প্রশ্নোত্তর : সত্যের সাক্ষ্য
সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী
1. সত্যের
সাক্ষ্য বইটি মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী রাহি. এর একটি বক্তৃতা। বক্তব্যটি কত তারিখে
কোথায় প্রদান করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৪৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর পাকিস্তানের শিয়ালকোটে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ প্রকাশকের কথা)
2. সত্যের
সাক্ষ্য আলোচনা করতে গিয়ে শুরুতেই মাওলানা মওদূদী রাহি. আল্লাহ তায়ালার চারটি
পরিচয় পেশ করেছেন। যেমনঃ ১. যিনি মানব জাতিকে সৃষ্টি করে তাকে দান করেছেন
জ্ঞান ও বিবেক- বুদ্ধির ন্যায় অমূল্য শক্তি আর সমাসীন করেছেন দুনিয়ায় তাঁর
খিলাফাতের মর্যাদায়। ২. যিনি মানুষের পথ প্রদর্শনের নিমিত্ত যুগে যুগে নবীদের
মারফতে নাযিল করেছেন কিতাবসমূহ। বাকী দুইটি কি কি?
উত্তরঃ ১. যিনি নিখিল বিশ্বের একমাত্র স্রষ্টা, মালিক এবং শাসক। ২. যিনি অসীম জ্ঞান, অনুগ্রহ ও ক্ষমতা বলে এই বিশ্বজাহান পরিচলনা করছেন। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৫)
3. সত্যের
সাক্ষ্য আলোচনা করতে গিয়ে শুরুতেই মাওলানা মওদূদী রাহি. নবী রাসূলদের সম্পর্কে
চারটি কথা বলেছেন। যেমনঃ ১. আজ দুনিয়ায় যা কিছু হিদায়াতের আলো, নৈতিক পবিত্রতা, পুণ্য ও পরহিযগারীর নিদর্শন দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে আল্লাহর এ নেক
বান্দাদেরই পথ-নির্দেশের ফল। ২. দুনিয়ার মানুষ কখনো তাঁদের এ অনুগ্রহের
কথা ভুলতে পারবে না। বাকী দুইটি কি কি?
উত্তরঃ ১. যাঁরা দুনিয়ায় এসেছিলেন মানুষকে প্রকৃত মানুষ্যত্ব শেখাতে। ২. যারা মানুষকে তার জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন করে গেছেন, আর বাতলে দিয়েছেন তার জীবন যাপনের সঠিক পদ্ধতি। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৫)
4. আমরা
আমাদের সম্মেলনগুলোকে দু’টো অংশে ভাগ করে থাকি। একাংশে আমরা পরস্পর বসে আপন কাজ কর্ম
যাচাই-পর্যালোচনা করি এবং তাকে আরো সামনে এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ করে থাকি। আর দ্বিতীয়াংশে আমরা কি
করি?
উত্তরঃ সম্মেলন স্থানের সাধারণ অধিবাসীদের কাছে দাওয়াত পেশ করে থাকি। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৫)
5. আমাদের
দাওয়াত দুই ধরণের মানগোষ্ঠীর প্রতি। তারা কারা?
উত্তরঃ ১. বংশগত মুসলমান এবং ২. মুসলমান নয় এমন সব মানবগোষ্ঠীর প্রতি। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৫)
6. মুসলমানদের
প্রতি আমাদের আহবান কি?
উত্তরঃ মুসলমান হিসেবে তাঁদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য ন্যস্ত হয়, তা তারা পুরোপুরি অনুধাবন ও পালন করুন। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৬)
7. আপনারা
আল্লাহকে আপন প্রভু এবং তাঁর দীনকে নিজেদের জীবন বিধান বলে মেনে নিয়েছেন ঠিক সেই
মুহূর্ত থেকে আপনাদের উপর এক বিরাট দায়িত্বও এসে পড়েছে। পরন্তু সে দায়িত্ব পালনের
পন্থা কি,
সে সম্পর্কে আমাদেরকে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। কারণ, এতে আপনারা ব্যর্থকাম হলে
পরিণাম কি হবে?
উত্তরঃ আপনাদের দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ই ব্যর্থ হয়ে যাবে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৬)
8. মুসলমান
হিসাবে দায়িত্ব শুধু আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতা, তার কিতাব, তার রাসূল ও পরকালের প্রতি ঈমান আনা নয় অথবা তা শুধু নামায পড়া, রোযা রাখা, যাকাত দেয়া এবং হজ্জ করার ব্যাপারেও নয়,
কিংবা তা বিবাহ, তালাক, উত্তরাধিকার
ইত্যাদি বিষয়ে কিছুটা ইসলামী বিধান মেনে নেয়াও নয়, বরং এ
সবের উর্ধ্বে এক বিরাট দায়িত্ব ন্যস্ত হয়ে থাকে। তা কি?
উত্তরঃ যে মহান সত্যের উপর আপনারা ঈমান এনেছেন, তার সাক্ষীরূপে সারা দুনিয়ার সামনে আপনাদেরকে দাঁড়াতে হবে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৬)
9. কুরআন
মজীদে ‘মুসলমান’ নামে একটি স্বতন্ত্র জাতির মর্যাদা দেয়া হয়েছে।এর একমাত্র উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ সমস্ত মানুষের সামনে পুরোপুরি সত্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়ানো (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৭)
10. সমস্ত
মানুষের সামনে পুরোপুরি সত্যের সাক্ষী হয়ে দাড়ানোর ব্যাপারে কুরআনের নির্দেশ কি? সূরা আল বাকারাহ এর বর্ণনার
আলোকে উত্তর দিন।
উত্তরঃ وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَٰكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِّتَكُونُواْ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِ وَيَكُونَ ٱلرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا “আমি তোমাদেরকে এক মধ্যমপন্থী জাতি বানিয়েছি যাতে করে তোমরা লোকদের জন্যে সাক্ষী হও আর রাসূলও যেন তোমাদের জন্যে সাক্ষী হন।” (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৭)
11. জাতি
হিসাবে আমাদের আবির্ভাবের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সত্যের সাক্ষী হওয়া। এ ব্যাপারে আল্লাহর হুকুম
কি?
সূরা নিসার বর্ণনার আলোকে জবাব দিন।
উত্তরঃ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُونُواْ قَوَّٰمِينَ بِٱلْقِسْطِ شُهَدَآءَ لِلَّهِ হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর জন্যে সত্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়াও।” (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৭)
12. কার
চেয়ে বড় যালিম আর কেউ হতে পারে না?
উত্তরঃ যার কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন সাক্ষ্য বর্তমান রয়েছে, সে যদি তা গোপন রাখে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৭)
13. মুসলমানদের
আগে কোন জাতিকে সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিল?
উত্তরঃ ইহুদী জাতিকে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৭)
14. আল্লাহ
তাআলা ইহুদী জাতিকে এক প্রচন্ড আঘাত দিয়ে সরিয়ে দিলেন এবং তখন তাদের অবস্থা কি
দাঁড়ালো?
উত্তরঃ وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِّلَّةُ وَالْمَسْكَنَةُ وَبَاءُوا بِغَضَبٍ مِنَ اللَّهِ “লাঞ্ছনা-গঞ্জনা, অপমান, অধঃপতন ও দুরবস্থা তাদের উপর চেপে বসলো এবং তারা আল্লাহর গযবে পরিবেষ্টিত হয়ে পড়লো।” (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৮)
15. আমাদের
উপর সাক্ষ্যদানের যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে এর অর্থ কি?
উত্তরঃ আমাদের কাছে যে সত্য এসেছে, যে সত্য আমাদের কাছে উদ্ভাসিত হয়েছে, তার সত্যতা ও যথার্থতা সম্পর্কে এবং তার সরল-সোজা পথ হওয়া সম্বন্ধে আমরা দুনিয়ার সামনে সাক্ষ্য দান করবো। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৯)
16. নবীদের
অবর্তমানে সত্যের সাক্ষ্য প্রদানের দায়িত্ব এসে পড়েছে সম্মিলিতভাবে কাদের উপর?
উত্তরঃ সমগ্র মুসলিমজাতির উপর। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৯)
17. কিসের
ভিত্তিতেই আল্লাহ তাআলা মানুষের হিসাব – নিকাশ এবং পুরস্কার বা শাস্তিদানের
ব্যবস্থা করেছেন?
উত্তরঃ সত্যের সাক্ষ্য দানের। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-০৯)
18. আল্লাহ
তাআলা নবীদেরকে সুসংবাদ প্রদানকারী এবং পরিণতির ভীতি প্রদর্শনকারী রূপে পাঠিয়েছেন, যাতে করে মানুষ তাঁর কাছে
কিরূপ বিতর্ক তোলার সুযোগ না পায়?
উত্তরঃ আমরা তো বে-খবর ছিলাম। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১০)
19. নবীদের
মাধ্যমে যারা জ্ঞান ও হিদায়াতের পথ পেয়েছেন, তারা কোন অবস্থায় পরিণত
হয়েছে?
উত্তরঃ একটি উম্মত বা জাতিতে পরিণত হয়েছে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১১)
20. নবীদের
উপর সত্যের সাক্ষ্যদানের যে দায়েত্ব অর্পিত ছিল, তাঁদের অবর্তমানে সে দায়িত্ব
কাদের উপর এসে পড়লো?
উত্তরঃ উম্মতের উপর। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১১)
21. সাক্ষ্য
দু’রকমের হয়ে থাকে। তা কি কি?
উত্তরঃ ১. মৌখিক সাক্ষ্য, ২. বাস্তব সাক্ষ্য। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১১)
22. মৌখিক
সাক্ষ্য বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ নবীর মাধ্যমে আমাদের কাছে যে সত্য এসে পৌছেছে বক্তৃতা ও লেখনীর মাধ্যমে দুনিয়ার সামনে তাকে তুলে ধরা। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১১)
23. মানুষকে
বুঝাবার ও তাদের মর্মে প্রবেশ করানোর সম্ভাব্য সকল পন্থা অবলম্বন করে দাওয়াত ও
তাবলীগ এবং প্রচার-প্রোপাগান্ডার সম্ভাব্য সকল উপায় উপকরণ ব্যবহার করে ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান
উদ্ভাবিত সমস্ত মাল-মসলাকে আয়ত্তে এনে আল্লাহর মনোনীত দীনের সাথে দুনিয়ার মানুষের
পরিচয় করিয়ে দেয়া। এটা কোন ধরণের সাক্ষ্য?
উত্তরঃ মৌখিক সাক্ষ্য। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১১)
24. কতক্ষণ
পর্যন্ত মৌখিক সাক্ষ্যদানের দায়িত্ব পুরোপুরি আদায় হতে পারে না?
উত্তরঃ যে পর্যন্ত না গোটা মুসলিম জাতি মানুষকে হিদায়াতের পথ দেখানোর জন্য নবীদের ন্যায় চিন্তা ভাবনা করবে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১২)
25. বাস্তব
সাক্ষ্যদানের অর্থ কি?
উত্তরঃ আমরা যেসব নিয়ম নীতিকে সত্য বলে প্রচার করি আমাদের বাস্তব জীবনেও সেগুলোকে প্রতিফলিত করতে হবে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১২)
26. আমরা
যদি ব্যক্তিগত ও জাতিগতভাবে নিজেরা দীনের মূর্তিমান সাক্ষ্যে পরিণত হতে পারি, আমাদের ব্যক্তি চরিত্র
সত্যতার প্রমাণ পেশ করে, আমাদের ঘর-বাড়ী সৌরভে মাতোয়ারা হয়ে
ওঠে, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ তারাই আলোকে আলোকিত হয়ে
ওঠে; আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও
সাংবাদিকতা তারাই সৌন্দর্য চর্চায় নিয়োজিত হয় এবং আমাদের জাতীয় নীতি ও সম্মিলিত
চেষ্টা-সাধনা তার সত্যতার উজ্জ্বল নিদর্শনে পরিণত হয়, তাহলে
কি হতে পারে?
উত্তরঃ বাস্তব সাক্ষ্যদানের দায়িত্ব যথার্থরূপে পালিত হতে পারে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৩)
27. ইসলামের
উত্তরাধিকার আইনের পরিবর্তে জাহেলী রীতিকে যথার্থ বলে সাক্ষ্য দান করেছেন কারা?
উত্তরঃ আমাদের ভূ- স্বামীগন। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৪)
28. ইসলামের
যাবতীয় আইন-কানুনকে শুধু ভুল নয়, বরং ইসলামের মৌলিক আইন শাসনকে গ্রহণের
অযোগ্য এবং মানব রচিত আইনকে নির্ভুল বলে সাক্ষ্য দিচ্ছেন কারা?
উত্তরঃ উকিল, মোক্তার ও জজ-ম্যাজিস্ট্রেটগণ। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৪)
29. দর্শন
ও ন্যায় শাস্ত্র,
ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান, অথর্নীতি ও রাজনীতি এবং
আইন শাস্ত্র ও নৈতিক বিধি-বিধান সম্পর্কে ধর্মবিমুখ পাশ্চাত্য মতবাদকে সত্য এবং
ইসলামী মতবাদকে ভ্রুক্ষেপ করার ও অনুপযোগী বলে সাক্ষ্য দিচ্ছেন কারা?
উত্তরঃ শিক্ষক, অধ্যাপক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৪)
30. ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ফ্রান্স ও রাশিয়ার ধর্মবিমুখ নাস্তিক সাহিত্যিকদের যা আদর্শ তাদের আদর্শের
তাই এবং মুসলিম সাহিত্যিক হিসেবে তাদের সাহিত্যের কোন স্বতন্ত্র মর্মবাণী নেই এমন
সাক্ষ্য দিচ্ছেন কারা?
উত্তরঃ সাহিত্যিকগণ। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৪)
31. অমুসলিমদের
কাছে যে সব নীতি এবং প্রচার- পোপাগান্ডার পদ্ধতি রয়েছে তাদেরও নীতি এবং প্রচার
পদ্ধতি ঠিক তাই, এমন সাক্ষ্য কারা দিচ্ছে?
উত্তরঃ পত্র-পত্রিকা ও প্রচার যন্ত্রগুলো। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৫)
32. ব্যবসায়ী
ও মালিকগন কি সাক্ষ্য দান করছে?
উত্তরঃ লেন-দেন সম্পর্কীয় ইসলামী পদ্ধতি অনুসরণের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৫)
33. অমুসলিমদের কাছে জাতীয়তা ও স্বদেশিকতার যে
যিকির,
জাতীয় দাবী-দাওয়া, জাতীয় সমস্যাবলী সমাধান
করার যে পন্থা এবং রাজনীতি ও শাসনতন্ত্রের যে মূলনীতি বিদ্যামান রয়েছে। তাদের কাছেও ঠিক তাই
রয়েছে।এসব ব্যাপারে যেন ইসলাম
তাদেরকে কোন পথের সন্ধান দেয়নি। এমন সাক্ষ্য কারা দিচ্ছেন?
উত্তরঃ আমাদের নেতৃবৃন্দ। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৫)
34. তাদের
মুখে দুনিয়াবী কাজ-কারবারের চর্চাব্যতীত অন্যকোন আলোচ্য বিষয় নেই। তারা এমন কোন ধর্মের সাথে
সম্পর্কিত নয় যার আলোচ্য কিছু সময় ব্যয় করতে পারে। এমন সাক্ষ্য কারা দিচ্ছে?
উত্তরঃ জনগন। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৫)
35. ইসলামী পরিবেশে লালিত পালিত ব্যক্তিগণ কোন
দিক দিয়েই কুফরী পরিবেশে লালিত পালিত লোকদের তুলনায় উন্নত অথবা স্বতন্ত্র নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রেই তারা
ওদের চেয়েও নিকৃষ্ট। তার উদাহরণ ৮টি। যে কোন ৪টি বলুন।
উত্তরঃ ১. তারা মিথ্যা বলতে পারে, ২. খিয়ানত করতে পারে, ৩. অত্যাচার চালাতে পারে , ৪. ধোঁকা দিতে পারে, ৫. ওয়াদা খেলাপ করতে পারে, ৬. চুরি-ডাকাতি করতে পারে, ৭. দাংগা-ফাসাদ করতে পারে, ৮. তারা নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনার যাবতীয় কাজই করতে পারে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৫)
36. কোন
কোন মুসলিম রাষ্ট্রে ইসলামী আইন শুধু কোন ধরণের ল’ হিসাবেই রয়ে গেছে?
উত্তরঃ পার্সনাল ল’। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৬)
37. “দি প্রসপেক্টস অব ইসলাম” (The Prospects of Islam) নামক
গ্রন্থের লেখক কে?
উত্তরঃ লরেন্স ব্রাউন (lawrence brown)। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৬)
38. ‘আইনের উৎস হচ্ছে আল্লাহর
ইচ্ছা মাত্র-মুসলমানদের এ ধারণাটি নিছক একটি পবিত্র কাহিনী ছাড়া আর কিছুই ছিল না।’ এই উক্তিটি কার?
উত্তরঃ লরেন্স ব্রাউন (lawrence brown)। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৭)
39. আমরা
মুখে যাই বলি না কেন, আমাদের সামগ্রিক কার্যকলাপ কোন কথার
সাক্ষ্য বহন করছে?
উত্তরঃ এ দীন ইসলামে কোন নিয়ম-নীতিই আমাদের মনঃপূত নয় এবং এর প্রবর্তিত কানুনের মধ্যেও আমদের কোন কল্যাণ ও মুক্তি নেই। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৭)
40. যখন
কোন জাতি আল্লাহর কোন নিয়ামতের প্রতি উপেক্ষা প্রদর্শণ করে আপন সৃষ্টিকর্তার সাথে
বিশ্বাসঘাতকতা করে,
তখন আল্লাহ তাকে ইহকাল ও পরকালে সর্বত্রই শাস্তি দিয়ে থাকেন। আল্লাহর এই শাশ্বত বিধান
পুরোপুরি কার্যকরী হয়েছে কোন জাতির বেলায়?
উত্তরঃ ইহুদী জাতির বেলায়। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৭)
41. পূর্বভারতীয়
দ্বীপপুঞ্জ বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ ইন্দোনেশিয়া, মালয়, সিংগাপুর ইত্যাদি। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-১৮)
42. দুনিয়াকে
পরিচ্ছন্ন ও পরিশুদ্ধ রাখার দায়িত্ব আমাদের উপরই ন্যাস্ত ছিল। সে দায়িত্ব পালনে গাফলতির
ফলেই আজ দুনিয়াটার কি হয়েছে?
উত্তরঃ সমস্যার আবর্জনায় ভরে গেছে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২১)
43. বর্তমান, ভবিষ্যত একটি বিশেষ প্রশ্নের
সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তা কি?
উত্তরঃ আল্লাহ তাঁর রাসূলের মাধ্যমে আপনাদের কাছে যে হিদায়াত পাঠিয়েছেন, যার কল্যাণে আপনারা মুসলিম নামে অভিহিত হচ্ছেন এবং যার সাথে সম্পর্কে থাকার দরুন ইচ্ছায় হোক কি অনিচ্ছায় আপনারা দুনিয়ায় ইসলামের প্রতিনিধি সাব্যস্ত হয়েছেন, তার সংগে আপনারা কিরূপ আচরণ করছেন? (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২১)
44. আপনারা
যদি সত্যিকারভাবে ইসলামের আনুগত্য করেন এবং কথা ও কাজের মাধ্যমে তার সত্যতার
সাক্ষ্য দেন আর আপনাদের জাতীয় পরিচয় ইসলামকে পুরোপুরি প্রতিফলিত করেন, তাহলে কিসের অধিকারী হবেন?
উত্তরঃ দুনিয়ার উন্নতি ও সমৃদ্ধি এবং পরকালে সাফল্য ও কল্যাণের অধিকারী হবেন। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২১)
45. কিভাবে
আমাদের ভবিষ্যত এমনি উজ্জ্বল হতে পারে?
উত্তরঃ ইসলামের একনিষ্ঠ অনুসারী ও সত্যিকারের সাক্ষ্যদানকারী হলে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২২)
46. আপনারা
নিজেদের মুসলান বলে দাবী করে ইসলামের প্রতিনিধি সেজে বসেন আর নিজেদের কথা ও কাজের মাধ্যমে
কোন কোন পথের সাক্ষ্য দান করেন?
উত্তরঃ শিরক, জাহিলিয়াত, দুনিয়াপূজা এবং নৈতিক উচ্ছৃংখতার পথে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৩)
47. কি
করলে পারসীয়ান,
আমেরিকান ও বৃটেনের মতো আপনাদের দুনিয়াবী যিন্দেগীটা চাকচিক্যময় হতে
পারতো?
উত্তরঃ ইসলামের লেবেলটা খুলে দিয়ে প্রকাশ্যে কুফরকে গ্রহণ করলে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৩)
48. যারা
ইসলামকে নিজেদের দীন বলে স্বীকার করে থাকেন, তাদেরকে আমরা কি আহ্বান
জানাচ্ছি?
উত্তরঃ তাঁরা যেন এই দীনকে নিজেদের প্রকৃত জীবন বিধানে পরিণত করেন। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৪)
49. মুসলমান
হিসাবে জীবনের মূখ্য উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ দীন ইসলামের প্রতিষ্ঠা ও সত্যের সাক্ষ্যদান। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৪)
50. কোন সব কাজ থেকে সর্বতোভাবে বিরত থাকা
কর্তব্য?
উত্তরঃ যেসব কথা ও কাজে ইসলামের বিরোধিতা এবং ভুল প্রতিনিধিত্ব হওয়ার আশংকা রয়েছে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৪)
51. উদ্দেশ্য
সাধনের জন্যে যে পথ আমরা বাছাই করে নিয়েছি, তা প্রথমত কি?
উত্তরঃ আমরা প্রথমত মুসলমানদেরকে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দেই। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৪)
52. ব্যক্তিগত
প্রচেষ্টায় ইসলামের সকল দাবী পূরণ করা সম্ভব নয়। এজন্যে কি প্রয়োজন?
উত্তরঃ সামগ্রিক ও সম্মিলিত চেষ্টা। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৫)
53. দীন-ইসলামে কোন জিনিসকে অপরিহার্য করে দেয়া
হয়েছে?
উত্তরঃ ‘জামায়াত’ কে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৫)
54. রাসূল
সা. বলেছেন: আল্লাহ আমাকে যে পাঁচটি বিষয়ের হুকুম দিয়েছেন আমিও তোমাদেরকে তারই
হুকুম দিচ্ছি। এই পাঁচটি জিনিস কি কি?
উত্তরঃ ১. জামায়াত, ২. নেতৃ-আদেশ শ্রবণ, ৩. আনুগত্য, ৪. হিজরত ও ৫. আল্লাহর পথে জিহাদ। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৬)
55. যে ব্যক্তি ইসলামী জামায়াত ত্যাগ করে এক বিঘত
পরিমাণও দূরে সরে গেছে, সে কি করলো?
উত্তরঃ নিজের গর্দান থেকে ইসলামের রজ্জু খুলে ফেলেছে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৬)
56. যে
ব্যাক্তি জাহিলিয়াতের দিকে আহবান জানাবে, তার পরিণতি কি?
উত্তরঃ সে হবে জাহান্নামী। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৬)
57. দীনী কাজের সঠিক নিয়ম হচ্ছে এই যে, সর্বাগ্রে কি লাগবে?
উত্তরঃ একটি সুসংহত ও সুশৃঙ্খল জামায়াত। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৬)
58. জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা প্রায় ইসলাম
থেকে বিচ্ছিন্ন থাকারই নামান্তর। কারণ কি?
উত্তরঃ কারণ এর অর্থ হচ্ছে এই যে, মানুষ আরবের সেই জাহিলী যুগের দিকেই পুনঃ প্রত্যাবর্তন করছে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৬)
59. ইসলামের
অধিকাংশ দাবী ও তার প্রকৃত উদ্দেশ্য কেবল কিভাবে পূর্ণ হতে পারে?
উত্তরঃ জামায়াত এবং সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৭)
60. لَا إِسْلَامَ إِلَّا بِجَمَاعَةٍ অর্থ কি?
উত্তরঃ জামায়াত বিহীন ইসলামের কোন অস্তিত্ব নেই। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৭)
61. যারা
জামায়াতী নিয়ম-শৃঙ্খলার পাবন্দী করতে পারবেন তাদের সামনে মাত্র তিনটি পথই খোলা
রয়েছে, তা কি কি?
উত্তরঃ ১. আমাদের সাথে এই কাজে আপনারা শামিল হওয়া। ২. অন্য কোন দলকে ইসলামী উদ্দেশ্যে খাটি ইসলামী পন্থায় কাজ করতে দেখেন, তাহলে তাতেই শামিল হওয়া। ৩. নিজেরাই অগ্রসর হয়ে খাটি ইসলামী পন্থায় একটি সুসংহত জামায়াত গঠন করা। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৭)
62. সুস্থমস্তিষ্ক
থাকা পর্যন্ত কোন দিনই আমরা কোন দাবী করবো না?
উত্তরঃ কেবল আমাদের জামায়াতেই সত্যপন্থী এবং আমাদের জামায়াতের বহির্ভূত লোকেরা সবাই বাতিলপন্থী। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৮)
63. আমরা
লোকদের কখনও আমাদের জামায়াতের দিকে আহবান জানাইনি। তাহলে কিসের দিকে আহবান জানাই?
উত্তরঃ মুসলমান হিসেবে যে দায়িত্বটি আমাদের ও আপনাদের সবার উপরে সমানভাবে ন্যাস্ত রয়েছে, তার প্রতি। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৮)
64. যেহেতু
ইসলামী জীবন ব্যবস্থাই ছিন্নভিন্ন হয়ে আছে এবং এখন শুধু ইসলামী জীবন ব্যবস্থা
পরিচালনার প্রশ্ন নয় বরং নতুন করে প্রতিষ্ঠার প্রশ্নই দেখা দিয়েছে তাই এমনি
পরিস্থিতিতে গোটা উম্মতের জন্যে কি করা সম্ভব নয়?
উত্তরঃ আল- জামায়ত বা একটি মাত্র দল গঠন করা সম্ভ নয়। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৯)
65. কারা
বেশীক্ষণ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে না?
উত্তরঃ সত্য পথের পথিকরা। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৯)
66. জামায়াতের
রুকন বা সদস্যদের কাছে কি দাবী করা হয়?
উত্তরঃ এক মুসলমানের কাছে ইসলাম যা দাবী করে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৯)
67. এই
দীন ইসলামকে বুঝে শুনে সচেতনভাবে গ্রহণ করুন এর দাবীগুলো ভেবে-চিন্তে ঠিকমত আদায়
করুন এবং নিজেদের চিন্তা, কল্পনা, কথা ও কাজ
থেকে এর নির্দেশ ও ভাবধারা বিরোধী যাবতীয় বস্তুকে বের করে দিন ও নিজেদের সমগ্র
জীবন দ্বারা ইসলামের সত্যতার সাক্ষ্য দান করুন। এই কথাগুলো জামায়াতের কি?
উত্তরঃ জামায়াতে ভর্তি হওয়ার ফিস এবং সদস্য হওয়ার পদ্ধতি। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-২৯)
68. আমাদের
কোন কথা যদি কুরআন-সুন্নাহ হতে অতিরিক্ত কিছু বলে কেউ প্রমাণ করতে পারেন, তবে তা বর্জন করতে এবং কুরআন
ও সুন্নাহয় বর্তমান রয়েছে অথচ আমাদের এখানে তা নেই, এমন কোন
বিষয়ের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করলে আমরা কি করতে প্রস্তুত?
উত্তরঃ আমরা তা দ্বিধাহীন চিত্তে গ্রহণ করে নিতে সদা প্রস্তুত। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩০)
69. মুসলমানদের
মধ্যে যেসব কারণে ফিরকা বা উপদলের সৃষ্টি হয়, সেগুলোকে মোটামুটি কয়ভাগে
ভাগ করা যেতে পারে?
উত্তরঃ চার ভাগে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩১)
70. মুসলমানদের মধ্যে যেসব কারণে ফিরকা বা উপদলের
সৃষ্টি হয়,
সেগুলোকে মোটামুটি চারভাগে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথমটি কি?
উত্তরঃ দীনের সাথে সম্পর্কহীন কোন বস্তুকে আসল দীনের মধ্যে শামিল করে নিয়ে তাকেই কুফর ও ঈমান অথবা হিদায়াত ও গোমরাহীর মাপকাঠি হিসেবে গ্রহণ করা। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩১)
71. মুসলমানদের
মধ্যে যেসব কারণে ফিরকা বা উপদলের সৃষ্টি হয়, সেগুলোকে মোটামুটি চারভাগে
ভাগ করা যেতে পারে। দ্বিতীয়টি কি?
উত্তরঃ দীনের কোন বিশেষ মাসয়ালাকে কুরআন ও সুন্নাহর চেয়ে অধিক গুরুত্ব দিয়ে তাকেই উপদল সৃস্টির ভিত্তি হিসেবে গণ্য করা। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩১)
72. মুসলমানদের
মধ্যে যেসব কারণে ফিরকা বা উপদলের সৃষ্টি হয়, সেগুলোকে মোটামুটি চারভাগে
ভাগ করা যেতে পারে। তৃতীয়টি কি?
উত্তরঃ ইজতিহাদী বিষয়াদিতে বাড়াবাড়ি করা এবং ভিন্ন মত পোষনকারীদের উপর ফাসিক ও কুফরীর অপবাদ চাপিয়ে দেয়া কিংবা অন্তত তাদের সাথে স্বতন্ত্র আচার পদ্ধতি অবলম্বন করা। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩১)
73. ইজতিহাদী বিষয়াদির ব্যাপারে জামায়াতের অভিমত
কি?
উত্তরঃ যেসব মাযহাব ও মতবাদকে শরীয়তের নীতির ভেতরে থেকে মেনে নেয়ার অবকাশ রয়েছে, তার সবগুলোকেই জামায়াত সত্য বলে স্বীকার করে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩২)
74. জামায়াতে
কোন ব্যক্তিবর্গের দিকে আহবান জানান হয় না, জামায়াতের আহবান হচ্ছে কিসের
প্রতি।
উত্তরঃ পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে প্রত্যেক মুসলমানের যা জীবন লক্ষ্য, যে মূলনীতিসমূহের সমষ্টিকে বলা হয় ইসলাম। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩৩)
75. আমীরের পদে কারো ব্যক্তিগত প্রাপ্য অধিকার
স্বীকৃত নয়।
তাহলে
জামায়াতের আমীর নির্বাচিত করা হয় কেন?
উত্তরঃ সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হলে জামায়াতের একজন প্রধান থাকা দরকার বলেই একজনকে আমীর নির্বাচিত করা হয়। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩৪)
76. যারা
যুক্তি প্রদর্শন করে থাকেন যে, ‘ইমামত’ শুধু ইসলামের ইমামত, নামাযের ইমামত, কিংবা যুদ্ধ-বিগ্রহের ইমামই হতে পারে। এ ছাড়া তো আর কোন
প্রকারের ইমামত নেই। তাদের সম্পর্কে মাওলানা মওদূদীর অভিমত কি?
উত্তরঃ তারা কেবল ইসলামের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অধিষ্ঠিত হওয়া এবং সার্বভৌম ক্ষমতাসম্পন্ন ইমামতের প্রতিষ্ঠাকালীন ফিকাহ ও হাদীস সম্পর্কেই খোজ-খবর রাখেন। কিন্তু মুসলমানদের জামায়াত নেতৃত্বচ্যুত হলে, স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত হলে এবং ইসলামের জামায়াতী নিয়ম-শৃঙ্খলা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেলে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, সে সম্পর্কে তারা মোটেই ওয়াকিফহাল নন। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩৬)
77. নবী করীম (সা.) এর যুগে যখন ‘আমীর’ বা ‘ইমাম’
এর পরিভাষা ব্যবহার করা হতো, তখন ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত ছিল। আর যতদিন পর্যন্ত ইসলামী
রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি, ততদিন ‘আমীর বা ‘ইমাম’-এর পরিভাষা
ব্যবহারের কোন অবকাশই তখন ছিল না। কেন?
উত্তরঃ স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা.) ই রাসূল হিসেবে দীন-ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করেন। এজন্য। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩৭)
78. ইসলামের গোটা ব্যবস্থাপনার উপর দৃষ্টিপাত
করলে কোন কথা সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে?
উত্তরঃ দীন-ইসলাম মুসলমানদের প্রতিটি সম্মিলিত কাজের নিয়ম-শৃঙ্খলার দাবী করে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
79. দীন-ইসলাম
মুসলমানদের প্রতিটি সম্মিলিত কাজের নিয়ম-শৃঙ্খলার দাবী করে। এই নিয়ম-শৃঙ্খলার পদ্ধতি
কি?
উত্তরঃ কাজ জামায়তবদ্ধ হয়ে করতে হবে এবং একজনকে হতে হবে তার ‘আমির’।.(সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
80. তিনজন লোক যদি সফরে বের হয়, তবে তাঁদের মধ্য হতে আমীর
নির্বাচিত করে সুশৃঙ্খল পন্থায়ই সফর করতে হবে। কিন্তু মসনাদে আহমদে কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তিনজন লোক জংগলে থাকলেও নিজেদের মধ্যে একজকে আমীর নিযুক্ত না করা জায়িয নয়। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
81. ইসলামী
শরীয়তের মূল ভাবধারাটিই হযরত উমর (রা.) বাণীতে পরিস্ফুটিত হয়ে উঠেছে। তা কি?
উত্তরঃ لااسلام الا بجماعة ولاجماعة الا مارة ولاامارة الا بطاعة “জামায়াতবিহীন ইসলাম, ইমারতবিহীন জামায়াত ও আনুগত্যবিহীন ইমারাত বলতে কোন জিনিস নেই।” (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
82. জামায়াতে
ইসলামীতে নেতৃত্বের পদ ইমাম না হয়ে আমীর কেন গ্রহণ করা হয়েছে?
উত্তরঃ ইমাম শব্দের সাথে যেহেতু বিশেষ অর্থ জড়িত হয়ে পড়েছে, কাজেই নানা ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্যে এ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘আমীর’ শব্দটি গ্রহণ করা হয়েছে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩৮)
83. জামায়াতে ইসলামী শুধু জামায়াতের রুকনদের
কাছেই নিজেদের বায়তুল মালে যাকাত আদায়ের দাবী জানিয়ে থাকে কেন?
উত্তরঃ মুসলমানদেরকে শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে সম্মিলিতভাবে যাকাত দেয়া ও ব্যয় করার ব্যাপারে অভ্যস্ত করে তোলার উদ্দেশ্যে। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৩৯)
84. অর্থ
ভান্ডার বা ট্রেজারী এর ইসলামী পরিভাষা কি?
উত্তরঃ বায়তুলমাল। (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৪০)
85. বস্তুত কোন কোন বিষয়ে লিপ্ত হওয়া আমাদের
কাজের পন্থা নয়?
উত্তরঃ অহেতুক ঝগড়া-বিবাদ এবং বিতর্ক-মুনাযারায় লিপ্ত হওয়া্ (সত্যের সাক্ষ্যঃ পৃষ্ঠা-৪০)

0 Comments