আলোচনা নোট - ইসলামী শিক্ষা দিবস-শহীদ আব্দুল মালিক - মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম

 

ইসলামী শিক্ষা দিবস

শহীদ আব্দুল মালিক স্মরণে

ইসলামী শিক্ষা দিবস

মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম

§  গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ শহীদ আব্দুল মালিক কে - যার উদ্দেশ্যে নিবেদিত আজকের এ অনুষ্ঠান, যিনি নিজের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে প্রমাণ করেছেন “তিনি আল্লাহর জন্য, বিধায় আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিজেকে সমর্পন করে নিজেই তার কাজে সাক্ষী হয়ে গেছেন”।

§  শহীদ আব্দুল মালিকঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সেরা ছাত্র। তদানিন্তন ইসলামী ছাত্র সংঘের ঢাকা মহানগরী সভাপতি এবং নিখিল পাকিস্তান ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য। আল্লাহ বিমুখ শিক্ষা নয়, বরং আল্লাহর হেদায়াতের ভিত্তিতে রচিত শিক্ষা ব্যবস্থাই দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর-এ কথার দাবীতে ১৯৬৯ সালের ১৫ই আগষ্ট ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজ্জাধারীদের বর্বরোচিত হামলায় শাহাদাত বরণ করেন। তারই শাহাদাত স্মরণে আজকের এ ইসলামী শিক্ষা দিবস

§  ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ শহীদ আব্দুল মালিকের জীবন নিয়ে আলোচনার আগে শিক্ষা সম্পর্কে দু’টি কথা বলতে চাই।

§  পত্রিকার হেডিংঃ

  1. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, খ্যাত নামা উপন্যাস লেখক, কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমদের ঘরে আগুন। মেয়ের বান্ধবী শাওনের সাথে লিভ টুগেদার, অতঃপর বিয়ে। স্ত্রী গুলকেতিনকে তালাক নামা প্রদান।
  2. নারী নির্যাতনের অভিযোগে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য আওরঙ্গ গ্রেফতার। স্ত্রী ও পুত্র বধু কর্তৃক নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা।
  3. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন।
  4. এইচএসসিতে স্টেন্ডধারী ছাত্র অভি, পরে ছাত্রদল নেতা, অতঃপর সন্ত্রাসী। তারপর এমপি। মডেল কন্যা তান্নীকে নিয়ে ব্লু ফিলম তৈরী করে তাকে হত্যা এবং হত্যার পর অভি পলাতক।
  5. পরকীয়ার কারণে বোদায় শিক্ষিকা হত্যা। বিচার চেয়ে ১০৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকার আবেদন।
  6. রাজশাহীতে চাঞ্চল্যকর ভাইস প্রিন্সিপাল হত্যা মামলায় পুত্রসহ ৩ জনের ফাঁসি।

§  আমরা বৃটিশের গোলম ছিলাম। বৃটিশ আমাদের গোলম বানিয়ে রেখেছিল সর্বক্ষেত্রে। বৃটিশ বিদায় নিয়েছে। তাদের বাহ্যিক গোলামী থেকে আমরা মুক্ত। কিন্তু ইচ্ছায় অনিচ্ছায় আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের গোলামী করে চলছি।

§  আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বৃটিশ প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা।

§  এ শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরী করেছে শিক্ষা ব্যবস্থার দু’টি ধারাঃ

  1. মাদ্রাসা শিক্ষ ব্যবস্থা-যাকে অনেকে বলেন ইসলামী শিক্ষা-প্রকৃত পক্ষে তা মুল্লা তৈরীর শিক্ষা।
  2. সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা-যাকে অনেকে বলেন আধুনিক শিক্ষা-প্রকৃত পক্ষে তা মিষ্টার তৈরীর শিক্ষা।

§  মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিতদের শেখানো হয়ঃ

  1. মানুষ মরলে কিভাবে জানাজা করতে হয়।
  2. মেয়েদের মাসিক অসুস্থতার সময় কি কি করনীয়।
  3. স্ত্রী তালাক দেয়ার পর কোন সুতার সুযোগে তাকে আবার ফিরিয়ে আনা যায়।
  4. জামা কত ইঞ্চি লম্বা হবে।
  5. দাড়ির দৈর্ঘ্য কত সেন্টিমিটার হবে। ইত্যাদি-যাকে এক কথায় আমরা মুল্লা কা দৌড় মসজিদ থক হ্যা।

§  সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিখানে হয়ঃ

  1. Unsign is nothing.
  2. Religion is uopiom for the people.
  3. মানুষ একসময় ছিল বানর, সময়ের পরিবর্তনে সেও পরিবর্তিত হয়েছে। এক সময় মানুষে রূপান্তরিত হয়ে গেছে।

§  ১৯৬৯ সাল। এই সকল শিক্ষারই একটি হযরবল রূপ দিয়ে উপস্থাপিত হয় নূর খান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট।

§  নুর খান শিক্ষা কমিশন প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ছিলনাঃ

  1. মানুষের প্রকৃত পরিচয় জানার সুযোগ।
  2. মানুষ কে?
  3. মানুষকে কেন সৃষ্টি করা হয়েছে?
  4. মানুষের দায়িত্ব কি?
  5. ছিলনা মানুষকে চরিত্রবান ও নৈতিকতা সম্পন্ন ইনসানে কামিল তৈরীর ব্যবস্থা।

§  এ শিক্ষা কমিশনের উপস্থাপিত শিক্ষা পদ্ধতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালেন

  1. সময়ের সাহসী সন্তান।
  2. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র।
  3. তদানিন্তন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী ছাত্র সংঘের নিখিল পাকিস্তান কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য।
  4. ঢাকা মহানগরী সভাপতি জনাব আব্দুল মালিক।

§  ২রা আগষ্ট ১৯৬৯ নুর খান শিক্ষা কমিশন নিয়ে দেশব্যাপী তুমুল বিতর্ক। National institute of public Administration (নিপা) এর জাতীয় ভিত্তিতে শিক্ষানীতির উপর বিতর্ক। শহীদ মালিকের অংশগ্রহণ ও বিজয়।

§  ১২ আগষ্ট ১৯৬৯ টি.এস.সি.তে  বিতর্ক হল। বক্তব্য রাখার জন্য হাজির হলেন আব্দুল মালিক। বক্তৃতা দিতে চাইলেন। কিন্তু তাকে সুযোগ দেয়া হলনা। ফলে উপস্থিত শ্রেুাতারা বিগড়ে গেল। প্রতিবাদ করল। আক্রমন হলো শহীদ আব্দুল মালিকের উপর।

§  ১৫ আগষ্ট তিনি শাহাদাত বরণ করলেন। সাড়া দিলেন তার বরের ডাকে-জান্নাতের মেহমান হতে।

§  কে এই আব্দুল মালিকঃ

o              এসএসসি-তে ১১শ। এইচএসসি-তে ৪র্থ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-রসায়নের সেরা ছাত্র।

o              যারঃ

1.       জামা ছিল মাত্র একটি।

2.      খাওয়ার পূর্বে কর্মীদের হাত ধুয়াতেন।

3.      রাত জেগে কর্মীদের পাহারা দিতেন। নিজে জাগ্রত থাকতেন। কর্মীদের ঘুম ভাঙাতেন না।

4.      শিক্ষা শিবিরের টয়লেট পরিষ্কারের কাজ করেছেন।

§  যারা জীবনে অনেক বড় হয়, তাদের চিনা যায় ছোট কালেই। যেমনঃ

o              ১৪ বছরের কিশোর বগুড়া জেলা স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল মালিকের চিঠিঃ

“বাড়ীর কথা ভাবিনা, আমার শুধু এক উদ্দেশ্য, খোদা যেন আমার উদ্দেশ্য সফল করেন। কঠিন প্রতিজ্ঞা নিয়ে এসেছি এবং কঠোর সংগ্রামে অবতীর্ণ, দোয়া করবেন খোদা যেন সহায় হোন। আমি ধন সম্পদ কিছু চাইনা, শুধু মাত্র যেন প্রকৃত মানুষ রূপে জগতের বুকে বেঁচে থাকতে পারি।”

o    ২৯ আগষ্ট ১৯৬৬ সালে মিশরে সাইয়েদ কুতুব সহ ৩জন নেতাকে ফাঁসি দেয়ার খবরে আল্লাহর পথে নিজেকে বিলিয়ে দিতে উদ্বীপ্ত হয়ে উঠেন। লিখেনঃ

“জানি আমার কোন দুঃসংবাদ শুনলে মা কাঁদবেন, কিন্তু উপায় কি বলুন? বিশ্বের সমস্ত শক্তি আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। আমরা মুসলমান যুবকেরা বেঁচে থাকতে তা হতে পারেনা। হয় বাতিলের উৎখাত করে সত্যের প্রতিষ্ঠা করবো, নচেত সে চেষ্টায় আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে। আপনারা আমায় প্রাণ ভরে দোয়া করুন জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও যেন  বাতিলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারি। কারাগারের নিরন্ধ্র অন্ধকার, সরকারী যাঁতাকলের নিষ্পেষণ, আর ফাঁসির মঞ্চও যেন আমায় ভঁড়কে দিতে না পারে।”

§  শহীদ আব্দুল মালিক শপথ নিলেনঃ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

§  পরিবারের, বন্ধু বান্ধব আর শিক্ষকের স্বপ্ন ছিল আব্দুল মালিক হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্র। আর তিনি ঠিক করে নিলেন তার জীবনের উদ্দেশ্য অন্যভাবে। তিনি লিখলেনঃ

“জিন্দেগীর প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে আল্লাহর পথে সংগ্রাম করা।”

“মায়ের বাধন ছাড়া আর আর কিছু নেই। বৃহত্তর কল্যাণের জন্য সে বাঁধনকে ছিঁড়তে হবে। কঠিন শপথ নিয়ে আমরা পথে আমি চলতে চাই। আমার মা ও ভাইরা আশা করে আছেন-আমি একটা বড় কিছু হতে যাচ্ছি। কিন্তু মিথ্যা সে সব আশা। আমি বড় হতে চাইনে। ছোট থেকেই স্বার্থকতা পেতে চাই।

“সব বাঁধা তুচ্ছ করে গাঢ় তমাশার বুক চিরে যে দিন আমার পথ করে নিতে পারবো, সেদিন আমরা পৌছবো এ পথের শেষ মনজিলে। আর সে দিন হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। সে দিন আমাদের চরিত্র হবে হযরত ইউসুফ আ. এর মত। কেবল সেদিনই আসবে সাফল্য।

§  কবি মুখে তখন ঘোষিত হয়েছিল শাশ্বত প্রত্যয়ঃ

“শহীদের যত খুন ঝরবে, সব খুন মিশবে এ মাটিতে।

পরিণত করে দেব দেশটা,আমাদের মজবুত ঘাটিতে।”

§  শহীদ আব্দুল মালিকের রুমের দরজায় লিখা থাকতোঃ

“আমরা ততোদিন পর্যন্ত নিস্তব্ধ হবোনা, আমরা নিরব হবো না, ধীর হবো না, যতোদিন না কুরআনকে এক অমর শাসনতন্ত্র হিসেবে দেখতে পাই। আমরা এ কাজে সফলতা অর্জন করবো , নতুবা মৃত্যু বরণ করবো।”

§  কবি ফররুখ আহমদ লিখেছিলেনঃ

জীবনের চেয়ে দীপ্ত মৃত্যু তখনই জানি,

শহীদি রক্তে হেসে ওঠে যবে জিন্দেগানী।

§  মতিউর রাহমান নিজামী শহীদ আব্দুল মালিক সম্পর্কে বলেনঃ “আজকের দিশেহারা যুব সমাজের আলোর দিশারী।”

§  শহীদ মোস্তাফা শওকত ইমরান শহীদ আব্দুল মালিক সম্পর্কে বলেনঃ “একটি অনন্য প্রতিভা।”

§  কবি মতিউর রাহমান মল্লিক বলেনঃ ভাস্কর সভাপতি।

§  কবি নঈম সিদ্দিকী লিখেনঃ

অমর শহীদ কবরের বুকে চির সত্যের বসন চুমি,

হৃদয়ে হৃদয়ে খোদা রাসূলের ঝান্ডা যে আজ ওড়ালে তুমি।

§  আল্লামা ইকবাল তার সম্পর্কে লিখেনঃ Life is the beginning of death and death is the beginning of life.

§  মাওলানা সাইয়েদ মুহমুদ মোস্তাফা আল মাদানী তার জানাজার নামাজে ইমামতি করলেন আর আফসোস করে বললেনঃ

হায়! আমি যদি আজ আব্দুল মালিক হতাম। আল্লাহর দরবারে শহীদের মর্যাদা লাভ করতে পারতাম। তাহলে আমার জীবন হতো সার্থক।”

আর আশাবাদ ব্যক্ত করলেনঃ

ইসলামী আদর্শ বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে আব্দুল মালিক শাহাদাতের যে দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন। তা অনুসরণ করে এদেশের হাজার হাজার আব্দুল মালিক ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদ হতে কুন্ঠাবোধ করবেনা।”

§  মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মাওদূদী রাহি. যখন শহীদ আব্দুল মালিকের শাহাদাতের খবর শুনলেন, তখন তার মুখে একই কথার প্রতিধ্বনি শুনা গেল। তিনি বললেনঃ

আব্দুল মালেক এদেশে ইসলামের পথে প্রথম শহীদ হতে পারে, কিন্তু শেষ নয়।”

§  আর শহীদের সাথীরাও সে সময়ে হাতে হাত রেখে, কাদে কাদ মিলিয়ে সমবেত উচ্চারণে আওয়াজ তুলে ছিলঃ

ঘরে ঘরে মালিক হবো, মালিক হত্যার বদলা নেব।”

“এক মালিকের শাহাদাতে, লক্ষ্য মালিক ঘরে ঘরে।”

“শাহাদাতের সিঁড়ি বেয়ে, বিপ্লব আসবেই”।

§  শহীদি নাজরানাঃ

1.    শহীদ শাব্বীর আহমদঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহারের সবুজ চত্তরে এক ইটের উপর মাথা রেখে আরেকটি ইট দিয়ে মাথা থেতলে দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

2.   শহীদ মাহফুজুল হকঃ চট্টগ্রামের শিবির নেতা-যাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছেতার অবুঝ শিশুর আব্বা আব্বা চিৎকারে আল্লাহরআরশ কেঁপেছে, কিন্তু জবাব মিলেনি-কেন তাকে এতিম করা হয়েছিল।

3.   শহীদ আবু সায়েমঃ যে ছিল এক ভিক্ষুকের ছেলে। ছেলে বড় হয়ে তাকে খাবার দিবে এ প্রত্যাশায় পাঠিয়ে ছিল তাকে শিক্ষাংগনে। লাশ হয়ে তাকে ফিরতে হয়েছে।

4.   শহীদ আমীর হোসাইনঃ যে তার মাকে বলেছিল জান্নাতের সিঁড়িতে তোমার সাথে আমার দেখা হবে।

5.   শহীদ আইনুল হকঃ গিয়ে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজও ফিরেনি। কখন ফিরবে আদরের ধন? তার মায়ের এ প্রশ্নের জবাব এখনো কেউ দিতে পারেনি।

6.   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে নামাজ রত ছিলেন মুন্সী আব্দুল হালিম। হায়েনারা নামাজেই হামলা করেছে। মৌলভী বাজার সরকারী কলেজের মসজিদে নামাজরত ছিলেন আলমাছ। কিন্তু নরপিচাশরা সেখানেই গুলি করে তাদের শহীদ করে দেয়।

§  ওরা চলে গেছে তাদের নেতা শহীদ আব্দুল মালিকের পথ ধরে। তাদের প্রভূও সান্নিধ্যে।

§  কি ছিল তাদের অপরাধ? তাদের অপরাধ ছিলঃ  وَمَا نَقَمُوا مِنْهُمْ إِلَّا أَن يُؤْمِنُوا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَمِيدِ

§  তাদের ব্যাপারে তাদের রব বলছেনঃ وَلَا تَقُولُوا لِمَن يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَٰكِن لَّا تَشْعُرُونَ

§  ওরা মনে করেছিল হত্যা আর সন্ত্রাসের মাধ্যমে আব্দুল মালিকদের স্তব্দ করে ফেলবে। কিন্তু না। বরং কাফেলা আরো দুর্নিবার হয়েছে। আজকের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, আজকের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-আজকে পুরো বাংলাদেশ। সর্বত্র ইসলামের আওয়াজ বেগবান হচ্ছে, কাফেলা মজবুত হচ্ছে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা শহীদ আব্দুল মালিকের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আমাদের আত্মনিয়োগ করার তাওফীক দিন। আমীন।

অন্যান্য বিষয়ে আমার আলোচনার নোট গুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

Post a Comment

0 Comments