেকেই এই বাহিনী এখানে ওখানে বারবার পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এই অনাকাংখিত পদক্ষেপ কি ছিল এবং এই পদক্ষেপের নেতা কে ছিলেন?

উত্তরঃ তারা একটি গুপ্ত বাহিনী গঠন করে এই বাহিনীর প্রধান হন সালিহ আশমাওয়ী। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৬)

37.  মিশরের প্রধানমন্ত্রী আহমাদ মাহির পাশা কত তারিখে আততায়ীর গুলিতে নিহত হোন, কেন নিহত হোন।

উত্তরঃ ১৯৪৫ সনের ২৪শে ফ্রেব্রুয়ারী। ইংরেজদের ইচ্ছা পুরণে জার্মেনী ও তুর্কীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার সিদ্ধান্তে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৭)

38.  মুসতাফা মুমিন কে ছিলেন?

উত্তরঃ আল ইখওয়ানের ছাত্র শাখার একজন নেতা। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ১৮)

39.  ১৯৪৮ সনে ইখওয়ানকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয় কত তারিখে এবং কোন অপরাধে?

উত্তরঃ ৮ই ডিসেম্বর। আল ইখওয়ান নাকি দেশে একটি সশস্ত্র বিপ্লব ঘটাবার প্রস্তুতি নিয়েছে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২০)

40.  ‘‘এরা আল ইখওয়ানও নয়, আল মুসলিমূনও নয়’’ এই কে কাদেরকে লিখেন?

উত্তরঃ শায়খ হাসানুল বান্না লিখেছিলেন, ইখওয়ানের সদস্যদেরকে লিখেন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২১)

41.   কেন্দ্র থেকে শুরু করে গ্রাম-পর্যায়ের ইখওয়ান সদস্যদেরকে গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু শায়খ হাসানুল বান্নাকে গ্রেফতার করা হয়নি এই বিষয়টির ব্যাখ্যা কি করছেন শায়খ হাসানুল বান্না?

উত্তরঃ তাঁকে গ্রেফতার না করার অর্থ হচ্ছে যে তাঁর মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২১)

42.  শায়খ হাসানুল বান্না কত তারিখে শাহাদাত বরণ করেন? শাহাদাতের আগে উনি সর্বশেষ কোন সংগঠনের মিটিংয়ে বক্তব্য প্রদান করেন?

উত্তরঃ ১৯৪৯ সরেন ১২ই ফ্রেব্রুয়ারী; ইয়াং মুসলিমস এসোসিয়েশান। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২১)

43.  শহীদ হাসানুল বান্নার শাহাদাতের পর ইখওয়ানুল মুসলিমুন এর মুর্শিদে আম নির্বাচিত হোন কে?

উত্তরঃ হাসান ইসমাঈল আল হুদাইবী (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২২)

44.  বাদীউয যামান সাঈদ নুরসী রাহি. ছিলেন ৭ ভাই বোন। তাদের নাম কি?

উত্তরঃ ১. দুররিয়া, . হানিম, . আবদুল্লাহ, . সাঈদ, . মাহমুদ, . আবদুল মাজীদ ও ৭. মারজান। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৩)

45.  বাদীউয যামান সাঈদ নুরসী রাহি. কতসালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং তিনি কি নামে পরিচিত ছিলেন?

উত্তরঃ ১৮৭৭ সালে; সাঈদ নুরসী নামে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৩)

46.  ‘‘আমি আপনাকে সঠিক পথ দেখাবার জন্য এসেছি আপনি যুল্‌ম-অত্যাচার ত্যাগ করুন আল্লাহর নির্ধারিত ফারযগুলো প্রতিপালন করতে শুরু করুন’’ এই উক্তিটি কে কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন?

উত্তরঃ সাঈদ নুরসী; মোস্তাফা পাশাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৪)

47.  মানুষের অধিকার, মুক্তি ও স্বাধীনতার পক্ষে কার লেখা পড়ে সাঈদ নুরসীর মন আলোড়িত হয় এবং তিনি কোন আন্দোলনের নেতা ছিলেন?

উত্তরঃ নামিক কামাল; ইয়াং তুর্কস আন্দোলন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৫)

48.  ‘‘প্রত্যেক ব্যক্তিরই কোন না কোন আধ্যাত্মিক পথ প্রদর্শক থাকে আপনি আমার আধ্যাত্মিক পথ প্রদর্শক আপনি আমার সাথেই থাকবেন’’ এই কথাগুলো কে কাকে বলেছিলেন?

উত্তরঃ গভর্ণর উমার পাশা; সাঈদ নুরসীকে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৬)

49.  সাঈদ নুরসী ওয়ান শহরে যে মাদ্রাসা স্থাপন করেন, তার নাম কি?

উত্তরঃ হরহর মাদ্রাসা। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৭)

50.  ‘যতদিন মুসলিমদের হাতে আল কুরআন থাকবে আমরা তাদেরকে বশ করতে পাবো না হয় আমাদেরকে তাদের কাছ থেকে ঐটি নিয়ে নিতে হবে অথবা তারা যেন এর প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে ফেলে তার ব্যবস্থা করতে হবে’ এটা কার উক্তি?

উত্তরঃ মিঃ গ্ল্যাডস্টোন- বৃটিশ পার্লামেন্টে সেক্রেটারী ফর কলোনীজ। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৭)

51.   ‘আমি প্রমাণ করবো ও দুনিয়াকে দেখাবো যে আল কুরআন মৃত্যুহীন, এবং নিভিয়ে ফেলা যায় না এমন এক সূর্য’’ এটা কার উক্তি?

উত্তরঃ সাঈদ নুরসী। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৭)

52.  সাঈদ নুরসী তাঁর এই লক্ষ্য হাছিলের জন্য তিনি দুইটি পথ অবলম্বনের চিন্তা করেন একটি ছিলো মাদ্রাসাতুয যাহরা স্থাপনের প্রয়াস, অন্যটি কি?

উত্তরঃ রিসালা-ই-নূর নামক পুস্তিকা সিরিজ রচনা করে আল কুরআনের জীবন দর্শন ও জীবন বিধান সম্পর্কে লোকদেরকে সজাগ করে তোলা। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৭)

53.  ‘কমিটি অব ইউনিয়ান এণ্ড প্রগ্রেস’-এর অন্যতম নেতা, স্যালোনিকাতে যার বাড়ীতে সাঈদ নুরসী মেহমান হোন, তার নাম কি?

উত্তরঃ রফিক বে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৮)

54.  ‘‘আমি যদি আরো কিছুক্ষণ আলোচনা চালাতাম, তাহলে ও আমাকে মুসলিম বানিয়ে ছাড়তো’’ এই উক্তিটি কার? তিনি কার সাথে আলোচনা করছিলেন?

উত্তরঃ ইয়াহুদী নেতা ইমানুয়েল কারাসোর; আলোচনা করছিলেন সাঈদ নুরসীর সাথে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৮)

55.  তুরস্কের ইয়াং তুর্কস নামক সংগঠনকে সুলতান আব্দুল আযীয ও সুলতান পঞ্চম মুরাদ সুনজরে দেখতেন না। কিন্তু পরবর্তী সূলতান ইয়াং তুর্কস এর প্রতি শুধু নমনয়ি নোভাব দেখাননি। বরং এর নেতাকে উযীরে আযম নিযুক্ত করেন। কোন সুলতানের আমলে এই ঘটনা ঘটে এবং কাকে উযীরে আযম নিযুক্ত করা হয়?

উত্তরঃ সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামীদ এর সময়; মিদহাত পাশাকে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৯)

56.  কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রগ্রেস এর প্রথম সরকার কখন গঠিত হয়?

উত্তরঃ প্রথম সরকারঃ ১৯০৮ সনে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ২৯)

57.  কোন সময়ে কনস্ট্যান্টিনোপলের সৈন্যরা অফিসারদেরকে তাঁদের ঘরে তালাবদ্ধ করে ক্যান্টনমেন্টের নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নেয়। 

উত্তরঃ ১৯০৯ সনের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩০)

58.  সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামীদকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন সুলতান কে হোন? তিনি কখন পর্যন্ত সুলতান ছিলেন? 

উত্তরঃ মাহমুদ রাশাদ বা পঞ্চম মুহাম্মাদ; ১৯১৮ সাল বা তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩০)

59.  ইত্তিহাদ-ই-মুহাম্মাদী জামিয়াতী নামে সংগঠন কখন কার নেতৃত্বে গঠিত হয়?

উত্তরঃ ১৯০৯ সনের গোড়ার দিকে হাফিয দারবিশ ওয়াহদাতি বে-র নেতৃত্বে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩০)

60.  ১৯০৯ সনের গোড়ার দিকে আয়া সোফিয়া মাসজিদে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হওয়া সংগঠনের নাম কি? 

উত্তরঃ ইত্তিহাদ-ই-মুহাম্মাদী জামিয়াতী। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩০)

61.   ‘‘আপনি শারীআহ চাচ্ছেন? যারা শারীয়াহ চায় তারা বাইরে ঝুলে থাকা ঐ লোকগুলোর মতো ফাঁসিতে ঝুলে’’ কে কাকে কি দেখিয়ে এই কথা বলেছিলেন? 

উত্তরঃ কোর্ট মার্শালের প্রিজাইডিং অফিসার কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে ফাঁসি দেয়া পনরজনের ঝুলন্ত লাশ দেখিয়ে সাঈদ নুরসীকে এখা বলেছিলেন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩১)

62.  ‘‘আমার যদি এক হাজার জীবন থাকতো, আমি শারীয়ার এক একটি অংশের জন্য আমার জীবনগুলো কুরবান করে দিতাম কারণ শারীয়াহ-ই হচ্ছে সমৃদ্ধি, কল্যাণ, সুবিচার ও সততার পথ’’ এই উক্তিটি কার? 

উত্তরঃ বাদীউয্‌যামান সাঈদ নুসরীর। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩১)

63.  ‘‘বীর ব্যক্তিরা অপরাধ করে না যদি তারা অভিযুক্ত হয় তারা শাস্তিকে ভয় পায় না আমি যদি অন্যায়ভাবে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হই আমি দুইজন শহীদের পুরস্কার পাবো আমি যদি জেলখানায় থাকি তবে সম্ভবত জেলখানাই হচ্ছে স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে সবচে’ বেশি আরামপ্রদ স্থান যালিম হয়ে বাঁচার চেয়ে মাযলুম হয়ে মরা উত্তম’’ এই উক্তিটি কার? 

উত্তরঃ বাদীউয্‌যামান সাঈদ নুসরীর। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩১)

64.  শিক্ষকতা পেশার মানোন্নয়ন, শিক্ষকদেরকে যুগপৎভাবে ইসলামী ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান সম্পর্কে ওয়াকিফহাল করণ, ভ্রাতৃত্ব বোধ দৃঢ়করণ, শিক্ষকদের অধিকার সংরক্ষণ ইত্যাদি লক্ষ্য নিয়ে ‘১৯১৯ সালে গঠিত সংগঠনের নাম কি? 

উত্তরঃ জামিয়াতুল মাদাররেসীন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৩)

65.  ১৯২০ সনেই মুস্‌তাফা পাশার নেতৃত্বে তুর্ক সৈন্যগণ স্মার্ণা থেকে গ্রীক সৈন্যদেরকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়১৯২১ সনে সাকারিয়া রণাংগনেও গ্রীকদেরকে পরাজিত করা সম্ভব হয়এই দুইটি সামরিক বিজয় আংকারা সরকারের ভাবমর্যাদা বৃদ্ধি করে এ সময় আংকারা সরকারকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় কোন দেশ?

উত্তরঃ রাশিয়া। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৫)

66.  গ্রীক সৈন্যদের পরাজিত করার পর আংকারা সরকার সুলতান পদ বিলুপ্ত করে। বিধায় পরবর্তীতে শাসকরা কি পদবী ধারণ করেন?

উত্তরঃ খালীফাহ। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৫)

67.  কত তারিখে সাঈদ নুরসীকে কোথায় সম্বর্ধনা দেয়া হয়?

উত্তরঃ ১৯২২ সনের ৯ই নভেম্বর গ্রান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলীতে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৬)

68.  সাঈদ নুরসী গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলীর সদস্যদের নিকট পাঠানো ফল স্বরূপ আগে ছালাত আদায় করতো না এমন প্রায় ৬০ জন সদস্য অন্যান্য নামাযী সদস্যদের সাথে যোগ দেননির্ধারিত রুমে আর জায়গা হচ্ছিলো না ফলে আরো বড়ো একটি রুমে জামায়াতের ব্যবস্থা করা হয় এতে মুস্তাফা পাশা বিরক্ত হয়ে সাঈদ নুরসীকে কি বলেন?

উত্তরঃ ‘‘আমাদের প্রয়োজন একজন বীর আলিমের আপনার উন্নত চিন্তাধারা থেকে উপকৃত হবার জন্যই আপনাকে এখানে ডেকে আনা হয়েছে অথচ আপনি এখানে এসে ছালাত সম্পর্কে লেখালেখি শুরু করলেন এইভাবে আমাদের মাঝে অনৈক্য সৃষ্টি করলেন’’ (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৬)

69.  ‘‘পাশা, পাশা, ঈমানের পর ফারয ছালাতগুলোই তো ইসলামের অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যারা ছালাত আদায় করে না তারা বিশ্বাসঘাতক আর বিশ্বাসঘাতকের অভিমত গ্রহণ করা যায় না’’ সাঈদ নুরসী কার উক্তির জবাবে এই উক্তি করেন এবং উক্তিটি কি ছিল? 

উত্তরঃ মুস্তাফা কামাল পাশার উক্তির জবাবে; পাশার উক্তি ছিলঃ ‘‘আমাদের প্রয়োজন একজন বীর আলিমের আপনার উন্নত চিন্তাধারা থেকে উপকৃত হবার জন্যই আপনাকে এখানে ডেকে আনা হয়েছে অথচ আপনি এখানে এসে ছালাত সম্পর্কে লেখালেখি শুরু করলেন এইভাবে আমাদের মাঝে অনৈক্য সৃষ্টি করলেন’’ (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৬)

70.  ১৯২৩ সনে আংকারাতে অবস্থানকালে সাঈদ নুরসী যখন বুঝতে পেরেছিলেন তুর্কীর মুসলিমদের ওপর নতুন কী আপদ জেঁকে বসেছে, তখন তিনি কি করলেন

উত্তরঃ আংকারা ত্যাগ করে ওয়ান (Van) চলে আসলেন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৭)

71.   তুরস্কে খলীফাহ পদ বিলুপ্ত ও সেকুলার রাষ্ট্রে পরিণত হয় হয় কখন

উত্তরঃ ১৯২৪ সনে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৭)

72.  কতসালে তুর্কীর রাজধানী আংকার স্থানান্তরিত হয়? আগে কোথায় ছিল?

উত্তরঃ ১৯২৪ সনে; আগে ছিল কনস্ট্যান্টিনোপলে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৭)

73.  রাষ্ট্র ক্ষমতার বলে পর্দা প্রথার বিলোপ সাধন, একাধিক বিবাহ নিষিদ্ধ করণ, সহশিক্ষা প্রবর্তন, ইসলামী শিক্ষায়তনগুলো বন্ধ করা, সেকুলার স্কুল-কলেজ স্থাপন, আরবীতে আযান দেয়া নিষিদ্ধ করণ, আরবী বর্ণমালার পরিবর্তে ল্যাটিন বর্ণমালা চালূ, পাগড়ি ও ফেজ টুপি পরা নিষিদ্ধ করণ, হ্যাট পরিধান বাধ্যতামূলক করণ ও সালাম পরিত্যক্ত করেন কে? 

উত্তরঃ মুস্‌তাফা কামাল পাশা। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৭)

74.  ফুতুহুল গাইব ও মাকতুবাত বই দুইটির রচয়িতা কে কে

উত্তরঃ ফুতুহুল গাইবঃ আবদুল কাদির জিলানীর রাহি. এবং মাকতুবাতঃ শায়খ আহমাদ সরহিন্দীর রাহি. (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৮)

75.  ‘‘আমার লক্ষ্য হচ্ছে ঈমানের বুনিয়াদ  মজবুতভাবে গড়ে তোলা যদি বুনিয়াদ মজবুত হয়, কোন তুফানেই তা ভেংগে পড়বে না’’ এই উক্তিটি কার? কার প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই উক্তি করেন? 

উত্তরঃ উক্তিটি সাঈদ নুরসীর’ তার ছাত্র মোল্লা হামীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ উক্তি করেন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৯)

76.  হুসাইন পাশা নামক একজন সরদার সাঈদ নুরসীর সাথে সাক্ষাত করে বলেন, ‘আমার সৈন্য, ঘোড়া, গোলাবারুদ প্রস্তুত আমরা শুধু আপনার কমাণ্ডের অপেক্ষা করছি’’ জবাবে সাঈদ নুরসী কি বলেন? 

উত্তরঃ ‘‘ওরা এই দেশেরই ছেলে ওরা আমার আত্মীয়-স্বজন, আপনার আত্মীয়-স্বজন আপনি কাদেরকে হত্যা করবেন? তারা কাকে হত্যা করবে? মাথা ঘামান আপনি কি চান আহমাদ মুহাম্মাদকে আর হাসান হুসাইনকে হত্যা করুক?’’ (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৩৯)

77.  সাঈদ নুরসীর হাতে লেখা বিষয় মুদ্রণ করার সুযোগ ছিলনা বলে হাতে লিখে বিতরণ করা হতো। তার লেখা একেকটি বিষয় সর্বোচ্চ কত কপি হাতে লেখা হয়েছে? লিখনির নাম কি?

উত্তরঃ ছয় লাখ; রিসালা--নুর। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪১)

78.  রিসালা-ই-নূর একদিকে আল কুরআনের শিক্ষাকে বাঁচিয়ে রেখেছে অন্য দিকে কি বাঁচিয়ে রেখেছে?

উত্তরঃ আল কুরআনের বর্ণমালাকে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪১)

79.  সাঈদ নুরসী মাদ্রাসা--ইউসুফিয়া কেথায় শুরু করেন?

উত্তরঃ কারাগারে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪২)

80.  সাঈদ নুরসী রিসালা-ই-নূরের পাঠক বা ছাত্রদেরকে তাকওয়া অবলম্বনের উপদেশ দিতেন আত্মম্ভরিতা পরিহার করতে বলতেন আর কি বলতেন?

উত্তরঃ যে কারো সাথে ভালোবাসা হবে শুধু আল্লাহরই জন্য, আবার কারো সাথে শত্রুতা হবে আল্লাহরই জন্য। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪৩)

81.   রিসালা--নুর হাতে লিখে কপি করার মাধ্যমে যখন চাহিদা পুরণ করা যাচ্ছিল না, তখন কপি করার জন্য কি মেশিন ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ ডুপ্লিকেটিং মেশিন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪৪)

82.  সাঈদ নুরসী মুসলিম জাহানের ঐক্যের ওপর খুবই গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি কিসের স্বপ্ন দেখেন?

উত্তরঃ ‘ইউনাইটেড ইসলামিক স্টেটস’ এর স্বপ্ন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪৬)

83.  সাঈদ নুরসীর আল কুরআনের পথে এগিয়ে যাওয়ার কর্মকৌশল ছিল কোন উপায়ে এবং কিসের মাধ্যমে?

উত্তরঃ ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে’ ‘ইতিবাচক পদক্ষেপের’ (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪৬)

84.  সাঈদ নুরসীর জিহাদ ছিল দুই ধরণের। তা কি কি?

উত্তরঃ মুখের ভাষার জিহাদ এবং কলমের জিহাদ। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪৬)

85.  সাঈদ নুরসীর দৃষ্টিভংগি কি ছিল?

উত্তরঃ আন্তরিকতা সহকারে ঈমানী চেতনা সৃষ্টি ও মজবুতকরণের কাজ করে যেতে হবে, আল্লাহর কাজে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪৬)

86.  আল্লাহর কাজে হস্তক্ষেপ করা যাবে না মানে কি?

উত্তরঃ ফল লাভের জন্য তাড়াহুড়া করা যাবে না, ব্যতিব্যস্ত হওয়া যাবে না কেননা ফল প্রদানের বিষয়টি একমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহর হাতে নিবদ্ধ। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪৬)

87.  রিসালা-ই-নূর প্রিন্টিং প্রেসে প্রথম মুদ্রিত হয় কত সালে?

উত্তরঃ ১৯৫৭ সালে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪৭)

88.  সাঈদ নুরসী কত তারিখ কত বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তরঃ ১৯৬০ সনের ২৩শে মার্চ; ৮৩ বছর বয়সে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪৮)

89.  সাঈদ নূরসী দুনিয়া থেকে চলে গেলেন কিন্তু বহু লোক তাঁর কবর দেখতে আসে এটাও সহ্য হচ্ছিলো না কামাল-পন্থী সরকারের ফলে সরকার কি সিদ্ধান্ত নিলো?

উত্তরঃ উরফা কবরস্থান থেকে তাঁর লাস তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে দাফন করতে হবে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৪৮)

90.  সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী রাহি. কত সালে কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তরঃ ১৯০৩ সনে হিন্দুস্থানের হায়দারাবাদ রাজ্যের (বর্তমান অন্ধ্র প্রদেশ) আওরঙ্গাবাদ শহরে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৫১)

91.   সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী রাহি. আব্বা ও আম্মার নাম কি?

উত্তরঃ আব্বাঃ সাইয়েদ আহমাদ হাসান এবং আম্মাঃ রুকাইয়া বেগম। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৫১)

92.  মাওলানা মওদূদীর কর্মজীবনের শুরু কোন কাজ দিয়ে?

উত্তরঃ আল মাদীনা পত্রিকার সম্পাদকীয় স্টাফের একজন সদস্য হিসাবে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৫১)

প্রথম মহাযুদ্ধ কোন সাল থেকে কোন সাল পর্যন্ত চলে?
উত্তরঃ ১৯১৪-১৯৯১৮। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৫২)

93.  ১৯১৯ সনে বৃটিশ শাসিত উপ-মহাদেশের মুসলিমরা উসমানী খিলাফাতের অখণ্ডতা অক্ষুন্ন রাখার দাবিতে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে এই আন্দোলনেরই নাম কি?

উত্তরঃ খিলাফাত আন্দোলন। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৫২)

94.  মাওলানা মওদূদী কত সনে কোন পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে কত বছর বয়সে দায়িত্ব পালন শুরু করেন?

উত্তরঃ ১৯২০ সনে সাপ্তাহিক তাজ; ১৭ বছর বয়সে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৫২)

95.  জমিয়াতে উলামায়ে হিন্দ সংগঠন একটি পত্রিকা প্রকাশ করে, যার সম্পাদক ছিলেন মাওলানা মওদূদী। পত্রিকারটির নাম কি?

উত্তরঃ মুসলিম। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৫৩)

96.  তুর্কীর সমরনায়ক মুস্‌তাফা কামাল পাশা কত সালৈ উসমানী খিলাফাতের বিলুপ্তি ঘোষণা করেন

উত্তরঃ ১৯২৪ সনে। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৫৩)

97.  খিলাফাতে রাশেদার পর কোন তিনটি খিলাফাত ছিল দুনিয়ার মুসলিমদের শক্তির কেন্দ্র?

উত্তরঃ ১. উমাইয়া খিলাফাত। ২. বানুল আব্বাস খিলাফাত। ৩. উসমানী খিলাফাত। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৫৩)

98.  আর্য সমাজ নামক সংগঠনের নেতা স্বামী শ্রদ্ধানন্দ এর শুদ্ধি আন্দোলনের মূল বক্তব্য কি ছিল? 

উত্তরঃ উপ-মহাদেশের মুসলিমদের পূর্ব-পুরুষরা হিন্দু ছিলো মুসলিম শাসকদের চাপে পড়ে তারা হিন্দুত্ব ত্যাগ করে মুসলিম হয় এখন মুসলিমদের উচিত হিন্দুত্বে ফিরে আসা। (ইসলামী জাগরণের তিন পথিকৃৎ - পৃষ্ঠাঃ ৫৪)

 

প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানতে যুক্ত থাকুন আমাদের হোয়াইটসআপ গ্রুপে। গ্রুপে যুক্ত হওয়ার জন্য ক্লিক করুন এখানে।

Post a Comment

0 Comments