প্রশ্নোত্তরঃ সফল জীবনের পরিচয়
1.
আল্লাহ
মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য যা যা প্রয়োজন সবই সৃষ্টি করে মানুষকে জ্ঞানবুদ্ধি ও
কর্মক্ষমতা দান করেছেন কেন?
উত্তরঃ সম্পদ আহরণ, সম্পদ রূপান্তরিত করণ এবং সম্পদ ভোগব্যবহারের জন্য।। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫)
2.
মানুষ আল্লাহ
প্রদত্ত জ্ঞানবুদ্ধি ও কর্মক্ষমতা প্রয়োগ করে কি করে?
উত্তরঃ আল্লাহর
অসংখ্য সৃষ্টির উপর কর্তৃত্ব
করে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫)
3.
মানুষের চাহিদা
গুলো তিন ভাবে পুরণ হয়। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. আপনা-আপনি
পূরণ হয়। ২. একক প্রচেষ্টায়
পুরণ হয়। ৩. অপরাপর
মানুষের সহযোগিতায় পুরণ হয়।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫)
4.
মানুষের নানাবিধ
চাহিদা পূরণের জন্য কি কি গড়ে উঠে?
উত্তরঃ পরিবার, বিভিন্ন
সামাজিক সংস্থা, আর্থিক সংস্থা
এবং রাষ্ট্র সংগঠন। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫)
5.
পরিবার, বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা, আর্থিক সংস্থা এবং রাষ্ট্র সংগঠন
কেন গড়ে উঠে?
উত্তরঃ মানুষের
নানাবিধ চাহিদা পুরনের জন্য।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫)
6.
মানুষের চাহিদা
আপনা আপনি পুরণ হয় এমন একটি উদাহরণ দিন।
উত্তরঃ শ্বাসযন্ত্রের
মাধ্যমে বায়ু অটোমেটিক মানুষের
ফুসফুসে যাতায়াত করে। বায়ুর
চাহিদা মেটাবার জন্য মানুষকে
কষ্ট করতে হয়না। চেষ্টা
চালাতে হয় না। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ৫)
7.
শীতের দিনে
শীত তাড়াবার জন্য তাপের প্রয়োজন। তাপ লাভের অন্যতম উপায় রোদ পোহানো। কেউ শীত তাড়াতে চাইলে রোদে গিয়ে দাঁড়ালে
শীত দূর হয়। এই উদাহরণটি
মানুষের কোন ধরণের চাহিদা পুরণ করে?
উত্তরঃ একক প্রচেষ্টায়
পুরণ হয় এমন চাহিদা।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫)
8.
মানুষের চাহিদার
তালিকা বেশ দীর্ঘ। মানুষ ১০টি বিষয় চায়, তা কি কি?
উত্তরঃ ১. খাদ্য, ২. পানি, ৩. ঘর, ৪. পোশাক, ৫. ঔষধ, ৬. শিক্ষা, ৭. ভাব প্রকাশের
সুযোগ, ৮.
বাহন, ৯.
নিরাপত্তা, ১০.
যুলুমের প্রতিকার। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৬)
9.
মানুষের যাবতীয়
প্রয়োজন মেটানোর বা চাহিদা পূরণের জন্য, মানুষের জীবনকে স্বচ্ছন্দ করার জন্য, মানুষের জীবনকে সুন্দর করার জন্য এবং মানুষের জীবনকে সমুন্নত করার জন্য আল্লাহ
যেই সব নিয়ামতের ব্যবস্থা করেছেন, সেগুলোকে কি বলে?
উত্তরঃ রিযক।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৬)
10.
এই পৃথিবীর
অংগনে মুমিনদেরকে দুইটি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করতে হয়। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. হালাল
জীবিকা উপার্জনের সংগ্রাম। ২. আল্লাহর
দ্বীন কায়েমের সংগ্রাম। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৭)
11.
পাঁচটি কাজ
করা ইসলাম নির্দেশিত জীবন ব্যবস্থা নয়। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. জীবিকা
উপার্জনে উদাসীন হওয়া, ২. সংসার ত্যাগী
হওয়া, ৩.
বৈরাগী হওয়া, ৪. সন্ন্যাসী হওয়া, ৫. আল্লাহর
দীন কায়েমের সংগ্রাম বিমুখ
হওয়া। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৭)
12.
আল্লাহ রাব্বুল
আলামীন বলেনঃ আর বৈরাগ্যবাদ তো তারা নিজেরাই উদ্ভাবন করেছে, আমি ওটা তাদের উপর চাপিয়ে দেইনি। এ ব্যাপার আল্লার রাসূল সা. কি বলেছেন?
উত্তরঃ ইসলামে
রাহবানিয়াত বা বৈরাগ্যবাদ নেই।(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৭)
13.
আল্লাহ আমাদের
জন্য যমীনকে অনুগত বানিয়ে দিয়েছেন কেন?
উত্তরঃ যমীনের
বুকে বিচরণ করবো এবং আল্লাহর
দেওয়া রিযক (আহরণ করে) খাবো।(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৮)
14.
হযরত আয়েশা
রা. বর্ণিত হাদীসের আলোকে আল্লাহর রাসূল সা.
কোথায় রিযক তালাশ করতে বলেছেন?
উত্তরঃ মাটির
গভীর তলদেশে। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৯)
15.
আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়াতায়ালা দিনকে আলোকোজ্জ্বল করেছেন। কেন করেছেন?
উত্তরঃ যাতে
রবের অনুগ্রহ (রিযক) তালাশ করা যায়।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৯)
16.
হজ্জের সময়ে
রবের অনুগ্রহ বা রিযক তালাশ করাতে কি নাই?
উত্তরঃ কোন দোষ নাই।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৯)
17.
কোন খাবারের
চেয়ে উত্তম খাবার আর নেই?
উত্তরঃ নিজের
হাতের উপার্জনের। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ১০)
18.
রাসূল সা.কে কোন উপার্জন উত্তম প্রশ্ন করা হলে তিনি কি উত্তর দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ ব্যক্তির
নিজের হাতের উপার্জন এবং সৎ ব্যবসা।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১০)
19.
রাসুল সা. বলেছেন, সালাতুল ফাজর আদায় করার পর আমরা যেন ঘুমিয়ে না
থাকি। যদি ঘুমিয়ে না থাকি, তাহলে করবো কি?
উত্তরঃ রিযক
তালাশ করতে হবে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১০)
20.নির্ধারিত ফরযগুলোর পর কি ফরয?
উত্তরঃ হালাল
জীবিকা তালাশ করা। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১০)
21.
মানুষের খাদ্যের
প্রয়োজন শুধু দেহের লালন ও পরিপুষ্টি সাধনের জন্যই নয়। তাহলে আর কি জন্য?
উত্তরঃ মানুষের
রুচির পরিতৃপ্তির জন্য। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১১)
22.
সকল প্রার্থীর
চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে রিযক নির্দিষ্ট করা হয়েছে কত দিনে?
উত্তরঃ মাত্র
চারদিনে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১২)
23.আল্লাহ কিছু সংখ্যক লোককে অন্যদের উপর বেশী মর্যাদা দিয়েছেন
কেন?
উত্তরঃ যাতে
এরা একে অপরের সেবা
গ্রহণ করতে পারে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১৩)
24.
আল্লাহ যদি
তাঁর বান্দাদের রিযক দিতেন সীমাহীন, তাহলে কি পরিস্থিতির
সৃষ্টি হতো?
উত্তরঃ বান্দারা
পৃথিবীতে বিদ্রোহের তুফান সৃষ্টি
করতো। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১৫)
25.সূরা আল আনকাবুতের আয়াতের বর্ণনা অনুযায়ী আমরা আল্লাহর কাছেই
রিযক অনুসন্ধানের সাথে সাথে আরো দুইটি কাজ করতে হবে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. আল্লাহর
ইবাদত করা। ২. আল্লাহর
শুকরিয়া আদায় করা। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১৫)
26.
আল্লাহ দুনিয়ার
জীবনে যাকে যা কিছু দিয়েছেন, তা কি জন্য দিয়েছেন?
উত্তরঃ পরীক্ষার
জন্য। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১৬)
27.অভাব অনটন, বিপদ মুছিবাত ইত্যাদি
কেন দেয়া হয়?
উত্তরঃ পরীক্ষার
জন্য। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১৬)
28.অভাব অনটন, বিপদ মুছিবাত ইত্যাদি
দিয়ে পরীক্ষা করে আল্লাহ কি দেখতে চান?
উত্তরঃ মানুষ
তাঁর সিদ্ধান্তের উপর সন্তুষ্ট
থেকে ধৈর্য ধারণ করে, না নৈতিকতার
বাঁধন ছিন্ন করে তাঁর
বিরুদ্ধাচরণ শুরু করে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১৬)
29.
সুদর্শন কিংবা
কুৎসিত, সবল-সুঠাম কিংবা দূর্বল,
মেধাবী কিংবা মেধাহীন, স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন কিংবা
স্মৃতিশক্তিহীন, সুষ্ঠু প্রত্যংগসহ কিংবা বিকলাংগ, দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন কিংবা দৃষ্টিশক্তিহীন, কর্তৃত্বশীল
কিংবা কর্তৃত্বহীন, খ্যাতিমান কিংবা খ্যাতিহীন এই অবস্থা সমূহ
কেন করা হয়েছে। এ অবস্থায় মানুষের কর্তব্য কি?
উত্তরঃ এই অবস্থা
মানুষের জন্য পরীক্ষা। মানুষের
কর্তব্য সদা সচেতন থেকে
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য
চেষ্টা করা। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ১৭)
30.
দুনিয়ার জীবনে
এবং আখিরাতের জীবনে মানুষের কল্যাণ কিংবা অকল্যাণ হয় কিসের নিরিখে?
উত্তরঃ কৃত আমলের
নিরিখে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১৮)
31.
“এমন উপায়ে তাকে রিযক দেন যে, উপায়ের কথা সে কখনো কল্পনাও
করেনি”-কাকে রিযক দেয়া হয়?
উত্তরঃ যেই ব্যক্তি
আল্লাহকে ভয় করে চলে।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ১৮)
32.সাধারণ অর্থে ও বিশেষ অর্থে ইসলাম কি?
উত্তরঃ সাধারণ
অর্থেঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন
কর্তৃক তাঁর সৃষ্টির জন্য
নির্ধারিত বিধান। আর বিশেষ
অর্থেঃ মানুষে জন্য আল্রাহ
প্রদত্ত জীবন বিধান। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২১)
33.
আল্লাহ প্রদত্ত
জীবন বিধান হওয়ায় ইসলাম তিনটি বৈশিষ্ট্য যুক্ত। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. নির্ভূল। ২.
ভারসাম্যপূর্ণ। ৩. কল্যাণকর। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২০)
34.গোটা বিশ্ব প্রকৃতিতে স্বীয় বিধান কার্যকর করলেও আল্লাহ মানব
সমাজে তাঁর বিধান কার্যকর করেননি কেন?
উত্তরঃ আল্লাহর
অভিপ্রায় মানুষ স্বেচ্ছায় তার দেওয়া
জীবন বিধান কবুল করুক
এবং তার ভিত্তিতে তারা
সমাজ ও সভ্যতা গড়ে তুলে
পৃথিবীকে শান্তির নীড়ে পরিণত
করুক। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২১)
35.
মানুষকে সৃষ্টির
প্রাক্কালে আল্লাহ বলেছিলেনঃ আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি নিযুক্ত করতে যাচ্ছি। কিন্তু মানুষ পৃথিবীতে আসার পর মানুষের
পজিশন স্মরণ করে দিয়ে আল্লাহ কি বলেছিলেন?
উত্তরঃ তিনি
সেই সত্তা যিনি তোমাদেরকে
পৃথিবীতে প্রতিনিধি বানিয়েছেন। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২২)
36.তিন তোমাদের জন্য দীনের সেই বিধান নির্ধারিত করেছেন যার নির্দেশ
দেয়া হয়েছিল ইব্রাহীম, মুসা এবং ঈসাকে। প্রশ্ন হচ্ছেঃ এই নির্দেশ ইব্রাহীমের
আগে কাকে দেয়া হয়েছিল এবং নির্দেশটি কি?
উত্তরঃ হযরত
নুহ আ.কে দেয়া হয়েছিল। নির্দেশটি হলোঃ এই দীন কায়েম
কর এবং এতে বিভেদ-বিভক্তি-বিচ্ছিন্নতা
সৃষ্টি করো না। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২২)
37.
সকল নবীরই
জীবন মিশন কি ছিল?
উত্তরঃ ইকামাতুদ
দীন। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২২)
38.
অটোমেটি কায়েম
হয় না আবার জোর জবরদস্তি করেও কায়েম হয়না-এমন জিনিস কি?
উত্তরঃ দীন।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২২)
39.অটোমেটি কায়েম হয় না আবার জোর জবরদস্তি করেও কায়েম হয়না-তাহলে দ্বীন কায়েমের জন্য কি প্রয়োজন?
উত্তরঃ বিজ্ঞতাপূর্ণ
সংগ্রাম। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২২)
40.আল্লাহ একের পর এক বুহ সংখ্যক নবী পাঠিয়েছেন কোথায়? তাদের আবির্ভাব হয়েছে পৃথিবীর কোথায়? তারা আবির্ভূত হয়েছেন
কোন সময়ে? তারা সকলেই অবলম্বন করেছেন কি?
উত্তরঃ মানব
সমাজে, বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন কালে, অভিন্ন
কর্মকৌশল। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২৩)
41.
নবী রাসূলগন
মানুষকে বারবার আহবান জানিয়েছেন দুইটি বিষয়ে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. আল্লাহর
প্রতি ঈমান পোষণ। ২. তাঁর
দেওয়া জীবন বিধান অনুসরণ।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২৩)
42.
নবীদের আহবানে
সাড়া দিয়ে যাঁরা তাঁদের কাফিলায় শামিল হয়েছেন, তারা ছাড়া বাকিরা কি করেছে?
উত্তরঃ আল্লাহদ্রোহীতাকে তাদের জীবন মিশন বানিয়ে
পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২৩)
43.নবীদের আহবানে সাড়া দিয়ে যাঁরা তাঁদের কাফিলায় শামিল হয়েছেন, তারা ছাড়া বাকিদেরকে আখিরাতে কেন হতে হবে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন?
উত্তরঃ যেই কর্তব্য
সাধনের জন্য তাদেরকে পৃথিবীতে
পাঠানো হয়েছিলো, তা না করার
কারণে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২৩)
44.
পৃথিবীর বেশি
সংখ্যক মানুষই জীবনের প্রকৃত মিশনের প্রতি উদাসীন থেকে সফলতার ভূল ধারণার বশবর্তী হয়। সেই ভূলধারণাকারীরা ৫টি বিষয়কে সফলতা
মনে করে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. টাকার
পাহাড় গড়তে পারা। ২. বিশাল
অট্টালিকার মালিক হওয়া। ৩. বহু সংখ্যক
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিক
হওয়া। ৪. বিলাসী জীবন
যাপন করতে পারা। ৫. প্রভাব
প্রতিপত্তিতে অপরকে ছাড়িয়ে যেতে
পারা। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২৪)
45.আল্লাহর কথা পরিবর্তিত হবো নয়। এটি বড়ই সফলতা। সেই সফলতা তিন প্রকারের মানুষের জন্য। তারা কারা?
উত্তরঃ ১. যারা
আল্লাহর বন্ধু। ২. যারা
ঈমান এনেছে। ৩. যারা
তাকওয়া অবলম্বন করেছে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২৩)
46.
যে ব্যক্তি
নিজকে পরিশুদ্ধ করে নিয়েছে এবং যে নিজকে দাবিয়ে দিয়েছে এই দুই ব্যক্তির অবস্থান কি?
উত্তরঃ যে পরিশুদ্ধ
করেছে, সে সফল আর যে দাবিয়ে
দিয়েছে সে বিফল। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২৫)
47.আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা চারটি কাজকে শয়তানী কাজ উল্লেখ
করে ঈমানদারদেরকে তা পরিহার করার নির্দেশ দিচ্ছেন-যা করা হলে আশা করা যায় সফল হবে। সেই কাজ চারটি কি কি?
উত্তরঃ ১. মদ। ২.
জুয়া। ৩. আল্লাহ ছাড়া
অন্য কারো জন্য নজরানা
পেশ করা। ৪. ভাগ্য
গণনার জন্য শর নিক্ষেপ।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২৪)
48.মুমিনদের যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ফায়সালা মেনে নেওয়ার জন্য
ডাকা হয়, তখন মুমিনরা কি বললে তারা সফল বলে কুরআন ঘোষনা
করেছে?
উত্তরঃ আমরা
শুনলাম এবং মেনে নিলাম।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২৬)
49.
ঈমানদাররা
কোন দুইটি কাজ করলে আল্লাহ আমল গুলো সংশোধন করে দেবেন?
উত্তরঃ ১. আল্লাহকে
ভয় করে চলা। ২. সোজা
সঠিক কথা বলা। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২৭)
50.
সফল কারা
রয়েছে তাদের রবের নির্দেশিত পথে?
উত্তরঃ যারা
ছালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আখিরাতের
প্রতি ইয়াকীন রাখে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ২৭)
51.
এটাই সঠিক
কর্মনীতি এবং শেষ ফলের দিক দিয়ে এটাই ভালো-এখানে কর্মনীতিটা
কি?
উত্তরঃ কোন বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ফিরা। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ২৭)
52.মুমিন পুরুষ এবং মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু। আল্লাহ শিগগিরই তাদের প্রতি অনুগ্রহ
করবেন। এই পুরুষ
ও নারীর ৫টি বৈশিষ্ট কি কি?
উত্তরঃ ১. তারা
ভালো কাজের নির্দেশ দেয়। ২.
তারা মন্দকাজ থেকে বিরত
রাখে। তারা সালাত
কায়েম করে। ৪. তারা
যাকাত দেয়। ৫. তারা
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের
আনুগত্য করে। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ২৮)
53.
সফলতা লাভ
করলো সেই সব মুমিন যারা তাদের ছালাতে খুশু অবলম্বন করে, যারা বেহুদা কাজ থেকে বিরত থাকে, যারা পবিত্রতা বিধান
কাজে তৎপর থাকে, যারা লজ্জাস্থানের হিফাজত করে, যারা আমানত ও ওয়াদা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। তারা আর কি করে এবং তাদের পুরস্কার
কি?
উত্তরঃ ছালাতের
পূর্ণ হিফাযাত করে। তারা
ফেরদাউস পাবে। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ২৯)
54.মুমিন মহিলারা যেমন তাদের সাজ প্রকাশ না করে, তবে তাদের সামনে ছাড়াঃ তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুড়, নিজের ছেলে, নিজের স্বামীর
ছেলে, আপন ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, ঘনিষ্ঠ চেনা-জান মহিলা,
নিজেদের দাস। আরো দুই শ্রেণী রয়েছে, তারা কারা?
উত্তরঃ ১. অধীনস্ত
এমন পুরুষ যাদের অন্য
রকম চাহিদা নেই। ২. এমন বালক
যারা মেয়েদের গোপন বিষয়ে
জানে না। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৩০)
55.
আল্লাহ মুমিনদের
কাছ থেকে তাদের জানমাল কিনে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে। বিধায় মুমিনরা কি করে?
উত্তরঃ আল্লাহর
পথে লড়াই কের, মারে ও মরে।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩১)
56.“ওয়াদা পালনে আল্লাহর চেয়ে বেশি যোগ্য আর কে আছে।” কিসের ওয়াদা এবং সেই ওয়াদা কোথায় রয়েছে?
উত্তরঃ জান্নাত
দেয়অর মজবুত ওয়াদা। যা রয়েছে
তাওরাত, ইনজীল ও কুরআনে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩১)
57.
“অতএব তোমরা আল্লাহর সাথে যেই বেচাকেনা করেছো সেই ব্যাপারে খুশি হয়ে যাও।” আল্লাহর কাছে কি বিক্রয় করা হয়েছে?
উত্তরঃ জান ও মাল।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩১)
58.
কুরআনের আয়াতে
সফল জীবনের যেই সব বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে, তাকে অধ্যাপক
নাজির আহমদ সাজিয়েছেন, কতটি কাজ দিয়ে? প্রথমটি
কি?
উত্তরঃ মোট ২৬টি। প্রথমটিঃ আল্লাহর সত্তা, গুণাবলী, ক্ষমতা-সামর্থ কিংবা
অধিকারে শিরকমুক্ত ঈমানের অধিকারী
হওয়া। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৪)
59.সফল জীবনের ২৬টি বৈশিষ্টের সর্বশেষ ৩টি বৈশিষ্ট কি কি?
উত্তরঃ ১. বেহুদা
কাজ থেকে বেঁচে থাকা। ২.
কৃপণতা থেকে মুক্ত হওয়া। ৩.
আত্মীয় স্বজন হলেও যারা
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের
বিরোধিতা করে তাদেরকে ভাল না বাসা।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৫)
60.আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ৫টি বিষয়কে সফলতার মাপকাঠি বলে উল্লেখ
করেননি, তা কি কি?
উত্তরঃ ১. টাকার
পাহাড় গড়তে পারা। ২. বিশাল
অট্টালিকার মালিক হওয়া। ৩. বহু সংখ্যক
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিক
হওয়া। ৪. বিলাসী জীবনযাপন
করতে পারা। ৫. প্রভাব
প্রতিপত্তিতে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়া।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৫)
61.
কোন কোন জিনিসের
প্রতি মানুষের অন্তরে গভীর অনুরাগ থাকে?
উত্তরঃ স্ত্রী, পুত্র, কন্যা
এবং আত্মীয় স্বজনের প্রতি।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৬)
62.
কোন কোন জিনিসের
প্রতি মানুষ দারুণ আকর্ষণ অনুভব করে?
উত্তরঃ টাকাপয়সা
ও অন্যান্য সম্পদের প্রতি। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৬)
63.মানুষের দারুণ ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায় কোন বস্তু?
উত্তরঃ দুনিয়াপ্রীতি।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৬)
64.
কোন জিনিস
মানুষকে আখেরাতমুখী হতে দেয় না?
উত্তরঃ দুনিয়াপ্রীতি।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৬)
65.কোন জিনিস মানুষের আখেরাতের প্রস্তুতি গ্রহণকে বাধাগ্রস্থ করে?
উত্তরঃ দুনিয়াপ্রীতি।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৬)
66.
মানুষ যাতে
দুনিয়ার জীবনের গোলকধাঁধাঁয় পড়ে প্রতারণার শিকারে পরিণত না হয় সে জন্য আল্লাহ মানুষকে
কি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন?
উত্তরঃ দুনিয়ার
জীবনের প্রকৃত অবস্থা। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৬)
67.মানুষের জন্য ছয় প্রকারের জিনিসের প্রতি আকর্ষণকে খুবই সুশোভিত
করা করা হয়েছে। কিন্তু এইগুলো দুনিয়ার জীবনের সামগ্রী মাত্র। এই ছয়টি জিনিস কি কি?
উত্তরঃ ১. নারী। ২.
সন্তান। ৩. সোনা-রূপার স্তুপ। ৪.
সেরা ঘোড়া। ৫. গৃহপালিত
পশু। ৬. ক্ষেতখামার। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৫)
68.আর দুনিয়ার জীবন তো হাসিতামাশা, খেলা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাহলে আসল জীবন কোনটি?
উত্তরঃ আখিরাতের
ঘর। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৭)
69.
ছোট ছেলেরা
কিছুক্ষণের জন্য নেচেগেয়ে আমোদ করে এবং যার যার ঘরে চলে যায়। এখানে যে রাজ হয়ে গেছে সে আসলে রাজ
হয়ে যায়নি এবং শুধুমাত্র রাজার অভিনয় করছে। এক সময় খেলা শেষ হয়ে যা। তখন সে তেমনি দীনহীন অবস্থায় রাজ সিংহাসন থেকে বিদায় নেয় যেইভাবে
এসেছিল। এই উদাহারণ
কিসের উদাহরণ?
উত্তরঃ দুনিয়ার
জীবনের উদাহরণ। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৩৭)
70.
প্রত্যেক
উম্মাতের জন্য রয়েছে এক একটি ফিতনা। উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য ফিতনা কি?
উত্তরঃ অর্থ
সম্পদ। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৩৯)
71.
আল্লাহর স্মরণ
হতে গাফিল করে রাখে এমন বিষয় সমূহের মাঝে বিশেষ ভাবে অর্থসম্পদ ও সন্তানসন্ততির কথা
উল্লেখ করা হয়েছে কেন?
উত্তরঃ বেশীরভাগ
ক্ষেত্রে মানুষ এইসব স্বার্থের
কারণে ঈমানের দাবী পুরণ
না করে নিফাক অথবা
ঈমানের দূর্বলতা অথবা পাপাচার
ও না-ফরমানিতে
ল্পি হয়ে পড়ে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪০)
72.আল্লাহর নিকট দুনিয়াটার মূল্য যদি একটি মশার ডানার মূল্যের সমান
হতো, তাহলে আল্লাহ কি করতেন না?
উত্তরঃ কোন কাফিরকে
এর থেকে এক চুমুক
পানি পান করতে দিতেন
না। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪০)
73.
যে ব্যক্তি
দুনিয়াকে ভালোবাসে সে তার ক্ষতি কি? আর যে ব্যক্তি আখেরাতকে
ভালোবাসে তার ক্ষতি কি?
উত্তরঃ দুনিয়া
ভালবাসলে-আখেরাত ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর আখেরাতকে
ভালবাসলে দুনিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪১)
74.“আল্লাহ তোমাদের অন্তরে দুর্বলতা সৃষ্টি করে দেবেন।” সেই দুর্বলতা কি?
উত্তরঃ দুনিয়াপ্রীতি
এবং মৃত্যুর প্রতি অনীহা।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪২)
75.
দুনিয়াপ্রীতি
এবং মৃত্যুর প্রতি অনীহা মানে কি?
উত্তরঃ দুনিয়ার
প্রতি মোহাবিষ্ট হয়ে পড়া এবং জিহাদের
কথা শুনলে প্রাণ ভয়ে পিছটান
দেয়া। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪২)
76.আটটি বস্তু যদি বেশী প্রিয় হয়ে যায় আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং আল্লাহর পথে জিহাদ থেকে তাহলে আল্লাহর ফায়সালার অপেক্ষা করতে
হবে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. তোমাদের
আব্বা, ২.
তোমাদের সন্তান, ৩. তোমাদের ভাই, ৪. তোমাদের
স্ত্রী, ৫.
তোমাদের আত্মীয়স্বজন, ৬. তোমাদের উপার্জিত
অর্থসম্পদ, ৭.
তোমাদের ঐ ব্যবসা যার মন্দার
আশংকা তোমরা কর, ৮. মোাদরে পছন্দের
ঘরবাড়ি। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪২)
77.
কোন ধরণের
অর্থসম্পদের মালিক হওয়াকে ইসলাম উৎসাহিত করে?
উত্তরঃ হারাম
থেকে বেঁচে, হালালের গন্ডিতে
থেকে, কারো কাছে হাত না পেতে
এবং ঋণগ্রস্ত না হয়ে মৌলিক
প্রয়োজন পুরণের মতো অর্থ
সম্পদের মালিক হওয়াকে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৩)
78.
আরো চাই, আরো চাই-এই ধরণের মনোভংগিকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কি
বলে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তরঃ আততাকাসুর।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৩)
79.আরো চাই আরো চাই-এই মনোভংগি বিশ্লেষণ
করতে গিয়ে আল্লাহর রাসূল সা. কি বলেছেন?
উত্তরঃ আদম সন্তান
যদি দুইটি স্বর্ণ ভরা উপত্যকা
লাভ করে, তবুও সে তৃতীয়
আরেকটি লাভ করতে চাইবে। মাটি ছাড়া আর কিছুই
তার মুখ ভরতে পারে
না। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৩)
80.
কোন জিনিস
ছাড়া আদম সন্তানের মুখ ভরতে পারে না?
উত্তরঃ মাটি
ছাড়া। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৩)
81.
বকরীর পালে
পতিত দুইটি ক্ষুধার্ত নেকড়ে বাঘ বকরীর পালের যতটুকু ক্ষতি করে, তার চেয়ে বেশী ক্ষতিক্ষর বস্তু কি?
উত্তরঃ অর্থ
সম্পদের লোভ এবং অভিজাত
হওয়ার লালসা একজন দীনদারীর
জন্য তার চেয়ে বেশী
ক্ষতিক্ষর। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৪)
82.মানুষের প্রকৃত মৌলিক প্রয়োজন কি কি?
উত্তরঃ বসবাসের
জ্য একটি ঘর, লজ্জা নিবারণের
জন্য কিছু কাপড়, কিছু রুটি
ও পানি। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৪)
83.
কোন ব্যক্তির
জন্য সৌভাগ্যের বিষয় তিনটি কি কি?
উত্তরঃ ১. প্রশস্ত
বসত ঘর। ২. নেক প্রতিবেশী। ৩.
আরামপ্রদ বাহন। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৪৪)
84.রাসূল সা. এর বর্ণনা অনুযায়ী
সফল সেই ইসলাম গ্রহণকারী ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ আরো দুইটি বিষয়
প্রদান করেছেন, তা কি কি?
উত্তরঃ ১. প্রয়োজন
মাফিক রিযক। ২. আল্লাহ
যা দিয়েছেন, তার উপর সন্তুষ্ট
থাকার তাওফীক। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৪৫)
85.
উট, গাভী, বকরী, ঘোড়া এবং দাস-দাসী আছে এমন ধনী ব্যক্তি যখন খুবই নিম্নমানের পোশাক পরে আল্লাহর রাসূল সা.
এর নিকট উপস্থিত হলো, তখন আল্লাহর রাসূল সা.
কি নসিহত করলেন?
উত্তরঃ আল্লাহ
যখন তোমাকে ধনসম্পদ দিয়েছেন, তোমার
অবয়বে তার নি’আমতের প্রকাশ
পাওয়া উচিত। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৪৫)
86.নিজের অবয়বে আল্লাহর নিয়ামতের প্রকাশ ঘটানোর অর্থ কি নয়?
উত্তরঃ বিলাসী
জীবনযাপন নয়। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৪৫)
87.
বিলাসব্যসন
পরিহারকরণ এবং অনাড়ম্বর জীবনযাপনের তাকিদ দিয়ে আল্লাহর রাসুল সা. কি বলেছেন?
উত্তরঃ বিলাসিতা
থেকে বেঁচে থেকো। অবশ্যই
আল্লাহর বান্দারা বিলাসী হয় না।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৫)
88.
বিলাসিতা
থেকে ধীরে ধীরে কি কি জন্ম নেয়?
উত্তরঃ বিলাসিতা
থেকে আরামপ্রিয়তা, আরামপ্রিয়তা থেকে
অলসতা আর অলসতা থেকে
পরিশ্রমবিমুখতা। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৬)
89.দুনিয়াতে থাকার ব্যাপারে আল্লাহ রাসূল সা. আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা.কে কি উপদেশ দিয়েছেন?
উত্তরঃ তুমি
দুনিয়াতে একজন মুসাফির কিংবা
একজন পথচারীর মতো হয়ে থাকো।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৬)
90.কম পাওয়ার বেদনা মানুষকে দারুণভাবে পীড়ন করে। কিন্তু বেদনা দূর করে দেয় কিসে?
উত্তরঃ অল্পে
তুষ্টি। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৭)
91.
মানুষের মাঝে
প্রচন্ড ভোগের আকাংখা বিদ্যমান। এই আকাংখার যেন নিবৃত্তি নেই, শেষ নেই। কোন জিনিস এই আকাংখাকে নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তরঃ অল্পে
তুষ্টি। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৭)
92.
ভোগবাদ এক
মহা আপদ। ভোগবাদের
খপ্পরে পড়ে মানুষ উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটতে থাকে। কোন জিনিস এই যন্তনাদায়ক অবস্থা থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়?
উত্তরঃ অল্পে
তুষ্টি। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৭)
93.রাসূল সা. মক্কায় অবস্থানকালে
নবুওয়াত লাভের পূর্ব ব্যবসায়ে উপার্জিত অর্থের বিরাট অংশ ব্যয়িত হতো কোন খাতে?
উত্তরঃ অভাবী
ও দূঃখী মানুষের কল্যাণে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৮)
94.
আলমাদীনা
এর আগের নাম কি ছিল? এই নগর রাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান করে ছিলেন?
উত্তরঃ ইয়াসরিব। যার প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান ছিলৈন
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা. (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৪৮)
95.রাসূল সা. যে বিচানা ব্যবহার
করতেন, তার বৈশিষ্ট কি ছিল?
উত্তরঃ তা ছিল চামড়ার
তৈরী, এর ভিতরে ছিলো খেজুর
গাছের ছোবড়া। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৪৮)
96.
রাসূল সা. পেট ভর্তি করে খাবার খেতেন না, ভূরিভোজ পছন্দ করতেন না। কিন্তু দুইটি খাবার খুব পছন্দ করতেন, তা কি কি?
উত্তরঃ দুধ ও মুধু।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৮)
97.হযরত আবু বকর রা. যখন ইসলাম গ্রহণ করেন,
তখন তাঁর সঞ্চয়ের পরিমাণ কি ছিল? আর হিজরতের সময়
সেই সঞ্চয়ের কত অবশিষ্ট ছিল?
উত্তরঃ ইসলাম
গ্রহণের সময়ঃ চল্লিশ হাজার
দিরহাম। হিজরতের সময়ঃ
পাঁচ হাজার দিরহাম। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৪৯)
98.হযরত আবু বকর রা. তার ব্যবসালব্ধ অর্থের
বেশীর ভাগ তিনটি খাতে বয় করতেন, তা কি কি?
উত্তরঃ ১. আদদাওয়াতু
ইলাল্লাহ। ২. আল জিহাদ
ফী সাবীলিল্লাহ। ৩. বহুবিধ
জনহিতকর খাত। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৪৯)
99.
হযরত আবু
বকর রা. বাইতুলমাল থেকে বছরে কতটুকু অর্থ গ্রহণ করতেন
এবং মৃত্যুকালে তার সম্পদ কি ছিল?
উত্তরঃ বছরে
গ্রহণ করতেনঃ আড়াই হাজার
দিরহাম। মত্যুকালে দার সম্পদ
ছিলঃ একজন দাসি এবং দুইটি
উটনি। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫০)
100.
হযরত উমর
রা. বাইতুলমাল থেকে প্রথমে বার্ষিক কত দিরহাম গ্রহণ
করতেন এবং শেষ সময়ে কত গ্রহণ করেছেন?
উত্তরঃ প্রথমেঃ
আটশত দিরহাম। শেষেঃ
পাঁচ হাজার দিরহাম। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫০)
101.
হযরত উমর
রা. আর ব্যবসার মুনাফার বিরাট অংশ ব্যয় করতেন কোন
কোন খাতে?
উত্তরঃ আদদাওয়াত, আল জিহাদ
ও খিদমাতে খালক। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৫০)
102.
তিনি ছিলেন
মক্কার একজন সফল ব্যবসায়ী, ইসলাম গ্রহণ করার পর বিরুদ্ধবাদীদের
সন্ত্রাসের কারণে তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি কে? তার পুরো নাম লিখুন।
উত্তরঃ হযরত
উসমান ইবনু আফফান রা. (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫১)
103.
আল মাদীনায়
পানযোগ্য পারিন বড়ো অভাব ছিল। এক ইয়াহুদীর কাছ থেকে তার মালিকানাধীন কিনে নিয়ে জনসাধরণের জন্য ওয়াকফ করে দেন
হযরত উসামন রা. সেই কূপের নাম কি এবং কত অর্থের বিনিমেয় তিনি
কুপটি ক্রয় করেন?
উত্তরঃ কূপের
নামঃ রুমা। ক্রয়
মূল্যঃ আঠারো হাজার দিরহাম।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫১)
104.
তাবুক যুদ্ধে
হযরত উসমান রা. এর আর্থিক অংশ গ্রহণ কি ছিল?
উত্তরঃ দশ হাজার
যোদ্ধার যাবতীয় ব্যয় ভার বহণ করেন।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫১)
105.
হযরত আলী
রা. হযরত ফাতেমরা রা.কে কখন
বিয়ে করেন?
উত্তরঃ বদর যুদ্ধের
পর। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫২)
106.
হযরত আলী
রা. শাহাদাত বরণকালে তার রেখে যাওয়া আর্থিক সম্পদ
কত ছিল?
উত্তরঃ মাত্র
সাতশত দিরহাম। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৫২)
107.
তার মালিকানায়
ছিল এক হাজার দাস, সেই দাসরা প্রতিদিন উপার্জন করতো এবং তার হাতে
তুলে দিতো। তিনি সেই সমুদয় অর্থ কম বিত্তবানদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন-কে তিনি? তার পুরো নাম লিখুন।
উত্তরঃ আযযুবাইর
ইবনুল আওয়াম রা. (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৫৩)
108.
হাদরামাউত
থেকে ব্যবসার মুনাফার সত্তর হাজার দিরহাম যখন হযরত তালহা ইবনু উবাইদুল্লাহর রা. এর কাছে আসে, তখন রাতে তিনি বিছানায় ছটফট করতে থাকলে
তার স্ত্রী কারণ জানতে চান। উত্তরে তালহা রা. কি বলেন?
উত্তরঃ সেই সন্ধ্যা
থেকে ভাবছি, এতগুলো দিরহাম
ঘরে রেখে ঘুমুলে একজন
মানুষের তার রবের প্রতি
কি ধারণা পোষণ করা হয়।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫৩)
109.
তালহা ইবনু
উবাইদুল্লাহ রা. ৭০ হাজার দিরহাম মুনাফা প্রাপ্তিতে পেরেশান
হওয়ার প্রেক্ষিতে তার স্ত্রী পেরেশানী দুর করতে সমাধান দিয়ে কি বলেন?
উত্তরঃ এতো চিন্তিত
হওয়ার কি আছে? এতো রাতে
আপনি গরীব মিসকীন পাবেন
কোথায়? সকাল হলেই বন্টন করে দেবেন।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫৩)
110.
হযরত উমর
রা. এর শাসনামলে হিমস নামক স্থানে গভর্ণর কে ছিলেন?
উত্তরঃ সায়ীদ
ইবনু আমের আল জুমাহী
রা.
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫৪)
111.
একটি এলাকা
থেকে একদল লোক মদীনায় এসে রাষ্ট্রপ্রধান হযরত উমর রা. এর সাথে দেখা করলো। তিনি তাদেরকে তাদের এলাকার গরীব মানুষদের একটি তালিকা তৈরী করে
দিতে বললেন। সে অনুযায়ী
তারা পরামর্শ করে একটা তালিকা তৈরী করে দিল। সেই তালিকায় প্রথম নামটি কার ছিল? তিনি কে ছিলেন? কোন এলাকার ছিলেন?
উত্তরঃ প্রথম
নামটি ছিলঃ সায়ীদ ইবনু
আমের রা. এর, তিনি গভর্ণর ছিলেন, হিমস
এলাকার। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫৪)
112.হযরত সায়ীদ ইনু আমের আল জুমাহী রা. এর জীবন যাত্রার বিশদ বিবরণ শুনে হযরত উমর রা. তার জন্য
এক হাজার দীনার প্রেরণ করে হযরত সায়ীদ কি বলে উঠলেন এবং দীনার গুলো কি করলেন?
উত্তরঃ তিনি
বললেনঃ ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না
ইলাইহি রাজিউন এবং দীনার
গুলো হিমসের দরিদ্র ব্যক্তিদের
মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা
করলেন। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫৫)
113.
একজন মানুষ
জীবনের সূচনার পর থেকে শুরু করে বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত অনেক গুলো স্তর অতিক্রম করে। অবশেষে তাকে কি শেষ করে কোথায় পৌছতে
হবে?
উত্তরঃ দুনিয়ার
জীবন শেষ করে কবরে।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫৬)
114.সেই দিন পৃথিবী ও আসমানকে পরিবর্তন করে নতুন আকার দেওয়া হবে। নতুন ভাবে গড়া পৃথিবী হবে আজকের পৃথিবী
থেকে অনক বড়। সেই নতুন পৃথিবীর বৈশিষ্ট কি হবে?
উত্তরঃ কোন সাগর
মহাসাগর থাকবে না। পাহাড়
পর্বত থাকবে না। গাছগাছালি
থাকবে না। কোন ঘরদোর
থাকবে না। গোটা
পৃথিবী হবে একটি ধূসর
সমতল প্রান্তর। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৫৬)
115.
কিরামান কাতিবীন
অর্থ কি?
উত্তরঃ সম্মানিত
লেখকবৃন্দ। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫৭)
116.আদালতে আখেরাতে কিরামান কাতিবীনের আমলনামা পেশ করার প কোন কোন
অপরাধী ব্যক্তি ধৃষ্টতা দেখাবে। তারা আপত্তি উত্থাপন করতে চাইবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দ্বিতীয় প্রকারের
সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করবেন। তা কি হবে?
উত্তরঃ তাদের
প্রতংগগুলো তাদের কৃত কাজের
বিবরণ পেশ করা শুরু
করবে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫৮)
117.
কোন আমালে
ছালেহকে আল্লাহ স্বীকৃতি দেন না কখন?
উত্তরঃ ইখলাছুন্নিয়াত
সহকারে করা না হলে।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫৯)
118.
এক লোক জিজ্ঞেস
করলোঃ আমাদের নিয়াত যদি আল্লাহর পুরস্কার এবং দুনিয়ার খ্যাতি অর্জন-দুইটি হয়? তাহলে কি আমরা পুরস্কৃত হবো? উত্তরে রাসূল সা. কি বললেন?
উত্তরঃ কোন আমল খালিছ
ভাবে তাঁর জন্য করা না হলে আল্লাহ
তা কবুল করেন না।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫৯)
119.আমলে ছালেহ গৃহীত হওয়ার পূর্বশর্ত কি?
উত্তরঃ ইখলাছুন্নিয়াত।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৫৯)
120.
আদ্ দাওয়াত, আল জিহাদ, আছ ছালাত, আছ ছাওম,
আয যাকাত, আল হাজ, ইনফাক,
খিদমাতে খালক কি জন্য নিবেদিত হতে হবে?
উত্তরঃ আল্লাহ
রাব্বুল আলামীনের সন্তোষ অর্জনের
জন্য। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৬০)
121.আল্লাহর আদালতে বিশ্লেষণে যদি প্রমাণিত হয় যে, মুমিন সকল আমালে সালেহ একমাত্র আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের জন্যই সম্পন্ন করেছে,
তাহলে কি হবে?
উত্তরঃ তার নাজাতের
পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৬০)
122.
জাহান্নামীদের
একধরণের গাছ গিলতে বাধ্য করা হবে। সেই গাছের নাম কি? এর বৈশিষ্ট
কি?
উত্তরঃ যাক্কুম
গাছ। যা কাঁটাযুক্ত, তিক্ত
ও দূর্গন্ধযুক্ত। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৬০)
123.
আগুনের উত্তাপে
ও পিপাসায় যখন জাহান্নামীরা হাঁপাতে থাকবে, তখন তাদেরকে
কি পান করতে দেয়া হবে?
উত্তরঃ ভীষণ
গরম পানি ও রক্তপূঁজ।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৬০)
124.
জাহান্নামের
সবচেয়ে কম শাস্তি কি হবে?
উত্তরঃ আগুনের
ফিতাযুক্ত একজোড়া জুতা পরানো
হবে। এতেই তার মাথার
মগজ জ্বলন্ত চুলার উপর হাঁড়ির
পারিন মতো টগবগ করে ফুটতে
থাকবে। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৬১)
125.
জান্নাতে
রয়েছে চার ধরণের ঝর্ণা। তা কি কি?
উত্তরঃ সুপেয়
পানির ঝর্ণা, সুস্বাদু দুধের
ঝর্ণা, স্বচ্ছ মধুর ঝর্ণা এবং উন্নতমানের
পাণীয় এর ঝর্ণা। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৬১)
126.
সবচেয়ে কমমর্যাদাবান
জান্নাতী কতটুকু স্থানের মালিক হবে?
উত্তরঃ বর্তমান
পৃথিবীর চেয়ে দশগুণ বেশী
স্থানের মালিক। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৬২)
127.
জান্নাতীদের
কাছে সবচেয়ে বেশী আনন্দের বিষয় কি হবে?
উত্তরঃ আল্লাহরকে
দর্শন। (সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৬৩)
128.
জাহান্নামীরা
জাহান্নামে এবং জান্নাতীরা জান্নাতে অবস্থান গ্রহণের পর মধ্যবর্তী স্থানে দাঁড়িয়ে একজন
ফেরেশতা কি ঘোষণা করবেন?
উত্তরঃ ওহে জাহান্নামীরা,
আর মৃত্যু নেই। ওহে জান্নাতীরা, আর মৃত্যু
নেই। সামনে তোমাদের
অনন্ত জীবন। (সফল
জীবনের পরিচয়ঃ ৬৩)
129.
রাসল সা. বলেন, সে ব্যক্তি বৃদ্ধিমান এবং সেই ব্যক্তি নির্বোধ। তিনি কাদেরকে বুদ্ধিমান বলেছেন আর
কাদেরকে নির্বোধ বলেছেন?
উত্তরঃ বুদ্ধিমানঃ
যে নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ
করেছে এবং মৃত্যুর পরবর্তী
জীবনের দিকে লক্ষ রেখে
আমল কেরছে। আর নির্বোধঃ
যে নিজকে নফসের হাতে
সপে দিয়েছে, আবার আল্লাহর
অনুগ্রহ লাভের আশাও করেছে।
(সফল জীবনের পরিচয়ঃ ৬৪)
নিয়মিত আমাদের আপডেট পেতে যুক্ত থাকুন আমাদের হোয়াইটসআপ গ্রুপে।
যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন।
0 Comments