প্রশ্নোত্তরঃ দ্বীন
প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্ব
1. দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্ব বইটির লেখক কে?
উত্তরঃ শামসুন নাহার নিজামী। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১)
2. মানব জাতির কল্যাণ কিসের মাধ্যমে?
উত্তরঃ ইসলাম নামক পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান কায়েমের মধ্যে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩)
3. দ্বীন প্রতিষ্ঠা কাদের দায়িত্ব?
উত্তরঃ প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩)
4. এ দেশে পুরুষদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের কাজ অনেকটা অগ্রসর হলেও নারী মহলে এখনো তেমন দানা বেঁধে উঠেনি। আমাদের মুসলিম বোনেরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন কেন?
উত্তরঃ ইসলাম সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা ও শিক্ষা নেই বলে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩)
5. বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডকে কোনক্রমেই ইসলামী রাষ্ট্র বলা চলে না। তাহলে কি বলা যায়?
উত্তরঃ এতটুকু বলা যায় যে, এটি এমন একটি ভূখন্ড যেখানে বিপুল সংখ্যক মুসলমান বাস করে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫)
6. ইসলাম কোন ধরণের জীবন বিধান?
উত্তরঃ বাস্তব জীবনে প্রতিষ্ঠাযোগ্য একটি প্রগতিশীল পূর্ণাঙ্গ জীব বিধান। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫)
7. কুরআন মজিদে ইসলামকে কোথাও ধর্ম বলা হয়নি। তাহলে কি বলা হয়েছে? আল দ্বীন এর অর্থ কি?
উত্তরঃ বলা হয়েছে দ্বীন। আল দ্বীন অর্থঃ একমাত্র জীবন বিধান। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫)
8. ইসলাম কি জন্য এসেছে? এর প্রতিষ্ঠাতা কারা?
উত্তরঃ মানব জীবনে প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলাম এসেছে। এর প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং নবী এবং রাসূলগন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫)
9. শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর আগমনের সাথে সাথে বন্ধ হয়েছে যে ধারা, সেই ধারাটির নাম কি?
উত্তরঃ নবুওয়াতের ধারা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫)
10. ইসলাম তার পূর্ণ বৈশিষ্ট্য সহ প্রতিষ্ঠিত থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠার এ দায়িত্ব পালনের জন্য আল্লাহ কোন বিশেষ ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করেননি। তাহলে কাকে দায়িত্ব দিয়েছেন?
উত্তরঃ সমস্ত উম্মতে মুহাম্মাদীকে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫)
11. কারা বন্ধু ও সাথী?
উত্তরঃ মুমিন পুরুষ ও মুমিন স্ত্রীলোক। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৬)
12. যে মুমিন পুরুষ ও নারীদের সম্পর্কে আল্লাহর ওয়াদা যে, তাদেরকে এমন বাগ-বাগিচা দান করবেন, যার নিচ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবহমান, সেই মুমিন পুরুষ ও নারীদের বৈশিষ্ট হলো—টি। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. ভাল কাজের নির্দেশ দেয়া। ২. অন্যায় ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখা। ৩. নামায কায়েম করা। ৪. যাতাক দেয়া। ৫. আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৬)
13. কোন সূরার শেষ রুকুতে আল্লাহ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে নারী ও পুরুষ উভয়কে সমভাবে দায়িত্বশীল বলে উল্লেখ করেছেন?
উত্তরঃ সূরা আলে ইমরান। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৬-৭)
14. إِقَامَةُ (ইকামাতুন) শব্দটির আরবীতে অনেক প্রতিশব্দ আছে। এর সহজ অর্থ গুলো কি কি?
উত্তরঃ কায়েম করা, চালু করা, খাড়া করা, অস্তিত্বে আনা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৭)
15. নামাযের মাসলা-মাসায়েল শেখা, নামাযের ওয়াজ করাকে নামায কায়েম করা বলে না। তাহলে নামায কায়েম করা বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ বাস্তবে নামায চালু হওয়া। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৭)
16. দ্বীন শব্দের অর্থ কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ দ্বীন শব্দের অর্থ ৪টি। ১. প্রভূত্ব, কতৃত্ব ও প্রতিপত্তি। ২. আনুগত্য ও বিশ্বস্ততা। ৩. আইন কানুন ও বিধি বিধান। ৪. পরিণতি, পরিনাম, প্রতিফল ও প্রতিদান। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৮)
17. কুরআনে আল্লাহ পাক দ্বীন ইসলামকে কিভাবে উপস্থাপন করেছেন?
উত্তরঃ “আল্লাহর কাছে স্বীকৃত ও মনোনীত দ্বীন হলো ইসলাম”। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৮)
18. ইকামতে দ্বীনের সার্বিক অর্থ কি?
উত্তরঃ আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানকে আল্লাহর যমীনে প্রতিষ্ঠিত করা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৮)
19. নবী রাসূল যারা মানুষকে দেখিয়েছেন শাশ্বত সুন্দর কল্যাণকর পথ। যে পথ দেখানোর ওয়াদা আল্লাহ কখন করেছিলেন?
উত্তরঃ মানুষকে দুনিয়াতে পাঠানোর মুহু্র্তে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৯)
20.নবী রাসূল যারা মানুষকে দেখিয়েছেন শাশ্বত সুন্দর কল্যাণকর পথ। যে পথ দেখানোর ওয়াদা আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে পাঠানোর মুহু্র্তে করেছিলেন। কুরআনের কোন সূরার কোন কোন আয়াতে সেই ওয়াদা বা পথের কথা বর্ণনা করা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আল বাকারাঃ ৩৮-৩৯ (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৯)
21. সূরার আল বাকারার ৩৮ ও ৩৯ নম্বর আয়াতে আমরা দেখতে পাই মানব জাতির জন্য রয়েছে দু’ধরণের দ্বীন। তার একটি হলোঃ আল্লাহ প্রদত্ত ও নবী রাসূল প্রদর্শিত দ্বীন। আরেকটি কি?
উত্তরঃ মানব রচিত দ্বীন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৯-১০)
22. আদ জাতির প্রতি কোন নবীকে পাঠানো হয়েছিল?
উত্তরঃ হযরত হুদ আ.কে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১০)
23.সামুদ জাতির প্রতি কোন নবীকে পাঠানো হয়েছিল?
উত্তরঃ হযরত সালেহ আ.কে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১০)
24. মাদীইয়ান বাসীদের নবীর নাম কি ছিল?
উত্তরঃ হযরত শুয়াইব আ. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১০)
25.সব নবী রাসূলের দাওয়াতের মূল সূর কি ছিল?
উত্তরঃ আল্লাহর দাসত্ব ও গোলামী করা এবং গাইরুল্লাহর প্রভুত্ব বর্জন করা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১০)
26. কোন দ্বীন অসংখ্য ও অগণিত?
উত্তরঃ মানব রচিত দ্বীন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১০)
27.মানব রচিত মতবাদকে আরবীতে কি বলা হয়?
উত্তরঃ আল কুফরু মিল্লাতুন ওয়াহিদা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১০)
28.কুফরী মতবাদ মতাদর্শ যত ভিন্ন নামে বা ভিন্ন রূপেই উপস্থাপিত হোক না কেন, মৌলিক ভাবে তা কি?
উত্তরঃ একই পর্যায়ভূক্ত। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১০)
29. আল্লাহ বলেনঃ আমি মানুষের সামনে দুটি পথ তুলে ধরেছি। একটি পথ আমার আনুগত্য মেনে চলার পথ। অপরটি কি?
উত্তরঃ আমাকে অমান্য করা পথ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১০)
30. এখন আর কোন নবী আসবেন না, অথচ আল্লাহর এ জমিনে আল্লাহর দ্বীনই প্রতিষ্ঠিত থাকবে। কে করবে এ দায়িত্ব পালন?
উত্তরঃ যারা আজ মুসলমান নামে পরিচিত। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১১)
31. কেমন সাক্ষ্য রাসূল সা. দিয়েছিলেন? এ সম্পর্কে তার অন্যতমা সহচরী-প্রিয়তমা স্ত্রী বিবি আয়েশার উক্তিটি কি?
উত্তরঃ কুরআনই রাসূল সা. এর বাস্তব জীবন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১১)
32.কিসের দায়িত্ব নিয়ে মানুষ দুনিয়াতে এসেছে?
উত্তরঃ খেলাফত বা প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব নিয়ে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১১)
33. খলিফা হিসেবে আমার কাজ হলো আল্লাহর নির্দেশ মত নিজে চলতে হবে। আর কি দায়িত্ব?
উত্তরঃ মানুষের সমাজকে চালাতে হবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১১)
34.আল্লাহর খলিফার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত থাকতে হলে কোন কাজে অংশ গ্রহণ না করে উপায় নেই?
উত্তরঃ দ্বীন কায়েমের কাজে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১১)
35. আল্লাহর পক্ষ থেকে যে বিধান এসেছে তা মানব স্বভাব-প্রকৃতির সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই একে কি বলা হয়?
উত্তরঃ দ্বীনে ফিতরাত বা স্বভাব ধর্ম। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৩)
36.যুগ যুগ ধরে মানুষের বিবেক-বুদ্ধি যে কাজকে অন্যায় বলে আসছে, ইসলাম সেই কাজগুলোকে কি কাজ বলেছে?
উত্তরঃ অসৎ কাজ বা মুনকার। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৩)
37. যা বিবেক-বুদ্ধির কাছে ভাল বলে পরিচিত ইসলাম তাকে কি নাম দিয়েছে?
উত্তরঃ সৎকাজ বা মারূফ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৩)
38. দ্বীন কায়েমের কাজকে কুরআনের পরিভাষায় কি বলা হয়?
উত্তরঃ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৪)
39.الجهاد في سبيل الله এর অর্থ কি?
উত্তরঃ আল্লাহর পথে চূড়ান্ত ও প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালানো। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৪)
40.জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং কি কি?
উত্তরঃ ৫ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমনঃ ১. দাওয়াত ইলাল্লাহ। ২. শাহাদাত আলান্নাস। ৩. কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ। ৪. ইকামাতে দ্বীন। ৫. আমর বিল মারুফ, নাহি আনিল মুনকার। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৪)
41. কোন ৫টি কাজের সমষ্টির নাম জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ বা ইসলামী আন্দোলন?
উত্তরঃ ১. দাওয়াত ইলাল্লাহ। ২. শাহাদাত আলান্নাস। ৩. কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ। ৪. ইকামাতে দ্বীন। ৫. আমর বিল মারুফ, নাহি আনিল মুনকার। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৪)
42. সব নবীর আন্দোলনের সূচনা হয়েছে কিসের মাধ্যমে?
উত্তরঃ দাওয়াতের মাধ্যমে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৫)
43.শেষ নবী মুহাম্মদ সা. এর জীবনের প্রথম গণভাষণের প্রধান বক্তব্য কি ছিল?
উত্তরঃ হে আমার জাতি! তোমরা ঘোষণা কর আল্লাহ ছাড়া সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী আর কেউ নেই-তাহলে তোমরা সফলকাম হবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৫)
44. দাওয়াতের মধ্যে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করা যায়। তার যে কোন ১টি উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ ১. তাওহীদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার এবং গায়রুল্লাহর সার্বভৌমত্ব পরিহারের আহবান। ২. সমাজের খুঁটিনাটি সমস্যাকে তুলে না ধরে যেসব বড় বড় সমস্যায় জাতি জর্জরিত, সে গুলোর শক্ত সমালোচনা। ৩. দাওয়াত গ্রহণের প্রতিদান-প্রতিফল দুনিয়া এবং আখেরাতে কি হবে এবং দাওয়াত অস্বীকারের পরিণাম কি হবে তা উপস্থাপন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৬)
45.দাওয়াতের বাস্তব রূপ কি?
উত্তরঃ শাহাদাত। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৭)
46. শাহাদাত আলান নাস সম্পর্কে আল কুরআনে ৫টি জায়গায় বর্ণনা এসেছে। কোন কোন সূরার কোন কোন আয়াত?
উত্তরঃ ১. সূরা মুজ্জাম্মিল-১৫, ২. সূরা আল আহযাব-৪৫, সূরা আল বাকারা-১৪০, সূরা আল বাকারা-১৪৩, সূরা আন নিসা-১৩৫ (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৭)
47.ইকামাতে দ্বীন অর্থ কি? দ্বীন প্রতিষ্ঠা বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ ইকামাতে দ্বীন অর্থ দ্বীন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা। দ্বীন প্রতিষ্ঠা বলতে বুঝায় কোন জনপদে আল্লাহর আইন চালু থাকা, আল্লাহর আইন অনুসরণ ও বাস্তবায়নের পথে বাধা না থাকা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-১৯-২০)
48.নামাযের লক্ষ্য কি?
উত্তরঃ পুত পবিত্র একটা সমাজ গড়াই নামাযের লক্ষ্য। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২০)
49. যে নির্দেশ নূহ আ.কে প্রদান করা হয়েছিল, সেই নির্দেশ মুহাম্মদ সা., ইব্রাহীম, মুসা ও ঈসা আ. এর প্রতি পাঠানো হয়েছিল। সব নির্দেশের সার কখা কি ছিল?
উত্তরঃ দ্বীন কায়েম কর এবং এব্যাপারে পরস্পরে দলাদলিতে লিপ্ত হয়ো না। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২০)
50. আমর বিল মারূপ ও নাহি আনিল মুনকারের দায়িত্ব জনগনের পক্ষ থেকে আনজাম দেবে কে?
উত্তরঃ জনগনের আস্তার ভিত্তিতে পরিচালিত রাষ্ট্র সরকার। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২১)
51. কোন কাজ ছাড়া আজাবুন আলীম থেকে বাঁচার আর কোন উপায় নেই?
উত্তরঃ জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২১)
52.কোন কাজে আত্মনিয়োগকারী ব্যক্তির পক্ষে আল্লাহ জামিন হয়ে আছেন?
উত্তরঃ জিহাদ ফি সাবিলিল্লায় আত্মনিয়োগকারী ব্যক্তি। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৩)
53. কোন মুমনি পুরুষ ও কোন মুমিন স্ত্রীলোকের কি অধিকার নাই?
উত্তরঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসল যখন কোন বিষয়ে ফায়সালা করে দেবেন, তখন সে নিজেই সেই ব্যাপারে আর কোন ফায়সালা করার ইখতিয়ার রাখবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৫)
54. কোন সূরায় নারীদের সমমর্যাদার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ সূরা আন নূর। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৬)
55. “সাবধান! তোমাদের অধীনস্তদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তোমাদের উপর বর্তায় এবং তাদের উপর প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতাকে তুমি কিভাবে ব্যবহার করছে সে সম্পর্কে তোমাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।” এ দায়িত্বে আনজাম দিতে হবে কোন অনুভূতি নিয়ে?
উত্তরঃ খেলাফত বা আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের অনুভূতি নিয়ে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৮)
56.সন্তান-সন্ততি, চাকর-বাকরসহ জীবন যাপনের সে সমস্ত জিনিস মানুষের অধীন করে দেয়া হয়েছে, যার উপর মানুষের কর্তৃত্ব খাটে সব কিছুরই সে রক্ষক। মানুষের এ দায়িত্ব সম্পর্কে রাসূল সা. সতর্ক করে কি বলেছেন?
উত্তরঃ “সাবধান! তোমাদের অধীনস্তদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তোমাদের উপর বর্তায় এবং তাদের উপর প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতাকে তুমি কিভাবে ব্যবহার করছে সে সম্পর্কে তোমাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।” (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৮)
57. নারী গৃহের রাণী। তার ইচ্ছামতই সংসার চলে। তাহলে পরিবারে পুরুষের অবস্থান কি? পুরুষের সমস্যা কোথায়?
উত্তরঃ আইনত পুরুষ পরিবারের কর্তা। পুরুষ সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে বাইরের কাজ-কর্ম এবং উপার্জনের তাগিদে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৮)
58. ইকামাতে দ্বীনের সিংহ ভাগ কাজ কাদের উপর নির্ভরশীল?
উত্তরঃ মেয়েদের ওপর। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৮)
59.আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআন মজীদে সূরা লুকমানে সন্তানদের কোন্ আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে তার রূপরেখা দিয়েছেন। তা কি কি?
উত্তরঃ ছোট বেলা থেকে সন্তানদেরকে শিরক ও বিদআত সম্পর্কে সঠিক ধারণা দান, আল্লাহ সম্পর্কে ধারণা দান, বিনয়ী, নম্র ও ভদ্র হতে শেখানো, দান-খয়রাতে উদ্বুদ্ধ করা, ভাল কাজের আদেশ দান ও মন্দ কাজে বাধাদানে উদ্বুদ্ধ করা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৮)
60.একজন মা কিভাবে সন্তানের মাঝে জাগিয়ে তুলতে পারেন জিহাদী প্রেরণা, বিপ্লবী জীবন এবং আল্লাহর পথে জীবন বিলিয়ে দেয়ার প্রেরণা?
উত্তরঃ খোশ-গল্পের মাধ্যমে জাগিয়ে তুলতে পারেন জিহাদী প্রেরণা। বড় বড় মনীষীদের জীবনী, নবী-রাসূলদের গল্প, সাহাবায়ে কেরামদের কাহিনীর মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেন তাদের বিপ্লবী জীবন। সৃষ্টি করতে পারেন অন্যায়ের সাথে আপোষহীনতার-আল্লাহর পথে জীবন বিলিয়ে দেয়ার প্রেরণা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৯)
61. সন্তানদের শিক্ষা দেয়ার জন্য মায়ের জন্য শর্ত কি?
উত্তরঃ মা’কে হতে হবে নির্ভুল জ্ঞানের অধিকারী। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৯)
62. নির্ভুল জ্ঞানের প্রয়োজনকে সামনে রেখেই আল্লাহ তার প্রিয় রাসূল সা.-এর ওপর প্রথম যে ওহী নাযিল করলেন সেটি কি ছিল?
উত্তরঃ “পড়! তোমার প্রভুর নামে। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন জমাট রক্ত থেকে।” (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৯)
63.জ্ঞানার্জনের তাগিদ এসেছে স্রষ্টার পক্ষ থেকে। বস্তুবাদী জগতের নফসের লালসা মেটানোর কলা-কৌশল আয়ত্ত করার বা আল্লাহদ্রোহিতার কায়দা-কানুন শেখার জ্ঞান নয়। তাহেল কোন জ্ঞান?
উত্তরঃ যে জ্ঞান মানুষকে তার প্রকৃত স্রষ্টাকে চিনতে সাহায্য করে সেই জ্ঞান। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৯)
64. জ্ঞানার্জনের জন্যে প্রয়োজন হলে কোন দেশে যেতে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ সুদূর চীন দেশে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৯)
65.ইসলামের ইতিহাস রচিত হয়েছে অমুসলিমদের হাতে। তার ফল কি দাঁড়িয়েছে?
উত্তরঃ ইসলামের মূল Conception-এর বিপরীত জিনিসই এখানে চিত্রিত হয়েছে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-২৯)
66. আমাদের দেশে জ্ঞান অর্জনের জন্য পুরুষদের যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা রয়েছে। মহিলারা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এর ফলে কি দেখা যায়?
উত্তরঃ কোন কোন ক্ষেত্রে বড় বড় আলেম বা পীর সাহেবদের বিবিরা হয়তো পাঞ্জেগানা নামাযও আদায় করেন না। হারাম-হালাল, পাক-নাপাকের ন্যূনতম মাসয়ালাও জানে না। সন্তান-সন্ততি তাদের মায়ের মধ্যে কোন আদর্শ দেখতে পায় না। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩০)
67.প্রত্যেক নারীকেই তার নিজ কাজের হিসেব নিজেকেই পেশ করতে হবে। প্রত্যেক নারী কিয়ামতের দিন নিজের কবর থেকেই ওঠবে। তখন কোন কথা বলে কেউই রেহাই পাবে না?
উত্তরঃ হে আল্লাহ! আমার হিসেব আমার স্বামীর কাছ থেকে গ্রহণ কর। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩১)
68.বিবি আছিয়া কার স্ত্রী ছিলেন?
উত্তরঃ ফেরাউনের। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৩)
69. বিবি আছিয়ার সামনে ছিল দুটি দিক। এক দিকে ফেরাউনের কর্তৃত্ব মেনে নিলে সম্রাজ্ঞী হিসেবে সে সমাজের যাবতীয় সুখ-সুবিধা ভোগ করতে পারা। অন্য দিকটি কি?
উত্তরঃ সত্যের পথ-যা মেনে নেয়ার ফল দুনিয়াতে ছিল ভয়াবহ, কিন্তু পরকালীন মুক্তি এতে নিহিত ছিল। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৩)
70. “আপনি কি আল্লাহর নির্দেশে এমন করেছেন?” তিনি শুধু বললেন, “হাঁ।” কে প্রশ্ন করলেন? আর কে জবাব দিলেন?
উত্তরঃ প্রশ্ন করলেন বিবি হাজেরা, আর উত্তর দিলেন হযরত ইব্রাহীম আ. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৪)
71. নিশ্চিত হলেন। বললেন, তাহলে তিনি নিশ্চয়ই আমাদেরকে ধ্বংস হতে দিবেন না। এ কত বড় প্রত্যয়-কত দৃঢ় ঈমান! কে সেই ঈমানদার?
উত্তরঃ বিবি হাজেরা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৪)
72.উপযুক্ত মায়ের বাহাদুর ছেলে। আল্লাহর রাহে কুরবানীর কথা শুনে খুশীতে চললেন পিতার সাথে। এমন মা না হলে এ রকম ছেলে কখনো হয় না। কে সেই মা?
উত্তরঃ বিবি হাজেরা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৪)
73. রাসূল সা. এর বিপ্লবী আন্দোলনের প্রথম কর্মী-প্রথম মুসলমান কে?
উত্তরঃ বিবি খাদিজা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৪)
74.তিনি খুব ভালভাবে বুঝতে পেরেছিলেন যে, অধপতিত এ জাতিকে সঠিক পথে চালিত করতে হলে নবীর এ আন্দোলন শুধু পুরুষের যোগদানই যথেষ্ট নয়, নারী সমাজকেও তার সাধ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসতে হবে- সাহায্য- সহযোগিতা করতে হবে। যে পথ সেদিন পুরুষের জন্যেও কিছু দুর্গম, এই মহিয়সী মহিলা সেই পথ গ্রহণ করেছিলেন স্বেচ্ছায়।
উত্তরঃ বিবি খাদিজা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৫)
75. আখেরী নবীর ওহীর সূত্রপাত হয় কিসের মাধ্যমে?
উত্তরঃ সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৫)
76.আপনি ভীত হবেন না। আল্লাহ আপনাকে পরিত্যাগ করবেন না। আপনি মৈত্রী স্থাপন করেন, অক্ষম ও দুঃস্থদের সাহায্য করেন, মেহমানদের আশ্রয় দেন এবং কষ্টের মধ্যে হলেও সত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। - এই কথাগুলো কে কাকে বলেছিলেন?
উত্তরঃ বিবি খাদিজা রা. রাসূল সা.কে বলেছিলেন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৫)
77. হযরত খাদিজা রা. এর চাচাতো ভাইয়ের নাম কি? তিনি কোন ধর্মের বিশ্বাসী ছিলেন এবং তিনি কোন ভাষায় কি লিখতেন?
উত্তরঃ চাচাত ভাইঃ ওরাকা বিন নওফেল। তিনি ঈসায়ী ধর্মের বিশ্বাসী ছিলেন এবং তিনি ইরান ভাষায় ইঞ্জিল লিখতেন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৫)
78. মূসার ওপর এ নামুসই অবতীর্ণ হয়েছিল। আফসোস আমি যদি সে সময় জীবিত থাকতাম এবং আমার শক্তি থাকতো যখন তোমার জাতি তোমাকে নির্বাসিত করবে। - এই কথা কে কাকে বলেছিলেন?
উত্তরঃ ওরাকা বিন নওফেল রাসূল সা.কে বলেছিলেন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৫
79.তারা কি আমাকে তাড়িয়ে দেবে? এমন প্রশ্ন কে কাকে করেছিলেন? উত্তরে কি বল হয়েছিল?
উত্তরঃ এমন প্রশ্ন রাসূল সা. ওরাকা বিন নওফেলকে করেছিলেন। উত্তরে তিনি বলেছিলেনঃ “হ্যা এটা যখন কারও ওপর নাযিল হয় তখন দুনিয়া তার বিরুদ্ধাচরণ শুরু করে দেয়। আমি যদি সে সময় জীবিত থাকতাম তাহলে তোমায় সাহায্য করতাম।” (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৬)
80. সম্পদের ব্যাপারে হযরত খাদিজা রা. এর বিশ্বাস কি ছিল?
উত্তরঃ তিনি বিশ্বাস করতেন সম্পদের প্রকৃত মালিক হচ্ছেন আল্লাহ। মানুষ শুধু আমানতদার মাত্র। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৬)
81. আল্লাহর নবীর এ জীবন সঙ্গিনী প্রচুর বিত্তের মালিক হয়েও নিজ হাতে ঘরের কাজ করতেন। নিজ হাতে স্বামীর সেবা শুশ্রূষা করতেন। বিপ্লবের কাজে প্রত্যক্ষভাবে রাসূল সা কে সাহায্য করার পর যে সময় পেতেন তা তিনি সাংসারিক কাজে ব্যয় করতেন । এখানে রাসূল সা এর কোন স্ত্রীর বলা হয়েছে?
উত্তরঃ হযরত খাদিজা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৬)
82.কোন মহিলাকে আল্লাহ ও জিবরাঈল আ. সালাম পৌছিয়েছেন?
উত্তরঃ হযরত খাদিজা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৬)
83. “আপনি এমন এক বৃদ্ধার কথা স্মরণ করছেন যিনি জীবিত নেই। আল্লাহ আপনাকে তার চেয়ে উত্তম স্ত্রী দান করেছেন।” হযরত আয়েশা রা. এমন উক্তির জবাবে রাসূল সা. কি বলেছিলেন?
উত্তরঃ “কখনো না। মানুষ যখন আমার কথা মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে, তখন খাদিজা এর সত্যতা স্বীকার করেছে। তারা বিধর্মী ছিল কিন্তু সে ইসলাম কবুল করেছিলো। আমার যখন সাহায্যকারী ছিল না সে আমাকে সাহায্য করেছে।” (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৭)
84.হযরত সুমাইয়া রা কে ছিলেন?
উত্তরঃ তিনি ছিলেন আবু হোযায়ফা বিন মুগীরা মাখযুমীর কৃতদাসী অথবা প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আম্মার রা এর মা ।(দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৭)
85. ইসলামের প্রথম মসজিদ স্থাপনকারী সাহাবীর নাম কি?
উত্তরঃ হযরত আম্মার রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৭)
86. কোন মহিলা ইসলাম কবুল করার মাধ্যমে মুসলমানদের সংখ্যা সাত এ উন্নীত হয়?
উত্তরঃ হযরত সুমাইয়া রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৭)
87. আবু জেহেলের বর্শার আঘাতে শাহাদাত বরণকারী ইসলামের শহীদ যিনি, তার নাম কি? তিনি ইসলামের ইতিহাসে কততম শহীদ ছিলেন?
উত্তরঃ হযরত সুমাইয়া রা. ইসলামের ইতিহাসের প্রথম শহীদ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
88. হযরত আয়েশা কখন কোথায় জন্ম গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ রাসূল করীম সা.-এর নবুওয়াত প্রাপ্তির চার বছর পর। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
89.হযরত আয়েশা রা নবী করীম সা.এর সাথে কয় বছরের দাম্পত্য জীবন যাপনের পর বিধবা হন।
উত্তরঃ ৯ বছর। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
90.মাত্র নয় বছরে যিনি অর্জন করেছিলেন দ্বীনের প্রকৃত ইলম। যে ইলমের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছিল তার প্রখর ব্যক্তিত্ব আর অন্যায়ের সাথে আপোষহীন ইস্পাত কঠিন চরিত্র। তিনি ছিলেন প্রকৃত জ্ঞানের এক সুউচ্চ পাহাড়। পুরুষ-নারী, যুবক-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাই তাঁর কাছে আসতো আর অত্যন্ত নিরহঙ্কারভাবে তিনি জ্ঞান বিতরণ করতেন। কে তিনি?
উত্তরঃ হযরত আয়েশা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
91. কুরআন এবং হাদীসের তিনি ছিলেন পণ্ডিত। খোলাফায়ে রাশেদার আমলে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে রায় প্রদান করতেন। ইসলামী শরীয়াত, আহকাম এবং আকীদা সম্পর্কে তিনি খুব সূক্ষ্ম জ্ঞান রাখতেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বুঝতে না পেরে অনেক পণ্ডিত তাঁর কাছে আসতেন। কে তিনি?
উত্তরঃ হযরত আয়েশা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
92. ইবনে আবী সাঈম নামক তাবেয়ী প্রত্যেক নামাযের পর দীর্ঘ মুনাজাত করতেন। হযরত আয়েশা রা. এটা জানতে পেরে তাকে লক্ষ্য করে বললেন?
উত্তরঃ “সপ্তাহে একদিন এবং বেশীর পক্ষে তিন দিনের বেশী বক্তৃতা করবেন না। মুনাজাত সংক্ষেপে করবেন। কাব্যিক ভাষায় মুনাজাত করার দরকার নেই। দীর্ঘ বক্তৃতা, উপদেশ এবং দোয়ার দ্বারা মানুষকে পেরেশান করার নিয়ম আল্লাহর রাসূল এবং তার সাহাবীদের ছিল না।” (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
93.“সপ্তাহে একদিন এবং বেশীর পক্ষে তিন দিনের বেশী বক্তৃতা করবেন না। মুনাজাত সংক্ষেপে করবেন। কাব্যিক ভাষায় মুনাজাত করার দরকার নেই। দীর্ঘ বক্তৃতা, উপদেশ এবং দোয়ার দ্বারা মানুষকে পেরেশান করার নিয়ম আল্লাহর রাসূল এবং তার সাহাবীদের ছিল না।” এই নসিহত কে কাকে করেছিলেন?
উত্তরঃ তাবেয়ী ইবনে আবী সাঈম কে হযরত আয়েশা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
94. ফযরের নামাযের সময় দীর্ঘ হওয়া সত্ত্বেও শুধু দু-রাকাআত সুন্নাত এবং দু-রাকাআত ফরয হওয়ার তাৎপর্য কি?
উত্তরঃ ফযরের নামাযে দীর্ঘ কিরাত পড়ার সুযোগ দেয়ার জন্যে বেশী নামায রাখা হয়নি। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
95.আসর ও ফযরের নামাযের পর অন্য কোন নামায না পড়ার মর্ম কি?
উত্তরঃ সূর্যাস্ত এবং সূর্যদয়ের সময় নামায আফতাব পোরস্তদের সাথে সামঞ্জস্যশীল এ জন্য এটা নিষেধ করা হয়েছে।(দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৯)
96. তাঁকে কঠিন বিষয়বস্তু জিজ্ঞেস করে কিছু তথ্য না পেয়ে আমি কখনো ফিরে আসিনি। - এমন কথা কে বলেছেন? কার ব্যাপারে বলেছেন?
উত্তরঃ হযরত আবু মুসা আশয়ারী রা. বলেছেন হযরত আয়েশা রা. এর ব্যাপারে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৯)
97.ইমাম জহুরী হযরত আয়েশা সম্পর্কে কি বলেছেন?
উত্তরঃ আয়েশা রা. শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত ছিলেন। প্রসিদ্ধ সাহাবীরা বহু কিছু তাঁর কাছ থেকে আহরণ করেছেন। সকল নারী-পুরুষের জ্ঞান একত্রিত করলেও আয়েশার জ্ঞান প্রশস্ততর হবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৯)
98.ওরওয়া বিন জুবায়ের হযরত আয়েশা রা. সম্পর্কে কি অভিমত প্রদান করেছেন?
উত্তরঃ কুরআন, ফারায়েজ, হালাল-হারাম, ফিকাহ, ইতিহাস, গোত্র পঞ্জি এবং চিকিৎসা বিদ্যায় হযরত আয়েশার সমতুল্য কেউ নেই। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৯)
99. রাসূলে করীম সা. যদি জানতেন যে, মেয়েদের অবস্থা কোন্ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে তাহলে তিনিও বনী ইসরাঈলের মেয়েদের মতো মুসলমান মেয়েদের মসজিদে যেতে বারণ করে দিতেন। এই উক্তিটি কে করেছেন?
উত্তরঃ হযরত আয়েশা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৯)
100. মানুষ যাতে এ পবিত্র ঘরের চাদর ছুঁতে না পারে সেজন্য প্রতিবছর গিলাপ খুলে দাফন করা হতো। তার প্রতিবাদে হযরত আয়েশা কাবার হেফাজতকারীকে কি বললেন?
উত্তরঃ এটা যুক্তিসংগত নয়। যখন গিলাফ খুলে ফেলা হয়েছে তখন যে কোন লোক তা ব্যবহার করতে পারে। তুমি কেন এটা বিক্রি করে গরীবদের মধ্যে এ অর্থ বিতরণ করে দাওনি? (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৩৯)
101. “আফসোস আমি যদি জন্মগ্রহণ না করতাম। হায়! আমি যদি পাথর হতাম, আমি যদি মৃত্তিকা খণ্ড হতাম! ইনকালের আগে কে এই কথা বলতেন?
উত্তরঃ হযরত আয়েশা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪০)
102. ৫৮ হিজরী সালের ১৭ রমযান তিনি ইন্তেকাল করেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল ৬৬ বছর। তিনি রেখে গেলেন বিরাট এক আদর্শ যা সর্ব যুগে সমানভাবে অনুকরণীয়। কে তিনি?
উত্তরঃ হযরত আয়েশা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪০)
103. হযরত উম্মে সুলাইম রা. সম্পর্কে রাসূল সা. এর কে ছিলেন। তার প্রথম স্বামীর নাম কি?
উত্তরঃ রাসূল সা. এর খালা। প্রথম স্বামী ছিলেন মালিক বিন নাজ্জার। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪০)
104. হযরত আনাস রা. সম্পর্কে রাসূল সা. কি ছিলেন? তার পিতার নাম কি?
উত্তরঃ রাসূল সা. এর খালাত ভাই। তার পিতার নাম মালিক বিন নাজ্জার। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪০)
105. হযরত উম্মে সুলাইম রা. এর দ্বিতীয় স্বামীর নাম কি?
উত্তরঃ আবু তালহা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪০)
106. ইসলাম এবং কুফর কখনো একত্রে মিলে থাকতে পারে না। কুফর বরদাশত করতে পারে না ইসলামী আদর্শের অনুসরণকারীকে। স্ত্রীকে দ্বীন থেকে সরিয়ে আনার যাবতীয় কলা-কৌশল যখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো তখন তাঁর স্বামী দেশ ত্যাগ করলো। কে সেই স্ত্রী আর কে তার স্বামী?
উত্তরঃ স্ত্রীঃ হযরত উম্মে সুলাইম রা. আর স্বামীঃ মালিক বিন নাজ্জার। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪০)
107. “হে আবু তালহা, তুমি কি জানো যে, তোমার মাবুদ সৃষ্ট। আবু তালহা বললো, হ্যাঁ। জবাব শুনে তিনি আবার বললেন, তাদের পূজা করতে তোমার লজ্জা হয় না?” – এই প্রশ্নটি কে করেছিলেন?
উত্তরঃ হযরত উম্মে সুলাইম। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪০-৪১)
108. স্বামীর নিকট প্রাপ্য মোহরন মাফ করে দিয়ে বললেনঃ ইসলামই আমার মোহর। কোন মহিলা কাকে স্বামী হিসাবে গ্রহণ করে এই কথা বললেন?
উত্তরঃ হযরত উম্মে সুলাইম আবু তালহাকে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪১)
109. “তোমার নিকট কোন জিনিস আমানত থাকলে তা ফিরেয়ে নিতে চাইলে কি তুমি ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করবে?” কে কাকে এই প্রশ্ন করলেন? কেন করলেন?
উত্তরঃ হযরত উম্মে সুলাইম আবু তালহাকে এই প্রশ্ন করলেন, ছেলের মৃত্যু সংবাদ প্রদানের জন্য। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪১)
110. কোন মহিলা গর্ভাবস্থায় হোনায়েনের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ হযরত উম্মে সুলাইম রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪১)
111. নাসিবা নামক মহিলা, যা জন্ম খাজরাজ গোত্রে। তার আসল নাম কি? তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্বামীর নাম কি?
উত্তরঃ হযরত উম্মে আম্মারা রা.। যার প্রথম স্বামী জায়েদ বিন আসীম আর দ্বিতীয় স্বামী আরবা বিন আমর। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪২)
112. মুসাফা করার দরকার নেই। আমি মহিলাদের সাথে মুসাফা করি না। এই কথাটি রাসূল সা. কার বাইয়াতের সময় বলেছিলেন?
উত্তরঃ উম্মে আম্মারার। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪২)
113. এমন এক মহিলা, যার পুত্র ওহুদের যুদ্ধ আহত হলে যখম দেখে আক্ষেপ না করে আদেশ করলেনঃ যাও কাফেরদের সাথে যুদ্ধ কর। কে সেই মহিলা?
উত্তরঃ হযরত উম্মে আম্মারা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৩)
114.“হে আল্লাহর রাসূল! দোয়া করুন যেন জান্নাতে আপনার সাথেই থাকতে পারি।” কোন সাহাবী রাসূল সা.কে এমন কথা বলেছিলেন?
উত্তরঃ হযরত উম্মে আম্মারা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৩)
115. নবী করীম সা. এর ওফাতের পর কে নিজেকে পয়গম্বর হিসেবে ঘোষণা করে?
উত্তরঃ মোসায়লামা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৩)
116.হাবিব বিন জায়েদ কে ছিলেন?
উত্তরঃ হযরত উম্মে আম্মারার ছেলে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৩)
117. “মোসায়লামা আল্লাহর রাসূল তা কি তুমি বিশ্বাস কর না? তিনি শক্ত করে বললেন, “না”। মোসায়লামা একে একে তার দুটি হাত কেটে দিল। তিনি কে ছিলেন?
উত্তরঃ হাবীব বিন জায়েদ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৪)
118. হযরত আবু বকর রা. হযরত খালিদ বিন ওলিদের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী ইয়ামামা পাঠালেন। কার বিরুদ্ধে পাঠালেন?
উত্তরঃ মোসায়লামার বিরুদ্ধে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৪)
119.ওহুদ যুদ্ধের সময় রাসূল সা. বলেছেন, যেদিকে দৃষ্টি পড়ে সেদিকেই তাকে যুদ্ধ করতে দেখেছেন। তিনি কে?
উত্তরঃ হযরত উম্মে আম্মারা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৪)
120. স্বামীর সাথে নবুওয়াতের শুরুতেই ইসলাম গ্রহণ করেন এবং রাসূল সা. এর নির্দেশে প্রথমে হাবশায় হিজরত করেন। কে সেই মহিলা এবং তার স্বামীর নাম কি?
উত্তরঃ হযরত উম্মে সালামা। তার স্বামীর নামঃ আব্দুল্লাহ বিন আসাদ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৫)
121. মদীনায় হিজরত করতে গিয়ে স্বামী স্ত্রী সন্তান ৩জন পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যান। তারা কারা?
উত্তরঃ আবু সালমা, উম্মে সালমা এবং তাদের পুত্র বা শিশু সন্তান। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৫)
122. ওহুদ যুদ্ধে তার স্বামী আহত হোন এবং পরে মৃত্যুবরণ করেন। পরে নবী করীম সো. এর সাথে তার বিয়ে হয়। কে সেই মহিলা?
উত্তরঃ হযরত উম্মে সালমা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৫)
123. হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় যখন কোন সাহাবীই রাসূল সা.-এর কথা মেনে নিতে পারছিলেন না তখন রাসূল সা. খুব বিব্রতবোধ করছিলেন। এ তার একজন স্ত্রী তাকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিলেন। নবী সা. এর সেই পরামর্শ মনঃপত হলো এবং তিনি তা গ্রহণ করলেন। রাসূলের কোন স্ত্রী এবং পরামর্শটা কি ছিল?
উত্তরঃ হযরত উম্মে সালমা। তিনি বলেছিলেনঃ আপনি কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে বের হয়ে গিয়ে কুরবানী করুন এবং ইহরামের জন্যে মাথা মুড়িয়ে ফেলুন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৫)
124. হুদাইবিয়ার সন্ধির সময় যখন কোন সাহাবীই রাসূল সা.-এর কথা মেনে নিতে পারছিলেন না তখন রাসূল সা. খুব বিব্রতবোধ করছিলেন। পরে হযরত উম্মে সালমা রা. এর পরামর্শে তিনি কি করলেন?
উত্তরঃ তিনি মাথা মুণ্ডন করে কুরবানী করলেন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৬)
125. “হুকুমতে ইলাহিয়া ছাড়া সমাজে শান্তি আসতে পারে না। এ কথা তিনি খুব ভালো মতো হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছিলেন”। এখানে “তিনি” বলে কাকে বুঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ হযরত সুফিয়া রা. কে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৬)
126. হযরত সুফিয়া রা. এর সাথে রাসূল সা. এর কি সম্পর্ক ছিল?
উত্তরঃ রাসূল সা. এর ফুফু ছিলেন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৬)
127. ওহুদের যুদ্ধে হযরত সুফিয়ার সহোদর নিহত হন। সেই সহোদর কে?
উত্তরঃ হযরত হামযা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৬)
128. ওহুদের যুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী একজন সাহাবী, কাফেররা তার লাশের অবমাননা করে। আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দা তার বুক চিরে কলিজা বের করে চিবিয়েছিল। কে সেই সাহাবী?
উত্তরঃ হযরত হামযা রা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৬)
129. ওহুদের যুদ্ধে নিহত নিজ ভাইয়ের লাশ দেখে হযরত সুফিয়া রা. কি বলেছিলেন?
উত্তরঃ “আল্লাহর পথে এটা কোন বড় কুরবানী নয়।” (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৬)
130. খন্দকের যুদ্ধে মুসলমান মহিলাদের একটা আলাদা দুর্গে একত্রিত করে কাকে রক্ষক নিযুক্ত করা হয়?
উত্তরঃ হযরত হাসসানকে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৬)
131. তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত কবি, ছিলৈন একজন আদর্শ মাতা। তিনি তার চার ছেলেসহ যুদ্ধে যোগদান করেন। কে তিনি?
উত্তরঃ হযরত খানসা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৭)
132. হযরত খানসা চার সন্তানসহ যুদ্ধে অংশ নিয়ে ছেলেদের কি উপদেশ প্রদান করেছিলেন?
উত্তরঃ “হে প্রিয় ছেলেরা! তোমরা নিজের ইচ্ছায় ইসলাম কবুল করেছ এবং হিজরত করেছ। এছাড়া দেশ ছাড়ার আর কোন কারণ ছিল না। আল্লাহর কসম! তোমরা এক পিতা-মাতার সন্তান, আমি তোমাদের পিতার সাথে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করিনি এবং তোমাদের মায়ের নামেও কলঙ্ক লেপন করিনি।” (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৭)
133. হে ছেলেরা! তোমরা নিশ্চয়ই জান যে, দুনিয়া একদিন ধ্বংস হবে আর সত্যের শত্রুদের সাথে জিহাদ করা খুবই সওয়াবের কাজ। তোমাদের মনে রাখা উচিত যে, দুনিয়ার জীবনের চেয়ে পরকালের জীবন অনেক উত্তম। এমন উপদেশ কে তার সন্তানদের দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ হযরত খানসা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৭)
134. হযরত খানসা কোন যুদ্ধে চার সন্তান সহ অংশ গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ কাদেসিয়ার যুদ্ধ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৭)
135. “সন্তানদের শাহাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ আমাকে সম্মানিত করেছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও তাদের সাথে থাকতে পারবো এ আশা করি।” এই উক্তিটি কার? তার ক’জন সন্তান কোথায় শাহাদাত বরণ করেন?
উত্তরঃ হযরত খানসার উক্তি। তার চার সন্তান কাদেসিয়ার যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৭)
136. ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসে কেন?
উত্তরঃ হযরত মুহাম্মদ সা.-এর আদেশ পূর্ণ গুরুত্ব সহকারে পালন না করায়। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৭)
137. ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের ওপর নেমে আসে বিপর্যয়। অসংখ্য সাহাবী শহীদ হন। স্বয়ং রাসূল সা.-ও আহত হন। শত্রুর তীরের আঘাতে তাঁর একটি দাঁত ভেঙ্গে যায়। এ বিপর্যয় আসার কারণ কি?
উত্তরঃ হযরত মুহাম্মদ সা.-এর আদেশ পূর্ণ গুরুত্ব সহকারে পালন না করায়। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৭)
138. মহিয়সী নারী তার ৪ সন্তান সহ তিনি কাদেসিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ৪ সন্তানই শহীদ হন।
উত্তরঃ হযরত খানসা রা। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৭)
139. ওহুদ যুদ্ধের সময় রাসূল সা, একজন মহিলা সম্পর্কে বলেন,যে দিকে দৃষ্টি পড়ে তাকে সেদিকেই যুদ্ধ করতে দেখেছি। তিনি কে?
উত্তরঃ আম্মারা রা. কে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৪৭)
140. নেতৃত্বে। বর্তমানেও যদি আমরা ইসলামকে বাস্তবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই-পেতে চাই জীবনের পূর্ণাঙ্গ বিধান হিসেবে; তাহলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ অতীত যুগের মতো নারীদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে পুরুষের পাশাপাশি। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫০)
141.পুরুষদের নেতৃত্ব যেমন শিক্ষিত পুরুষদের হাতে তেমনি মেয়েদের নেতৃত্বও কাদের হাতে?
উত্তরঃ গুটিকতক শিক্ষিত মেয়েদেরই হাতে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫০)
142. বর্তমানে প্রগতিশীল মহিলারা কি আদায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে?
উত্তরঃ বর্তমানে নারী অধিকার আদায়ের নামের প্রগতিশীল মহিলারা সম্পত্তির উত্তরাধিকার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষের সমান অধিকার আদায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫১)
143. বর্তমানে নারী অধিকার আদায়ের নামে প্রগতিশীল মহিলারা সম্পত্তির উত্তরাধিকারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষের সমান অধিকার আদায়ের দাবীতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এর কারণ কি?
উত্তরঃ ইসলামের প্রকৃতরূপ তাদের জানা নেই। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫১)
144. কোন পথ অনুসরণ ছাড়া মুক্তি ও কল্যাণের আর কোন বিকল্প নেই?
উত্তরঃ বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে যে বিধান এসেছে, সেই পথ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫১)
145. আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আদর্শ কে?
উত্তরঃ রাসূল সা. (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫২)
146. রাসূল সা. দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করতে গিয়ে ঘরকে উপেক্ষা করেননি। বরং সর্বস্তরের জনমানুষের অনুসরণযোগ্য বাস্তব জীবনের সুন্দরতম নমুনা উপস্থাপন করেছেন নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্যে কি?
উত্তরঃ “উসয়ায়ে হাসানা” বা সর্বোত্তম আদর্শ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫২)
147. আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার এ কাজ ফরয যেমন নারীর জন্যে তেমনি পুরুষের জন্যেও-এটা কিসের দৃষ্টিতে?
উত্তরঃ কুরআন, সুন্নাহ এবং ফিকার দৃষ্টিতে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫২)
148. রাসূল সা.-এর আদর্শের আলোকে নারীর প্রধান কর্মক্ষেত্র কোথায়?
উত্তরঃ তার ঘরে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫২)
149. সমাজ ও জাতীয় জীবনে ঘরের গুরুত্বকে সামনে রেখেই রাসূল সা.-এর স্ত্রীদের উদ্দেশ্যে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কি বলেছেন?
উত্তরঃ وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُن “তোমরা ঘরের মধ্যে শান্তির সাথে অবস্থান কর।” (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫২)
150. যে সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত নেই-নেই সত্যিকার কুরআন- সুন্নাহভিত্তিক জ্ঞান দান এবং সেই অনুযায়ী চলার সুযোগ, সেখানে মহিলাদের মাঝে কাজ করার দায়িত্ব কার এবং কিভাবে?
উত্তরঃ মেয়েদের এবং তা সংঘবদ্ধভাবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫২)
151. পরিবারের সবার মধ্যে কোন অনুভূতি জাগাতে হবে?
উত্তরঃ “মুমিনের জান-মাল আল্লাহ জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন।” কাজেই এ জান- মাল তাঁর ইচ্ছা মতই ব্যয়-ব্যবহার করতে হবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৩)
152. ইসলামী আন্দোলনের কাজটা কার কাজ?
উত্তরঃ আল্লাহর কাজ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৩)
153. কোন মু’মিন পুরুষ এবং কোন মু’মিন স্ত্রীলোকের কি অধিকার নেই?
উত্তরঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যখন কোন বিষয়ে ফায়সালা করে দিবেন, তখন সে নিজের সেই ব্যাপারে নিজেই কোন ফায়সালা করার ইখতিয়ার রাখবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৪)
154. নারী সমাজে ইসলামের সঠিক ধারণা দানের কাজ কারা ফলপ্রসূ ভাবে করতে পারে।
উত্তরঃ নারীরাই। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৪)
155. ইসলামের সঠিক জ্ঞান লাভ করতে হলে প্রয়োজন কিসের?
উত্তরঃ কিছু শিক্ষাগত যোগ্যতার। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৪)
156. কোজ কাজ ছাড়া জ্ঞান বাড়ে না।
উত্তরঃ বাস্তব ময়দানে কাজ করা ছাড়া। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৪)
157. “একটি আয়াত হলেও আমার পক্ষ থেকে অন্যদের কাছে পৌঁছাও।” এটি আল্লাহর নির্দেশ না রাসূল সা. এর নির্দেশ?
উত্তরঃ রাসূল সা. এর নির্দেশ। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৫)
158. কে পারে মানুষকে সঠিক পথে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে?
উত্তরঃ সমাজের খারাপ অবস্থা দেখে যার কষ্ট হয়, মানুষের নৈতিক অধপতন যাকে উতালা করে তোলে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৫)
159. কোন জিনিস ছাড়া নিস্বার্থভাবে জাতির সেবা অসম্ভব?
উত্তরঃ একমাত্র আল্লাহর মহব্বত ছাড়া। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৫)
160. দায়ী’ ইলাল্লাহকে সর্বাবস্থায় কি হতে হবে?
উত্তরঃ ইসলামের বাস্তব প্রতীক হতে হবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৫)
161.কোন কাজের বিপরীত আচরণ বুদ্ধিহীনতারই নামান্তর এবং বাস্তবে ক্ষতিকরও বটে।
উত্তরঃ মানুষ যে আদর্শের প্রচার করবে নিজের জীবনে সে সেই আদর্শের অনুসারী হবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৬)
162. কোন কাজ করা ছাড়া নিজের সংশোধন ত্বরান্বিত হয় না?
উত্তরঃ মানুষকে আল্লাহর দ্বীনের পথে দাওয়াত দেয়ার কাজ ছাড়া। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৬)
163. পরিবারের যে সকল পুরুষ ইসলাম বিরোধী তাদেরকে কিভাবে বুঝাতে হবে?
উত্তরঃ মহব্বতের সাথে বুঝাতে হবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৬)
164. ফাতেমা রা.-এর মহব্বত এবং দৃঢ়তা কার কঠিন হৃদয়কে গলাতে সক্ষম হয়েছিল?
উত্তরঃ উমর রা.- এর। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৭)
165. সন্তানদের গড়ে তোলার দায়িত্ব প্রধানত কার?
উত্তরঃ মায়ের । (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৭)
166. সন্তানদের গড়ে তুলার ক্ষেত্রে জোর-জবরদস্তি করে নয়, বরং কিভাবে গড়ে তুলতে হবে?
উত্তরঃ সহানুভূতির সাথে ধীরে ধীরে তাদেরকে গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৭)
167. সূরা লোকমানে সন্তানদেরকে গড়ে তুলতে কি রূপরেখা পেশ করা হয়েছে?
উত্তরঃ ছোট বেলা থেকে তাদেরকে শিরক-বিদআত সম্পর্কে সঠিক ধারণা দান, বিনয়ী, ভদ্র, নম্র হতে শিখানো, দান-খয়রাতে উদ্বুদ্ধ করা ইত্যাদি। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৭)
168. সন্তানদের মাঝে জিহাদী প্রেরণা জাগিয়ে তুলতে হবে কিভাবে?
উত্তরঃ গল্পের মাধ্যমে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৭)
169. মহিলাদের প্রতি সংসার এবং সন্তানাদির দায়িত্বের পরই আসে কাদের প্রতি দায়িত্ব?
উত্তরঃ প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৭)
170. রাসূল সা. এর উক্তি অনুযায়ী জিবরাঈল আ. সবসময়ই তাঁকে প্রতিবেশীর হক সম্পর্কে তাকীদ দিচ্ছিলেন। এমন কি তাঁর কি ধারণা হয়েছিল?
উত্তরঃ হয়তো প্রতিবেশীকে সম্পত্তির হকদার (ওয়ারিস) বানিয়ে দেয়া হবে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৭)
171. নবী করীম সা. বলেছেন, যখন তুমি তরকারী রান্না করবে, তখন তাতে কিছু অতিরিক্ত পানি দিবে-এটা কেন?
উত্তরঃ যাতে করে তুমি তোমার প্রতিবেশীর খবর নিতে পার। (অর্থাৎ তা থেকে দিতে পার)। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৮)
172. ইউসুফ (আ) যখন কারাগারে তখন কয়েদখানার সবাই তাঁকে কোন ধরণের লোক বরে জানতো?
উত্তরঃ উত্তম চরিত্রের লোক বলে। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৮)
173. একটা আদর্শ সমাজ গঠনের জন্য কাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন?
উত্তরঃ পুরুষ ও নারীর। (দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্বঃ পৃষ্ঠা-৫৯)
কুরআন হাদীস ও অন্যান্য ইসলামী সাহিত্যের প্রশ্নোত্তর ভিত্তিক অধ্যয়নের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
0 Comments